Author: user

  • Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, কঠোর বার্তা আমেরিকার

    Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, কঠোর বার্তা আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks On Hindus) উপর নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে সমস্ত ধর্মের অধিকার রক্ষার কথা বলল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) জেক সুলিভান এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে এই নিয়ে ফোনে কথা হয়। হোয়াইট হাউসের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “দুই নেতা মানবাধিকার রক্ষার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”

    ঢাকাকে নির্দেশ

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক মাস পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। এর ঠিক আগে, ইউনুসের সঙ্গে কথা বললেন সুলিভান। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তাতে তাদের সহায়তা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকেও সে দেশে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে হবে।”

    বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে হিন্দু (Attacks On Hindus) এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনা এবং মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউস জানায় যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দেয় হোয়াইট হাউস।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    সম্প্রতি, ভারতীয়-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান শ্রী থানেদার হোয়াইট হাউসকে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের হত্যাকাণ্ড (Attacks On Hindus) এবং তাদের মন্দিরে আক্রমণ নিয়ে সরকারিভাবে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। থানেদার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার ইতিহাস দীর্ঘ এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিক্রিয়া যথাযথ হওয়া উচিত।” হিন্দু অ্যাকশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক উৎসব চক্রবর্তীর মতে, “গত পাঁচ মাসে যা ঘটেছে তা পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে, ইউনুস তার সহযোগী জামাত-এ-ইসলামি দলের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির পুড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে এবং পুরোহিতদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Pujan Diwas: ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় তুলসী পূজন দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    Tulsi Pujan Diwas: ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় তুলসী পূজন দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ ডিসেম্বর। কেবল খ্রিস্টান নন, হিন্দুদের কাছেও দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। এই দিনে হিন্দুরা উপাসনা করেন দেবী তুলসীর (Significance)। দিনটি তুলসী পূজন দিবস হিসেবে পালন করেন সনাতনীরা (Tulsi Pujan Diwas)।

    তুলসী পূজন উৎসব (Tulsi Pujan Diwas)

    হিন্দুদের বিশ্বাস, তুলসী অত্যন্ত পবিত্র। তাই হিন্দুদের ঘরে ঘরে নিত্যদিন তুলসী পুজো হয়। প্রতিদিন তুলসীর আরাধনা করলে সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়। ২০১৪ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তুলসী পূজন। তার পর থেকে ফি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটিতে পুজো হয় তুলসীর। চতুর্দশী তিথিতে হয় তুলসী পূজন উৎসব। তুলসীর আর এক নাম বিষ্ণুপ্রিয়া।তুলসীকে ঐশ্বর্য ও সৌভাগ্যের দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তুলসীর কাছে প্রার্থনা করা সৌভাগ্য আনে বলে বিশ্বাস। তুলসী পুজন দিবসে বাড়িতে নতুন তুলসী গাছ আনা হয়। এদিন তুলসী চারা কোনও মন্দির বা উপাসনা স্থলে দান করলে পুণ্য লাভ হয়। জীবনভর সুখ-শান্তি বজায় রাখতে চাইলে অবশ্যই তুলসীর পুজো করা উচিত।

    শুভ দিন

    তুলসী পূজন দিবস জাঁকজমকপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়, যা বিবাহ ও গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের জন্য শুভ বলে বিবেচিত হয়। এদিন ভক্তরা ভোরে উঠে বাড়িঘর পরিষ্কার করেন। তুলসী গাছকে ফুল-মালা-গয়নায় সাজানো হয়। তুলসী ও ভগবান বিষ্ণুর বৈবাহিক অনুষ্ঠানের আয়োজন অত্যন্ত ভক্তিভরে করা হয়। তুলসী পূজন ভক্তদের জীবনে সমৃদ্ধি, সুখ এবং আধ্যাত্মিক কল্যাণ বয়ে আনে বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। তুলসী পূজন দিবসের (Tulsi Pujan Diwas) উৎপত্তি বর্ণিত হয়েছে হিন্দু পুরাণে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    কিংবদন্তি অনুসারে, তুলসী মূলত এক নিবেদিতপ্রাণ নারী। তাঁর নাম ছিল বৃন্দা। তিনি অসুররাজ জলন্ধরের স্ত্রী। বৃন্দার পবিত্রতার শক্তি থেকে অপরাজেয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেবতারা যখন জলন্ধরকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হলেন, তখন তাঁরা বিষ্ণুর সাহায্য চাইলেন। বিষ্ণু ছদ্মবেশে বৃন্দার পবিত্রতা ভঙ্গ করেন। যার ফলে জলন্ধর হেরে যান। দুঃখে বৃন্দা তুলসী গাছে রূপান্তরিত হন। বিষ্ণু এই পাপ মোচনের জন্য তুলসীকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি প্রতি বছর এই দিনে তুলসীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন (Significance)। সেই থেকেই তুলসী পূজন দিবস পালন করা হয় (Tulsi Pujan Diwas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের রূপান্তরের স্থপতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মদিন বুধবার। এদিন থেকেই শুরু হল তাঁর শতবর্ষ উদযাপন। হিন্দুত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনিই প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি, তাঁর নেতৃত্বে দেশকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।

    জীবনের পাঠ

    ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোয়ালিয়রে এক শিক্ষিত ও মূল্যবোধে ভরপুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তাঁর পিতা কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী, একজন শিক্ষক ও পণ্ডিত, ছিলেন। অটলজি’র প্রাথমিক বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন তাঁর বাবাই। বীর সাভারকারের বিপ্লবী চিন্তা এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী তরুণ বয়সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এ যোগ দেন। আরএসএস তাঁকে আত্মনির্ভরতা, সাংস্কৃতিক গর্ব এবং ভারত মাতার প্রতি অবিচল কর্তব্যের মূলনীতিগুলি শেখায়।

    রাজনীতির হাতেখড়ি

    বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জনসংঘ (বিজেএস) থেকে। তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে জাতীয়তাবাদী ভারতের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের জন্য নিরলস প্রচার চালাতে থাকেন। তাঁর সংসদীয় ভাষণগুলো ছিল রাষ্ট্রনায়কোচিত, যেখানে তিনি ভারতকে তাঁর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানাতেন। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।

    হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনাকে অগ্রাধিকার

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থায় যখন ইন্দিরা গান্ধী গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে দমন করেছিলেন, বাজপেয়ী তা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে উদিত হন এবং তাঁর বক্তব্য ও লেখনীর মাধ্যমে হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁর ধারা এবং বিশ্বাস ভারতের সাংস্কৃতিক সত্তার রক্ষায় প্রতিনিয়ত অবদান রেখেছিল। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রতিষ্ঠার পর বাজপেয়ী দলটির একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি হিন্দুত্বের আদর্শকে একটি আধুনিক ও সমন্বিত রূপে উপস্থাপন করে। বাজপেয়ীর কৌশলগত সমঝোতা এবং প্রজ্ঞা ভারতকে নতুন দিগন্তে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে আধুনিকীকরণ এবং ঐতিহ্য সমন্বিত ছিল।

    প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় যোগ। কিন্তু দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর প্রতি ছিল অপার শ্রদ্ধা। এক টালমাটাল সন্ধিক্ষণে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন – এক দিকে জোট রাজনীতির উত্থান, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় বদল আনার প্রক্রিয়া। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-২০০৪ সাল এই তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ছিলেন বাজপেয়ী। অর্থাৎ ২২৬৮ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা ছিল ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষা, যা ভারতকে একটি পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাজপেয়ীর কূটনৈতিক কৌশল এবং রাষ্ট্রীয় আত্মবিশ্বাস ভারতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা প্রদান করেছিল। পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটি আগ্রাসন নয়, আত্মরক্ষার অংশ”।

    কার্যকরী রাষ্ট্রনীতির অংশ ছিল হিন্দুত্ব

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি হিন্দুত্বকে শুধু একটি আদর্শ হিসেবে নয়, বরং কার্যকরী রাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তাঁর নেতৃত্বে, ভারত তার সাংস্কৃতিক পরিচয় ও গর্ব বজায় রেখে প্রগতির পথে এগিয়েছিল। তাঁর বক্তব্যগুলি দেশবাসীকে ভারত মাতা এবং তার ঐতিহ্যের প্রতি গর্বিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। হিন্দুত্বের এক দৃঢ় পথপ্রদর্শক ছিলেন বাজপেয়ী। সনাতন ভারতের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ আস্থা। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেই তিনি দেশকে উন্নতির পথ দেখিয়েছিলেন।

    হিন্দু ধর্ম নিয়ে বাজপেয়ীর অভিমত

    বাজপেয়ী নিজে শুধু সনাতনী হিন্দু ছিলেন না, তার পাশাপাশি সনাতন হিন্দু ধর্মের অন্তর্নিহিত নির্যাস তিনি বুঝতেন। হিন্দু ধর্ম নিয়ে এক এক প্রবন্ধে বাজপেয়ী লিখেছিলেন, “হিন্দুধর্মের প্রতি আমার আকর্ষণের প্রধান কারণ হল এটি মানবজাতির সর্বোচ্চ ধর্ম। হিন্দু ধর্ম কোন বইয়ের সাথে বা কোন নির্দিষ্ট ধর্ম প্রচারকের সাথে যুক্ত নয়। হিন্দু ধর্মের রূপটি সর্বদা হিন্দু সমাজ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এই কারণেই এটি অনাদিকাল থেকে ক্রমবর্ধমান এবং বিকাশ লাভ করে আসছে।”

    আরও পড়ুন: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    যখন সমগ্র সমাজ ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই বাজপেয়ীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করা হয়। একবার তিনি বলেছিলেন, “আপনারা জানেন, আমার জীবনের প্রথম দিকে, আমি পৈতে পরিধান করতাম, কিন্তু যখন আমি নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিবেদিত করি, তখন আমি এটি সরিয়ে দিয়েছিলাম কারণ আমি অনুভব করেছি যে এটি আমাকে অন্য হিন্দুদের থেকে আলাদা করেছে। আগে ‘শিখা’ এবং ‘সূত্র’ ছিল হিন্দুদের দুটি পরিচয়। বেশিরভাগ মানুষ শিখাকে আর রাখেন না। শিখা পালন না করে কেউ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করেছে এমন কথা বলা ভুল। হ্যাঁ, শিখা যখন জোর করে কাটা হয়, ধর্মীয় দমনের রূপক, তখন তা বন্ধ করা আমাদের কর্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস খ্যাত ২৫০ বছরের পুরানো মন্দির। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়েরি অঞ্চলের এই মন্দির চার দশক ধরে দখল করে রেখেছিল জনৈক ওয়াজিদ আলি ও তার পরিবার। গঙ্গা মহারানির (Ganga Maharani Mandir) সেই মন্দিরই দখলমুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। কিলা এলাকার কাটঘরে অবস্থিত এই মন্দিরটি রাকেশ সিংয়ের পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত। আধ্যাত্মিক তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির।

    পাহারাদারের মন্দির দখল (Uttar Pradesh)

    ইসলামপন্থী ওয়াজিদ আলি ছিলেন এই মন্দিরের পাহারাদার। ধীরে ধীরে মন্দির প্রাঙ্গন দখল করে নেন তিনি। পরে পুজো বন্ধ করে দেন। মন্দিরের দরজায় ঝুলিয়ে দেন তালা। অভিযোগ, ওয়াজিদ মন্দিরের মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ছিল একটি সাদা শিবলিঙ্গও। বিগ্রহগুলি সরিয়ে ওয়াজিদ সেখানে তুলে দেন ইসলামি পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় ভক্তদের। মন্দিরটি একসময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে পুজো-অর্চনা বন্ধ করে দেন ওয়াজিদ। বছরের পর বছর ধরে মূল ট্রাস্টিদের বংশধর রাকেশ সিংহ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মন্দিরের জমি দখল মুক্ত

    একটি দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন। এসডিএম সদর গোবিন্দ মৌর্য এবং সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং মালিকানার নথি যাচাই করেন। তদন্তে দেখা যায়, মন্দিরের জমি ১৯০৫ সাল থেকে গঙ্গা মহারানি ট্রাস্টের অধীনে নিবন্ধিত ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ হয়ে যায় ওয়াজিদ আলির আইনি দখলের দাবি। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা সমবায় সমিতির একজন প্রহরী ছিলেন (Uttar Pradesh)। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে, সমবায় সমিতির সচিব বিকাশ শর্মা স্পষ্ট করেন যে ওয়াজিদ বা তার বাবার কোনও চাকরির রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই। ২০ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসন, এসপি সিটি মনীশ পারিখের নেতৃত্বে, উচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে। এর পরেই ওয়াজিদ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ২১ ডিসেম্বর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় মন্দির (Ganga Maharani Mandir)। অভিষেক-পুজোপাঠও হয় ওই দিনই (Uttar Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের মাটিতে বিধ্বংসী বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) পাকতিয়া প্রদেশের বারমাল জেলায় এই হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাক সেনার অতর্কিত এই হামলার পালটা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান।

    ৭ গ্রামের উপর বিমান হামলা 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে লমান সহ ৭ গ্রামের উপর এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় একই পরিবারের ৫ সদস্য মারা গিয়েছেন। এই বিমান হামলার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এই হামলার পিছনে আসলে দায় কার, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে।  পাকিস্তানের (Pakistan Air Strike) পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী তালিবান আস্তানাগুলো লক্ষ্য করেই পাক বায়ুসেনার এই আক্রমণ।

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    তালিবানের নিন্দা

    ইসলামাবাদের সূত্র দাবি করছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। সেই অভিযানে পাক তালিবানের (Air Strike on Afghanistan) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। সেই অভিযানে কয়েকজন জঙ্গিও মারা গিয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তানি সরকারি সূত্র। যদিও এই নিয়ে কোনও সরকারি আধিকারিক প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। পাকতিকায় বিমান হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। এই নিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বৈধ অধিকার রয়েছে তাদের। এদিকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা ‘ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী’। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানি সেনার ওপরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানি পক্ষের জানা উচিত যে, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি টাইকুন। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর সম্পদ। নষ্টও করা হয়েছে বর্তমানে সিঙ্গাপুরবাসী এই ব্যবসায়ীর (Bangladesh) সম্পত্তি। এসব ফেরত না দিলে আন্তর্জাতিকভাবে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এস আলম (S Alam) নামের ওই ব্যবসায়ী। সম্পদ ও বিনিয়োগ নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম।

    আন্তর্জাতিক সালিসি

    এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবেন তিনি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি আলমের। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও একাধিক উপদেষ্টার কাছে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ পাঠিয়েছেন এস আলম। সেই নোটিশেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে ছ’মাস। আওয়ামি লিগ সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ইউনূস সরকারের।

    কী বলা হয়েছে নোটিশে

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই ক্ষতি আদায়ে সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে। ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, এস আলমের পরিবার ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২০ সালে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ ও সম্পদমূল্য সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

    বিনিয়োগ চুক্তি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনকালে সরকার প্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই দেশের বাইরে পাচার করেছেন হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাঙ্ক ডাকাতির এটাই সব চেয়ে বড় ঘটনা।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।” অন্যদিকে সাইফুল (Bangladesh) বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির প্রেক্ষিতে তাঁর সুরক্ষা প্রাপ্য।”

    কোটি কোটি টাকা পাচার!

    বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বক্তব্য, বিষয়গুলি তদন্তাধীন। তাই এ ব্যাপারে তারা কোনও মন্তব্য করবে না। হাসিনা সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ ইউনূস প্রশাসনের। প্রশ্ন হল, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন যদি তিনি বিদেশে টাকা পাচার করেন, তাহলে তখন কেন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কিংবা বিরোধীরা এই অভিযোগ তোলেননি? প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর হাসিনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে এভাবে জনমানসে হাসিনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাইছেন হাসিনা বিরোধীরা।

    শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

    বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। ইউনূস-সহ চারজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছিলেন, “সাক্ষ্যপ্রমাণে ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেই আশা করছি।”

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফডি কর্তারা ২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশ কিছু ত্রুটি খুঁজে পান। সেই বছরেরই ১৯ অগাস্ট গ্রামীণ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনও গঠন করা হয়নি। কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল, তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ (Bangladesh) করা হয়নি।

    সেই ইউনূসই বাজেয়াপ্ত করছেন অন্য ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি (S Alam)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পথে মাঠে ঘাটে সামান্য মন কষাকষি বা বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ দেখা দিলেই, যুযুধান দুই পক্ষের ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে একটি বাক্য, “তুমি কোন হরিদাস পাল?” গত পাঁচ ছয় দশক ধরে কোনও মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অযোগ্য ও তুচ্ছ বোঝাতে, দ্বিধাহীনভাবে বাঙালি ব্যবহার করেছে ‘হরিদাস পাল’ নামটিকে। কাউকে ‘হরিদাস পাল’ (Haridas Pal) বললেই বক্তব্যটির সত্যতা বোঝা যাবে। মূলত, উপোহাস হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু, প্রশ্ন হল হরিদাস পাল আদৌ কেউ ছিলেন, না এটা জনশ্রুতি।

    কে সেই হরিদাস পাল? (Haridas Pal)

    কেউ বলেন এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) একটি কাল্পনিক চরিত্র। কারণ বাঙালির ইতিহাসে এই মানুষটির জীবন কাহিনির খোঁজ মিলবে না। অপরপক্ষের মতবাদ হল, গত পাঁচ- ছয় দশক ধরে বাঙালির বুলিতে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়া মানুষটি ছিলেন রক্ত মাংসেই গড়া। কারণ, এরকম অনেক মানুষের নামই বাঙালি চলতি কথায় ব্যবহার করে, যাঁরা ছিলেন বাস্তব জগতের মানুষ। দু’জন হরিদাস পালই, কিংবদন্তির হরিদাস পাল হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। ফলে তাঁদের মধ্যে কে কিংবদন্তির ‘হরিদাস পাল’ তা নিয়ে আজ অবধি কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তবুও আসুন, চিনে নিই দুই পালকেই।

    রিষড়ার হরিদাস পাল

    জানা গিয়েছে, রিষড়ার হরিদাস পাল (Haridas Pal) হুগলির রিষড়া এলাকার এক গন্ধবণিক পরিবারের ১৮৭৬ সালে জন্মেছিলেন। নিতাইচরণ পালের পরিবারে জন্ম নেওয়া হরিদাস পালের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল দারিদ্র। তাই ষোল বছর বয়সে কাজ নিয়েছিলেন কলকাতার শোভাবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে। মাইনে ছিল অতি সামান্য। তাতে সংসার চলত না। একসময় ঋণের ফাঁদে পড়ে শেষ হতে বসেছিলেন। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে একদিন ঘুরে গিয়েছিল ভাগ্যের মোড়। হরিদাস পালকে তাঁর সুবিশাল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী করে, প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর নিঃসন্তান মামা। রাতারাতি ধনকুবের হয়ে গিয়েছিলেন, ঝাঁপ তুলে সোনার দোকানে ঝাঁট দেওয়ার কর্মী হরিদাস পাল। পেল্লায় দোকানঘর কিনে ফেলেছিলেন বড়বাজারে। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কিনে ফেলেছিলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। শুরু করেছিলেন বিদেশি কাচ ও লণ্ঠনের ব্যবসা। সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন ব্যবসাতেও। ব্যবসা প্রসারিত হয়েছিল গুয়াহাটি সহ ভারতের অন্যান্য শহরে। বিপুল বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও এই হরিদাস পাল ছিলেন সৎ ও দয়ালু। আমরা দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন ও দানবীর আলামোহন দাসের নাম জানি। কিন্তু দানের দিক থেকে এই হরিদাস পাল সেই উচ্চতায় পৌঁছতে না পারলেও, সমাজের স্বার্থে একসময় প্রচুর অর্থব্যয় করেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্র।

    হরিদাস পাল লেন

    জনশ্রুতি আছে, তাঁর কিছু বাড়িও দুঃস্থদের দান করে গিয়েছিলেন এই হরিদাস পাল। রিষড়া (Haridas Pal) থেকে কলকাতায় আসা এই হরিদাস পাল, প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৩৩ সালে। কিডনির অসুখে ভুগে মাত্র সাতান্ন বছর বয়সে বিদায় নিয়েছিলেন প্রভাবশালী মানুষটি। ১৯৬৫ সালে, এই হরিদাস পালের সম্মানার্থে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোডকে সংযুক্ত করা কলেজ লেনের নাম দিয়েছিল হরিদাস পাল লেন।

    হরিপুরের হরিদাস পাল

    ঊনবিংশ শতকের এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) ছিলেন বাংলাদেশের হরিপুরের বাসিন্দা। হরিপুরের হরিদাস পাল কিন্তু রিষড়ার হরিদাস পালের মতো প্রথম জীবনে দারিদ্রের সম্মুখীন হননি। কারণ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম হয়েছিল তাঁর। হরিপুরের হরিদাস পালের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজদের মোসাহেবি করে প্রভুত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। স্ফূর্তি করতে নিয়মিত কলকাতায় আসতেন তাঁরা। বিভিন্নভাবে টাকা উড়িয়ে ফিরে যেতেন হরিপুরে। হরিপুরের হরিদাস পালের ওপরেও তাঁর পূর্বপুরুষের এই বদগুণগুলির প্রভাব ফেলেছিল। প্রচুর অর্থ নিয়ে হরিদাস পাল, হরিপুর থেকে পাকাপাকিভাবে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কিনেছিলেন প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি। শুরু করেছিলেন নানান ব্যবসা। দু’হাতে অর্থ বিলিয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু ভোগবিলাস ও দান খয়রাতে ব্যস্ত থাকায়, ব্যবসাগুলির গণেশ উল্টে গিয়েছিল। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন হরিপুরের হরিদাস পাল। নিঃস্ব হরিদাস পালকে কেউ আগের মতো মান্য করত না। সমস্ত সুনাম ও সম্মান হারিয়ে ফেলেছিলেন প্রভাবশালী এই মানুষটি। নানান অসুখে হারিয়ে ফেলেছিলেন শরীর ও স্বাস্থ্য। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাঁর কাছে ছিল না শেষজীবনে।

    হরিদাস পালকে নিয়ে কাহিনী

    ডক্টর মোহাম্মদ আমীন, ‘হরিদাস পাল (Haridas Pal) কে ছিলেন: কেন প্রবাদে হরিদাস এলেন’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন হরিপুরের হরিদাস পালের একটি কাহিনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে হরিপুরের হরিদাস পাল একদিন গিয়েছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে। সাহায্য পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্য তখন এতটাই ভেঙে গিয়েছিল, সেই কর্মচারী হরিদাস পালকে প্রথমে চিনতে পারেননি। তখন হরিদাস পাল তাঁর পরিচয় দিয়ে, প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সুনাম হারানো ও নিঃস্ব প্রাক্তন মালিকের কথা পাত্তাই দেননি সেই কর্মচারী। বিস্মিত হরিদাস পাল বলেছিলেন, “এক সময় তুমি আমার কথা শুনতে।” তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বিরক্ত কর্মচারীটি বলেছিলেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল, যে তোমার কথা এখনও শুনতে হবে?” কর্মচারীটি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তুমি আর আগের মতো প্রভাবশালী হরিদাস পাল নেই, তাই তোমার কথা শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। মাথা নিচু করে সেদিন ফিরে এসেছিলেন অপমানিত হরিদাস পাল। এই ঘটনাটির পর থেকেই নাকি প্রথমে কলকাতা ও পরে সারা বাংলায় “তুমি কোন হরিদাস পাল” বাগধারাটি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল।

    দুই হরিদাস পালের (Haridas Pal) জীবন কাহিনি থেকে এটা স্পষ্ট, তাঁরা দু’জনেই ধনী, দাতা ও প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে অসফল ছিলেন, একথা বলা যাবে না। বরং গড়পড়তা বাঙালির থেকে অনেক ওপরেই ছিল তাঁদের অবস্থান। তবুও রঙ্গপ্রিয় বাঙালির নিদারুণ পরিহাসে, ‘হরিদাস পাল’ নামটি তার সাবেক গরিমা হারিয়ে, আজ হয়ে উঠেছে উপহাসের বস্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বসের সঙ্গে ২৮ বছরের স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে জোর করেছিলেন ৪৫ বছরের সোহেল শেখ। কিন্তু, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী। এই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Maharashtra)

    নির্যাতিতা বধূ (Maharashtra) পুলিশকে জানিয়েছেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যুবকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ৪৫ বছর বয়সি সোহেল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।  তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সোহেল জানান, প্রথম স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিতে চান। তার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তখন থেকেই তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন সোহেল। প্রথম স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেলে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। দাবি না মানলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

    বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে চাপ!

    অফিসের বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে বারবার জোর করেছিলেন সোহেল। তাতেও রাজি হননি ওই মহিলা। একটি পার্টিতে গিয়েও বসের সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেন তাঁকে। বারবার স্ত্রীর থেকে ‘না’ শুনেই মেজাজ হারান সোহেল। এরপর তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেন। ৫ ডিসেম্বর ওই বধূ বাড়িতে এলে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সোহেল তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তিন তালাক (Talaq) দিয়ে দেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২), ৩৫১ (২), ৩৫১ (৩) এবং ৩৫২ সেই সঙ্গে মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    “তোমরা এত কষ্ট করে এখানে এসেছ, তোমরা ঈশ্বরকে (Ramakrishna) খুঁজে বেড়াচ্ছ। সব লোক বাগান দেখেই সন্তুষ্ট, বাগানের কর্তার অনুসন্ধান করে দু-একজন। জগতের সৌন্দর্যই দেখে, কর্তাকে খোঁজে না।”

    হঠযোগ, রাজযোগ ও বেলঘরের ভক্ত—ষড়চক্র ভেদ ও সমাধি 

    (গায়ককে দেখাইয়া)—ইনি ষড়চক্রের গান গাইলেন। সে-সব যোগের কথা। হঠযোগ আর রাজযোগ। হঠযোগী শরীরের কতকগুলো কসরৎ করে; উদ্দেশ্য—সিদ্ধাই, দীর্ঘ আয়ু হবে, অষ্টসিদ্ধি হবে; এই সব উদ্দেশ্য। রাজযোগের উদ্দেশ্য—ভক্তি, প্রেম, জ্ঞান, বৈরাগ্য। রাজযোগই ভাল।

    “বেদান্তের সপ্তভূমি, আর যোগশাস্ত্রের ষড়চক্র অনেক মেলে। বেদের প্রথম তিনভূমি, আর ওদের মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর। এই তিন ভূমিতে গুহ্য, লিঙ্গ, নাভির মনের বাস। মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অর্থাৎ অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়, আর জ্যোতিঃদর্শন হয়। সাধক বলে, ‘এ কি! এ কি!’

    “পঞ্চভূমিতে মন উঠলে, কেবল ঈশ্বরের (Ramakrishna) কথাই শুনতে ইচ্ছা হয়। এখানে বিশুদ্ধচক্র। ষষ্ঠভূমি আর আজ্ঞাচক্র এক। সেখানে মন গেলে ঈশ্বরদর্শন হয়। কিন্তু যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো—ছুঁতে পারে না, মাঝে কাচ ব্যবধান আছে বলে।

    “জনক রাজা পঞ্চভূমি থেকে ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিতেন। তিনি কখনও পঞ্চমভূমি, কখনও ষষ্ঠভূমিতে থাকতেন।

    “ষড়চক্র ভেদের পর সপ্তমভূমি। মন সেখানে গেলে মনের লয় হয়। জীবাত্মা পরমাত্মা (Kathamrita) এক হয়ে যায়—সমাধি হয়। দেহবুদ্ধি চলে যায়, বাহ্যশূন্য হয়; নানা জ্ঞান চলে যায়; বিচার বন্ধ হয়ে যায়।

    “ত্রৈলঙ্গ স্বামী বলেছিল, বিচারে অনেক বোধ হচ্ছে; নানা বোধ হচ্ছে। সমাধির পর শেষে একুশদিনে মৃত্যু হয়।

    “কিন্তু কুলকুণ্ডলিনী জাগরণ না হলে চৈতন্য হয় না!”

    ঈশ্বরদর্শনের লক্ষণ 

    “যে ঈশ্বরলাভ (Kathamrita)  করেছে, তার লক্ষণ আছে। সে হয়ে যায়—বালকবৎ, উন্মাদবৎ, জড়বৎ, পিশাচবৎ। আর তার ঠিক বোধ হয় ‘আমি যন্ত্র আর তিনি যন্ত্রী; তিনিই কর্তা, আর সকলেই অকর্তা।’ শিখরা যেমন বলেছিল, পাতাটি নড়ছে সেও ঈশ্বরের ইচ্ছা। রামের ইচ্ছাতেই সব হচ্ছে—এই বোধ। তাঁতী যেমন বলেছিল, রামের ইচ্ছাতেই কাপড়ের দাম এক টাকা ছয় আনা, রামের ইচ্ছাতেই ডাকাতি হল; রামের ইচ্ছাতেই ডাকাত ধরা পড়ল। রামের ইচ্ছাতেই আমাকে পুলিশে নিয়ে গেল, আবার রামের ইচ্ছাতেই আমাকে ছেড়ে দিল।”

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ঠাকুর একবারও বিশ্রাম করেন নাই। ভক্তসঙ্গে অবিশ্রান্ত হরিকথা হইতেছে। এইবার মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তেরা ও অন্যান্য ভক্তেরা তাঁহাকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া, ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna)  ঠাকুরদের দর্শন করিয়া নিজ নিজ স্থানে প্রত্যাগমন করিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share