Author: user

  • Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    Sikkim: সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম (Sikkim) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল, সড়ক পথ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি চলেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National highway 10)। ইতিমধ্যে কালিম্পং, সিকিম যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসার উপর। যদিও মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কালিম্পং জেলা প্রশাসনের বক্তব্য(Sikkim)

    কালিম্পং জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ থাকবে। পূর্ত দফতর এই সড়কের মেরামতি করবে। বিকল্প পথ হিসেবে মনসং হয়ে রংপো লাভা রোড খোলা থাকছে। সেখান দিয়েই চলাচল করছে গাড়ি। লাভা হয়ে কালিম্পং শিলিগুড়ির রাস্তায় খোলা থাকছে। যদিও এতদিন আলগাড়া লাভা হয়ে ঘুরপথে সিকিমে (Sikkim) যাওয়া হচ্ছিল। এই পথ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সিকিম সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে

    টানা ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামতে শুরু করেছে। শ্বেতী ঝোড়া থেকে চিত্রে, সেলফি দাড়ার কাছে বিশাল ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু দার্জিলিং থেকে সিকিম (Sikkim) যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে। আবার পাবনু হয়ে কালিম্পং, শিলিগুড়ির রাস্তা খোলা আছে। এই পথে পৌঁছানো যাবে সিকিম। তবে যেতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। এই ভূমি ধসের ফলে এখন কবে ১০ নম্বর সড়ক (National highway 10) খোলে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিস্তার একাংশ নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। সেবক থেকে তিস্তাবাজার যাওয়ার পথে বেশ কিছু এলাকার জাতীয় সড়কের অংশ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    এদিকে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের পাঁচ জেলায় হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদীগুলির জলস্তর যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিচু জায়গাগুলি ইতি মধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ছেলে। একজন দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানার কর্মী। বাকি দুজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তা সত্বেও আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে ডিএসপির (DSP) পরিত্যক্ত আবাসনে। তাঁকে জল দেওয়ার কেউ নেই। শুক্রবার চরম অমানবিক ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের জয়দেব এলাকায়।

    পরিত্যক্ত আবাসনে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থ! (Durgapur)

    শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত কি না তা দেখার জন্য সার্ভে করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা ডিএসপি’র (Durgapur) একটি পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, একটি ভাঙা খাটে হাত, পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের নাম মাগারাম ঘোষ। তিনি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাগারাম ঘোষের হাত-পায়ের দড়ি খুলে তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গুণধর ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতেরে বৃদ্ধকে অসহায়র মতো দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন গুণধর ছেলে?

    বড় ছেলে দয়াময় অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাবা বরাবর এখানেই থাকতেন। সেই জন্য এখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। বাবা অসুস্থ। যাতে বিছানা থেকে তিনি না পড়ে যান, সেই জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আমি নিয়মিত আসি। বাবার দেখভাল করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই বাবার আবাসন (DSP) ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবাকে দখল করা আবাসনে রাখা হয়েছে। অমানবিক কিছু ঘটেনি।”

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?

    প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন,”এমন নির্মম ঘটনা আগে কোনওদিন দেখিনি। মাগারামবাবু এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, তাঁর ছেলেরা যে এরকম করতে পারেন তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব। এই ধরণের ঘটনা যাতে সমাজে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jai Anmol Ambani: দেউলিয়া বাবার আশার আলো আনমোল আম্বানি! তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    Jai Anmol Ambani: দেউলিয়া বাবার আশার আলো আনমোল আম্বানি! তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ধনী পিতার সন্তান জয় আনমোল আম্বানি (Jai Anmol Ambani)। কার্যত সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁর বাবা অনিল আম্বানিকে (Ambani Family) দেউলিয়া বা ‘ব্যাঙ্করাপ্ট’ বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এখন সেই ছেলেই দেউলিয়া বাবার আশার আলো হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তিনি বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন বলে শোনা যায়। জানা যায়, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ২০০০ কোটি টাকা। কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠাও নাকি চোখে পড়ার মতো। 

    মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ইন্টার্ন হিসেবে কাজে যোগ 

    খুব কম বয়সেই পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন অনিল ও টিনা আম্বানির জ্যেষ্ঠ সন্তান আনমোল আম্বানি (Jai Anmol Ambani)। কাজে যোগদানের আগে মুম্বইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য ইউকেও যান আনমোল। এরপর সেভেন ওকস স্কুল থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতক হন। স্নাতক পাশ করেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিলায়েন্স মিউচুয়াল ফান্ড-এ ইন্টার্ন হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে ট্রেনি হিসেবে কাজ শুরু করেন রিলায়েন্স ক্যাপিটালে। এরপর ২০১৬-তে তিনি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন রিলায়েন্স ক্যাপিটালে। এই সময় সংস্থার আর্থিক বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল তৈরি করেন আনমোল। তাঁর হাত ধরেই সংস্থা লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালে রিলায়েন্স ক্যাপিটালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ পান তিনি। এর ঠিক এক বছরের মধ্যে রিলায়েন্সেক নিপ্পন লাইফ অ্যাসেটে যোগ দেন জয় আনমোল আম্বানি। তাঁর হাত ধরে রিলায়েন্স গ্রুপের স্টক প্রাইস প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। 

    ছেলের হাত ধরেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন অনিল আম্বানি

    এক সময়ে বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন অনিল আম্বানি (Ambani Family)। নিট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউকে-র একটি আদালত অনিল আম্বানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল। তবে ছেলে আনমোলের (Jai Anmol Ambani) হাত ধরেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন অনিল আম্বানি। গত বছরে তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স পাওয়ারের শেয়ারদর ১২০ শতাংশ বেড়েছে। ছেলের এই সাফল্যে অনিল আম্বানি বড় ছেলে আনমোলের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। 

    আরও পড়ুন: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    আনমোলের বিলাসবহুল জীবনযাপন (Jai Anmol Ambani)

    বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে ভালবাসেন জয় আনমোল আম্বানি। তবে তাঁর বিলাসবহুল জীবন চোখে পড়ার মতো। শোনা যায়, তিনি বেশ বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। ল্যাম্বরগিনি গ্যালার্দো, রোলস-রয়েস ফ্যান্টমের মতো বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তাঁর। এমনকি তাঁর একটি নিজস্ব হেলিকপ্টার এবং বিমানও রয়েছে। এই কপ্টার-বিমান তিনি ব্যবসায়িক সফরের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে নিজের কর্ম গুনেই সফলতার শিখরে পৌঁছেছেন আম্বানি পরিবারের এই সন্তান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 73: “ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে”

    Ramakrishna 73: “ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে”

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে বলরামাদি সঙ্গেবলরামকে শিক্ষা

    লক্ষণসত্যকথাসর্বধর্মসমন্বয়কামিনীকাঞ্চনই মায়া

    আর একজন আসে, আমি তার জিনিস খেতে পারি না। সে অফিসে কর্ম করে, তার ২০ টাকা মাহিনা। আর ২০ টাকা কি মিথ্যা (bill) লিখিয়ে পায়। মিথ্যাকথা কয় (Kathamrita) বলে সে এলে বড় কথা কি না। হয়তো দু-চারদিন অফিসে গেল না, এইখানে পড়ে রইল। কি জানো, মতলব যে, যদি কারুকে বলে কয়ে দেয়, তাহলে অন্য জায়গায় কর্ম কাজ হয়।

    বলরামের বংশ পরম বৈষ্ণববংশ। বলরামের পিতা বৃদ্ধ হইয়াছেন—পরম বৈষ্ণব। মাথায় শিখা, গলায় তুলসীর মালা, আর হস্তে সর্বদাই হরিনামের মালা, জপ করিতেছেন। ইহাদের উড়িষ্যায় অনেক জমিদারি আছে। আর কোঠরে, শ্রীবৃন্দাবনে ও অন্যান্য অনেক স্থানে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-বিগ্রহের সেবা আছে ও অতিথিশালা আছে। বলরাম নূতন আসিতেছেন, ঠাকুর গল্পচ্ছলে তাঁহাকে নানা উপদেশ (Kathamrita) দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সেদিন অমুক এসেছিল; শুনেছি নাকি ওই কালো মাগটার গোলাম!—ঈশ্বরকে কেন দর্শন হয় না? কামিনী-কাঞ্চন মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছে বলে। আর তোমার সম্মুখে কি করে সেদিন ও-কথাটা বললে যে, আমার বাবার কাছে একজন পরমহংস এসেছিলেন, বাবা তাঁকে কুঁকড়ো রেঁধে খাওয়ালেন! (বলরামের হাস্য)

    আমার অবস্থা এখন মাছের ঝোল মার প্রসাদ হলে একটু খেতে পারি। মার প্রসাদ মাংস এখন পারি না,–তবে আঙুলে করে একটু চাখি, পাছে মা রাগ করেন। (সকলের হাস্য)

     

    পূর্বকথা—বর্ধমানপথে—দেশযাত্রা—নকুড় আচার্যের গান—শ্রবণ

    আচ্ছা আমার একি অবস্থা বল দেখি। ও-দেশে যাচ্ছি বর্তমান থেকে নেমে, আমি গরুর গাড়িতে বসে—এমন সময়ে ঝড়বৃষ্টি। আবার কোথেকে লোক এসে জুটল। আমার সঙ্গের লোকেরা বললে, এরা ডাকাত!—আমি তখন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করতে লাগলাম। কিন্তু কখন রাম রাম বলছি, কখন কালী কালী, কখন হনুমান হনুমান—সবরকমই বলছি, এ কিরকম বল দেখি।

    আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন হল কেজরির, তবু মুক্তি অধরা

    Delhi Liquor Scam: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন হল কেজরির, তবু মুক্তি অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Scam) মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Kejriwal) অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনই আম আদমি পার্টির প্রধানের কারামুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত নেই। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরিওয়াল এখনও সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথকভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। ১৭ই জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। তার আগে তিহার থেকে মুক্তি মেলার সম্ভাবনা নেই কেজরির।  

    ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হন (Delhi Liquor Scam)

    ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Kejriwal) গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Scam) ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতারের বিষয়ে সরবরাহ করা হয়নি, এই অভিযোগে জামিনের আবেদন চেয়ে কেজরির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেও তিনি জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেখানে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট থেকে এল স্বস্তি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরের আইনজীবী বিবেক জৈন বলেন, “আমরা শীর্ষ আদালতকে বলেছিলাম প্রয়োজনীয় নথি এবং তথ্য ছাড়াই গ্রেফতারি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তির ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে। ১৭ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টকেও আমরা একই কথা বলব।”

    জামিন হলেও মুক্তি নয় (Kejriwal)

    লোকসভা ভোটের সময় কেজরিকে কিছুদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন তিনি আবার তিহার জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২০ জুন দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালের (Kejriwal) জামিন ৪৮ ঘন্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক এক লক্ষ টাকার বন্ধে জামিন দিয়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া জামিনের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্ট আবেদন করেছিল ইডি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একশো কোটি টাকার ঘুষ (Delhi Liquor Scam)  চেয়েছিলেন বলেও হাইকোর্টকে জানায় তদন্তকারী সংস্থা। এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলি যথাযথভাবে রাউস এভিনিউ আদালতের বিচারক যথাযথভাবে বিবেচনা করেননি বলে অভিযোগ জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে রাঁচিতে বসছে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    এরপর ২৫ জুন এদের আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। জামিনের আবেদন খারিজ হতেই ২৫ জুন তিহারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেলবন্দি কেজরিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অপর তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের। ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যু (Dholahat Death Case) ঘিরে এমনিতেই অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন (Calcutta HighCourt) ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার শর্ত’ হিসেবেও পুলিশের বিরুদ্ধে পৌনে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করল মৃত যুবকের পরিবার। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Dholahat Death Case)   

    ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর আবু সিদ্দিক হালদার (২২) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। আর সেখানেই গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ঠিক কী অভিযোগ মৃতের পরিবারের? 

    মৃতের পরিবারের দাবি, ঢোলাহাট থানার আইসি ওই যুবককে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য পৌনে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। থানায় আবুকে বেদম মারধরের পাশাপাশি বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল বলেও তাদের অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, ৪ জুলাই জামিন পাওয়ার পরে আবুর শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান (Dholahat Death Case) আবু।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারতীয় পরিচারিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কুক 

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এ দিন কোর্টে (Calcutta HighCourt) পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা (Dholahat Death Case) আড়াল করার অভিযোগও করেছেন আবুর পরিবারের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আবুর দেহের ময়নাতদন্তের কথা পরিবারকে জানায়নি। ডাক্তারের রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। কেন এই ‘অতি সক্রিয়তা’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, জন্ডিস এবং রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রাজাপুর থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (ISKCON) এসেছেন জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা। ইসকনে জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তা দেখতে হাজির হয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত। দিন কয়েক আগেই হয়ে গেল রথযাত্রা উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে এই উৎসব। রথযাত্রার দিন নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে রাজাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলদেব, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবকে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরকে জগন্নাথদেবের অস্থায়ী মাসি বাড়ি হিসেবে ধরা হয়। উল্টোরথের আগে পর্যন্ত মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবের জাঁকজমকভাবে পুজো চলে।

    জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি ইসকন মন্দিরে (ISKCON)

    ইসকন মন্দিরের (ISKCON) ভিতরেই সাজানো হয়েছে জগন্নাথ দেবের মণ্ডপ। ভোর সাড়ে চারটের নাগাদ শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথদেবের সামনে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয় বিগ্রহের সামনে। তার মধ্যে থাকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, ডোনাট আরও রকমারি খাদ্য। দেশ-বিদেশের বহু ভক্তরা প্রতিনিয়ত আসছেন জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মহারানি সোনার আবরণে সজ্জিত হন। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই চলবে মঙ্গলারতি ও ৫৬ ভোগ আরতি। এছাড়াও প্রতিদিন জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক?

    এ বিষয়ে মায়াপুর (Mayapur) ইসকন (ISKCON) মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ৭ জুলাই রথের দিন বলরাম, সুভদ্রা এবং বলদেবকে তাঁদের অস্থায়ী মাসি বাড়ি মায়াপুর ইসকনের নিয়ে আসা হয়েছে। আবার সাত দিন পর উল্টো রথের দিন তাঁরা নিজের বাড়িতে রওনা হবেন। এই সাতদিন মায়াপুর ইসকনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ প্রদান করা হয়। যেহেতু জগন্নাথদেব খাদ্য রসিক ছিলেন, সেই কারণে তাঁর পছন্দের খাবার যেমন কেক, লাড্ডু থেকে শুরু করে পাস্তা এবং প্রিয় ফল কাঁঠাল ভোগ দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত এই জগন্নাথদেবের ছাপানো ভোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এবং প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষকে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই জগন্নাথদেবের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য সকল ভক্তদের কাছে অনুরোধ রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম বাংলার তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। অমাবস্যার কোটালের জেরে কপিলমুনির মন্দির (Kapil Muni Ashram) সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়েও দেখা দিয়েছে বড়সড়ো ধস! বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূল সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করলেও, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই রাস্তা ভেঙে পড়ছে। খরচের টাকা সব কি জলে? বিজপির দাবি, তৃণমূলের নেতার কাটমানি খেয়ে সরকারি টাকা লুট করছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল (Gangasagar)

    সমুদ্রের জলের স্রোতে ভেঙে গেল গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা। একদিকে অমাবস্যার কোটাল, তারপর দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে সমুদ্রের জল। উত্তাল হয়ে পড়েছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতেও। কপিলমুনির আশ্রমের (Kapil Muni Ashram) সামনে দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল অবস্থা। অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল চার নম্বর সান ঘাটের ঢালাই রাস্তা। ইতিমধ্যে ভগ্ন এলাকার রাস্তাকে বেরিকেট করে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের পথে কপিলমুনির আশ্রম (Gangasagar) এখন বিপন্ন হওয়ার পথে। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রজেক্ট করা হয়েছিল কাজ, কিন্তু তার সবটাই কাটমানিতে চলে গিয়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভেঙে সব তলিয়ে যেতে বসেছে। আগামী দিনে কপিল মুনির মন্দিরও সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। যেখানে গঙ্গাসাগর থেকেই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী পেয়েছে, সেখানে এমন হাল সত্যি লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।”

    কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ করা হলেও নজর নেই

    স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু খাটুই অভিযোগ করে বলেছেন, “গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও, সারা বছর ফিরেও তাকানো হয় না এই গঙ্গাসাগরের দিকে। আর যার ফলে একটু একটু করে ভাঙন আরও বেড়েই চলেছে গঙ্গাসাগরে। অন্যদিকে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন, চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক এই নদী বাঁধের।”

    আরও পড়ুনঃক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানিয়েছে, “ট্রাটাপট পদ্ধতির মাধ্যমে যে কাজ করা হয়েছিল তা খুব বেশি কাজে আসেনি তবে নতুন করে আবার প্রজেক্ট করা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snakes: ঘরে মাটির কলসিতে রাখা কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া! সাপের বিষ পাচারের হদিশ পূর্ব মেদিনীপুরে

    Snakes: ঘরে মাটির কলসিতে রাখা কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া! সাপের বিষ পাচারের হদিশ পূর্ব মেদিনীপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপ (Snakes) এবং সাপের বিষ পাচারের কয়েক কোটি টাকার চোরাকারবারের খোঁজ মিলেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ব্লকের গাজীপুর ও দামোদরপুর গ্রামের বেশকিছু বাড়িতে, জেলার বনবিভাগের বাজকুল রেঞ্জের অফিসারেরা হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সাপের হদিশ পেয়েছেন। এই উদ্ধারের কাজে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ মঞ্চ নামে এক সংগঠন। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    কোটি টাকার সাপ ও সাপের বিষ উদ্ধার (Snakes)!

    ঘরের মধ্যে মাটির কলসি, ট্রাঙ্ক ও ঝুপির মধ্যে রাখা অসংখ্য বিষধর সাপ! কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া সব মিলিয়ে গোটা পঁচিশ হবে। ঘরেই সাপের খাবারের মধ্যে রাখা রয়েছে ল্যাটা মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি। এই সাপ উদ্ধারের ফলে কয়েক কোটি টাকার সাপ ও সাপের (Snakes) বিষ পাচারের বেআইনি কারবারের কথা উঠে এসেছে। একাধিক রাজ্যে এই পাচারের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এই ভাবে এই পাচার চক্র, অনেক দিন ধরে চলছিল এলাকায়। ইতিমধ্যে সাপের বিষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক সাপুড়ে এবং তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে তমলুক আদালতে তোলা হয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, “ধৃতেরা হল জ্যোৎস্না রানি সিং (৬৫) ও সুকুমার বর (৫৫)। তাদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বনদফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যাদের ধরা হয়েছে তারা আসলে চুনো পুঁটি। আসলে ওরা সাপ্লাই লাইন, তবে তাদের লিঙ্কম্যান কারা, সেই মাথাদের খুঁজে বের করতে হবে।” জীববৈচিত্র দলের সদস্য দেবগোপাল মণ্ডল বলেছেন, “ধৃতেরা এলাকায় বহু বছর ধরে বিষাক্ত সাপ ধরার কাজ করে থাকে। সাপের গতিবিধি তাদের নখদর্পণে। বেইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা।”

    আরও পড়ুনঃ মঙ্গলাহাটে প্রকাশ্যেই চলছে অবাধে ‘তোলাবাজি’, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

    পঞ্চাশ বছর ধরে বিষের কাজে যুক্ত ধৃতরা

    ধৃতদের কাছ থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে সাপের বিষ বের করার কাজ করছিলেন জ্যোৎস্না রানি সিং। সাপ ধরার পর তাদের দাঁত চেপে অতিরিক্ত বিষ বের করে নেওয়া হতো। মোটামুটি ১০-১০০মিলিলিটার বিষ একটি সাপের থেকে বের হয়। আবার চাপ বেশি দিলে দাঁত ভেঙেও যায়। তবে সাপ (Snakes) খেলা দেখানো সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ হলেও, এই এলাকায় অনেক দিন ধরে চলছিল এই খেলা। আর এই সব কিছুর আড়ালে চলছে বিষ পাচারের চক্র। বিষ ভেনম পাউডার করেই চালান দেওয়া হতো। একবার একটি সাপ থেকে বিষ বের করলে ফের দাঁতে বিষ তৈরি হতে সময় লাগে এক মাস। আবার বিষ বের করার সময় সাপের দাঁত ভেঙে গেলে, ভাঙা জায়গায় নতুন দাঁত গাজতে সময় লাগে সাত দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    Digital Payments: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল যুগে আর্থিক লেনদেনও হয় ডিজিটাল (Digital Payments) মাধ্যমেই। ইউপিআই-র মাধ্যমে মোবাইলের এক ক্লিকেই হয়ে যাচ্ছে পেমেন্ট। সবজি কেনা থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, অনলাইন পেমেন্টের দৌলতে সবই বাড়ি বসে সম্ভব। টাকা পাঠানো, কেনাকাটা করা, ফোনের রিচার্জ কিংবা বিদ্যুতের বিল দেওয়া— সর্বত্রই এখন ডিজিটাল লেনদেন। অফিস থেকে বিকেলে বেরিয়ে চা-বিস্কুট খেয়েছেন। বিল হয়েছে ১০ টাকা। সঙ্গে খুচরো নেই সমস্যার কী আছে? অনলাইনে টাকা মিটিয়ে দিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে শপিংয়ে গিয়েছেন। মাসের শেষে পকেটে নগদ নেই। ডিজিটাল লেনদেনই ভরসা। ১০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা— অনলাইনেই চলে আদান-প্রদান। এতে সময় খানিকটা বাঁচে। তা ছাড়া সঙ্গে টাকা না থাকলেও অপ্রস্তুতে প়়ড়তে হয় না। 

    ডিজিটাল লেনদেনই এখন সর্বত্র বলছে সমীক্ষা (Digital Payments)

    কেয়ার্নির (Kearney Report) একটি রিপোর্টে “হাউ আরবান ইন্ডিয়া পেইজ” শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে যে অনলাইন কেনাকাটার জন্য ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) প্রবণতা বৃদ্ধি ভোক্তাদের আচরণে স্থায়ী পরিবর্তন এনেছে। এমনকি এটি অফলাইন লেনদেনেও প্রভাব ফেলছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অনলাইন কেনাকাটার জন্য ডিজিটাল পেমেন্টকে পছন্দ করেন। এছাড়াও, প্রায় ৫০ শতাংশ ভোক্তা তাদের অফলাইন কেনাকাটায়ও অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রধান কারণ হল এর সুবিধা।

    আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি

    কারা করেন ডিজিটাল লেনদেন (Digital Payments)

    কেয়ার্নির (Kearney Report) সমীক্ষা অনুযায়ী, জেনারেশন এক্স ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) মাধ্যমে সরঞ্জাম গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী। যে কোনও কেনাকাটায় ডিজিটাল লেনদেন করতে পছন্দ করেন তাঁরা। মেয়ে বা ছেলে, পুরুষ বা মহিলা ডিজিটাল লেনদেনে এরকম কোনও বিভেদ চোখে পড়েনি। ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণে লিঙ্গ সমতা দেখা গিয়েছে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই তাদের লেনদেনের প্রায় ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করেন। অনেকেই ডিজিটাল লেনদেন-এ নানারকম ছাড় পান বলে এই পদ্ধতিকেই বেছে নেন। ছোট ছোট শহর, গ্রামাঞ্চলেও ডিজিটাল লেনদেন দেখা যাচ্ছে। বড় বড় শহরে যদি ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন হয়, তাহলে গ্রাম বা ছোট শহরের ক্ষেত্রে তা ৬৫ শতাংশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share