Author: user

  • Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসও পালন করা হয়েছে বহরমপুরে। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “শ্যামপ্রসাদ খণ্ডিত বাংলা চাননি, অখণ্ড ভারতের জন্য লড়াই করেছিলেন।” তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    এদিন বহরমপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে ম্যালদান ও রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি বক্তৃতা রাখেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সভাপতি শাখারভ সরকার, কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মহাফুজা খাতুন সহ একাধিক বিজেপির কার্যকর্তা। দিলীপ ঘোষ সভায় বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় খণ্ডিত বাংলা চাননি। তিনি অখণ্ড ভারতের জন্য সংগ্রাম, করেছিলেন। এক দেশ, এক নিশান ও এক প্রধান নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০ শে জুন হিন্দু বাঙালির জন্য হোমল্যান্ড চেয়ে ছিলেন বাংলার বিধানসভাতে। এরপর জিন্নাহের প্রস্তাবিত পাকিস্তান থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ছিনিয়ে নেন। আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি তা হল শ্যামপ্রসাদের জন্য, আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন তাও শ্যামাপ্রসাদের জন্যই। তাই তাঁকে ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। বামপন্থী এবং তৃণমূল সব সময় চেষ্টা করছেন বাংলার এই মহাপুরুষকে ভুলিয়ে দিতে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী মানুষ এই অপচেষ্টাকে রুখে দেবেন।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    আর কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন আরও বলেন, “বাংলার পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা অন্যতম জেলা। সিএএ আইন পাশের পর সবথেকে বেশি হিংসা হয়েছে এই জেলায়। বেলডাঙ্গা স্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কোনও বিচার হয়নি। এই রাজ্যে রাষ্ট্রবিরোধী সরকার প্রবল হয়ে উঠছে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। জাতীয়তাবাদী মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে বেশি করে যেতে হবে। সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। গত নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি বনাম দেশ বিরোধী শক্তির লড়াই হয়েছে। তবুও বিজেপির সমতুল্য হতে পারেনি।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বুথে হেরেছে তৃণমূল, রেললাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Birbhum: বুথে হেরেছে তৃণমূল, রেললাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল লাইনের ধার থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটি-চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে লাইনের ধারে পড়েছিল বিজেপি কর্মীর দেহটি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রদীপ মাল। তাঁর বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামে। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে, খুন নাকি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু, নাকি আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপবাবু এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী। গত পঞ্চায়েত (Birbhum) নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে পাইকপাড়া বুথে বিজেপি প্রার্থী পর্যন্ত দিতে পারেনি। কিন্তু, ওই বুথে বিজেপির জনসমর্থন অনেক বেশি। হেরে যাওয়ার আতঙ্কে তৃণমূল ওই বুথে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ। এবার লোকসভা নির্বাচনে ওই বুথে প্রায় ৪০০ ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এই বুথে হেরে যাওয়ায় শাসক দলের নেতারা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বচসা জড়িয়ে পড়েন। পরে, মিটে গেলেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় টোটো চালক প্রদীপবাবু রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় গ্রাম সংলগ্ন রেল লাইনের ধার থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেল পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির (BJP) বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, তিনি বলেন, “আমাদের দলের কর্মী প্রদীপ মালের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বিবাদ হয়েছিল। রেললাইন থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা যথেষ্ট সন্দেহজনক। বিষয়টি আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh News: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের ঘাঁটিতে মিলল জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জাম

    Chhattisgarh News: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের ঘাঁটিতে মিলল জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh News) অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল বাহিনী। মাওবাদী বিরোধী অভিযানে উদ্ধার হল জাল নোট এবং তা তৈরীর সরঞ্জাম। এতেই প্রমাণ হচ্ছে মাওবাদীরা গুলি-বন্দুকের লড়াইয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করতে জাল নোটের কারবারও চালাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থের অভাবে ধুঁকছে মাওবাদীরা। জাল নোটের কারবার তাদের সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিচ্ছে। তবে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদের নয়া কৌশল অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, প্রথমবার কোনও মাওবাদী বিরোধী অভিযানে এমন জাল নোট ছাপানোর সরঞ্জাম খুঁজে পেল বাহিনী।

    করাজগুরার জঙ্গলে অভিযানে নামে সুকমা পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী

    নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জাল নোটের এমন কারবারে স্থানীয় অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, গতকালই ছত্তিশগড় রাজ্যের করাজগুরার জঙ্গলে (Chhattisgarh News) অভিযানে নামে সুকমা পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। সেখানেই মেলে জাল নোট ও তা তৈরি করার সরঞ্জাম। ছত্তিশগড় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক কিরণ চৌহান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তাঁরা এই অভিযানে নামেন। গোয়েন্দারা তাঁদের আগে থাকতেই খবর দিয়েছিল যে মাওবাদীরা জাল নোটের কারবার শুরু করেছে। যদিও যৌথ বাহিনী সেখানে পৌঁছানোর আগেই মাওবাদীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাদের গোপন ডেরায় মেলে নোট ছাপানোর মেশিন, কালি, টেমপ্লেট সমেত ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৫০০ টাকার জাল নোট। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক, একটি ওয়ারলেস সেট এবং বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরকও।

    জাল-মুদ্রার ব্যবহার স্থানীয় অর্থনীতিকেও দুর্বল করে দিতে পারে

    প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, যেভাবে মাওবাদীরা নোট ছাপাতে শুরু করেছে, এতে বোঝা যাচ্ছে যে তারা আর্থিকভাবে ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। সাধারণভাবে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh News) জঙ্গল অধ্যুষিত স্থানীয় বাজারগুলি থেকেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় রসদ কেনে। গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে, লেনদেনে এই জাল-মুদ্রার ব্যবহার স্থানীয় অর্থনীতিকেও দুর্বল করে দিতে পারে। জাল নোটের কারবারের মোকাবিলার জন্য গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সন্দেহজনক যেকোনও টাকা নিতে বারণ করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মাওবাদীরা এই কারবার শুরু করে ২০২২ সাল থেকে এবং সংগঠনে যেভাবে আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে তা মোকাবিলা করার জন্যই তারা এই কৌশলকে অবলম্বন করে। স্থানীয় এলাকাভিত্তিক যে কমিটি রয়েছে মাওবাদীদের, সেখানকার একজন সদস্যকে জাল নোট তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • India Bangladesh Match: অর্ধশত রানে হার বাংলাদেশের! সেমিফাইনাল প্রায় পাকা ভারতের

    India Bangladesh Match: অর্ধশত রানে হার বাংলাদেশের! সেমিফাইনাল প্রায় পাকা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কাছে রীতিমত ল্যাজেগোবরে হয়ে হারল বাংলাদেশ। ৫০ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানো প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। (India Bangladesh Match) ব্যাটে বলে দুই বিভাগেই কামাল দেখিয়েছে রোহিত বাহিনী।

    ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত রোহিত-কোহলির

    টস জিতে  (India Bangladesh Match) ভারত প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার জুটি ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যার্থ হন। রোহিত বড় রান করতে ব্যর্থ। ভাল খেলে হঠাৎ আউট কোহলি। চার ওভারের মধ্যেই ৩৯ রানে চলে যায় ভারতের প্রথম উইকেট। ভালই শুরু করেছিলেন শর্মাজি। ১১ বলে ২৩ রান করে সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। এরপর ফেরেন বিরাটও। আইপিএলে আগুন জ্বালানো কোহলি একেবারে নিস্প্রভ বিশ্বকাপে। তবে এদিন কোহলি ছন্দে ফিরলেন। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। আধ ঘণ্টার উপর ক্রিজে থেকে বিরাট তিনটি ছয় ও একটি চার মারলেন কোহলি। এদিন রানে ফেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিরাট-রোহিত ফেরার পর ঋষভ পন্থ (২৪ বলে ৩৬) শিবম দুবে (২৪ বলে ৩৪) ও হার্দিক পান্ডিয়ার (২৭ বলের অপরাজিত ৫০) মিলিত প্রয়াসে ভারত বড় রান তুলতে পারে স্কোরবোর্ডে।

    ৫০ রানে হারল বাংলাদেশ (India Bangladesh Match)

    এই ম্যাচে  বাংলাদেশকে ১৯৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। পাওয়ার প্লেতেই বোলিং করতে নামেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লে তেই উইকেট পতন হয় বাংলাদেশের। কামাল দেখাতে ব্যর্থ হন লিটন দাস। মিড উইকেটে ক্যাচ থামিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান লিটন। ৩৫ রানে (India Bangladesh Match) ওপেনিং জুটি ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের। এরপর রিষভ পন্থ ক্যাচ না মিস করলে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত ব্যক্তিগত ১ রানেই আউট হয়ে যেতে পারতেন। ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে আস্কিং রেট। চাপ বাড়তে শুরু হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপর। এরপর দশম ওভারে কুলদীপ যাদবের কাছে পরাস্ত হন তানজিদ হাসান। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটের ৬৭। দরকার ছিল

    আরও পড়ুন: শুরু করলেন অনুশীলন, চলতি বছরেই কি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে ফিরবেন শামি?

    আরও ১৩০ রান। ঝোড়ো ব্যাট করতে হত বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের পাওয়ার হিটার তৌহিদ হৃদয় ৪ রান করে ফিরে যান। সাকিব আল হাসানও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিবলের শিকার হয়ে যান। ১৪ ওভারে বাংলাদেশের ১০০ রান সম্পূর্ণ হয়। এরপর ১৬ তম ওভারে বুমরা আসতেই আউট হয়ে যান নাজমুল হাসান শান্ত। ফেরার আগে ৩২ বলে ৪০ রান করে একটু লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় বাংলাদেশের পরাজয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ ১৪৬ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Sarma: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    Himanta Sarma: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, শনিবার এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Sarma)। তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষেরা যারা ঘাঁটি গেড়েছে অসমে তারা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে বিপুল ভোট দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের একাধিক সুবিধা নেওয়ার পরেও তারা এই কাজ করেছে বলে তোপ দাগেন হিমন্ত।

    বিজেপি জোট অসমের মোট ভোটের ৪৭ শতাংশ পেয়েছে 

    প্রসঙ্গত, শনিবার অসমের দলের রাজ্য দফতরে বিজেপি এবং জোট সঙ্গী বিজয়ী সাংসদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি জোট অসমের মোট ভোটের ৪৭ শতাংশ পেয়েছে। যেখানে কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১টিতেই জিতেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। অন্যদিকে, মাত্র তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Sarma) আরও বলেন, ‘‘যদি আমরা কংগ্রেসের ৩৯ শতাংশ ভোটকে বিশ্লেষণ করে তবে দেখব যে সারা রাজ্য জুড়ে তারা এই ভোট পায়নি। মাত্র ৫০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ২১টি বিধানসভাতেই এই ভোট তারা পেয়েছে। এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে বিজেপি মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুবিধা নিয়ে কংগ্রেসকে ভোট

    এরপরই তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘‘করিমগঞ্জ ছাড়া বাকি বাংলাদেশী মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে সেখানে ৯৯ শতাংশ ভোটই কংগ্রেসের কাছে গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে ওই মানুষগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বাড়িতে বসবাস করছেন, মোদিজীর দেওয়া বিদ্যুৎ এবং শৌচাগারের সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু যখন তাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছেন তখন কংগ্রেসকেই দিয়ে দিচ্ছেন।’’

    ১২৬টি বিধানসভার মধ্যে ৯২টিতে জিতে রয়েছে বিজেপি জোট

    তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ‘‘রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা লক্ষ্মীপুরের একটি থানায় আক্রমণ করেছিল। কোকরাঝোড়ে জমি দখলেরও চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনাগুলি ঠিক তখনই ঘটে যখন রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনবিধি লাগু হয়ে যায়।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘যখন বিজেপি সরকার থাকবে না অসমে, তখন এমন কত হামলা হবে তা কল্পনা করা যায় না।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, লোকসভা ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে অসমে ১২৬টি বিধানসভার মধ্যে ৯২টিতে জিতে রয়েছে বিজেপি জোট। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথাও বলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Sarma)।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পেয়েছেন ১০ লক্ষের বেশি ভোট। জয়ী হয়েছেন ৭ লক্ষ ভোটের বেশি পেয়ে। কিন্তু তবুও পুরসভা এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছিয়ে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল, আবার পাল্টা বাজিমাত করেছে বিজেপি। শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে বিশ্লেষণ। বিজেপির দাবি, যেখানে যেখানে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে সেখানে সেখানে ছাপ্পা মারতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।

    কোন কোন ওয়ার্ডে পিছিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ফল প্রকাশের পর জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২, ৬, ৯ এবং ১১ এই চারটি ওয়ার্ডে শাসকদলের থেকে বেশি ভোটে পেয়েছে। এই পুরসভার মোট ১৬টি ওয়ার্ড। এই চার ওয়ার্ড বাদে বাকি ১২টি ওয়ার্ডে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। গতবার ২০১৯ সালেও বেশ কয়েকটি পুর এলাকায় পিছিয়ে ছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। কিন্তু সেই সময়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বারের নির্বাচনের পরও বেশ কিছু পুর এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন। সূত্রের খবর এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন এই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেছেন, “ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে। যে ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের প্রার্থী (Abhishek Banerjee) পিছিয়ে রয়েছেন, তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। কেন সেখানকার মানুষ আমাদের ভোট দেননি, সেটাও দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখে অবশ্যই আমরা তাঁদের কাছে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    আবার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন আগেই। তিনি বলেন, “ওই চারটে ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ভোট করতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলর ছিলেন। আর এই চারটে ওয়ার্ডে ছাপ্পা মারতে পারেনি গুন্ডারা। আমাদের কমপক্ষে ১২টা ওয়ার্ডে লিড পাওয়ার কথা।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    কলকাতায় ৪২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি

    ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবারের জন্য সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০১৯ সালে তিনি ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এইবার ২০২৪ সালের ৪ জুন ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মোট ভোট পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০টি ভোট। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। অভিষেকের জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোট। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ৪২ ওয়ার্ডে এগিয়ে। অপর দিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “গ্রাম বাংলায় যত ভোট পেয়েছে, শহরে তত ভোট পায়নি তৃণমূল। শহরের ভোট সুইং করে।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake MD: ভুয়ো ‘এমডি’ কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র অখিল, দাবি উঠল শাস্তির

    Fake MD: ভুয়ো ‘এমডি’ কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র অখিল, দাবি উঠল শাস্তির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও নদিয়ার কল্যাণীর কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র শেখ মহম্মদ অখিল।  ভুয়ো ‘এমডি’ ডিগ্রি  (Fake MD) দেখিয়ে রোগী দেখায় অভিযুক্ত তিনি। প্রতারণায় অভিযুক্ত এই মেডিক্যাল ছাত্র বেশ কয়েক বছর ধরেই চণ্ডীতলার গ্রামে ডাক্তারি করতেন। তাঁর কয়েকটি চেম্বারও রয়েছে। তার মধ্যে একটি আবার তৈরি করে দিয়েছেন অখিলের বাবা। ‘এমডি’ না হওয়া সত্ত্বেও সাইনবোর্ডে এবং লিফলেটে ‘এমডি’ লিখে দিব্যি রোগী দেখতেন। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজেরই আইনি পরামর্শদাতা তথা আইনজীবী অনিরুদ্ধ ঘোষ গত ৭ জুন চণ্ডীতলা থানায় অখিলের বিরুদ্ধে ভুয়ো ‘এমডি’ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই সমস্ত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

    অখিল কী পাশ করেছে জানি না, বললেন দোকানের মালিক (Fake MD)

    হুগলির চণ্ডীতলার বেলতলা এলাকায় অখিলদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মশাট-জগৎবল্লভপুর সড়কের ধারে তাঁর বাবা শেখ নুর আলির মুদিখানার দোকান। এলাকাবাসী জানান, ছ’সাত মাস আগে সেই দোকানের মাঝ বরাবর ভাগ করে তিনি ছেলে অখিলের রোগী দেখার জন্য চেম্বার করে দেন। সেখানে চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা দেখাতে আসতেন। এছাড়া গোপালপুর বাজারে একটি ওষুধের দোকানেও বসতেন অখিল। সেখানকার বোর্ডে অখিলের নামের পাশে জেনারেল মেডিসিন (Fake MD) বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর পরিচয় উল্লেখ থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে, ওই দোকানের মালিক দাবি করেন, “এখন আর অখিল বসে না। ও কী পাশ করেছে, তা- ও জানি না। এলাকার ছেলে হিসেবে ওকে এখানে বসতে দিতাম।”

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    অখিলের বাবা কী সাফাই দিলেন?

     অখিলের বাবা শেখ নুর আলি বলেন, “রাজনৈতিক কারণে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিনা পয়সায় ও এলাকার রোগী দেখত।” অবশ্য ‘রাজনৈতিক কারণ’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। চণ্ডীতলা থানা জানিয়েছে, অখিলকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে, অখিলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  

     অখিলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি চিকিৎসক মহলে

    অখিল নদিয়ার কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালে পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র (Fake MD)। তাঁর বিরুদ্ধে সেখানে নানা রকম বেনিয়ম, অন্যায় প্রভাব খাটানো, এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধেও তাঁকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের নাম করে হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সুদীপ্ত বলেন, “আমি অখিলকে চিনি। কিন্তু কেউ যদি ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে চিকিৎসা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে তো পদক্ষেপ করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

    সমাজমাধ্যমে নিন্দার ঝড়

    অখিলের ‘কীর্তি’ সামনে আসার পরে সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে। হেলথ্ সার্ভিস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক সন্দীপ মিত্র বলেন, “এই ধরনের অপরাধের তীব্র নিন্দা করছি। এদের জন্য গোটা মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ভেঙে যেতে বসেছে। আমরা ওই ছাত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    ISRO: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৩ জুন তৃতীয়বার সফল অবতরণ করল ইসরোর (ISRO) পুষ্পক। এটি আদতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য একটি মহাকাশযান। মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যাল’। ইসরোর বিজ্ঞানীরা এর নাম রেখেছেন ‘পুষ্পক’। পৌরাণিক আখ্যানে যে পুষ্পক রথের কথা বলা হয়েছে, তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে এই রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যালের।

    ‘পুষ্পকে’র অবতরণ (ISRO)

    ‘আরএলভি এলইএক্স-০৩’ নামে পরিচিত এই মিশনটি কর্নাটকের চিত্র দুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকে পরিচালনা করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ৪. কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় পুষ্পককে। ইসরোর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এলইএক্স-০৩ সিরিজের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়েছিল ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭টা ১০ মিনিটে। কর্নাটকের চিত্র দুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। দ্রাঘিমা ও পার্শ্বীয় সমতল ত্রুটি সংশোধনের জন্য মিশনটিতে উন্নত নির্দেশিকা যুক্ত অ্যালগোরিদম ব্যবহার করা হয়েছে।

    এক ঢিলে মরবে একাধিক পাখি

    এই মিশনে আগেরবারের মিশন আরএলভি এলইএক্স-০২-র উইং বডি এবং ফ্লাইট সিস্টেমগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। এই মিশনটি ইসরো (ISRO), ভারতীয় বিমান বাহিনী ও অন্য কয়েকটি সংস্থার একটি যৌথ প্রচেষ্টা। ইসরোর এই মিশন সফল হওয়ায় এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মরবে। প্রথমত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য যান হওয়ায় মহাকাশে দূষণ কমবে। সর্বোপরি, মহাকাশ অভিযানের খরচ একলপ্তে কমে যাবে অনেকখানি। ইসরো সূত্রের দাবি, ‘পুষ্পকে’র মতো আরএলভিকে মহাকাশ থেকে মাটিতে ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি ভারতের হাতে এসে গিয়েছে। পরে সেটিকে আবারও মহাকাশে ফেরত পাঠানো যাবে।

    আর পড়ুন: নিট কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    ‘পুষ্পক’ মিশন সফল হওয়ায় টিম ইসরোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “পুষ্পকের সফল অবতরণ হ্যাটট্রিক করেছে। এটা ইসরোর বড় সাফল্য। পুষ্পকের অরবিটাল টেস্ট চলছে। মহাকাশে এটিকে একটি রকেটে লঞ্চ করা হবে। তাহলেই এটি নিরাপদে ফিরে আসবে পৃথিবীতে।” তিনি বলেন, “এটি প্রকৃতই একটি গেম চেঞ্জার প্রযুক্তি। এতে মহাকাশে যান পাঠানো অনেক সস্তা হয়ে যাবে। এটি ইসরোর আত্মনির্ভর প্রচেষ্টার সুফল। একবিংশ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ স্বদেশি পথে লঞ্চ করা হল রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যাল পুষ্পকের।” ভিএসএসসির ডিরেক্টর এস উন্নীকৃষ্ণণ নায়ার বলেন, “এই ধারাবাহিক সাফল্য ভবিষ্যতের অরবিটাল রি-এন্ট্রি মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির প্রতি ইসরোর আস্থা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে (ISRO)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bankura: অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    Bankura: অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া (Bankura) থেকে আমেরিকা পাড়ি দেবেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অয়ন। মহাকাশ নিয়ে বরাবর আগ্রহ ছিল তাঁর। আকাশ গঙ্গার নানা রহস্য নিয়ে পড়াশুনা করতে এবং ভাবতে প্রছন্দ করতেন তিনি। আমেরিকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারের কর্মশালায় যোগদান করবেন তিনি। তাঁর এই সাফল্যে জেলায় খুশির আবহ এবং পরিবার উচ্ছ্বসিত।

    পাড়ি দেবে ইন্টারন্যশানাল স্পেস স্টেশনে

    বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনার একটি গ্রাম কমলপুরের বাসিন্দা অয়ন দেঘরিয়া। সেখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবে গ্রামে খ্যাত হয়েছেন তিনি। অঙ্ক, বাংলা, ইংরেজি থেকে মহাকাশ নিয়ে বেশি পড়াশুনা করতে ভালোবাসতেন তিনি। এই মহাকাশ ঢাকা হাজার একটা রহস্যে। স্টিফেন হকিং-এর লেখায় তিনি দারুণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। নানা গল্পের মধ্যে দিয়ে নিজের স্বপ্নের ভুবন তৈরি করেছিলেন তিনি। অবশেষে ডাক পেলেন। অয়নের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে নানা পদক্ষেপ করেছেন অয়ন। এবার আমেরিকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারে ওই কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাঁর নির্বাচিত প্রজেক্টে পাড়ি দেবে ইন্টারন্যশানাল স্পেস স্টেশনে।

    অয়নের বক্তব্য

    এই সুযোগের কথা বলতে গিয়ে অয়ন (Bankura) বলেছেন, “মহাকাশ বর্জ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম ২০২২ সালে থেকে। আমার মনে হয়েছিল, যদি এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা না করা হয় সেক্ষেত্রে একটা সময় স্যাটেলাইট পাঠানোর জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে কী ভাবে তা পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়টি ভেবে দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এই কাজ শুরু করে ছিলাম। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দেরাদুনের উইনিভার্সিয়াটি অফ পেট্রোলিয়াম এনার্জি স্টাডিজে আমার এই প্রজেক্ট উপস্থাপনা করি। সেখানে ন্যাশনাল স্পেস কনভেনশেনে আমার প্রজেক্ট উপস্থাপন করি। পরে আরও অনেক কাজ করি। শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনাইটেড স্পেস রকেট সেন্টারের কর্মশালায় যোগদেওয়ার সুযোগ পাই।”

    আরও পড়ুনঃ স্থগিত নিট-পিজি পরীক্ষাও! ফের নেওয়া হচ্ছে নিট, আরেকবার প্রশ্ন ফাঁস নয় তো? প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের

    পরিবারের বক্তব্য

    অয়নের মা শিপ্রা দেঘরিয়া বলেছেন, “ছেলে ছোট বেলা থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চাইতো। কিন্তু ছেলের মেধার সামনে পরিবারের (Bankura) আর্থিক সঙ্কট একটা বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা তো সামান্য টাকায় একটা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। যাতায়াতে আনুসঙ্গিক খরচ হবে অনেক। সবটা মিলিয়ে টাকা জোগাড় করা খুব মুশকিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বাংলাদেশিদের জন্য ই মেডিক্যাল ভিসা চালু, ১০ টি চুক্তি করে দেশে ফিরলেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: বাংলাদেশিদের জন্য ই মেডিক্যাল ভিসা চালু, ১০ টি চুক্তি করে দেশে ফিরলেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দিনের ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । দেশে ফেরার আগে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ চুক্তি সঙ্গে নিয়ে ফিরেছেন তিনি। এর মধ্যে ৭টি নতুন মৌ চুক্তি রয়েছে। এবং ৩টি চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলাপ আলোচনা হয়েছে।

    বাংলাদেশীদের জন্য চালু ‘ই মেডিক্যাল ভিসা’

    যে কটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-মেডিক্যাল ভিসা (E Medical Visa) চালুর সিদ্ধান্ত। এছাড়াও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে একটি নতুন হাইকমিশন খোলার কথা ও ঘোষণা করা হয়েছে। দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এর মধ্যে ভারতের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্র অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এ বিষয়ে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই সমুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে নীল অর্থনীতির পথে একসঙ্গে চলবে দুই দেশ।

    গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদন করলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বৈঠক শেষে বলেন, “আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আমরা রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জল বন্ধন, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দিকনির্দেশনা দিতে ভিশন স্টেটমেন্টকে সমর্থন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ ডিজিটাল পার্টনারশিপ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।”

    দুই দেশের সহযোগিতার প্রশংসা করলেন মোদি

    প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) দায়িত্ব নেবার পর এটি প্রথম কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের ভারত সফর। বাংলাদেশেও এ বছরের শুরুর দিকে ভোট ছিল। সেখানে ফের ক্ষমতায় এসেছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ এর বিকসিত ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। অন্যদিকে হাসিনাও (Sheikh Hasina) রূপকল্প ২০৪১কে পাখির চোখ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক শেষ বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো পেসিফিকের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গত এক বছরে আমরা একসঙ্গে অনেক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পাদন করেছি। ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীতে দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ নৌ চলাচল শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের বাড়ল বাংলাদেশ-কলকাতা ট্রেনের ভাড়া, জানুন তালিকা

    আখাউড়া আগরতলা রেল লিঙ্ক শুরু হয়েছে। খুলনা-মংলা পোর্টের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য কার্গো পরিষেবা শুরু হয়েছে। মংলা বন্দরকে রেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি মৈত্রী থার্মাল প্লান্ট দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কাজ শুরু হয়েছে করেছে। দুই দেশের মধ্যে পাইপ্লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রিডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতগুলি কাজ একসঙ্গে করা আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের বাঁধনকে মজবুত করেছে এবং দুই দেশের কর্ম ক্ষমতার যোগ্য নিদর্শন রেখেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share