Author: user

  • Swami Vivekananda: ইলিশ কেনা থেকে শিষ্যদের ব্যাকরণ পড়ানো, প্রয়াণের দিনে কী কী করেছিলেন স্বামীজি?

    Swami Vivekananda: ইলিশ কেনা থেকে শিষ্যদের ব্যাকরণ পড়ানো, প্রয়াণের দিনে কী কী করেছিলেন স্বামীজি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উনবিংশ শতকের প্রাণপুরুষ তিনি। সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন, সেই বোধদয় জাগিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনিই শিখিয়ে গিয়েছিলেন (Quotes Of Swami Vivekananda), ‘‘এস, মানুষ হও। নিজেদের সংকীর্ণ গর্ত থেকে বাইরে গিয়ে দেখ, সব জাতি কেমন উন্নতির পথে চলেছে। তোমরা কি মানুষকে ভালোবাসো? তোমরা কি দেশকে ভালোবাসো? তাহলে এস, আমরা ভালো হবার জন্য, উন্নত হবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করি। পেছনে চেয়ো না-অতিপ্রিয় আত্মীয়স্বজন কাঁদুক; পেছনে চেয়ো না, সামনে এগিয়ে যাও।’’ ১৯০২ সালের ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) প্রয়াণ দিবস। বেলুড় মঠে সেদিন রাত ন’টার কিছু পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বামীজি। সকাল থেকেই দিনটা তাঁর শুরু হয়েছিল অন্যান্য দিনের মতোই। সারা দিনভর চলেছিল কর্মব্যস্ততা। ভক্তদের মনে বিন্দুমাত্র আশঙ্কা দেখা দেয়নি যে স্বামীজির কিছু হতে পারে! কেমন ছিল তাঁর শেষ দিনটা আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    প্রয়াণের দিন কিনেছিলেন বর্ষার প্রথম ইলিশ

    নিজের অভ্যাস মতোই ১৯০২ সালের ৪ জুলাই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়েন বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)। সেদিন ছিল মেঘে ঢাকা আকাশ। পড়ছিল বৃষ্টি। জানা যায়, বর্ষার সেই দিনে সকালে মন্দিরে দীর্ঘ সময় পূজা-অর্চনায় মগ্ন ছিলেন স্বামীজি। সকাল থেকে শারীরিক অসুস্থতার কোনও লক্ষণই ছিল না। পূজা-অর্চনার পরে সকালের প্রাতঃরাশ হিসেবে দুধ-ফল খান স্বামীজি। গুরুভাইদের সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হাসিঠাট্টাও করেন। বর্ষার প্রথম ইলিশও কেনেন সেদিন। তারপর স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে গঙ্গাপাড়ে কিছুক্ষণ পায়চারি করেন। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি ধ্যানে বসেন। এগারোটা নাগাদ ধ্যানভঙ্গ হয়। জানা যায়, এর পরেই স্বামীজি গান গেয়ে ওঠেন, ‘‘শ্যামা মা কি আমার কালো….’’

    দুপুরে শিষ্যদের পড়ালেন সংস্কৃত ব্যাকরণ

    ভোজন রসিক স্বামীজির (Swami Vivekananda) দুপুরের পাতে ছিল ইলিশের নানা পদ। ইলিশের ঝোল, ভাজা বেশ তৃপ্তি করে খান তিনি। জানা যায়, তারপর দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন। অল্প সময় পরে আবার জেগে ওঠেন। এরপরেই জানান, তাঁর মাথা ব্যথা করছে। পরে লাইব্রেরিতে গিয়ে ব্যাকরণ পড়াতে থাকেন শিষ্যদের। বিকেল পর্যন্ত চলে পড়াশোনা। তারপর এক কাপ গরম দুধ খেয়ে স্বামী প্রেমানন্দকে নিয়ে বেলুড়বাজারে ভ্রমনে যান। অনেকটাই হাঁটেন সেদিন, প্রায় ২ মাইল। বিকাল পাঁচটা নাগাদ মঠে ফিরে বিবেকানন্দ প্রেমানন্দকে বলেন, ‘‘আজ আমার শরীর খুব ভালো আছে।’’

    মহাপ্রয়াণ

    ১৯০২ সালের ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ধ্যানে বসেন স্বামীজি (Swami Vivekananda)। জানা যায়, ঠিক পৌনে আটটা নাগাদ শিষ্যদের বলেন, ‘‘গরম লাগছে জানলা খুলে দাও।’’ এরপরেই মেঝেতে পাতা বিছানাতে তিনি শুয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ চিৎ অবস্থা থেকে তিনি বাঁ দিকে ফেরেন। তারপরেই ডান হাত কেঁপে ওঠে। তাঁর কপালে ঘাম দেখা যায়। শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন স্বামীজি। জানা যায়, রাত্রি ৯টা ০২ থেকে ৯টা ১০-এর মধ্যবর্তী সময়ে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। কিছুক্ষণ চুপ করে ফের আবার দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। এরপরই তাঁর মাথা নড়ে ওঠে। বালিশ থেকে পড়ে যায় তাঁর মাথা। চোখ তখন স্থির। শিষ্যদের ধারণা ছিল, স্বামীজীর সমাধি হয়েছে। কিন্তু পরে ডাক্তার এসে জানান তিনি নেই।

    মহাপ্রয়াণের কথা স্বামীজি (Swami Vivekananda) কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন?

    তাঁর মহাপ্রয়াণের কথা স্বামীজি কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন? কারণ তিনি শিষ্যদের বলতেন, ৪০ পেরোবেন না তিনি। প্রয়াণও হয় মাত্র ৩৯ বছর বয়সে। মহাপ্রয়াণের দু’দিন আগেই ভগিনী নিবেদিতাকে নিজের সামনে বসিয়ে পঞ্চব্যঞ্জন খাইয়েছিলেন। তারপর তাঁর হাত-পা ধুয়ে দিয়েছিলেন। কারণ জানতে চাইলে নিবেদিতাকে স্বামীজি বলেছিলেন (Quotes Of Swami Vivekananda), ‘‘যিশুখ্রিস্ট এমনটাই করেছিলেন, তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে।’’ অবাক ভগিনী নিবেদিতা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘সে তো একেবারে তাঁর শেষ সময়ে।’’ এর উত্তরে সামান্য হেসে স্বামীজি বলেছিলেন, ‘সিলি গার্ল’।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 july 2024: মকর রাশির জাতকরা সাবধানে গাড়ি চালান আজ

    Daily Horoscope 04 july 2024: মকর রাশির জাতকরা সাবধানে গাড়ি চালান আজ

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভাই-বোনের পরামর্শে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) শ্বশুরবাড়ির কোনও ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন এড়িয়ে যান।

    ৩) সন্তানের ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক হন।

    বৃষ

    ১) অন্যের কাছ থেকে কোনও প্রত্যাশা রাখবেন না।

    ২) সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কমে আসতে পারে।

    ৩) আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে সাফল্য পেতে।

    মিথুন

    ১) শত্রু প্রবল হবে।

    ২) গুজবের কারণে লক্ষ্যচ্যুত হতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যায় অর্থলাভ।

    কর্কট

    ১) টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে।

    ২) সঠিক সুযোগ পাবেন।

    ৩) সমাজসেবা করবেন আজ।

    সিংহ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বিনোদনে সময় ব্যয় করবেন।

    ২) সন্তানের প্রতি নিজের দায়িত্ব পূরণ করুন।

    ৩) আপনার ব্যবহারে সকলে খুশি হবে।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা হবে, যা আপনাকে কষ্ট দেবে।

    ২) পরিবারের কারও বিয়ের প্রস্তাব আসতে পারে।

    ৩) সন্ধ্যা নাগাদ মন্দিরে দেবদর্শনের জন্য যেতে পারেন।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) নিজের সমস্ত কাজ অন্যের ওপর ছেড়ে দেবেন না, তাঁরা আপনার বিশ্বাসের দুর্ব্যবহার করতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ধনু

    ১) ভালো সময় কাটাবেন আজ।

    ২) আর্থিক জীবনে সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বহুদিন ধরে আটকে থাকা টাকা এবার ফিরে পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান।

    ৩) বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সাহায্যে কাজ করুন।

    কুম্ভ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ক্রয়ের পরিকল্পনা করে থাকলে আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শ মেনে চললে ভালো ফল পাবেন।

    মীন

    ১) ব্যবসায় মনোনিবেশ না-করায় সমস্যা হতে পারে।

    ২) আলস্য ত্যাগ করে পুনরায় কাজ শুরু করুন।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য উপহার কিনতে পারেন।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hathras Religious Event: যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা!

    Hathras Religious Event: যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে পদপিষ্ট (Hathras Religious Event) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুরজপাল সিং ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার (Bhole Baba)। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। এহেন ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি তাঁর নামে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে আগ্রা, কাসগঞ্জ, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন জায়গায়। তার পরেও দিব্যি ‘ব্যবসা’ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।

    গুরুগিরির আড়ালেই কুকীর্তি! (Hathras Religious Event)

    উত্তরপ্রদেশেরই এটা জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের নাগরি গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম ভোলে বাবার। পড়াশোনা শেষে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশে। পরে পুলিশের চাকরি চলে যাওয়ায় শুরু করেন ‘ধর্ম ব্যবসা’ (Hathras Religious Event)। সেজে যান গুরু। নাম নেন ভোলে বাবা। এই গুরুগিরির আড়ালেই তাঁর যাবতীয় কুকীর্তি চলতে থাকে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ভোলে বাবার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সেই ১৯৯৭ সালে। তার পরেই খোয়াতে হয় চাকরি। জেলও খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে নাম নেন সাকার বিশ্ব হরি বাবা। পূর্ব পুরুষের ভিটেয় খোলেন আশ্রম। নাম নেন ভোলে বাবা। এর পরেই জমে যায় ‘ব্যবসা’। দিন দিন বাড়তে থাকে ভক্ত সংখ্যা। ফুলেফেঁপে ওঠেন যৌন নির্যাতনের অভিযোগে চাকরি খোয়ানো এই ‘ধুরন্ধর’।

    আর পড়ুন: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    জেলের ভাতও খেয়েছেন!

    পুলিশের দাবি, ২০০১ সালে নিজের ভাগ্নি মারা যাওয়ার পর তাঁকে বাচানোর ছল করেছিলেন ভোলে বাবা। সেই সময় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পাঠানো হয় জেলে। আইন ভাঙার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে অতিমারি-পর্বে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় জমায়েত আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছিল। আর পাঁচজন ধর্মগুরুর মতো গেরুয়া পোশাক পরেন না ভোলে বাবা। তিনি পরেন সাদা জামা-প্যান্ট, সাদা স্যুট কিংবা সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। ভোলে বাবার বৈভবও চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। তাঁর কনভয়ে ৩০টির বেশি দামি গাড়ি রয়েছে। ভোলে বাবাকে (Hathras Religious Event) ঘিরে থাকেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁর বাহিনীতে রয়েছেন পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীও।

    এহেন ভোলে বাবা (Bhole Baba) লুকোলেন কোথায়?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের কাছে আমার নীতিগত লড়াই ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ দিন বসে নাটক করলেও ১৪৪ ধারা থাকে না। রাজভবনে ধর্নায় এক মিনিটের অনুমতি দিলেও সেটা আমার কাছে বড় পাওনা ছিল। আদালত আমাকে চার ঘণ্টার নির্দেশ দিয়েছে, এটা বড় পাওনা। ১৪ তারিখে রাজভবনে প্রতিবাদে বসা নিয়ে তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে আসেন। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন আগামী ১৪ তারিখে প্রায় ২০০ জন শহিদ পরিবার এবং ৩০০ জন অত্যাচারী পরিবারকে নিয়ে রাজভবনের সামনে প্রতিবাদে বসব। তাঁর রাজভবনে বসা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা চলছিল। রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই আদালত শুভেন্দু অধিকারীকে চার ঘণ্টার প্রতিবাদে বসার অনুমতি দেয়। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ ঘণ্টা অনশনে নাটক করলেও তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে না।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    চোপড়া নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    চোপড়াকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, চোপড়ায় যা হয়েছে তা দেশবাসীর কাছে লজ্জার। তৃণমূলের মদতেই এসব হয়েছে। ভোটের পর থেকেই বিজেপি  (BJP) কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। হিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। অন্যদিকে, জগন্নাথ সরকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে বিশেষ কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। এখানে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। প্রচার তিনি শুরু করেছেন প্রচার তিনিই শেষ করবেন। আর এই বিধানসভার মানুষ বিজেপির (BJP) সঙ্গে রয়েছেন। এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিট বিতর্কে (NEET Controversy) মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা উল্লেখ করেছেন। আমি আশাকরি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গোটা হাউস এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বেগের।” রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব পর্ব চলছে রাজ্যসভায়। এই সভায়ই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের তরুণদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না যারা আপনাদের প্রতারণা করেছে, কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশের তরুণ ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের জবাবদিহি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কঠোর আইন লাগু করেছি এবং পুরো ব্যবস্থাটাই নিশ্চিদ্র করার ব্যবস্থা করছি।”

    ছাত্রদরদি সরকার

    তাঁর সরকার যে ছাত্রদরদি, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে, যেখানে পড়ুয়ারা মন দেবে কেবল পড়াশোনায়, পরীক্ষার কোনও ভীতি তাদের থাকবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আমাদের দেশের তরুণদের আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, যারা আপনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে (NEET Controversy), এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না।”

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ডাক্তারিতে ভর্তি হতে গেলে পাশ করতে হয় নিট ইউজি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতিও হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে আইন আনে সরকার। নির্দেশ দেয় সিবিআই তদন্তের। রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় (PM Modi) এনটিএ-র (এই সংস্থাই পরীক্ষাটি নেয়) ডিরেক্টরকে। এদিকে, এদিনই এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লেখেন, “ইন্ডি জোটের উদ্দেশ্যই হল মিথ্যা ও জল্পনার আশ্রয় নিয়ে আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানো। এটা দেশ বিরোধী এবং শিক্ষার্থীদেরও বিরোধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথাভাঙার পর এবার শ্যামনগর (Shyamnagar)। বিজেপি মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায়। আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shyamnagar)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীর বাড়ি শ্যামনগরের (Shyamnagar) কাউগাছি এলাকায়। তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ভোটেও দলের হয়ে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেসব তোয়াক্কা না করেই বিজেপির হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পরই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওই বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। পরে, এলাকায় তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়। বাড়িতে পরিবার নিয়ে তিনি একাই থাকতেন। তিনি আয়ার কাজ করেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর তাঁর কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হত। আর তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রয়েছে। সে আতঙ্কে স্কুল পর্যন্ত যেতে পারত না। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা ছিলেন। বুধবার পাড়ার ট্যাপ থেকে তিনি জল আনতে যান। সেই সময় পাড়ার অন্যরা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। ট্যাপে জল নিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর এই জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার শুরু। এরপরই মহিলা বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গল গল করে তাঁর মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে, তাঁর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রসঙ্গত, কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার শ্যামনগরের তৃণমূলের নির্মম অত্যাচারের ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, এটা পারিবারিক কোনও গন্ডগোলের কারণে ঘটেছে। পরে, রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে। এসব করে বিজেপি (BJP) তৃণমূলকে বদনাম করতে চাইছে। অন্যদিকে, বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, দলীয় ওই কর্মীকে ভোটের পর থেকে তৃণমূল একঘরে করে রেখেছিল। বিজেপি করার অপরাধেই এই হামলা। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI in NEET: যে আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

    CBI in NEET: যে আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ

    সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। আবাসনের ১২ নম্বর ব্লকের দোতলায় অমিতের রুম ছিল তালাবন্দি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই।

    আরও পড়ুন: গোয়েন্দার চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু! হাথরসের সেই ‘ভোলেবাবা’ পলাতক

    সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

    হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস

    নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।  একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়। সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে। সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান। প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 65: “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    Ramakrishna 65: “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    বেলা প্রায় নয়টা। ঠাকুর নিজের ঘরে বসিয়া আছেন। মনোমহন কোন্নগর হইতে সপরিবারে আসিয়াছেন। মনোমহন প্রণাম করিয়া বলিলেন, এদের কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি। ঠাকুর কুশল প্রশ্ন করিয়া বলিলেন, আজ ১লা, অগস্ত্য, কলকাতায় যাচ্ছ, কে জানে বাপু! এই বালিয়া একটু হাসিয়া অন্য কথা কহিতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্রকে মগ্ন হইয়া ধ্যানের উপদেশ

    নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধুরা স্নান করিয়া আসিলেন। ঠাকুর ব্যগ্র হইয়া নরেন্দ্রকে বলিলেন (Kathamrita), যাও বটতলায় ধ্যান কর গে, আসন দেব?

    নরেন্দ্র ও তাঁহার কয়টি ব্রাহ্মবন্ধু পঞ্চবটীরমূলে ধ্যান করিতেছিলেন। বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিয়ৎক্ষণ পরে সেইখানে উপস্থিত; মাস্টারও আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি)—ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়। উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?

    এই বালিয়া ঠাকুর মধুর স্বরে গান গাহিতে লাগিলেন;

    ডুব দে মন কালী বলে। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে।

    রত্নাকর নয় শূন্য কখন, দু-চার ডুবে ধন না পেলে,

    তুমি দম-সামর্থ্যে এক ডুবে যাও, কুলকুণ্ডলিনীর কুলে।

    জ্ঞান-সমুদ্রের মাঝে রে মন, শান্তিরূপা মুক্তা ফলে,

    তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে, শিবযুক্তি মতো চাইলে।

    কামাদি ছয় কুম্ভীর আছে, আহার-লোভে সদাই চলে,

    তুমি বিবেক-হলদি গায়ে মেখে যাও, ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে।

    রতন-মাণিক্য কত, পড়ে আছে সেই জলে,

    রামপ্রসাদ (Ramakrishna) বলে ঝম্প দিলে, মিলবে রতন ফলে ফলে।

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা (Kathamrita) ও সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    আরও পড়ুনঃ “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cashless Payments: নগদহীন পেমেন্টের কারণে মানুষ খরচ করছেন জলের মতো, বলছে সমীক্ষা

    Cashless Payments: নগদহীন পেমেন্টের কারণে মানুষ খরচ করছেন জলের মতো, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল পেমেন্টস। উন্নত দেশের পাশাপাশি উন্নতিশীল দেশেও কার্যত জলভাত হয়ে উঠছে ডিজিটাল পেমেন্টস (Cashless Payments)। মানুষ এতদিন যেভাবে টাকাপয়সা খরচ করত, এখন তা বদলে গিয়েছে পুরোপুরিই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দুই বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডিলেড এবং মেলবোর্নের করা যৌথ সমীক্ষায় (Study Report) এই তথ্য উঠে এসেছে।

    ক্যাশলেস পেমেন্ট (Cashless Payments)

    সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ক্যাশলেস পেমেন্ট হওয়ায় মানুষ এখন খরচ করছে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সমীক্ষকরা বিশ্বের ১৭টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। বিশ্লেষণ করেছিলেন পূর্ববর্তী ৭১টি সমীক্ষা-পত্র। তার পরেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ব্যয়ের মাধ্যম বদলে যাওয়ায় মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি লাক্সারি জিনিসপত্র কিনছেন। এগুলির সিংহভাগই তাঁর প্রয়োজনে লাগে না।

    কী বলছেন স্কোমবার্গ?

    অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালের সমীক্ষক লাচলান স্কোমবার্গ বলেন, “পরিকল্পনা ছাড়া যে ব্যয়, তা রুখতে আমরা ক্রেতাদের কার্ডের পরিবর্তে ক্যাশ নিয়ে যেতে বলেছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা বুঝেশুনে খরচ করছেন। এটাকে সেল্ফ-কন্ট্রোল মেথড হিসেবে দেখা যেতে পারে।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ ক্যাশ ব্যবহার করেন, লোকজন তখন টাকা কিংবা নোট দিতে গিয়ে হিসেব-নিকেশ করেন। এক্ষেত্রে ব্যয়ের কাজটি হয়ে ওঠে আরও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “কিন্তু নগদ লেনদেন না হলে বোঝাই যায় না কত খরচ হচ্ছে, কীভাবেই বা খরচ হয়ে যাচ্ছে জলের মতো।”

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সমীক্ষা (Study Report) করতে গিয়ে সমীক্ষকরা লক্ষ্য করেছেন, বহু-ব্যয়ের সঙ্গে ক্যাশলেস পেমেন্টের সম্পর্ক বহু পুরানো। তাঁরা আরও বলেন, “এই প্রথম দেখা গেল মানুষের ব্যয়শৈলী বাঁধা হয়ে গিয়েছে এই মানদণ্ডে।” সমীক্ষকদের মতে, এই দু’প্রকার ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খুবই সামান্য, তবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ‘কনস্পিসিয়াস কনজাম্পশন’ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এটা এক সময় বড় বিষয় ছিল। ক্রেতা কোন জিনিস কিনছেন, সেটা ছিল তাঁর সিগনাল স্টেটাস। যেমন তিনি কতগুলি লাক্সারি পোশাক কিংবা গয়না কিনছেন, তা দেখে বোঝা যেত তাঁর ক্রয়ক্ষমতা। স্কোমবার্গ বলেন, “আশাতীতভাবে আমরা দেখেছি, ডোনেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্যাশলেস পেমেন্ট হচ্ছে খুবই কম। এক্ষেত্রে ক্যাশেই করা হচ্ছে পেমেন্ট (Cashless Payments)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • North 24 Parganas: কাঁচরাপাড়ায় বুলডোজারে উচ্ছেদ বেআইনি দোকান, ভাঙা হল বিরোধীদের পার্টি অফিস

    North 24 Parganas: কাঁচরাপাড়ায় বুলডোজারে উচ্ছেদ বেআইনি দোকান, ভাঙা হল বিরোধীদের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে দোকান গজিয়ে ওঠার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা রেখেই আজ কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভা, থানামোড় থেকে কুমোরপাড়া পর্যন্ত উচ্ছেদের কাজে নেমেছে। সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে নির্মিত দোকান যেমন ভেঙে ফেলা হয়েছে, একই ভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ও ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হকাররাও নিজেদের জীবন-জীবিকা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তা প্রকাশ করেছেন।

    ভাঙা হল দলীয় কার্যালয় (North 24 Parganas)?

    কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন সিপিএম-এর দলীয় অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুরকর্মী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ করে দলীয় কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের বক্তব্য ছিল, “আগে থেকে প্রশাসন কেন চিঠি বা নোটিশ দিয়ে আমাদের জানায়নি। আমাদের সময় না দিয়ে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল অফিস। কিন্তু কেন এই ভাবে ভাঙা হল? আমরা রাজ্যে হকার উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করায় আমাদের দলীয় কার্যালয়কে টার্গেট করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজত্বে জল্লাদদের শাসন চলছে। তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের দলীয় কর্মীদেরও ভাঙচুর করেছে।”

    সরকারি জমিতে ছিল তৃণমূলের কার্যালয়!

    কাঁচরাপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভার মধ্যে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছিলেন তৃণমূল টাউন সভাপতি খোকন তালুকদার। আজ পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযান চালানোর আগেই নিজের পার্টি অফিসের সরিয়ে নিয়েছেন। লোক লাগিয়ে অফিসের জিনসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে টাউন সভাপতি বলেছেন, “দলের নেত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন যে জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা যাবে না। তাই আমরা আজ পুরসভার কাজের সুবিধার জন্য দখল মুক্ত করলাম জায়গা। এই অফিস আমাদের ৩০ বছরের পুরাতন ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    হকারদের বক্তব্য

    আজ দোকান (North 24 Parganas) ভেঙে দেওয়ায় স্থানীয় হকাররা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক হকার ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা অত্যন্ত গরিব মানুষ, কোনও ক্রমে রাস্তায় দোকান করে খাই। এবার আমাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই তাই পরিযায়ী হয়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতে হয়। এখন হকারি করে খওয়ার অধিকারও কেড়ে নিল। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share