Author: user

  • Syrian President: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে!

    Syrian President: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে (Syrian President)! আস্ত বিমান-সহ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন তিনি (Plane Crash)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, হত্যা করা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে। গৃহযুদ্ধের জেরে অশান্ত গোটা দেশ। তার জেরে পতন হয়েছে সিরিয়া সরকারের। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-হাসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন, এর কোনও তথ্য মেলেনি। তাঁর বিমান র‌্যাডারের বাইরে চলে যায়। এর পরেই রয়টার্স দাবি করে, হত্যা করা হয়েছে প্রেসিডেন্টকে।

    ফ্লাইট র‌্যাডারের তথ্য (Syrian President)

    ফ্লাইট র‌্যাডারের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠনের কিছু সদস্য দামাসকাস বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার একটি বিমান নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেই বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্টকেও। বিমান নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সিরিয়ার উপকূল অঞ্চলের দিকে। আচমকাই ইউটার্ন নেয় বিমান। আর র‌্যাডারে ধরা পড়েনি বিমানের অস্তিত্ব। বিমান অদৃশ্য হতেই ছড়ায় জল্পনা। সংবাদ সংস্থার দাবি, সিরিয়ার দুটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, হঠাৎ করে বিমানকে র‌্যাডারের বাইরে নিয়ে যাওয়ায় জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

    দামাসকাসে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা

    শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু বিদেশ গণ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। রবিবার সকালেই দামাসকাসে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। তার পরেই খবর ছড়ায় রাজধানী ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল ইজ্জার যৌথবাহিনী (Syrian President)। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান প্রেসিডেন্ট। অনেকের দাবি, গুলি করে নামানো হয় প্রেসিডেন্টের বিমান। তবে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি প্রেসিডেন্টের তরফে কিংবা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তরফে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    এদিকে, দামাসকাসকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করল সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এদিনই সকালে রাজধানীতে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীরা। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি জালালিও (Plane Crash) জানান, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত (Syrian President)।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura Hotels: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    Tripura Hotels: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছেই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশিদের জন্য বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দিল অল ত্রিপুরা হোটেল (Tripura Hotels) অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। সমিতির তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতির অফিস সেক্রেটারি ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, “২ ডিসেম্বর আমরা আমাদের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এদিন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কোনও হোটেলে পরিষবা সেবা উপলব্ধ থাকবে না। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রতি একটি কঠোর প্রতিক্রিয়া।

    রেস্তরাঁ মালিক সমিতির ঘোষণা (Tripura Hotels)

    অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতির ঘোষণা, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে সেবা প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বাড়তে থাকা নির্যাতনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি বলেন, “এহেন সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি দেখানো অসম্মান। বাংলাদেশের হাই কমিশনকে ঘিরে ঘটনার ঘটনাও এই সিদ্ধান্ত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন (Tripura Hotels) করেছে।”

    বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা

    তিনি বলেন, “আর একটি কারণ হল এখানে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যা কোনও বাংলাদেশি অতিথির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার হোটেল মালিকের ওপর পড়বে। এমন জটিলতা এড়ানোর জন্য, আমরা চলতি মাসের ২ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর দেব না।”
    তিনি বলেন, “২ ডিসেম্বরের আগে যারা এখানে চেক-ইন করেছেন, তাঁরা থাকতে পারবেন। কিন্তু আমরা নতুন করে আর বুকিং নেব না। এও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যদি কেউ চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-সহ জরুরি পরিস্থিতিতে আসে, তাহলে তাদের ঘর দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হিংসা বাড়ছে। শুক্রবার ও শনিবারের মাঝে রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরে। এসব কারণে বাংলাদেশিদের (Bangladeshi Citizens) জন্য দ্বার বন্ধ হয়ে গেল ত্রিপুরার হোটেলে (Tripura Hotels)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “কলকাতা দখল কি হাতের মোয়া? পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা ভারতে”, মৌলবাদীদের তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল প্রাপক মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে সাড়া বাংলাদেশ (Bangladesh) এখন অশান্তির বাতাবরণে আচ্ছন্ন। প্রতিদিন সেখানে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন—অত্যাচার, লুট, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, খুন, দোকান লুটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইনের কোনও শাসন নেই। পুলিশ এবং সেনা হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পাল্টা ভারতের মানুষ হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হলে বাংলাদেশের মৌলবাদী জেহাদিরা ভারতের উপর আক্রমণ করার হুমকি দিতে শুরু করে। গোটা বাংলাদেশে কট্টরপন্থী জেহাদিরা যেমন দাপাদাপি করছে, সেই সঙ্গে আগামী চার দিনের মধ্যে ভারত দখল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তীব্র তোপ দেগেছেন মৌলবাদীদের। তিনি ভারতীয় সেনার ব্যাপক প্রশংসা করে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    যারা হুমকি দিচ্ছে তারা কোনও সরকারি পদে নেই (Sukanta Majumdar)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বাংলাদেশের হিন্দু নিধন নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন। মহম্মদ ইউনূস যে পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন তা প্রথমেই বলেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশি হিন্দুরা যাচ্ছে সেটা আমাদের জন্য হৃদয় বিদারক। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা হুমকি দিচ্ছে তারা কোনও সরকারি পদে নেই। ফলে তাদের কোনও ক্ষমতাও নেই। চারদিনে কলকাতা দখল করার কথা বলছে! এটা কি হাতের মোয়া? কিছুই বোঝে না ওরা। বাংলাদেশ সেনার জন্য কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট। তারাই আটকে দেবে ওদের।”

    ইসলামের ধর্মান্ধতা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে, উদাহরণ বাংলাদেশ

    একইভাবে ভারতীয় সেনারা যথেষ্ট সক্ষম, তাই বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত আরও (Sukanta Majumdar) বলেন, “ভারতের সৈন্যশক্তি সম্পর্কে ওদের কোনও আইডিয়া নেই। পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা রয়েছে ভারতের হাতে। তবে ইসলামের ধর্মান্ধতা কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে তার উদাহরণ বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরও সচেতন হওয়া দরকার।” উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ ভারত দখলের স্লোগান দিয়ে বলেছিলেন, “আমরা ইন্ডিয়ার কলকাতা, আগরতলা এবং সেভেন সিস্টার্স দখল করব। আমরা ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ দু’ দেশের মানচিত্রই নতুন করে আঁকব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এই মেলাই হতে চলেছে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের উৎস (Economic Growth)। রাজ্য জীবিকা মিশনের অধীনে গ্রামীণ অঞ্চলের স্ব-সহায়ক গ্রুপগুলির মহিলাকে মহাকুম্ভ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল এবং দোকান বরাদ্দ করা হবে।

    গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন (Mahakumbh 2025)

    রাজ্য জীবিকা মিশনের দ্বারা পরিকল্পিত পুরো পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে লক্ষ্য রেখে করা হয়েছে। মাঘ মেলা, কুম্ভ মেলা বা মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানগুলি লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। এই সব আচার-অনুষ্ঠানে খাবার, স্ন্যাকস ও গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। এই মিশনের লক্ষ্য গ্রামীণ মহিলাদের মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা।

    ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব

    ডেপুটি কমিশনার এনআরএলএম রাজীব কুমার সিং জানান, পরিকল্পনাটির মধ্যে মহিলাদের মেলা প্রাঙ্গণে পাঁচটি ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কুম্ভ মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে এই মহিলাদের জন্য প্রতিটি সেক্টরে ১০টি করে দোকান বরাদ্দ করার একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেলার সরস হাট সেকশনে ৪০টিরও বেশি দোকান রয়েছে। এই উদ্যোগটি ৫,০০০-এরও বেশি গ্রামীণ মহিলার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) গ্রামীণ মহিলাদের তৈরি স্টল এবং দোকানে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের ব্র্যান্ডিংকে প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে, যা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রাম্য রাস্তায় এর পরিচিতি ছড়িয়ে দেবে।”

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    উপজেলা কমিশনার রাজীব কুমার সিংয়ের মতে, এই স্টলগুলিতে বিভিন্ন ধরণের বহুমুখী পণ্য থাকবে। মহাকুম্ভের সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান সহ মাফলার তৈরি করা হচ্ছে যাতে উষ্ণতা বজায় থাকে। তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা সেলফি ক্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যা শীত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সেলফির জন্য স্টাইলিশ টাচ প্রদান করবে।”

    একলব্য আজীবিকা মহিলা সমূহের তরফে নেহা নিশাদ বলেন, আমার গ্রুপের মহিলারা এই পণ্যগুলো তৈরি করছেন। প্রতিটি (Economic Growth) পণ্যে কুম্ভের লোগো থাকবে। প্রসাদের জন্য প্রস্তুত করা ঝুড়িগুলিতে রাখা অঙ্গবস্ত্রেও মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান থাকবে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 213: “গুরুর কৃপা হলে আর কোন ভয় নাই! তিনি জানিয়ে দেবেন, তুমি কে, তোমার স্বরূপ কি”

    Ramakrishna 213: “গুরুর কৃপা হলে আর কোন ভয় নাই! তিনি জানিয়ে দেবেন, তুমি কে, তোমার স্বরূপ কি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”

    গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপদর্শন—ঠাকুরের অভয়দান 

    এইবার ঠাকুর ভক্তদের অভয় (Kathamrita) দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব। গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই। একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল। লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল। বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগল। তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায়। তারাও “ভ্যা ভ্যা” করে, সেও “ভ্যা ভ্যা” করে। ক্রমে ছানাটা খুব বড় হল। একদিন ওই ছাগলের পালে আর-একটা বাঘ এসে পড়ল। সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক্‌! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে। সেটাও “ভ্যা ভ্যা” করতে লাগলে। তাকে টেনে হিঁচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল। বললে, “দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ—ঠিক আমার মতো দেখ। আর এই নে খানিকটা মাংস—এইটে খা।” এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগল। সে কোন মতে খাবে না—“ভ্যা ভ্যা” করছিল। রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে। নূতন বাঘটা বললে, “এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয়।”

    “তাই গুরুর কৃপা হলে আর কোন ভয় নাই! তিনি জানিয়ে দেবেন, তুমি কে, তোমার (Ramakrishna) স্বরূপ কি।

    “একটু সাধন করলেই গুরু বুঝিয়ে দেন, এই এই। তখন সে নিজেই বুঝতে পারবে, কোন্‌টা সৎ, কোন্‌টা অসৎ। ঈশ্বরই সত্য, এ-সংসার অনিত্য।”

    কপট সাধনাও ভাল—জীবন্মুক্ত সংসারে থাকতে পারে 

    “এক জেলে রাত্রে এক বাগানে জাল ফেলে মাছ চুরি করছিল। গৃহস্থ জানতে পেরে, তাকে লোকজন দিয়ে ঘিরে ফেললে। মশাল-টশাল নিয়ে চোরকে খুঁজতে এল। এদিকে জেলেটা খানিকটা ছাই মেখে, একটা গাছতলায় সাধু হয়ে বসে আছে। ওরা অনেক খুঁজে দেখে, জেলে-টেলে কেউ নেই, কেবল গাছতলায় একটি সাধু ভস্মমাখা ধ্যানস্থ। পরদিন পাড়ায় খবর হল, একজন ভারী সাধু ওদের বাগানে এসেছে। এই যত লোক ফল ফুল সন্দেশ মিষ্টান্ন দিয়ে সাধুকে প্রণাম করতে এল। অনেক টাকা-পয়সাও সাধুর সামনে পড়তে লাগল। জেলেটা ভাবল কি অশ্চর্য! আমি সত্যকার সাধু নই, তবু আমার উপর লোকের এত ভক্তি। তবে সত্যকার সাধু হলে নিশ্চয়ই ভগবানকে পাব, সন্দেহ নাই।

    “কপট সাধনাতেই এতদূর চৈতন্য হল। সত্য সাধন হলে তো কথাই নাই। কোন্‌টা সৎ কোন্‌টা অসৎ বুঝতে (Kathamrita) পারবে। ঈশ্বরই সত্য, সংসার অনিত্য।”

    একজন ভক্ত ভাবিতেছেন, সংসার অনিত্য? জেলেটো তো সংসারত্যাগ করে গেল। তবে যারা সংসারে আছে, তাদের কি হবে? তাদের কি ত্যাগ করতে হবে? শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)  অহেতুক কৃপাসিন্ধু—অমনি বলিতেছেন (Kathamrita), “যদি কেরানিকে জেলে দেয়, সে জেল খাটে বটে, কিন্তু যখন জেল থেকে তাকে ছেড়ে দেয়, তখন সে কি রাস্তায় এসে ধেই ধেই করে নেচে বেড়াবে? সে আবার কেরানিগিরি জুটিয়ে লেয়, সেই আগেকার কাজই করে। গুরুর কৃপায় জ্ঞানলাভের পরেও সংসারে জীবনন্মুক্ত হয়ে থাকা যায়।”

    এই বলিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সংসারী লোকদের অভয় দিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে ১,৩০০ কোটি টাকার সোনা-রুপো বাজেয়াপ্ত, ১৫টি মানবপাচার বিরোধী ইউনিট গঠন

    BSF: সীমান্তে ১,৩০০ কোটি টাকার সোনা-রুপো বাজেয়াপ্ত, ১৫টি মানবপাচার বিরোধী ইউনিট গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সোনা ও রুপোর চোরাচালান ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর অক্টোবর মাসের শেষে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা মূল্যের এই মূল্যবান ধাতু আটক করেছে বিএসএফ (BSF)।

    আটক সোনা-রুপো (BSF)

    বিএসএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাহিনী ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত (India Bangladesh Border) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ১৭২.৮২৮ কেজি সোনা ও ১৭৮.৮০৫ কেজি রুপো আটক করা হয়েছে। গত বছর এই সময় আটক করা হয়েছিল ১৬৩.৩২৫ কেজি সোনা। এছাড়াও, বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১১,৮৬৬.৭৮৮ কেজি মাদকদ্রব্য, ৩,২৬৫,৭০০টি জালনোট, ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭৪ রাউন্ড গোলাবারুদ আটক করেছে। বিএসএফ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তে ৪,১৬৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। ২২ জন চোরাচালানকারীকে নিউট্রিলাইজ করা হয়েছে।  

    মানবপাচার বিরোধী ইউনিট গঠন

    বার্ষিক প্রেস মিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল দলজিত সিং চৌধুরী বলেন, “বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।” তিনি বলেন, “বিএসএফ (BSF) ১৫টি মানবপাচার বিরোধী ইউনিট গঠন করেছে, যা স্থানীয় পুলিশ এবং সরকারি রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে রেলওয়ে স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডে কাজ করছে।” তিনি জানান, অতিরিক্ত জনবল, বিশেষ পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম এবং যানবাহন মোতায়েন করে নজরদারি শক্তিশালী করার জন্য বিস্তারিত দুর্বলতা মানচিত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান রোধে সহায়ক হবে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    তিনি বলেন, “ইলেকট্রনিক সার্ভেইল্যান্স অফ ভানরেবল প্যাচেস (ESVP) প্রকল্পের অধীনে, সিসিটিভি এবং পিটিজি ক্যামেরা, আইআর সেন্সর এবং ইনফ্রারেড এলার্ম-সহ কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেম সজ্জিত সমন্বিত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুর্বল এলাকাগুলিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে।”

    ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “অনুপ্রবেশের অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে, সন্দেহভাজন রুটগুলিতে নজরদারি করা হচ্ছে এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক ও যোগাযোগের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “রাতের সময় বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক গাড়ি প্যাট্রোলিংও করা হয়, মোবাইল চেকপোস্ট স্থাপন করা হয় গভীর এলাকায় (India Bangladesh Border) এবং সংযোগ পয়েন্টগুলিতে (BSF)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানে বিরোধীদের সব সময়েই প্রশ্নবাণে কাত করে থাকেন তিনি, এবার হাঁটছেন র‍্যাম্পে (Ramp Walking)! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) র‍্যাম্পে হেঁটে নজর কেড়ে নিলেন দর্শকদের। কোনও প্রফেশনাল মডেল না হয়েও এদিন তাঁর হাঁটা এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। প্রসঙ্গত তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দুই মন্ত্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্য এবং স্টাইলিশ জ্যাকেট পরে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বস্ত্রশিল্প এবং জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত পণ্যগুলিকে প্রদর্শনের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছিল এদিন।

    সাদা রঙের ব্লেজার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যের সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় এক বিশেষ চরিত্র। তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে তোষণ, সব অপকর্মের তীব্র সমালোচক তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব এবং সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে তাঁর কর্মজীবন দারুণ ভাবে ব্যস্তময়। শনিবার নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবে ফ্যাশন শো (Ramp Walking)-তেই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী র‍্যাম্পে হাঁটলেন। সুকান্তর এদিন পরনে পোশাক ছিল হালকা সাদা রঙের ব্লেজার, উপরে রুপলি সুতোর কাজ, গলায় লম্বা স্কার্ফ।

    “সুকান্তবাবুর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে গর্বিত”

    ভারতের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এই ফ্যাশন শোয়ের (Ramp Walking) আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে সামিল এবং র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতার কথা বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য (Sukanta Majumdar) সিন্ধিয়া বলেন, “সত্যই এই শো ভারতীয় সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবনের একটি আদর্শ বিনিময়ের মাধ্যম। উত্তর-পূর্ব ভারতের পরম্পরাকে তুলে ধরতে ফ্যাশনের মাধ্যমে তুলে ধরতে দারুণ সময় কাটল। প্রত্যেক রাজ্যের নিজেস্ব শিল্পকে শিল্পীরা নিজের মতো করে তুলে ধরেছেন। আমার সহকর্মী সুকান্তবাবুর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে গর্বিত।” বিশ্বের দরবারে ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কারুশিল্প তুলে ধরার প্রয়াস ছিল এই উৎসব। অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজ়োরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সৌন্দর্য ও বৈচিত্রকে প্রদর্শিত করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ সাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ, রাজ্যে শীত উধাও হওয়ার পথে, ফের বৃষ্টির ইঙ্গিত

    উদ্বোধনী ভাষণ দেন মোদি

    নরেন্দ্র মোদি এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “গত এক দশকে আমরা উত্তর-পূর্বে ভারতের উন্নয়নের যাত্রা দ্রুত লক্ষ্য করেছি। তবে এই যাত্রা খুব সহজ ছিল না। রাজ্যগুলিকে ভারতের উন্নয়নে সামিল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি, শিলং, ইম্ফল, ইটানগর এবং আইজলেও উন্নয়নের মডেল প্রতিফলিত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কংগ্রেস আমলের থেকে মোদি জমানায় রেল দুর্ঘটনা অনেক কমেছে, তথ্য দিয়ে দাবি রেল মন্ত্রকের

    Indian Railways: কংগ্রেস আমলের থেকে মোদি জমানায় রেল দুর্ঘটনা অনেক কমেছে, তথ্য দিয়ে দাবি রেল মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে রেল (Indian Railways) দুর্ঘটনা ৬০ শতাংশ কমেছে। রাজ্যসভায় এই মর্মে বিশেষ রিপোর্ট জমা পড়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্ঘটনা (Accident) রুখতে গত ১০ বছরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার। গত কয়েক দশকের কংগ্রেস শাসিত সরকারের তুলনায় নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত সরকার রেলের যে অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটিয়েছে, তা রাজনীতির অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন।

    ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত ৩৬২ জন(Indian Railways)

    রাজ্যসভায় রেল দুর্ঘটনার (Accident) বিস্তৃত জবাব দিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক (Indian Railways)। সেখানে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সারা ভারতে মোট ১৫২টি গুরুতর রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৬২ জনের এবং মোট আহতদের সংখ্যা ৯৫৮ জন। নিহতদের মধ্যে রেল বিভাগের মোট কর্মচারী রয়েছেন ১১ জন। এই সব দুর্ঘটনাকে মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে আগের থেকে রেল দুর্ঘটনা অনেক পরিমাণে কমে গিয়েছে।

    ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪০টি

    একই সঙ্গে তথ্য দিয়ে রেল মন্ত্রক (Indian Railways) জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে সারা দেশে রেল বিপত্তির ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে ১৩৫টি। অপর দিকে ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে মোট রেল দুর্ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে মাত্র ৪০টি। একই ভাবে রেলের ব্যবস্থা যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেই বিষয়ও জানানো হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে, রেললাইন, রেলের কামরায় নানা সমস্যার কথা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।

    আরও পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    নিরাপদ যাত্রায় রেল বদ্ধপরিকর

    প্রসঙ্গত, রেলের (Indian Railways) গত কয়েক মাসে রেল দুর্ঘটনার (Accident) পিছনে যে রেল জেহাদিদের একটা ষড়যন্ত্রের কৌশল রয়েছে, তা উপেক্ষার নয়। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপূর্ব ভারতে নানা সময় পাথর, ইট, লোহা, গ্যাসের সিলিন্ডার, লাইনের তার-সহ একাধিক উপাদান দিয়ে বড়সড় নাশকতার ছক বাঞ্চালের তথ্য উঠে এসেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিকে কাটিয়ে বন্দে ভারত, বন্দে ভারত স্লিপার, কবচ ৫.০, হাই স্পিড ট্রেন, বুলেট, হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন-সহ আধুনিক ট্রেনের খবর প্রতিনিয়ত আসছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সময় ও দূরত্বকে কমিয়ে রেলকে আরও অত্যাধুনিক এবং নিরাপদ যাত্রার পরিষেবা দিতে ভারত সরকার যে বদ্ধপরিকর, সেই বিষয়েও জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    Amit Shah: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস উপলক্ষে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেশবাসীকে সশস্ত্র বাহিনী (Armed Forces) পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আহ্বানও জানান।

    কী লিখলেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবসে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অমর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাদের বীরত্ব ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে, আমাদের শহিদরা জাতির সম্মান রক্ষা করতে সর্বোচ্চ ত্যাগের অমর কাহিনি সৃষ্টি করেছেন।” তিনি লেখেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের পরিবারের কল্যাণের জন্য সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস তহবিলে অবদান রাখার জন্য সবার প্রতি আমার আবেদন।” এই উপলক্ষে, সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ ও পুনর্বাসন, গুজরাট রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে একটি ক্ষুদ্র পতাকা দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “আমাকে ক্ষুদ্র পতাকা দিয়ে সংবর্ধিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ ও পুনর্বাসন, গুজরাট রাজ্যের প্রতিনিধিদলকে হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই।”

    মোদির শ্রদ্ধা

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহসী সৈনিকদের প্রতি (Amit Shah) শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মানুষকে সশস্ত্র বাহিনী ফ্ল্যাগ ডে তহবিলে দান করার আহ্বান জানান। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, “সশস্ত্র বাহিনী ফ্ল্যাগ ডে আমাদের সাহসী সৈনিকদের বীরত্ব, দৃঢ়সংকল্প এবং ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তাঁদের বীরত্ব আমাদের অনুপ্রাণিত করে, তাঁদের ত্যাগ আমাদের বিনম্র করে এবং তাঁদের নিবেদন আমাদের সুরক্ষিত রাখে। আসুন, আমরা সশস্ত্র বাহিনী ফ্ল্যাগ ডে তহবিলে দান করি।”

    আরও পড়ুন: “ভারতকে টুকরো টুকরো করব, মানচিত্র বদলে দেবো”, মিছিল করে ঢাকায় বেলাগাম স্লোগান

    শনিবার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীও সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পোস্টে লেখা হয়েছে, “সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবসের প্রাক্কালে, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস তহবিলে অনুদান দেন। কেন্দ্রীয় সেনিক বোর্ডের সচিব সিওএএসের ওপর সশস্ত্র বাহিনী পতাকা পরিয়ে দেন।” প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও জনগণকে ওই তহবিলে উদারভাবে (Armed Forces) দান করার আহ্বান জানান (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: বিএপিএসের স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস, যা ভোলার নয়, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বিএপিএসের স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস, যা ভোলার নয়, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বোচাসনবাসি শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ” (বিএপিএস) সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা (Religious Groups Volunteers) তাঁদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছেন।” শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতীয় সংস্কৃতিতে সেবাকে সবচেয়ে বড় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিরও উল্লেখ করেন তিনি।

    অনুপ্রেরণার উৎস (PM Modi)

    এদিন আমেদাবাদে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কার্যকার সুবর্ণ মহোৎসবে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিএপিএসের স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষকে ক্ষমতায়িত করছেন, যা মানুষের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস।” তিনি মনে করিয়ে দেন, ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনা ছাত্রদের সহায়তায় বিএপিএসের উদ্যোগগুলি উল্লেখযোগ্য ছিল।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ বাড়তে শুরু করেছিল, তখন ভারত সরকার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরে, বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পোল্যান্ডে পৌঁছাতে শুরু করে। কিন্তু যুদ্ধের পরিবেশে পোল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য সর্বোচ্চ সাহায্য কীভাবে প্রদান করা যায়, তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।” তিনি বলেন, “সেই সময় আমি বিএপিএসের একজন সাধুর সঙ্গে কথা বলি এবং আমি মনে করি এটা রাত ১২ বা ১টা ছিল। আমি তাঁকে অনুরোধ করি যে, পোল্যান্ডে পৌঁছানো বিপুল সংখ্যক ভারতীয়কে সাহায্য করার জন্য আপনার সমর্থন প্রয়োজন এবং আমি দেখেছি কীভাবে আপনার সংস্থা সারা ইউরোপের বিএপিএস কর্মীদের একরাতে একত্রিত করেছিল।”

    আরও পড়ুন: “ভারতকে টুকরো টুকরো করব, মানচিত্র বদলে দেবো”, মিছিল করে ঢাকায় বেলাগাম স্লোগান

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে সেবা সর্বোচ্চ ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শুধুমাত্র কথার কথা নয়, বরং এটি জীবনের একটি মূল্যবোধ।” তিনি বলেন, “আমি আনন্দিত যে হাজার হাজার বিএপিএস স্বেচ্ছাসেবক নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা কার্যক্রমে নিযুক্ত রয়েছেন, যা কোনও সংগঠনের জন্য একটি বড় পাওনা। আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই এবং আমার শুভকামনা জানাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএপিএস স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছেন। গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষদের ক্ষমতায়িত করছেন (Religious Groups Volunteers)। এটি আপনাদের অনুপ্রেরণার, সম্মানের এবং গভীর শ্রদ্ধার এক উৎস করে তুলেছে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share