Author: user

  • Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে নকল টাকা ছড়ানোর চক্রান্ত ভেস্তে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, এটিএস প্রয়াগরাজ এলাকার কাছে সারনাথ থেকে সুলেমান ও ইদ্রিশ নামে দু’জনকে আটক করে। তাদের কাছে প্রায় ১.৯৭ লক্ষ মূল্যের নকল টাকা মেলে। এদের ধরতে পারলেও পুলিশ এখন জাকিরের খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জাকির।

    বাংলার যোগ

    উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, জাকির পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। জাকিরই সুলেমান ও ইদ্রিশকে ভুয়ো মুদ্রা সরবরাহ করত। যেগুলি তারা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করত। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, জাকির ভুয়ো ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসত। সুলেমান ও ইদ্রিশ, বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। মালদায় সুলেমানের পরিচয় হয়েছিল জাকিরের সাথে। সুলেমানকে জাল টাকা সহ আগেও বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তখন সে হাজিপুর জেলে প্রায় ৬ মাস ছিল।

    কীভাবে অভিযান

    এটিএস-এর (ATS) ইনস্পেক্টর ভারতভূষণ তিওয়ারি সারনাথ থানায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর এটিএস গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, একটি দল ভুয়ো মুদ্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বারাণসীতে এসেছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজ করতে শুরু করে। ফরিদপুর বাইপাসে দুজন ব্যক্তিকে ব্যাগসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পুলিশকে সামনে দেখে পালিয়ে যায় তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের কাছে ছিল একটি মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, টিকিট ও নগদ টাকা। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার ভুয়ো নোটের ব্যান্ডেল উদ্ধার হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    জেরায় সুলোমান ও ইদ্রিশ জানায়, দুই দিন আগে তারা বৈশালী থেকে মালদা এসেছিল এবং জাকির তাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার ভুয়ো নোট সরবরাহ করেছিল। তারা আরও জানায় যে, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ভুয়ো নোটগুলি বারাণসীতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল এবং বাকি নোটগুলি আগামী জানুয়ারি মাসে পরবর্তী মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির দূষণ (Air Pollution) নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রের। এবার বায়ুদূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণেরে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। এই চিঠিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের কথা বলা হয়েছে। দূষণ জনিত সমস্যার মোকাবিলার কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতার সরকারকেও চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নবান্নে এসে পৌঁছেছে চিঠি (Air Pollution)

    সদ্য সমাপ্ত উৎসবের মরসুমের পরই বায়ুদূষণের (Air Pollution) কবলে নাজেহাল দিল্লি সহ আরও বড় বড় শহর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) পক্ষ থেকে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মর্মে চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নে। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠিটি পাঠিয়েছেন সচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “গত কয়েক বছরে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বায়ুদূষণের প্রভাবে শুধুমাত্র অসুস্থতাই নয়, শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত হয়ে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করছে। একই ভাবে কার্ডিয়োভাস্কুলার সিস্টেমেও বড়সড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সব রোগের মোকাবিলা করতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব

    বায়ুদূষণ (Air Pollution) বড়সড় প্রভাব ফেলতে যে চলেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Union Health Ministry) আগে থেকেই চিঠি দিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে জনসচেতনতা এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ বায়ুদূষণ শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে কী করণীয়, সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে প্রচার-প্রসার করার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির নির্দেশিকা

    এই শীতকালের শুরুতে কেবল শহর নয়, গ্রামীণ এলাকায় দূষণের (Air Pollution) প্রকোপ কীভাবে পড়তে চলেছে সেই বিষয়েও আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার (Union Health Ministry)। ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হিউম্যান হেল্‌থ’ (এনপিসিসিএইচএইচ)-এর অধীনে শহরতলি এবং জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে দিল্লিতে যে ভাবে দূষণের মাত্রা ছড়িয়েছে তাতে কেন্দ্রের উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলছে। এনপিসিএইচএইচ-এর একটি বায়ুদূষণের প্রতিবেদনে খারাপ প্রভাবের প্রসঙ্গের কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশ বায়ুদূষণ জনিত কারণে ঘটছে। এই বায়ুদূষণের জেরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ ৩৪.৫%, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ২৯.২%, স্ট্রোক ১৬.২% এবং নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ১১.২% বলে জানানো হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক। এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজারহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে। সেই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সরকারি আইনজীবীকে রাজারহাট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন।

    “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না” (Calcutta High Court)

    রাজারহাটে এক মামলাকারীর (Calcutta High Court) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত ধর্তব্যযোগ্য কি না, তা জানতে নিম্ন আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের এই আবেদনে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটাই বেআইনি। যেখানে পুলিশ আদালতগ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আইনটুকু যদি না জানে পুলিশ, তাহলে কীভাবে মানুষ বিচার পাবে?” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “আপনার মনে হয় এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয়, সেটা এরা জানে বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ (Kolkata Police) হওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ কবে?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “এই মামলায় (Calcutta High Court) অভিযোগের ভিত্তিতে যে রকম ভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার, সেরকম তদন্ত করতে হবে। এই শেষ সুযোগ পুলিশকে। এরপর যদি এমন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, “নিউটাউন আর রাজারহাট থানা নিয়ে একই সমস্যা।” ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একই ধরনের একটি মামলায় নিউটাউন থানার আইসি প্রসাদ রায়কে তুমুল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pollution: দিল্লির পরই লখনউ-পাটনা, কলকাতাসহ দেশের অন্য শহরের দূষণের চিত্র কেমন?

    Pollution: দিল্লির পরই লখনউ-পাটনা, কলকাতাসহ দেশের অন্য শহরের দূষণের চিত্র কেমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে দূষণ (Pollution)। তবে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দিল্লিতে দূষণ-মাত্রা অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে, দিল্লির দূষণ নিয়ে যখন গোটা দেশে চর্চা হচ্ছে, সেই তালিকায় খুব একটা পিছিয়ে নেই দেশের আরও দুই শহর লখনউ এবং পাটনা।

    দিল্লির দূষণের গুণগত মান কত?(Pollution)

    সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তা হলে তা ভালো পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ (সন্তোষজনক), ১০১-২০০ (সামান্য খারাপ), ২০১-৩০০ (খারাপ), ৩০১-৪০০ (খুব খারাপ), ৪০১-৫০০ (অতি ভয়ানক)। মঙ্গলবার রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর তার সঙ্গেই দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় নাম উঠে এসেছে দিল্লির। কেন্দ্রীয় দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, দূষণে দিল্লির পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাটনা এবং লখনউ। পটনায় বাতাসের গুণগত মান ৩৫০ এবং লখনউয়ে ৩২১। যা খুব খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের আটটি জেলাতেও দূষণের ছবি উদ্বেগজনক বলেই জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মিরাট, গাজিয়াবাদ, শামলি, বুলন্দশহর, মুজফ্ফরনগর, হাপুর, বাগপত এবং গৌতমবুদ্ধ নগর। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজকুমার সিং ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা প্রশাসনকে দূষণ পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    দেশের অন্যান্য শহরের কী অবস্থা?

    বিহারের রাজধানী পাটনা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বাতাসের গুণগত মান খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, দানাপুরে বাতাসের গুণগত মান ৩৩২। পাটনার পরই। তার পরই রয়েছে হাজিপুর। সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪০৩। গয়ায় ২৯৪, আরারিয়ায় ২২১। তবে, পূর্ণিয়ায় বাতাসের গুণগত মান সন্তোষনজক। দিল্লি, পাটনা এবং লখনউ ছাড়াও কলকাতা-সহ দেশের অন্য শহরগুলির দূষণের ছবিটা কেমন? সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি, পাটনা এবং লখনউয়ের পরেই রয়েছে ভোপাল (২০৯)। তার পর চণ্ডীগড় (২০৪), কলকাতা (Kolkata) (১৭৬), জয়পুর (১৪৯), ভুবনেশ্বর (১৩৭), রায়পুর এবং বেঙ্গালুরু (১২৮), চেন্নাই (১২২), আহমেদাবাদ (১১০)। খারাপ এবং সামান্য খারাপ পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে এই সব শহরের বাতাসের গুণগত মান। মুম্বইয়ে বাতাসের গুণগত মান সন্তোষজনক (৯৯)। তবে অসমের গুয়াহাটি (৪৮) এবং কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে (৬৬) বাতাসের গুণগত মান ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। তবে আবহাওয়ার এই বদলে‌ বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণদের একাংশ বাড়তি ভোগান্তির শিকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ষাটোর্ধ্বদের অধিকাংশের হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানান উপসর্গ (Winter infections) দেখা দিচ্ছে। আবার ফুসফুসের নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরও হচ্ছে। 

    কেন এই আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা রোগের দাপট? (Winter infections)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। তবে এই বছরে বয়স্কদের ভোগান্তি বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক নানা ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরে আক্রান্ত। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে বক্ষঃরোগের দাপট। শ্বাসনালীতে সংক্রমণও দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশির মতো সমস্যা হচ্ছে। নানান অ্যালার্জি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত প্রবীণ রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

    এই ভোগান্তির অন্যতম কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। এর জেরে একদিকে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করেই কমে যায়। আবার, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সব মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক ভাইরাস। ফলে ভোগান্তি (Sneezing-cough-sore throat) বাড়ে। তার উপরে প্রবীণদের মধ্যে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই আবহাওয়াতে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষত বয়স্কদের সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভোগেন (Winter infections)। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই ওষুধের ডোজে হেরফের করা চলবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত কিছু শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে অনেকেই পেশি ও রক্ত সঞ্চালনের নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক কসরত নিয়মিত করা জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ পড়ে যাওয়ায় অনেকেই জল খেতে চান না। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Winter infections) ঝুঁকিও কমানো সহজ হয়।

    খাবারে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তবে ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। অর্থাৎ ভাত-রুটির সঙ্গে পরিমিত সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাছ-ডিম-মাংস নিয়মিত খাওয়া দরকার। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার। তাহলে শরীর সহজে এনার্জি পাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 21 November 2024: কুসঙ্গ থেকে সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 November 2024: কুসঙ্গ থেকে সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) গড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) কুসঙ্গ থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) সকাল থেকে বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে খুব ভালো যোগাযোগ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহের যোগ।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজের সময় নষ্ট।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তি থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বেলডাঙায় যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, রাস্তাতেই বসে পড়লেন মন্ত্রী

    Sukanta Majumdar: বেলডাঙায় যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, রাস্তাতেই বসে পড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলডাঙা যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের। অগত্যা রাস্তায়ই বসে পড়লেন সুকান্ত। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে বেলডাঙার (Beldanga) দিকে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় সুকান্তকে। সুকান্ত এলাকায় গেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই তাঁকে বেলডাঙায় যেতে দেওয়া হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।

    কৃষ্ণনগরেই আটকে দেওয়া হল সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য বারংবার রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে পদ্ম শিবির। তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এদিন তাঁকেই আটকে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগরের কাছে। পুলিশের যুক্তি, বেলডাঙায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যেতে পারবেন না সুকান্ত। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সুকান্তকে যে জায়গায় আটকানো হয়েছে, সেখান থেকে বেলডাঙার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। তাই তাঁকে কেন এখানে আটকানো হল, সে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির দুই বিধায়ক ও একাধিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি।

    বন্ধ ইন্টারনেট

    এদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে এখনও (Sukanta Majumdar) বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। জানা গিয়েছে, পরিষেবা বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ইন্টারনেট না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যবাসী। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। কলেজের কাউন্সেলিংয়ের জন্য পড়ুয়াদের যেতে হচ্ছে ভিন জেলায়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারও করা যাচ্ছে না জেলায়। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে মিলছে না রক্ত।

    আরও পড়ুন: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, বেলডাঙার ঘটনায় রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বেলডাঙার সংঘর্ষ নিয়ে উচ্চ পদমর্যাদার অফিসারের মাধ্যমে আজ, বুধবারের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বেলডাঙা-সহ মুর্শিদাবাদের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সংঘর্ষ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে (Beldanga) রাজ্য সরকার, কাদের কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই রিপোর্টও দিতে হবে (Sukanta Majumdar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিখ সম্প্রদায়। সোমবার শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত আড়াই বছরে, সরকার গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু পাঞ্জাবি, লুবানা, সিকলিগার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “বিজেপি সরকার শুধু এই সম্প্রদায়গুলির জন্য উপকারি ঘোষণাই করেনি, বরং তাদের উন্নতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপও করেছে।”

    মহাজুটি জোটের পাশে শিখরা

    সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার (Maharashtra Assembly Elections) শেষ হয়েছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি-র (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি-র (শরদ) ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। সম্প্রতি, একজন শিখ সদস্যকে মহারাষ্ট্র সরকারের মাইনরিটি কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্যের মহারাষ্ট্র রাজ্য পাঞ্জাবি সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি স্পষ্টভাবে সরকারের উদ্দেশ্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, সিকলিগার, বানজারা ও লুবানা সম্প্রদায় এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আশাবাদী যে, সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত সম্প্রদায়ের কল্যাণে একই উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তাই এই সম্প্রদায়ের সকল প্রতিনিধিদের মহাজুটি জোটকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে শিখ সংগঠনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে অভিযোগ, প্রতিযোগিতা কমিশন বা সিসিআইয়ের (CCI) তরফে ২১৩.১৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হল জুকেরবার্গের সংস্থাকে। অভিযোগ, হোয়াট্‌সঅ্যাপ গোপনীয়তা নীতি বদলের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার নিয়ম ভাঙছে, তাই এই জরিমানা বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। জুকেরবার্গের সংস্থা অবশ্য জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হবে। জুকেরবার্গের সংস্থা মেটাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপকে ইউজারদের ডেটা শেয়ার করতে হলে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

    ব্যবহারকারীদের তথ্য মেটার অন্য অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপ

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে গোপনীয়তা নীতি বদল করে হোয়াটসঅ্যাপ। সিসিআইয়ের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি বদল করার পর বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে মেটা (Meta) পরিচালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলির সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য ভাগ করে নেওয়া হচ্ছিল। প্রতিযোগিতা কমাতেই এমনটা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। এর পরেই মেটার ওপর ২১৩ কোটির জরিমানার বোঝা চাপায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো মেটার শাখার সঙ্গে ভাগ করা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপকে এভাবে ডেটা শেয়ার করার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    আবেদন জানাবে মেটা (Meta)

    অন্যদিকে সিসিআইয়ের (CCI) এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই এবার আবেদন করার কথা জানাল মেটা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা সিসিআইয়ের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নয় এবং তারা আবেদন করতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা দেশ (Bangladesh) ছাড়ার পর ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। দাবি উঠেছে, জিন্নাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জিন্নার মৃত্যুদিনে উর্দু শের-শায়েরি-বক্তৃতার আয়োজন দেখেছে ঢাকা। এবার একদা পাকসেনার গণহত্যার অপরাধের সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামাবাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরাম সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বরের ওই সিদ্ধান্ত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্য? (Bangladesh)

    হাসিনার জমানায় (Bangladesh) ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে টানা ন’মাস ধরে এ দেশে বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়েছে, এবং তা পরবর্তীকালে অস্বীকার করেছে। যত দিন না পাকিস্তান গণহত্যা এবং নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান কোনও ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।” তিনি জানান, ‘‘নতুন করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে না। পাকিস্তানে কোনও পড়ুয়াকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়া হবে না।” সোমবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ- উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘‘এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান, ফলে অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়শোনা করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    আলি জিন্নার প্রথম বিরোধিতা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

    পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে কায়েদ-এ-আজম মহম্মদ আলি জিন্নাকে প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)। উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কার্জন হলে জিন্নার উপস্থিতিতেই ছাত্রছাত্রীরা আওয়াজ তুলেছিলেন-রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। মাতৃভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবোধের সেই প্রথম বহিঃপ্রকাশই পরবর্তীকালে পাথেয় হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তান সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, বাঙালি সেনা আর আমজনতার মরণপণ লড়াই বদলে দিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। জন্ম নিয়েছিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পালাবদলের বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে সবই এখন অতীত। নিন্দায় সরব মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share