Author: user

  • Sukanta Majumdar: “হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে অত্যাধুনিক মানে স্থলবন্দর তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার থেকে প্রায় ২৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই চিহ্নিত এলাকা শুক্রবার পরিদর্শনে যান উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি ওই স্থলবন্দরের পাশে তৈরি হবে বালুরঘাট হিলি সম্প্রসারিত রেলপথের হিলি রেলস্টেশন। এদিন তিনি হিলি সীমান্ত এলাকায় দুটি জায়গায় পরিদর্শন করেন।

    হিলি চেকপোস্ট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হিলি সীমান্তে ইতিমধ্যেই রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও ল্যান্ড পোর্ট। আমদানি-রপ্তানিসহ দুই দেশের নাগরিকেরা ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি ইমিগ্রেশন সেন্টার এবং স্থলবন্দর আরও উন্নতমানের করার জন্য হিলিতে নতুন করে জমির প্রয়োজন হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদারকে হিলির মারওয়ারি ভবনে হিলিবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হিলি চেকপোস্ট নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, হিলিতে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট বা আইসিপি তৈরি করছে। রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ১০০ বিঘা জমি চেয়েছিল। ৭৫ বিঘা জমি রাজ্য সরকার এখনও অব্দি চিহ্নিত করেছে। হিলিতে বড় একটি আইসিপি হবে। আইসিপির পাশেই হিলির রেল স্টেশন হবে। হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে। হিলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বানিজ্য যাতে বাড়ে, তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা

    বোলপুরে মা-ছেলেকে আগুন লাগিয়ে খুন করা প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) সাংসদ সুকান্ত বলেন, আমরা বগুটুই কাণ্ডের ছায়া আবার দেখতে পাচ্ছি। মমতার রাজত্বে একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটছে। কোচবিহার থেকে শুরু করে সন্দেশখালির ঘটনা, তারপর একের পর এক মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটাতেই স্পষ্ট রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভালো নেই। ছানি কাণ্ড নিয়ে তিনি (BJP) বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কোন জায়গায় গিয়েছে এটাই তার অন্যতম উদাহরণ। এই ছানি অপারেশনের ক্ষেত্রে সব থেকে ভয় যেটা থাকে, যাতে ইনফেকশন না হয়। এমন অবস্থা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে ছানি অপারেশনের পরে তাতে ছত্রাক গজাচ্ছে। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য  ব্যাবস্থার ওপর ছত্রাক জমে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল (Jute mill) । শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সাসপেনশনের নোটিশ দেখতে পান। এরপরই কারখানার গেটের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ হারালেন।

    কী কারণে বন্ধ করা হল মিল? (Jute mill)

    জানা গিয়েছে, আচমকা সাময়িক সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বন্ধের নোটিশে উৎপাদনের ঘাটতিকেই দায়ী করেছে মালিক পক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, এস ফোর তাঁত বিভাগের শ্রমিকদের একাংশ ঠিকমতো কাজ করছেন না। হেল্পারদের কাজে লাগিয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ টিফিনের জন্য সময় ব্যয় করে।  এতে উৎপাদন ঘাটতি হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মিল (Jute mill) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মিল খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, জুটমিলে স্থায়ী শ্রমিকের বদলে অস্থায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে, মিল কর্তৃপক্ষ এসব শ্রমিক নিয়ে মিল চালাতে পারছে না। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক অর্ডার দিচ্ছে। ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এরজন্য দায়ী। তৃণমূল বিধায়ক (Jagaddal) সোমনাথ শ্যাম বলেন,  মিলে মালের অর্ডার নেই। তাই সাময়িক বন্ধ রেখেছেন মালিক পক্ষ। অর্ডার মিললে ফের ঠিকমতো মিল চলবে। আসলে এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। আর কোনও কারণ নেই। অর্ডার না থাকায় কোনও মিল (Jagaddal) সাত দিন চলছে না। যত দিন যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saradha Chit Fund Scam: সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী

    Saradha Chit Fund Scam: সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা মামলায় (Saradha Chit Fund Scam) অভিযুক্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। সারদা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর ৬৫ পাতার চার্জশিটে নলিনি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ‘প্রোটেকশন মানি’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং সেই অভিযোগের সবিস্তার বর্ণনাও রয়েছে।

    প্রোটেকশন মানি নেওয়ার অভিযোগ (Saradha Chit Fund Scam)

    ইডি সূত্রে খবর, নলিনী চিদম্বরম দেড় কোটি টাকা নিয়েছিলেন সারদা কর্তা এবং এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে। তবে এ বিষয়ে নলিনীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে পরামর্শ দেওয়ার জন্য (Saradha Chit Fund Scam) এই অর্থ নেওয়া হয়েছিল। যদিও ইডি সূত্রের দাবি, গোয়েন্দারা মনে করছেন ওই অর্থ নলিনী চিদম্বরামকে (Nalini Chidambaram) সেই সময় ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কারণ নলিনী অর্থ নিয়েছিলেন ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। সেই সময় তাঁর স্বামী পি চিদম্বরম ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে ওই টাকা আইনজীবী নলিনীকে নয়, দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীকে।

    সারদা কর্তার সঙ্গে নলিনীর যোগাযোগ (Nalini Chidambaram)

    প্রসঙ্গত ওই সময় বাংলা সহ দেশের একাধিক রাজ্যের ব্যবসা ছড়ানোর চেষ্টা করছিলেন সুদীপ্ত সেন। উত্তরপূর্ব ভারতে ‘ফ্রন্টিয়ার নিউজ’ চ্যানেল নামের একটি সংবাদ চ্যানেলের সঙ্গে ২০১২ সালের ৪২ কোটি টাকার চুক্তি (Saradha Chit Fund Scam) হয়েছিল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের। জানা গিয়েছে ওই ‘ফ্রন্টিয়ার নিউজ’ চ্যানেলের এডিটর মনোরঞ্জনা সিং আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত এবং নালিনীর। পরে সম্ভবত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরমের (Nalini Chidambaram) সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের পরিচয় আরও বাড়ে। সেই কারণে ওই সময়ই দুপক্ষের কথা এবং আর্থিক লেনদেন হয়। এই প্রমাণ ইডি পেয়েছে। যদিও নলিনী ওই অর্থ আইনজীবীর পরামর্শ মূল্য হিসেবে নেওয়ার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    ৬৫ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে ১১০০ পাতার তথ্য দিচ্ছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এর আগে এই মামলায় ৩৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ডেকে পাঠিয়ে বহু অভিযুক্ত ও সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কারণ নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা যাবে না। নলিনীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমেইল করেছিল ইডি। তাঁর তরফে একটি তারিখও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে ওঠেনি। এবার সেই নলিনীর বিরুদ্ধে (Saradha Chit Fund Scam) চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: কেরলের সরকারি চাকরিতে দ্রুত সংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের, বলছে পরিসংখ্যান

    প্রসঙ্গত ৬৫ পাতার ঐ চার্জশিটে নলিনীর (Nalini Chidambaram) ভূমিকার পাশাপাশি ১১০০ পাতার বিভিন্ন প্রমাণ ও নথিপত্র জুড়তে চলেছে ইডি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Tarkeshwar: হাথরসকাণ্ডের পর সর্তকতা, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে

    Tarkeshwar: হাথরসকাণ্ডের পর সর্তকতা, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে ধর্মীয় সভায় দুর্ঘটনার কথা গোটা দেশকে চিন্তায় ফেলেছে। এই দিকে সমানেই তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা, হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন, পুরসভা এবং রেলের সমন্বয়ে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে। থাকছে কঠোর নিরাপত্তার পরিকাঠামো এবং সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা। এ বছর এই তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মেলা শুরু হবে ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে, আর চলবে ১৯ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস শৈব উপাসকেরা বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালবেন।

    রাস্তায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি (Tarkeshwar)

    শ্রাবণী মেলায় শিব ভক্তরা, গঙ্গা থেকে জল কাঁধে করে বহন করে ভোলা মহেশ্বরের মাথায় জল ঢেলে থাকেন। হুগলি নদীর শেওড়াফুলির ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মন্দিরে জল ঢালেন। দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন। শ্রীরামপুর-তারকেশ্বরের (Tarkeshwar) ১২ নম্বর রুটে পা ফেলার জায়গা থাকে না। এই এক মাসের মধ্যে শনি, রবি এবং সোমবারের দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়। এক এক দিনে প্রায় ১০ লক্ষের বেশি ভক্তের সমাগম হয়। এই ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকে একেবারে নাজেহাল হতে হয়। তাই এবছর আগাম সতর্কতা এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর হয়েছে। মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে প্রশাসন। আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় বৈঠক করা হয়েছে। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মূল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। একই ভাবে নজরদারি কড়া করতে রাস্তায় রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    ২৪ ঘণ্টা আলো ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা

    বৈঠকে এ বছর সংখ্যায় বেশি পরিমাণে পুলিশ মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় বসানো হবে স্বাস্থ্য শিবির কেন্দ্র। একই ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে বৃদ্ধি করা হবে দমকল ইঞ্জিনের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টা আলো এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। ভক্তদের জন্য করা হবে বিশ্রামাগার। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই ভাবে তারকেশ্বর (Tarkeshwar) ব্লকের আধিকারিক সীমা চন্দ্র, থানার ইনচার্জ তন্ময় বাগ এবং রেল, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত ভিড় এবং উৎসবের আনন্দ যাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার না হয়, তাই রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইয়ের ছায়া এবার বোলপুরে। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ! অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) থানার রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bolpur)

    প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া সেরে বৃহস্পতিবার রাতেও একতলার ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের ৩ জন। ঘরের জালনা তাঁদের খোলা ছিল। স্ত্রী রূপা বিবি (৩০), ছেলে আয়ান শেখকে (৪) নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন আব্দুল আলিম (৩৮)। অভিযোগ, জানালা দিয়ে কেউ বা কারা কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও চার বছরের ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুল আলিম। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আব্দুল পেশায় ঠিকাদারি কাজ করতেন। আত্মীয়দের দাবি, ওর কোনও ব্যবসায়িক শত্রু ছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে, নিহত রূপা বিবির বাবা শেখ করিম বলেন, “কেরোসিন তেলের গন্ধ বের হচ্ছে, তেল ছিটিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে । আমার জামাই বোলপুরে ঠিকাদারির কাজ করত। ওর তেমন কেউ ছিল কি না জানি না। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    বোলপুরের ঘটনায় তাজা হয়েছে বগটুইয়ের স্মৃতি!

    এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী, তাজা হয়েছে বগটুইয়ের (Bogtui) স্মৃতি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার বগটুইয়ের (Bogtui) এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ১০ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে আলোড়িত হয়েছিল গোটা রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোনও সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল। ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত (High Court)

    এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের ওরিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কি না। আদালতের (High Court) ধারণা, তথ্য উদ্ধার করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না। সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা যে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে।

    আরও পড়ুন : হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 67: “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    Ramakrishna 67: “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    যদি হৃদয়মন্দিরে মাধব প্রতিষ্ঠা করতে চাও, যদি ভগবানলাভ (Ramakrishna) করতে চাও, শুধু ভোঁ ভোঁ করে শাঁখ ফুঁকলে কি হবে! আগে চিত্তশুদ্ধি। মন শুদ্ধ হলে ভগবান পবিত্র আসনে এসে বসবেন। চামচিকার বিষ্ঠা থাকলে মাধবকে আনা যায় না। এগার জন চামচিকে একাদশ ইন্দ্রিয়—পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পাঁচ কর্মেন্দ্রিয় আর মন। আগে মাধব প্রতিষ্ঠা, তারপর ইচ্ছা হয় বক্তৃতা লেকচার দিও!

    আগে ডুব দাও। ডুব দিয়ে রত্ন তোল, তারপর অন্য কাজ।

    কেউ ডুব দিতে চায় না। সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!

    লোকশিক্ষা দেওয়া কঠিন।… ভগবানকে দর্শনের পর যদি কেউ তাঁর আদেশ পায়, তাহলে লোকশিক্ষা দিতে পারে।

    অবিদ্যা স্ত্রী—আন্তরিক ভক্তি হলে সকলে বশে আসে।

    কথা (Kathamrita) কহিতে কহিতে ঠাকুর উত্তরের বারান্দার পশ্চিমাংশে আসিয়া দাঁড়াইলেন। মণি কাছে দাঁড়াইয়া। ঠাকুর বারবার বলিতেছেন, বিবেক-বৈরাগ্য না হলে ভগবানকে পাওয়া যায় না। মণি বিবাহ করিয়াছেন, তাই ব্যাকুল হইয়া ভাবিতেছেন, কি হইবে! বয়েস ২৮, কলেজে পড়িয়া ইংরেজী লেখাপড়া কিছু শিখিয়াছেন। ভাবিতেছেন, বিবেক-বৈরাগ্য মানে কি কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ?

    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—স্ত্রী যদি বলে, আমায় দেখছ না, আমি আত্মহত্যা করব, তাহলে কি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (গম্ভীরস্বরে)—অমন স্ত্রী ত্যাগ করবে, যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন করে। আত্মহত্যাই করুক, আর যাই করুক।

    যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন দেয়, সে অবিদ্যা স্ত্রী।

    গভীর চিন্তামগ্ন হইয়া মণি দেওয়ালে ঠেসান দিয়া একপাশে দাঁড়াইয়া রহিলেন। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণও ক্ষণকাল অবাক হইয়া রহিলেন।

    ঠাকুর তাঁহাদের সহিত একটু কথা কহিতেছেন (Kathamrita), হঠাৎ মণির কাছে আসিয়া একান্তে আস্তে আস্তে বলিতেছেন, কিন্তু যার ঈশ্বরে আন্তরিক ভক্তি আছে, তার সকলেই বশে আসে—রাজা, দুষ্ট লোক স্ত্রী। নিজের আন্তরিক ভক্তি থাকলে স্ত্রীও ক্রমে ঈশ্বরের পথে যেতে পারে। নিজে ভাল হলে ঈশ্বরের ইচ্ছাতে সেও ভাল হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    Hathras Stampede: বিলাসবহুল আশ্রমে প্রাইভেট রুম-ক্যাফে! কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভোলে বাবা

    নিউজ ডেস্ক: হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার (Hathras Stampede) পর থেকেই বেপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ ভোলে বাবা এবং অনু্ষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই ভোলে বাবার বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইসব নথি ও তথ্য দেখেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সম্প্রতি হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ হরি সরকার ওরফে সুরজ পালের নামে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। আর তদন্তের মধ্যেই এবার মিলল তাঁর বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) হদিশ। 

    কত টাকার মালিক ভোলে বাবা? (Hathras Stampede) 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিগুলি থেকে প্রমাণ মিলেছে, ভোলে বাবা বিপুল সম্পত্তির (Bhole Baba assets) অধিকারী। উত্তর প্রদেশের মইনপুরীতে তাঁর একটি ১৩ একরের পাঁচতারা আশ্রম রয়েছে। যার বাজারদর বর্তমানে ৪ কোটি টাকা। যে আশ্রমের খোঁজ পুলিশ পেয়েছে তাতে অন্তত ১৫-২০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ঘর শুধুমাত্র ভোলে বাবার নিজস্ব কাজের জন্য ছিল। বাকি ৬-৭টি ঘর বরাদ্দ ছিল আশ্রমের কমিটির সদস্য এবং ভলেন্টিয়ারদের জন্য। ভোলে বাবার লাক্সারি লাইফ এখানেই শেষ হচ্ছে না। এই আশ্রমে আসার জন্য একটি প্রাইভেট রাস্তাও ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাহি এক ক্যাফিটেরিয়াও রয়েছে আশ্রমে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এমন আরও একাধিক সম্পত্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলে বাবার নামে। তাদের দাম অন্তত কোটি টাকার কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, ‘ভোলে বাবা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৪টি আশ্রমের তত্ত্বাবধান করেন। যদিও তাঁর মূল বাসস্থান মইনপুরীর এই আশ্রমই।’
    হাথরাসের ঘটনা (Hathras Stampede) নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক মহল আন্দোলিত। ওই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হলেন শিশু এবং মহিলা। ইতিমধ্যেই কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে? তা নিয়ে উঠে আসছে নানান তত্ত্ব। কীভাবে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু এমন অনু্ষ্ঠান করার অনুমতি পেলেন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার।

    আরও পড়ুন: সাঁওতাল মেয়েদের ধর্মান্তরণ! অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের

    যৌন হেনস্তার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে

    যদিও শুরু থেকেই সাধু ছিলেন না সুরজ পাল। তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে চাকরি করতেন। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দেন। ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। এখন হাথরাসের এই ঘটনার (Hathras Stampede) পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরনো মামলাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শিলিগুড়ির তৃণমূলনেতাকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার নাম গৌতম গোস্বামী, তাঁকে দিল্লি থেকে আটক করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি ছিলেন। বিজেপি জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি তুলেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।  

    পুলিশ কমিশনারেটের বক্তব্য (TMC leader arrested)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেট সি সুধাকর বলেছেন, “দিল্লিতে আমাদের দল গিয়ে গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে, এই মুহূর্তে সব কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন দেবাশিষ প্রামাণিক, তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই শহর ছেড়ে ছিলেন গৌতম গোস্বামী। তখন থেকে তাঁর খোঁজ চলছিল। শিলিগুড়ি থেকে তিনি প্রথমে যান কলকাতায়, এরপর হায়দরাবাদ হয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে দিল্লিতে যান। ঠিক তারপর খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন চালিয়ে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করা হয়।”

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির (Siliguri) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দেবাশিষ প্রামাণিক এবং গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করে চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় নেতারা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। একের পর এক সরকারি-বেসরকারি জমি দখল করছেন তাঁরা। উত্তরকন্যার পাশে বিঘের পর বিঘে সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। কাদের নির্দেশে এই অবৈধ দখল চলছে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জমিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেছেন, “আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন হবে। এই ধরনের কাজে যাঁরা যুক্ত তাঁদের শাস্তি (TMC leader arrested) হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রায়গঞ্জ উপ-নির্বাচনে সব রাজনৈতক দলের প্রচার এখন তুঙ্গে। এরই মাঝে এবার বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার ও হুমকির বিষয়টি সামনে এসেছে। আর এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বিজেপি বিধায়করা। ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির এই আন্দোলন নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলাজু়ড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Raiganj)

    শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন, হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়, ওল্ড মালদার বিধায়ক গোপাল সাহাসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, উপ-নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল তাদের শাখা সংগঠন পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। আর পুলিশ রাতের অন্ধকারে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে আসছে। কাউকে ভয় দেখাচ্ছে, কাউকে নানা ধরনের টোপ দিচ্ছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। আমরা কোনওভাবেই তা মেনে নেব না। কারণ, এই এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে রয়েছে। ফলে,শত চেষ্টা করেও কোনও লাভ হবে না। পুলিশের এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে পুলিশকে বার্তা দিয়ে গেলাম। আগামীদিনে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তরও আন্দোলন হবে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর নির্দেশে অবস্থান-বিক্ষোভ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ (Raiganj) বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মানস কুমার ঘোষের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা মঞ্চ থেকেই দলীয় (BJP) কর্মীদের ওপরে অত্যাচার ও নানাভাবে ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বিধায়কদের থানা ঘেরাও ও অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে যান তিনি। শুভেন্দুর নির্দেশ মেনে এদিন রায়গঞ্জ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি বিধায়কেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এই অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share