Author: user

  • Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে বীরভূমের বগটুই (Bogtui) গ্রাম। এই গ্রামে জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। মাটি চাপা দেওয়া ছিল জারটি। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুটের মধ্যে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রামপুরহাট থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে মিলল বোমা?(Bogtui)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুই (Bogtui) গণহত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তার প্রায় আড়াই বছর পর সেই গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০২২ সালের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। বগটুইকাণ্ডে তিনি হারিয়েছিলেন স্ত্রী, মা ও সন্তানকে। পরে, বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটেও লড়েন পদ্ম প্রতীকে। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে মিহিলাল শেখের আত্মীয় ফটিক শেখের বাড়িও আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মিহিলাল ও ফটিকের বাড়ির অদূরে প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি রাখা ছিল। অভিযোগ, অন্ধকারে কেউ মাটি খুঁড়ে এই জার রেখে যায়। শনিবার সেখানে গাছ বসানোর সময় মাটি গর্ত করতে গেলে তা নজরে আসে। এরপরই রামপুরহাট থানায় তা জানানো হয়। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, “এর আগেও বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও তো এ গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার পরিবারকে আগুন লাগিয়ে শেষ করা হয়েছে। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করেছে। এখন এ গ্রাম তৃণমূলেরই হাতে। গ্রাম, পঞ্চায়েত সবই ওদের হাতে। সেখানে বোমা (Bomb) উদ্ধার হলে সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। তবে প্রশাসন এখন যথেষ্ট সজাগ। কোথাও কোনও ঝামেলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Kamarhati: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুলডোজার নিয়ে উচ্ছেদ করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল কাউন্সিলরদের। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের উড়ানপাড়া এলাকায়। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে কার্যত এদিন তৃণমূল কাউন্সিলররা উচ্ছেদ করার সাহস দেখাননি। বাধ্য হয়ে বুলডোজর ঘুরিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জায়গায় দখলদারদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ জারি করেন। আর তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় তৎপরতা। টনক নড়ে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভারও। এই পুরসভার আগরপাড়ার উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে দোকান রয়েছে। বহু বসতি রয়েছে সরকারি জায়গায়। এর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরসভার নির্দেশ মেনে কেউ দোকান সরিয়ে নিয়ে যাননি। এদিন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল সাহার নেতৃত্বে একাধিক কাউন্সিলর উড়ানপাড়া এলাকায় যান। সঙ্গে বুলডোজার নিয়ে যান। উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “আমরা এখন কোথায় যাব। দোকান করেই সংসার চলে। গায়ের জোরে উচ্ছেদ করে দিলে পরিবার নিয়ে সকলকে পথে বসতে হবে। তাই, আমরা এদিন উচ্ছেদ করতে দিইনি। এই বিষয় নিয়ে সব জায়গায় দরবার করব। আমরা উচ্ছেদ করতে দেব না।” জানা গিয়েছে, উড়ানপাড়ার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress) বাধ্য হয়ে বুলডোজার ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যান।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিমল সাহা বলেন, “এদিন এলাকার মানুষ কোনও বিক্ষোভ দেখাননি। তাঁরা আমাদের কাছে অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধ মেনে আমরা আরও দুদিন সময় দিয়েছি। তবে, সামনের সোমবার ফের আমরা আসব। এই দুদিনের মধ্যে তাঁদের সব কিছু সরিয়ে নিতে বলেছি। কারণ, ড্রেনে দখলদার থাকার কারণে তা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। তাই, ওরা না সরালে আমরা সোমবার গিয়ে সব ভেঙে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি সাধারণ কোনও মানুষ নন, তিনি কলকাতার মেয়র (Firhad Hakim)। রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। আজ্ঞে হ্যাঁ, তৃণমূল পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমই দিন তিনেক আগে ‘অল ইন্ডিয়া কোরান কম্পিটিশনে’ কথাগুলি বলেছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন ‘অপমানজনক’ ও ‘বিভাজনমূলক’ কথাবার্তায় হইচই রাজ্যজুড়ে। এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেন, “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা। তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়েই জন্মেছেন। তাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে আমাদের।”

    ফিরহাদকে তোপ সুকান্তের (Firhad Hakim)

    ফিরহাদের এহেন মন্তব্যে হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। (উনি) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যাঁরা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি, তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। (আর ইঙ্গিত করেছেন যে) আল্লাহকে খুশি করার উপায় হল ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া। এই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিভাজনকারী। এই ধরনের মন্তব্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্যের নীতি ক্ষুণ্ণ হয়।”

    বিস্ফোরক মালব্যও

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল যে বাংলায় চূড়ান্তভাবে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে, তা ওপেন-সিক্রেট। পার্টির (পড়ুন, তৃণমূলের) এই নিরন্তর তু্ষ্টিকরণের রাজনীতির উদাহরণ এটি। নির্বাচনে জয় এবং নির্বাচনোত্তর হিংসাই তৃণমূলকে সাহসী করে তুলেছে। তাই এরা আগের চেয়েও বিস্ফোরক সব মন্তব্য করছে।

    আর পড়ুন: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    তৃণমূলের জেসিবির সেই তরুণকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারের ঘটনা শারিয়া আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ঘটনাকে আবার সমর্থন করেছেন চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমান। এই কাজ একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিচিত ঘটনা। এই ঘটনা তৃণমূলের লুকোনো অ্যাজেন্ডার বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও প্রকাশ করে ফেললেন দলের লুকোনো অ্যাজেন্ডা (Firhad Hakim)।…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্কুল তার পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের নোটিশ দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিতর্কিত এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদরও (Sukanta Majumdar)।

    কী রয়েছে নোটিশে? (Sukanta Majumdar)

    রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে ২৯ জুন জারি করা নোটিশকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার দুই দফায় টিফিন ব্রেক দেওয়া হবে স্কুলে। প্রথম ব্রেক বেলা ১২:১০ মিনিট থেকে ১ :১০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্রেক অন্যান্য দিনের মতোই বেলা ১: ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ২:২০ তে শেষ হবে। আর এই নোটিশকে উল্লেখ করেই রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো করতে দেন না, সেই রাজ্যেই মুসলিম ছাত্রদের জন্য শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত স্পেশাল টিফিন আওয়ারের ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা নমাজ পড়তে মসজিদে যায়। সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নমাজের সুবিধা করে দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুক্রবার বিশেষ টিফিনের নির্দেশ নিয়ে সরব সুকান্ত

    আর এর বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টি অফিসে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৪ তম জন্ম জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, স্কুলে এই ধরনের নির্দেশিকার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের সকলের সমান অধিকার। সকলের জন্যই সমানভাবে চলবে। স্কুলে যে কারণে ইউনিফর্ম বা ড্রেস কোড চালু রয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে সহবাস করেছেন তৃণমূল নেতা। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ভঙ্গ করেছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে উত্তর বারকপুর (Barrackpore) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের কাউন্সিলর (TMC Councilor) প্রসূন সরকার ওরফে শুভদীপ সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে অভিযোগে তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

    অভিযোগকারিণী মহিলার বক্তব্য (Barrackpore)

    অভিযোগকারিণী মহিলা বলেছেন, “গত তিন বছর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর (Barrackpore) প্রসূনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। প্রথমে কাউন্সিলর প্রেমের প্রস্তাব দেন কিন্তু তাতে আমি রাজি না হলে আমাকে ব্যাপক ধমক-চমক দেন। এরপর সম্পর্ক করতে চেয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে আমি সম্পর্কে রাজি হই। পরবর্তীতে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের মধ্যে দুজনের ঘনিষ্ঠতার অনেকটা বেড়ে যায়। আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাসও করে ওঁই কাউন্সিলর। এরপর পরবর্তী সময়ে তাঁর ফোন থেকে জানতে পারি, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বাচ্চার পরিচয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি। আমি জানতে পারি আগেও তিনি ৩টি বিয়ে করেছেন, আমি ৪ নম্বর হতে পারতাম। তাঁর পরিবারে জানালে, পরিবারের লোক আমাকে গুরুত্ব দেননি। এরপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতা তরুণী বারাকপুর (Barrackpore) মহিলা থানায়, ওঁই তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর দিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বলেছেন, “একটি মেয়ে, প্রসূনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন কিন্তু এসব একতরফা অভিযোগ। আমার ছেলে বিবাহিত, ওঁর একটা ছেলে সন্তান আছে। ওঁই মেয়ের অভিযোগের ভিত্তি নেই। মেয়েটির মানসিক চিকিৎসা করা দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কট্টরপন্থার বেড়াজাল ভেঙে সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে ইরান (Iran)! সম্প্রতি সে দেশে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেস্কিয়ান (Masoud Pezeshkian)। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিলেন কট্টরপন্থী সঈজ জালিলিকে। ইরানকে প্রগতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন এশিয়ার এই দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর জমানায় ভারত-ইরান সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

    সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian)

    মাসুদ পেশায় কার্ডিয়াক সার্জেন। এই চিকিৎসক কাম রাজনীতিককেই দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইরানিরা। ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও সংশোধন করার পক্ষে নানা সময় সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ কাজে তিনি কতটা সফল হবেন, তা বলবে সময়। কারণ এ দেশের সর্বোচ্চ শাসক ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। এতদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের চেয়ারে যিনি বসেছেন, তাঁর টিকি বাঁধা ছিল খামেনেইয়ের কাছে। তাই ঘোড়া (পড়ুন খামেনেইকে) ডিঙিয়ে নয়া প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian) আদৌ খাস খেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ইরানেরই সিংহভাগ ভোটার। তবে তাঁরাও যে সংস্কারের পথেই হাঁটতে চান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলেই মিলেছে তার প্রমাণ।

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে দু’পক্ষে যে বোঝাপড়া হয়েছে, তার কোনও ব্যত্যয় ঘটবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। অপরিশোধিত তেল আমদানিতেও সব সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েও ভারতকে তেল জুগিয়ে চলেছে তারা। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর গড়ে তুলতে আগ্রহী, সেটিরও সংযোগস্থল হওয়ার কথা ইরান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রেও ভারতের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না ইরান।

    আর পড়ুন: সূর্যালোক ও বায়ু থেকে বোতলজাত জল উৎপাদন! বিরাট দাবি মার্কিন সংস্থার

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার পরেই হয় অকাল নির্বাচন। যে নির্বাচনে জিতে ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন মাসুদ। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতমি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মাসুদ। 

    ইরানের সমাজ জীবনে মাসুদ (Masoud Pezeshkian) কতটা বদল আনতে পারেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Chouhan: ‘‘চম্পাই সোরেনকে কেন সরালেন?’’ হেমন্তকে তোপ শিবরাজের

    Shivraj Chouhan: ‘‘চম্পাই সোরেনকে কেন সরালেন?’’ হেমন্তকে তোপ শিবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত জানুয়ারি মাসেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় দলের নেতা চম্পাই সোরেনকে (Champai Soren)। জামিন পাওয়ার পরে চম্পাইকে সরিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। ফের নিজেই বসেই ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Chouhan)। ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের একটি জনসভায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন চম্পাই সোরেনকে (Champai Soren) অন্যায় ভাবে সরান হল? শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রকে বজায় রাখতেই কি চম্পাইকে সরানো হয়েছে? চম্পাই সোরেনের কি দোষ ছিল?’’ প্রসঙ্গত, শনিবার দুর্নীতির ইস্যুতেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে একহাত নেন শিবরাজ চৌহান। তাঁর নিশানায় ছিল কংগ্রেসও।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির সঙ্গে বাদ থাকুক ‘কৃত্রিম চিনি’ও! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    নিশানায় হেমন্ত সোরেন

    হেমন্ত সোরেনের উদ্দেশে শিবরাজ চৌহানের (Shivraj Chouhan) আরও প্রশ্ন, ‘‘আপনি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন, আবার আপনিই একজন উপজাতীয় মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে ফেলেছেন, শুধুমাত্র একটা পরিবারের স্বার্থকে বজায় রাখতে।’’ প্রসঙ্গত, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যকে লুট করছে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার সরকার। এদের অপশাসন থেকে মুক্ত করতেই হবে রাজ্যকে।’’

    শিবরাজের (Shivraj Chouhan) উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যের ভবিষ্যত নিয়ে

    তিনি (Shivraj Chouhan) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বর্তমানে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কাজ রাজ্যের ভবিষ্যতকে, রাজ্যের বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যতকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিজেপি এই অপশাসনের অবসান ঘটাবেই এবং আবার সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ঝাড়খণ্ডকে ধ্বংস করছে, এই অভিযোগও করেন শিবরাজ।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    Purba Bardhaman: “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পর ভগবান হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), ঠিক এমন কথা বলে এক বিজেপি নেতা দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো করলেন মোদির। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার, বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের ছাতনি এলাকায়। একটি বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজেপি এই উদ্যোগে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় পুজো (Purba Bardhaman)

    এই বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছিলেন পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের তিন নম্বর মণ্ডল বিজেপি সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাটআউটে দুধ ও গঙ্গা জল ঢেলে পুজো করতেও দেখা যায় বিজেপির কর্মীদের। সভায় আলোচনা হয়, যে সমস্ত এলাকায় বিজেপির ভোট কমেছে, সেই এলাকায় কী ভাবে ভোট বাড়ানো যায়, সেই নিয়েও কাজ করতে হবে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী বিধানসভার (Purba Bardhaman) কনভেনার শিব কৃষ্ণ ঘোষ, মণ্ডল সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস, মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু বারুই, মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা প্রতিমা মণ্ডল, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত হালদার সহ আরও অনেকে।

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা অতুল চন্দ্র দাস বলেছেন, “আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন যে দেশে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। এই দেশে প্রথমবার ১৯৬২ সালের পর, পরপর তিন বারের জন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী একটানা নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের খুশির দিন। তাঁর ছবিতে দুধ এবং গঙ্গা জল দিয়ে স্নান করলাম এবং তাঁকে পুজোও করলাম। আমাদের প্রত্যেকের ইচ্ছে ছিল বিজয় মিছিল করার কিন্তু মিছিল না করে বিজয় সম্মেলনের আয়োজন করেছি। নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার, যুগে যুগে যেমন শ্রীচৈতন্যদেব মহাপুরুষ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন, ঠিক তেমনি নরেন্দ্র মোদিও মানবরূপে মর্তে জন্ম নিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে নমস্কার জানাই। দেশের জনসাধরণের জন্য মঙ্গল কামনা করি।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূলের জেলা (Purba Bardhaman) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলছেন, “চ্যালারা এখন দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে কী করবেন? এই সরকার বেশিদিন থাকবে না। সরকার অন্যের সমর্থনে রয়েছে। যে কোনও সময়ে পড়ে যেতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)

    লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ ‘টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।” কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood situation)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীগুলোর জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল অসমের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ এর ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। রাজ্যে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাণহানি হয়েছে পশুদেরও৷ এছাড়া বহু মানুষ ঘরছাড়া। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

    রাজ্যজুড়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত (Assam Flood 2024) 

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির (Assam Flood situation) আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৩০টি জেলার ৩৬১৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল কামরূপ, করিমগঞ্জ, ধেমাজি, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, কাছাড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর ইত্যাদি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। 

    জলের তলায় কাজিরাঙা

    গ্রামের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মরসুমে গন্ডার, হরিণ-সহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় (Assam Flood situation)ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশুকে। তার মধ্যে ৫০টিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। 
    রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিও গত ৯ দিন ধরে জলের তলায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে (Assam Flood 2024) বলেছেন, ”ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সকলে মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।”

    আরও পড়ুন: সর্বত্র প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ নেই, নিট-ইউজি বাতিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

     অন্যদিকে নতুন করে ফের আতঙ্কে (Assam Flood situation) দিন গুনছে রাজ্যবাসী। কারণ আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ৯ জুলাই পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অসম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share