Author: user

  • Kausani: জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন যেন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    Kausani: জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন যেন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমায়ুন হিমালয়ের এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পর্যটন কেন্দ্র হল এই কৌশানি (Kausani)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮৯০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই কৌশানির রূপে মুগ্ধ হয়ে স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, এমন সুন্দর জায়গা থাকতে মানুষ কেন সুইজারল্যান্ড যায়? হিন্দি সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি সুমিত্রা নন্দন পন্থের জন্মভূমি এই কৌশানি। কৌশানি থেকে পাইন, ফার, দেওদারের জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে নন্দাদেবী, ত্রিশূল, পঞ্চচুল্লী, নন্দাকোট প্রভৃতি হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গগুলি দর্শন করা এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা। শান্ত, নির্জন, স্নিগ্ধ এই কৌশানি থেকে প্রায় ৩২০ কিমি বিস্তৃত হিমালয়ের অনবদ্য শোভা অবলোকন করা এক অনন্য অনুভূতির সঞ্চার করে মনে।

    দেখে নিন গান্ধীজির আশ্রম (Kausani)

    একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় গান্ধী অনাসক্ত আশ্রম। ১৯২৯ সালে মহাত্মা গান্ধী এই আশ্রমে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত করেন। এই আশ্রমে বসেই তিনি লেখেন গীতার অনাসক্তি যোগ। এরপর দেখে নেওয়া যায় গান্ধীজির অন্যতম প্রিয় শিষ্যা সরলা বেনের প্রতিষ্ঠিত কস্তুরবা গান্ধী আশ্রম। এখানে মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন হস্তজাত জিনিসের প্রদর্শনী ও বিক্রয় হয়। এরপর দ্রষ্টব্য কবি সুমিত্রা নন্দন পন্থ সংগ্রহশালা। খোলা থাকে সকাল ১০ টা ৩০ থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ অবধি। সোমবার বন্ধ (Kausani)। একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় পিঙ্গালকোটের চা বাগান, প্রায় ৫ কিমি দুরের পিনাঠ বা পিনাথ, সাড়ে পাঁচ কিমি দূরের বুদা পিনাথ প্রভৃতি। সবকটি স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই মনোমুগ্ধকর।

    যাবেন কীভাবে, থাকবেন কোথায়? (Kausani)

    যাতায়াত–আলমোড়া থেকে সরাসরি বাস আসছে কৌশানি। দূরত্ব প্রায় ৩২ কিমি। সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আলমোড়া থেকে আসছে শেয়ার জিপ। এছাড়াও সরাসরি বাস আসছে প্রায় ১১৭ কিমি দূরের নৈনিতাল থেকেও। তবে সবচেয়ে ভালো আলমোড়া অথবা নৈনিতাল থেকে গাড়ি নিয়ে বা প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে নেওয়া। এতে অনেক ঝক্কি-ঝামেলার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
    থাকা-খাওয়া–কৌশানিতে রয়েছে কুমায়ুন মণ্ডল বিকাশ নিগম বা কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (TRH)। ফোন-(০৫৯৬২) ২৫৮০০৬। এছাড়াও এখানে আছে বেশ কিছু ভালো মানের থাকা ও খাওয়ার বেসরকারি হোটেল (Kausani)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক ভবন দখল করছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। এবার এই সরকারি ভবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) দফতরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে (Nadia)।

    সুকান্ত ভবন দখল করেছে তৃণমূল (Nadia)

    নদিয়ার শান্তিপুরের (Nadia) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় “বিডিও অফিসে অবস্থিত সুকান্ত ভবন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে নদিয়া জেলা পরিষদ সেই ভবনটিকে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। যদিও ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ব্যয়ের অর্থ মেটাতে হয় পঞ্চায়েত সমিতিকেই। কিন্তু শাসক দল নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে সরকারি ভবনকে।” ঘটনায় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”

    পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য

    এই ভবন অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দফতর গেটের সামনে ধর্নায় বসেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এই অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অবিলম্বে যদি এই ভবন পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে লাগাতার এই আন্দোলন চলবে। আমরা হাতে গুনে সাত দিন সময় দিলাম, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ভবন যদি ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে জোরপূর্বক দখল করার রাস্তা বেছে নেবো।” অন্যদিকে আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

    আরও পড়ুনঃ দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে এই যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং প্রাক্তন সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেছেন, “সুকান্ত ভবন সংস্কারের জন্য এখনও কাজ চলছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ ছিল, এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে ভবনটি সংস্কারের পরে আবার নতুন করে মানুষ পরিষেবা পাবেন। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন, এখানে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করছে না বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoist Surrender: গড়চিরৌলিতে মাওবাদ শেষের পথে, মাওবাদি দম্পতির আত্মসমর্পণ  

    Maoist Surrender: গড়চিরৌলিতে মাওবাদ শেষের পথে, মাওবাদি দম্পতির আত্মসমর্পণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্রিশগড়ের সীমান্ত সংলগ্ন মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি এলাকায় দুই কুখ্যাত মাওবাদি (Maoist Surrender) আত্মসমর্পণ করলেন। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ছত্রিশগড় এবং মহারাষ্ট্রে জঙ্গী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মনকু তুমরেটি ওরফে গিরিধর এবং তার স্ত্রী সঙ্গীতা ওরফে ললিতা চেন সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসায় ওই এলাকায় মাওবাদিদের মনোবল ভেঙে পড়েছে বলে পুলিশের দাবি। গিরিধরের উপর ২৫ লক্ষ এবং সঙ্গীতার উপরে ১৬ লাখ টাকা লক্ষ টাকার পুরস্কার ছিল।

    মূলস্রোতে ফিরে আসায় অর্থসাহায্য করবে সরকার (Maoist Surrender)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গিরিধরের স্ত্রী সঙ্গীতা উপরে ১৭ টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ওই দম্পতি মাওবাদি কার্যকলাপের সঙ্গে ছিল। ধৃতরা সমাজের মূলধারায় Maoist Surrender) ফিরে আসায় তাঁদের ধন্যবাদ জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। জানা গেছে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার জন্য পুনর্বাসন যোজনার অন্তর্গত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গিরিধর মোট ১৫ লক্ষ টাকা এবং ললিতা সাড়ে আট লক্ষ টাকা পাবেন।

    মাওবাদি আন্দোলনের কোমর ভেঙেছে

    এদিন আত্মসমর্পণ পর্ব শেষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেন গিরিধর (Maoist Surrender) আত্মসমর্পণ করার পর গড়চিরৌলি এলাকায় মাওবাদি আন্দোলনের কোমর ভেঙে গিয়েছে। সরকার মাওবাদি সমস্যা শেষ করার জন্য বদ্ধপরিকর। এর জন্য মাওবাদিদের সমাজের মুখ্য ধারায় ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যারা অস্ত্রের পথ ত্যাগ করবেন তাঁদের সমাজে স্বাগত জানানো হবে।” আরও জানা গিয়েছে এর আগে ২৮ মে গণেশ এক মাওবাদী যার মাথায় ছয় লক্ষ টাকার পুরস্কার ছিল তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাঁর পুরো নাম গণেশ গাট্টা পুণেম বলে জানা যায়।

    আরও পড়ুন: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    ২০১৭ সাল থেকে তিনি মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গণেশ মাওবাদি দলের সহকারী কমান্ডার ছিলেন। ২০১৭ এবং ২০২২ সালে বিজাপুর এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিল এই গণেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sonakshi Sinha: পরনে লাল বেনারসী, সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে লাল আলতা! রিসেপশনে সাবেক সাজে সোনাক্ষী

    Sonakshi Sinha: পরনে লাল বেনারসী, সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে লাল আলতা! রিসেপশনে সাবেক সাজে সোনাক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে এক হল চার হাত। তবে হিন্দুমতে মালাবদল-সিঁদুরদান বা মুসলিম মতে নিকাহ কোনোটাই হয়নি। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সারলেন বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha) এবং জাহির ইকবাল। রবিবার ছিল তাদের রিসেপশন। সেখানেই একেবারে বাঙালি লুকে (Reception Look) লাল শাড়িতে সেজেছিলেন সোনাক্ষী। আর জাহিরের পরনে ছিল সাদা রঙের শেরওয়ানি।  

    কেমন ছিল সোনাক্ষীর রিসেপশনের সাজ? (Sonakshi Sinha)  

    পরনে লাল বেনারসী, সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে লাল আলতা। রিসেপশনে এমন সাবেক সাজেই (Reception Look) নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন সদ্য বিবাহিত সোনাক্ষী। রিসেপশন পার্টিতে লেহেঙ্গা ছেড়ে শাড়িতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। সাধারণত বলিউড সেলেব্রিটিরা নিজেদের বিয়েতে হাতে মেহেন্দি পড়েন, কিন্তু সোনাক্ষী তার রিসেপশন লুকে সে সাজল লাল আলতায়। 
    ২৩ জুন, আজ থেকে ৭ বছর আগে এইদিনেই একে অপরকে মনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। অর্থাৎ ২০১৭ এর ২৩ জুন থেকে জাহিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সোনাক্ষীর। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম পরিণতি পেল রবিবাসরীয় সন্ধ্যায়। বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার হাত জড়িয়ে জাহিরের সঙ্গে নতুন পথ চলা শুরু করলেন বলিউড অভিনেত্রী। সাদা টুইনিংয়ে নজর কেড়েছিলেন নবদম্পতি।  

    মায়ের শাড়িতেই সাজলেন সোনাক্ষী

    রিসেপশনে ডিজাইনার লাল শাড়িতে সাজলেও (Reception Look), বিকেলের অনুষ্ঠানের জন্য সোনাক্ষী (Sonakshi Sinha) বেছে নিয়েছিলেন তাঁর মা, পুণম সিংহের শাড়ি। আইভরি শাড়ি, মাথার ফুলে অপরূপা সোনাক্ষী। একই রঙের পোশাক পরেছিলেন জাকিরও। মায়ের শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য, মায়ের কালেকশন থেকেই গয়না বেছে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আইভরি সাজে সোনাক্ষীর স্নিগ্ধতা যেন মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটপাড়ার। বর-বধূর পোশাকের সঙ্গে মানানসই ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের থিমও। 

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    মেয়ের রিসেপশনে হাজির শত্রুঘ্ন এবং পুনম সিনহা

    বিয়েতে মেয়ের পাশেই ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা এবং পুনম সিনহা। রিসেপশনে হাত ধরেই ঢোকেন তাঁরা। জাহিরের গোটা পরিবারও হাজির ছিল বিয়ে এবং রিসেপশনে। রেড কার্পেটে একসঙ্গে ধরা দেন জাহিরের মা-বাবা। ২৩ জুন সকাল থেকেই জাহির-সোনাক্ষীর (Sonakshi Sinha) বিয়ে সংক্রান্ত নানা মুহূর্ত ধরা পড়ছিল সেলেব পাপারাৎজ্জিদের ক্যামেরায়। যা সমাজমাধ্যমের পাতায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছিল। এরপর সন্ধ্যেয় সোনাক্ষী নিজে তাঁর অফিসিয়াল পেজে বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    Music Therapy: শিশু থেকে বয়স্ক, কোন কোন অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিনোদন কিংবা অবসর যাপনের সঙ্গী হিসেবেই নয়। রোগ নিরাময়েও বিশেষ সাহায্য করে গান‌। মনের জটিল রোগ থেকে স্নায়ুর সমস্যা কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যার মতো একাধিক কঠিন রোগে ওষুধের মতো কাজ করতে পারে সঙ্গীত। রাগের ওঠা-নামার সঙ্গে তাল মেলাতে পারলেই কমবে নানান জটিল শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বয়স্ক, বিভিন্ন বয়সের মানুষের নানান জটিল রোগ নিরাময়ে মিউজিক (Music Therapy) থেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেনে নিন কোন কোন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি?

    পারকিনসন্স-এ বিশেষ উপকারী মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের স্নায়ুর এক জটিল রোগ হল পারকিনসন। এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা কমে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। রোগী কোনও সিদ্ধান্ত ঠিকমতো নিতে পারেন না। এমনকি প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো করতে পারেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বছর চল্লিশের পরে এই রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন‌। ৬০-র চৌকাঠ পেরতেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি এই রোগ নিরাময়ে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সঙ্গীত শুনলে শরীরে নিউরো-কেমিক্যাল বাড়ে। আর এই নিউরো-কেমিক্যাল মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পারকিনসন রোগীর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়েই সমস্যা হয়। তাই মিউজিক থেরাপি এই রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।

    সিজোফ্রেনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে সঙ্গীতের বিশেষ ভূমিকা

    মিউজিক থেরাপি সবচেয়ে বেশি‌ প্রভাব ফেলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর উপরে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী (Music Therapy)। বিশেষত সঙ্গীত খুব দ্রুত স্ট্রেস হরমোনকে কাবু করতে পারে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বিপদ বাড়ায় এই স্ট্রেস হরমোন। তাই মিউজিক থেরাপি নিলে এই রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    কথার আড়ষ্টতা কাটায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে কথা বলা নিয়ে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিশু একা থাকে। ছোট পরিবার। তাই সারাদিন কথা শোনার মানুষ কমছে। শিশুর তাই কথা শিখতেও অসুবিধা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জটিল শারীরিক সমস্যা না থাকলেও শিশুর কথায় মারাত্মক আড়ষ্টতা রয়েছে। ফলে শিশুর বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। শিশু মনস্তাত্ত্বিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের ছ’মাস পর থেকেই নিয়মিত শিশুকে রুচিশীল গান শোনালে শিশুর কথার আড়ষ্টতা সহজেই কাটবে। স্পষ্ট কথা বলতে শিখবে।

    রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের অনিয়ন্ত্রিত ওঠা-পড়া স্বাভাবিক করে

    মানসিক অবসাদ কিংবা মানসিক চাপে ভুগলে তার সরাসরি প্রভাব রক্তচাপের উপরে পড়ে‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হৃদস্পন্দনের ওঠানামা হয়‌। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার সমস্যা হয়। এই ধরনের সমস্যা কমায় মিউজিক থেরাপি (Music Therapy)। মানসিক চাপকে সঙ্গীত সহজেই কাবু করতে পারে। ফলে রক্তচাপ ও স্বাভাবিক থাকে। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    মিউজিক থেরাপি কী? (Music Therapy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিউজিক থেরাপি দু’ধরনের হয়ে থাকে। অ্যাক্টিভ থেরাপি এবং প্যাসিভ থেরাপি। কোন ধরনের থেরাপি প্রয়োজন, তা রোগীর সমস্যা কতখানি গুরুতর, তার উপরে নির্ভর করেই বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাক্টিভ থেরাপিতে রোগী থেরাপিস্টের সঙ্গে একসাথে কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজান। কিংবা অনেক সময় সঙ্গীত রচনাও করেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিস্টিক শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এই অ্যাক্টিভ মিউজিক থেরাপি খুবই উপকারী। শিশু কোনেও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারলে কিংবা নির্দিষ্ট কিছু গান নিজের মতো করে তৈরি করতে পারলে, তাদের শরীরের বিভিন্ন পেশির মধ্যে সমন্বয় বাড়ে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। আবার, প্যাসিভ থেরাপিতে রোগী বিশ্রামে থাকেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো গান শোনেন। কিংবা কোনও নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্র শোনেন। যেমন বহু গর্ভস্থ মহিলা নানান জটিল সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য এই প্যাসিভ মিউজিক থেরাপি খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের থেরাপিতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকে। বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয় (Music Therapy)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digha: দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    Digha: দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ দীর্ঘ দিন ধরেই সৈকত নগরী দিঘার (Digha) সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। এবার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ হকার উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে এই পর্ষদ। রাস্তার পাশে থাকা ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকানঘর উচ্ছেদে কড়া অবস্থান নিয়েছে। যদিও আগে থেকে প্রশাসনের তরফ থেকে উচ্ছেদ করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার এই উচ্ছেদের সময় পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য (Digha)

    দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে হেড ক্লার্ক চন্দন কুমার জানিয়েছেন, “সমুদ্র সৈকতে বা বিচে আর কোনও অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না। তাই দিঘার (Digha) বিচ বরাবর হকারদের তুলে দেওয়া হচ্ছে। বেঞ্চে করে যারা ডাব বিক্রি করে, তাদের আজ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিচের মধ্যে আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ তানিয়ার পর মহম্মদ হাবিবুল্লা, কাঁকসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার!

    একাধিক পেশার মানুষ প্রভাবিত হবেন (Digha)

    সৈকত নগরীকে সুন্দর করে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। দিঘায় (Digha) তৈরি হচ্ছে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির। মন্দিরের উদ্বোধন হলে দর্শনার্থী এবং সমুদ্রে পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। দিঘার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হবে এই মন্দির। নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এবং রাস্তার দুই ধারে অবৈধ দখল সরাতে প্রশাসন এই কাজে নেমেছে। যদিও এখন সারা বছরই এই দিঘায় প্রচুর দর্শনার্থী থাকে। পরিবেশের ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্র ঠিক রাখতে এই কাজের প্রতি নজর দিয়েছে প্রশাসন। তবে এই বর্ষায় পর্যটকের প্রচুর ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দিঘায়। সমুদ্রের বিচে চা, মাছ ভাজা, শঙ্খের জিনিস ও ডাবের দোকান সহ একাধিক পেশার মানুষকে রোজগার করতে দেখা যায়। কিন্তু এই উচ্ছেদের ফলে অনেক মানুষ দারুণ ভাবে প্রভাবিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের এই পদক্ষেপে হকারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    সাত্ত্বিক ও রাজসিক জ্ঞান

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরলাভ করলে তাঁর বাহিরের ঐশ্বর্য, তাঁর জগতের ঐশ্বর্য ভুল হয়ে যায়; তাঁকে দেখলে তাঁর ঐশ্বর্য মনে থাকে না। ঈশ্বরের আনন্দ মগ্ন হলে ভক্তের আর হিসাব থাকে না। নরেন্দ্রকে দেখলে, তোর নাম কি; তোর বাড়ি কোথা—এ-সব জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। জিজ্ঞাসা করবার অবসর কই? হনুমানকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি? হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এ-সব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি।”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    কৃষ্ণকিশোর এঁড়েদার সাধু, হলধারী, যতীন্দ্র, জয় মুখুজ্জে, রাসমাণি

    আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মহানন্দে আছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে নরেন্দ্র আসিয়াছেন। আরও কয়েকটি অন্তরঙ্গ আছেন। নরেন্দ্র ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া স্নান করিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন।

    আজ (৩১ শে) আশ্বিন, শুক্লা চতুর্থী তিথি; ১৬ অক্টোবর ১৮৮২, সোমবার। আগামী বৃহস্পতিবার। সপ্তমী তিথিতে শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে রাখাল, রামলাল ও হাজরা আছেন। নরেন্দ্রের সঙ্গে আরও দুই একটি ব্রহ্মজ্ঞানী ছোকরা আসিয়াছেন। আজ মাস্টার আসিয়েছেন।

    নরেন্দ্র ঠাকুরের কাছেই আহার করিলেন। আহারান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া দিতে বলিলেন, নরেন্দ্র আদি ভক্তেরা বিশেষতঃ নরেন্দ্র বিশ্রাম করিবেন। মাদুরের উপর লেপ ও বালিশ পাতা হইয়াছে। ঠাকুরও বালকের ন্যায় নরেন্দ্রের কাছে বিছানায় বসিলেন। ভক্তদের সহিত, বিশেষতঃ নরেন্দ্রের দিকে মুখ করিয়া হাসিমুখে মহা আনন্দে কথা কহিতেছেন। নিজের অবস্থা, নিজের চরিত্র, গল্পচ্ছলে বলিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaishankar UAE Visit: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে জয়শঙ্কর, প্রথমেই গেলেন মন্দিরে

    Jaishankar UAE Visit: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে জয়শঙ্কর, প্রথমেই গেলেন মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Jaishankar UAE Visit) সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর। সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছেন তিনি। আমিরাতের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান জানিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও তাঁদের কথা হয়েছে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    বৈঠকের আগে মন্দিরে বিদেশমন্ত্রী

    দ্বিপাক্ষিক কথার আগে সেদেশে নেমে প্রথমেই জয়শঙ্কর (Jaishankar UAE Visit) পৌঁছে গিয়েছিলেন আরব দুনিয়ার সর্ববৃহৎ মন্দিরে। ব্যাপস মন্দির নামে পরিচিত বিশাল অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ মন্দির উদ্বোধন হয়েছিল চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্দির পরিদর্শন করে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আবুধাবিতে অবস্থিত ব্যাপস হিন্দু মন্দির পরিদর্শন করেছি। এটি ভারত এবং আমিরশাহির দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব সহ দুনিয়ার জন্য সাংস্কৃতিক যোগাযোগের নিদর্শন। এই মন্দিরের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে একটি সকারাত্মক বার্তা পৌঁছেছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন ছলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি। একই বছরে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এই মন্দির পরিদর্শন।

    সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফর জয়শঙ্করের (Jaishankar UAE Visit)

    প্রসঙ্গত আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আবুধাবিতে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কূটনীতি, পারস্পরিক সহযোগিতা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গাজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভারতের অবস্থান জানিয়েছেন  জয়শঙ্কর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে প্রচুর প্রবাসী ভারতীয় বাস করেন। প্রায় ৩৫ লক্ষ ভারতীয়কে নিয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী। গত কয়েক বছরের দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    ২০১৫ সালে প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সেই সফরে গিয়েছিলেন মোদি। ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি ৩.০ সরকারে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের এই প্রথম কোন বিদেশ সফর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    Women’s Health: চল্লিশের পরই বাড়ছে রোগ! কোন তিনটি উপাদানের হেরফেরে মহিলাদের এই ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের চৌকাঠের সঙ্গে রোগের মাপকাঠি সব সময় মেলে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট একটি বয়সের পরেই বাড়ছে নানান শারীরিক ভোগান্তি। চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছেন, শরীরে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, আর তার জেরেই অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন উপাদানের হেরফের হয়। ফলে অনেক সময়েই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের দোড়গোড়ায় পৌঁছে মহিলাদের মধ্যে নানান রোগের (Women’s Health) ঝুঁকি বাড়ছে। ত্বক, চোখের সমস্যার পাশপাশি হাড়ের সমস্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে‌। হাড় ক্ষয়, কোমরের সমস্যা, হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। কর্মশক্তি কমছে। এর পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ছে। এর জেরে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের শরীরে চল্লিশ বছরের পরে নানান হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন হয়। এর জেরেই রোগের দাপট বাড়তে পারে। কিন্তু শরীরে তিনটি উপাদানের জোগান থাকলে বড় রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। দেখে নিন, কোন তিন উপাদানে নজর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ম্যাগনেসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে হবে (Women’s Health)

    চল্লিশের পরে অধিকাংশ মহিলা নানান স্নায়ুর সমস্যায় ভোগেন। পাশপাশি পেশিতে টান ও রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যাও দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা বাড়ে। হাত ও পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, হঠাৎ করেই শক্তি হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি বেশি হয়। আবার হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ায় ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের জোগান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষত চল্লিশ বছরের উর্ধ্বে মহিলাদের নিয়মিত ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজন। তাই তাদের কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তার মতো বাদাম জাতীয় খাবার রোজ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবার থেকে সহজে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।

    ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত জরুরি

    মহিলাদের শরীরে নানান রোগের (Women’s Health) অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন হয়। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে সেই হাড় আরও দুর্বল হয়। এর জেরে কোমর, হাঁটু, দাঁত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাড় ক্ষয়ের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, চল্লিশের চৌকাঠ পেরিয়ে মহিলাদের নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার। এই খাবার একদিকে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়, আবার পাকস্থলী, অন্ত্রও সুস্থ রাখে। টক দই ছাড়াও নিয়মিত দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার, ডিম, লেবু খাওয়া দরকার। এই খাবারগুলো থেকে শরীরে সহজেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।

    ভিটামিন ডি-র অভাব যেন না থাকে (Women’s Health)

    মহিলাদের শরীরে নানান জটিল রোগের কারণ হল ভিটামিন ডি-র অভাব। স্নায়ু, পেশি কিংবা হাড়ের একাধিক রোগের কারণ ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত না থাকা। তাই ভিটামিন ডি-র জোগানে সজাগ থাকা জরুরি। পালং শাক, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম নিয়মিত খেলে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    Terrorist Arrest: অনলাইনে গোবরা গ্রুপে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ! কীভাবে খোঁজ মিলল হাবিবুল্লার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার মহম্মদ হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest) নামে এক মেধাবী পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পর রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লা। বছর কুড়ির ওই যুবক মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত হাবিবুল্লা।

    কী করে খোঁজ পেল হাবিবুল্লার? (Terrorist Arrest)

    চলতি বছরের ১৪ মে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম থেকে নতুন মডিউল হিসেবে উত্থান হওয়া জঙ্গি সংগঠন শাহাদাত-এর দুই সক্রিয় সদস্য মহম্মদ আসাদুজ্জামান আসিফ ও মহম্মদ আহাদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছিল র‍্যাব। তাদের থেকেই খোঁজ মিলেছিল কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লার। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে পাওয়া ‘গোবরা’ নামে একটি অনলাইন গ্রুপের সন্ধানও পেয়েছিল র‍্যাব। মহম্মদ হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) ল্যাপটপ থেকেও এই গোবরা গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে এসটিএফ। নিয়মিত এই গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইন মিটিংও করা হত। জানা গিয়েছে, আনসার-আল-ইসলাম অতীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে নাম বদল করে এই সংগঠনটি। এরপর ২০১৭ সালে আনসার-আল-ইসলাম সংগঠনটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। গোপনে তারা জাল বিস্তার করছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের প্রাক্তন শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন ওরফে বড়ভাই শাহাদাত-এর প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    হাবিবুল্লার ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এসটিএফ

    গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি শাহাদাত- এর সদস্যদের কিছু দিনের জন্য সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেওয়ার নির্দেশ অডিও ক্লিপের মাধ্যমে দিয়েছিল ভারতে থাকা সালাউদ্দিন (Terrorist Arrest) । সেই বার্তা পেয়েই শাহদাত-এর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার দিকে গত ২০-২৫ দিন ধরে নজর রেখেছিলেন এসটিএফ কর্তারা। কয়েকদিন আগে হাবিবুল্লার মোবাইল থেকে একটি সন্দেহজনক ফোন যায় দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যে। সেই ফোন ট্র্যাক করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসে যায় এসটিএফ কর্তাদের। এরপরই হাবিবুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে বড়ভাই-এর হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

    ১৪ দিনের হেফাজত হাবিবুল্লার

    এর আগে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাঁকসা থেকে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া থেকে একটি বেসরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক আহমেদকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআই-এর হয়ে তখন যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল আশিকের বিরুদ্ধে। এসটিএফের পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে হাবিবুল্লাকে (Terrorist Arrest) ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। তদন্তের স্বার্থের বেশি বলা সম্ভব নয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share