Author: user

  • Sand Mining: রূপনারায়ণ নদে চলছে দেদার বালি চুরি! ফাটল রেলের সেতুতে, শোরগোল

    Sand Mining: রূপনারায়ণ নদে চলছে দেদার বালি চুরি! ফাটল রেলের সেতুতে, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপনারায়ণের বালি চুরির (Sand Mining) অভিযোগে রেলের সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদের উপর রেলের দুটি সেতু, একটিতে ডাউন লাইন এবং মেইন লাইন। অপর দিকে আরেকটি সেতুতে আপ লাইন রয়েছে। এই ফাটলের ঘটনায় রেললাইনে ট্রেন চলাচলে বিপদ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

    তবে রাজ্যে অজয়, দামোদর, কংসাবতী সহ একাধিক নদ-নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেও সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে বালি পাচারের তদন্তে একাধিক তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার রেল, বালি চুরির অভিযোগ তুলেছে।

    ১৭ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি হয়েছে (Sand Mining)!

    রূপনারায়ণ (Rupnarayanan) নদের উপর ৫৭ নম্বর রেল সেতুর লোহার বিমে গত মে মাসেই ফাটল দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সময়মতো ঠিক করে মেরামত করলেও ফের আরেকবার ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই ফাটল নিয়ে রেলের আধিকারিকরা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন। এই রেল সেতুর কাছেই তোলা হচ্ছে দেদার বালি। অবৈধ ভাবে বালি তোলার (Sand Mining) ঘটনায় সেতুর পিলারের গোড়া থেকে বালি সরে গিয়েছে। প্রায় ১৭ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সেতু বাঁচাতে বিমের গোঁড়ায় বোল্ডার ফেলা হয়েছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা উপকার হচ্ছে না। বিপদের আশঙ্কা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    রেলের আধিকারিকের বক্তব্য

    এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেছেন, “কোলাঘাটে ৫৭ নম্বর রেল সেতুতে বারবার ফাটল দেখা যাচ্ছে। সেতুর পাইলের গোড়া আলগা হয়ে গিয়েছে। পিলারের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত ওই এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি (Sand Mining) উত্তোলন বন্ধ করা।”

    আরও পড়ুনঃ ক্লাস রুমের মেঝেতে ধস! বেঞ্চ সমেত ৫ ফিট মাটির ভিতরে ঢুকে গেল ৪ ছাত্র, চাঞ্চল্য

    সেচ দফতরের বক্তব্য

    সেচ দফতরের অনুমতি ছাড়াই দেনানে (Rupnarayanan) বাঁধের গায়ে গর্ত করে বালি মজুত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে খোদ এই দফতরই। এই নিয়ে সেচ দফতর কোলাঘাট থানাকে একটি চিঠি পাঠায়। তবে এর পরেও বন্ধ হয়নি বালি চুরি (Sand Mining)। এই বিষয়ে পাঁশকুড়া-১ ডিভিশনের এসডিও নাজেস আফরোজ বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগের নির্দেশে প্রথমে বালি তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বালি তোলার মেয়াদ শেষ যাওয়ার পরও কীভাবে আবার অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে? সেই বিষয়ে তথ্য জানতে কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগে চিঠি পাঠাবো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের (ডাব্লএএএস) (WAAS)  ফেলো মনোনীত করা হল এক ভারতীয়কে। এই পদে মনোনীত করা হয়েছে শৌর্য ডোভালকে (Shaurya Doval)। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ওপেনহেইমার এবং জোসেফ রটব্লার্টের মতো বিশ্বশ্রুত ব্যক্তিরা। তারই ফেলো পদে এবার মনোনীত হলেন শৌর্য।

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)

    মানবতার সামনে যেসব জটিল সমস্যাগুলি এসে হাজির হয়, তারই মোকাবিলায় কাজ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স। এই অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন বিজ্ঞানী, শিল্পী এবং পণ্ডিতরা, যাঁরা জ্ঞানের অগ্রগতি ও সামাজিক নানা উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শৌর্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। তাঁর এই মনোনয়নের জেরে মান্যতা পেল বৈশ্বিক চিন্তা-নেতৃত্ব এবং নীতি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শৌর্যের অবদান। উল্লেখ্য, দিল্লি ভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক হল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।

    ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্য

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্যদের মধ্যে (Shaurya Doval) ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, ডক্টর বিক্রম সারাভাই। প্রথমজন ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। আর ভারতীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিক্রম সারাভাই। মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর শৌর্য বলেন, “ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত হওয়া একটি সম্মানের বিষয়। আমি আন্তঃবিভাগীয় সংলাপ প্রচার ও মানবতার উন্নতির জন্য টেকসই সমাধান খুঁজতে অ্যাকাডেমির মিশনে অবদান রাখতে উন্মুখ।”

    আর পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    শৌর্যের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গৈরিক শিবিরের উত্তরাখণ্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। ১৯৬০ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবীরা। সংস্থার লক্ষ্য হল, আন্তঃবিভাগীয় সংলাপের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করা এবং মানবতার জয়গান গাওয়া (WAAS)। জন্মলগ্ন থেকে সেই কাজই করে চলেছে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: জমি বিক্রি করে তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করল দলেরই লোকজন

    TMC Conflict: জমি বিক্রি করে তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করল দলেরই লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার নলুয়াপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (TMC Conflict)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনদিন আগে নলুয়াপাড়া (TMC Conflict) এলাকার ৭৬ নম্বর বুথ সভাপতি সৌমিত্র সাহা  পৈত্রিক জমি বিক্রয় করেন। জমিটি কেনেন মোহাবুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। জমিটি বিক্রয় করার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী তাঁর কাছে তোলা চেয়ে হুমকি দিতে থাকে। তারা এক লক্ষ টাকা দাবি করে। তৃণমূল নেতা তা দিতে অস্বীকার করেন। বুধবার রাত তিনটে নাগাদ ৪০ জন দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং দা নিয়ে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির দরজা-জানলা ভাঙচুর করে। সৌমিত্র সাহা সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন সাহাকে ফোন করে জানান। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের বুথ সভাপতি সৌমিত্র সাহা বলেন, নিজের জমি বিক্রি করেছি। তারজন্য ১ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল। আমি তা দিতে রাজি হইনি বলে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমার ছেলের চাকরির পরীক্ষা ছিল বৃহস্পতিবার। আতঙ্কে সে চাকরির পরীক্ষা দিতে যেতে পারল না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নদিয়া (Nadia) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। নদিয়া (Nadia) জেলা উত্তরের বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদেরও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই হামলার ঘটনায় দলের লোকজনই জড়িত। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সর্বত্র বর্ষা হাজির। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপটে ভোগান্তি বাড়ছে। একাধিক জেলায় জমা জলে সমস্যা হচ্ছে। আর সেই ভোগান্তিকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলছে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। উত্তরের আলিপুরদুয়ার, মালদা থেকে দক্ষিণবঙ্গের নদীয়া, বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, বর্ষায় সাপের উপদ্রবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

    কী অভিযোগ উঠছে?

    রাজ্যের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষা (Rainy Season) শুরু হতেই জল জমছে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। তাই নর্দমা দিয়ে জল যাচ্ছে না। রাস্তায় জল জমার পাশপাশি ঘরেও জল জমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন স্কুলের ক্লাসরুমেও জল জমছে‌। আর এর জেরেই বাড়ছে সাপের উপদ্রব। একাধিক সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ক্লাসরুমের ভিতরে সাপ থাকার জেরে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারছে না। জমা জলের জেরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ডায়ারিয়ার মতো নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার উপরে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। 
    তবে, সাপের উপদ্রবের চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা ওষুধের আকাল। সাপে কামড়ের পরে হাসপাতালে গেলেও‌ ওষুধ পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যান্টি স্নেক ভেনম (এএসভি) ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সাপের কামড়ের টিকা না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ।

    দুশ্চিন্তা কোথায়? (Snake Bite)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টি স্নেক ভেনম একটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই টিকা সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নেই। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশেষত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই টিকা অমিল।‌ কিন্তু কুকুরে কামড়ানোর অ্যান্টি রেবিস টিকা কিংবা সাপে কামড়ানোর অ্যান্টি স্নেক ভেনম-র মতো‌ ওষুধ প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাপে কামড়ানোর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই টিকা দিলে প্রাণনাশের ঝুঁকি কমে‌। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সাপের কামড়ে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে একমাত্র অ্যান্টি স্নেক ভেনম। কামড়ের পরে যত দ্রুত এই ওষুধ দেওয়া হবে, তত মৃত্যুর আশঙ্কা কমবে। পাশপাশি কিডনি সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ ক্ষতির ঝুঁকিও কমবে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রাজ্যে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ওষুধের জন্য রোগী ও পরিজনদের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরতে হচ্ছে‌। এর জেরে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    কী বলছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা? (Snake Bite)

    স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য ওষুধের আকালের অভিযোগ মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, অনেক সময়েই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধের তালিকা পাঠানো‌ হয় না। কোন ওষুধের প্রয়োজন বেশি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট তালিকা না পৌঁছলে, সরাবরাহ করতে দেরি হয়। আবার বর্ষার সময়ে (Rainy Season) রাস্তার অবস্থা স্বাভাবিক থাকে না। তাই অনেক সময়েই প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছতে সময় লাগে। কিন্তু এক-দুদিনের মধ্যেই সেই সমস্যা মিটে যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “ওষুধের কোনও আকাল নেই। সব হাসপাতালেই অ্যান্টি স্নেক ভেনম ওষুধ রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও প্রয়োজন মতো‌ ওষুধ পৌঁছে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।   

    বাংলাদেশ থেকে চলত এই চক্র পরিচালনা (Organ Transplant Racket)

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে চলত এই পাচার চক্র?  

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    অপরাধ দমন শাখার ডিসিপির মন্তব্য (Delhi Police)

    এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র‍্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manohar Lal Khattar: আরএসএস প্রচারক থেকে ৭০ বছর বয়সে ক্যাবিনেট মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর!

    Manohar Lal Khattar: আরএসএস প্রচারক থেকে ৭০ বছর বয়সে ক্যাবিনেট মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে কার্নাল কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। তাঁর নিকটবর্তী কংগ্রেস প্রার্থী দিব্যাংশু বুধিরাজাকে প্রায় দু লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান এই প্রবীণ বিজেপি নেতা। গেরুয়া শিবিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত খট্টর, ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে নিজের কাজ শুরু করলেন। দেশের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।

    সঙ্ঘ-এর একনিষ্ঠ কর্মী (Manohar Lal Khattar)

    হরিয়ানার রোহতকের ভূমিপুত্র মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। মনোহর লাল খট্টর জন্ম ৫ মে, ১৯৫৪ সালে নিন্দানা গ্রামে। আরএসএস এর স্থায়ী সদস্য খট্টর ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘে (RSS Pracharak) যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে বিজেপির সদস্য হওয়ার আগে ১৭ বছর সক্রিয়ভাবে সংগঠনের সেবা করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০০০-২০১৪  পর্যন্ত খট্টর হরিয়ানায় বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

    হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Manohar Lal Khattar)

    ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কার্নাল থেকে জয়লাভ করেন খট্টর। ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪-এ, ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে হরিয়ানার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। মনোহর লাল খট্টর কর্নাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬৩ হাজার ৭৭৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তাঁর রাজনৈতিক সফরের এক উল্লেখযোগ্য পর্ব ছিল রামরহিমকাণ্ড। ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের গ্রেফতারির সময় হরিয়ানা জুড়ে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছিল তা কড়া হাতে সামলান বিজেপির এই নির্ভরযোগ্য নেতা। তাঁকে সেবার পদ থেকে সরানোর পক্ষে সায় দেয়নি পার্টি।  

    আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    মোদি-ঘনিষ্ঠ (Manohar Lal Khattar)

    জাতীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। তাঁরা একসঙ্গে দীর্ঘ সময় সংগঠনের কাজ করেছেন। প্রায় ৪০ বছর আরএসএস প্রচারক (RSS Pracharak)হিসেবে কাজ করেছেন খট্টর। ১৯৯৬ সালে যখন হরিয়ানা বিজেপির দায়িত্ব নেন মোদি, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন খট্টর। এবার তৃতীয় মোদদি সরকারের মন্ত্রী তিনি। নতুন পথ চলা শুরু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jhargram: ক্লাস রুমের মেঝেতে ধস! বেঞ্চ সমেত ৫ ফিট মাটির ভিতরে ঢুকে গেল ৪ ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Jhargram: ক্লাস রুমের মেঝেতে ধস! বেঞ্চ সমেত ৫ ফিট মাটির ভিতরে ঢুকে গেল ৪ ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের দেওয়াল, ছাদ ভেঙে পড়ার কথা আগেও শোনা গিয়েছে, কিন্তু একেবারে ক্লাস রুমের মেঝেতে ধস নেমেছে! শুধু মাটি ধসে গিয়েছে এমনটাই নয়, কার্যত প্রায় ৫ ফুটের একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নয়াগ্রাম থানার নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    কীভাবে ঘটল ধস (Jhargram)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে নয়াগ্রাম (Jhargram) থানার নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীতে ভর্তি একটি ক্লাসে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিরা। কিন্তু এর মধ্যেই আচমকা একটি ক্লাস রুমের একাংশ মাটি বসে যায়। মাটি মেঝের সমতল থেকে অনেকটাই ভিতরে ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে ক্লাসের বেঞ্চ সমেত গর্তে ঢুকে যায় স্কুলের ৪ পড়ুয়া। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুলের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    বন্যার জলে আগেই ক্ষতিগ্রস্থ ছিল স্কুল (Jhargram)!

    বেঞ্চে বসে থাকা চারজন ছাত্র (School) গর্তে পড়ে গিয়েছিল। দ্রুত তাদের গর্ত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে তাদের চিকিৎসা করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, “এই স্কুল সুবর্ণ রেখার (Jhargram) নদী থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। ২০০৬ সালে বন্যায় এই স্কুলটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। স্কুলের নিচে থাকা মাটি হালকা হয়ে যাওয়ায় এই ভাবে ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রশাসন আগে থেকে নজর দিলে এই বিপত্তি এড়িয়ে যাওয়া যেতো।” এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায় স্কুলে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন

    স্কুলের শিক্ষকের বক্তব্য

    এই প্রেক্ষাপটে (Jhargram) স্কুলের (School) শিক্ষক অনুকুল কুমার বেরা বলেছেন, “এগারটায় ক্লাস শুরু হয়েছিল। আর ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই ক্লাসের একটা বেঞ্চে ৪ জন ছাত্র বসে ছিল। দেখা যায় চার ছাত্র বেঞ্চ সমেত মাটির নিচে ঢুকে যায়। দেখা মাত্রই স্কুলের শিক্ষকরা সকলে ছুটে আসেন। এরপর খবর জানাজানি হতেই গ্রামবাসী এবং অভিভাবকেরা ছুটে আসেন স্কুলে। তারপরেই সকলকে গর্ত থেকে তোলা হয়। ইতিমধ্যে ২জন ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে।” গোটা স্কুলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন কতটা সুরক্ষিত, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অভিভাবকদের মধ্যে। আগামীদিনে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কিনা এই নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anshuman Singh’s widow: শহিদ অংশুমান সিংয়ের স্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, কড়া পদক্ষেপ মহিলা কমিশনের

    Anshuman Singh’s widow: শহিদ অংশুমান সিংয়ের স্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, কড়া পদক্ষেপ মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মরণোত্তর কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয় শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে। প্রয়াত স্বামীর হয়ে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই পুরস্কার নেন তাঁর স্ত্রী স্মৃতি সিং (Anshuman Singh’s widow)। শহিদের বীরত্বের মর্যাদা স্বরূপ পুরস্কার গ্রহণের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হয়। সেই ছবিতেই শহিদের স্ত্রীকে নিয়ে নানা কুরুচিকর মন্তব্য ভেসে আসতে থাকে। এ নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যকারীদের শাস্তির দাবি করল জাতীয় মহিলা কমিশন। একজন শহিদের স্ত্রীকে (Anshuman Singh’s widow) নিয়ে এমন অশ্লীল মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission For Women)। জানা গিয়েছে, জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    কুরুচিকর মন্তব্য (Anshuman Singh’s widow) করেছেন দিল্লির আহমেদ কে নামের এক ব্যক্তি

    মহিলা কমিশনের (National Commission For Women) তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কীর্তি চক্রপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বিধবা স্ত্রীর (Anshuman Singh’s widow) প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন দিল্লির আহমেদ কে নামের এক ব্যক্তি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-র ৭৯ ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারা লঙ্ঘন করে এই মন্তব্য। মহিলা কমিশনের তরফে এই আচরণের নিন্দা করে, ওই ব্যক্তির অবিলম্বে গ্রেফতারি ও তিনদিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্টের দাবি করা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের এমন পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়ে অসংখ্য মন্তব্য ভেসে আসছে নেটপাড়ায়।

    নিজের জীবন বাজি রেখে সহকর্মীদের বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই, সিয়াচেন হিমবাহের কাছে অবস্থিত সেনা ক্যাম্পে বিধ্বংসী আগুন লাগে। নিজের জীবন বাজি রেখে সহকর্মীদের বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। সহকর্মীদের বাঁচাতে পারলেও, নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ক্যাপ্টেন। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক্যাপ্টেন অংশুমানকে মরণোত্তর কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ancient Stepwell: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    Ancient Stepwell: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে নিত্য বাড়ছে কৌতূহলী জনতার ভিড়। না, এঁরা কেউই পশুপতিনাথ মন্দির (Pashupatinath Temple) দর্শনে যাচ্ছেন না। এই মন্দিরের কাছেই পাথারিয়া ব্লকের লাখারোনি গ্রামে খোঁজ মিলেছে মধ্যযুগীয় একটি স্টেপওয়েলের  (জল সংরক্ষণের জন্য খোঁড়া সুসজ্জিত কুয়ো)(Ancient Stepwell)। এই প্রত্নরত্ন দেখতেই নিত্য ভিড় করছেন আবাল-বদ্ধ-বনিতা। জানা গিয়েছে, স্টেপওয়েলটির বয়স ৩৬৩ বছর। এই প্রত্নরত্নই জানিয়ে দিচ্ছে ভারতের হৃদয়স্বরূপ মধ্যপ্রদেশ এক সময় সমৃদ্ধ ছিল সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে।

    জেলা কালেক্টরের আবিষ্কার (Ancient Stepwell)

    মাঝেমধ্যেই গ্রামীণ এলাকায় পরিদর্শনে যান জেলা কালেক্টর সুধীর কোচ্চার। এরকমই একদিন চক্কর দিতে বেরিয়ে হঠাৎই তাঁর নজরে পড়ে এই স্টেপওয়েলটি। মধ্যযুগে কীভাবে জল সংরক্ষণ করে রাখা হত, তা দেখে আশ্চর্য হয়ে যান জেলা কালেক্টর। দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকা এই জায়গাটিই স্থানীয়দের রক্ষা করতে বলেন। স্থানীয় ঐতিহ্য এবং পরিকাঠামো রক্ষা করা কেন প্রয়োজন, তাও তাঁদের পইপই করে বোঝান জেলা কালেক্টর।

    কী বলছেন আর্কিওলজিক্যাল আধিকারিক?

    মধ্যযুগের মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিয়ে বলতে (Ancient Stepwell) গিয়ে আর্কিওলজিক্যাল আধিকারিক সুরেন্দ্র চৌরাশিয়া বলেন, “সেই সময় মানুষ কীভাবে জল সংরক্ষণ করতে হয়, তা জানতেন। তাঁদের সেই কৌশল আমাদের অবাক করে দেয়। এটা তাঁদের উদ্ভাবনী শক্তির পরিচায়ক। এই জাতীয় স্টেপওয়েল কিংবা ‘বাওলিস’ কেবল জল সঞ্চয়ের প্র্যাক্টিক্যাল সমাধান ছিল না, এই জায়গায় সাম্প্রদায়িক জমায়েতও হত। যা সেই সময়কার সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ছবিকেও প্রতিফলিত করে।” স্টেপওয়েলটির গায়ে কিছু খোদাই করা রয়েছে। তার অর্থ পুরোপুরি উদ্ধার করা না গেলেও, সেই যুগের ইতিহাসের একটা ঝলক দেয় বইকি!

    আর পড়ুন: ‘কোনও প্রশ্নপত্র হারায়নি, ফাঁসও হয়নি’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    এই প্রত্নতত্ত্ববিদ বলেন, “এই স্টেপওয়েলটিকে আমাদের মধ্যযুগের একটি দলিল বলা যেতে পারে। আমাদের পূর্বপুরুষদের যে অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কমিউনিটি- সেন্ট্রিক একটা অ্যাপ্রোচ ছিল, এই স্টেপওয়েল মনে করিয়ে দেয় সেকথাই।” যাইহোক, উপেক্ষা এবং ইতিহাসের এই জাতীয় অমূল্য সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ না করা সমাজের পক্ষে (Pashupatinath Temple) একপ্রকার হুমকি বলেই মনে করেন তিনি। এই জাতীয় (Ancient Stepwell) ঐতিহাসিক স্থান রক্ষা করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন প্রত্নতত্ত্ববিদ চৌরাশিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • Neha Hiremath Murder: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    Neha Hiremath Murder: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্ণাটক পুলিশ এমসিএ ছাত্রী নেহা হিরেমাথ হত্যায় (Neha Hiremath Murder) লাভ জিহাদের (Love Jihad) বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। হুবলি আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে পুলিশ বলেছে, বিয়ে করতে অস্বীকার করায় নেহাকে খুন করা হয়েছে। এই চার্জশিটে খুনের বিবরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও অভিযুক্ত মোহাম্মদ ফায়াজের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের বিষয়টিকে সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। মূলত ফায়াজের হতাশাকে খুনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। চার্জশিটে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য এবং সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। পুলিশ আইপিসির ৩০২, ৩৪১ এবং ৫০৬ ধারায় ফায়াজ কোন্ডিকাপ্পাকে অভিযুক্ত করেছে। বিস্তৃত চার্জশিটে ৯৯ জনের সাক্ষ্য রয়েছে, যার মধ্যে নেহার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য রয়েছে। বাবা, মা, ভাই, সহপাঠী, বন্ধু এবং বিভিবি কলেজের লেকচারার।

    পরিকল্পনা করে খুন করে ফায়াজ (Neha Hiremath Murder)

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফায়াজ এবং নেহা ২০২০-২১ সালে হুবলির পিসি জাবীন কলেজে সহপাঠী ছিলেন। সেই সময় তাঁরা বন্ধু হয়ে ওঠে এবং ২০২২ সালে তাঁদের প্রেম শুরু হয়। ২০২৪ সালে, দুজনের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় এবং নেহা ফায়াজের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। উপেক্ষা করার পর ফায়াজ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পোষণ করতে থাকে এবং তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল, ফায়াজ তাঁকে ছুরি দিয়ে (Neha Hiremath Murder) হত্যা করে। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নেহাকে আক্রমণ করার আগে ফায়াজ তাকে চিৎকার করে বলে, এতদিন প্রেম করার পরেও কেন তাঁকে বিয়ে করবে না। তারপর সে বলে, তোকে ছাড়ব না এবং এরপরেই নেহার গলায় ছুরিকাঘাত শুরু করে। এর পর বুকে ও ঘাড়ে ছুরি দিয়ে নৃশংস ভাবে আঘাত করে। ৩০ সেকেন্ডে ১৪ বার ছুরি মারা হয়েছিল এবং এর কারণে তার গলার শিরা কেটে যায়। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ​​বের হয়। পরে নেহার মৃত্যু হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফায়াজ পরে ছুরিটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।

    ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্ত (Love Jihad)

    খুনের তিন দিন আগে ফায়াজ ধারাওয়াদের আর্য সুপার মার্কেট থেকে ছুরি কেনে। অপরাধের দিন কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় সে একটি লাল টুপি কিনে কালো মাস্কে মুখ ঢেকেছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সিআইডি সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে। হত্যার (Neha Hiremath Murder) ৮১ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনা রাজ্যকে হতবাক করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা ঘটনাটিকে প্রেম-সম্পর্কিত বিষয় হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যার জেরে রাজ্যের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    পরে তাঁরা দুজনেই তাঁদের বক্তব্যের জন্য নেহার পরিবারের কাছে ক্ষমা চান। নেহার বাবা-মা দাবি করেছিলেন, তাঁদের মেয়েকে অভিযুক্ত ফায়াজ ধর্ম পরিবর্তন (Love Jihad) করে বিবাহের জন্য চাপ দিচ্ছিল এবং নির্যাতন করেছিল। নেহা বিবাহের জন্য ধর্ম পরিবর্তনে করতে না চাওয়ায় তাঁকে খুন হতে হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share