Author: user

  • Nigeria school collapse: নাইজেরিয়ায় ক্লাস চলাকালীন স্কুল ধসে ২২ পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু! আহত বহু

    Nigeria school collapse: নাইজেরিয়ায় ক্লাস চলাকালীন স্কুল ধসে ২২ পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু! আহত বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্কুল চলাকালীন আচমকাই ভেঙে পড়ল ছাদ (Nigeria school collapse)। আকস্মিক এমন ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ২২ জন পড়ুয়ার। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ নাইজেরিয়ার প্লেটু রাজ্যে। মৃতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও বহু। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও অনুমান করা হচ্ছে ভেঙে পড়া ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে প্রায় একশোর কাছাকাছি পড়ুয়া। তাই জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এই মুহূর্তে দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন আটকে থাকা পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সকলেই প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার আবেদন জানাচ্ছেন।        

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nigeria school collapse)

    সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শুক্রবার ক্লাস চলাকালীন আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে দোতলা স্কুলটি। সেসময় স্কুলে উপস্থিত ছিল প্রায় দুশোর কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী। দুর্ঘটনার পরই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারাই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপরে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জন পড়ুয়ার। যাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স পনেরো কিংবা তার নিচে। মৃতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০-এরও বেশি। আহতদের সবসরকম চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোকে কোনও নথি, অর্থ না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও একশোর কাছাকাছি মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। 

    কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল?    

    যদিও কি কারণে ওই স্কুল ধসে পড়ল তা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। প্রশাসনের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি (Nigeria school collapse) ঘটে। যদিও অন্যদিকে এই ঘটনায় স্কুলের দুর্বল পরিকাঠামোকেই দায়ী করছে স্থানীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলটি একটি নদীর তীরের খুব কাছে অবস্থিত। তাই এই দুর্ঘটনার পর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে এই ধরনের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলিzয

    একের পর এক ঘটনা 

    যদিও এমন ঘটনা নাইজেরিয়ায় (Nigeria school collapse) প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালে লাগোসে নির্মাণাধীন একটি বাড়ি ধসে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হন। এছাড়াও গত ২ বছর ধরে নাইজেরিয়ায় একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। বাড়ি তৈরির সুরক্ষা বিধি না মেনেই এইসব বাড়ি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে সেদেশে। বিভিন্ন নির্মাণকারী সংস্থা দুর্নীতি করার জন্য নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে এগুলি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পান্তা ভাতের (Panta Bhat) হরেক নাম রয়েছে (Superfood)। ওড়িশায় পখাল, অসমে পৈতা ভাত, বিহার-ঝাড়খণ্ডে বাসিয়া ভাত ও তামিলনাড়ুতে কানজি। পান্তা ভাতের সঙ্গে কিন্তু বিলাসিতা বা আভিজাত্য একেবারেই জুড়ে নেই। গুণাগুণ ও উপযোগিতার (Superfood) কারণে যুগ যুগ ধরে পান্তা ভাত জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে পান্তা ভাতের স্বাদ নিতে পছন্দ করেন প্রত্যেকেই। এর সঙ্গে যদি জুড়ে যায় এক টুকরো পেঁয়াজ ও কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা তাহলে তো কথাই নেই। শ্রমজীবী মানুষদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই পান্তা ভাত। গ্রীষ্মকালে তাঁরা এই খাবার খেয়েই কাজে বের হন। পান্তাভাত তৈরি করা খুব সহজ। ভাত রান্না করে ঠান্ডা করে তাতে জল মিশিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পান্তা ভাত। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্রে রাখতে পারলে।

    ওড়িশায় প্রভু জগন্নাথদেবকেও উৎসর্গ করা হয় পান্তা
     
    সাধারণভাবে আজকের দিনে মধ্যবিত্তের ফ্রিজে দেখা মেলে জল দেওয়া ভাতের। রাজ্য ভেদে পান্তা ভাত খাওয়ার রীতিও (Superfood) বদলে যায়। ওড়িশার লোকেরা পখাল ভাত (Panta Bhat) খেতে পছন্দ করেন দই, ভাজা শাক, সবজি, মরিচ এবং মাছ ভাজা দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাতে সাধারণত মাছ ভাজা, কুমড়োর ফুল ভাজা, পোস্ত বড়া, আলু চোখার সঙ্গে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও একই ভাবে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। অন্যদিকে, অসমে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাজা মাছের সঙ্গে খাওয়া হয় পৈতা ভাত। ওড়িশাতে পখাল এতটাই জনপ্রিয় যে প্রভু জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা হয় এই ভাত। প্রতিবছর ২০ মার্চ ওড়িশাতে পখাল দিবসও পালন করা হয়।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক পান্তা ভাত সুপারফুড (Superfood) বলা হয়-

    পান্তা ভাতকে (Panta Bhat) এখন বলা হচ্ছে সুপারফুড (Superfood)। কী এমন আছে পান্তাভাতে, যে কারণে এই খাবার সুপারফুড?
     
    ১. পান্তা ভাতে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
     
    ২. মাত্র একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদেরকে প্রোবায়োটিকস বলে, যাদের কাজ হল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।

    ৩. এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকে পর্যাপ্ত, যা হার্ট ভালো রাখে।

    ৪. গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। স্লিম থাকার জন্যও পান্তা হেল্প করে। 

    ৫. পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচেরাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এখন প্রায় অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। পান্তা নিদ্রাহীনতা দূর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhruv Rathee: ওম বিড়লার মেয়েকে নিয়ে ‘ভুয়ো খবর পোস্ট’ করায় ধ্রুব রাঠির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    Dhruv Rathee: ওম বিড়লার মেয়েকে নিয়ে ‘ভুয়ো খবর পোস্ট’ করায় ধ্রুব রাঠির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির (Dhruv Rathee) অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ায় সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার পুলিশ, এই জনপ্রিয় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সামজিক মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডলে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কন্যা সম্পর্কে একটি ভুয়ো খবর পোস্ট করেছেন। তবে এই পোস্ট ভুয়ো খবর, নিছক মজা করার উদ্দেশে অপর আরেকটি ভুয়ো প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিময় করা হয়েছে। শনিবার একজন সিনিয়র পুলিশকর্তা এই কথা জানিয়েছেন। ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    সাইবার বিভাগ সূত্রে খবর (Dhruv Rathee)

    মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধ্রুব রাঠি (Dhruv Rathee) নিজের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টে দাবি করেছেন, “লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার মেয়ে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষায় না বসেই পাস করেছেন।” তবে পোস্ট করার সময় অ্যাকাউন্টে ​​লেখা রয়েছে, “এটি কেবল মজা করার জন্য পোস্ট। এটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং ধ্রুব রাঠির আসল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।” ভুয়ো খবর প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    দায়ের মানহানি মামলা

    ওম বিড়লার এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ, ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির (Dhruv Rathee) বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারায় মানহানি, শান্তি ভঙ্গ, ইচ্ছাকৃত অপমান এবং বিভ্রান্তিকর ভুয়ো খবর প্রচারের মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে আইটি আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আরও বলেছেন, “পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো খবরটি একটি, ভুয়ো প্যারোডি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি অভিযুক্তের নয়। ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছি।”

    আবার প্যারোডি অ্যাকাউন্টটি শনিবার আরেকটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, “অঞ্জলি বিড়লার উপর আমার সমস্ত পোস্ট এবং মন্তব্য মুছে ফেলেছি, আমি ক্ষমা চাইতে চাই, কারণ আমি ঘটনা সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলাম এবং অন্য কারও পোস্ট কপি করে শেয়ার করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের (Ex-Agniveers) জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (Agniveer) এই সংরক্ষণ মিলবে কনস্টেবল পোস্টে। সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিং এবং বিএসএফের নীতিন আগারওয়াল যৌথভাবে এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বলছেন নীনা সিং (Agniveer)?

    নীনা সিং এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে (Agniveer) বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের বিষয়ে। সিআইএসএফ কেন্দ্র সরকারের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তুতি (Agniveer) নিচ্ছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে।’’ এর পাশাপাশি নীনা সিং প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়েও এদিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।’’ ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন নীনা সিং।

    অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সেনাতে তারুণ্যে জোর দেওয়া (Agniveer)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন দেশের তরুণরা। পরবর্তীকালে তার মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের কী হবে সে নিয়েই প্রশ্ন তোলে দেশের বিরোধীরা।

    বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল কী বলছেন?

    অন্যদিকে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল বলেন, ‘‘অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ লাভই হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ফোর্সের। অগ্নিবীররা (Ex-Agniveers) চার বছরের জন্য অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদেরকে শেখানো হচ্ছে শৃঙ্খলা, তেমনই তাঁরা প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন। এটা বিএসএফের জন্য খুব ভালো হচ্ছে যে তারা একেবারে ট্রেনিংপ্রাপ্ত জওয়ানদের পেয়ে যাচ্ছে। এর পরে তাঁদেরকে খুব কম প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে এবং সীমান্তে মোতায়ন করা হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি নীতিন আগরওয়াল আরও বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি তাঁদেরকে নিয়োগ করার জন্য এবং স্বল্পকালীন ট্রেনিং দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামেই সরকারি জমি দখল করেছেন তৃণমূল নেতা। দলের নেতার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। অবৈধ ভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পাল্টা তৃণমূল নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Bardhaman) কাঁকসাতে।

    কীভাবে জমি দখল (Bardhaman)?

    সূত্রের খবর, ওই জমিতে কৃষি দফতরের কার্যালয় (Bardhaman) ছিল। তবে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কৃষি দফতরকে জমি দিয়েছিলেন এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। বনকাটি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বুদ্ধদেব রায় প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে জমির বেশ কিছুটা অংশ করিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বিডিও ও বিএলএলআরও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলেরই অঞ্চল প্রধান তবাসুম খাতুন। কৃষি জমি সহ আরও অনেক জমি এখন বুদ্ধদেব রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সরকারি জমি কীভাবে তাঁর নামে উঠেছে, তাই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। জমি যাতে সরকার ফিরে পায়, সেই দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রধান।

    প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে জমি রেকর্ড

    এদিকে যাঁরা জমি দান করেছিলেন, সেই পরিবারের পক্ষ থেকে দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্ধমান (Bardhaman) রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র দলিল করেছিলেন আমার বাবা। কিন্তু সেই জমির রেকর্ড এখন এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে হয়ে গিয়েছে। যিনি জমিকে নিজের নামে করেছেন, তিনি অঞ্চল সভাপতি (TMC)। তাঁর নাম বুদ্ধদেব রায় ওরফে লালু। আবার লালুর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। অবিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”  

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC) বুদ্ধদেব রায় এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী কাঁকসা (Bardhaman) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোষী প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ বছর পর ফের ব্রিটেনের কুর্সিতে বসেছে লেবার পার্টি। ২০১০ সালের পর এই প্রথম লেবার পার্টির কোনও (India UK Relation) নেতা হতে চলেছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। লেবার পার্টির তরফে ব্রিটেনের কুর্সিতে যিনি বসতে চলেছেন তিনি কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। জয়ের পর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যৎ ফিরে পেয়েছে।”

    স্টার্মারের মাথায় কাঁটার মুকুট! (Keir Starmer)

    স্টার্মারের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁর বছর দুয়েকের শাসনে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক তুঙ্গে উঠছে, এমনটা বলা যায় না। তবে সম্পর্কের অবনতিও হয়নি। এবার স্টার্মারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের জল কোন খাতে গড়ায়, সে দিকেই তাকিয়ে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ। স্টার্মার যে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন, সেই সময় সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ব্রিটেনের ঘাড়ে করের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে নিট ঋণের পরিমাণ ব্রিটেনের বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটপুটের সমান। দেশের (Keir Starmer) পাবলিক পরিকাঠামো নড়বড়ে, জীবনযাপনের মান কমছে তীরের বেগে। সঙ্কটের মুখে সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। এহেন আবহে কুর্সিতে বসেছেন স্টার্মার।

    স্টার্মারের সামনে গুচ্ছ চ্যালেঞ্জ

    বস্তুত, কাঁটার মুকুট পরেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। গত বছর সেই জায়গাটা দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে ওই তালিকার ছ’নম্বরে। তাই ব্রিটেনকে ফের পূর্বাবস্থায় ফেরানোটাই স্টার্মারের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেনবাসীর জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করাও তাঁর আশু কর্তব্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট না করেই উন্নয়ন করতে হবে এই সব ক্ষেত্রে। এসব ‘ঘরোয়া সমস্যা’র সমাধানও যেমন করতে হবে স্টার্মারকে, তেমনি মজবুত করতে হবে ভারত-ব্রিটেন (পড়ুন, লেবার পার্টির) সম্পর্কও।

    আর পড়ুন: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    তলানিতে ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তলানিতে ঠেকে ভারত ও লেবার পার্টির সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়াও অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। স্টার্মারের আগে লেবার পার্টির রাশ ছিল জেরেমি করবিনের হাতে। তাঁর ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্যই নয়াদিল্লির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ককেই দ্রুত ফেরাতে হবে জেরেমি জমানার আগের অবস্থায়।

    প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা স্টার্মারের

    ঋষি সুনক যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিরোধীদলের নেতা ছিলেন স্টার্মার (Keir Starmer)। সেই সময়ই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলতেন। ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের ওপর খালিস্থানপন্থীরা যখনই হামলায় চালাত, তখনই তার কড়া নিন্দা করতেন স্টার্মার। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, তাঁর দল সরকারে এলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইবে। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। তাই এবার তাঁর পালা প্রতিশ্রুতি রক্ষার।

    ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ক্ষমতায় এলে তিনি যে ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, নির্বাচনী প্রচারেই তা জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ভারতের সঙ্গে তিনি যে মুক্ত-বাণিজ্যের চুক্তি করতেও বদ্ধপরিকর, সেটাও জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির এই নেতা। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী স্টার্মার। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল দেশ। বিভিন্ন (India UK Relation) আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষা বলছে, অচিরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে আসবে মোদির ভারত। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে মুখিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।

    ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী!

    তিনি যে হিন্দু-বিরোধী নন, তিনি যে ব্রিটেন থেকে ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী, তা-ও ভোটের আগে বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন স্টার্মার। সেই কারণেই হিন্দুদের উৎসব হোলি কিংবা দেওয়ালির মতো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের। স্টার্মারের এই কৌশলে কাজ হয়েছে। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয় হিন্দু ভোটাররা একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ফ্যাক্টরই এবার ব্যাপকভাবে কাজ করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, প্রবাসী হিন্দু কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশের ভোট এবার পড়েছে লেবার পার্টির ঝুলিতে। তাই স্টার্মারের জয় হয়েছে নিছক কেক-ওয়াক।

    স্টার্মারের জয়ের পর তাঁকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই দুই রাষ্ট্রনেতা ‘মজবুত অর্থনৈতিক বন্ধন’ গড়ে তুলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার মোদিকে (India UK Relation) এ-ও বলেছিলেন, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চলা দোটানায় ইতি টানতে প্রস্তুত ব্রিটেন।

    আসলে মোদির ভারতকে এড়িয়ে যাওয়ার যে কোনও উপায়ই নেই লেবার পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের (Keir Starmer)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal PM: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি

    Nepal PM: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে পালাবদল। সম্প্রতি নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ভোটে হারিয়ে শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। শুক্রবার ১২ জুলাই আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন। আর বাকি ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নেপাল পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। 

    প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা পুষ্পকমল দহলের (Nepal PM) 

    শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড। তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (UML) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শনিবার ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে ‘চিনপন্থী’ নেতা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান কেপি শর্মা ওলির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (CPN)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?

    আগের ইতিহাস 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) হয়েছিলেন প্রচণ্ড। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা। মোট চার বার জোট বদলে গদি বাঁচালেও এবার ‘চিনপন্থী’ ওলি (KP Sharma Oli) ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার গণিতের হিসাবে প্রচণ্ড তাঁর গদি হারান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    Asansol: যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লু ফ্যাক্টারি সংলগ্ন এলাকায় যুবক-যুবতীকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে গুজব ছড়ায় আসানসোল (Asansol) উত্তর থানা এলাকায়। কিন্তু ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলেও দীর্ঘক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর জনগণের রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কেন পুলিশের উপর হামলা (Asansol)?

    স্থানীয় (Asansol) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সঙ্গে চলে ইট বর্ষণ। ইটের আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মী দারুণ ভাবে আঘাত পান। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ওই যুবক-যুবতীর কোনও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাত এক হকারের

    গুজব ছড়িয়ে মারধরে উত্তাল রাজ্য

    গুজব ছড়িয়ে মারধরের ঘটনায় রাজ্যে সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এমন ঘটনা প্রায় প্রত্যেকে দিন জেলা থেকে উঠে আসছে। প্রশাসন এই বিষয়ে ভীষণ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কোথাও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আবার কোথাও ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে মারা হচ্ছে। সম্প্রতি চোপড়ায় এক প্রাতপশালী তৃণমূল নেতা, রাস্তায় ফেলে কঞ্চি দিয়ে তরুণ-তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছেন। সেই ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার চোর সন্দেহে, বউবাজার, সল্টলেক, পাণ্ডয়া, জামবনি, তারকেশ্বরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও টাকা চুরি, কোথাও গাড়ি চুরি আবার কোথাও মোবাইল চুরির ঘটনার কথা উঠে এসেছিল। ফের একবার গুজেব শোরগোল পড়েছে আসানসোলে (Asansol)।

    আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গণপিটুনির ঘটনায় ন্যায় সংহিতার ব্যাখ্যায় বলেছেন, “জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা ও অন্যান্য যেসব কারণে মারধরের ঘটনা ঘটে, তাতে ৭ বছরের জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা যুক্ত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulku Tenzin Delek Rinpoche: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    Tulku Tenzin Delek Rinpoche: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তিব্বতের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter)। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে হেফাজতে নেয় চিনা লালফৌজ। সেখানেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাঁর। এহেন এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল হিমাচলপ্রদেশের ধর্মশালার গ্যাংকি টিবেটান লাইব্রেরিতে। তিব্বতের এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম টুলকু তেনজিং ডেলেক রিনপোচে। আদত নাম এত বড় হওয়ায় সবার কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন তেনজিং ডেলেক (Tulku Tenzin Delek Rinpoche) নামে।

    তেনজিং ডেলেক (Tulku Tenzin Delek Rinpoche)

    তিব্বত তো বটেই, ভারতেও ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন ডেলেক। পূর্ব তিব্বতে তিব্বতি যাযাবরদের কাছে তিনি ছিলেন সাক্ষাৎ ভগবান। এই যাযাবরদের সামাজিক ও শিক্ষার উন্নয়নের কাজে নিজেকে ব্রতী করেছিলেন তিনি। তাঁদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন স্ব-উদ্যোগে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক নানা কাজেও নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন তিনি। ডেলেক পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইও লড়তেন। বৈষম্যমূলক লগিং এবং মাইনিং প্রজেক্টের সামনে দাঁড়িয়ে পরিবেশ বাঁচানোর দাবির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। চিন এবং তিব্বতের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেছিলেন তিনি।     

    চিনা হেফাজতেই নির্মম অত্যাচার!

    ২০০২ সালের ৭ই এপ্রিল চিনের সিচুয়ানের গার্জেতে জামিয়াং চোয়েখরলিংয়ে অভিযান চালায় চিনাফৌজ। গ্রেফতার করা হয় ডেলেককে (Tulku Tenzin Delek Rinpoche)। ২০০২ সালের ৩ এপ্রিল সিচুয়ানের প্রাদেশিক রাজধানী চেংডুর কেন্দ্রীয় চত্বরে বোমা মারার হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় চিনা লালফৌজ। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয় ডেলেকের। প্রতিবাদ করেন বিদেশি মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের মানবতার পক্ষে সওয়ালকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ডেলেকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা নিতান্তই ‘ছেঁদো’। চিনা হেফাজতেই ডেলেকের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। করা হয় দুর্ব্যবহারও।

    আর পড়ুন: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ২০০৯ সালের নভেম্বরে ডেরেকের পুনঃবিচারের দাবিতে সোচ্চার হন তিব্বতিরা। দাবিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রায় 40 হাজার মানুষ। লিটন কাউন্টি এলাকায় অনশন করেছিলেন এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন। তাতেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই চিনা হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হয় তিব্বতের এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর। কীভাবে পুলিশি হেফাজতে ডেলেকের মৃত্যু হয়েছিল, তা জানায়নি চিন প্রশাসন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করে দেওয়া হয়েছিল দেহ। গ্রেফতার হওয়ার সময় ডেলেক বলেছিলেন, “ওরা আমায় গ্রেফতার করেছে। তবে আমি নির্দোষ।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে একটি বইও প্রকাশ করেন প্রয়াত ডেলেকের ভাগ্নি। চিনাফৌজের হাতে ডেলেক গ্রেফতার হওয়ার পর কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁর পরিবার, কীভাবে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ডেলেককে, তার বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে এই (Freedom Fighter) বইটিতে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিব্বতি অ্যাক্টিভিস্ট সোনাম শেরিং-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব (Tulku Tenzin Delek Rinpoche)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nambi Narayanan: সাজানো চর-কাণ্ডে নির্দোষ নাম্বি নারায়ণন, কী বলছে সিবিআই-এর চার্জশিট?

    Nambi Narayanan: সাজানো চর-কাণ্ডে নির্দোষ নাম্বি নারায়ণন, কী বলছে সিবিআই-এর চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দোষ ছিলেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন (Nambi Narayanan)। তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা মামলায় (ISRO 1994 Espionage Case) ফাঁসানো হয়েছিল। সিবিআই-এর চার্জশিটই এর প্রমাণ। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকতেই নামের পাশে সেঁটে গিয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’ তকমা। চরবৃত্তির অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছিল তাঁকে। সেই বদনাম কাটিয়ে উঠতে দু’দশকেরও বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। তবে এত দিনে প্রকৃত অর্থে ‘সুবিচার’ পেলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন। 

    সিবিআই-এর চার্জশিটে কী বলা হয়েছে

    ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে চরবৃত্তির অভিযোগ (ISRO 1994 Espionage Case) থেকে রেহাই পান নাম্বি নারায়ণন (Nambi Narayanan)। শীর্ষ আদালত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি এই মামলায় চার্জশিট দিল সিবিআই। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে পুলিশের দুই প্রাক্তন ডিজি সিবি ম্যাথুস (কেরলের) এবং গুজরাটের আর বি শ্রীকুমারের। এছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা এস বিজয়ন এবং থাম্পি এস দুর্গা দত্তের। তিরুবনন্তপুরমের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। আদালত সূত্রের খবর, এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র, বেআইনিভাবে আটকে রাখা, স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি করতে আঘাত করা, মিথ্যা নথি তৈরি করা, প্রমাণ জালিয়াতি করা সহ মহিলাদের উপর অত্যাচারের ধারায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সিবিআই এই মামলার তদন্তে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ও আইবি সহ ১৮ জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল দেশের বিদেশি অর্থ ভাণ্ডার, জানেন এর প্রভাব

    কী ঘটেছিল নাম্বিদের সঙ্গে (Nambi Narayanan)

    ১৯৯৪ সালে ইসরোর গুপ্তচর বৃত্তির (ISRO 1994 Espionage Case) মামলায় বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে (Nambi Narayanan) অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি ভারতের সাইক্রোজেনিক ইঞ্জিন টেকনোলজিকে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। মলদ্বীপের কোনও নাগরিকের মাধ্যমে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগে ইসরোর সহকর্মী ডি শশীকুমার সহ আরও চারজন অভিযুক্তের সঙ্গে নাম্বিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি প্রায় ৫০ দিন জেলে কাটান। পরে কেরল পুলিশের হাত থেকে মামলা সিবিআইয়ের হাতে গেলে মুক্তি পান তাঁরা। সিবিআই জানিয়ে দেয়, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। পরবর্তী কালে নাম্বি নারায়ণন দাবি করেন, ইসরো চর-কাণ্ড আসলে একটি আন্তর্জাতিক ছক। যা ভারতে রকেটে তরল জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তিকে ১৫ বছর পিছিয়ে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share