Author: user

  • Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বিজেপির ধর্নায় সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রথমে বিজেপিকে সেই অনুমতি না দিলেও অবশেষে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই বিজেপিকে এই ধর্নায় বসতে হবে। 

    কী জানিয়েছে হাইকোর্ট? (BJP Dharna) 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে শুভেন্দুর মামলার শুনানি ছিল। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের সামনে শুভেন্দুরা যদি ধর্নায় বসেন, তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। এরপর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ধর্নায় অনুমতি দিয়ে  বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তবে সেখান থেকে করা যাবে না কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য। কোনও ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি করতে হবে। কোনও প্রকার অশান্তি সেখানে বরদাস্ত করা হবে না। দূষণবিধি মানতে হবে শুভেন্দু এবং তাঁর সঙ্গীদের। সকাল দশটা থেকে চার ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু। আদালতের শর্ত অনুযায়ী ৩০০ লোক নিয়ে ধর্নায় বসতে পারবেন বিরোধী দলনেতা।   

    আরও পড়ুন: ভেঙেছে গত ১৪ বছরের রেকর্ড! চলতি বছর দেশে তাপপ্রবাহে মৃত্যু শতাধিক

    আগে কী ঘটেছিল? 

    তবে এর আগে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়, রাজভবনের সামনে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) তরফে গত বছর একই জায়গায় শাসকদলের কর্মসূচির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। যেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই সেই দৃষ্টান্ত আদালতে জানান শুভেন্দু। সে সময় আদালত জানিয়েছিল, শাসকদলের নেতা ধর্নায় বসেছিলেন বলে তাঁদেরও ওই জায়গাতেই কর্মসূচি করতে হবে, তার কোনও যুক্তি নেই। শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গাও খুঁজতে বলেছিল আদালত। এরপর আদালতে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজভবনের সামনে কর্মসূচির অনুমতি না পেলে তাঁরা রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্নায় (BJP Dharna) বসতে চান। যদিও পরে রাজভবনের সামনে বিরোধী দলনেতার কর্মসূচিতে সায় দেয় আদালত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের মদতে বেআইনি নির্মাণ! কাজ বন্ধ করলেন মন্ত্রী

    South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের মদতে বেআইনি নির্মাণ! কাজ বন্ধ করলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ত দফতরের জমি দখল করেই চলছিল দোকান নির্মাণ। স্থানীয় পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়ে সেই কাজ করছিল। কিন্তু, নেওয়া হয়নি পূর্ত দফতরের অনুমতি। ফলে, বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠছিল দোকান। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পর হুঁশ ফিরল সকলের। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি দোকান তৈরির কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    বেশ কয়েক মাস আগে গঙ্গাসাগরের (South 24 Parganas) সৌন্দর্যায়ন ও রাস্তা চওড়া হওয়ার জন্য বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানদারকে তুলে দেওয়া হয় কচুবেড়িয়া জেটিঘাটে এলাকা থেকে। দোকানদারদের পুনর্বাসনের জন্য মুড়িগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধভাবে চলছিল এই নির্মাণ কাজ। দোকানদারদের থেকে কাটমানি নেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। তাতে, দোকান পিছু ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। তৃণমূলের (Trinamool Congress) স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শিবশঙ্কর রক্ষিত বলেন, রাস্তা চওড়ার জন্য বহু ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়। তাই, তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্যই ওই স্টলগুলি তৈরি করা হচ্ছিল। এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হল। পরে, বৈঠক করেই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি সুন্দরবন অথরিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র বলেন, এই নির্মাণ কার্য আমরা আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি, প্রশাসনিক বৈঠকের পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, ভেসেল বন্ধ থাকলে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ওই এলাকায়  সরকারিভাবে কোনও যাত্রীশেড নেই। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বারে বারে তৃণমূলের (Trinamool Congress) স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর দোকান বিক্রি করে শুধুমাত্র ব্যবসা করবে বলে নদী বাঁধ এলাকায় এই নির্মাণ কার্য চালাচ্ছে তারা।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    নদী বাঁধ এলাকায় এই কংক্রিটের নির্মাণ করা যায় কি না তা নিয়েও  প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, সর্বত্র এইভাবে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আদতে নাটক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘১০ বছর পূর্ণ করেছি, আরও ২০ বছর বাকি’’, রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    PM Modi: ‘‘১০ বছর পূর্ণ করেছি, আরও ২০ বছর বাকি’’, রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের আসন সংখ্যা কমলেও আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ভাষণ দিতে উঠে মোদি বিরোধী শিবিরের কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা যতই হট্টগোল করুক, আরও দু-দশক দেশে ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। আমরা এক তৃতীয়াংশ সময় কাটিয়ে ফেলেছি। এখনও দুই-তৃতীয়াংশ সময় বাকি আছে। বিরোধীদের এজেন্ডাকে পরাজিত করেছে দেশবাসী। ছয় দশক পর দেশের মানুষ মোদিকে তৃতীয়বার দেশের সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে।”

    হিন্দুদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র (PM Modi)

    রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে মোদি (PM Modi) আরও বলেন, “হিন্দুদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পিএম মোদি রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক বক্তৃতাকে ‘সহানুভূতিমূলক নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং বিরোধী দলের নেতাকে ‘বালক বুদ্ধি’ বা শিশুর স্তরের বুদ্ধি আছে বলে চিহ্নিত করেন। তিনি অগ্নিবীর প্রকল্প, কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP), এসসি, এসটি-র জন্য সংরক্ষণ এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন সহ ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।

    মোদির ভাষণ চলাকালীন প্রবল হট্টগোল (Rajya Sabha)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠতেই প্রবল হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। চিৎকার-চেঁচামেচি ও স্লোগান ভেসে আসে বিরোধীদের শিবির থেকে। বিরোধীদের ব্যাপক বাধা উপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী দৃপ্ত কণ্ঠে নিজের বক্তব্য রাখেন।

    আরও পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মোদি (PM Modi) বলেন, “জনগণের আস্থা শুধু এনডিএ’র উপর রয়েছে। এই নির্বাচন গত ১০ বছরের কৃতিত্বকে সিলমোহর নয়, ভবিষ্যতের উন্নয়নের আরও এক সুবর্ণ সুযোগ। দেশের অর্থব্যবস্থা ১০ থেকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে। এরপর বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, “দেশের রায়কে ব্ল্যাকআউট করার চেষ্টা চলছে। আজ যারা সংবিধান হাতে নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করছে, তারা সংবিধান দিবস পালন করতে চাইনি। এখন লড়তে না পেরে ময়দান ছেড়ে চলে যাওয়াই বিরোধীদের অস্ত্র।”

    অর্থ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি

    ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোদি (PM Modi) । তিনি বলেন, “দেশের আর্থিক পরিস্থিতি করোনা কালের মতো কঠিন সময়েও ভেঙে পড়েনি। আমরা ভেঙে পড়তে দেইনি। আমি আবার বলছি, ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাব।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    Murshidabad: ২৮টি রাজ্যের পাহাড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে বাংলার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দীর্ঘ ৯মাস ধরে ভারতের ২৮টি রাজ্যের উঁচু পাহাড়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে নাম লিখলেন বাংলার সেনকর্মী। এরপর দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফিরে এসে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কান্দি শহরের বাসিন্দা অমিত ঘটক। তাঁকে সম্মাননা দেওয়া হল জেলা থেকে। এলাকায় খুশির আবহ।

    সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অমিত, ২০০০ সালে নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করেই দেশের হয়ে কাজ করার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। এরপর রেজিমেন্টেও কাজ করেছেন তিনি। কখনও পাহাড়ের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার, কখনও বা বরফের ওপর দাঁড়িয়ে রাতের পর রাত পাহারা দিয়েছেন তিনি। তবে দেশের রাজ্যগুলিতে পাহাড়-পর্বত অতিক্রম করে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, এমনকী যেখানে শৃঙ্গ নেই সেখানকার সর্বোচ্চ উচ্চতায় গিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। আর তাতেই বিশেষ সম্মান সহ দেশের নাম ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (World Book of Records) তুলেছেন অমিত।

    মাটি সংগ্রহে হয়েছে ভারতের ম্যাপ

    পশ্চিমবঙ্গের (Murshidabad) সর্বোচ্চ উচ্চতম শৃঙ্গ হল সান্দাকফু। লাদাখে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নুনে অবস্থিত, এমনকী সিকিমের জনসং শিখর, বিহারের গোবর্ধন পর্বত সহ একাধিক জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন অমিত। উল্লেখ্য প্রত্যক পাহাড় থেকে মাটি সংগ্রহ করে ভারতের ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের নিমাসে। আর এই মিশনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেনা জওয়ান হিসাবে ছিলেন অমিত ঘটক। অরুণাচল প্রদেশের জাতীয় পর্বতারোহণ এবং আনুষঙ্গিক ক্রীড়া সংস্থা নিমাসের তরফে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    অত্যন্ত গর্বিত অমিত

    মোট ৯জন প্রতিনিধিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অমিত। তিনি বলেছেন, “চারজন জুনিয়র কমিশন অফিসার, একজন কর্নেল ও চারজন সিভিল ইন্সট্রাক্টর ছিলেন এই মিশনের মধ্যে। তার মধ্যে সুবেদার ছিলাম আমি। রাজ্যের (Murshidabad) হয়ে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (World Book of Records) নাম তুলতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Death for Heatwave: ভেঙেছে গত ১৪ বছরের রেকর্ড! চলতি বছর দেশে তাপপ্রবাহে মৃত্যু শতাধিক

    Death for Heatwave: ভেঙেছে গত ১৪ বছরের রেকর্ড! চলতি বছর দেশে তাপপ্রবাহে মৃত্যু শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে প্রবেশ করেছে বর্ষা। তীব্র গরম কেটে সবে নিস্তার মিলতে শুরু করেছে। তবে বর্তমানে স্বস্তি মিললেও কিছুদিন আগেও গরমে নাজেহাল অবস্থা ছিল দেশবাসীর। একনাগাড়ে তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু (Death for Heatwave) হয়েছে বহু মানুষের। কোথাও আবার জল-বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার তাপপ্রবাহ গত ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরে গোটা দেশজুড়ে (India) প্রায় ৪০ হাজার মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে একশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 

    কী জানালেন ডিরেক্টর জেনারেল?

    আবহাওয়া দফতরের পরিভাষা অনুযায়ী ‘হিটওয়েভ ডেজ’-এর একটি তুলনায় দেখা গেছে যে এবছর তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘গ্রীষ্মকালে মোট ৫৩৬ দিন তাপপ্রবাহের শিকার (Death for Heatwave) হয়েছেন দেশবাসী। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে সবথেকে উষ্ণতম মাস ছিল জুন। ২০১০ সালে মোট ৫৭৮ দিন তাপপ্রবাহের শিকার হতে হয়েছিল দেশবাসীকে। ২০২৪ সালের সেই সংখ্যা ৫৩৬ দিন। ২০১০ সালে জুন মাস থেকে একনাগারে ১৭৭ দিন তাপপ্রবাহ চলেছিল। আর ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮১ দিনে। 

    মাসজুড়ে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকা (Death for Heatwave)  

    উত্তর পশ্চিম ভারতে (India) মাসজুড়ে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৯৬ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১.৩৫ ডিগ্রি বেশি। উত্তর-পশ্চিম ভারতে জুন মাসে গড় তাপমাত্রা ৩১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ও ১৯০১ সালের পর সর্বাধিক।

    তাপপ্রবাহের কারণ

    আবহাওয়াবিদদের মতে, ১০ জুন থেকে ১৯ জুন সময়কালে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অনুপস্থিতিও উত্তর পূর্ব ভারত ও মধ্য ভারতে তাপপ্রবাহ ও শুষ্ক আবহওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যসময় যেখানে ৫ থেকে ১০ জুন-১৯ থেকে ২৫ জুন ও ২৬ থেকে ২৮ জুনের মধ্যে চার পাঁচটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয় সেখানে এবার মাত্র তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: রথ উপলক্ষে বাংলা থেকে পুরী ৪টি স্পেশাল ট্রেন রেলের, কবে, কখন ছাড়বে?

    উল্লেখ্য, এ বছর রাজস্থানের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে রাজধানীতে (Delhi) একটানা ৪০ দিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আবহাবিদদের মতে পরিবেশের উপর অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলবায়ু দূষণই এই তাপপ্রবাহের মূল কারণ। ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে উত্তরোত্তর আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই এখন থেকেই সংযত না হলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও খারাপ দিন দেখতে হবে দেশবাসীকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবাশিস প্রামাণিকের পর এবার কি রঞ্জন শীলশর্মার পালা? সরকারি জমি দখল ও জমির অবৈধ কারবারের অভিযোগে ফুলবাড়ির বেতাজ বাদশা,সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে  ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সেই অভিযানে মঙ্গলবার গজলডোবায় ঝুলন্ত সেতুর পাশে আট বিঘা জমি দখলমুক্ত করে সরকারি সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এই জমি শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা দখল করেছিলেন। সেখানে ভেরি তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি ঘরও ছিল। সেখানে নিয়মিত দলের নেতারা আসতেন। সেই জমি প্রশাসন দখল করে নেওয়ায় তাতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, এবার কি তাহলে রঞ্জন শীলশর্মার গ্রেফতার হওয়ার পালা?

    কেন পদক্ষেপ? (Siliguri)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল ও জমি মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। জমির অবৈধ কারবার বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। তাহলে এতদিন কেন নীরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬ টি ওয়ার্ডেই বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেকটা পিছিয়ে। মেয়র সহ তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডেও একচেটিয়া ভোট পেয়ে বিজেপি বড় লিড নিয়েছে। বাদ নেই এই নেতার ওয়ার্ডও। এটা মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। তাই, এলাকার শীর্ষ নেতা ও কাউন্সিলরদের অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সকলকে বার্তা  দিতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

     কে এই রঞ্জন শীলশর্মা?

    জানা গিয়েছে, রঞ্জন শীলশর্মা শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। এলাকায় তাঁর বিশাল প্রভাব-প্রতিপত্তি। একবার দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জমির অবৈধ কারবার করা ও মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, তাতে রঞ্জনের কোনও সমস্যা হয়নি। বরাবরই তিনি ডাকাবুকো নেতা হিসেবে পরিচিত। গৌতম দেবের বিরুদ্ধে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর হয়েও তিনি বারবার সরব হয়েছেন। তিনি সব সময় নিজের সিদ্ধান্তেই চলেন। প্রকাশ্যে দলের মেয়রের সমালোচনা করতে তাঁর গলা কাপে না। তাই সরকারি জমি প্রশাসন ফিরিয়ে পরও তিনি নির্বিকার। তিনি শুধু বলেন, সরকারের জমি সরকার নিয়েছে।

     আতঙ্কে তৃণমূলের অন্য কাউন্সিলররা

    জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে তিনি এগিয়ে রাখতে পারেননি। লোকসভা নির্বাচনে এই ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে এবার বিতর্কিত রঞ্জন শীলশর্মাকেও কি কোনও কোনও তৃণমূল নেতার স্বার্থে ছেটে ফেলা হবে? এ প্রশ্ন দলের অন্দরে। আর এই প্রশ্নেই শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা এখন রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন। কেননা এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ কাউন্সিলরই তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দিতে পারেননি। আর অনেকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের অভিযোগও রয়েছে। ফলে, কার ওপর এবার রোষ পড়ে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    Darjeeling: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরানো হোক, গড়করির কাছে দাবি রাজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে অপসারণের দাবি জানালেন দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভার সাংসদ রাজু বিস্তা। তিস্তার গতিপথ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজ্য সড়কের উপর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার উদাসীন, তাই জাতীয় সড়কের দায়িত্ব এবার রাজ্য সরকারের হাত ছাড়া হতে বসেছে। ঠিক এমনটাই দাবি করলেন এই বিজেপি সাংসদ। উল্লেখ্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং কিছু দিন আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করে, বাংলার অধীনে থাকা এই সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নেওয়ার দাবি করেন।

    বিজেপি সাংসদের দাবি (Darjeeling)

    বিজেপি সাংসদ রাজুবিস্তা জানিয়েছেন, “উত্তরে সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway 10)। এই সড়ক শুধু লাইফ লাইন নয়, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের গোটা অর্থনীতি, পর্যটন শিল্প এই সড়কের উপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু এই সড়ককে ঠিক মতো মেরামত এবং সংস্কারের কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। গ্রিফ, এনএইচআইডিসিএল (ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট) বা এনএইচআই (ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)-র মতো সংস্থাকে যেন ওই সড়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী রাজ্যের পূর্ত দফতর থেকে সড়ক দেখাশোনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ হাওড়ার উন্নতি ও চন্দননগরের দীপ্তানুর কাছে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী মোদির চিঠি

    ব্যবসায়ীদের দাবি কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক

    এই জাতীয় সড়কের (National Highway 10) উপর নির্ভর করে আছে উত্তরের পর্যটন ব্যবসা। শিলিগুড়ি (Darjeeling) থেকে সিকিম পর্যন্ত অনেক মানুষের ব্যবসা জড়িয়ে রয়েছে এই সড়কের উপরই। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, “উত্তর সিকিমের প্রধান দুটো পর্যটনস্থলের মধ্যে লাচেন প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ। আর লাচুং গত ডিসেম্বরে খুললেও আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা দাবি জানাই, কেন্দ্রীয় সরকার এই সড়কের উপর হস্তক্ষেপ করুক। সিকিম রাজ্য সরকার এবং আমাদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে জিয়োলজিকাল সার্ভে করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Physicians: চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে কোন রোগ? কেন হঠাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা?

    Physicians: চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে কোন রোগ? কেন হঠাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সামান্য জ্বর থেকে জটিল রোগ, যে কোনও সমস্যাতেই চিকিৎসকই (Physicians) ভরসা। রোগ নিরাময়ের ‘জাদুকাঠি’ তাঁদের হাতেই‌। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, রোগ নিরাময়ের কারিগরেরা নিজেরাই ভালো নেই। অধিকাংশ সময়ে নিজেদের অসুখকেই তাঁরা অবহেলা করছেন। আর তার জেরে অকালে ঘটছে মারাত্মক বিপদ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পেশাগত চাপ সামলেও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। চিকিৎসক বলেই সব কিছু সামলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। নিজের সুস্থতার দিকে নজরদারিও জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট? (Physicians)

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকিৎসকদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে‌। পাশপাশি গত কয়েক বছরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে চিকিৎসকদের আত্মহত্যার ঘটনা। এই দুই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি হচ্ছে চল্লিশোর্ধ চিকিৎসকদের মধ্যে। আবার আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে তরুণ চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) মধ্যে‌‌। পুরো বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের (Physicians) শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের এই অবস্থার জন্য মূলত দুটি বিষয় রয়েছে। এক, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা এবং অত্যধিক মানসিক চাপ।চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, সার্জারি, অ্যানাস্থেশিয়া, পেডিয়াট্রিক সার্জারির মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের শাখায় পেশাগত চাপ থাকে মারাত্মক। এই ধরনের চিকিৎসায় তরুণ প্রজন্মের চিকিৎসকেরা খুব সহজে সাফল্য পান না। তাই এক ধরনের অবসাদ কাজ করে। আবার কাজে সামান্য ভুল হলেও মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। তাই আরেক রকম চাপ তৈরি হয়। সব মিলিয়ে পুরো সময়টাই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো হয় না‌। তাই‌ দেখা যায়, এক ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। যা শরীর আর মন, দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকারক।

    আবার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের অনেকেই কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না। অনেকেই বছরের পর বছর বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকেন। এক ধরনের একাকিত্ব গ্রাস করে‌। তার উপরে থাকে রোগীর চাপ। মেডিসিন, শিশুরোগ বিভাগ কিংবা স্ত্রীরোগ বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা (Physicians) অধিকাংশ সময়েই রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খান। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার সুযোগ পান না‌। অনেক সময়েই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অনিয়মিত খাওয়া আর ঘুম কম হওয়ার জেরে হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়‌। আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হতে থাকেন। যার প্রভাব হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার উপরে পড়ে‌। সব মিলিয়েই বাড়ে বিপদ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকিৎসকদের (Medical Practitioner) নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হওয়া জরুরি। সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে কোনও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা আবশ্যিক হলে সহজেই সমস্যা ধরা পড়বে। অবহেলার সুযোগ কমবে‌। বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Special Trains: রথ উপলক্ষে বাংলা থেকে পুরী ৪টি স্পেশাল ট্রেন রেলের, কবে, কখন ছাড়বে?

    Rath Special Trains: রথ উপলক্ষে বাংলা থেকে পুরী ৪টি স্পেশাল ট্রেন রেলের, কবে, কখন ছাড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কিছুদিন পরেই রথযাত্রা (Puri Rath Yatra)। এসময়ে ভক্তদের পুরীতে যাওয়ার ঝোঁক বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়। ফলে টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। অনেক সময় শেষমুহূর্তে পরিকল্পনা করার ফলে ট্রেনের রিজার্ভেশনও মেলে না। তবে যাত্রীদের জন্য সুখবর আনল ভারতীয় রেল। এবার আর চিন্তা নেই, রথে পুরী যাওয়ার প্ল্যান থাকলে আর পড়তে হবেনা অসুবিধায়। কারন সম্প্রতি রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বাড়তি ভিড় সামাল দিতে এবার রথের সময় রাজ্য থেকে ২ জোড়া ট্রেন (Rath Special Trains) চালানো হবে।  

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে চলবে স্পেশাল ট্রেন (Rath Special Trains) 

    জানা গিয়েছে, এবারের রথযাত্রা এবং উল্টো রথে পুরীতে যাওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে চারটি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যে অনলাইনে এবং রেলের কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সরাসরি পুরীতে না গেলেও ওই ট্রেনগুলি পুরীর কাছাকাছি যাবে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রথের আগে শিয়ালদা থেকে একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। অপর ট্রেনটি ছাড়বে মালদা টাউন স্টেশন থেকে। একইভাবে উলটো রথের সময় শিয়ালদা এবং মালদা টাউন থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। ওই দুটি স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে বাড়তি ৮,৩০০ জন যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়া যাবে। এক নজরে দেখে নিন সেই ট্রেনের সময় সূচি। 

    ০৩১০১ শিয়ালদা-খুরদা রোড 

    আগামী ৬ জুলাই রাত ১২টা ৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে রথযাত্রা স্পেশাল ট্রেন (Rath Special Trains) ছাড়বে। যা শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে খুরদা রোড স্টেশনে পৌঁছাবে। একই ভাবে ১৩ জুলাইও একই সময় শিয়ালদা থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। যা পরের দিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে খুরদা রোডে পৌঁছাবে।

    ০৩১০২ খুরদা রোড-শিয়ালদা

    পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ফেরার সময় ৬ জুলাই এবং ১৩ জুলাই বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে খুরদা রোড থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। যা রাত দুটোয় শিয়ালদায় পৌঁছাবে। জানা গিয়েছে, এই এসি স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে ছেড়ে আন্দুল, খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, কটক এবং ভুবনেশ্বর হয়ে খুরদা রোড পৌঁছবে। 

    আরও পড়ুন: ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি কারা? দেখুন সম্পূর্ণ সূচি

    ০৩৪১৯ মালদা টাউন-মালতিপাতপুর

    এছাড়াও পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ জুলাই এবং ১১ জুলাই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে মালদা টাউন স্টেশন থেকে আর একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে। যা রাত ৩টে ৫৫ মিনিটে মালতিপাতপুর স্টেশনে পৌঁছাবে।

    ০৩৪২০ মালতিপাতপুর-মালদা টাউন

    একইভাবে, ৫ জুলাই এবং ১২ জুলাই সকাল ৬টায় মালতিপাতপুর থেকে একটি স্পেশাল ট্রেন (Rath Special Trains) ছাড়বে। যা মালদা টাউনে পৌঁছাবে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। এই ট্রেনটি মালদা টাউন থেকে ছাড়ার পর রামপুরহাট, সাইথিঁয়া, সিউড়ি, অণ্ডাল, আসানসোল, আদ্রা, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হিজলি, বালেশ্বর, ভদ্রক, কটক এবং ভুবনেশ্বর হয়ে পৌঁছবে মালতিপাতপুর। ফলে রথযাত্রায় পুরীতে (Puri Rath Yatra) যাওয়ায় আর কোনও বাধা রইলনা। উত্তর হোক কিংবা দক্ষিণ, রাজ্যের সব জায়গার ভক্তরাই এবার স্বচ্ছন্দে পুরী ভ্রমণ করতে পারবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) বৈঠকের আগে এমনই বললেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

    রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (India Russia Relation)

    ৮ জুলাই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের (Modi Putin Meet) এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই আলোচনার সীমাবদ্ধতা নেই বলেই জানিয়ে দিল মস্কো। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি মস্কোভা নদীর পাড়ের শহরে গিয়েছিলেন পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে ভারতে এসেছিলেন পুতিন (India Russia Relation)। এবার ফের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আলোচ্যসূচি কী জানেন?

    আধিকারিকদের মতে, মোদি এবং পুতিন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সুরক্ষা, বাণিজ্য এবং আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। পেসকভ বলেন, “আমরা (রাশিয়া ও ভারত) যৌথভাবে একীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিই। তাই আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা সর্বদাই আলোচ্যসূচির ওপরের দিকে থাকে। এছাড়াও, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ইন্টারঅ্যাকশনও থাকবে আলোচ্যসূচিতে।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কিছু দেশ। এহেন আবহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্রেমলিন। পুতিন সরকারের ওই আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল পলিটিক্যাল উইল। সেই কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়বে দুই দেশের সহযোগিতা।”

    আর পড়ুন: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    পেসকভ বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সম্পর্কের খুব বিশ্বাসযোগ্য জায়গা রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, আলোচ্যসূচিতে থাকা সমস্ত বিষয়েই মত বিনিময় হবে।” তিনি বলেন, “এই সফর (মোদির) সম্পর্কে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব পরে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে জানাব। তবে একটা কথা বলতে পারি, মোদির রাশিয়া সফরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা।”

    প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি মোতাবেক দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা (Modi Putin Meet) বছরে একবার করে বৈঠক করার কথা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্যও অন্যথা হয়নি এই চুক্তির (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share