Author: user

  • Ramakrishna 233: “ব্যাসদেব তীরে বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে”

    Ramakrishna 233: “ব্যাসদেব তীরে বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    সাধনার প্রয়োজন—গুরুবাক্যে বিশ্বাস—ব্যাসের বিশ্বাস

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সাধন বড় দরকার। তবে হবে না কেন? ঠিক বিশ্বাস যদি হয়, তাহলে আর বেশি খাটতে হয় না। গুরুবাক্যে বিশ্বাস!

    “ব্যাসদেব যমুনা পার হবেন, গোপীরা এসে উপস্থিত। গোপীরাও পার হবে কিন্তু খেয়া মিলছে না। গোপীরা বললে, ঠাকুর! এখন কি হবে? ব্যাসদেব বললেন (Kathamrita), আচ্ছা তোদের পার করে দিচ্ছি, কিন্তু আমার বড় খিদে পেয়েছে, কিছু আছে? গোপীদের কাছে দুধ, ক্ষীর, নবনী অনেক ছিল, সমস্ত ভক্ষণ করলেন। গোপীরা বললে, ঠাকুর পারের কি হল। ব্যাসদেব তখন তীরে গিয়ে দাঁড়ালেন; বললেন, হে যমুনে, যদি আজ কিছু খেয়ে না থাকি, তোমার জল দুভাগ হয়ে যাবে, আর আমরা সব সেই পথ দিয়ে পার হয়ে যাব। বলতে বলতে জল দুধারে সরে গেল। গোপীরা অবাক্‌; ভাবতে লাগল—উনি এইমাত্র এত খেলেন, আবার বলছেন, ‘যদি আমি কিছু খেয়ে না থাকি?’

    “এই দৃঢ় বিশ্বাস। আমি না, হৃদয় মধ্যে নারায়ণ (Ramakrishna)—তিনি খেয়েছেন।

    “শঙ্করাচার্য এদিকে ব্রহ্মজ্ঞানী; আবার প্রথম প্রথম ভেদবুদ্ধিও ছিল (Kathamrita)। তেমন বিশ্বাস ছিল না। চণ্ডাল মাংসের ভার লয়ে আসছে, উনি গঙ্গাস্নান করে উঠেছেন। চণ্ডালের গায়ে গা লেগে গেছে। বলে উঠলেন, ‘এই তুই আমায় ছুঁলি!’ চণ্ডাল বললে, ‘ঠাকুর, তুমিও আমায় ছোঁও নাই, আমিও তোমায় ছুঁই নাই।’ যিনি শুদ্ধ আত্মা, তিনি শরীর নন, পঞ্চভূত নন, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নন। তখন শঙ্করের জ্ঞান হয়ে গেল।

    “জড়ভরত রাজা রহুগণের পালকি বহিতে বহিতে যখন আত্মজ্ঞানের কথা বলতে (Kathamrita) লাগল, রাজা (Ramakrishna) পালকি থেকে নিচে এসে বললে, তুমি কে গো! জড়ভরত বললেন, আমি নেতি, নেতি, শুদ্ধ আত্মা। একেবারে ঠিক বিশ্বাস, আমি শুদ্ধ আত্মা।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    Abhaya Crossing: ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদলে গুগল ম্যাপে হল অভয়া ক্রসিং, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নৃশংস নারকীয় হত্যাকাণ্ডতেই বদলে গেল শহর কলকাতার ইতিহাস। সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদলে গলে গুগল ম্যাপে রাস্তার নাম। শহর কলকাতায় রাতারাতি বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। নতুন নামকরণ করা হল অভয়া ক্রসিং (Abhaya Crossing)। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া গুগলের (Abhaya Crossing)

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) পর কয়েক মাস ধরে রাজপথে লাগাতার চলেছিল বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন খবরের শিরোনামে ছিল শুধুই আরজি কর। এর মাঝে সবেমাত্র যখন বড়দিনে আনন্দের উৎসবে মেতেছিল কলকাতা, ঠিক তখনই আবারও পুরনো ঘটনার স্মরণ। আরও একবার এই কাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিল কয়েক মাস আগের কলকাতার সেই রূপ। যখন মশাল হাতে রাস্তায় নেমে রাত দখল করেন মহিলারা। জনবহুল এসপ্লানেডের এই ক্রসিং (Abhaya Crossing) পেরিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বহু মানুষ। অনেক আন্দোলন, মিছিলেরও সাক্ষী এই ডোরিনা ক্রসিং। সম্প্রতি, আরজি কর মামলায় জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এরই মধ্যে বদলে গেল ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম। ব্রিটিশ সময় থেকে চলে আসা শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ডোরিনা ক্রসিংয়ের নাম বদল করার জন্য ডাক্তারদের তরফ থেকে গুগলের কাছে আবেদন করা হয়। গুগল তাতে সম্মতি জানায়। ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম বদলে করা হল অভয়া ক্রসিং।

    ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র কী বক্তব্য?

    গুগল ডাক্তারদের অনুরোধ গ্রহণ করার পর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামে’র তরফে মুখ্যসচিব-মেয়রকে ইমেল করে জানানো হয়েছে বিষয়টি। সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক (Abhaya Crossing) প্রমোদরঞ্জন দাস বলেন, “চিকিৎসকদের অনুরোধ মেনে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভয়া ক্রসিং’। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই বদল গুগলের। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই ডাক্তারদের অনুরোধ কীভাবে মেলে নিল গুগল? যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবুও ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।”

    বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার কী বললেন?

    এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার অঞ্জন দত্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকে আমরা যে নাম শুনে বড়ো হয়েছি আজ হঠাৎ করে আমার ছেলে অন্য নাম শুনছে। এভাবে কি কোনও শহরের ইতিহাস বদলে দেওয়া যায়?” তিনি উদাহরণ হিসেবে ডেকারস লেনের নাম বদলের প্রসঙ্গ এনেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, “এভাবে কলকাতার নাম বদল করে ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে তা কাম্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে এই তিন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, আরবিআই কেন জানালো জানেন?

    RBI: নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে এই তিন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, আরবিআই কেন জানালো জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) নতুন নির্দেশিকা জারি করল। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে তিন ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার শিল্পকে বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং দক্ষ করার জন্য এই ধরনের প্রগ্রতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসুন এবার জেনে নিই নতুন কি নিয়ম (New Guidelines 2025) আনছে আরবিআই।

    গ্রাহকদের স্বার্থ এবং উন্নত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রয়োজন (RBI)

    ব্যাঙ্কিং (RBI) জগতে নতুন আধুনিক ব্যাঙ্কিংয়ে ডিজিটাল সংস্করণে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর মতে, তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট বাতিল করার এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অনেক ঘাটতিকেই সমাধান করবে না বরং তাদের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলিও দূর করবে। গ্রাহকদের স্বার্থ এবং উন্নত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিতে ভালভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে।

    আরবিআই-এর দেওয়া যে নির্দেশিকা (New Guidelines 2025) দেওয়া হয়েছে তাতে নিম্নলিখিত ব্যাঙ্ক খাতাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। 

    ১ – নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট; যে অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও লেনদেন করা হয় না। যে কোনও অ্যাকাউন্ট যা দুই বছরে কোনও লেনদেন করে না, সাধারণভাবে, তাকে সুপ্ত বা নিস্ক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বলা হয়।

    ২ – নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট; এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে এমন অ্যাকাউন্ট, যেখানে কোনও কার্যকলাপের নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে নেই (বেশিরভাগ সময় ১ বছর ধরে নেওয়া হয়)। 

    ৩ – জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট; এটি এমন একটি অ্যাকাউন্ট, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনও টাকা জমা হয়নি এবং শূন্য ব্যালেন্স রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    জালিয়াতি এবং এর অপব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস

    একইসঙ্গে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি জারি করেছে আরবিআই (RBI)। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে (New Guidelines 2025), বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে, যার জন্য এই ধরনের নিয়মগুলির প্রয়োজন: 

    ১ – আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি: নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করাতে জালিয়াতি এবং এর অপব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

    ২ – ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের দক্ষতার উন্নতি: ব্যাঙ্কগুলি অব্যবহৃত অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে কার্যকরভাবে তাদের সংস্থানগুলিকে কাজে লাগাতে পারে৷ 

    ৩ – ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংকে উৎসাহিত করুন: এটি কার্যত গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির জন্য এই ধরনের ব্যবহারে সুইচ করতে সাহায্য করবে৷

    ৪ – কেওয়াইসি নিয়মগুলির সাথে বর্ধিত সম্মতি: নতুন নিয়মগুলি নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের কেওয়াইসি আপডেট করতে সহায়তা করবে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 14: মহিলাদের বধ্যভূমি  হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, অগাস্ট থেকে বেড়েছে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা

    Bangladesh Crisis 14: মহিলাদের বধ্যভূমি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, অগাস্ট থেকে বেড়েছে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ  দ্বিতীয় পর্ব।

     

    আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 2) মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। হাসিনা সরকারের আমলেও সে দেশে অজস্র নারী নির্য়াতনের ঘটনা সামনে আসে। ২০২৩ সালে সে দেশের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৯৭ শতাংশ মহিলাকেই যৌন উৎপীড়নের শিকার হতে হয় সরকারি পরিবহণে। যাদের মধ্যে ৫৬.৩২ শতাংশ হল ছাত্রী এবং ৩৫.৫১ শতাংশ চাকরীজীবী মহিলা ও ৮.১৬ শতাংশ গৃহবধূ। পরবর্তীকালে গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে মহিলাদের ওপর নির্যাতন ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে দেশের বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, গত অগাস্ট থেকেই ব্যাপকভাবে মহিলাদের ওপর নির্যাতন বেড়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরে অগাস্ট মাসেই ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৬তে। এখানেই শেষ নয়, গত অক্টোবর মাসে তা আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০টিতে।

    বেড়েছে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ (Bangladesh Crisis 2) 

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis 2) মহিলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ২৮ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় সে দেশে। সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩। অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পরে অগাস্ট মাসে ৮ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই নাবালিকাদের গণধর্ষণের ঘটনা পৌঁছে যায় ১৩ তে। যাদের মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে শুধুমাত্র ধর্ষণ নয়, গণধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মহিলা এবং নাবালিকারা। অন্যদিকে, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ ছাড়াও বাংলাদেশে মহিলাদের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ১৩ জন নাবালিকার রহস্যজনকভাবে দেহ উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশে। অন্যদিকে, আঠারো বছর বা তার বেশি বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রেও একাধিক রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। অগাস্ট মাসে এই সংখ্যা ছিল ১১। সেপ্টেম্বর মাসে সেই সংখ্যা ছিল ২০ এবং অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩।

    বেড়েছে শ্লীলতাহানি (Targeting Minority)

    বাংলাদেশের নাবালিকা এবং মহিলাদের আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে। অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis 2) শ্লীলতাহানির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, গত অগাস্ট মাসে ৯ জন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসেই সেই সংখ্যা ছিল ১১ এবং অক্টোবর মাসে সেই সংখ্যা ছিল ৭। অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে শ্লীলতাহানির ঘটনাও সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে অগাস্ট মাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ২টি, সেপ্টেম্বর মাসে একটি এবং অক্টোবর মাসে দুটি। মহিলাদের ওপর হওয়া এমন অত্যাচার নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে খবরও করতে দেখা গিয়েছে।

    বাংলাদেশ মহিলাদের ওপর এই নির্যাতনকে যদি আমরা পরিসংখ্যান আকারে দেখি, তাহলে দেখব-

    অগাস্ট মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ১৪৭

    সেপ্টেম্বর মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ১৮৬

    অক্টোবর মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ২০০

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা অগাস্ট মাসে ৫১

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ৭২ 

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা অক্টোবর মাসে ৭৪

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা অগাস্ট মাসে ৯৬

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ১১৪

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ১২৬টি ঘটনা ঘটেছে অক্টোবর মাসে

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৮টি 

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ১৩ টি 

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ২৮টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৭টি 

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ৮টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ৭টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৪টি

     প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ৬টি

     প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ৬টি

    অগাস্ট মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তিনটি 

    সেপ্টেম্বর মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি 

    অক্টোবর মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দুটি

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সেপ্টেম্বরে মাসে ঘটেছে ২০টি

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ১৩টি 

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা অগাস্টে ঘটেছে ১১টি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা,  সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা, সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে চিনে (China Frustration) একের পর এক গণহত্যার ঘটনায় সে দেশের জনগণের মধ্যে ক্রোধ ও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি একটি খুনের ঘটনার পর “চিনা জনগণ অত্যন্ত কষ্টে আছে,” এমন একটি লেখা সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই পোস্টে ছিল সতর্কবার্তা, “এমন হামলা আরও বেড়ে যাবে।” আরেকটি পোস্টে লেখা হয়েছিল, “এই দুঃখজনক ঘটনা সমাজের অন্ধকার দিককে ফুটিয়ে তুলছে।”

    চিনে হতাশার ছবি

    চিনের জনগণের মধ্যে সম্প্রতি “সমাজের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার” মনোভাব বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে সে দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক হত্যার ঘটনা তার প্রমাণ। চিনে যদিও এ ধরনের হামলা বিরল, তবে বিশাল জনসংখ্যার দেশের জন্য এটি অস্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড শ্যাক। তবে, এসব হামলা সাধারণত তরঙ্গের মতো আক্রমণ করে, প্রায়ই এক ধরনের কপি-ক্যাট হামলা, যা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে করা হয়। ২০২৪ সালে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ থেকে ৫টি হামলা ঘটেছিল, যেখানে অপরাধীরা পথচারী বা অপরিচিত ব্যক্তিদের উপর হামলা করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯টি।

    রক্তাক্ত নভেম্বর

    বিশেষ করে নভেম্বর মাসটি চিনে ছিল অত্যন্ত রক্তাক্ত। ১১ নভেম্বর ঝুহাই শহরে এক ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তি একটি গাড়ি দিয়ে বাইরে স্টেডিয়ামে ব্যায়ামরত মানুষের মধ্যে আঘাত হানে, যার ফলে ৩৫ জন মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ডিভোর্সি। বিচ্ছেদের কারণে অসন্তুষ্ট ছিল, তাই এই ঘটনা ঘটান। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে চাংদে শহরে এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি চালিয়ে ৩০ জন শিশুকে আহত করে। আর্থিক ক্ষতি ও পারিবারিক সমস্যার জেরেই এই ঘটনা ঘটান তিনি।

    অর্থনৈতিক মন্দাই কারণ

    চিনের এই সহিংস হামলাগুলির মূল কারণ হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক মন্দাকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। উচ্চ বেকারত্ব, বিপুল পরিমাণ দেনা এবং রিয়েল এস্টেট সঙ্কট চিনের জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। বড় শহরের পাশের এলাকায় বহু অসমাপ্ত আবাসিক প্রকল্পে মানুষ বসবাস করছে, যেগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতির সঙ্কটের কারণে চিনের জনগণের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগে যেখানে চিনা জনগণ সমাজে বৈষম্যকে নিজেদের ব্যর্থতা হিসেবে দেখত, এখন তারা এটিকে একটি “অন্যায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

    চিনে বিকল্পের অভাব

    চিনের জনগণের মানসিক চাপ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বিকল্পের অভাব এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে মানুষজনের তাঁদের ক্ষোভ বা হতাশা প্রকাশ করার কোনও উপায় নেই। যদিও কিছু দেশে মানুষ নিজেদের অভিযোগ বা সমস্যা জানাতে মিডিয়ার কাছে যেতে পারে, চিনে তা-ও সম্ভব নয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বা দুর্বল বিচার ব্যবস্থা এমন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারে না। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং শারীরিক এবং মানসিক চাপের মোকাবিলা করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা না থাকার কারণে, চিনা জনগণ এমন একটি অবস্থা অনুভব করছে যা তাঁদের সহিংস আক্রমণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    সম্ভাব্য পরিণতি 

    চিনে এমন হামলা এখন অল্প সংখ্যক মানুষের দ্বারা ঘটলেও, বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে যদি পরিস্থিতি এরকমই চলতে থাকে, তবে এটি সমাজে আরও বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে। সরকারি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হলেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর কোনও ব্যবস্থা দেখা যায়নি, শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও নজরদারি এবং পুলিশি প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চিন একটি নতুন ধরনের সামাজিক অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ এবং প্রতিবাদে পরিণত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা, বৃষ্টির আশঙ্কা কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের সর্বত্র পর্যটকের ঢল। তারই মধ্যে পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে শনি এবং রবিবার কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। তার জেরেই দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উঁচু পাহাড়ি এলাকা সান্দাকফু, ফালুটেও তুষারপাতের সম্ভাবনা জোরালো। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ০.৮ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। এর আগে ২০ নভেম্বর বরফে ঢেকেছিল সান্দাকফু। এ বার কি তাহলে দার্জিলিং শহরে স্নো-ফল হবে? তবে, পাহাড়ে শীত ফিরলেও শিলিগুড়ি-সহ সমতলে কিন্তু তেমন শীতই নেই।

    স্নো-ফল দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন?(Weather Update)

    ২০২২ সালে রেকর্ড তুষারপাত হয়েছিল দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন জায়গায়। সে বার দু’দশক পরে ঘুম এবং টাইগার হিল ঢেকেছিল বরফে। সেই ছবি এ বারও দেখা যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকের দল। বিশেষজ্ঞেরা (Weather Update) বলছেন, শনিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, ঘুম, সিকিমের লাচুং, লাচেন, ছাঙ্গু, নাথুলা এবং জুলুকে তুষারপাত শনিবার শুরু হয়ে যেতে পারে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “ইংরেজি নতুন বছরের আগে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হোক, এটাই মনে প্রাণে চাইছি। অনেক পর্যটক ভিড় করেছেন স্নো-ফল দেখার জন্য।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    আবহাওয়া দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা কী বললেন?

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেই কারণে স্নো-ফলের সম্ভাবনা উড়িয়েও দিতে পারছি না। কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টি হলে দার্জিলিংয়ে স্নো-ফল হতেই পারে। কারণ, এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বেশ শক্তিশালী।”

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আকাশ মোটের ওপর মেঘলা থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা মোটের ওপর শুষ্কই থাকবে। আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বছর শেষে তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhopal: জাহাঙ্গিরাবাদে মুসলমান-শিখদের মধ্যে পাথর-ইট-তলোয়ার নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ! তীব্র উত্তেজনা

    Bhopal: জাহাঙ্গিরাবাদে মুসলমান-শিখদের মধ্যে পাথর-ইট-তলোয়ার নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ শে ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের ভোপালের (Bhopal) জাহাঙ্গিরাবাদের পুরাতন গাল্লা মান্ডিতে মুসলমান এবং শিখ সম্প্রদায়ের (Muslims and Sikh clashe) মধ্যে একটি হিংসাত্মাক ঘটনা ঘটেছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরের বিরুদ্ধে তুমুল পাথর-ইট বর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ধরালো তরবারির আঘাতে নারীসহ একাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে আহত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিরাট পরিমাণে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে গ্রেফতার ৩। 

    ঘটনার সূত্রপাত ২ দিন আগেই (Bhopal)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দিন আগে ভোপালের (Bhopal) ওই এলাকায় শিখ ও মুসলমানদের (Muslims and Sikh clashe) মধ্যে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তা বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়। পরে ঢিল ছোড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুনরায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ডিসিপি পুলিশ কমিশনার প্রিয়াঙ্কা শুক্লা বলেন, “পাঁচ অপরাধীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তলোয়ার বহনকারীরা ক্যামেরায় যারা ধরা পড়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”

    গ্রেফতার ৩

    ঘটনা ঘটেছিল গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। সূত্রপাত হয়েছিল, ফয়েজ নামে একজন মুসলিম যুবকের প্রধানত শিখ (Muslims and Sikh clashe) অধ্যুষিত এলাকায় (Bhopal) উচ্চ গতিতে একটি বাইক চালানোর ঘটনাকে ঘিরে। এরপর সেই যুবকটিকে বাইকের গতি নিয়ে সতর্ক করতে গেলে বচসা বাঁধে। এর ফলেই শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রথমে ওই যুবক একটি সবজির গাড়ি থেকে একটি ছুরি বের করে এবং সামনের অপর একজন শিখকে আক্রমণ করে। ঘটনায় ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ফয়েজ-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে বাকি দুজন বর্তমানে পলাতক।

    তালোয়ার, ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ

    এই ঘটনার পর ফের ২৪ ডিসেম্বর সকালে, শিখ (Muslims and Sikh clashe) সম্প্রদায়ের সদস্যরা একত্রিত হয় এবং মাইকেল নামে এক মুসলিম দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে। তারপর সকলে গুরুদোয়ারায় (Bhopal) জড়ো হয়। অনেকেই বলেন, আক্রমণকারীরা হাতে তালোয়ার, ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। ধারালো অস্ত্রে আঘাতে অনেকই জখম হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি দেখতে দেখতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং উত্তেজিত দুই পক্ষের বিশাল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে চারজন পুলিশ কর্মী আহত হন গুরুতর আঘাতে। পরবর্তীতে পুলিশ সিসিটিভির সাহায্যে তলোয়ার নিয়ে আক্রমণকারী এবং পাথর নিয়ে হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তল্লাশি শুরু করে।

    মুসলমানরা আমাদের পাগড়িকে অসম্মান করেছে

    এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এই জাহাঙ্গিরাবাদ এলাকা হল একটি বৃহত্তর মুসলিম পাড়া (Bhopal), এখানে শিখ (Muslims and Sikh clashe) এবং হিন্দুরা দোকান ভাড়া দিয়ে থাকেন। অপর দিকে ভাড়াটেদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মুসলমান সম্প্রদায়। কয়েকদিন আগেও একটি দোকানে ভাড়ার টাকা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।” আবার শিখ পক্ষের তরফে অপর এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা দাবি করি যে মুসলমানরা আমাদের পাগড়িকে অসম্মান করেছে, যার ফলে হাতাহাতি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    CBI: আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে তাড়াহুড়ো! কারণ খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) খুন-ধর্ষণের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত ঘিরে নানা অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। এর নেপথ্যে কি শুধুমাত্র প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের প্রভাব খাটানোর ব্যাপার আছে, নাকি রয়েছে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত সেরে ফেলে দেহ সৎকারের চেষ্টা, সে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা অবশ্য বরাবরই সরব যে আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তে গুচ্ছ গণ্ডগোল রয়েছে। সেগুলো আরও আগেই খতিয়ে দেখা উচিত ছিল সিবিআইয়ের।

    কী কী অনিয়ম নজরে এসেছে সিবিআইয়ের?(CBI)

    ময়নাতদন্ত ঘিরে বেশ কিছু অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য নজরে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI)। প্রথমত, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক প্রবীর চক্রবর্তীকে বাদ দিয়ে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় ওই বিভাগেরই অধ্যাপক, এক সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। অথচ প্রথা অনুযায়ী, এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধানকেই করার কথা। আর দ্বিতীয়ত, এই মেডিক্যাল বোর্ডে এনআরএসের ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করার এক্তিয়ারই ছিল না আরজি করের উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠের। অন্য হাসপাতালের কাউকে বোর্ডে রাখতে গেলে আদেশনামা জারি করার কথা স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার। এছাড়া ৯ অগাস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি করের ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার রুম থেকে। আর তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মেডিক্যাল বোর্ড গড়েন আরজি করের তৎকালীন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় বশিষ্ঠ। এই বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়েও সিবিআই আধিকারিকরা অবাক! কারণ মূলত দু’টি। এবং সেই দু’টি বিষয়কেই নিয়ম বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই সিবিআই-কে চিঠিও দিয়েছে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    ময়না তদন্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    সিবিআইয়ের (CBI) একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণ নিয়মে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত হয় না, যদি না আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে কিংবা মরণোত্তর অঙ্গদানের ব্যাপার থাকে। বিশেষ করে যদি খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো ঘটনার সন্দেহ থাকে, তা হলেও আরও তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করার কথা নয়। অথচ সেই নিয়ম মানা হয়নি। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ২০২১-এর ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রের ইস্যু করা সেই নির্দেশিকার (ফাইল নং এইচ-১১০২১/০৭/২০২১-এইচ-১) বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও একটি আদেশনামা (মেমো নং এম/ ২৪৮৫-৪) জারি করেছিল ওই বছর ২৩ ডিসেম্বরে। সেখানে উল্লেখিত শর্ত পুরোপুরি মানা হয়নি বলেই মনে করছে সিবিআই। চারটের পরে ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অর্ডার চেয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের আর এক সদস্য, আরজি করেরই ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রিনা দাস। তখন টালা থানার সাব-ইনস্পেক্টর লিখিত ভাবে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, “এমন ক্ষেত্রে একজন সাব-ইনস্পেক্টর কখনই ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না। ন্যূনতম একজন আইপিএস অফিসারের নির্দেশ জরুরি। কিন্তু সে নিয়মও মানা হয়নি।” ফলে বারবার ফিরে আসছে সেই প্রশ্ন – কেন এত তাড়াহুড়ো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে (Delhi) বেশ কয়েকদিন ধরেই হালকা বৃষ্টি চলছে। এরই ফলে দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের (AQI) বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত দিল্লির বাতাসের দূষণমাত্রা একসময় ভয়ানক পর্যায়ে ছিল। এদিকে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমতেই দিল্লি এবং এনসিআর কড়া বিধি নিষেধ শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ

    কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা সিপিসিবি যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ। অন্যদিকে, দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক আগের চেয়ে অনেকটাই চেয়ে উন্নত হয়েছে। ভয়ানক পর্যায় থেকে তা নেমেছে। সেই কারণে দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় জারি করা বিধিনিষেধ আপাতত শিথিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার।

    অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে (Delhi) দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেম্বর মাসে দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় চালু করা হয় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ (জিআরএপি-৪)। এর পর ডিসেম্বরে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলে কড়া বিধি শিথিল করা হল কিছুটা। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ভালো ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ হলে মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ ভয়ানক বলে ধরা হয়। প্রসঙ্গত, বৃষ্টির কারণে দিল্লির একিউআর দাঁড়িয়েছে ৩২৪-এ। একিউআর ভয়ঙ্কর হলে দিল্লি-এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে অন্যরাজ্যের গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি করাচিতে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন, পলাতক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ইসলামাবাদ দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করছে। আইএসআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদমর্যাদা পেয়েছিলেন দাউদ। গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, দাউদের ৬৯ তম জন্মদিনে করাচিতে অনেক ব্যবসায়ী, আইএসআই-র কর্মকর্তা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য এবং শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে, বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার চক্রান্তও হতে পারে বলে অনুমান।

    দাউদের জন্মদিন না নয়া পরিকল্পনা

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, দাউদ (Dawood at Karachi) এখনও পাকিস্তানে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ভারত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে দাউদ ও তাঁর দল ইসলামাবাদকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে। এছাড়া, দাউদ এবং আইএসআই-এর মধ্যে একটি অঘোষিত চুক্তি রয়েছে, যেখানে দাউদ তাঁর মাদক পাচারের আয় থেকে ৪০ শতাংশ আইএসআই-কে দেয়। মুম্বই এবং অন্যান্য স্থানে দাউদের কর্মকাণ্ড কিছুটা কমে গিয়েছে, তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এটি একটি চক্রান্তের অংশ। ১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাসী সবার নজর থেকে দূরে থাকার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন। যদিও তাঁর সহযোগীরা এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় এবং তাঁদের প্রভাব যথেষ্ট। তাঁর শুটারদেরও যেকোনো সময় ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

    ২০১৫ সালে ভারতীয় হিন্দু নেতাদের হত্যার জন্য একটি মডিউল তৈরি করেছিলেন দাউদ ও তাঁর দল। পরিকল্পনাটি ছিল গুজরাটে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং পরে তা ভারতজুড়ে বিস্তৃত করা। যদিও এই মডিউলটি ২০১৭ সালে ফাঁস হয়ে যায়। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে তারা আবারও নতুন মডিউল গঠন করতে পারে। দাউদ এখনও আইএসআই-এর সুরক্ষায় পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁর বাসস্থান করাচির রাহিম ফাকি এলাকায়। তাঁর বাসভবন অত্যন্ত সুরক্ষিত। তাঁর পাসপোর্ট পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে জারি হয়েছে। দাউদ একেবারেই পাকিস্তানে সীমাবদ্ধ নন, তার পৃষ্ঠপোষকতা কারণে তিনি দুবাই, জেদ্দা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংককসহ বিভিন্ন দেশে প্রায়শই সফর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share