Author: user

  • Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘাসফুল শিবির জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছে বলেও দাবি তাঁর। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন সন্দেশখালির লড়াকু নেত্রী? (Basirhat)

    রেখা পাত্র বলেন, “নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রের হলফনামার সঙ্গে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জয়ী হওয়া হাজি নুরুল ইসলাম। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কমিশন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। আর সেই সুযোগে নির্বাচনেও জালিয়াতি করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে হাজি নুরুল ইসলাম যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ভুল রয়েছে। যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেও ভুল আছে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অন্যায়ভাবে জিতেছেন। এটা কোনওভাবেই আমরা মেনে নিচ্ছি না। কারণ, উনি অন্যায় করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। সত্যি কী তা মানুষের সামনে আসুক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যদি বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না? বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া চাই। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। মানুষ সবটা এমনিতেই জানতে পেরেছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বিষয়টি জানতে পারে যাতে তারজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা জুন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল বসিরহাটে। ৪ জুন ফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় বিজেপির রেখা পাত্রকে প্রচুর ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর থেকেই জালিয়াতি করে ঘাসফুল শিবির ভোটে জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এবার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি মামলায় কোনও রকমের পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। বুধবার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিনই বিচারপতি অমৃতার সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের আশ্বাস অনুযায়ী আপাতত ওই এফআইআরের প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পাশাপাশি হাইকোর্ট ওই সমস্ত এফআইআরগুলি নিয়ে রাজ্যের কাছে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও চেয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই রাজ্যকে রিপোর্ট জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা?

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তার আগে ও পরে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। বিজেপির অভিযোগ যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাদের কর্মীদেরকে। এরপরে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক জন ব্যক্তিই ৩৪টি অভিযোগ করেছেন! তার ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের হয়।’’

    নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই এফআইআরগুলি করা হয়েছে বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা (Calcutta High Court)। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের আর্জি, ওই সব এফআইআরের তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। অন্যদিকে, এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। সেই সঙ্গে এজির আশ্বাসের ভিত্তিতে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, এখনই এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয় করেন মন্ত্রীরা। আর আয়কর দেয় সরকার। এতদিন এটাই দস্তুর ছিল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। তবে ১৯৭২ সালের এই আইন বাতিল করতে চলেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যিনি আয় করবেন, ট্যাক্সের বোঝাও বইতে হবে তাঁকেই। মঙ্গলবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেতন ও ভাতা বাবদ যে অর্থ মন্ত্রীরা রোজগার করবেন, তার ওপর আয়কর দিতে হবে তাঁদেরই।

    কী বললেন বিজয়বর্গীয়? (Madhya Pradesh)

    আরবান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে এই করগুলি রাজ্য সরকারের দেওয়ার বদলে মন্ত্রীদেরই উচিত তাঁদের বেতন ও ভাতার ওপর আয়কর দেওয়া। রাজ্যকে এই কর দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার নিয়মটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা (Madhya Pradesh)।”

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্ট

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্টের ৯ কে ধারা অনুযায়ী, ‘কোনও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিবের ওপর তাঁদের প্রদেয় সমস্ত ভাতার জন্য একটি সাজানো গোছানো সুবিধার জন্য কোনও আয়কর ধার্য করা হবে না। ভাড়া দিতে হবে না এই শর্তেই বাসস্থান দেওয়া হয়েছে। এবং এই আইনের অধীনে তাঁরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিব কর্তৃক প্রদেয় সর্বোচ্চ হারে কর প্রদান করবে রাজ্য সরকার।’

    আর পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    এই আইনের বিলোপ ঘটলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ, বলছেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীদের আয়কর বাবদ যে টাকা সরকারকে দিতে হয়, তা বাঁচলে উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও জনসেবাগুলির জন্য আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “মন্ত্রীরা আয়কর প্রদান করে একজন দায়িত্ববান নাগরিকের কর্তব্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলবেন। যা সরকারের স্বচ্ছতার সঙ্গে মেলে। এটি রাজ্যের বাজেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও হ্রাস করবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব হবে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্য আর্থিক বোঝার মধ্যে রয়েছে।”

    ২০১৯ সালে পথ দেখিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। ২০২২ সালের একই পথে হাঁটে হিমাচলপ্রদেশের মন্ত্রিসভাও। এবার এই দুই রাজ্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করল পদ্ম-শাসিত মধ্যপ্রদেশও (Madhya Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorists killed in encounter: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    Terrorists killed in encounter: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-kashmir) দোদায় নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে (Terrorists killed in encounter) নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। বারামুলায় জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্ভাব্য জঙ্গিহানা ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হচ্ছে। চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযানও। তেমনই এক অভিযানের সময় গত ১৯ জুন জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই বাধে। সেই সময় গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় ২ জঙ্গি। এখন পর্যন্ত দুই জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorists killed in encounter)

    জানা গিয়েছে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-kashmir)। জঙ্গিদের খোঁজে ডোডা জেলার জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। আসলে গত ১১ ও ১২ জুন দুবার জঙ্গি হামলা চলে কাশ্মীরে। আর সেই হামলা পাকিস্তানী জঙ্গিরা করিয়েছিল বলে জানা যায়। তারপরেই পাকিস্তানী জঙ্গিদের ধরতে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে তল্লাশি অভিযান। পুলিশসূত্রের খবর, চার আতঙ্কবাদীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরেই ১৯ জুন সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ বারামুলা জেলায় জঙ্গিদের সন্ধান মেলে। সেখানেই সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। তবে বাকিদের খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান। 

    আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির জেরে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া! ভারতীয়দের সতর্ক করল দূতাবাস

    একের পর এক জঙ্গি হামলা 

    প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন মোদি সরকারের শপথের দিন থেকে কাশ্মীরে (Jammu-kashmir) সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে দিন জম্মুর রিয়াসি জেলায় পুণ্যার্থীদের বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নজনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর কাঠুয়া ও ডোডা জেলার বেশ কিছু এলাকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় এক সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বহু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    Sunita Williams: মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ‘আটকে’ রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। তিনি ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর আপাতত ফিরতে পারবেন না পৃথিবীতে। এমনটাই জানিয়েছে নাসা (NASA)। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৬ জুন তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু এখন নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত তাঁদের ফেরা সম্ভব নয়। ত্রুটি ধরা পড়েছে তাঁদের মহাকাশযানে। যে মহাকাশযানে তাঁরা গিয়েছিলেন তাতে আর ২৬ দিনের জ্বালানি বাকি রয়েছে। তাই সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।

    কেন আটকে সুনীতারা

    মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনারকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। উৎক্ষেপণের পরেই একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে তাঁদের মহাকাশযানে। না ঘুমিয়ে নিজেরাই সেই ত্রুটি মেরামত করেন নভশ্চররা। এরপর যাবতীয় সমস্যা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায় তাঁদের মহাকাশযান। কিন্তু ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে তাঁদের যানে। তাই মহাকাশ স্টেশনেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। জানা গিয়েছে সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর, দুজনেই সেই আইএসএসে নিরাপদেই রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আরও সাতজন ক্রু মেম্বার রয়েছেন। 

    ফিরবেন কবে?

    থ্রাস্টার ট্রাবল শুটিং এবং নির্ধারিত স্পেসওয়াকের কারণে মহাকাশযানটি ফেরত আসতে বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন। স্টিচের মতে, ‘আমাদের দলের ডেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে, এরপর আমরা নিশ্চিত করব যে আমরা সত্যিই বাড়িতে আসতে প্রস্তুত।’ বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের প্রধান মার্ক নাপ্পি বলেন, ‘আমরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি। এক্ষেত্রে স্টেশনে থেকে আরও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’ একবার নাসা মহাকাশচারীদের ফিরে আসার সবুজ সংকেত দিলে, স্টারলাইনারের থ্রাস্টারগুলি আইএসএস থেকে ক্যাপসুলটিকে আনডক করতে ব্যবহার করা হবে। এরপর ছয় ঘণ্টায় পৃথিবীতে পৌঁছে যাবেন সুনীতারা (Sunita Williams)। তাঁরা ৬ জুলাই পৃথিবীতে ফিরতে পারেন।

    মহাকাশযান যদি ব্যর্থ হয়

    নাসা (NASA) বলেছে যে প্রপালশন সিস্টেমে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও স্টারলাইনার মহাকাশচারীদের সঙ্গে করে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম। স্টারলাইনারকে সম্পূর্ণ অকেজো ঘোষণা করা হলে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগনের মাধ্যমে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। মার্চ মাসে, ক্রু ড্রাগন চার নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যায়। জরুরী পরিস্থিতিতে, ক্রু ড্রাগনে আরও নভোচারী বসানো যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: “সংসদীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী সময়”, স্পিকার পদে ওম বিড়লাকে স্বাগত মোদির

    কল্পনার স্মৃতি

    ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মহাকাশ অভিযান শেষ করে স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কল্পনা চাওলা ও তাঁর সঙ্গীরা। ১লা ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মাটি ছোঁয়ার ১৬ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে কলম্বিয়া। মৃত্যু হয় কল্পনা-সহ বাকি নভোশ্চরদের। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মহাকাশযান সবদিক থেকে ঠিকঠাক ছিল। খালি হাইড্রোলিক ট্যাঙ্কের তরল দ্রুত কমে আসছিল। এতেই মহাকাশযানের সেন্সর সিস্টেমে গড়বড় শুরু হয়। এবার মহাকাশে আটকে রয়েছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর আগে ২০০৬ ও ২০১২ সালে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। সব মিলিয়ে ৩২২ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি শুধু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। তাই তাঁকে উদ্বিগ্ন ভারতও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Summer Fruits: আম, জাম আর কাঁঠাল শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? জেনে নিন খাওয়ার আগে

    Summer Fruits: আম, জাম আর কাঁঠাল শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? জেনে নিন খাওয়ার আগে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের দাপট আর কমছে না। তাপমাত্রার পারদ চড়ছেই।‌ তার সঙ্গে অস্বস্তিকর আবহাওয়া। তবে গরম মানেই বাঙালির আম, জাম আর কাঁঠাল খাওয়ার সময়। এই সময়ে বাঙালির পছন্দের এই তিন ফল (Summer Fruits) বাজারে দেদার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই তিন ফল শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া দরকার, কতখানি খাওয়া যেতে পারে।

    জাম খেলে কী উপকার পাওয়া যায়? (Summer Fruits)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, জাম খুবই উপকারী একটা ফল। বিশেষ করে গরমে জাম খাওয়া আরও ভালো। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই নিয়মিত জাম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। জামে রয়েছে একাধিক ভালো ব্যাকটেরিয়া। এই সব ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। গরমে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু জাম খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। গরমে অধিকাংশের ত্বকের একাধিক সমস্যা হয়। অনেকেই লাল দাগ, চুলকানি, সান বার্নের মতো নানান ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। জাম ত্বকের জন্য খুব উপকারী। জামে রয়েছে ভিটামিন। এছাড়াও রয়েছে নানান খনিজ পদার্থ। যেগুলো ত্বকের জন্য ভালো। গরমে ত্বকের সমস্যা কমায় জাম। 
    তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জাম (Summer Fruits) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাই জাম খুব উপকারী। এতে রক্তের শর্করা প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু যাদের শর্করা হঠাৎ করেই কমে যায়, তাদের অতিরিক্ত জাম খাওয়া উচিত নয়। পরিমিত জাম খেলে কোনও বিপদ হবে না।‌ বরং শরীর সুস্থ থাকবে।

    আমে কি বাড়বে ডায়াবেটিস?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়া নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা আছে। কিন্তু গরমে আম খাওয়া ভালো। তাঁরা জানাচ্ছেন, আম হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এই আবহাওয়ায় শরীরের উত্তাপ বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত ঘামে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমের মতো রসালো ফল (Summer Fruits) খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও আম কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড। এগুলো‌ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। চোখের জন্য আম বিশেষ উপকারী। আমে রয়েছে একাধিক ভিটামিন। এই ভিটামিন চোখের সমস্যা, শুষ্ক চোখের মতো রোগ মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে ২৫ ধরনের ক্যারোটিন রয়েছে। এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। 
    ডায়াবেটিস রোগী মানেই আম খাওয়া যাবে না, এমনটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে একটা বা দুটো আম খেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রত্যেক দিন একাধিক আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত আম খেলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    কাঁঠাল খেলে কি পেটের সমস্যা হবে? (Summer Fruits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে কাঁঠাল খাওয়া যেতেই পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁঠালে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তিন উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। এই তিন উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। এই দুই উপাদান চোখের জন্য খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁঠাল খেলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কমবে। কাঁঠালে রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্স। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান থাকার জন্য কাঁঠাল খেলে আলসার, কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তবে, কাঁঠাল হজমের গোলমালের ঝুঁকি বাড়ায়। কাঁঠাল সহজপাচ্য নয়। তাই অনেক সময় অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা হয়। অনেকের আবার পেটের গোলমাল হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,‌ কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ অতিরিক্ত থাকে। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কাঁঠাল (Summer Fruits) এড়িয়ে চলাই ভালো।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

     Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার পুরো সময় ধরেই ছদ্মবেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এক দুই বছর আগের সময় নয়, প্রায় ৫০ বছর আগেকার ঘটনা। ২৫ জুন ১৯৭৭ সালে তৎকালীন ইন্দিরা সরকার সংবিধানকে বিসর্জন দিয়ে গোটা দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সারা দেশ কারগারে পরিণত হয়েছিল। মোদি, কংগ্রেসের সেই সময়ের অন্ধকার দিনের কথা তুলে ধরেছেন সংসদে। কীভাবে দেশে এই গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করেছিলেন, সেই বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম।”

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    সংসদে জরুরি অবস্থা সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “এই রকম দমন পীড়ন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সবরকম কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে ছাত্রযুব সমাজ গড়ে তুলেছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। ছাত্র সমাজের শক্তি সেই সময় দেখা গিয়েছিল। আমি সেই সময় আরএসএস-এর যুব প্রচারক হয়ে সামজিক কাজ করছিলাম। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অধীনে আমরা কাজ করছিলাম। যুব সমাজের আন্দোলন দেশ ব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কংগ্রেসের আগ্রাসী চোখ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ছদ্মবেশী রূপ নিয়ে নানান গোপন মিটিং করতাম। আমাদের অনেক সঙ্গীরা এই কাজে সমাজ জাগরণে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ লোকসভায় টানা দ্বিতীয়বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা, অভিনন্দন মোদির

    আর কী বলেন?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কংগ্রেসের এই জরুরি অবস্থকে অন্ধকার দিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের আরএসএস বরিষ্ঠ নেতা জগড়া, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য দেওয়া-নেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। এই সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সমাজের অন্তরালে থেকে কাজ করছিল। গুজরাটে তৈরি করা হয়েছিল লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই আমি আমি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সঙ্ঘের কার্যবাহ হয়ে গিয়েছিলাম। এই সময় নানান লেখালেখি করতাম। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লেখাগুলির মাধ্যমে যাতে চিহ্নিত না হয়ে যাই, সেই জন্য শিখ বা গৈরিক সন্ন্যাসীর বেশে আত্মগোপন করে কাজ করেছিলাম।”

    উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালে জরুরি অবস্থার উপর ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’ নামক একটি বই লেখেন মোদি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই যশভাই প্যাটেল এই বইয়ের প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় মোদির মাত্র বয়স ছিল ২৭ বছর।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh News: মধ্যপ্রদেশে গো হত্যায় অভিযুক্তদের বেআইনি নির্মাণ ভাঙল পুলিশ

    Madhya Pradesh News: মধ্যপ্রদেশে গো হত্যায় অভিযুক্তদের বেআইনি নির্মাণ ভাঙল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh News) মোরেনা জেলায় একটি প্রশাসনিক দল বুধবার অভিযান চালিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে শুরু করে। বৈআইনি নির্মাণে সঙ্গে জড়িতরা প্রত্যেকেই গোহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে গোহত্যা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

    ২১ জুন গোহত্যার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয় মধ্যপ্রদেশের নুরাবাদ পুলিশ স্টেশনে

    গত ২১ জুন গোহত্যার বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয় মধ্যপ্রদেশের নুরাবাদ পুলিশ স্টেশনে। সেখানে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাদের মধ্যে ৬ জনকে এখনও গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে এবং এরা প্রত্যেকেই গো হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh News) নুরাবাদ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ ওপি রাওয়াত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২১ জুন একটি গো হত্যার ঘটনা সামনে আসে এবং সেদিনই এফআইআর দায়ের করা হয়। প্রশাসন এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদা তৎপর রয়েছে। গোহত্যায় জড়িত দুই অভিযুক্তের বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।

    আরও পড়ুন: ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হচ্ছে ‘মন্দির মিউজিয়াম’

    কী জানালেন সরকারি আধিকারিক

    এ বিষয়ে সরকারি আধিকারিক মহেশ সিং কুশাওয়া জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে আগেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তাদের বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে নিয়ে তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। পরবর্তীকালে ফের একবার (Madhya Pradesh News) নোটিশ পাঠানো হয় ২২ জুন। কিন্তু তারপরেও কোনও রকমের প্রতিক্রিয়া না মেলায় অভিযুক্তদের বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। দুটি বাড়ি বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। তৃতীয় একটি বাড়ি গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছিল। এর সবগুলোই আজকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আর পড়ুন: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adventure Tour: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

    Adventure Tour: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ এবং নতুন জায়গা অন্বেষণ করতে কে না ভালোবাসে? নৈসর্গিক পাহাড়ের মধ্য দিয়ে লং ড্রাইভ, খোলা সমুদ্রে ভ্রমণ, এবং উত্তেজনাপূর্ণ (Adventure Tour) ট্যুর শুরু করা প্রত্যেকের ছুটির সময়কালীন ইচ্ছার তালিকায় থাকে। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি আপনি এই ছুটির জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। এটি বেশিরভাগ ভ্রমণ উৎহীদের জন্য একটি স্বপ্নের জীবন হবে। কিন্তু একজন আমেরিকান মানুষ ইতিমধ্যেই এই স্বপ্নের দুনিয়ায় বাস করছেন এবং ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে তাঁর জীবনকে তুলে ধরছেন।

    এক বছর জাহাজে কাটালেন কেভিন (Adventure Tour)

    কেভিন মার্টিন সেনায় ছিলেন। সেনা ছাড়ার পর আইনের পড়াশুনা করেন। কিছু দিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর এখন তিনি ইউটিউবার। নীল সমুদ্রে একবছরের জন্য ক্রুজ জাহাজে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন। মিসৌরির এই ৪৮ বছর বয়সি শুধু ক্রুজ জাহাজে ছুটি কাটাচ্ছেন এমন নয়, তিনি (Adventure Tour) স্বপ্ন পূর্ণ করার জন্য বাস করছেন। তিনি ইউটিউবে ভ্লগের মাধ্যমে তাঁর জীবনধারা দর্শকদের জন্য তুলে করেছেন, যার মধ্যে আর্থিক বাস্তবতা-উভয় ভালো দিক এবং খারাপ সহ তাঁর খরচ দর্শকদের জানাচ্ছেন। এমএসসি, এনসিএল, প্রিন্সেস এবং রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের মত বিভিন্ন ক্রুজ জাহাজে জীবনধারাকে আশ্চর্যজনকভাবে সাশ্রয়ী করে তোলা যায় সে সম্পর্কে টিপসও শেয়ার করেছেন।

    অবসর জীবন স্বপ্নের মত কাটানোর অভিজ্ঞতা

    ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেভিন সেন্ট কিটস, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, গ্রেনাডা, গ্র্যান্ড কেম্যান, আরুবা সহ বহু জায়গায় যাত্রা করেছিলেন। জাহাজে পুরো মাসের জন্য তিনি মোট ১,৬১৫ পাউন্ড ব্যয় করেছিলেন। এর মধ্যে ১,০৮০ পাউন্ড তাঁর বাসস্থান এবং জাহাজে থাকা বুফে ডিনারে খরচ হয়েছিল। সেই সময়ে, তিনি অতিরিক্ত খাবারের জন্য মাত্র ২২ পাউন্ড ব্যয় করেছিলেন যা জাহাজের (Adventure Tour) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কেভিনের ক্রুজ শিপ লাইফস্টাইলের মাসিক খরচ ভারতীয় মুদ্রায় ছিল ১,৬২,৯৮৫ টাকা। ইংলিশ পাউন্ডের হিসেবে তা হল ১৬১৫ পাউন্ড।

    ভারতীয় মুদ্রায় কেভিনের খরচের টুকরো হিসেব:

    • আবাসন ও খাবার: ₹ ১,০৮,৯৯৩ (প্রায় ১,০৮০ পাউন্ড)
    • অতিরিক্ত খাবার: ₹ ২,২২০ (প্রায় ২২ পাউন্ড)
    • ফোন খরচ: ₹ ৮,৫৭৮ (প্রায় ৮৫ পাউন্ড)
    • বীমা: ₹ ৪,২৩৮ (প্রায় ৪২ পাউন্ড)
    • স্বাস্থ্যসেবা: ₹ ১,৯১৭  (প্রায় ১৯ পাউন্ড)

    কেভিন তাঁর শেষ এক বছরের জাহাজ ভ্রমণকে (Adventure Tour) জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা বলেছেন। তবে খরচ বাঁচানোর চক্করে তাঁর যা ইচ্ছে ছিল তেমন অনেক কিছুই করা হয়নি। যেমন আগামীতে তিনি খরচের কথা না ভেবে যেখানে যাবেন, সেখানকার স্থানীয় খাবার খেয়াল খুশি মত খাবেন বলে জানিয়েছেন এবং আগামীতে জাহাজে থাকার পরিবর্তে বিভিন্ন দেশে নানা ভাবে ঘুরে বেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেভিন।  

     

  • Murshidabad: “৫ জুন গুজরাটে গিয়েছেন, আর আসেননি”, ইউসুফকে তোপ হুমায়ুনের

    Murshidabad: “৫ জুন গুজরাটে গিয়েছেন, আর আসেননি”, ইউসুফকে তোপ হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী  হওয়ার পর পরই ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে, রাজ্য নেতৃত্বের হুঁশিয়ারির জেরে তিনি কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন। ভোটের ফল ঘোষণার পর জেলায় অনুপস্থিতি নিয়ে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদকে তুলোধনা করলেন হুমায়ুন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন হুমায়ুন? (Murshidabad)

    হুমায়ুন বলেন, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে ৫ জুন আমাদের দলের সাংসদ ইউসুফ পাঠান গুজরাটে গিয়েছেন। তাঁকে এলাকার মানুষ ভোট দিলেন, কিন্তু, তিনি ৫ জুন পরে আর বহরমপুরে (Murshidabad) এলেন না। ভোট করে তাঁকে আমরা তো জিতিয়েছি। এবার তো তাঁর নিজের এলাকায় এসে ঘোরা দরকার। মানুষের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তাঁর কথা বলা দরকার। কিন্তু, তিনি এখনও এলেন না। তাঁর আশপাশে ‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়লেরা’ ভিড়ে গিয়েছেন। তাঁকে তাঁরা ‘মিসগাইড’ করতে শুরু করেছেন। সাংসদ হিসেবে তাঁর এলাকায় দ্রুত আসা উচিত। তাঁর এখানে না আসার জবাবদিহি ভোটারদের কেন আমাদের দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    রেজিনগরের বিধায়ককে তো কাজে পাওয়া যায় না

    রেজিনগরের (Murshidabad) বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর সঙ্গে হুমায়ুনের বিরোধ নিয়ে জেলায় দলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। এবার ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। রেজিনগরের বিধায়ককে কটাক্ষ করে হুমায়ুন বলেন, “ফরিদপুরে মীর মদনের সমাধিস্থল-সহ আশপাশের এলাকা উন্নয়ন হওয়া দরকার। এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসান এখানে এলে তাঁর কাছে আমরা এই জায়গার উন্নয়নে একাধিক দাবি জানিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে আরেক রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও এখানে এসেছিলেন। কিন্তু, এখানকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। আমি অন্য এলাকার বিধায়ক। ফলে, আমার এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা এখানে খরচ করতে পারব না। আর রেজিনগরের বিধায়ককে তো এ সব উন্নয়নমূলক কাজে পাওয়া যায় না। সকলে মিলে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে ধরতে পারলে কাজ হতে পারে।”

    রেজিনগরের বিধায়ক কী বললেন?

    হুমায়ুনের অভিযোগ নিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “শপথগ্রহণ শেষে লোকসভার অধিবেশন শুরু হবে। লোকসভার অধিবেশন ৩ জুলাই শেষ হবে। তার পরই সাংসদ ইউসুফ পাঠান এলাকায় আসবেন। আর আমাকে এলাকার মানুষ সব সময়েই কাছে পান। ফরিদপুরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share