Author: user

  • Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমির মাফিয়ারাজ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করল বিজেপি। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হতেই ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে জমি মাফিয়াদের সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করার ঘটনায় শিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর এই সরব হওয়া ও দলের প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করানোর ঘটনার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি। শিলিগুড়ি জুড়ে জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি।

     মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষও এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখাচ্ছেন তাতে মনে হয়, ২০১১ সালে তিনি শপথ নেওয়ার পর বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। এখন ফিরে এসে তিনি জানতে পারছেন, তাঁর দলের নেতারা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেকে বাঁচাতে ও সৎ প্রমাণ করতে তাঁর দলের নিচুতলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছেন। সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই জমি মাফিয়ারাজে যারা যুক্ত তাদের সকলকে গ্রেফতার করুন। শুধু আইসি-ওসি নয়, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও যেন রেহাই না পান।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

      ওসি, আইসিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে!

    দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রথমে ঠিক করে বলতে পারেনি কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে মান্যতা দিতে জমি কেলেঙ্কারির দিকটি প্রকাশ্যে আনা হয়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কেননা দেবাশিস ও তাঁর বাহিনী  দিনের পর দিন এভাবে সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দিয়েছে, তা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানতেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের উঁচুতলরার কর্তাদের বাঁচাতে এনজেপি থানায় এই সময়কালে যারা ওসি, আইসি ছিলেন তাদের ভূমিকা নিয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

    কী বলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের মদতে তৃণমূল নেতারা এখানে বুক ফুলিয়ে জমির কারবার ফেঁদেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা যদি বলেন, তারা জানতেন না তাহলে তারা এই চাকরি করার যোগ্য নন। সব থেকে বড় কথা,  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পরিবার আদিগঙ্গায় জমি দখল করে রেখেছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। তাই, শিলিগুড়ির এই জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলায় দল পাঠানোর আর্জি শুভেন্দুর

    Cooch Behar: কোচবিহারে মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলায় দল পাঠানোর আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) সংখ্যালঘু মহিলা বিজেপি কর্মীর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসতে চায় বিজেপির (BJP)। এ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। ধরনায় বসার জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বিজেপির তরফে। যদিও এই চিঠি সম্পর্কে কোন প্রতিক্রিয়া দেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তিন কমিশনের কাছে টিম পাঠানোর আর্জি (Cooch Behar)

    কোচবিহারে সংখ্যালঘু মহিলা বিজেপি কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই বিতর্কের আঁচ এসে পড়ল বিধানসভাতেও। এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। কোচবিহারের (Cooch Behar) ঘটনায় ওই তিন কমিশনের কাছে বাংলায় টিম পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার বিধানসভায় বিজেপির ধরনা (BJP)

    কোচবিহারের ঘটনা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর টুইট থেকে বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় মহিলা কমিশনেরও। মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলার মেয়েকে ভোট দিন বলে মুখ্যমন্ত্রী ২১-এ ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাঁর আমলে মহিলারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। তিনি নিজেকে সংখ্যালঘুদের দরদী বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। অথচ সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। তৃণমূল না করলে সংখ্যালঘুদের রেহাই মিলছে না। রামপুরহাটের বগটুইতে মুসলিম মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ২০২১ শে ৯১% এবং ২০২৪ এ তৃণমূলকে ৯৫% ভোট দিয়েছে মুসলিমরা।

    আরও পড়ুন: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    অথচ তাঁরাই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত। সুকুমার রায়ের ফোনে (Cooch Behar) আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমরা আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে আছি। তাঁদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে। বিজেপির মহিলা বিধায়করা সোমবার থেকে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে এই অত্যাচারের বিরোধিতায় ধরনায় বসবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TET Recruitment Case: বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে উদ্ধার বস্তাভর্তি নথি! কী মিলল সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে?

    TET Recruitment Case: বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে উদ্ধার বস্তাভর্তি নথি! কী মিলল সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির (TET Recruitment Case) প্রসঙ্গ। গত তিন দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চলছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কার্যালয় বিকাশ ভবনে। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে বস্তাভর্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্র উদ্ধার করল সিবিআই। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। প্রায় দেড় বছর পরে বুধবার থেকে সেই গুদামে আবার আসেন সিবিআই তদন্তকারীরা। 

    উদ্ধার হওয়া বস্তাভর্তি নথিপত্রে কী আছে? 

    গত বুধ এবং বৃহস্পতি— দুদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। এরপর শুক্রবার বেলায় আবার শুরু হয় তল্লাশি। দুপুরেই সেখান থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র নিয়ে বাইরে আসতে দেখা যায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত নথিপত্রে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (TET Recruitment Case) সঙ্গে সম্পর্কিত বহু ‘জরুরি তথ্য’ রয়েছে। এছাড়াও সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেখানে রয়েছে পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা। যা প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন দিক খুলে দিতে পারে। আর যদি সত্যি এমনটা হয় তাহলে এই মামলার মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর চলতি বছর ৪ জানুয়ারি ফের বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা (CBI)। জানা গিয়েছে দুবারই ওই ভবনের ছয় তলায় গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। শেষবার সেখানে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের ঘরে তাঁকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর কিছু দরকারি নথি সংগ্রহ করে গুদাম সিল করে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আর এবার বুধবার ফের সেখানে হানা দিয়ে বস্তাভর্তি নথি উদ্ধার করে সিবিআই আধিকারিকরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে। নির্যাতিতার অভিযোগের উপর নির্ভর করে পরিবার এবং এলাকার মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মেয়েটি এখানে নিজের মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছে থাকত এবং ওখানেই পড়াশুনা চলছিল তার। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তকে রাজনৈতিক সংরক্ষণ যেন না দেওয়া হয়। কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তকে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষী কেউ থাকলে শাস্তি চাই।”

    পরিবারের অভিযোগ (Nandigram)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়ি নন্দীগ্রামে (Nandigram) এসেছিল ছাত্রী। গত ২৫মে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এই ব্যক্তি আবার বিবাহিত এবং এক সন্তানও রয়েছে তার। প্রথমে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করে এবং এরপর ভাব করে, তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, যদি মুখ খুলিস, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলব। কিন্তু বাড়িতে এসে ছাত্রী ভয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে সবটা খুলে বলে। এরপর নির্যাতন সম্পর্কে জেনে পরিবার এবং এলাকার মানুষ ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের আরও দাবি, ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, “অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ হয়তো শাসকদলের কর্মী বলেই গ্রেফতার করছে না।“

    আরও পড়ুনঃ রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। এই মর্মে একাধিক সামজিক সংগঠনের তরফ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। আবার স্থানীয় (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেছেন, “অভিযুক্ত কে? তাঁর রাজনীতির রং না দেখেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।” অপর দিকে সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী এখন এলাকা থেকে পলাতক। রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ আগেও শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছিল। ঘটনায় তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক দলীয় পতাকা ধরানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিজেপি নেত্রী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। পরে, ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন হাতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম গ্রাম (Nadia) পঞ্চায়েতের ২৪৩ নম্বর বুথের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা সরকার। ২৬ জুন শুভঙ্কর বারুই ওরফে হরি নামে এক যুবক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মী সুবীর ধরের বাড়িতে। সেখানে জোর করে তাঁকে তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, প্রাণনাশের  হুমকি দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ভিডিও করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, সঞ্চিতাদেবী সেখান থেকে কোনওরকমে  পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি দলীয় নেতৃত্বদের কাছ থেকে ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এই বিষয়ে সঞ্চিতা বলেন, ওই দুই তৃণমূল কর্মী জোরপূর্বক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি আজীবন বিজেপি করে এসেছি। ভবিষ্যতে বিজেপিতেই থাকতে চাই। তৃণমূলের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গাংনাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর বলেন, ‘তৃণমূল কোনওদিনই এরকম জোরজুলুম করে দলে যোগদান করায় না। তিনি নিজেই গাড়ি করে এসে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন।’ অপরদিকে, নদিয়ার চাকদার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে বিজেপিকে, তাই নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তবে, ওই মহিলা অত্যন্ত সাহসী। তাই তিনি দেখিয়ে দিলেন, দলকে ভালোবাসলে দলের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনাটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার লোকসভায় (Parliament) মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের উপর চর্চার দাবিতে বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল লোকসভা। রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগে নিট (NEET) বিতর্কে আলোচনা চায় কংগ্রেস।

    নিটের উপর চর্চা চেয়ে হাঙ্গামা (Parliament) 

    লোকসভার (Parliament) বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে নিজের প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর চর্চার দাবি তোলেন। পাল্টা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর চর্চা হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবের পরেই অন্য বিষয়ে চর্চা হতে পারে। এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব হবে। ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে বা কার্য স্থগিত রাখা বা অন্য কোণও প্রস্তাব নেওয়া হবে না।” তিনি বিরোধীদের সংসদ চলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর নিটসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা হতে পারে।

    সংসদ শুরু হতেই বিরোধীদের হাঙ্গামা

    দুপুর ১২:০০ টায় সংসদ স্থগিত হওয়ার পর যখন ফের সংসদ (Parliament) শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম সদস্যতার শপথ নেন। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এর আগে শপথ নিতে পারেননি। এরপর থেকেই বিরোধীরা নিট সহ অন্যান্য পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে চর্চার দাবি তোলেন। যদিও ওম বিড়লা এদিন রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন বিরোধীদের প্রস্তাব নেওয়া হবে বলে জানান। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের তরফ থেকে হাঙ্গামা বজায় থাকে। পাল্টা স্পিকার বলেন, “পরিকল্পিতভাবে সংসদ চলতে না দেওয়া সংসদীয় গণতন্ত্রে কাম্য নয়। জনগণ সাংসদদের সংসদে হাঙ্গামা করার জন্য পাঠায় না। রাস্তায় বিরোধিতা করা আর সংসদে বিরোধিতা করার মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিরোধীদের হাঙ্গামা কিরেন রিজিজু বলেন, “সংসদের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব ছাড়া অন্য বিষয়ে চর্চার পরম্পরা নেই। এই প্রথমবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের সদস্যরা অন্য বিষয়ে চর্চা চাইছেন। তাঁরা স্পিকারের আসনের কাছে চলে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আমরা এর নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “চর্চা চলাকালীন (Parliament) যে সমস্ত বিষয়ে আসবে সরকার তার উপরে জবাব দেবে। কিন্তু সংসদ চলতে দিতে হবে।” হাঙ্গামা না থামায় স্পিকার দুপুর ১২:০৭ নাগাদ সোমবার সকাল ১১:০০ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।”

    আরও পড়ূন: বৃন্দাবনে ২০০ বছর পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদের কাজ শুরু হয় সংসদ শুরু হতেই স্পিকার ১৩ জন প্রাক্তন সাংসদদের মৃত্যুর জেরে নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নেন। নীরবতা শেষ হতেই কংগ্রেসসহ বিরোধীদলেরা নিট পরীক্ষায় বিষয়ে চর্চার দাবি তোলে। স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন সকলকে নিজেদের দাবি জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন বিরোধীদের সমস্ত বিষয়ে সরকার জবাব দেবে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীদের স্লোগান চিৎকার ও হাঙ্গামা থমসেনা দেখে দুপুর দুটো পর্যন্ত বারোটা পর্যন্ত সংসদে স্থগিত করে দেওয়া হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jio-Airtel Price Hike: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    Jio-Airtel Price Hike: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিও ও এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য বড় খবর। মোবাইল রিচার্জ করতে গেলে এবার অতিরিক্ত গ্যাটের কড়ি খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। কারণ সম্প্রতি রিচার্জের দাম বাড়িয়েছে দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও (Jio-Airtel Price Hike)। প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড দুই রিচার্জের দামই বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। আনলিমিটেড ৫জি নিয়েও বড় ঘোষণা করেছে সংস্থা।
    তবে শুধু জিও নয় জিও-এর পর এবার এয়ারটেলও (Jio-Airtel Price Hike) রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। ১১ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে খরচ। জানা গিয়েছে আগামী ৩ জুলাই থেকে লাগু হবে এই দাম। প্রিপেইড-পোস্টপেইড ছাড়াও, অ্যাড-অন ডেটা ভাউচার প্ল্যানগুলির দামও বাড়ানো হয়েছে। জিও-এর মতো এয়ারটেলও আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা দিয়ে থাকে। সেই নিয়েও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা।

    কত টাকা বাড়ল জিও রিচার্জের দাম? (Jio-Airtel Recharge Plans)

    আগে ফোন চালু রাখার জন্য নূন্যতম প্রিপেইড প্ল্যান ছিল ১৫৫ টাকা। এবার সেই প্ল্যান বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮৯ টাকা। এই প্ল্যানে ২৮ দিন আনলিমিটেড কল এবং মোট ২ জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। একই ভ্যালিডিটিতে দৈনিক ১ জিবি ডেটা চাইলে, খরচ করতে হবে ২৪৯ টাকা, আগে যা ছিল ২০৯ টাকা। একইসঙ্গে ২৩৯ টাকার প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯৯ টাকা। ২৯৯ টাকা প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৪৯ টাকা। ৩৪৯ টাকার প্ল্যান এখন ৩৯৯ টাকা। ৩৯৯ টাকার প্ল্যান এখন ৪৪৯ টাকা। দুমাসের প্রিপেইড প্ল্যানের দাম ৪৭৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭৯ টাকা। ৫৩৩ টাকা প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭৯ টাকা। তিন মাসের সবথেকে সস্তা প্ল্যান এখন ৪৭৯ টাকা, যা আগে ছিল ৩৯৫ টাকা। ৬৬৬টাকার রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৯৯ টাকা। ৭১৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৫৯ টাকা। 

    কত টাকা বাড়ল এয়ারটেল রিচার্জের দাম? (Jio-Airtel Recharge Plans)

    বর্তমানে এয়ারটেলে নূন্যতম প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের খরচ ১৭৯ টাকা। তবে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। ২৬৫ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ২৯৯ টাকা। ২৯৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ৩৪৯ টাকা। ৩৫৯ টাকা প্ল্যানের নতুন খরচ ৪০৯ টাকা। ৩৯৯ টাকা প্ল্যানের নতুন খরচ ৪৪৯ টাকা। ৪৫৫ টাকার যে প্ল্যান ছিল, তার খরচ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৯৯ টাকা। ৪৭৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৭৯ টাকা। ৫৪৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৬৪৯ টাকা। ৭১৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫৯ টাকা। ৮৩৯ টাকা প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭৯ টাকা। আর ১৭৯৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ১৯৯৯ টাকা।  

    আনলিমিটেড ৫জি তে কী সুযোগ থাকছে? 

    আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা চালু রাখছে জিও। তবে এর জন্য দৈনিক ২ জিবি ডেটার যে প্ল্যান রয়েছে, সেগুলি রিচার্জ করতে হবে। আর এই রিচার্জ প্ল্যানের দাম শুরু ২৩৯ টাকা থেকে। অন্যদিকে এয়ারটেলে আনলিমিটেড ৫জি পরিষেবা পেতেও নূন্যতম ২৩৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। তাহলেই বিনামূল্যে ৫জি ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। 

    আরও পড়ুন: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    পোস্টপেইড ও ডেটা ভাউচার  

    জিও পোস্টপেইড ৩০ জিবি প্ল্যানের দাম ২৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪৯ টাকা করা হয়েছে। ৭৫ জিবি প্ল্যানের দাম ৩৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪১৯ টাকা করা হয়েছে। এক বছরের রিচার্জ প্ল্যান এবং অ্যাড-অন ডেটা ভাউচারের দামও বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। একইসঙ্গে এরায়টেলে এতদিন ১৯ টাকায় এক দিনের ১ জিবি ডেটা ভাউচার পাওয়া যেত। এই প্ল্যানের দাম (Jio-Airtel Price Hike) বাড়িয়ে করা হয়েছে ২২ টাকা। ২৯ টাকার ভাউচার হতে চলেছে ৩৩ টাকা এবং ৫৫ টাকার ডেটা ভাউচারের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৭ টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার খোদ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডে চলছে জলাশয় ভরাট। নিজের ওয়ার্ডে ভরাট চললেও পুরকর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জলাশয় ভরাট না করার কথা বলেছেন বার বার। তারপরেও পুরসভা (Balurghat) পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।

    কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের (Balurghat) মদতেই এই ডোবা ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও ডোবা।  নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এবার সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে, সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য এ ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    চেয়ারম্যান (Balurghat) অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করবে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি

    বিজেপির (BJP) বালুরঘাট টাউন মণ্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্যা নামে রোবটে মজেছে কৃষ্ণনগরের একটি নামজাদা রেস্টুরেন্টের ভোজনরসিকরা। কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে, সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে এই অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”। শুধু তাই নয় গ্রাহকের স্পেশাল দিনে খাবার বা কেক ডেলিভারি করে গাইছে গান। আর তাই দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের (Nadia) ওই রেস্তোরাঁয়।

    তিনজন মহিলা মিলে শুরু করেছিলেন (Nadia)

    ২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে কৃষ্ণনগরের (Nadia) জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁটি। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর সমকক্ষে পরিণত হয়েছে আজ। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা? সে এক অজানা কাহিনী। যখন প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। তাঁর বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরাঁর তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যান কিন্তু থেকে যান অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ এই রেস্তোরাঁ পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে।

    আকর্ষণের মূল কেন্দ্র রোবট

    এখনও পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেস্তোরাঁতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার সঙ্গে ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যাকে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত রেস্তোরার (Nadia) বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।

    আরও পড়ুনঃ অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন মালদার অভিজিৎ

    রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    তবে রেস্তোরাঁ (Nadia) কর্তৃপক্ষের তরফে শুভঙ্কর মন্ডল বলেছেন, “এই রোবট শুধু খাবার ডেলিভারি নয় পরবর্তীতে হাউসকিপিং, ক্লিনিং সমস্ত কাজই করে। একদম নিজস্ব টেকনিক্যাল টিমের তৈরি এই রোবট। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও বিক্রয় করা হবে। তবে অনন্যার এই কাজ খুবই প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় ভোজন রসিক থেকে শুরু করে দেশের বাইরের ভোজন রসিকদেরও। রাজ্যের একমাত্র রেস্তোরাঁ, যেখানে এখন আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত রোবটিক্স টেকনোলজিতে চলছে খাবার পরিবেশন এবং ভোজন রসিক গ্রাহকদের মনোরঞ্জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম  

    Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে ফের একবার চর্চায় ‘সেঙ্গল’। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ (Sengol Controversy) সরিয়ে সেখানে ‘সংবিধান’ রাখার দাবি তুলেছেন। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবির বিরোধিতা করেছে।

    সমাজবাদী সাংসদের দাবি

    সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী (Sengol Controversy) বলেছেন, সংবিধান গণতন্ত্রের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নতুন সংসদে ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেছে। সেঙ্গলের অর্থ রাজদণ্ড। রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র স্থাপন হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান থাকা উচিত রাজদণ্ড নয়। সংবিধান বাঁচানোর জন্য সংসদ ভবন থেকে ‘সেঙ্গল’ সরিয়ে দেওয়া হোক।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sengol Controversy)

    এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদদের তরফেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি বলেন, ‘সেঙ্গল’ রাষ্ট্রের প্রতীক। একবার ‘সেঙ্গল’ যখন (Parliament) স্থাপন হয়েছে এটাকে আর কেউ সরাতে পারবে না।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি এল ভার্মা বলেন, “সমাজবাদী পার্টি নেতাদের আগে (Sengol Controversy) সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। স্বাধীনতার সময় থেকেই ‘সেঙ্গল’ আছে। স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞ ব্যক্তিদের সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে বিনামূল্যের জ্ঞান বিতরণ করা উচিত নয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগন বলেন, “তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধীরা পরিচিত নয়। সে কারণেই তাঁরা সেঙ্গলের বিরোধিতা করছে। বিরোধীরা আমাদের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা নষ্ট করতে চাইছে। ‘সেঙ্গল’ সরানো হলে তামিল সংস্কৃতিকে আঘাত করা হবে।”

    সেঙ্গলের ইতিহাস

    প্রসঙ্গত ‘সেঙ্গল’ প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই সিঙ্গল নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের (Sengol Controversy) পাশে রাখা হয়েছে। ‘সেঙ্গল’ ইংরেজদের থেকে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রতীক বলে দাবি করা হয়। অতীতে চোল সাম্রাজ্যের সেঙ্গলর অধিকারী রাজার কাছ থেকে পক্ষপাতহীন ন্যায় এর আশা করা হত। চোল সাম্রাজ্যের আগে মৌর্য সাম্রাজ্যেও রাজার কাছে ‘সেঙ্গল’ থাকত।

    আরও পড়ুন: বৃন্দাবনে ২০০ বছর পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    পরবর্তীকালে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজার হাতে ‘সেঙ্গল’ থাকত। এমনকি মোঘলদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ক্ষমতায় নেওয়ার সময়ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের উপর অধিকারের প্রতীক হিসেবে ‘সেঙ্গল’ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। যা পরবর্তীকাল রাজতন্ত্রের অবসান অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাউন্টব্যাটেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share