Author: user

  • Ramakrishna 68: “চৈতন্যদেব বলেছিলেন, শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই”

    Ramakrishna 68: “চৈতন্যদেব বলেছিলেন, শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

     

    মণির চিন্তাগ্নিতে জল পড়িল। তিনি এতক্ষণ ভাবিতেছিলেন, আত্মহত্যা করে করুক, আমি কি করব?

    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—সংসারে বড় ভয়!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি ও নরেন্দ্রাদির প্রতি)—তাই চৈতন্যদেব বলেছিলেন (Kathamrita), শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই।

    (মণির প্রতি একান্তে একদিন বলিয়াছিলেন)—ঈশ্বরেতে শুদ্ধাভক্তি যদি না হয়, তাহলে কোন গতি নাই। কেউ যদি ঈশ্বরলাভ করে সংসারে থাকে, তার কোন ভয় নাই। নির্জনে মাঝে মাঝে সাধন করে যদি শুদ্ধাভক্তিলাভ করতে পারে, সংসারের থাকলে তার কোন ভয় নাই! চৈতন্যদেবের সংসারী ভক্তও ছিল। তারা সংসারে নামমাত্র থাকত। অনাসক্ত হয়ে থাকত।

    ঠাকুরদের (Ramakrishna) ভোগারতি হইয়া গেল। অমনি নহবত বাজিতে লাগিল। এইবার তাঁহারা বিশ্রাম করিবেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আহারে বসিলেন। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ আজও ঠাকুরের কাছে প্রসাদ পাইবেন।

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়দিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে বিরাজ করিতেছেন। বেলা ৯টা হইবে—ছোট খাটটিতে বিশ্রাম করিতেছেন, মেঝেতে মণি বসিয়া আছেন। তাঁহার সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন।

    আজ বিজয়া, রবিবার, ২২শে অক্টোবর, ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ, আশ্বিন শুক্লা দশমী তিথি (৬ই কার্তিক, ১২৮৯)। আজকাল রাখাল ঠাকুরের কাছে আছেন। নরেন্দ্র, ভবনাথ মাঝে মাঝে যাতায়াত করেন। ঠাকুরের সঙ্গে তাঁহার ভাতৃস্পুত্র শ্রীযুক্ত রামলাল ও হাজরা মহাশয় বাস করিতেছেন। রাম, মনোমহন, সুরেশ, মাষ্টার, বলরাম ইঁহারাও প্রায় প্রতি সপ্তাহে—ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। বাবুরাম সবে দু-একবার দর্শন করিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তোমার পূজার ছুটি হয়েছে?

    মণি—আজ্ঞা হাঁ। আমি সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার দিনে কেশব সেনের বাড়িতে প্রত্যহ গিছলাম।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে ২৯টি আসন পেয়ে রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তবুও দলের মধ্যে কোন্দল যেন থামছেই না। জেলায় জেলায় একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলের খবর উঠে এসেছে। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ উঠেছে। কার্যালয়ে (TMC office) ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দলের কর্মীরাই। ঘটনায় মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

    মিছিল এবং পাল্টা মিছিলে উত্তাল (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ২১ জুলাই নিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ওন্দার ওই তৃণমূলের কার্যালয়ে। কিন্তু এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং ওন্দার ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বীটের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। রীতিমতো দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে মিছিল এবং পাল্টা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই মিছিল পরস্পর মুখোমুখি হলেই সাময়িক ভাবে উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো পুলিশ (Bankura) ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

    লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ

    পুলিশ সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলে আবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পক্ষ, আরেক পক্ষকে চেয়ার, লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ করে। এরপর চলে কার্যালয়ে ব্যাপক (TMC office) ভাঙচুর। তবে অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু দুই পক্ষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দিতে চাননি কেউই। অপরে জেলা (Bankura) তৃণমূলও তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরাতন, জানুন তার ইতিহাস

    আগেও হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল

    তৃণমূলের জেলায় জেলায় (Bankura) গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূলের নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো দলের কোন্দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য শোনা গিয়েছে। কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর নিজে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে বারাকপুর তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক দলের কর্মীদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে বলেছেন যে কেউ ১ টাকা চাইলে জেলে ঢোকাবো। ফলে শাসক দলের অন্দরে কোন্দল এবং বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে চরম অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহা সমারোহে পালিত হতে চলেছে মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্তের ঢল নেমেছে। ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথদেবের নন্দী ঘোষ, বলদেবের তালধ্বজ ও সুভদ্রা দেবীর পদ্মধ্বজ-এই তিনটি সুসজ্জিত রথ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, এক সময়ে মায়াপুর আর রাজাপুর নামে দু’টি গ্রাম ছিল। রাজাপুরের বেশিরভাগই ছিলেন বৈষ্ণব। কয়েকশো বছর আগে নাকি এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করেন। রাজাপুর থেকে রথ যেত মায়াপুর। সেখান থেকে আবার ফিরত রাজাপুর। বহু দিন এই উৎসব বন্ধ ছিল। পরে, ইসকন রথযাত্রা উৎসব শুরু করে। এবারও রথের (Iskcon Rath Yatra) দিন সাতটি পৃথক সংকীর্তনের দল-সহ বিভিন্ন রকম ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানিকে রথে চড়িয়ে আনা হবে মায়াপুরে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ধর্মের মানুষের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছর ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরের রথযাত্রা উৎসব যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। মায়াপুরের রাজাপুর গ্রামে রয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সকাল-সন্ধ্যায় এই প্রশান্ত পল্লিতে শোনা যায় সংকীর্তনের ধ্বনি। মানুষের মহামিলনের উত্তম ক্ষেত্র এই গ্রাম। পরস্পর পরস্পরকে সুখে, দুঃখে আপন করে নেয় এই গ্রামের মানুষ। প্রতি বছর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মানব-মেলবন্ধন ঘটে সকলের। তবে আজ, রবিবার রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে দুপুর ২ টোর সময় শুরু হবে রথযাত্রা। ৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে রথ যাবে চন্দ্রোদয় মন্দির ইসকন মায়াপুরে। উল্টোরথের দিন, ১৫ জুলাই সোমবার পুনরায় রথ ফিরে যাবে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।

    ৫৬ ভোগ ও দীপ দান

    এবছর ৭ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মায়াপুরে (Mayapur) অস্থায়ী গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেব অবস্থান করবেন। এবছর পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে গুন্ডিচা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে, সেখানেই চলবে ৫৬ ভোগ, দীপ দান, জগন্নাথ অষ্টকম্-স্তোত্র পাঠ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ভজন-কীর্তন, নাটক ও নৃত্যানুষ্ঠান এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

    টানা সাতদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান

    মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরের রথযাত্রা পরিচালন কমিটির সদস্য শ্রীমধু রসোমতি দাস বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনে টানা সাত দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। গোটা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ভক্ত এই সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রতি বছরের মতো আমরা মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর থেকে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথদেবকে নিয়ে আসব। উল্টোরথের দিন তাঁরা পুনরায় আবার মায়াপুর ইসকন মন্দির থেকে রাজাপুরে ফিরে যাবেন। তবে, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রিটিরা এই রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকন মন্দিরে আসতেন। এ বছর আমরা সেটা করছি না। ইসকন মন্দিরের সেবায়েত জগন্নাথ কৃপা দাস বলেন, ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় রথ তিনটি প্রবেশ করবে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এই রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার দিকে নজর রেখে প্রশাসনিক নিতাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মন্দির নগরী মায়াপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে পৃথিবীর জনবহুল রাষ্ট্রের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিন (China)। কিন্তু জানেন কি, এই চিনেই এমন একটি গ্রাম আছে, যা বর্তমানে গোটা পৃথিবীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে? চিনের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত গ্রামগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী গ্রামের তালিকায় নাম লিখিয়েছে হুয়াক্সি (Huaxi Village)। সারা বিশ্ব জুড়েই এই গ্রাম ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত। গ্রামটি জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে মাত্র দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব বিনামূল্যে (Huaxi Village)

    জানা যায়, গ্রামটির সমস্ত বাসিন্দা স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুই পান বিনামূল্যে। এখানকার লোকেদের কাছে রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল বাড়ি আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বমানের ব্র্যান্ডেড গাড়ি, যা সাধারণত খুব কম মানুষের কাছে চোখে পড়ে। এমনকী গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী কম করে হলেও দুটি করে গাড়ি আছেই, যা আবার খুবই সাধারণ ব্যাপার। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে এখানকার মানুষ খুবই সাধারণভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন।

    গ্রামেই ৭টি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান

    গ্রামটিতে (Huaxi Village) রয়েছে মোট সাতটি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার এই গ্রামের বাসিন্দারাই, যা বোধহয় গোটা পৃথিবীতে শুধুমাত্র এখানেই দেখতে পাওয়া যায়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তাঁরা বছরে প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বা তারও বেশি টাকা উপার্জন করেন।

    নেই ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব (Huaxi Village)

    আধুনিক সভ্য সমাজের মতো সুযোগসুবিধা থাকলেও এই গ্রামে কোনও ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব বা পার্টি করার জন্য রেস্তোরাঁও নেই। আইফেল টাওয়ারের থেকেও উচ্চ একটি হোটেল নির্মাণ করা হয় এই গ্রামে। ২০১১ সালে এই গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি ছিল। সেই উপলক্ষে এখানে ৩২৮ মিটার লম্বা একটি হোটেল তৈরি করা হয়। যা আইফেল টাওয়ারের থেকেও বড়। এই হোটেলের চূড়ায় সোনা দিয়ে তৈরি একটি ষাঁড়ের ভাস্কর্য রয়েছে, যার বর্তমানে মূল্য ৪৩  মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই গ্রামে আগত পর্যটকদের কাছে এই হোটেলটিকে বলা হয় হুয়াক্সির ঝুলন্ত গ্রাম।

    কীভাবে এমনটা সম্ভব হল?

    রেনবাও ১৯৯০ সালের শেষের দিকে গ্রামটিতে (Huaxi Village) বারোটি কর্পোরেশন এবং একটি শেয়ারবাজারের কার্যক্রম শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি পোশাক এবং বিভিন্ন ধাতুর কারখানাও তৈরি করেন। তারপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রাতারাতি গ্রামের ভাগ্য বদলে যায় এবং হুয়াক্সি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রামে (China) পরিণত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়! তৈরি হচ্ছে ২,৫০০ কোচ, অনুমোদন আরও ১০ হাজার, জানাল রেল

    Indian Railway: ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়! তৈরি হচ্ছে ২,৫০০ কোচ, অনুমোদন আরও ১০ হাজার, জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২,৫০০ ট্রেনের (Indian Railway) কোচ তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজারেরও বেশি নতুন কোচ তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি জানান, এমন উদ্যোগ কেন্দ্র সরকার নিয়েছে রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যই। সারাদেশে যাতে যাত্রীরা সুবিধা পান। শুক্রবারই রাজধানী দিল্লিতে রেলমন্ত্রী (Indian Railway) হাজির ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে এবং সেখানেই তিনি এই কথাগুলি বলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫০টি নতুন অমৃত ভারত ট্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরে এমন দুটো ট্রেনের উদ্বোধনও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি মালদাতে অপরটি দ্বারভাঙ্গাতে।

    গত বছরেই ৫,৩০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন পাতার কাজও শেষ হয়েছে

    রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবা (Non AC Coaches), যাত্রী নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সারা দেশজুড়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রেলের পরিকাঠামোকে। গত বছরেই ৫,৩০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন পাতার কাজও শেষ হয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার রেল লাইন পাতা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কবচ সিস্টেমকে আরও অত্যাধুনিক করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    তৈরি হচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ মালগাড়ির কোচ (Indian Railway) 

    জানা গিয়েছে, মালবহনের জন্য আরও ৫ হাজার ৩০০টি কোচ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ছে ভারতীয় রেলের। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীদের সংখ্যা। একইভাবে পণ্য পরিবহনের জন্যও অতিরিক্ত মালগাড়ি তৈরির দাবি রয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই ১৫ হাজার ৩০০ নতুন কোচ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন রেলের এক শীর্ষ কর্তা। জানা গিয়েছে, ২ হাজার ৬০৫টি কোচ (Non AC Coaches) তৈরি করা হবে অমৃত ভারতের সাধারণ কোচের আদলে। বাকিগুলির মধ্যে ১ হাজার ৪৭০টি নন-এসি স্লিপার কোচ এবং ৩২৩টি এসএলআর (সিটিং-কাম-লাগেজ রেক) কোচ তৈরি করা হবে। এছাড়াও ৩২টি উচ্চ-ক্ষমতার পার্সেল ভ্যান এবং ৫৫টি প্যান্ট্রি কার তৈরি করা হচ্ছে, যা যাত্রীদের (Indian Railway) বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে এবং লজিস্টিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ বানানোর অভিযোগে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগু়ড়ির (Jalpaiguri) গজলডোবার ভোরের আলো থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি খাসজমি দখল করে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নির্দেশে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যদিও শুক্রবার উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাগজ বদলে জমি দখল করার অভিযোগে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তম রায় রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদরি উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মায়ারানি রায় বিজেপির মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।

     গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Jalpaiguri)

    রাজগঞ্জ ব্লক (Jalpaiguri) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতেরে আধিকারিক সুখেন রায় বলেন, এই জমি আমরা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম। সরকারি নথিতে এই জমির আরও একজনের নাম মালিকানায় দেখা যাচ্ছে। কার জমি সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। আমরা পুলিশ গ্রেফতার করতে বলিনি। 

    রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসেও কেন ফিরে গেল প্রশাসন?

    শুক্রবার সকালে রাজগঞ্জের (Jalpaiguri) বিডিও প্রশান্ত বর্মন, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উত্তম রায়ের রেস্তোরাঁ ভেঙে জমি দখলে নিতে যান। সেই সময় উত্তম রায়ের ছেলে তাপস রায় বিডিওর হাতে তাঁদের জমির পাট্টা ও অন্যান্য নথিপত্র তুলে দেন। যা  দেখার পর রেস্তোরাঁ না ভেঙে বিডিও দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী?

    মায়ারানি রায় ও উত্তম রায় শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করছি। জমির পাট্টা রয়েছে। সেই কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছি। রান্নার গ্যাসের কমার্শিয়াল লাইন নিয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ভূমি দফতর বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা বলেছে। আর আমি বিজেপি করি। তাই, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের কতটা দলদাস তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি সরকারি জমি দখল করে পুকুর,  বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। তা ভেঙে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন জমি উদ্ধার করে সরকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চায়।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির (BJP) শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম রায়কে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা যতদূর যাওয়া যাবে। গজলডোবায়, শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর, অনেক বড় বড় নেতা সরকারি জমি দখল করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে সেই সব জমি উদ্ধার করছে না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস। রাজ্যে বাড়ছে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগের (Hepatitis) সংক্রমণ বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

    কেন বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হেপাটাইটিস? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সর্বত্র জল জমছে। বৃষ্টির জল জমে অধিকাংশ নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পানীয় জলের পাইপেও ফাটল ধরছে। আর এর জেরেই বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন জল থেকেই জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো গুরুতর রোগ হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই জল নিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। আবার, খাওয়ার জলের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা যাচ্ছে না। ফলে লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক স্কুলে খাবার জল পরিশ্রুত থাকছে না। তাই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে খাবার জল থেকেই মূলত জন্ডিসের (Jaundice) মতো রোগের সংক্রমণ হচ্ছে।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু হেপাটাইটিসের (Hepatitis) চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গেলে, তা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস হলে পেটে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। বমি হয়। আবার চোখ, হাত ও পায়ের তলার চামড়ায় হলদে ভাব দেখা যায়। অনেকের জ্বর হয়। পাশপাশি, পায়খানার রং আলকাতরার মতো কালো হয়‌। শরীর অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে পড়ে‌। খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তার জেরেই লিভারে এই জটিল সমস্যা তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় জলের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল খেলে, বর্ষার একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। ভাইরাস ঘটিত রোগ হোক কিংবা হেপাটাইটিসের মতো জটিল অসুখ, যে কোনও সমস্যার উৎস, অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় জল। তাই বর্ষায় জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া হচ্ছে কিনা, তার নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, বাইরের রঙিন পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওই রঙিন পানীয় থেকে নানান জলবাহিত রোগ (Hepatitis) হয়।

    তাছাড়া, খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। হালকা, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভার ভালো থাকে। তবে, জন্ডিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরল, তেলবিহীন, সহজপাচ্য খাবার হেপাটাইটিস আক্রান্তকে দিতে হবে। যাতে সহজেই হজম হয়, কিন্তু শরীরে রোগ (Jaundice) প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। দুর্বলতা সহজেই কাটে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Rape: কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    Kamduni Rape: কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার ছোট ভাইকে। এমনটাই অভিযোগ তুলছেন নিপীড়িত পরিবার। এদিন পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, রীতিমতো কাজ করার জায়গায় গিয়ে দুষ্কৃতীরা নজরদারি চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না, পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    অভিযুক্তরাই হুমকি দিচ্ছে (Kamduni Rape)!

    কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে চার জনকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের শাস্তি থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য এবং কামদুনির নির্যাতিতার (Victim) পরিবার। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট এই মুক্তির রায়ের উপর কিছু শর্ত আরোপ করেছিল। যার মধ্যে ছিল, অভিযুক্তরা নিজেদের গতিবিধি সম্পর্কে রাজারহাট থানাকে নিয়মিত জানাবে। একই ভাবে নির্যাতিতার পরিবারের (Kamduni Rape) সঙ্গে কোনও রূপ যোগাযোগ করতে পারবে না।

    পরিবারের ছোট ভাইয়ের অভিযোগ

    কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার (Victim) ছোট ভাইয়ের অভিযোগ, “আমাকে খুন করার ছক করা হচ্ছে। আদালত যাদের মুক্তি দিয়েছে তারাই এই কাজ করছে। একদিন কর্মস্থল, ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্প দফতর থেকে ফিরছিলাম, হঠাৎ শুনতে পাই আমি সামনেই আছি। লাঙলাপোতা মোড়ে লোকজন জড়ো করে ওই দিন আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। দুই-তিনজন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছিল। এরপর আত্মীয়দের ডেকে, তাঁদের সাহায্যে বাড়িতে ফিরি। আবার লোকসভা ভোটের সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে মারা হবে। কিন্তু ঘটনার বিবরণ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে জিডি নম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” অপর দিকে কামদুনির (Kamduni Rape) প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল জানিয়েছেন, “গত ২৩ জুন, আমার স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের উপর হামলা করে কিছু দুষ্কৃতীরা। শনিবার বিকেলে আকন্দকেশরী সেতু থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃসোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুলিশের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন নিউটাউনের উপ—নগরপাল মানব সিংলার দাবি, “পুলিশের কাছে সেই ভাবে হুমকির (Kamduni Rape) কোনও অভিযোগ নেই। এমন তো হওয়ার কথা নয়, রাজারহাট থানার সঙ্গে কথা বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার হাতে থেকে বাদ যাননি পোলিং এজেন্টের স্ত্রী এবং পুত্র। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ অধিকারী। গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারীও গুরুতর জখম হন। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুকুর মারা নিয়ে বিজেপি কর্মী গোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সুভাষ দেবনাথের  ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। শনিবারের রাজনীতির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে, না এর সঙ্গে কুকুর নিয়ে ঝামেলার যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। শনিবার ভোর ৩টের পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে (South 24 Parganas) দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর ওপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর পুত্র সুমিত দেবনাথকে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল করেন। সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” অন্যদিকে,তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, “একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধিকারী মামলা করেছিল। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। শনিবার ভোরে আমার কাছে ফোন আসে গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে শুনেছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। দুই পরিবারের বিবাদ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 06 july 2024: কন্যা রাশির জাতকদের আর্থিক সংকট দূর হবে আজ

    Daily Horoscope 06 july 2024: কন্যা রাশির জাতকদের আর্থিক সংকট দূর হবে আজ

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রেম জীবনে অবসাদ থাকবে।

    ২) যুবকরা রোজগারের নতুন সুযোগ পাবেন।

    ৩) দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করলে তাতে সাফল্য আসবে।

    বৃষ

    ১) পরিজনদের পরামর্শে উন্নতি হবে।

    ২) আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের আর্থিক লাভ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) পারিবারিক বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন।

    ৩) দাম্পত্য জীবনে মান-সম্মান বাড়বে।

    কর্কট

    ১) প্রেম জীবনে মাধুর্য আসবে।

    ২) কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) জীবনসঙ্গীর মুখে আনন্দের ছাপ থাকবে।

    সিংহ

    ১) পারিবারিক প্রয়োজনীয়তার জন্য অধিক দৌড়ঝাঁপ করতে হবে।

    ২) ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা থাকবে না।

    ৩) প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ২) আর্থিক সংকট দূর হবে।

    ৩) আশপাশের পরিবেশ অনুকূল থাকবে।

    তুলা

    ১) মা-বাবার সঙ্গে তীর্থযাত্রায় যেতে পারেন।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের একাগ্র হয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    ৩) সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও বিবাদ চললে, তার রায় আপনার পক্ষে আসতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    ২) পারিবারিক সম্পত্তির দ্বারা লাভ হবে।

    ৩) কোনও নতুন কাজের সূচনা করার ইচ্ছা থাকলে, ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন।

    ধনু

    ১) পারিবারিক পরিবেশে অবসাদের ছায়া থাকবে।

    ২) পছন্দমতো শিক্ষা লাভের জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে মানসিক শান্তি পাবেন।

    মকর

    ১) পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন।

    ২) বিবাহের খবর আসতে পারে।

    ৩) ব্যবসায়ে উন্নতি হবে।

    কুম্ভ

    ১) কাউকে টাকা ধার দেবেন না, কারণ সেই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

    ২) অফিসের পরিবেশ অনুকূল থাকবে।

    ৩) নতুন কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে।

    মীন

    ১) দাম্পত্য কলহ মানসিক অবসাদের কারণ হয়ে উঠবে।

    ২) জীবনসঙ্গীর বিশ্বাস জয় করুন।

    ৩) পারিবারিক ব্যয় বাড়বে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share