Author: user

  • Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কি হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’ শুরু হয়ে গেল? গত এক সপ্তাহে ভারত (India) এবং বহির্ভারতে হিন্দুদের (Hindus Under Attack) ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এই প্রশ্ন। কখনও জোর করে ধর্মান্তকরণ, কখনও আবার বেছে বেছে হিন্দুদের খুন-মারধর, কখনও আবার হিন্দুদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, মন্দিরে ভাঙচুর, ঘৃণা ভাষণ এবং যৌন হিংসার ঘটনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হিন্দু ধর্মের ওপর ফের নেমে এল অত্যাচারীদের খড়্গ-কৃপাণ? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই- এই এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ।

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ (Hindus Under Attack)

    মহারাষ্ট্রের ঠানেতে এক হিন্দু মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এক মুসলমানের বিরুদ্ধে। আফসানা পারভিন এই মিথ্যে পরিচয়ে দিল্লির এক তরুণকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের সিএসআই ইমানুয়েল চার্চে রবিবারের প্রার্থনাসভায় হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে প্রিন্স কেলভিনের বিরুদ্ধে। প্রার্থনাসভাটি পরিচালনা করছিলেন তিনিই (Hindus Under Attack)। অসমের গুয়াহাটিতে এক কুখ্যাত যুবকের প্রেম-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় অপহরণ করা হয় এক আইনের ছাত্রীকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আশরাফ জামান নামে এক যুবককে।

    তালিকায় হরিয়ানা, রাজস্থান…

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে জনতা কলোনি এলাকার এক কালী মন্দিরের সামনে নিদারুণভাবে নির্যাতন করা হয় মন্দিরের পুরোহিত রবি কাশ্যপকে। জখম অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রাজস্থানের মহাত্মা গান্ধী পার্ক এলাকায় কর্মসূচি পালন করছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। অদূরেই ক্রিকেট খেলছিল কয়েকজন মুসলমান ছেলে। স্বয়ংসেবকদের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে ৬ জন ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে।

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে দুই মুসলিম যুবক তানিম এবং ফৈজান হিন্দুদের কয়েকটি দোকানে ঢুকে পড়ে মারধর করে দোকানদার ও তাঁদের কর্মীদের। কর্ণাটকের কালাবুর্গি এলাকায় ভীমশঙ্কর দাশারা নামে এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন মুসলমান যুবক। পাঞ্জাবে শিবসেনা প্রধান সন্দীপ থাপারের ওপর কয়েকজন শিখ তরোয়াল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে এক মুসলমান ফল বিক্রেতা পাথরের আঘাতে একটি চোখ নষ্ট করে দেয় নিতু সিং নামে একজনের। কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও এই জাতীয় ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে (India) বলে অভিযোগ।

    সনাতনীদের ওপর এহেন আক্রমণ কেন (Hindus Under Attack)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur Fire: প্রেমে বাধা দেওয়ায় বোলপুরে বাড়িতে আগুন, জীবন্তদগ্ধ ৩

    Bolpur Fire: প্রেমে বাধা দেওয়ায় বোলপুরে বাড়িতে আগুন, জীবন্তদগ্ধ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বোলপুরে একটি বাড়িতে (Bolpur Fire) অগ্নিকাণ্ডে জেরে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ওই বাড়িরই মেজবউ। তাঁর প্রেমিককেও আটক করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের রহস্যের জট কাটাতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।  

    বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন? (Bolpur Fire)

    বৃহস্পতিবার বোলপুর থানার নতুন গীত গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান রূপা বিবি, শেখ তুতার এবং তাঁর ছোট ছেলে আয়ান শেখ। পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের সন্দেহ, ওই বাড়িতে কেউ বা কারা কেরোসিন ঢেলে আগুন (Bolpur Fire) লাগিয়ে দেয়। শনিবার সামনে আসে পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি। মৃত দম্পতির বড় ছেলে ওয়াসিম আখতার তাঁর কাকিমা নাজরিন নিহার ওরফে স্মৃতি বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। নাজরিনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ (Bolpur Police) সূত্রে খবর, টানা জেরায় ভেঙে পড়ে দোষ কবুল করে নিয়েছেন নাজরিন। ওয়াসিম পুলিশকে জানান, তাঁর কাকিমার সঙ্গে গ্রামেরই এক হাতুড়ে ডাক্তার চন্দন ইসলামের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বাবা-মা বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই চক্রান্ত করে বাবা-মা ও ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন, পুলিশ ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

    এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে পরেই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন চন্দন। পরে তাঁকেও আটক করা হয়। চন্দনকে আটক করে ষড়যন্ত্র ও তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে ওয়াসিমের অভিযোগের সত্যতা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার (Bolpur Police) অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বোলপুর ও বর্ধমান যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করা হয়। শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medosh Munir Ashram: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    Medosh Munir Ashram: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধস মুনির আশ্রম (Medosh Munir Ashram) বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। প্রথম দুর্গাপুজোর (Durga Puja) প্রচলন এই আশ্রমেই হয়েছিল বলে বিশ্বাস হিন্দুদের। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হল পাহাড়ের ওপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম। প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেকগুলি মন্দিরও রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রমকে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন স্বরূপ চৌধুরী। তিনি জানান, ৩০জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে মন্দিরকে দেখাশোনার জন্য। অন্যদিকে, আশ্রমেরই এক সন্ন্যাসী শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজ অভিযোগ এনেছেন যে শ্রী শ্রী চণ্ডী তীর্থ ও মেধস মুনির আশ্রমের মোট জমির পরিমাণ ছিল ৬৮.১৯ একর। কিন্তু বেশ কিছু প্রভাবশালী মানুষজন নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই জমি দখল করেছেন। জমি দখলের পরিমাণ ৫৫ একর।

    মেলেনি সরকারি সাহায্য (Medosh Munir Ashram)

    বোয়াখালী থেকে মন্দির যাওয়ার পথ একেবারেই দুর্গম কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন এই আশ্রমে (Medosh Munir Ashram)। আশ্রমকে ঘিরে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ। নির্জন ও শান্ত পরিবেশ আশ্রমের। কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, যদি যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা যেত তাহলে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় আরও বাড়তে পারত। ভক্তদের দানের ওপর নির্ভর করেই চলে এই মন্দির, সরকারি সাহায্য মেলেনি বলেও অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষের।

    রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু-জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের। ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া হয়েছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির (Medosh Munir Ashram)।

    মেধস মুনির আশ্রমে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) পৌরাণিক আখ্যান

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    কবীরদাসের নিরাকারের উপর খুব ঝোঁক ছিল। কৃষ্ণের কথায় কবীরদাস বলত ওঁকে কি ভজব?—গোপীরা হাততালি দিত আর উনি বানর নাচ নাচতেন! (সহাস্যে) আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার।

    মণি (সহাস্যে)—যার কথা (Kathamrita) হচ্ছে তিনিও (ঈশ্বর) যেমন অনন্ত, আপনিও তেমনি অনন্ত!—আপনার অন্ত পাওয়া যায় না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—তুমি বুঝে ফেলেছ!—কি জানো—সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়।–সব পথ দিয়ে আসতে হয়। খেলার ঘুঁটি সব ঘর না পার হলে কি চিকে উঠে?—ঘুঁটি যখন চিকে উঠে কেউ তাকে ধরতে পারে না।

    মণি–আজ্ঞা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যোগীর দুই প্রকার–বহুদক আর কুটীচক। যে সাধু অনেক তীর্থ করে বেড়াচ্ছে, যার মনে এখনও শান্তি হয় নাই, তাকে বহুদক বলে। যে-যোগী সব ঘুরে মন স্থির করেছে, যার শান্তি হয়ে গেছে—সে এক জায়গায় আসন করে বসে—আর নড়ে না। সেই এক স্থানে বসতেই তার আনন্দ। তার তীর্থে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন করে না। যদি সে তীর্থে যায়, সে কেবল উদ্দীপনের জন্য।

    আমায় (Ramakrishna) সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়েছিল—হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান আবার শাক্ত, বৈষ্ণব, বেদান্ত, এসব পথ দিয়েও আসতে হয়েছে। দেখলাম, সেই এক ঈশ্বর (Ramakrishna)—তাঁর কাছেই সকলি আসছে—ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে।

    তীর্থে গেলাম তা এক-একবার ভারী কষ্ট হত। কাশীতে সেজোবাবুদের বৈঠকখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে দেখি তারা বিষয়ের কথা (Kathamrita) কচ্ছে!–টাকা, জমি, এই সব কথা। কথা শুনে আমি কাঁদতে লাগলাম। বললাম, মা কোথায় আনলি! দক্ষিণেশ্বরে যে আমি বেশ ছিলাম। পইরাগে দেখলাম, সেই পুকুর, সেই দুর্বা, সেই গাছ, সেই তেঁতুল পাতা! কেবল তফাত পশ্চিমে লোকের ভূষির মতো বাহ্য। (ঠাকুর ও মণির হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ তিনি (মা) গুরু—আর ব্রহ্মময়ী স্বরূপা।

    মণিচুপ করিয়া আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে আবার ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিতেছেন—

    মণি—আজ্ঞা, নিরাকারে কিরকম দেখা যায়?—ও কি বর্ণনা করা যায় না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (একটু চিন্তা করিয়া)—ও কিরূপ জানো?—

    এই কথা বলিয়া ঠাকুর একটু চুপ করিলেন। তৎপরে সাকার-নিরাকার দর্শন কিরূপে অনুভূতি হয়, একটি কথা বলিয়া দিলেন। আবার ঠাকুর চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি জানো, এটি ঠিক বুঝতে সাধন চাই। ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, আর নিতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়। তারপর রত্ন বার করে আনতে হয়। তা না হলে তালা দেওয়া ঘর—দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ওই আমি দরজা খুললুম, সিন্দুকের তালা ভাঙলুম—ওই রত্ন বার করলুম। শুধু দাঁড়িয়ে ভাবলে তো হয় না। সাধন করা চাই।

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞানীরা নিরাকার চিন্তা করে। তারা অবতার মানে না। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে স্তব (Kathamrita) করেছেন, তুমি পূর্ণব্রহ্ম; কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন আমি পূর্ণব্রহ্ম কিনা দেখবে এস। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বললেন, আমি এক বৃহৎ গাছ দেখছি,– তাতে থালো থালো কালো জামের মতো ফল ফলে রয়েছে। কৃষ্ণ বললেন, আরও কাছে এস দেখ দেখি ও থালো থালো ফল নয়—থালো থালো কৃষ্ণ অসংখ্য ফলে রয়েছে—আমার মতো। অর্থাৎ সেই পূর্ণব্রহ্মমরূপ থেকে অসংখ্য অবতার হচ্ছে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —বল কি গো!

    মণি—দুর্গাপূজার বেশ ব্যাখ্যা শুনেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি বল দেখি।

    মণি—কেশব সেনের বাড়িতে রোজ সকালে উপাসনা হয়,– দশটা-এগারটা পর্যন্ত। সেই উপাসনার সময় তিনি দুর্গাপূজার ব্যাখা করেছিলেন। তিনি বললেন (Kathamrita), যদি মাকে পাওয়া যায়—যদি মা-দুর্গাকে কেউ হৃদয়মন্দিরে আনতে পারে—তাহলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন। লক্ষ্মী অর্থাৎ ঐশ্বর্য, সরস্বতী অর্থাৎ জ্ঞান, কার্তিক অর্থাৎ বিক্রম, গণেশ অর্থাৎ সিদ্ধি—এ-সব আপনি হয়ে যায়—মা যদি আসেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ

    শ্রীযুক্ত ঠাকুর (Ramakrishna) সকল বিবরণ শুনিলেন ও মাঝে মাঝে কেশবের উপাসনা সমন্ধে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। অবশেষে বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি এখানে ওখানে যেও না—এইখানেই আসবে।

    যারা অন্তরঙ্গ তারা কেবল এখানেই আসবে। নরেন্দ্র ভবনাথ রাখাল—এরা আমার অন্তরঙ্গ। এরা সামান্য নয়। তুমি এদের কদিন খাইও! নরেন্দ্রকে তোমার কিরূপ বোধ হয়?

    মণি—আজ্ঞা, খুব ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেখ, নরেন্দ্রের কত গুণ—গাইতে, বাজাতে বিদ্যায়, আবার জিতেন্দ্রিয়, বলেছে বিয়ে করবে না—ছেলেবেলা থেকে ঈশ্বরেতে মন।

    ঠাকুর মণির সহিত আবার কথা কহিতেছেন।

    সাকার না নিরাকার—চিন্ময়ী মূর্তি ধ্যান—মাতৃধ্যান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার আজকাল ঈশ্বরচিন্তা কিরূপ (Kathamrita) হচ্ছে? তোমার সাকার ভাল লাগে—না নিরাকার?

    মণি—আজ্ঞা, সাকারে এখন মন যায়ে না। আবার নিরাকারে কিন্তু মন স্থির করতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখলে? নিরাকারে একেবারে মনস্থির হয় না। প্রথম প্রথম সাকার তো বেশ।

    মণি—মাটিতে এই সব মূর্তি চিন্তা করা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন? চিন্ময়ী মূর্তি।

    মণি—আজ্ঞা, তাহলেও তো হত-পা ভাবতে হবে? কিন্তু এও ভাবছি যে, প্রথমাবস্থায় রূপ চিন্তা না করলে মন স্থির হবে না—আপনি বলে দিয়েছেন। আচ্ছা তিনি তো নানারূপ ধরতে পারেন। নিজের মার রূপ কি ধ্যান করতে পারা যায়?

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Chocolate Day 2024: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’, জানুন দিনটির তাৎপর্য ও ইতিহাস

    World Chocolate Day 2024: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’, জানুন দিনটির তাৎপর্য ও ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’ (World Chocolate Day 2024)। মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে বছরের সব দিনই চকলেট ডে। তবু আজকের দিনটি আপনি প্রিয়জনকে চকলেট (Chocolate) উপহার দিতেই পারেন। হরেক রকমের চকলেট এখন বাজারে পাওয়া যায়। প্রেমিকাকে চকলেট দেওয়ার দিন অবশ্য আর একটা রয়েছে সেটা ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর ৫ দিন আগে ৯ ফেব্রুয়ারি, চকলেট ডে। তবে সারা বছরই চকলেট প্রেমীরা মনের সুখে স্বাদ নিতে থাকেন চকলেটের।

    চকলেটের (World Chocolate Day 2024) জন্য এমন বিশেষ দিন কীভাবে এল?

    চকলেটের (World Chocolate Day 2024) জন্য এমন বিশেষ দিন কীভাবে এল? চকলেট এত জনপ্রিয়তা কীভাবে পেল? এ নিয়ে নানা মহলের নানা মত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চকলেট প্রথম আসে ইউরোপেই। আজ থেকে প্রায় ৪৭৫ বছর আগে, ১৫৫০ সাল নাগাদ। চকলেট আসার সেই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই ২০০৯ সাল থেকেই মহাসমারোহে শুরু হয়  ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’ পালন। তবে ইউরোপে চকলেট সাড়ে চারশো বছর আগে এলেও, এর ইতিহাস অন্তত ২ হাজার বছরের পুরনো। মানে আজ থেকে ২ হাজার বছর আগেও চকলেট (Chocolate) মিলত এই পৃথিবীতে। এমনটাই মত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

    চকলেট বিলাসিতা আর ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল

    মিষ্টিজাতীয় খাবার হিসেবে চকলেট (World Chocolate Day 2024) পরিচিতি পায় স্প্যানিশদের হাত ধরে। তারপর তাদের হাত ধরেই তা ইউরোপে যায়। সে সময় থেকে চকলেট হয়ে ওঠে অভিজাত পরিবারের খাবার। চকলেট বিলাসিতা আর ক্ষমতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তারপর ধীরে ধীরে চকলেট ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। আর তখন থেকেই বাণিজ্যিকভাবে চকলেট চাষ করা শুরু হয়। কোকোবীজ চাষের জন্য ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। জানা যায়, ১৮২০ সাল নাগাদ কোকো প্রেসের মেশিন দিয়ে কোকোবীজের পাউডার উৎপাদন করা শুরু হয়। আর তখন থেকেই চকলেট সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। ১৮৪৮ সাল থেকে শক্ত চকলেট বাজারে বিক্রি করা হয়। অভিজাতদের কাছ থেকে চকলেট সহজলভ্য হয় সাধারণ মানুষের কাছেও। আর তার পর থেকে চকলেট (World Chocolate Day 2024) নতুন নতুন রূপে,নানান স্বাদে আকৃষ্ট করে চলেছে সবাইকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের জলের রং নীল। সেই নীল জলই কোনও এক অদৃশ্য কারণে (Mystery) হয়ে যাচ্ছে সবুজ (Colour Change Of Ocean)। আমাদের বাসযোগ্য এই গ্রহ পৃথিবীর ৭০ শতাংশেরও বেশি এলাকাজুড়ে রয়েছে সাগর-মহাসাগর। সেই বিপুল জলরাশির রং-ই যাচ্ছে বদলে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ওসানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী বিবি ক্যালের এক গবেষণায়ই উঠে এসেছে সমুদ্র-জলের এই রং বদলের তথ্য।

    ক্যালের গবেষণাপত্র (Colour Change Of Ocean)

    নাসা অ্যাকোয়া স্যাটেলাইট থেকে কুড়ি বছরের তথ্য নিয়ে ক্যালে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, রং বদলাচ্ছে সমুদ্রের মোট জলের ৫৬ শতাংশ। এই পরিমাণ জলরাশিরই রং নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ। এই ঘটনা ঘটছে বিশেষ করে নিরক্ষরেখার কাছে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে। অ্যাকোয়া উপগ্রহে এমওডিআইএস নামের স্পেকট্রোরেডিওমিটার গবেষকরা ২০০২ সাল থেকে কুড়ি বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, সমুদ্র-জলের এই রং-বদলের কারণ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বাড়বাড়ন্ত। সমুদ্রের নীচে রয়েছে জলজ উদ্ভিদের বিশাল সাম্রাজ্য। রয়েছে সামুদ্রিক জীবজগৎও।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    ফাইটোপ্লাঙ্কটনের উপস্থিতি!

    এইগুলি সবুজ রং তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ (Colour Change Of Ocean) এই প্রাণীগুলি ত্যাগ করে কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই ফাইটো ফুলের উত্থান ঘটে। এই ফাইটোপ্লাঙ্কটনে সবুজ রয়ের ক্লোরোফিল থাকে। সেই কারণেই রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। নীল থেকে জলের রং হচ্ছে সবুজ। সাউদাম্পটনের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী ক্যালে বলেন, “এই রংয়ের বর্ণনা মানুষের ভাষায় করা যায় না। এই রং মানুষ ভালোভাবে দেখতেও পান না। তবে ম্যান্টিস চিংড়ি বা প্রজাপতি দেখতে পারে সমুদ্রজলের এই নয়া রং।”

    সমুদ্রজলে ক্লোরোফিলের বাড়বাড়ন্তকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, সমুদ্রজলের নীচে বেড়ে যাচ্ছে উষ্ণতা। এজন্য আদতে দায়ী মানুষ। তাদের তৈরি করা দূষণের কারণেই পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেই ক্লোরোফিল বাড়ছে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের। তারই প্রভাব পড়ছে জলে। যার জেরে রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট সার্ভিসের একটি রিপোর্টেও প্রকাশিত হয়েছিল (Mystery) সমুদ্রের জলের রং বদলের এই তথ্য (Colour Change Of Ocean)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Brain Eating Amoeba: ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ বাড়ছে কেরলে, দুই মাসে মৃত ৩

    Brain Eating Amoeba: ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ বাড়ছে কেরলে, দুই মাসে মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর বা নদীতে নেমে স্নান, এরপরেই শুরু হচ্ছে সংক্রমণ। শেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু! কেরলে (Kerala) দিন দিন বাড়ছে ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba)। গত ৪ জুলাই ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর কারণও ছিল ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ। এখন আরও এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই বিরল সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়, অ্যামফোটেরিসিন বি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ফ্লুকোনাজোল, রিফাম্পিন, মিল্টেফোসিন, ডেক্সামেথাসোন এই জাতীয় ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) বেশি হয়ে গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কমে আসে।

    মে মাস থেকে কেরলে আক্রান্ত  ৪, তারমধ্যে মৃত ৩ (Brain Eating Amoeba)

    জানা গিয়েছে, গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৪জন এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কেরলে (Kerala)। তাদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর বয়সই ছিল ১৮ বছরের কম। বর্তমানে আরও এক ১৪ বছরের কিশোর সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু কেন আচমকা এই বিরল রোগের প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই। তবে চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, দূষিত জল থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

    দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা (Brain Eating Amoeba) 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা। দেশের একাধিক নদী, পুকুরের জলে এই ধরনের অ্যামিবার খোঁজও মিলেছে। চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনও জায়গায় স্নান করতে নামার আগে সতর্ক হতেই হবে। স্নানের সময়ই অজান্তে অ্যামিবা মানবশরীরে প্রবেশ করে। নাক বা কানের ফুটো দিয়ে প্রবেশ করে অ্যামিবা। তারপর তা সোজা মস্তিষ্কে গিয়ে ব্রেনের অংশ খেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অ্যামিবা হল এককোষী প্রাণী। বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যামিবা হল থার্মোফিলিক। উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলেই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায় অ্যামিবাকে (Brain Eating Amoeba)। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাল থাকে এই অ্যামিবারা। সে জন্য হট ওয়াটার লেকে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি।

    কেরলের পুকুর জলাশয়গুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়ের যে গত শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সূত্রের খবর ওই বৈঠকের পরেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গার পুকুর বা নদীর জল পরিষ্কার নয় সেখানে স্নান করা যাবেনা। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিধি নিষেধ না মানলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পুকুর বা জলাশয়গুলিকে দ্রুত পরিষ্কার করার কথাও বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সুইমিং পুলের জলের দিকেও পর্যাপ্ত নজর দিতে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগর থেকে কার্গিল এবং তার বাইরে ভ্রমণ করার সময় অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হল দ্রাস। এখানে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাঁদিকে দেখা যায় একটি উঁচু পাহাড়। এটাই টাইগার হিল। ২৫ বছর আগে কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) সময়, এই পর্বত এবং তার চারপাশে মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ এলাকা তখন পরিণত হয়েছিল রণাঙ্গনে। এই কার্গিল যুদ্ধেরই অন্যতম নায়ক যোগেন্দ্র সিং যাদব। আসুন, জেনে নিই তাঁর টাইগার হিল জয়ের কাহিনি। 

    কার্গিল যুদ্ধ কেন প্রয়োজন ছিল? (Kargil War)

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য টাইগার হিল দখল করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি শ্রীনগর-কারগিল-লে লাদাখ মহাসড়কের জন্য সংযোগকারী একটি স্থান। এই রাস্তায় যানচলাচল, ওপর থেকে বোমাবর্ষণ এবং শত্রুদের ওপর নজর রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল টাইগার হিল। তখনকার লে-লাদাখের জন্য এই সড়ক একপ্রকার লাইফলাইন ছিল। কিন্তু তা পাকিস্তান জোর করে দখল করে নিয়েছিল। এই জায়গা ভারতের কাছে ফিরে পাওয়া ছিল একটি কঠিন কাজ। তাই ১৮ জনের একটি বাহিনীর ইউনিটকে এখানে বিশেষ অভিযানে পাঠানো হয়েছিল। ৩ জুলাই,, ১৯৯৯ সালে এই অপারেশন (Kargil War) শুরু হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যোগেন্দ্র সিং যাদব।

    টাইগার হিল দখল ছিল মূল লক্ষ্য

    যাদবের অবদানের কথা মাথায় রেখে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পরমবীর চক্র দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কার দেওয়ার সময় ভুল করে বলা হয়েছিল, যোগেন্দ্রকে মরণোত্তর পরমবীর চক্র সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সকলে তাই তাঁকে মৃত বলেই মনে করেছিলেন। পরে ভ্রম সংশোধন করা হয়। গুরুতর আঘাত পাওয়ায় একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ১৯৯৯ সালের ৩-৪ জুলাই রাতে টাইগার হিল দখলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন। পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছানোর পথটি ছিল খাড়া, তুষারাবৃত, পাথুরে। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ঝুঁকি রয়েছে জেনেও পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বেই ওপরে ওঠার চেষ্টা করে বাহিনী। তাঁদের গতি রুদ্ধ করতে শত্রুরা (Kargil War) স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড, রকেট ও আর্টিলারি ফায়ার করে। শহিদ হন এক কমান্ডার সহ মোট তিনজন। এরপর প্লাটুনটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

    পরমবীরচক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক 

    পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে, গ্রেনাডিয়ার যাদব শত্রুদের মোকাবিলা করতে শত্রুরা যেখানে অবস্থান করছে, সেখান পর্যন্ত হামাগুড়ি দিয়ে ওপরে উঠেছিলেন। সেই সময়ই পান একাধিক আঘাত। শত্রুপক্ষ পাথর বর্ষণ করছিল ওপর থেকে। এমতাবস্থায় বন্দুক দিয়ে ক্রমাগত গুলি চালিয়ে চার শত্রু সৈন্যকে বধ করেছিলেন যোগেন্দ্র। একাধিক আঘাত সত্ত্বেও, রণক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর অসম সাহস এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্যই টাইগার হিল দখল মুক্ত (Kargil War) হয়েছিল। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাহস, অদম্য বীরত্ব, দৃঢ়তা এবং সংকল্পের প্রতি নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। যোগেন্দ্র এখনও পর্যন্ত পরমবীর চক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক। তিনি যখন এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯।

    যোগেন্দ্রের বাবাও সেনাকর্মী ছিলেন

    ২০২০ সালে, অমিতাভ বচ্চন কৌন বনেগা ক্রোড়পতির একটি বিশেষ শো হোস্ট করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যাদবকে। যাদব ওই শো-য়ে ২৫ লক্ষ টাকা জয়ী হয়েছিলেন। সেই অর্থ তিনি দান করেছিলেন সেনা কল্যাণ তহবিলে। কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) ঘটনা নিয়ে বলিউডে কয়েকটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। যাদবের জন্ম ১০ মে, ১৯৮০ সাল। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলার ঔরঙ্গাবাদের আহির এলাকায় তাঁর গ্রামের বাড়ি। তাঁর বাবা করণ সিং যাদব কাজ করেছিলেন কুমায়ুন রেজিমেন্টে। অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে গুলির লড়াই, খতম ৪ জঙ্গি, শহিদ ২ জওয়ান

    ৬০ ফুট উপরে উঠে যুদ্ধ করেছিলেন

    টাইগার হিলে তিনটি শত্রু বাঙ্কার দখলমুক্ত (Kargil War) করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবের ইউনিট ১৮ গ্রেনেডিয়ারকে। এই বাঙ্কারগুলি ছিল ১০০০ ফুট (৩০০ মিটার) খাড়া পাহাড়ের ওপরে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যাদব। তিনিই প্রথম চড়েছিলেন খাড়া পাহাড়ে। দড়ি ফেলে উঠতে সাহায্য করেছিলেন সতীর্থদের। ওপরে ওঠা এবং শত্রু দমনে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যোগেন্দ্র। যুদ্ধের তাঁর কুঁচকি এবং কাঁধে একাধিক গুলি লাগে। সেই অবস্থায়ও পিছু না হটে পাহাড়ের ৬০ ফুট (১৮ মিটার) ওপরে উঠে শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। বাঙ্কারগুলি দখল করলে, হার স্বীকার করে পাক সেনা। ১২-১৩ জুন, ১৯৯৯ সালে টোলোলিং দখল করার পর টাইগার হিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে শ্রীনগর-কারগিল সড়ককে আয়ত্তে আনে ভারতীয় সেনা। যোগেন্দ্রদের অদম্য সাহস এবং বীরত্বের কারণে ভারতীয় সেনা কার্গিল জয় করে। টাইগার হিলের দখল পায়। এই বছর, কার্গিল জয়ের ২৫ বছর পূর্তি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share