Author: user

  • Arpita Mukherjee: আরও বিপাকে অর্পিতা! নিয়োগ মামলায় ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’-কে জেরা করবে আয়কর দফতর

    Arpita Mukherjee: আরও বিপাকে অর্পিতা! নিয়োগ মামলায় ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’-কে জেরা করবে আয়কর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এ বার জেরা করতে চাইছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কী, কেন বাড়িতে এত টাকা রাখা ছিল— এ সব তথ্যই জানতে চাওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, দু বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও জামিন পাননি পার্থ ও অর্পিতার কেউই। এসবের মধ্যেই এবার অর্পিতাকে জেরা করতে চাইছেন আয়কর দফতরের বেনামি সম্পত্তি শাখার অফিসাররা।

    ঠিক কী জানিয়েছে আয়কর দফতর? (Arpita Mukherjee)

    বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন অর্পিতা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অর্পিতাকে এবার জেলে গিয়ে জেরা করতেন চাইছেন আয়কর দফতরের বেনামি সম্পত্তি শাখার অফিসাররা। সেই নিয়ে কলকাতায় বিশেষ ইডি আদালতে আবেদন জানিয়েছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। জেলে গিয়ে অর্পিতাকে জেরা করার জন্য অনুমতিও দিয়ে দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, আয়কর রিটার্ন ও বেনামি লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে ইন্ডিয়া ডে প্যারেড আলোকিত করতে অংশ নেবে রাম মন্দিরের প্রতিরূপ

    আগে কী ঘটেছিল? 

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই একইদিনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও (Arpita Mukherjee) দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে সোনার গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রা-সহ নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তার ঠিক দিনপাঁচেক পর ফের বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকেও বিপুল টাকা উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। এছাড়া ৫ কোটিরও বেশি মূল্যে গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নামে, বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার যৌথ মালিকানায় একাধিক সম্পত্তিরও সন্ধান পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অফিসাররা। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। 
    তবে এই বিপুল টাকা ও গয়নাগাটির উৎস কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফ্ল্যাটকে ‘মিনি ব্যাংক’ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন বলেই দাবি করেন অর্পিতা (Arpita Mukherjee)। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ চোরাচালানকারী, গরু পাচার রুখল বিএসএফ

    BSF: নদিয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ চোরাচালানকারী, গরু পাচার রুখল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) গুলিতে গুরুতর জখম হন এক বাংলাদেশি পাচারকারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার মলুয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম আজমল হোসেন। তার বয়স ২৫ বছর। তাকে বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    নদিয়ার একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বেআইনিভাবে একাধিক জিনিস পাচারের অভিযোগ ওঠে। কোথাও গরু পাচার, আবার কোথাও সোনা পাচারের অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যার কারণে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও কঠোর পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী একদল গরু নিয়ে অনৈতিকভাবে সীমান্ত পারাপার করছিল। খবর পেয়ে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। বিএসএফ জওয়ানরা এলাকায় পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাচারকারীরা। এরপরই তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। তাতেই আজমল নামে পাচারকারীর পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় সে। তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা শক্তিনগর (Nadia) জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানেই বাংলাদেশি ওই চোরাচালানকারী আজমল চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    বিএসএফের এক কর্তা কী বললেন?

    বিএসএফের এক কর্তা বলেন, সীমান্তে (Nadia) পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চালায় বিএসএফ। এদিন জওয়ানরা সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি গ্যাং গরু পাচার করার চেষ্টা করে। জওয়ানরা প্রথমে তাদের থামতে বলে। কিন্তু, তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এই আজমল একটু সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মূলত, ভারতের কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা জানা যাবে। আর কীভাবে তারা এই চোরাচালান করে থাকে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে মুর্শিদবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্নার কাজে বাদ দেওয়া হয়েছে মহিলা কর্মীকে। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন এই রান্নার কর্মী। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সবটাই পুরসভা দেখে, আমাদের এখানে কোনও ভূমিকা নেই। ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    রান্নাকর্মীর বক্তব্য (Murshidabad)

    বিরোধী রাজনীতি করায় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হন সাইফুন বিবি। তিনি বলেছেন, “প্রতিদিনের মতো আমি স্কুলের কাজে গেলে, স্কুলের শিক্ষিকা বলেন তোমাকে আর কাজে আসতে হবে না, তুমি পুরসভায় দেখা করে কথা বলো। আমি এলাকায় বিজেপি (BJP) করেছি, তাই আমাকে স্কুলে মিড ডে মিলের কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি চাই, যে অন্যায় আচরণ হয়েছে, তা সকলের কাছে পৌঁছে যাক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি আমি। তৃণমূল নেতারা ষড়যন্ত্র করেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি এখানে ১৫ বছরের ধরে কাজ করছি। এখন বর্তমানে এখানে ৮ জন কাজ করছেন। আমাকে সরিয়ে অন্য লোককে আনা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    স্কুলের (Murshidabad) দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সাংবাদিকদের এই বিষয়ে বলেছেন, “পুরসভা থেকে আমাদের স্পষ্ট করে লোক পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এখানে মিড ডে মিলে রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে সাইফুন বিবিকে তুলে নেওয়া হল। তাঁর পরিবর্তে অন্য আরেক জন সাগরী হাজরাকে কাজে দেওয়া হল। একই ভাবে পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি সৌরভ ঘোষ জানিয়েছেন, সাইফুন বিবি যেন পুরসভার অফিসে এসে দেখা করেন। এরপর আমরা সাইফুন বিবিকে পুরসভায় গিয়ে দেখা করতে বলেছি। স্কুলের মিড ডে মিলের কোনও রান্নার কাজের লোককে আমরা নিয়োগ করিনা এবং বেতনও দিই না। তাই স্কুলের কোনও বিষয় এখানে নেই।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্য (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা ব্যানার্জি বলেছেন, “এই ধরনের কর্মীরা কেউ স্থায়ী কর্মী নন। পুরসভা চাইলে পরিবর্তন করতে পারে। এসএইচগ্রুপের মধ্যে থাকা অনেকে কাজ করে থাকেন। তাঁদেরকে সময়ে সময়ে অদলবদল করে কাজ করানো হয়। কেউ ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন! এটা বড় প্রশ্ন নয়। রাজনীতির (BJP) কোনও ব্যাপার নেই। আগামীদিনে আরও কিছু কর্মীকে পরিবর্তন করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyama Prasad Mukherjee: শ্যামাপ্রসাদ না থাকলে পশ্চিমবঙ্গ যেত পাকিস্তানে, জানুন সেই ইতিহাস

    Shyama Prasad Mukherjee: শ্যামাপ্রসাদ না থাকলে পশ্চিমবঙ্গ যেত পাকিস্তানে, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee)। তাঁকে ‘ভারত কেশরী’ বলেও সম্বোধন করা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, তিনিই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনক। মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ থেকে তিনি উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুদের। মূলত তাঁর প্রচেষ্টাতেই অখণ্ড বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমাংশ থেকে যায় ভারতে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অখণ্ড বাংলাকে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে সুরাবর্দীর প্রস্তাবও ব্যর্থ করেন তিনি। আজ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আমরা জানব কীভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ভারতে রাখতে সমর্থ হলেন!

    পাকিস্তানের দাবিতে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও নোয়াখালি গণহত্যা

    ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট দিনটি ছিল শুক্রবার। বাঙালি হিন্দুর জীবনে সেদিন নেমে আসে এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসে’র নামে, পাকিস্তানের দাবিতে মুসলিম লিগ শুরু করল হিন্দু নিধনযজ্ঞ। অবিভক্ত বাংলায় তখন ছিল সুরাবর্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের সরকার। মুসলিম লিগের গুন্ডারা হিন্দুদের ওপর ভয়াবহ সম্প্রদায়িক হামলা শুরু করে। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। কয়েক হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয়। হাজার হাজার হিন্দু নারী ধর্ষিতা হন। লুট করা হয় সম্পত্তি। ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর পরেই নোয়াখালিতে মুসলিম লিগ শুরু করে ফের এক হিন্দু নিধনযজ্ঞ। উদ্দেশ্য একটাই, পাকিস্তান। বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, ফেনী জেলা নিয়ে মেঘনার বাম তীরে অবস্থিত ছিল ব্রিটিশ আমলের নোয়াখালি জেলা। এই জেলাতে তৎকালীন সময়ে হিন্দুদের জনসংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ। ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর ছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। স্থানীয় হিন্দু বাড়িগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে লিগের গুন্ডারা। গণহত্যা, লুট, গৃহে অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ,নারী ধর্ষণ-এই সমস্ত কিছুই চলতে থাকে মুসলিম লিগের নেতা মওলানা গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক নোয়াখালিতেই হত্যা করা হয়েছিল ১০ হাজার হিন্দু বাঙালিকে। এর থেকেও বেশি সংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়। অগণিত মহিলাকে ধর্ষিতা হতে হয়।

    হিন্দু বাঙালির অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মুসলিম লিগের ফাঁদ 

    অবিভক্ত বাংলায় তখন মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম লিগ নেতৃত্বের দাবি, কলকাতা সহ সমগ্র বাংলাকেই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও ‘নোয়াখালি গণহত্যা’। এদিকে সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তিকরণের বিরুদ্ধে হিন্দু বাঙালিদের মধ্যেও গড়ে উঠেছে প্রবল জনমত। মুসলিম লিগের নেতা তথা ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’- এর খলনায়ক সুরাবর্দী তখন এক ফাঁদ পাতলেন। দুই বাংলাকে নিয়ে অখণ্ড স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করার প্রস্তাব রাখলেন তিনি। অর্থাৎ অখণ্ড বাংলা, না হবে ভারতের, না পাকিস্তানের। কিন্তু এরপরেও বাংলাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যেত। আশ্চর্যজনকভাবে অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্রের দাবিতে সম্মতি দিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেন তৎকালীন অখণ্ড বঙ্গের পশ্চিমাংশ যা বর্তমানের পশ্চিমবাংলা, যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেটিকে ভারত থেকে আলাদা করতেই হবে। সুরাবর্দীর এমন পাতা ফাঁদে পা দেন কংগ্রেসের দুই নেতা শরৎচন্দ্র বসু ও কিরণশঙ্কর রায়। এমন সময়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বুঝতে পারলেন যে হিন্দু বাঙালির অস্তিত্ব বিপন্ন করতে ফাঁদ পেতেছে মুসলিম লিগ। হয়তো পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চাইছে অথবা স্বাধীন রাষ্ট্রের নামে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে হিন্দুদের তারা সংখ্যালঘু করে রাখতে চাইছে।

    আন্দোলনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee) 

    সেই সময় থেকেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত শক্তিকে নিয়োজিত করলেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গকে ভারতে রাখার জন্য। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই হিন্দু মহাসভার নেতৃত্বে তিনি একটি কমিটি গঠন করেন এবং সারা বাংলা জুড়ে সফর শুরু করেন। বড় বড় জনসভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন। মানুষকে বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তা তিনি বোঝাতে থাকেন। কংগ্রেসের নেতাদের কাছেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee) আবেদন রাখেন যে তাঁরা যেন বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন জানান। ১৯৪৭ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় হিন্দু মহাসভা একটি দু-দিনব্যাপী আলোচনাসভার আয়োজন করে। এতে হাজির ছিলেন ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে হিন্দু মহাসভা। অখণ্ড বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলিকে নিয়ে একটি আলাদা প্রদেশ গঠন করার কথা লেখা হয় প্রস্তাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ওই প্রস্তাব পেশও করে হিন্দু মহাসভা। ঠিক এমন আবহে তৎকালীন জনপ্রিয় দৈনিক ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’ ১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত একটি সমীক্ষা করে। বিষয় ছিল, বাংলা ভাগ করা উচিত কিনা। এই সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ এপ্রিল। জানা যায়, এতে মোট ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৯ জন মানুষ নিজেদের মতামত রাখেন। ৯৮. ৩ শতাংশ মানুষই বাংলা ভাগের পক্ষে কথা বলেন। অন্যদিকে, বাংলা ভাগের বিপক্ষে কথা বলেন ০.৬ শতাংশ মানুষ। ১.১ শতাংশ মানুষের মতামত বাতিল হয়।

    মাউন্টব্যাটেন-শ্যামাপ্রসাদ বৈঠক

    এমন সময় ১৯৪৭ সালের ২৩ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) সঙ্গে বড়লাট মাউন্টব্যাটেনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে বোঝান, ‘কেন বাংলা ভাগ করা প্রয়োজন’। আবার ১৯৪৭ সালের ২ মে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মাউন্টব্যাটেনকে বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে একটি দীর্ঘ পত্র লেখেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এমন আন্দোলন সে সময় খবরের শিরোনামেও আসে। তৎকালীন কলকাতার দৈনিক ‘দ্য স্টেটসম্যান’ ১৯৪৭ সালের ২৪ এপ্রিল একটি খবর প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে তারা জানায়, বাংলা ভাগ করার আন্দোলন একটি বিশাল ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঝড় আরম্ভ করেছিল হিন্দু মহাসভা। ঝড়ের কেন্দ্রভূমি হচ্ছে কলকাতা। ১৯৪৭ সালের মে মাসের প্রথম দিকে ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরুকেও বলেন। তবে তাঁরা এ বিষয়টি খুব একটা আমল দেননি বলেই জানা যায়। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সোদপুরে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেও তাঁকে একই কথা বলেন।

    বল্লভভাই প্যাটেলের চিঠি

    তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। বাংলার হিন্দুরা যতদিন নিজেদের স্বার্থ বুঝছে এবং নিজেদের অবস্থান থেকে না সরছে, ততদিন ভয়ের কোনও কারণও নেই। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার ডাক মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ ছাড়া কিছু নয়। বাংলাকে কখনই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’ এই সময়ে বাংলা ভাগের দাবিতে বারোটিরও বেশি জনসভা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পাঁচটি করেন কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে। কংগ্রেস বাংলা ভাগের দাবিকে শেষ মুহূর্তে সমর্থন জানায়। তার কারণ ছিল একটাই যে তাদের হিন্দু ভোটাররা যেন না সরে যায়।

    শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াসে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) গঠন

    দীর্ঘ আন্দোলন এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াসের পরে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদের পশ্চিমাংশের সদস্যরা বাংলার দ্বিখণ্ডীকরণের প্রস্তাব বা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রস্তাব ৫৮-২১ ভোটে পাশ করান। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মুসলিম লিগের পাতা ফাঁদ থেকে বের করে আনেন হিন্দু বাঙালিকে। হিন্দু বাঙালি পায় তার নিজস্ব হোমল্যান্ড। ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ ও নোয়াখালির দাঙ্গার পরেও মুসলিম লিগ সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনের নামে হিন্দু বাঙালিকে দাস করে রাখার পরিকল্পনা। মুসলিম লিগের যাবতীয় চক্রান্তকে প্রতিহত করতে সমর্থ হন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 66: “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    Ramakrishna 66: “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধুগণ পঞ্চবটীর চাতাল হইতে অবতরণ করিলেন ও ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে আসিয়া দাঁড়াইলেন। ঠাকুর দক্ষিণাস্য হইয়া নিজের ঘরের দিকে তাঁহাদের সহিত কথা কহিতে কহিতে আসিতেছেন।

    ঠাকুর বলিতেছেন, ডুব দিলে কুমির ধরতে পারে, কিন্তু হলুদ মাখলে কুমির ছোঁয় না। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে কামাদি ছয়টি কুমির আছে। কিন্তু বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না।

    পাণ্ডিত্য কি লেকচার কি হবে যদি বিবেক-বৈরাগ্য না আসে। ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য; তিনিই বস্তু আর সব অবস্তু; এর নাম বিবেক।

    তাঁকে হৃদয়মন্দিরে আগে প্রতিষ্ঠা কর। বক্তৃতা, লেকচার, তারপর ইচ্ছে হয়তো করো। শুধু ব্রহ্ম ব্রহ্ম বললে (Kathamrita) কি হবে, যদি বিবেক-বৈরাগ্য না থাকে? ও তো ফাঁকা শঙ্খধ্বনি?

    এক গ্রামে পদ্মলোচন বলে একটি ছোকরা ছিল। লোকে তাকে পোদো পোদো বলে ডাকত। গ্রামে একটি পোড়ো মন্দির ছিল, ভিতরে ঠাকুর-বিগ্রহ নাই—মন্দিরের গায়ে অশ্বত্থগাছ, অন্যান্য গাছপালা হয়েছে। মন্দিরের ভিতরে চামচিকা বাসা করেছে। মেঝেতে ধুলা ও চামচিকার বিষ্ঠা। মন্দিরে লোকজনের আর যাতায়াত নাই।

    একদিন সন্ধ্যার কিছু পরে গ্রামের লোকেরা শঙ্খধ্বনি শুনতে পেলে। মন্দিরের দিক থেকে শাঁখ বাজছে ভোঁ ভোঁ করে। গ্রামের লোকেরা মনে করলে, হয়তো ঠাকুর প্রতিষ্ঠা কেউ করেছে, সন্ধ্যার পর আরতি হচ্ছে। ছেলে, বুড়ো, পুরুষ, মেয়ে—সকলে দৌড়ে দৌড়ে মন্দিরের সম্মুখে গিয়ে উপস্থিত। ঠাকুরদর্শন (Ramakrishna) করবে আর আরতি দেখবে। তাদের মধ্যে একজন মন্দিরের দ্বার আস্তে আস্তে খুলে দেখে, পদ্মলোচন একপাশে দাঁড়িয়ে ভোঁ ভোঁ শাঁখ বাজাচ্ছে। ঠাকুর প্রতিষ্ঠা হয় নাই—মন্দির মার্জনা হয় নাই—চামচিকার বিষ্ঠা রয়েছে। তখন সে চেঁচিয়ে বলছে (Kathamrita);

    মন্দিরে তোর নাহিক মাধব!

    পোদো, শাঁখ ফুঁকে তুই করলি গোল!

    তায় চামচিকে এগার জনা, দিবানিশি দিচ্ছে হানা-

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Replica: নিউইয়র্কে ইন্ডিয়া ডে প্যারেড আলোকিত করতে অংশ নেবে রাম মন্দিরের প্রতিরূপ

    Ram Mandir Replica: নিউইয়র্কে ইন্ডিয়া ডে প্যারেড আলোকিত করতে অংশ নেবে রাম মন্দিরের প্রতিরূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জন্য গর্বের দিন। এবার নিউইয়র্কে (New York) ভারত দিবসের প্যারেড আলোকিত করতে অংশ নেবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিরূপ (Ram Mandir Replica)। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ আগস্ট নিউইয়র্কে ভারত দিবসের প্যারেডের সময় রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ প্রদর্শন করা হবে, যা নিউ ইয়র্ক এবং এর আশেপাশের হাজার হাজার ভারতীয় আমেরিকানদের আকর্ষণ করবে।  

    নিউইয়র্কে ভারত দিবস পালন 

    এ প্রসঙ্গে আমেরিকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHPA) সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ মিত্তল জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রতিরূপটি ১৮ ফুট লম্বা, ৯ ফুট চওড়া এবং ৮ ফুট উচ্চতার হবে। এই প্রথম রাম মন্দিরের প্রতিরূপ (Ram Mandir Replica) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত হবে। নিউইয়র্কের (New York) এই বার্ষিক ইন্ডিয়া ডে প্যারেড ভারতের বাইরে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সবচেয়ে বড় উদযাপন। জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই বার্ষিক প্যারেড দেখার জন্য সামিল হন। এই প্যারেড মিডটাউন নিউইয়র্কের পূর্ব ৩৮তম স্ট্রিট থেকে পূর্ব ২৭তম স্ট্রিট পর্যন্ত চলে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) দ্বারা সংগঠিত এই প্যারেডের কুচকাওয়াজে ভারতীয় আমেরিকান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী অসংখ্য ফ্লোট রয়েছে। 
    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভিএইচপিএ একটি রাম মন্দির রথযাত্রার আয়োজন করেছে, যা ৬০ দিনের মধ্যে ৪৮টি রাজ্যে ৮৫১টি মন্দির পরিদর্শন করেছে। এই রথযাত্রার সফরটি হিন্দু-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে রাম মন্দির প্রকল্পের জন্য শ্রদ্ধাকে গভীরভাবে প্রশস্ত করেছে। 

    আরও পড়ুন: সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব

    রামমন্দির প্রতিরূপের তাৎপর্য  

    প্যারেডে রাম মন্দিরের প্রতিরূপের (Ram Mandir Replica) উপস্থিতি শুধুমাত্র ভারতের রামমন্দির প্রকল্পকে স্মরণ করে না বরং এর লক্ষ্য হল হিন্দু ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় তাৎপর্য সম্পর্কে বিভিন্ন দর্শকদের শ্রদ্ধা অর্জন করা। এছাড়াও এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হিন্দু-আমেরিকান সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে। এই বছরের ইন্ডিয়া ডে প্যারেড সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় প্রতীকের মিশ্রণের সঙ্গে একটি সম্মিলিত অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।   

    রাম মন্দির

    বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এবছর ২২ জানুয়ারী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান করেছিলেন। বর্তমানে মন্দিরটি ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এবার ভারতের সেই গর্বের প্রতীকই প্রদর্শিত হবে বিদেশের মাটিতে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

    Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহে রাস্তায় ফেলে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বারাকপুরে (Barrackpore) এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। জখম যুবক আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুলাই রাতে বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার যুবক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। বারাকপুর উড়ালপুরের কাছে বুড়িরবাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মী সাদ্দামের নেতৃত্বের তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তার অনুগামীরাও ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান। জখম যুবকের পরিবারের লোকজন বলেন, রাতেই ছেলে বাড়ি ফিরে আসছে না দেখে খোঁজ খবর শুরু করি। কিন্তু, কোনওভাবেই আমরা তার হদিশ পাচ্ছিলাম না। পরে, এক পরিচিতের মাধ্যমে জানতে পারি, বুড়িবাজার এলাকায় সাদ্দামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। বুড়িবাজার এলাকায় এসে দেখি ও রাস্তাতেই পড়ে রয়েছে। ওর মাথা দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কেন এভাবে হামলা চালালো তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, এটা ঘটনাটি বারাকপুর পুরসভার মধ্যে হয়েছে। তবে, এই পুরসভা এলাকার কেউ নয়। কারণ, জখম যুবকের বাড়ি সদর বাজারে। আর সাদ্দাম তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী হলেও তার বাড়ি সদর বাজার এলাকায়। এলাকাটি উত্তর বারাকপুর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলাকারীদের (Trinamool Congress) অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    Hilsa Fish: বর্ষার মরশুমে ভাতের সঙ্গে ইলিশ না হলেই নয়! কিন্তু কাদের জন্য এই মাছ বাড়তি বিপদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন দুয়েক লাগাতার বৃষ্টি। উত্তর থেকে দক্ষিণ একঘেয়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী। কিন্তু বর্ষার নানান ভোগান্তি থাকলেও, বর্ষার বাঙালির স্বাদ বাড়ায় ইলিশ (Hilsa Fish)। জলের রূপোলি শস্য, ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন অধিকাংশ বাঙালিই। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা হোক কিংবা ইলিশের পাতুরি, নানান পদের ইলিশ মাছ রান্না হয় বাঙালির হেঁসেলে। কিন্তু বাঙালির এই প্রিয় মাছে পুষ্টিগুণ কতখানি, কাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এই মাছ (Ilish)! সে দিকে নজর না থাকলে শরীরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে ইলিশ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ইলিশ খেলে কী হতে পারে? (Hilsa Fish)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ইলিশ মাছ নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে। কিন্তু আসলে ইলিশ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই তিন উপাদান হার্টের জন্য খুব উপকারী। তাই ইলিশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
    এছাড়া ইলিশ আয়রন এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ একটা মাছ। তাই মহিলাদের জন্য বিশেষ করে ইলিশ মাছ খুব উপকারী বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমায় ইলিশ। আবার ওমেগা থ্রি থাকায় একাধিক শারীরিক সমস্যা মোকাবিলাতেও ইলিশ সাহায্য করে। 
    ইলিশে (Hilsa Fish) রয়েছে নানান ভিটামিন। তাই ইলিশ ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে জরুরি ইলিশের ফ্যাট। ইলিশ মাছে রয়েছে গুড ফ্যাট। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছে যে ফ্যাট উপাদান রয়েছে, তা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এই গুড ফ্যাট‌ হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। ইলিশ মাছ চোখের জন্য ভালো। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইলিশে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

    কিন্তু কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ইলিশ? (Hilsa Fish)

    খুব উপকারি মাছ হলেও, সবার শরীরে ইলিশের উপকার একরকম নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ছে। আর এই রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। তাই যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের জন‌্য ইলিশ বিপজ্জনক হতে পারে। মুখে বা শরীরের যে কোনও অংশে লাল দাগ হওয়া, পেটে ব্যথা অনুভব করার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকলে ইলিশ খেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ, অনেক সময়েই ইলিশ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ সামুদ্রিক মাছ। আর এই মাছ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীর সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই ইলিশ মাছ (Ilish) খাওয়ার সময়ে এগুলো খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ সম্প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নামে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন। মন্ত্রী অরূপ রায় তথা শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনে গ্রেফতার হওয়া হাওড়ার ওই যুবককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court) । বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) মুক্তির নির্দেশের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকার চরম নিন্দা করেছেন।

    বিচারপতির প্রশ্ন (Justice Amrita Sinha)

    মুখ্যমন্ত্রীর লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন কমেন্ট বক্সে এরশাদ সুলতান অরূপ রায় এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গর বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন করেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা ক্ষোভ জানালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? নাকি পুলিশ নিজে থেকে নাক গলাল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, দুজনের মধ্যে গোলমাল হলে তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় একজনকে পুলিশ এভাবে গ্রেফতার করে নিল? এটা কি আইন?

    গ্রেফতার প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে

    কোথা থেকে এবং কবে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) । জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রথমে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির না হওয়ায় দুদিন পর তাঁকে ৩০ শে জুন বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন ৩০ জুন শিবপুর থানার সারাদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, শাহিন নোটিস পেয়ে থানায় গেলে তাঁকে প্রথমে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে জানানো হয় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুশোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে অভিযোগ করেছিলাম। ওই ব্যক্তি যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা ভাস্কর রায় বলেন, “সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বললেই তাঁকে গ্রেফতার করা এ রাজ্যে রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘কঠোর ব্যবস্থা নিন’! রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহকে চিঠি বোসের

    এখানে শাসকের আইন চলে। আইনের শাসন চলে না। এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই তা শাসক এবং তাঁদের দোসর পুলিশ বারংবার প্রমাণ করছে। হাইকোর্টে (High Court) বারংবার বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) এ রাজ্যের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সরকার বদল না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির বদল হবে না।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    Arabul Islam: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা ছিলেন আরাবুল ইসলাম। এই এলাকায় তৃণমূলের তিনিই ছিলেন শেষ কথা। এখন সেই নিজের খাসতালুকে ব্রাত্য আরাবুল (Arabul Islam) । বুধবার জামিন পাওয়ার পর দলের মধ্যে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ায় ভাঙড় জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সরানো হল আরাবুলের নেমপ্লেট (Arabul Islam)

    জানা গিয়েছে, অপরাধের মামলায় জামিন পেয়েছেন আরাবুল (Arabul Islam)। তাঁর জামিন নিয়ে নিরুত্তাপ ভাঙড়। কোথাও দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস বা বিজয় মিছিল নেই। তার মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরে গেল তাঁর নামফলক। বলা যেতে পারে, প্রায় ৬ বছর পর ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ‘গৃহহীন’ হলেন আরাবুল। সভাপতির ঘরে এখন সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড় এবং বিধায়ক শওকত মোল্লা-ঘনিষ্ঠ খইরুল ইসলামের নাম। গত সপ্তাহে প্রকাশ্য সভা থেকে আরাবুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, দলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। সে কথা খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জানিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের ছেলে হাকিমুলকে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাইয়ে দেওয়া, প্রধান করানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে আরাবুলের বিরুদ্ধে।

    আরাবুলহীন ভাঙড়ে ভাল লিড পেয়েছে তৃণমূল!

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। সভাপতি হন আমিনা বেগম বিশ্বাস। আরাবুল (Arabul Islam) তখন ভাঙড়ের বিধায়ক। তখন থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতেই ছিল তাঁর অফিসঘর। বিধায়ক পদ খুইয়ে ২০১৩ সালে  ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। তখন আরাবুলের নামফলক লাগানো হয় ঘরের সামনে। আধুনিকীকরণ হয় ওই ঘরের। ২০১৮ সালে নিজে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হলেও ওই ঘর ছাড়েননি তৃণমূল নেতা। ২০২৩ সালে আবার সভাপতি হন আরাবুল। অফিস সেই একই ছিল। আরাবুল জেলে থাকার সময়ই ভাঙড়-২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক পদ খুইয়েছেন। লোকসভা ভোটে আরাবুলহীন ভাঙড়ে শওকতের নেতৃত্বে তৃণমূল ভাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। তারপর গত ৯ জুন ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। এখন থেকে সেই অফিসে বসছেন সহ-সভাপতি সোনালি। তিনি এখন আরাবুলের চেয়ারে বসছেন। তাঁর পাশে ওই ঘরে বসার বন্দোবস্ত হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনকারী এবং আরাবুল-বিরোধী বলে পরিচিত খইরুল ইসলামের। আরাবুলের নামফলক সরানো নিয়ে বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তৃণমূলে আরাবুলের রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি নিয়ে ভাঙড় জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আর আরাবুল বলেন, এত সহজে আমাকে সরানো সহজ হবে না। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share