Author: user

  • India and Italy: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি

    India and Italy: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে উদ্যোগী ভারত ও ইটালি (India and Italy)। দুই দেশই একটি নয়া কটন রুট (Cotton Route) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই রুট ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। মুম্বইয়ে এই ঘোষণা করেন ইটালির বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যাডলফো উরসো। তাঁর আশা, ইটালি ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠবে।

    প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (India and Italy)

    তিনি জানান, ইটালি তার প্রতিরক্ষা বাজেট ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা, ট্যাংক, সাবমেরিন এবং মহাকাশ প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উরসো বিশ্বাস করেন, ইটালির প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভারত সাহায্য করতে পারে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দুই দেশের মহাকাশ সংস্থাগুলোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে (India and Italy)।

    মেইড ইন ইটালি

    ইটালির বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ইটালি মেইড ইন ইটালি ২০৩০ শিল্প পরিকল্পনা শুরু করছে, যা খাদ্য, ফ্যাশন এবং টেক্সটাইলের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলিকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। নতুন ফোকাস এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস, এয়ারোস্পেস, মেরিন ইন্ডাস্ট্রি এবং উচ্চ-প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। তিনি মনে করেন, এই খাতে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

    উরসো ভারতকে ইটালিয়ান কোম্পানিগুলির জন্য এশিয়ান বাজারে প্রবেশের একটি গেটওয়ে হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে, ইটালি ইউরোপের বাজার লক্ষ্য করা ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। জানা গিয়েছে, গত বছর ভারত ও ইটালির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইটালি ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাণিজ্য সহযোগী হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। এই প্রবৃদ্ধির জন্য লজিস্টিকস এবং বন্দর পরিকাঠামোর উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প অংশীদারিত্বের বিকাশও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    প্রসঙ্গত, বর্তমান সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ভারতের লোহা ও ইস্পাত শিল্পে ইটালির বিনিয়োগ। ভারতের মেশিন টুলস এবং কৃষি খাতে ইটালির বিনিয়োগও প্রবাহিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ অনুসন্ধান এবং সামুদ্রিক শিল্পে (Cotton Route) সুযোগের প্রত্যাশাও করা হচ্ছে (India and Italy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”

    আহারের পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিতেছেন। গাঢ় নিদ্রা নয়, তন্দ্রার ন্যায়। শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক (পুরাতন ব্রহ্মজ্ঞানী) আসিয়া ঠাকুরকে (Ramakrishna) প্রণাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তখনও শুইয়া আছেন। মণিলাল এক-একটি কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের অর্ধনিদ্রা অর্ধজাগরণ অবস্থা। এক-একবার উত্তর দিতেছেন (Kathamrita)।

    মণিলাল—শিবনাথ নিত্যগোপালকে সুখ্যাতি করেন। বলেন, বেশ অবস্থা।

    ঠাকুর তখনও শুইয়া—চক্ষে যেন নিদ্রা আছে। জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাজরাকে ওরা কি বলে?” ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। মণিলালকে ভবনাথের ভক্তির কথা বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আহা, তার কি ভাব! গান না করতে করতে চক্ষে জল আসে। হরিশকে দেখে একেবারে ভাব। বলে, এরা বেশ আছে। হরিশ বাড়ি ছেড়ে এখানে মাঝে মাঝে থাকে কিনা।

    মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “আচ্ছা ভক্তির কারণ কি? ভবনাথ এ-সব ছোকরার কেন উদ্দীপন হয়?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জানো? মানুষ সব দেখতে একরকম, কিন্তু কারুর ভিতর ক্ষীরের পোর! যেমন পুলির ভিতর কলাইয়ের ডালের পোরও থাকতে পারে, ক্ষীরের পোরও থাকতে পারে, কিন্তু দেখতে একরকম। ঈশ্বর জানবার ইচ্ছা, তাঁর উপর প্রেমভক্তি — এরই নাম ক্ষীরের পোর।

    গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপদর্শন—ঠাকুরের অভয়দান 

    এইবার ঠাকুর ভক্তদের অভয় দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব। গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই। একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল। লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল। বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগল। তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায়। তারাও “ভ্যা ভ্যা” করে, সেও “ভ্যা ভ্যা” করে (Kathamrita)। ক্রমে ছানাটা খুব বড় হল। একদিন ওই ছাগলের পালে আর-একটা বাঘ এসে পড়ল। সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক্‌! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে। সেটাও “ভ্যা ভ্যা” করতে লাগলে। তাকে টেনে হিঁচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল। বললে, “দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ—ঠিক আমার মতো দেখ। আর এই নে খানিকটা মাংস—এইটে খা।” এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগল। সে কোন মতে খাবে না—“ভ্যা ভ্যা” করছিল। রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে। নূতন বাঘটা বললে, “এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয়।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি শেয়ার বাজারে অস্থিরতা থেকে সরকারি প্রকল্পে (Post Office Schemes) টাকা বিনিয়োগ করে বেশি পরিমাণের রিটার্ন পেতে চাইছেন? তাহলে আজই পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করুন। কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়াই (Without Risk) পাবেন ৭-৮ শতাংশের বেশি সুদ। পোস্ট অফিসে এরকম আকর্ষণীয় ৮টি স্কিম রয়েছে। আসুন জেনে নেই স্কিমগুলি সম্পর্কে।

    স্কিম গুলি কী কী

    পোস্ট অফিসে (Post Office Schemes) যে ৮ প্রকার স্কিমগুলি রয়েছে তা হল-পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড), মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি), কিষাণ বিকাশ পত্র (কেভিপি) এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট (এসএসএ)। এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগকারীরা সুদের আয় থেকে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে এক বছরে ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। প্রকল্পগুলিতে সাধারণ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের অন্তর্গত।

    পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Post Office Schemes)

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ সুদ প্রদানের কাজ করে থাকে। আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ। পিপিএফ থেকে টাকা তোলার জন্য বিধিনিষেধ রয়েছে। কারণ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খোলার বছর বাদ দিয়ে পাঁচ বছর পর টাকা তুলতে পারেন। এখানে টাকা তোলার পরিমাণ নির্ভর করে চতুর্থ বছরের শেষে বা তার আগের বছরের শেষে জমার পরিমাণে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

    মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) ৭.৪ শতাংশ সুদ দেয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা৷ একটি মাসিক আয়ের অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ।

    সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখের বেশি রাখা যাবে না। ১০০০ টাকা গুণিতকে এককালীন বিনিয়োগ করা যায়।

    পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট

    এই প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা যৌথ অ্যাকাউন্টে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৪ শতাংশ করে রিটার্ন দেয়। তবে খাতা খোলার জন্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    পোস্ট অফিস রেকারিং অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৭ শতাংশ করে সুদ (Without Risk) দিয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ সর্বনিম্ন ১০০ জমা করতে পারে। তবে এখানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই।

    ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। একজন সর্বনিম্ন ১০০০ বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে অবশ্য সর্বোচ্চ জমার কোনও সীমা নেই।

    সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট

    এটি বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। একজন আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন ২৫০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ জমা করতে পারবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর বাবা সাহেব আম্বেদকরের (Dr. Ambedkar) মহাপ্রয়াণ দিবস (Mahaparinirvan Diwas)। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া রচনা করে পিছিয়ে থাকা বর্গের মানুষের অধিকার এবং কর্তব্য নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছিলেন। সামাজিক বৈষম্য, ন্যায় বিচার, জাতপাত, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন করেছিলেন। আজের দিনকে তাই সামাজিক সমতা দিবসও বলা হয়। তাঁকে পণ্ডিত নেহেরু পরিচালিত কংগ্রেস সরকার সেই মান্যতা কোনও দিন দেয়নি। তবে তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলেও, ভারতীয় সংস্কৃতিকে ত্যাগ করেননি, বৌদ্ধ ধর্মকে গ্রহণ করেছিলেন। একই ভাবে পাশ্চাত্য মার্কসবাদ এবং কমিউনিজেমের মিথ্যাচার, বৈষম্য, বিভাজন, লিঙ্গ বৈষম্যের, পুঁজিবাদ, শ্রেণী শত্রুর মতো ভাবনার বিরুদ্ধে নিজের স্পষ্ট মত রেখেছিলেন।

    ভারতীয় সভ্যতার একটা গড়ন রয়েছে (Mahaparinirvan Diwas)

    বাবা সাহেব (Mahaparinirvan Diwas) খুব নিবিড় ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে ভারতের সংস্কৃতি, সমাজতত্ত্ব, দর্শন, আধাত্মবাদকে পাশ্চাত্য ভাবনার আদলে দেখলে চলবে না। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ভূ-খণ্ডের স্থান-কাল-পাত্র এক রকম নয়। মার্কসের শ্রেণী সংগ্রাম, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, পুঁজি, উদ্বৃত্ত মূল্য, শ্রেণী শোষণের এবং দুনিয়ার মজদুর এক হও – এই সব ভাবনা দিয়ে ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতি এবং জীবন অভিপ্রায়কে বোঝা সম্ভব নয়। পুঁজিবাদকে উৎখাত করতে শ্রেণী সংগ্রাম, বিপ্লবের ভাবনা ইউরোপে কাজ করলেও ভারতবর্ষের সমাজ মনের পরিবর্তন এই ভাবে সম্ভব নয়। ভারতীয় জতি, বর্ণ, ধর্মের নানা সাংস্কৃতিক স্তরের মাত্রা রয়েছে। ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব কিছু মানদণ্ড রয়েছে তাকে নজর না রেখে পাশ্চাত্য ভাবনাকে চাপিয়ে দেওয়াকে কোনও দিন ঠিক বলে মনে করতেন না বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar)। কারণ ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব গড়ন রয়েছে। ভারতীয় সমাজের সমস্যাকে সমাধান করতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

    কমিউনিজেম সামজিক বৈষম্যের জন্মদেয়

    মার্কসবাদী তাত্ত্বিকেরা বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে সমাজের সাম্যতাকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। কিন্তু বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) মানতেন যে বৌদ্ধ ধর্মের সাম্য, করুণা, অহিংসার সঙ্গে কমিউনিজেম বা মার্কসবাদের তেমন কোনও সামঞ্জস্য নেই। কারণ মার্কসবাদ যেভাবে সামাজিক অর্থনীতি, শ্রমিক, পুঁজিবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নির্মাণ করে শ্রেণীশোষণকে হাতিয়ার করে বিপ্লববাদের জন্ম দিয়ে পরিবর্তন আনতে চায়, তাতে কতকগুলি আরও গভীর সমস্যার জন্ম দেয়। সমাজের সর্বহারা তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে এক বর্গের মানুষের সঙ্গে অপর আরেক বর্গের মানুষের মধ্যে বিরাট প্রভেদ সৃষ্টি হয়। এই আর্থিক পরিবর্তন এবং বিপ্লবের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা, সাম্য এবং করুণার কোনও সম্পর্ক নেই। কামিউনিজেম দ্বারা সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, জাতি বৈষম্য এবং আর্থিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পায়। হিংসা বাড়ে, বিপ্লবের নামে যুদ্ধ সংগ্রাম হয়। সমাধানের কোনও রাস্তা আসে না। অপর দিকে বৌদ্ধ ধর্ম অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ সামাজিক অবস্থানের কথা বলে। নির্বাণ (Mahaparinirvan Diwas) বা মুক্তি বা সংযম ব্যক্তি নির্ভর, তা ব্যক্তি থেকে সমাজের মুক্তির কথা বলে।

    আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে সাম্যবাদ

    বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) বৌদ্ধ ধর্মের প্রাসঙ্গিকতাকে ভারতের জন্য আদর্শ বলে মনে করেছিলেন। কারণ এই ধর্ম অশান্তি নয় সম্প্রীতি এবং অহিংসার কথা বেশি বলে। সামাজিক ন্যায় বিচার সহানুভূতি দিয়ে আন্তরিক কাঠামোকে নির্মাণ করা প্রয়োজন। সাম্য এবং ভাতৃত্বনীতির উপর মূল্যবোধের কাঠামোকে নির্মাণ করতে হবে। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে বলেছিলেন, “বৌদ্ধধর্ম হল একটি সর্ব শ্রেষ্ঠ উপহার, যা ভারত বিশ্ববাসীকে দিয়েছে। এই ধর্ম আমাদের শেখায় যে অসমতার নিরাময় হিংসার দ্বারা নয়, পরস্পরের মধ্যে শান্তি, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্ভব।” ফলে বৌদ্ধ ধর্মই পারে একমাত্র সামাজিক ভাবে জাতপাতের শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে। সত্যকারের সাম্যবাদী সমাজ গঠনের চাবিকাঠি ভারতীয় দর্শন এবং আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে, তার অন্বেষণ করেছেন তিনি। তাই বাবা সাহেব নির্বাণের (Mahaparinirvan Diwas) আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মার্কসবাদকে গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করেছেন ভারতীয় ধর্ম দর্শন এবং সংস্কৃতিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Border Guards: ভারতে প্রবেশ করে মন্দির নির্মাণে বাধা! বিএসএফের সক্রিয়তায় পিছু হটল বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী

    Bangladesh Border Guards: ভারতে প্রবেশ করে মন্দির নির্মাণে বাধা! বিএসএফের সক্রিয়তায় পিছু হটল বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) শ্রীভূমি জেলার সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন এবং সীমান্ত নিয়মাবলী ভেঙে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (Bangladesh Border Guards)। বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দল, কুশিয়ারি নদী পার করে শ্রীভূমি অঞ্চলের একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে আসে। মন্দিরটি কুশিয়ারি নদীর তীরে অবস্থিত। এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল, সম্প্রতি তার পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ কৃষ্ণানাথ মাল্লার উদ্যোগে, ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই মন্দিরের চূড়া নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মন্দিরটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এটি বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে।

    কেন মন্দির নির্মাণে বাধা

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজিবি দল একটি স্পিডবোটে করে কুশিয়ারি নদী পার করে এদিন মন্দিরে পৌঁছয়। তারা এসেই শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বিজিবি দাবি করে, মন্দিরের দৃশ্যমানতা বাংলাদেশের মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে, কারণ ইসলাম ধর্মে মূর্তিপূজা অনুচিত। তারা হুমকি দেয়, কাজ চলতে থাকলে গুলি করা হবে। তাদের দাবি ছিল, মন্দিরের উপস্থিতি বাংলাদেশের মুসলমানদের প্ররোচিত করবে। বিজিবির অনুপ্রবেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মন্দিরের কাছে জড়ো হতে শুরু করে এবং বাংলাদেশ (Bangladesh Border Guards) বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এরপর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর একটি দল এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা বিজিবি সদস্যদের ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়। বিএসএফ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মন্দির একটি পুরনো স্থাপনা। এর পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে। এরপর  প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে পিছু হটে বিজিবি-র ওই দল।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    ঘটনার তদন্তের নির্দেশ

    শ্রীভূমি জেলার অতিরিক্ত জেলা কমিশনার উদয় শঙ্কর দত্ত জানান, জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করছে, যা রাজ্য সেক্রেটারির কাছে পাঠানো হবে। মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না, এবং এলাকার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ও বিএসএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনা বিজিবির (Bangladesh Border Guards) আগ্রাসী মনোভাবের উদাহরণ বলে মনে করছে স্থানীয়রা। বিজিবির বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Rape) নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদলাত। সেইসঙ্গে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। ঘটনা ঘটার পর থেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো ছিল। ফলে স্থানীয় জনতা ব্যাপক ভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। এমনকী পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা পর্যন্ত করেন গ্রামবাসীরা।

    ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল (Jayanagar Rape)!

    গত ৪ অক্টোবর জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যরাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল হয়ে পড়েছিল। ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মূল অভিযুক্তের নাম মুস্তাকিন (Muslim Youth)। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে প্রথমে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয় এবং এরপর নির্মমভাবে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। শরীরে মোট ৩৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এবং রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় জনতার বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা স্থানীয় জনতার দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছিল না। পুলিশ যদি আগেই করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে হয়তো এমন পরিণতি হতো না। প্রতিবাদে মানুষের ক্ষোভের আগুনের আঁচ পড়ে থানার উপর। স্থানীয় জনতার দাবি, সবটাই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।

    আরও পড়ুনঃ ক্ষমতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী! ছেলে- আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের আবাস যোজনার তালিকায় নাম, সরব বিজেপি

    নৃশংস-বিরল ঘটনা

    মামলার রায়দানের পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নৃশংস ঘটনা (Jayanagar Rape)। বিরল ঘটনা, তাই ফাঁসির আবেদন করেছিলাম আমরা। বিচারক দোষীকে ফাঁসির সাজাই দিয়েছেন। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ফলে সন্দেহের আর কোনও অবকাশই থাকে না।” ঘটনার তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত মুসলিম যুবককে গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর তদন্ত সিট গঠন করা হয়। এরপর ২৫ দিনের মাথায় গত ৩০ অক্টোবর চার্জশিট গঠন করা হয়। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাবস্ত্য করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদের সিটের নীচে টাকার বান্ডিল! সংসদের মর্যাদার উপর আক্রমণ, কটাক্ষ নাড্ডার 

    Rajya Sabha: রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদের সিটের নীচে টাকার বান্ডিল! সংসদের মর্যাদার উপর আক্রমণ, কটাক্ষ নাড্ডার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টাকার বান্ডিল মিলল রাজ্যসভায়। শুক্রবার, সেই নিয়ে সংসদে তুমুল হইচই-এর সৃষ্টি হয়। না গিয়েছে, কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির (Abhishek Manu Singhvi) সিটের নীচ থেকে টাকার বান্ডিল মিলেছে। এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

    কী ঘটেছিল

    জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবার রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরুর পরই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান, প্রতিদিনই অধিবেশন শেষের পর রুটিন অ্যান্টি সাবোটাজ চেক হয়, তখন ২২২ সিটের নীচ থেকে নোটের বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ২২২ নম্বর সিটে বসেন তেলঙ্গানার কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর দাবি, গতকাল তিনি ১২টা ৫৭ মিনিটে রাজ্যসভায় এসেছিলেন। ১টার সময় সংসদের ক্যান্টিনে যান। সেখানে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ছিলেন। অভিষেক মনু সিংভির দাবি, তাঁর পকেটে একটি মাত্র ৫০০ টাকার নোট ছিল।

    তদন্তের দাবি

    কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে জানা না গেলেও, টাকা উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে আজ তুমুল শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যসভায়। কংগ্রেস সাংসদরা সংসদে চেয়ারম্যান ধনখরের এই দাবির প্রতিবাদ করেন। এবিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বক্তব্য, ‘ঘটনা গুরুতর। এই ঘটনায় সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই মর্মে যথাযথ তদন্ত হবে।’ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত যথাযথ তদন্ত হচ্ছে কারও নামে কিছু বলা উচিত নয়।’বিজেপি-র আরও এক সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘বেঞ্চের নীচে নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত করে দেখা উচিত। উপরাষ্ট্রপতি এই মর্মে ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতার আসনের নীচে কী ভাবে এত টাকা এল, আমরা সকলেই হতবাক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajya Sabha: বদলে গেল ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইন, রাজ্যসভায় পাশ বায়ুযান বিদ্যায়ক বিল

    Rajya Sabha: বদলে গেল ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইন, রাজ্যসভায় পাশ বায়ুযান বিদ্যায়ক বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক-২০২৪ বিল (Bharatiya Vayuyan Vidheyak) পাশ করানো হল। প্রসঙ্গত, ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইনকেই বদল করা হল, এই নয়া বিলের মাধ্যমে। আগের আইনটি ছিল ১৯৩৪ সালের। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ হয়েছিল লোকসভায়। ইতিমধ্যে ইন্ডি জোটের নেতারা রাজ্যসভায় দাবি করতে থাকেন যে বিলটির নাম ইংরেজি থেকে হিন্দিতে বদল করা হয়েছে। এতে নাকি অনেক অসুবিধা হতে পারে। তবে নিজের ভাষণে বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী।

    বিরোধীদের জবাব দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী

    বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু রাজ্য রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন রাখতেই নামটি হিন্দিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধু নামেই বদল হয়েছে। সাংবিধানিক কোনও নিয়মের বদল হয়নি।’’ তিনি নিজের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘প্রথম দিকে হিন্দি বিলের নাম উচ্চারণ করা কঠিন হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে সেই নাম উচ্চারণ করতে করতে আমরা সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠব। অনেকেই হিন্দি নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা বোধ করেন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এতে লজ্জাবোধ করার কিছু নেই। হিন্দিতে পুরনো বিলের নামকরণের উদ্দেশ্য আমাদের একটাই যে ভারতের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো।’’

    আমরা যেকোনও ঔপনিবেশিক ছাপকে মুছে ফেলতে চাই

    এদিন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী (Rajya Sabha)  আরও বলেন, ‘‘আমরা যেকোনও ঔপনিবেশিক ছাপকে মুছে ফেলতে চাই এবং ভারতবর্ষের প্রকৃত সংস্কৃতির প্রতিফলন আমরা ঘটাতে চাই। ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক শব্দ সকল ভাষার মিশ্রণ। আমি নিজে একজন তেলেগুভাষী এবং আমি আমার ভাষা নিয়ে গর্ব বোধ করি। তা সত্ত্বেও আমি হিন্দি নামকে সমর্থন করি। কারণ ভারতকে তেলেগু ভাষাতেও ভারতই বলা হয়। জানা গিয়েছে ১৯৩৪ সালে পাশ হওয়া আইনটি পরবর্তীকালে ২১ বার সংশোধন করা হয়েছে। তাই ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক আইন, ১৯৩৪ সালের বিমান আইনকে সরাসরি প্রতিস্থাপন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 07 december 2024: প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 december 2024: প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যার সম্ভাবনা।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) ধর্মালোচনায় মন দিতে পারলে শান্তি পাবেন।

    ২) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    ধনু

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মকর

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ধর্মালোচনায় মন দিতে পারলে শান্তি পাবেন।

    ২) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    মীন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PMAY: ক্ষমতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী! ছেলে- আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের আবাস যোজনার তালিকায় নাম, সরব বিজেপি

    PMAY: ক্ষমতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী! ছেলে- আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের আবাস যোজনার তালিকায় নাম, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁচা বাড়ি থাকলেও আবাসের তালিকায় নাম নেই গ্রামের অনেকেরই, অথচ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁর ছেলে সহ পরিবার ও আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) তালিকায় নাম রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারি কৌতলা গ্রামে। বিষয়টি জানা জানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?(PMAY)

    তৃণমূলের ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মমতাজ বিবি মিস্ত্রির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, আবাসের তালিকায় পঞ্চায়েত সদস্যার নিজের পুত্রসহ পরিবার ও আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের নাম আবাস (PMAY) তালিকায় রয়েছে। অথচ তাদের প্রত্যেকের পাকা বাড়ি রয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি ও আই এস এফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়, প্রত্যেকটি জায়গায় তৃণমূল নেতারা স্বজন পোষণ করেছেন। প্রশাসন অবিলম্বে সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    পঞ্চায়েত সদস্য কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য মমতাজ বিবি বলেন, “আমি কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত সদস্যা হয়েছি। কিন্তু, যখন আবাসের (PMAY) তালিকা তৈরি করা হয়. তখন আমাদের মাটির বাড়ি ছিল। পরে, পাকা বাড়ি হয়েছে। প্রশাসন সার্ভে করছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।” তবে প্রশ্ন উঠছে যখন তিনি জানতে পারলেন তার পাকা বাড়ি এসেছে, তখন কেন নিজের থেকে ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেন না।

    আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    বিজেপি নেতা কৃত্তিবাস সর্দার বলেন, আবাসের (PMAY) তালিকা নিয়ে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে। যদি পঞ্চায়েত সদস্যাই ৯ খানা বাড়ি পান, তাহলে সাধারণ উপভোক্তারা কি আর বাড়ি পাবে? এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামব। আইএসএফের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লা বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমরা বারে বারে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারপরেও কাজ হয়নি। এবারে কাজ না হলে বিডিও অফিস ঘেরাও করব।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পে

LinkedIn
Share