Author: user

  • Draupadi Murmu: “জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছিল সংবিধানের ওপর আক্রমণ”, বললেন রাষ্ট্রপতি

    Draupadi Murmu: “জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছিল সংবিধানের ওপর আক্রমণ”, বললেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর এবার ‘জরুরি অবস্থা জারি’র খোঁচা রাষ্ট্রপতিরও (Draupadi Murmu)। ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানেই তিনি খোঁচা দেন জরুরি অবস্থা জারির ‘ক্ষতে’।

    জরুরি অবস্থা জারির ‘ক্ষতে’ খোঁচা (Draupadi Murmu)

    তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটি ছিল সংবিধানের ওপর আক্রমণ। আমাদের সরকার চেষ্টা করে সংবিধান যেন জনচেতনার অংশ হয়। জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগু হয়েছে।” রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষতি করার অনেক চেষ্টা হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়া হত। তার বদলে ইভিএম আনা হয়েছে। আজকের সময়ে প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির অপব্যবহার বিপজ্জনক।” রাষ্ট্রপতি বলেন, “মানবকেন্দ্রিক অ্যাপ্রোচ রাখে ভারত। বিভিন্ন দেশকে বিপদে সাহায্য করেছে। ভারত সম্পর্কে বদলেছে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গী। তা সম্প্রতি দেখেছি আমরা জি৭ সম্মেলনে। জি২০ সামিটেও বিশেষ ছাপ রেখেছে ভারত।”

    ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’

    তিনি বলেন, “ভারতের গৌরবের প্রমাণ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ফের চালু করা হয়েছে। ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মদিনকে জনজাতি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের ধারণায় কাজ চলছে।” রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ডিজিটাল পেমেন্টে বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে। চন্দ্রাভিযানের সাফল্য নিয়ে গর্ব হওয়া উচিত। এতবড় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করার জন্যও গর্ব করা উচিত।” তিনি বলেন, “পয়লা জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা চালু হবে। ব্রিটিশরাজে গোলামি ব্যবস্থায় শাস্তির বিধান ছিল। সেই আইন বদলে সাহস দেখিয়েছে সরকার। এবার শাস্তির বদলে বিশেষ জোর দেওয়া হবে ন্যায়ে।”

    আর পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    তিনি বলেন, “সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্বও দেওয়া হচ্ছে।” রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশের শত্রুদের মুখে ছাই দিয়ে কাশ্মীরের ভোটাররা ব্যাপক সাড়া দিয়ে ভোট দিয়েছেন। লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ায় বাড়ছে নারীর সশক্তিকরণ।” তিনি (Draupadi Murmu) বলেন, “আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের ভবিষ্যৎ দিশা দেখাবে। ভারত দ্রুত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের মানুষ দেখছেন, এনডিএ টানা তৃতীয়বার স্থায়ী সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে এক ফোঁটা জলও পড়েনি, প্রেস বিবৃতিতে জানাল ট্রাস্ট

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে এক ফোঁটা জলও পড়েনি, প্রেস বিবৃতিতে জানাল ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ছাদ চুঁয়ে নাকি জল পড়ছে! মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস এমন তত্ত্ব সামনে আনেন গত সোমবার। এরপর তা নিয়ে খবর করতে থাকে সংবাদমাধ্যমগুলি। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার মিডিয়া রিপোর্টগুলিকে একেবারেই খারিজ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে এক ফোঁটা জলও পড়েনি বা কোথাও থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি।’’ এনিয়ে বুধবার ২৬ জুন একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেন ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টে’র সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।

    শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টে’র প্রেস বিবৃতি

    প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। 

    প্রেস বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিন্দু- 

    ১. গর্ভগৃহে যেখানে ভগবান রামলালা বিরাজমান আছেন সেখানে এক ফোঁটাও বা বিন্দুমাত্রও জল পড়েনি এবং অন্য কোনও জায়গা থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি।

    ২. গর্ভগৃহের সামনে পূর্ব দিকে একটি মণ্ডপ আছে। যাকে গূঢ়মণ্ডপ বলা হয়। সেখানে মন্দিরের দ্বিতীয় তলে ছাদের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর (মাটি থেকে প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতায়) ঘেরা-দেওয়াল জুড়ে যাবে। মণ্ডপের ছাদ বন্ধ হয়ে যাবে। এই মণ্ডপের দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট।

    ৩. রঙ মণ্ডপ আর গূঢ়মণ্ডপের মাঝখানে দুদিকেই (উত্তর এবং দক্ষিণ দিক) ওপরে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে, ছাদ দোতলার উপর নির্মাণাধীন।

    ৪. সাধারণত পাথর নির্মিত মন্দিরে (Ram Mandir) বিদ্যুতের কন্ডুইট ও জংশন বাক্সের কাজ ছাদের ওপর হয় এবং কন্ডুইটকে ছাদে ফুটো করে নিচে নামানো হয়। এর মাধ্যমে নিচের তলে আলো জ্বালানো হয়। এই কন্ডুইট ও জংশন বক্সকে নির্মাণ চলাকালীন ফ্লোরে ওয়াটরটাইট করে অস্থায়ী ভাবে বসানো থাকে। দোতলায় বিদ্যুত, ওয়াটরপ্রুফিং এবং ফ্লোরিং এর কাজ চলছে। সেজন্যই জংশন বাক্সে জল ঢুকে কন্ডুইটের মাধ্যমে একতলায় চলে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ছাদ থেকে জল পড়ছে। কিন্ত আসলে জল কন্ডুইটের মাধ্যমে মাটিতে এসেছিল। উপরোক্ত সব কাজ অতিশীঘ্রই পূর্ণ হবে এবং দোতলার ফ্লোরিং পুরো ওয়াটরটাইট হবে। এরপর আর কোনও জংশনে জল ঢুকবে না। আর তথাপি কোনও কন্ডুইট দিয়ে জল নিচে নামবে না।

    ৫. মন্দির (Ram Mandir) এবং ছাদের ব্যালকনি থেকে বর্ষার জল নিকাশির পুরো ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ফলে মন্দিরে কখনও জল জমার পরিস্থিতি হবে না। সম্পূর্ণ মন্দির পরিসরের বাইরে বর্ষার জল নিকাশির শুন্য ওয়াটর ডিসচার্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য পরিসরের মধ্যেই রেন ওয়াটরট রিচার্জ পিট বানানো হচ্ছে।

    ৬. মন্দির এবং মন্দির পরিসরের নির্মাণ ভারতের দুটি সর্বোচ্চ স্বনামধন্য কোম্পানি L&T এবং টাটা’র ইঞ্জিনিয়াররা করেছেন। প্রখ্যাত ভাস্কর শ্রী চন্দ্রকান্ত সোমপুরার পুত্র, আশীষ সোমপুরার তদারকিতে এই কাজ হয়েছে। অর্থাত নির্মাণ কার্যের গুণগত মান নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়।

    ৭. উত্তর ভারতে শুধুমাত্র পাথর দিয়ে মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ এই প্রথম হচ্ছে। বিদেশে কেবল স্বামী নারায়ণ পরম্পরার মন্দির পাথর দিয়ে নির্মিত।

    ৮. প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় এক লাখ থেকে এক লাখ পনেরো হাজার ভক্ত প্রতিদিন ভগবান রামলালাকে দর্শন করেছেন। সকাল ৬:৩০ থেকে রাত্রি ৯:৩০ মন্দিরে প্রবেশ করা যায় দর্শনের জন্য। একটি ভক্তের প্রবেশ করে দর্শন করে প্রসাদ নিয়ে বাইরে বেরোতে কম করে এক ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়ে মন্দিরে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষেধ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করল তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে। বুধবার রাতে এনজেপি থানায় গ্রেফতার করে তাঁকে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার সামনে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল দল আর করব না বলে অনুগামীরা হুঁশিয়ারি দেন।

    কে দেবাশিস প্রামাণিক? (Siliguri)

    দেবাশিস একসময় এলাকার কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে এলাকার দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তৃণমূলের শিলিগুড়ির এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ ধন্য হয়ে তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্রমে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন। এবার তাঁর আসন সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। চারমাস আগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফুলবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার রপ্তানি সহ এলাকার জমির অবৈধ কারবার, শিল্প স্থাপন, উন্নয়নের কাজ, সবকিছুতেই শেষকথা ছিলেন দেবাশিস। বাহিনী বানিয়ে অনৈতিক কাজ করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। শিলিগুড়ির (Siliguri) এক শীর্ষনেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে বড় বড় কাজের বরাত তিনি পেয়ে যেতেন। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

     কেন গ্রেফতার? 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহুডাঙ্গির পাগালু পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায় নামে এক ব্যক্তি দেবাশিসের বিরুদ্ধে মারামারি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গেফতার করেছে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। সামান্য মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা মানতে চাইছেন না নেতার অনুগামীরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড পেয়েছে। জলপাইগুড়ির আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির লিড বিশেষ ভূমিকা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পরও তৃণমূলের এই ভরাডুবিতে তৃণমূলের শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও দেবাশিসকেই দোষারোপ করেন। দলের এই হার মুখ্যমন্ত্রী  মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জমির অবৈধ কারবার নিয়ে দলের নেতাদের কঠোর পদক্ষেপের বার্তা দেন। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নাম করে জমির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জমি মাফিয়াদের রমরমার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গৌতম দেবকেও দোষারোপ করেন। দেবাশিসকে মূলত দলের বিপর্যয়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে শিলিগুড়ির এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার মদত রয়েছে।   

    কেউ তৃণমূল করবে না, ক্ষোভ

    বুধবার রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় দেবাশিসের অনুগামীরা এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক অনুগামী ফোনে ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য। তারপর চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, দেবাশিসকে গ্রেফতারের  মাশুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিলিগুড়ির মেয়রকে দিতে হবে। গ্রেফতারের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, কাদের মদত রয়েছে সব প্রকাশ্যে আনা হবে। এরপর আর কেউ তৃণমূল করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mizoram: মাদকবিরোধী দিবসে ১৫৪ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল মিজোরাম পুলিশ! গ্রেফতার ২৬৫

    Mizoram: মাদকবিরোধী দিবসে ১৫৪ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল মিজোরাম পুলিশ! গ্রেফতার ২৬৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৬ জুন সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। আর এই মাদকবিরোধী দিবসেই ১৫৪ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস (Drugs Destroy) করল মিজোরাম (Mizoram) পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুড়িয়ে ফেলা ওই মাদকদ্রব্য গুলির মধ্যে ছিল প্রায় ১৩ কেজি হেরোইন, ১০৮ কেজি গাঁজা, ৭৭ কেজি মেথামফেটামিন ট্যাবলেট, ১০০ বোতল কাশির সিরাপ, আলপ্রাজোলাম ও আফিম।  

    চলতি বছরেই বাজেয়াপ্ত ৬৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য 

    কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিশাল পরিমান মাদকদ্রব্য (Drugs Destroy) উদ্ধার করা হয়েছে গত দুই বছর ধরে। বিশেষত প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার থেকে চোরাচালান করার সময়েই এই মাদকদ্রব্য গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরে প্রায় ৬৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে এই মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত ২৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।  

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু সচেতনতামূলক প্রচার

    এরপর ১৯৮৫ সালের মাদকদ্রব্য (Drugs Destroy) ও সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (NDPS) আইনের অধীনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ১৯৫ টি মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিজোরাম পুলিশকে মাদকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে  মিজোরামের ১১ টি জেলা জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং এর পাশাপাশি স্কুল ও বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাক্ষর অভিযানও চালানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা মিজোরাম (Mizoram) ও মণিপুরের মতো রাজ্যগুলিতে ব্যপক মাদক পাচার বরাবরই সরকারের কাছে উদবেগের বিষয়। মণিপুরে জাতি সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা আরও বেড়ে উঠেছে। তাই এবার এই রাজ্যগুলিতে মাদকের চোরা কারবার বন্ধ করতে কড়া হাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। মিজোরাম রাজ্যের একদিকে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে মায়ানমার সীমান্ত। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে সক্রিয় আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র চলত। এবার সেখানেই মাদকদ্রব্য পুড়িয়ে নজির গড়ল মিজোরাম পুলিশ। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolivia: বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দিল জনতা-পুলিশ

    Bolivia: বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দিল জনতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রকে পদদলিত করে আরও একবার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! তবে এবার বলিভিয়ার (Bolivia) পুলিশ ও জনতার প্রতিরোধের সামনে হার মানল সেনা। ব্যর্থ হল সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। ক্ষমতায় রয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি।

    বারংবার সেনা অভ্যুত্থান (Bolivia)

    দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট দেশ বলিভিয়া। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে এই দেশে। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওই দেশে ১৯০ বার নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনা। তবে এবার প্রতিরোধ গড়ল জনতা। তার জেরে পিছু হটতে হল সেনাপ্রধান জেনারেল হুয়ান হোসে জুনিগারকে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ১৮২৫ সাল পর্যন্ত বলিভিয়া ছিল স্পেনের অধীনে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দুশো বার সেনা অভ্যুত্থান হয় (Bolivia)। শেষবার হয়েছিল ২০১৯ সালে। এবার গণপ্রতিরোধের কাছে হার মানে বলিভিয়ার সেনা। ব্যর্থ হয় অভ্যুত্থান। হুয়ানকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট। নয়া সেনা প্রধান হন জেনারেল উইলসন সাঞ্চেজ।

    কীভাবে ব্যর্থ হল অভ্যুত্থান?

    বুধবার বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ-এর প্লাজা মুরিলো চত্বরে জড়ো হন হুয়ানের অনুগামীরা। উপস্থিত ছিলেন হুয়ান স্বয়ং। অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। তৎক্ষণাৎ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও পার্লামেন্ট চত্বর ঘিরে ফেলেন হুয়ানের অনুগামী সেনা কর্তারা। অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই হুয়ানকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট। সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার ডাক দেন বলিভিয়াবাসীর কাছে। তিনি বলেন, “বলিভিয়ানদের জীবনে আরও একবার সেনা অভ্যুত্থানের খাঁড়া নেমে আসুক, আমরা তা মেনে নেব না।” টিভি এবং রেডিও মারফত প্রেসিডেন্টের এই বার্তা পৌঁছে যায় বলিভিয়াবাসীর ঘরে ঘরে। পথে নামে জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ধেয়ে আসতে দেখেই পিছু হটেন হুয়ান ও তাঁর অনুগামীরা।

    আর পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের অনুগত মিলিটারি পুলিশের পর্যবেক্ষণে শিবিরে ফিরে গিয়েছেন হুয়ানের অনুগামীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে হুয়ানকে। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ফৌজদারি মামলা। নব নিযুক্ত সেনাপ্রধানের দাবি, হুয়ান বলেছেন গণতন্ত্রকে রিস্ট্রাকচার করতেই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্টকে তিনি শ্রদ্ধা করেন বলেও জানিয়েছেন।

    আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, বলিভিয়ার উন্নতমানের কফির দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। এই দেশগুলিই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলিভিয়ার রাজনীতিতে। যার জেরেই ছবির মতো সাজানো ছোট্ট এই দেশটিতে মাঝে মধ্যেই ঘটে চলেছে অভ্যুত্থানের চেষ্টা (Bolivia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google New Features: ক্রোমে নয়া ফিচার আনল গুগল, সহজেই মিলবে গন্তব্যের ঠিকানা ও ফোন নং

    Google New Features: ক্রোমে নয়া ফিচার আনল গুগল, সহজেই মিলবে গন্তব্যের ঠিকানা ও ফোন নং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস মোবাইল ডিভাইসে সার্চিংয়ে গতি আনতে ও ব্যবহারকারীদের সুবিধা দিতে Chrome-এ পাঁচটি নতুন ফিচার এনেছে গুগল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্টকার্ট ফিচার। এর মাধ্যমে স্থানীয় যে কোনও কিছু সহজে সার্চ করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ফিচারগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের সময় যেমন বাঁচাতে পারবেন, তেমনই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সহজেই তাঁদের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

    শর্টকাট ফিচার্সে গিয়ে সহজেই মিলবে গন্তব্যের ঠিকানা ও ফোন নম্বর

    উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কেউ একটি রেস্টুরেন্টের জন্য ক্রোমে সার্চ করেন, তখন এই শর্টকাট ফিচার্সে গিয়ে সহজেই সেই রেস্টুরেন্টের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং পথনির্দেশ মিলবে। ব্যবহারকারীরা কোনও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য নতুন শর্টকাটে ফিচার ব্যবহার করলে জায়গা বা গন্তব্যের নাম টাইপ করা মাত্র তা ওয়েবসাইটে নেভিগেট করতে সাহায্য করবে। প্রতি মাসেই গুগল নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে। দিন কয়েক আগে এরকমই ৩ ফিচার এনেছিল জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটি।

    দিন কয়েক আগে আনা ৩ ফিচার

    মেসেজ এডিটিং : গুগলের এই ফিচার পেয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা খুবই খুশি। এখন থেকে গুগল মেসেজের অধীনে আরসিএস মেসেজ খুব সহজে এডিট করা যাবে। মেসেজে কোনও ভুল সংশোধন বা নতুন টেক্সট যুক্ত করতে হলে ব্যবহারকারীদের প্রথমে নির্দিষ্ট মেসেজের উপর লং প্রেস করতে হবে। এরপরে এডিট করার বিকল্প অপশন এসে যাবে। তবে মেসেজ পাঠানোর ১৫ মিনিটের মধ্যেই সংশোধন করতে হবে।

    ইনস্ট্যান্ট হটস্পট: এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাত্র একটি ট্যাপের মাধ্যমে ফোনের হটস্পটে অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট ও ক্রোমবুক যুক্ত করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    নতুন ইমোজি: অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিবোর্ডে আরও নতুন ইমোজি যোগ করছে গুগল। ইমোজি কিচেনে আরও নতুন কম্বিনেশন ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। এছাড়াও এতে চ্যাটিং হবে আরও মজাদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুন শুরু হবে এ বছরের অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। শেষ হবে ১৯ অগাস্ট। হিমালয়ের বুকে একটি পাহাড়ে গুহায় তুষারবিন্দু জমে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। পবিত্র সেই লিঙ্গ দর্শনেই ফি বছর যান দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পুণ্যার্থী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অমরনাথের উচ্চতা ৩ হাজার ৮৮৮ মিটার।

    পথের ক্লান্তি ভুলে (Amaranth Yatra)

    অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্প জম্মুতে। যদিও দেবদর্শনে যেতে হবে কাশ্মীরে। পহেলগাঁও থেকে শুরু হয় আসল ট্রেক (Amaranth Yatra)। পাহাড়ি এই পথের প্রতিটি বাঁকে ওত পেতে রয়েছে বিপদ। সেই বিপদ উপেক্ষা করেই প্রায় ৪৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন ভক্তরা। এই পথেই পুণ্যার্থীদের বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে জায়গায় জায়গায়। চন্দনওয়াড়ি, শেষনাগ এবং পঞ্চতরণীর শোভা ভুলিয়ে দেয় পথের ক্লান্তি।

    পৌরাণিক আখ্যান

    একটি বড় লিঙ্গের পাশাপাশি গুহায় রয়েছে তুষারে তৈরি দুটি ছোট লিঙ্গও। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দুটির একটি দেবী পার্বতীর, অন্যটি গণেশের। পুরাণ মতে, সৃষ্টি রহস্য ব্যাখ্যা করতে শিব পার্বতীকে নিয়ে যান অমরনাথ গুহায়। বাহন নন্দীকে তিনি রেখে আসেন পহেলগাঁওতে। চন্দনওয়াড়িতে শিব জটামুক্ত করেন চন্দ্রকে। শেষনাগে রাখেন তাঁর মাথায় থাকা সাপকে। পঞ্চতরণীতে ছেড়ে দেন ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতকে। গুহায় প্রবেশের আগে বাইরে রেখে আসেন পুত্র গণেশকে।

    আরও পড়ুন: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠির কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    অমরনাথ গুহায় পৌঁছানো যায় দুই পথে। একটি পহেলগাঁও দিয়ে। অন্যটি শর্টকাট রুটে, বালতাল হয়ে। এই পথে গুহার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। বালতাল রুটটি তুলনামূলকভাবে খাড়াই পথ। তাই এই পথে অমরনাথ যাত্রা অনেক বেশি কষ্টকর। তবে পুণ্যার্থীরা যাতে নিরুপদ্রবে গুহায় পৌঁছতে পারেন, সেজন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি তৎপর নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনও। অমরনাথ যাত্রার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড। ২০০০ সালে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আইন করে এই বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল।

    অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে গেলে প্রয়োজন হয় পুণ্যার্থীর নিজের রাজ্যের হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ওয়ান এমবি-র বেশি হবে না এমন একটি ছবি। পিডিএফ ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ১৩ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। গর্ভকাল ছমাস হয়ে গেলেও কোনও গর্ভবতী মহিলা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। যাত্রার সময় সঙ্গে রাখতে হবে অরিজিনাল ফোটো আইডি এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (Amaranth Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের নলহাটির পর এবার পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি। ফের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি (BJP) নেতার রক্তাক্ত দেহ। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুভাষকুমার দত্ত (৪৪)। বুধবার রেললাইনের ধার থেকে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুভাষ আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি খুনের ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার বীরভূমের নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে রেললাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রদীপ মাল নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুভাষ (BJP)। এরপর রাত দুটো নাগাদ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, হীরাগাছি ৪৭-সি রেলগেটের কাছে সুভাষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অত রাতে রেললাইনের ধারে কেন গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট হচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। তবে পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বহু বিজেপি কর্মী হিংসার কারণে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। তাঁদের বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপির জেলা কার্যালয়গুলিতে। জানা গিয়েছে, আগে মণ্ডল সভাপতি পদে থাকা সুভাষ বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলেন।

    তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব

    এ-বিষয়ে রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের পাশে আছি। কীভাবে এই মৃত্যু হল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘সুভাষ আমাদের জেলা কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করুক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দেখা নেই। ক্রমশ বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে দিল্লিতে (Delhi)। তার সঙ্গে রয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। উষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগানোর দাবি উঠছে নাগরিকদের বিভিন্ন অংশ থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে দিল্লির রিজ ফরেস্ট এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে ১১০০ গাছ। এমন বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    উপরাজ্যপালকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

    সোমবার এ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি এএস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুইঞাঁর বেঞ্চে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (DDA)। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ডিডিএ’র চেয়ারম্যান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তিনি কী ডিডিএ’র আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন?’’ দিল্লিতে (Delhi) বিশেষ এলাকা রয়েছে যেখানে গাছগাছালিই কেবল থাকার কথা। এই গাছ কেটে নেওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। এখন নিয়ম হলো সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।  
    অথচ বিপুল সংখ্যায় গাছ কাটা হয়েছে যে এলাকায় সেখানে নিজে গিয়েছিলেন সাক্সেনা। জান গিয়েছে তিনি ঘুরে আসার পরই কাটা হয় একের পর এক গাছ। এ প্রসঙ্গ তুলেই এদিন বিচারপতি ওকা ডিডিএ’র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘দুটি নথিতে স্পষ্ট যে উপরাজ্যপালই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনারা কী তাঁকে আড়াল করতে চাইছেন?’’ আসলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার ক্ষমতা প্রবল। 

    আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের  

    আদালত ডিডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছে, ‘‘উপরাজ্যপাল ওই এলাকায় গিয়ে কী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার কোনও সরকারি নথি আছে কি? ভাইস চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার।’’ বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘‘ভাইস চেয়ারম্যানের তরফে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন কয়েকজন আধিকারিক ঠিক করেছেন গাছ কাটা উচিত। তাঁরাই ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ এই আধিকারিকদের নামেই যদিও আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আইআইটি ক্যাম্পাস, স্বপ্নের উড়ান কৃষক পরিবারের সন্তান ইয়েশুর

    বৃক্ষরোপণ অভিযানের নির্দেশ 

    সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করতে হবে ডিডিএ-কে। দিল্লিতে (Delhi) তাপপ্রবাহে সাতদিনের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আর একইসঙ্গে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের রাজধানী শহরে। আর এরই মধ্যে এবার বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পিছু হটলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো (William Ruto)। দেশজুড়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ- সংঘর্ষের পর তিনি জানান, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই বিলে কেনিয়দের কোনও সায় নেই। আমি বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছি।” বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটিকে তিনি আইনে পরিণত করবেন না বলেও জানান রুতো।

    কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল (William Ruto)

    সম্প্রতি কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল আনার কথা ঘোষণা করে কেনিয়া সরকার। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। মঙ্গলবার রাজধানী নাইরোবিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা (William Ruto)। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভয়ে সংসদ ভবন ছেড়ে পালিয়ে যান সাংসদরা। গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনাও। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর। আন্দোলনকারীদের মতে, এই বিল পাশ হলে দেশবাসীর দুর্দশা আরও বাড়বে। এদিকে, বুধবার সংসদের অধিবেশন বয়কট করেন বিরোধীরা।

    ব্যাপক বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নাইরোবির পাশাপাশি বিক্ষোভ চলছে মোম্বাসা, এলডোরেটেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি। ঘোষণা করেন, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহারের কথা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও এরকমই এক আইন পাশ করে বেতন ও বাড়িভাড়ার ওপর কর বসানো হয়েছিল। কেনিয়া সরকারের দাবি, এই কর বসানো হলে অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব হত।

    আর পড়ুন: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    করোনা অতিমারী, ইউক্রেন যুদ্ধ, পর পর দুবছরর দেশে খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন-সহ নানা ধাক্কায় কার্যত বেসামাল কেনিয়ার অর্থনীতি। অর্থনীতির এই বেহাল দশা থেকে বেরতেই একের পর এক আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে কেনিয়া সরকার। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অকালে প্রাণ হারান কেনিয়ার ২২ জন নাগরিক (William Ruto)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share