Author: user

  • CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী এই হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) । অবিলম্বে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল।

    চিঠিতে কী রয়েছে? (CV Ananda Bose)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) লিখেছেন, ‘পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলুন। ভোট মিটলেও জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে।’  পাশাপাশি চিঠিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী হিংসার যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সে বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া ইস্যুতে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আপাতত আরও পাঁচদিন রাজ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভোটের ফল ঘোষাণার পর রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠির প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু!

    ভোট পরবর্তী হিংসা আক্রান্তদের নিয়ে কয়েকদিন আগে রাজভবন অভিযান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি বাধায় তিনি যেতে পারেননি। পরে, আদালতের অনুমতি নিয়ে ফের আক্রান্তদের সঙ্গে করে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, মোট ১,০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এই হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন। জানা গিয়েছে, রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান শুভেন্দু। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কারণ, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এরপর ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন শুভেন্দু। আদালত যদিও এ ক্ষেত্রে শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গার নাম জানাতে বলেছিল। শুক্রবার রাজভবনের বিকল্প হিসাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান বলে আদালতে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে এ ব্যাপারে রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে বাংলার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কথায়, “বাংলায় সরকার বদল না হলে এই ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ কখনও বন্ধ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির গুডবুকে থাকার জন্য রাজ্যপাল এগুলো করছেন। আসলে কুৎসা করেও ভোটে জিততে না পেরে বিরোধীরা সন্ত্রাসের মিথ্যে কান্না কাঁদছে। আর তাতে পূর্ণ মদত জোগাচ্ছেন রাজ্যপাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কয়লা কান্ডে এবার ইসিএল কর্তার জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। পরে, ওই ইসিএল কর্তা ও একজন সিভিল কনট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     ইসিএল কর্তাকে কেন গ্রেফতার? (CBI)

    কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠন হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহা। আর সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদব। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম রয়েছে, তার বাইরে এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ইসিএল কর্তার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সিভিল কনট্রাক্টর অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটে সাপ্লাই দিত বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    লালার থেকে টাকা নিতেন ইসিএল কর্তা!

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহাকে। ডাক পড়েছিল পেশায় সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এরপর শুক্রবার ভোরে সিবিআই এসপি উমেশ কুমার ধৃতদের নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে যোগ থাকার কারণেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা-কাণ্ডের  (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত ইসিএল অফিসারের বিরুদ্ধে। তার তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    NEET Row: স্থগিতাদেশ নয়, চলবে কাউন্সিলিং জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট ২০২৪-এর কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে যে অভিযোগ (NEET Row) সংক্রান্ত যত নতুন আবেদন জমা পড়ছে সব কটি আবেদনের সংযুক্ত করে একজায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

    কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (NEET Row)

    নতুন আবেদনগুলির নিরিখে এনটিএর প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারীর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল কাউন্সিলিং যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ নিট ২০২৪ এর কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার কথা ৬ জুলাই। আর  (NEET Row) মামলার শুনানি রয়েছে ৮ জুলাই। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন কাউন্সিলিং একটি প্রক্রিয়া। সেটি ৬ তারিখ শুরু হবে। বেশ কয়েকদিন চলবে। আমরা চাই কারো সময় যেন নষ্ট না হয়।। এর আগেও কাউন্সিলিং-এর ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যে আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ওপরেই শেষমেষ ভর্তির প্রক্রিয়া নির্ভর করবে।”

    ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্রশ্নপত্র

    প্রসঙ্গত তিনটি রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের (NEET Row) অভিযোগের তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনে জানানো হয়েছে গুজরাট পুলিশ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। যেখানে নিটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেওয়ার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বিহারের পাটনায়। যেখানে ছাত্রপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে ১৫৬৩ জন প্রার্থীকে ফের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ূন: মুক্তি মিলল না, আপাতত আরও ২-৩ দিন তিহাড়ই ঠিকানা কেজরিওয়ালের

    প্রসঙ্গত নিট দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এসেছে এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনন্দের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পরীক্ষার্থী পিছু নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দার যাদবকে ও গ্রেফতার করা হয়েছে। অমিত আনন্দের ফ্ল্যাট থেকে নিটের প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমিতের স্বীকারোক্তি মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল একদিন আগেই। আরও জানা গেছে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। গড়ে প্রত্যেকদিন ১০টি করে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। খোদ রাজ্যের দেওয়া হিসেব দেখে এবার কড়া মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অশান্তি নিয়ে অনেক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে, আমরা বাস্তাব চিত্র জানতে চাই।” অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। কেউ ঘরছাড়া তো আবার বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছেন।

    বিচারপতিদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) সময়ে হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রান্তদের আইনজীবীরা জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জেলায় জেলায় অনেকেই ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এরপর বিচারপতিরা বলেন, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক। যে সমস্ত এলাকায় হিংসার খবর আরও বেশি করে আসছে, সেখানে পুলিশের সক্রিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।” যদিও ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট, মেয়াদ ২১ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এখনই বাহিনী ফিরবে না, ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

    আইনজীবীদের বক্তব্য

    রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন থাকবে কিনা, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। এই বেঞ্চে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের দেওয়া হিসেবেই বলছে জেলা থেকে রোজ ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের ডিজির কাছে মেইলে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ এসেছে। এরপর ১৮জুন পর্যন্ত অভিযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫৯টি। এর মধ্যে ২০৪টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১৭০টির অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    রাজ্যপালের চিঠি

    ঘরাছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভাবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদলাত অনুমতি না দিয়ে বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি রাজ্য ডিজির দফতরের সমানে বসার জন্য আবেদন জানান কোর্টে। অপর দিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ আড়াআড়িভাবে দুভাগ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।

    চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বয়কট (TMC Conflict)

    এবার লোকসভা ভোটে দাঁইহাট শহরে আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে তৃণমূল পিছিয়ে। ১৩ জুন চেয়ারম্যান পুরসভায় বোর্ড বৈঠক ডাকেন। বিওসির আমন্ত্রণপত্রে সই করলেও মিটিংয়ে না যাওয়ায় কোরাম হয়নি। ২০ জুন ফের বিওসি-র সভা ডেকে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু, কেউ তাতে সই করেননি। চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ে সভায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমর সাহা ও ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর অমরেন্দ্রনাথ দাস। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দুই কাউন্সিলর ও পুরসভার এক আধিকারিককে নিয়ে বোর্ড অব কাউন্সিলরের সভা শুরু হয়। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ১১ জন কাউন্সিলর এই সভা বয়কট করেন। ফের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    পুরমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে?

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের অপসারণের দাবিতে রাজ্যের ফিরহাদ হাকিমকে কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের কাছে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যানের ‘অপদার্থতার’ জন্য শহরের নাগরিক পরিষেবা লাটে উঠেছে। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “চেয়ারম্যানের অযোগ্যতার জন্য শহরে উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। ভোটে পিছিয়ে গিয়েছি। সেই কারণে তাঁর অপসারনের দাবিতে চিঠি দিয়েছি।” ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ বলেন, “আমরা ১১ জন কাউন্সিলর ( Trinamool Congress) বিওসি-র মিটিং বয়কট করে আগেই দলকে বার্তা দিয়েছি। এ দিন কোরাম না করে অবৈধভাবে বৈঠক করা হয়েছে।”

    দল পদে বসিয়েছে, বললে সরে যাব

    অপসারণের চিঠি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, “দল আমাকে পদে বসিয়েছে। সরে যেতে বললে সরে যাব। কিন্তু তার আগে ওঁদের নানা কথাও বলে যাব।” আর বোর্ড মিটিং বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিঠি পাঠানোর পরেও বোর্ড মিটিংয়ে না এলে আমার কিছু করার নেই। পুর আইন মেনেই বৈঠক সম্পন্ন করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asha Bhosle: দীর্ঘ দিন পর বাংলা গান রেকর্ড করলেন আশা ভোঁসলে! সঙ্গে সোনু নিগম

    Asha Bhosle: দীর্ঘ দিন পর বাংলা গান রেকর্ড করলেন আশা ভোঁসলে! সঙ্গে সোনু নিগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle) অনুরাগীদের জন্য সুখবর। দীর্ঘদিন পর আবারও বাংলা গান (Bengali songs) রেকর্ড করলেন ৯০ বছর বয়সী এই গায়িকা। এই অসাধ্যসাধনের নেপথ্যে রয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক মনোজিৎ গোস্বামী। এতদিন পর ফিরে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন সিনেমার গানে। একটি নয়, জানা গিয়েছে তিনটি গান গেয়েছেন আশা। তিনটি গানেরই গীতিকার মনোজিৎ। এর মধ্যে একটি একক গানে কণ্ঠ দিয়েছে তিনি। আর অন্য দুটি গানে তাঁর সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগম।  

    কী জানালেন গীতিকার? (Asha Bhosle) 

    চলতি মাসেই মুম্বইয়ে পঞ্চম স্টুডিয়োয় গানগুলি রেকর্ড করেছেন আশা। সময় নিয়েছেন দুদিন। সঙ্গীত পরিচালক অজয় দাসের সহকারী হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন মনোজিৎ। সেই সূত্রেই আশার সঙ্গে তাঁর আলাপ। কিন্তু মনোজিৎ জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান শিল্পীকে রাজি করাতেই নাকি তাঁর ছমাস সময় লেগেছে। বর্ষীয়ান শিল্পীকে কী ভাবে রাজি করালেন? এই প্রশ্নে মনোজিৎ হেসে বলেন, ‘‘২০১৩ সালে ওঁর সঙ্গে প্রথম কাজ। আট-দশটা কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। দিদির শরীর ভাল নেই, কিন্তু উনি তার পরেও যে রাজি হয়েছেন, সেটা আমার পরম প্রাপ্তি।’’ 

    আরও পড়ুন: জমিতে ফল-সবজি চাষ করে ২৬ কোটি টাকা আয়! প্রসন্নর জবাব মানছে না ইডি

    কোন ছবিতে গানগুলি ব্যবহার করা হবে? 

    বেশ কয়েক বছর আগে বাংলায় পুজোর গান রেকর্ড করেছিলেন আশা (Asha Bhosle)। তার পর আবার তিনি বাংলা গান (Bengali songs) গাইলেন। তবে কোন ছবিতে গানগুলি ব্যবহার করা হবে, সে প্রসঙ্গে এখনই কোনও তথ্য দিতে নারাজ মনোজিৎ। তবে জানালেন, ছবিতে গানের সঙ্গেই একটি বিশেষ মুহূর্তে আশাকে পর্দায় দেখবেন দর্শক। তিনি জানিয়েছেন, ‘নন্দিতা ফিল্ম অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট’ প্রযোজিত এই গানগুলো বছরের শেষের দিকে প্রকাশ হতে পারে। তবে সিনেমাটির মুক্তি হবে আগামী বছর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর পর এবার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তবে কাকুর ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। সিবিআই কিছু না জানালেও তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী আজ এই কথা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাঁর কথাবার্তার চাঞ্চল্যকর রেকর্ড এবং তথ্য, তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আইনজীবীর বক্তব্য (CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিষয়ে তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহাকে আগেও ডাকা হয়েছিল। এদিন শুক্রবার তিনি সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দেন। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমায় আবার ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতা করব।” তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য তলব করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে বেলা ১টা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন।” তবে বের হওয়ার সময় তাপস বাবু কেবল মাত্র মাথা নেড়ে নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    সিবিআই সূত্রে খবর

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস ঘনিষ্ঠ প্রবীর কয়ালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর এই বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। গত এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টে কণ্ঠস্বরের নমুনা সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। তবে তদন্তকারী সংস্থা যা সন্দেহ করেছিল, তা মিলে গিয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    North 24 Parganas: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খুড়িগাছি গ্রামে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় উভয়পক্ষের মোট চারজন আহত হয়েছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর অপর আরেক গোষ্ঠী হামলা করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রসঙ্গত শাসক দলের বিধায়ক নিজে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা মানতে নারাজ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষ (North 24 Parganas)

    আমডাঙার (North 24 Parganas) বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রাকিবুল ইসলামের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা তৈইব মস্তান। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অপর আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    সংঘর্ষে আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিবেশী হিরামনি বিবি বলেছেন, “এলাকায় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতা তৈয়ব মস্তান নিজে কোনও কাজ করে না। কেবল তোলাবাজি করে খায়। দলের আড়ালে অসামাজিক কাজ-কর্ম করে। মহিলাদের কোনও সম্মান করেনা। ওর আতঙ্কে সকলে সন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে মা-বোনদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হাটখোলার মুখে বাড়ি ওর, কেউ কিছু বলতে গেলে রাস্তায় ফেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আজকে আমাদের ছেলেগুলিকে বেধড়ক মারধর করেছে। মারের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওদের কাছে পিস্তল, বোমা, বন্দুক থাকায় কেউ কিছু করতে সাহস পায়নি। পুলিশ ওদের কথা কাজ করে।”

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম থানায় ১৫ দিনে ৪৭টা এফআইআর! পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বিজেপির, অনুমতি কোর্টের

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান। তিনি বলেন, “অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন পঞ্চায়েত (North 24 Parganas) সদস্য রাকিবুল। আগেও ওঁকে আঘাত করা হয়েছে। যে মেরেছে সে এলাকার সমাজ বিরোধী। তবে তার নাম জানি না। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য”, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ

    Ranaghat: “জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য”, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ই জুলাই রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস। দলীয় নেতা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।

    জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য (Ranaghat)

     এদিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক অসীম বিশ্বাস সহ একাধিক বিজেপি কর্মী -সমর্থকেরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস বলেন, রানাঘাটের এই কেন্দ্র বিজেপির উর্বর ক্ষেত্র। এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে চায়, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ই জুলাই উপ-নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। লোকসভায় এই কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছিল। এবার সেটা ৫০ হাজার হবে। ফলে, জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুটমণি অধিকারীকেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। কিন্তু, লোকসভার মতো দলের মধ্যে মতানৈক্য, ঠান্ডা লড়াই মুকুটের জয়ের ক্ষেত্রে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে রানাঘাট-২ ব্লকের আটটি ও রানাঘাট-১ ব্লকের ছটি পঞ্চায়েত। এছাড়াও রয়েছে কুপার্স নোটিফায়েড এলাকা। এই কেন্দ্র আবার উদ্বাস্তু ও মতুয়া বলয় বলেও পরিচিত। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, উদ্বাস্তু ও মতুয়ারা সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দিকে ঝুঁকেছিল। আবার ২০২১- এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটেই জয়ী হয়েছিলেন রানাঘাট লোকসভায় এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। বিধানসভা তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৬,৫১৫। উপ-নির্বাচনে উদ্বাস্ত ও মতুয়া ভোট ধরে রাখার অঙ্কই কষছে বিজেপি। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মতুয়া ও উদ্বাস্তু মানুষ লোকসভায় আমাদের উপরে আস্থা রেখেছেন। এ বারও রাখবেন। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হলে জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: “নিজেকে মোড়ল ভাবছেন”, হুমায়ুনকে তোপ তৃণমূল নেতার, কোন্দল তুঙ্গে

    TMC Conflict: “নিজেকে মোড়ল ভাবছেন”, হুমায়ুনকে তোপ তৃণমূল নেতার, কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলারই এক তৃণমূল নেতার রোষের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম মুস্তাক আহমেদ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিধায়ককে তুলোধনা করেছেন। এরপরই মুস্তাকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল নেতা ও বিধায়কের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে শাসক দলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রত্যেকটি বিধানসভায় নিজেকে মোড়ল ভাবছেন (TMC Conflict)

    অভিযুক্ত মুস্তাক আহমেদ বলেন, ভরতপুরের বিধায়কের নিজের বিধানসভায় কোনও কাজ নেই। তাই, তিনি গোটা জেলা নিয়ে ভাবছেন, প্রত্যেকটি বিধানসভায় নিজেকে মোড়ল হিসেবে ভাবছেন। তিনি কোথায় কী করছেন তা আমার দেখার কর্তব্য নয়। আমি তৃণমূল দলটা ওঁর অনেক আগে থেকে করি। এই দলটাকে আমি ভালোবাসি। এর আগে তো  হুমায়ুন কবীর  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটু কথা বলেছে ন। রেজিনগর এবং বেলডাঙা বিধানসভায় যে টিম আপনি তৈরি করেছেন। সেই টিমে কংগ্রেসের ছেলেরা তৃণমূলের জার্সি পড়ে রয়েছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। এটুকু বলতে পারি, তৃণমূল বিধায়ক নিজের তৈরি টিম নিয়ে আমাকে একটু টাচ করে দেখিয়ে দিন। আপনি যদি আমাকে টাচ করতে পারেন তাহলে জানব আপনার ক্ষমতা আছে, আর যদি না পারেন তাহলে আগামীদিনে আপনার বুথে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool Congress) হুমায়ুন কবীর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর সদরে সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, এখনই দলীয় নেতৃত্বকে কিছু বলিনি। আপাতত, বিচারের জন্য অভিযোগ জানিয়েছি, প্রশাসনের ওপর আমার যথেষ্ট ভরসা আছে। প্রশাসন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি আতিবুর রহমানের আত্মীয়। কারও মদতে এসব করছে।  প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেটার দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share