Author: user

  • Ghar Wapsi in Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ১৪ জন মহিলা সমেত ৩০ জন মুসলিম ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    Ghar Wapsi in Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ১৪ জন মহিলা সমেত ৩০ জন মুসলিম ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) ৩০ জন মুসলিম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতনে ফিরে এলেন। ইন্দোরের সামাজিক সংগঠন ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চ’- এর সভাপতি শ্যাম পাওয়ারি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘৩০ জন মানুষ ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন স্বেচ্ছায়। সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। ইসলামকে ত্যাগ করেছেন। তাঁদের সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা সম্পূর্ণ আইনিভাবে বৈধ এবং তা ‘মধ্যপ্রদেশ রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্ট-২০২১’ অনুসারে হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ৩০ জনের মধ্যে ১৪ জন মহিলা রয়েছেন।

    অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ইন্দোরের বিখ্যাত খরজানা গণেশ মন্দিরে

    ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সভাপতি পাওয়ারি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা ইন্দোরে থাকতেন। কিছু জনের পূর্বপুরুষ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) বাস করতেন। তাঁরা সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মে ফিরে আসার এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ইন্দোরের বিখ্যাত খরজানা গণেশ মন্দিরে।

    অনুষ্ঠানটিতে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও

    ইন্দোরের ওই গণেশ মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়। রীতি মেনে প্রত্যেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী নিলফার যিনি পরিচিত হলেন নিকিতা নামে। অন্যদিকে, ৩৪ বছর বয়সী আকসার তিনি পরিচিত হলেন আকাঙ্ক্ষা নামে। গোটা অনুষ্ঠানটিতে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও। তাঁরা বলেন, ‘‘যাঁরা ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মকে গ্রহণ করলেন, তাঁদের মধ্যে একটি বালক ছিল যার নাম রোহিত। কয়েক বছর আগেও সে হিন্দু ছিল। কিন্তু তাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হয়। পুনরায় সে সনাতন ধর্মে ফিরে এল।’’ তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ওই একই মন্দিরে ৯ জন মুসলিম ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন।

    কী বলছে প্রশাসন? (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh)

    ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকেরই সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা আইনিভাবে বৈধ। তাঁরা কোর্টে এফিডেফিট জমা করেছেন। ৩০ জন মুসলিমের সনাতন ধর্মে ফিরে আসার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসনও। এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন (Madhya Pradesh) আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি যেখানে বলা হচ্ছে, কোনও রকম চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ওই মুসলিমরা হিন্দু হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FATF: মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের, স্বীকৃতি এফএটিএফ-র

    FATF: মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের, স্বীকৃতি এফএটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং আউটকাম ভারতের। মিউচুয়াল ইভলিউশনের আয়োজন করেছিল ফাইনানসিয়াল অ্যাকশান টাস্ট ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ২৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে এফএটিএফ প্লেনারি হয়েছিল। সেখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে মিউচুয়াল ইভলিউশান।

    কোন ক্যাটেগরিতে ভারত (FATF)

    এই প্লেনারিতেই ‘রেগুলার ফলোআপ’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে ভারতকে। জি২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দেশকে এই ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারত যে চেষ্টা করছে, সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইল ফলক। এই বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে (FATF), অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রুখতে ভারত যে ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এফএটিএফ।

    ঝুঁকি কমেছে অর্গানাইজড ক্রাইমের ক্ষেত্রেও 

    প্রতারণা, দুর্নীতি এবং অর্গানাইজড ক্রাইমের ক্ষেত্রেও এতে কমেছে ঝুঁকি। বর্তমানে দেশ নগদ ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। এর ফলেও অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি কমছে। জনধন, আধার এবং মোবাইল এই তিন মাধ্যমেও নগদের পরিবর্তে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেন। এর ফলেও হ্রাস পাচ্ছে অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি।এফএটিএফ মিউচুয়াল ইভলিউশনে ভারতের পারফরমেন্স দেশের গ্রোয়িং অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা দিচ্ছে। এটা দেশের স্থায়ী এবং মজবুত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও হাইলাইট করছে। অর্থমন্ত্রকের মতে, এই উচ্চ হার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মার্কেট এবং প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ চিনতে সাহায্য করে, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভারতের দ্রুত পেমেন্ট সিস্টেমে বৈশ্বিক প্রসারকে সমর্থন করে।

    আর পড়ুন: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    এফএটিএফের এই স্বীকৃতি আদতে অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নে এতদিন পর্যন্ত ভারতের ওপর যে হুমকি ছিল, তার বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে, তাকে সমর্থন করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির ক্ষেত্রেও এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কালো টাকা উদ্ধারে, অর্থ তছরুপ রুখতে এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে ২০১৪ সাল থেকে ভারত সরকার (মোদি জমানা) যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে, এফএটিএফ আদতে তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই ধারণা অর্থনীতিবিদদের (FATF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাকে খুনের হুমকি! পুলিশকে জানিয়েও হচ্ছেনা লাভ! চাঞ্চল্য

    Siliguri: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাকে খুনের হুমকি! পুলিশকে জানিয়েও হচ্ছেনা লাভ! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোটারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্তা। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেউ। এমনকী পুরসভার অফিসে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।” প্রতিনিয়ত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেকে অসহায় ভেবে কার্যত কেঁদে ফেললেন। ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

    অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের বক্তব্য (Siliguri)

    অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার নাম অভিজিৎ সাহা। তিনি রাজ্যের ডিসিপি পদ মর্যাদার অফিসার ছিলেন, গত ডিসেম্বরে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “শিলিগুড়িতে (Siliguri) বাড়ির পাশেই এক বহুতলের প্রোমোটার গণেশ দাস নামে এক ব্যক্তি, ঠিক তাঁর বাড়ির গা ঘেষে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় বাড়িতে ঢিল পড়ছে। ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই প্রমোটার অত্যন্ত প্রভাবশালী। পুলিশ, স্থানীয় পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জীবনের এতটা সময় পুলিশের হয়ে কাজ করলাম, আজ পুলিশই আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি হাইকোর্টে মামলা করেছি এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। এই নিয়ে মেয়র গৌতম দেব, পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আমার অভিযোগ জানিয়েছি। অবসরের পর এই ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হবে ভাবতে পারিনি।” একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পলি সাহা বলেছেন, “অত্যাচারে আমরা একেবারে অতিষ্ঠ। রাস্তায় বের হতে আমাদের ভয় হচ্ছে। পাড়ার সকলে জানেন বিষয়টা, আর তাই প্রভাবশালী প্রমোটার ভেবে সকলে চুপ করে আছেন। সন্ধ্যে বেলায় মাস্ক পড়ে তিনজন এসে শাসিয়ে গেছে। খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। বলেছে গুলি করে হত্যা করবে। ভয়ে আমাদের ঘুম হচ্ছে না। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ শনি-রবি ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা শাখায়, জানালো পূর্ব রেল

    প্রমোটারের বক্তব্য

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রমোটার গণেশ দাস বলেছেন, “আমি জায়গা না ছেড়েই কাজ করেছি। চাইলে পুরসভা ভেঙে দিক না। আপত্তি নেই। আইনি পথেই এগোচ্ছি।” স্থানীয় তৃণমূলের কাউন্সিলর সিক্তা বসু রায় বলেছেন, “দুজনেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সহ নাগরিক। আইন আইনের পথেই চলবে। আদালতের নির্দেশ দেখিছি। অভিজিৎ সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রোমোটারকে নোটিশ দিয়েছি। সব খতিয়ে দেখছি। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SCO: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর   

    SCO: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার ঘোষণা করেছে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন (SCO) অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবে ভারত। এই বৈঠকে ভারতীয় মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

    এসসিও-র বৈঠকে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (SCO)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধির জয়সওয়াল শনিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, “বিদেশ মন্ত্রী এসসিওর বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। গত বছর ভারত এসসিওর সভাপতিত্ব করেছিল। এবার (SCO) সভাপতিত্ব করবে কাজাখস্তান (Kazakhstan)। সে দেশের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ প্রস্তাব দিয়েছেন একটি সমবায় বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে। এছাড়াও এবারের এসসিও সামিটে বাণিজ্য, জলবায়ু, শান্তি-শৃঙ্খলা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে।”

    কাজাখস্তানকে সহযগিতার আশ্বাস ভারতের (Kazakhstan)

    জানা গিয়েছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আস্তানায় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেছেন কাজাখস্তানের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে অগ্রসর হবে। দ্বিপাক্ষিক কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কাজাখস্তানের (Kazakhstan) রাষ্ট্রপতি মহামান্য কাসিম জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে ভালো কথোপকথন হয়েছে। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। কাজাখস্তানের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আসন্ন এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য ভারতের তরফের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

    এসসিওর গুরুত্ব

    প্রসঙ্গত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার জন্য চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে অংশীদারিত্ব নিয়ে থাকে। ২০২৩ সালে ভারতের সভাপতিত্বকালীন সময়ে ইরানকে একটি পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এছাড়াও বেলারুশ একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    এসসিইওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে নানা সময় আলোচনা হয়েছে। এই সংস্থার সদস্য দেশগুলি বিশ্বের ৪০% মানুষ ও ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড ও জিডিপির ৩০% কভার করে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    Siliguri: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে জমি হাঙররা। তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বেহাত হয়েছে। এখন  জমি-মাফিয়াদের গ্রাসে চলে যাওয়া সেই সরকারি জমি উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলা। বছরের পর বছর ধরে তৃণমূল নেতাদের মদতে জমি-মাফিয়ারা এখানে জমি লুট করে বিক্রি করেছে। কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখার পরও এতদিন নীরব থেকে এখন কেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপে ৪৮৬ টি পরিবার উচ্ছেদের আশঙ্কায় ক্ষোভে ফুঁসছেন।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? (Siliguri)  

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে  (Siliguri) জমি-মাফিয়াদের দাপট নিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন ফুলবাড়ির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি জমি লুট করে বিক্রি করে দেওয়া, জমি মাফিয়ারাজ চালানো, মারধর ও খুনের চেষ্টা অভিযোগ রয়েছে। তার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, সরকারি জমি দখল করে যারা বসে রয়েছেন, তাঁদের জমি মিউটেশন হবে না। সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য তিনি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

     কীভাবে লুট হয়েছে সরকারি জমি ?

    শিলিগড়ির (Siliguri) পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপের ৪৮৬ টি পরিবার যে জমিতে পাকাবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে, তার সামনে রাজ্য আবাসন দফতরের জমি অধিগ্রহণের সাইনবোর্ড হয়েছে। সেই সাইনবোর্ডকে কিছুটা ছেড়ে গড়ে উঠেছে বসতি। কিছু বড় ব্যবসায়ী অনেক জমি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তৃণমূল নেতাদের ভরসায় আমরা এক থেকে তিন লাখ টাকায় জমি কিনেছি। কিন্তু, কোনও কাগজ পাইনি, রেজিষ্ট্রিও হয়নি। মেলেনি পাট্টাও। তা সত্ত্বেও গৃহ নির্মাণ সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। সবই শাসক দলের মদতেই হয়েছে। এখন উচ্ছেদ করলে আমরা কোথায় যাব?

     মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা

    সরকারি জমিতে বসতির পাশেই রয়েছে পুলিশ আবাসন। তাহলে কীভাবে সরকারি জমি দখল পুলিশের নজর এড়াল? একই প্রশ্ন উঠেছে, আবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। তাদের জমি ঠিক আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব তো আবাসন দফতরের। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা গোপাল মহন্ত, মধু সেন। তাঁরা বলেন, পাশেই খোলা মাঠে রয়েছে  মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। নিয়মিত তিনি এই মাঠে সভা করেন। তখন কেন তাঁর ও সরকারি আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের নজরে পড়েনি সরকারি জমি দখলের ঘটনা। কয়েক বছর আগে এখানকার নতুন রাস্তা ও ড্রেনের উদ্বোধন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন, যারা বসবাস করছে  তাদের কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তাহলে তিনি সব জেনেও আজ কেন উল্টো কথা বলছেন? আমরা তো তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ভোট দিয়ে এসেছি। কষ্টের উপার্জন দিয়ে জমি কিনেছি। আমাদের কী অপরাধ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah: শনি-রবি ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা শাখায়, জানালো পূর্ব রেল

    Sealdah: শনি-রবি ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা শাখায়, জানালো পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা (Sealdah) থেকে শনিবার এবং রবিবার ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে সময় দিয়ে ট্রেনের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। শিয়ালদা শাখার দমদম-বারাসত শাখায় মধ্যমগ্রাম এবং বিরাটির মধ্যে ব্রিজের কাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে। আর তাই ডাউন লাইনে শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ট্রাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে। একই ভাবে আপ লাইনে ট্রাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রবিবার সকাল ৮টা ৩০মিনিট পর্যন্ত। বাতিলের সঙ্গে একাধিক ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কোন কোন ট্রেন বাতিল হয়েছে আসুন একবার জেনে নিই।

    শনিবার বনগাঁ-শিয়ালদা (Sealdah) শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    ১) ডাউন ৩৩৮৫৬: রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ২) ডাউন ৩৩৮৬০: রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ৩) আপ ৩৩৮৬১: রাত ১১ টায় শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৪) আপ ৩৩৮৬৩: রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    শনিবার হাসনাবাদ-শিয়ালদা শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    ১) ডাউন ৩৩৫৩৮: রাত ৯ টা ২৫ মিনিটে হাসনাবাদ থেকে ছাড়ে।

    ২) আপ ৩৩৫৩৩: রাত ১০ টা ১৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার হাসনাবাদ-শিয়ালদা শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩৩৫১২: রাত ৩ টে ৫ মিনিটে হাসনাবাদ থেকে ছাড়ে।

    ২) আপ ৩৩৫১৩: সকাল ৬ টা ১২ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার বনগাঁ-শিয়ালদা শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩৩৮১২: রাত ২ টো ৫৮ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ২) ডাউন ৩৩৮১৪: ভোর ৪ টে ২৫ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ৩) ডাউন ৩৩৮১৮: ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ৪) ডাউন ৩৩৮২০: সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    ৫) আপ ৩৩৮১১: রাত ৩ টে ১৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৬) আপ ৩৩৮১৩: ভোর ৪ টে ১৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৭) আপ ৩৩৮১৫: ভোর ৪ টে ৫৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৮) আপ ৩৩৮১৭: ভোর ৫ টা ৫৪ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার দত্তপুকুর-শিয়ালদা (Sealdah) শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩৩৬১২: ভোর ৫ টা ৪২ মিনিটে দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে।

    ২) ডাউন ৩৩৬১৬: সকাল ৭ টা ৩২ মিনিটে দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে।

    ৩) ডাউন ৩৩৬১৮: সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে।

    ৪) ডাউন ৩৩৬২০: সকাল ৯ টা ৪৩ মিনিটে দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে।

    ৫) আপ ৩৩৬১৩: সকাল ৭ টা ২৬ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৬) আপ ৩৩৬১৫: সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার লক্ষ্মীকান্তপুর-শিয়ালদা শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩৪৯২৪: বেলা ১২ টা ৫ মিনিটে লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে ছাড়ে।

    ২) আপ ৩৪৯২৩: দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে নামখানা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার মাঝেরহাট-লক্ষ্মীকান্তপূর শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩০৭১২: সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে মাঝেরহাট থেকে ছাড়ে।

    ২) আপ ৩০৭১১: দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে ছাড়ে।

    রবিবার বনগাঁ-মাঝেরহাট শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩০৩৪২: সকাল ৬ টা ৩৫ মিনিটে বনগাঁ থেকে ছাড়ে।

    রবিবার হাবড়া-শিয়ালদা (Sealdah) শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) ডাউন ৩৩৬৫২: সকাল ৬ টা ৩৭ মিনিটে হাবরা থেকে ছাড়ে।

    ২) আপ ৩৩৬৫১: ভোর ৪ টে ৪৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) আপ ৩০১৪৫: সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে বিবাদী বাগ থেকে ছাড়ে।

    রবিবার মাঝেরহাট-বারাসত শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) আপ ৩০৩৫১: সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে মাঝেরহাট থেকে ছাড়ে।

    রবিবার মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) আপ ৩০৩৫৭: সকাল ৯ টায় মাঝেরহাট থেকে ছাড়ে।

    ২) ডাউন ৩০৩৫৮: সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে মধ্যমগ্রাম থেকে ছাড়ে।

    রবিবার বারাসত-বনগাঁ শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) আপ ৩৩৩৬১: সকাল ৭ টা ৫৪ মিনিটে বারাসত থেকে ছাড়ে।

    হাবিবুল্লা, হেরাজের পর আনোয়ার, চেন্নাই থেকে আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ

    রবিবার বারাসত-শিয়ালদা (Sealdah) শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

     ১) ডাউন ৩৩৪৩২: ভোর ৫ টা ১৬ মিনিটে বারাসত থেকে ছাড়ে।

    ২) ডাউন ৩৩৪৩৪: সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে বারাসত থেকে ছাড়ে।

    ৩) আপ ৩৩৪৩১: সকাল ৮ টা ৫৮ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৪) আপ ৩৩৪৩৫: সকাল ১০ টা ২২ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    ৫) আপ ৩৩৪৩৯: সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।

    রবিবার বারসাত-দত্তপুকুর শাখায় কোন কোন ট্রেন বাতিল

    ১) আপ ৩৩৩৫৭: সকাল ৭ টা ২ মিনিটে বারাসত থেকে ছাড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন অখিলেশ, স্বচ্ছতা এনেছে যোগী সরকার

    Yogi Adityanath: পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন অখিলেশ, স্বচ্ছতা এনেছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘পরীক্ষায় পাস করতে কে না টুকলি করে!’’ পাঠক বিশ্বাস করুন কি না করুন! ঠিক এটাই ছিল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের বিবৃতি। তাঁর এই মন্তব্যেই প্রতিফলিত হয়, সমাজবাদী পার্টির আমলে রাজ্যের সংস্কৃতি ঠিক কেমন ছিল। উত্তরপ্রদেশে ঠিক এমন অপসংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন একদা মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) ও তাঁর পরিবার।

    পরীক্ষায় নকল, এমন সংস্কৃতি পিতার কাছেই শিখেছিলেন অখিলেশ

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সমগ্র রাজ্যে পরীক্ষায় টুকলি করা এক প্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকির ছবিই ধরা পড়ত। তা ছিল সম্পূর্ণ বৈধ। অখিলেশ যাদব এবং তাঁর পিতা মুলায়ম সিং যাদব প্রকাশ্যেই মন্তব্য করতেন যে পরীক্ষা ব্যবস্থায় টুকলি করা কোনও অপরাধ নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিজেদের বক্তব্য রাখার সময় প্রকাশ্যেই গণ-টোকাটুকিকে সমর্থন করতেন অখিলেশ। উত্তরপ্রদেশের একদা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমন সংস্কৃতি তাঁর পিতার কাছ থেকেই শিখেছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুলায়ম সিং যাদব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের আনা পরীক্ষায় ‘নকল বিরোধী আইন’কে সরিয়ে দেন।

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ক্ষমতায় আসার পরেই এমন চিত্র বদলে যেতে শুরু করে

    ১৯৯৩ সালে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে মুলায়ম সিং যাদব প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি জিতলে, প্রথম যেটা করবেন সেটা হচ্ছে ‘অ্যান্টি কপি ল’কে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেবেন। তিনি এই কাজটাই করেছিলেন। শপথ নেওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকরও করেন। পরীক্ষা ব্যবস্থায় নকলের কথা বলতে তাঁর এতটুকু লজ্জাবোধও হত না। উত্তরপ্রদেশে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কেউ এর প্রতিবাদও জানাননি। উত্তরপ্রদেশের নাম সারা ভারতেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল সমাজবাদী পার্টির শাসনে। ছাত্রদেরও সারাদেশে নীচু চোখে দেখা হত। কারণ উত্তরপ্রদেশের টুকলি করা ছিল একেবারে বৈধ। এরপরে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পরে উত্তরপ্রদেশের টুকলি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হন। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশে পরীক্ষায় চিটিং-এর ওপর সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো হত মোটা টাকার বিনিময়ে। সরবরাহ করা হত টুকলি। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পরেই এমন চিত্র বদলে যেতে শুরু করে।

    যোগী (Yogi Adityanath) রাজ্যে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে বসেছে সিসিটিভি 

    এমন কিছু জায়গাকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাছা হত সমাজবাদী পার্টির আমলে, যেখানে গণ টোকাটুকি চলত। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতা আসার পরেই কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করেন। সেগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়। যে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কোনও সীমানা ছিল না, সেখানে দেওয়াল দেওয়ার কাজও শুরু হয়। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও ঘটত, সমাজবাদী পার্টির আমলে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তা রোধ করা গিয়েছে।

    অখিলেশের ডিগ্রি কেলেঙ্কারী

    এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার উত্তরপ্রদেশে অভ্যুদয় প্রকল্প এনেছে। যেখানে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সহজেই আইএএস, আইপিএস, বিসিএস, এনডিএস, নিট এবং জয়েন্ট এন্টাসের মতো পরীক্ষার কোচিং বিনামূল্যে দেওয়া হয়। নিজের ডিগ্রি হিসেবে অখিলেশ বারবার দাবি করতেন যে তিনি নাকি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে মনোনয়নের সময় এগুলোকে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। জানা যায়, অস্ট্রেলিয়া থেকে কোর্স সম্পূর্ণ না করেই তিনি ফিরে এসেছিলেন। অন্যদিকে এমনটাই দেখা যায় লালু প্রসাদ যাদবের ক্ষেত্রেও। তাঁর কন্যা মিশা ভারতী টাটা মেডিক্যাল কলেজের মতো একটা বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পান শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা হওয়ার সুবাদে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    Indian Economy: ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত, বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যেখানে হাঁড়ির হাল, সেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমেই উন্নতির শিখরে উঠছ ভারত (Indian Economy)। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। দেশ যে অচিরেই জাপানকে সরিয়ে চতুর্থ স্থান দখল করবে, সে বিষয়ে আশাবাদী অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ।

    কী বলছে আরবিআইয়ের রিপোর্ট (Indian Economy)

    এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও জানিয়ে দিল ভারতের অর্থনীতি এবং ফাইনানসিয়াল সিস্টেম দাঁড়িয়ে রয়েছে মজবুত ভিতের ওপর। ভারতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২৭ জুন প্রকাশ করে ২৯তম ফাইনানসিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট (Indian Economy)। সেখানেই জানা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ভিত্তি যথেষ্ঠ মজবুত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই রিপোর্টেই প্রকাশ, ভারতের তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে লভ্যাংশ। এর পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে নন পারফর্মিং অ্যাসেটসের পরিমাণ।

    ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও এবং নেট নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও একধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকখানি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হ্রাসের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৮ এবং ০.৬ শতাংশ। যার জেরে মজবুত হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটেল টু রিস্ক-ওয়েট অ্যাসেটস রেসিও এবং কমন ইক্যুয়ালিটি টায়ার ওয়ান রেসিও দাঁড়িয়ে রয়েছে যথাক্রমে ১৬.৮ শতাংশ এবং ১৩.৯ শতাংশে।

    আর পড়ুন: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনানসিয়াল কোম্পানিগুলির পারফরম্যান্সও চোখ ধাঁধানো। এদের ক্যাপিটেল টু রিস্ক ওয়েড অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ২৬.৬ শতাংশে, গ্রস নন পারফর্মিং অ্যাসেটস রেসিও দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে। মার্চের শেষে রিটার্ন অন অ্যাসেটসের পরিমাণ হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। এই সব পরিসংখ্যানই জানিয়ে দেয় ভারতীয় অর্থনীতির মজবুত ভিতের কথা।

    ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের চতুর্থ বা শেষ ত্রৈমাসিকে এই প্রথমবার ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার, যেটাকে অন্যভাবেও বলা যায় যে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস দাঁড়িয়েছে জিডিপির ০.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধি পূর্বতন ত্রৈমাসিকের তুলনায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সেইসময়ে (Indian Economy) কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ডেফিসিট ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা, হেরাজের পর আনোয়ার, চেন্নাই থেকে আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ

    Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা, হেরাজের পর আনোয়ার, চেন্নাই থেকে আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ হাবিবুল্লা, হেরাজ শেখের পর এবার আনোয়ার শেখ। ফের রাজ্যে আরও এক জঙ্গিকে (Terrorist Arrest) গ্রেফতার করল এসটিএফ। জানা গিয়েছে, আনোয়ার বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম ওরফে শাহাদাতের সদস্য। আনোয়ারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোর্ট। সবমিলিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ সন্দেহে রাজ্যে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।

    কীভাবে খোঁজ মিলল আনোয়ারের? (Terrorist Arrest)

    চলতি মাসেই দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে মহম্মদ হাবিবুল্লাকে প্রথম জঙ্গি সন্দেহে এসটিএফ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম এর একটি মডিউল বাংলাদেশ ও বাংলায় সক্রিয়। শাহাদত নামে সেই মডিউলে প্রধান বা আমীর হিসেবে কাজ করত হাবিবুল্লা। কাঁকসায় তার বাড়ি থেকেই হাবিবুল্লাকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়রের ছাত্র। হাবিবুল্লা গ্রেফতার হওয়ার পর নদিয়ার মায়াপুরের হেরাজ শেখ বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল। যদিও মাঝপথেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাবিবুল্লা গ্রেফতারের পর আনোয়ারও (Terrorist Arrest) ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দেয়। হাবিবুল্লাকে জেরা করেই আনোয়ারের খোঁজ মেলে। এরপর মোবাইলে তার টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে তাকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়। আনোয়ারকে গ্রেফতার করে চেন্নাই আদালতে পেশ করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে আনোয়ারকে কলকাতায় নিয়ে আসছে বেঙ্গল এসটিএফ।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশের জঙ্গি মডিউল?

    একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশের জঙ্গি মডিউল? গোয়েন্দা (STF) সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য রাজ্যে ১৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। হাবিবুল্লা মগজ ধোলাই করে এসব করেছে, অনুমান গোয়েন্দাদের। এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটিক মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথা বার্তা বলত। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা-র সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার আল ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাবে বলেই গোপনে কাজ করছিল বলে মনে করছিল এসটিএফ। বাংলাদেশের ‘শাহাদাত’ জঙ্গি সংগঠনের এরাজ্যে অন্যতম মাথা মহম্মদ হাবিবুল্লার সঙ্গে যোগ ছিল আনোয়ারের। আনোয়ারের সঙ্গে হাবিবুল্লার কীভাবে আলাপ। আনোয়ারের কী কাজ ছিল তা এসটিএফ কর্তারা খোলসা করে কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে, কেরলের (Kerala) দুটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে সকলের দৃষ্টি পালাক্কাদের দিকে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যে বিধায়ক নির্বাচন করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেতে পারে। এর আগে, ২০১৬ সালে, দলের প্রবীণ নেতা ও রাজাগোপাল নেমোম থেকে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিলেন। আসুন জেনে নিই কেমন অবস্থানে রয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির সম্ভাবনা (Kerala)

    পালাক্কাদে (Kerala) বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয় কারণ বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর এখানে শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ফল বেশ ভালো ছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভাদাকারা থেকে কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক শফি পারম্বিলের জয়ের কারণে এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বিজেপি, ২০২১ এবং ২০১৬ উভয় ক্ষেত্রেই পালাক্কাদে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছিল। আবার পারম্বিলে বিজেপির ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরনকে মাত্র ৩,৮৫৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল। কংগ্রেস ৩৮.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যেখানে বিজেপি ৩৫.৩৪ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবং সিপিআই(এম)-এর মধ্যে ব্যবধান আরও কম ছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৭৭ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়ছিল ২৯.০৮ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) পেয়েছিল ২৮.০৭ শতাংশ ভোট।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল ছিল?

    কেরলে (Kerala) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কংগ্রেস প্রার্থী ভি কে শ্রীকন্দন পেয়েছেন ৫২৭৭৯ ভোট, আর বিজেপির সি কৃষ্ণকুমার পেয়েছেন ৪৩০৭২ ভোট। সিপিআই(এম) এর এ বিজয়রাঘবন পেয়েছেন ৩৪৬৪০ ভোট।

    উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী

    কেরল (Kerala) বিজেপি এখনও উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেনি, তবে দল সি কৃষ্ণকুমার বা শোভা সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। শোভা ২০১৬ সালে পালাক্কাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং আলাপ্পুঝাতে দলের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরনের বোন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা ভেনুগোপালের নামও আলোচনায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনিও বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    চ্যালেঞ্জ ও কৌশল

    যদিও কেরলে (Kerala) বিজেপির অবস্থান ভালো মনে হচ্ছে, তবে সবকিছু সহজ নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সংখ্যালঘু ভোট, বিশেষ করে মুসলিম ভোট। গত নির্বাচনে, শ্রীধরনের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে বিজেপি প্রচুর ভোট পেয়েছিল। তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়, এই ফ্যাক্টরটি এবার থাকবে না। অতএব, বিজেপিকে দ্বিতীয়স্থান থেকে বিজয়ী হতে গেলে সিপিআই(এম)-র হিন্দু ভোটের দিকে গুরুত্বপূর্ণ নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপর চিন্তা

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, “কেরলে (Kerala) বিজেপির পক্ষে একটি নতুন মুখ উপস্থাপন করা ভাল হবে। কারণ ভোটাররা কৃষ্ণকুমারকে নিয়ে ক্লান্ত। শোভা সুরেন্দ্রনের জন্য, আলাপুজায় ফোকাস করা পক্ষে ভাল হতে পারে। তিনি কায়মকুলাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, কারণ এখানে দল ভাল পারফর্ম করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে রাহুল মামকুতাথিলকে, যিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তবে, এমনও জল্পনা রয়েছে যে ভিটি বলরামকে প্রার্থী করা হতে পারে। তিনি অবশ্য পালাক্কাদ জেলার থ্রিথালা থেকে দুবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share