Author: user

  • Kartik Puja 2024: ব্রহ্মার বরে বলীয়ান তারকাসুরকে বধ করেছিলেন স্বয়ং কার্তিক! কী সেই পৌরাণিক কাহিনি?

    Kartik Puja 2024: ব্রহ্মার বরে বলীয়ান তারকাসুরকে বধ করেছিলেন স্বয়ং কার্তিক! কী সেই পৌরাণিক কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক (Kartik Puja 2024)। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিল। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে মুক্ত করেন। 

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহকর্ম সম্পাদন করতেন।

    আমাকে এমন পুত্র দিন

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, ‘‘আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।’’ ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনোমত বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌।

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে ‘একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।’’ ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন, শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করেন

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। সেই সময় মাতা চন্দ্রঘন্টার রূপ ধারণ করে পার্বতী দেবী অসুরদের বিতাড়িত করেন। এরপর সুসম্পন্ন হয় শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হয় কার্তিকের (Kartik Puja 2024)। মাতা পার্বতী তখন হন স্কন্দমাতা অর্থাৎ কার্তিকজননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে (Mythological Story of Kartik) সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে ‘স্কন্দপুরাণে’। শিব-পার্বতীর পুত্রের জন্মই হয়েছিল তারকাসুরের বধ এবং স্বর্গ রাজ্যে দেবতাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য। তাই প্রতিটি সন্তান যেন  ‘কার্তিক’ এর মতো হয় এই কামনায় বাড়ি বাড়ি পুজো হয় কার্তিকের।

    কার্তিকের প্রণাম মন্ত্র

    দেব সেনাপতি কার্তিকের প্রণাম মন্ত্রটি হল-

    ওঁ কার্তিকের মহাভাগ দৈত্যদর্পনিসূদন। প্রণোতোহং মহাবাহো নমস্তে শিখিবাহন। রুদ্রপুত্র নমস্তুভ্যং শক্তিহস্ত বরপ্রদ। ষান্মাতুর মহাভাগ তারকান্তকর প্রভা। মহাতপস্বী ভগবান্ পিতুর্মাতুঃ প্রিয় সদা। দেবানাং যজ্ঞরক্ষার্থং জাতত্ত্বং গিরিশিখরে। শৈলাত্মজায়াং ভবতে তুভ্যং নিত্যং নমো নমঃ।

    অনুবাদ: হে মহাভাগ, দৈত্যদলনকারী কার্তিক দেব তোমায় প্রণাম করি। হে মহাবাহু, ময়ূর বাহন, তোমাকে নমস্কার। হে রুদ্রের (শিব) পুত্র, শক্তি নামক অস্ত্র তোমার হাতে। তুমি বর প্রদান কর। কৃত্তিকা তোমার ধাত্রীমাতা। জনক-জননী প্রিয় হে মহাভাগ, হে ভগবান, তারকাসুর বিনাশক, হে মহাতপস্বী প্রভু তোমাকে প্রণাম। দেবতাদের যজ্ঞ রক্ষার জন্য পর্বতের চূড়ায় তুমি জন্মগ্রহণ করেছ। হে পার্বতী দেবীর পুত্র তোমাকে সতত প্রণাম করি।

    বাংলায় কার্তিক পুজো বেশ জনপ্রিয়

    বাংলায় কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2024) প্রায় সর্বত্রই হয়। এর মধ্যে হুগলির বাঁশবেড়িয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কার্তিক পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই দুই জায়গায় কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতেন লাখ লাখ মানুষ। সুসজ্জিত আলোর মালা, মণ্ডপসজ্জার কারুকার্য, বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীদের বিশালাকার প্রতিমার সঙ্গে থাকে নানা রকমের বাজনা।

    ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজো শুরু

    চলতি বছরে কাটোয়ার একাধিক পুজোমণ্ডপে আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউ আপনজন, জনকল্যাণের মতো ক্লাবগুলিতে এবারও থিমের পুজো লক্ষ্য করা যাবে। কাটোয়ার কার্তিক পুজো রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় কার্তিক লড়াই নামে। ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক (Mythological Story of Kartik) পুজোর সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়াতেও কার্তিক পুজোর বেশ ধুমধাম চোখে পড়ছে। যেমন, চলতি বছরে ৪৮ বর্ষে পদার্পণ করছে বাঁশবেড়িয়ায় অনির্বাণের জামাই কার্তিক পুজো। বিগত বছরগুলিতে একের পর এক দারুণ থিম নিয়ে এসেছে এই অনির্বাণ। আর এবার তাদের থিম নয়া সংসদ ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে।” বুধবার বিহারের (Bihar) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল রোগ প্রতিরোধ করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো সঠিক রোগ নির্ণয় করা। তৃতীয় লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী ও বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। আমাদের চতুর্থ লক্ষ্য হল ছোট শহরগুলিতেও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। পঞ্চম লক্ষ্য হল স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।” এদিন প্রধানমন্ত্রী বিহারের দ্বারভাঙায় এইমসের (AIIMS) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেখানেই তিনি বলেন, “আমার সরকার দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে, যা রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত বিস্তৃত।”

    দ্বারভাঙায় এইমসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    দ্বারভাঙায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনের পর জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলির উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, তাঁর সরকার সব সময় জাতির সেবা এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দ্বারভাঙায় একটি এইমস প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে এইমস নির্মাণের ফলে বিহারের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এই সেবাকেন্দ্র মিথিলা, কোশি এবং তিরহুত অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশের এলাকার মানুষকেও পরিষেবা দেবে। নেপাল থেকেও রোগীরা এখানে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারবেন। দ্বারভাঙায় এইমস নির্মাণ বহু নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে।”

    আরও পড়ুন: ৩০০-র বেশি হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে হামলা গত ২২ মাসে, তালিকা প্রকাশ ভিএইচপি’র

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তখন খুব কম হাসপাতাল এবং ডাক্তার ছিল। ওষুধের দাম ছিল অনেক বেশি। আগের সরকারগুলি শুধু প্রতিশ্রুতি এবং দাবির মধ্যে আটকে ছিল, গরিব মানুষের প্রয়োজন নিয়ে তাদের কোনও সঠিক চিন্তা ছিল না। কিন্তু নীতীশ বিহারের (Bihar) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই সমস্যাগুলির সমাধানে সঠিক মনোযোগ দেওয়া হয়েছে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Sheikh Hasina: স্বামী নাকি ‘আন্দোলনে খুন’ হয়েছেন! হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ফাঁস, চাঞ্চল্য ঢাকায়

    Sheikh Hasina: স্বামী নাকি ‘আন্দোলনে খুন’ হয়েছেন! হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ফাঁস, চাঞ্চল্য ঢাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী জীবিত। কিন্তু আন্দোলনে খুন হয়েছেন দাবি করে হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হতেই ঢাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এক মহিলা বাংলাদেশের (Dhaka) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তিন মাস পরে তাঁর স্বামী থানায় হাজির হয়ে বলেন, “আমার অজান্তেই স্ত্রী আমাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে।” তাহলে কি সবটাই বড় ষড়যন্ত্র ছিল? এই ঘটনার পর এই প্রশ্ন জোরদার ভাবে উঠতে শুরু করেছে।

    ৮ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলা হয়

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Dhaka) আওয়ামী লীগ সরকারের উপর পরিকল্পিত হামলা হয়। ওই দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে স্বামী নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন স্ত্রী। এই বিষয়ে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে ২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম (২১) নামে ওই মহিলা নিজের স্বামী মহম্মদ আল আমিন মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলেন। তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) অভিযুক্ত করা হয়। এরপর ৮ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় মামলাটি তদন্তের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

    হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা মামলা

    নিজের অভিযোগে কুসুম জানিয়েছেন, “আমার বাড়ি মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার স্বল্প সিংজুরি বাংগালা গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা আশুলিয়া (Dhaka) জামগড়া। গত ৫ অগাস্ট স্বামীকে খুন করার খবর পেয়ে মা ও শিশু ক্লিনিক হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানায় জানতে পারি, পরিচয়হীন দেহ পাওয়ায় তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। পরে ছবি এবং ভিডিও দেখে শনাক্ত করি। যদিও ঘটনার দিনে আমি মৌলভীবাজারে ছিলাম।” অপর দিকে মঙ্গলবার এই মহিলার স্বামী নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাসিনাকে (Sheikh Hasina) নিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ তোলেন।

    আরও পড়ুনঃ হাসিনাকে নিয়ে ইন্টারপোলে অতিসক্রিয় অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার, এবার আবেদন গ্রেফতারের

    গভীর ষড়যন্ত্র?

    প্রসঙ্গত, হাসিনাকে (Sheikh Hasina) হাতে পেতে ইউনূস সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার এবং লাল সতর্কতা জারির জন্য অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকার। কিন্তু যে অভিযোগে অন্তর্বর্তী সরকার এবং সামরিক প্রশাসন তাঁকে হাতে পেতে চাইছে, সেই অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন হয়, তাহলে গোটাটা গভীর ষড়যন্ত্র বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। আপাতত মিথ্যা মামলার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বাংলাদেশে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Cards:  আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক

    Ayushman Cards: আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন, সেই জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্প (Ayushman Cards) চালু করে মোদি সরকার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, দেশের যে সমস্ত নাগরিক ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক, তাঁরা সকলেই এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে ৫ লাখ টাকার চিকিৎসার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সত্তরোর্ধ্ব ৫ লাখেরও বেশি প্রবীণ নাগরিক আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

    কোথায় কত আবেদন

    অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করার উদ্দেশেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের (Ayushman Cards) সম্প্রসারণ করা হয়। সরকার জানিয়েছিল যে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি সকল প্রবীণ নাগরিক, তাদের আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দেশের প্রায় ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক এবং প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই,আয়ুষ্মান ভায়া বন্ধনা কার্ডের জন্য মোট ৫,১২,৫৯৮ আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৪,৬৪,৫৪১ টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে, ৪৭,৯১৬ টি আবেদন এখনও বিচারাধীন এবং ১৪১ টি আবেদন বাতিল হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে ১.৬৬ লাখ আবেদন গৃহীত হয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে কেরল (১.২৮ লাখ), তৃতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ (৬৯,০৪৪) এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে গুজরাট (২৫,৪৯১)।

    আরও পড়ুন: ‘দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার’, আপ সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার

    প্রকল্পের সুবিধা

    সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ (IEC) উপকরণ ভাগাভাগি করেছে। সরকারের আশা, আরও অনেক প্রবীণ নাগরিক এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করবেন।” বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতীয় প্রবীণ জনগণের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আবহে ভবিষ্যতে বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। তাই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প খুবই উপকারী বলে মনে করছে সরকার। যে কোনও যোগ্য আবেদনকারী আয়ুষ্মান ভারত প্রবীণ নাগরিক স্কিমের জন্য www.beneficiary.nha.gov.in ওয়েবসাইট বা আয়ুষ্মান অ্যাপ ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উৎসব হল কার্তিক পুজো। ১৬ নভেম্বর শনিবার পালিত হতে চলেছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2024 )। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। আমাদের রাজ্যে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উৎসব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো।

    কেন বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়? (Kartik Puja 2024 )

    নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক (Kartik Puja 2024) রেখে এসেছে, এমন বন্ধু আমাদের পরিচিত মহলে নিশ্চয়ই রয়েছে। স্বয়ং মহাদেব-পুত্র তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে কথা! গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে তাই প্রচলিত নিয়ম মেনে পরপর চার বছর এই পুজো করতে হয়। কিন্তু বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর কেন রাখা হয়? নিছক মজার উদ্দেশ্যেই নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রাখা হয় না। এর মধ্যে লোকাচার রয়েছে। কী সেই লোকাচার? তা হল, নবদম্পতির কোলে যেন কার্তিকের মতো পুত্র আসে। কিন্তু হঠাৎ কার্তিকের মতো পুত্রের আকাঙ্খাই কেন? পৌরাণিক মতে, মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো করলে পুত্রসন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতেই অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে। কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও অনেকে মনে করেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক ঠাকুর চিরকুমার। দক্ষিণ ভারতে মুরুগান নামে কার্তিকের যে রূপের উপাসনা করা হয়, সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 192: “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    Ramakrishna 192: “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    সন্ধ্যার পর আদিসমাজের আচার্য শ্রীযুক্ত বেচারাম বেদীতে বসিয়া উপাসনা করিলেন। মাঝেমাঝে ব্রহ্মসঙ্গীত ও উপনিষদ্‌ হইতে পাঠ হইতে লাগিল। উপাসনান্তে শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সঙ্গে বসিয়া আচার্য অনেক আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আচ্ছা, নিরাকারও সত্য আর সাকারও সত্য; আপনি কি বল?

    সাকার-নিরাকার চিন্ময়রূপ ও ভক্ত 

    আচার্য—আজ্ঞা, নিরাকার যেমন Electric Current (তড়িৎ-প্রবাহ) চক্ষে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দুই সত্য। শুধু নিরাকার বলা কিরূপ জানো (Kathamrita)? যেমন রোশনচৌকির একজন পোঁ ধরে থাকে—তার বাঁশির সাত ফোকর সত্ত্বেও। কিন্তু আর-একজন দেখ কত রাগ-রাগিণী বাজায়! সেরূপ সাকারবাদীরা দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে।

    “কি জানো, অমৃতকুণ্ডে কোনও রকমে পড়া। তা স্তব করেই হোক অথবা কেউ ধাক্কা মেরেছে আর তুমি কুণ্ডে পড়ে গেছ, একই ফল। দুই জনেই অমর হবে!

    “ব্রাহ্মদের পক্ষে জল বরফ উপমা ঠিক। সচ্চিদানন্দ যেন অনন্ত জলরাশি। মহাসাগরের জল, ঠান্ডা দেশে স্থানে স্থানে যেমন বরফের আকার ধারণ করে, সেইরূপ ভক্তি হিমে সেই সচ্চিদানন্দ (সগুণ ব্রহ্ম) ভক্তের জন্য সাকার রূপ ধারণ করেন। ঋষিরা সেই অতীন্দ্রিয় চিন্ময় রূপ দর্শন করেছিলেন, আবার তাঁর সঙ্গে কথা কয়েছিলেন। ভক্তের প্রেমের শরীর, ‘ভাগবতীতনু’ দ্বারা সেই চিন্ময় রূপ দর্শন হয়।

    আবার আছে, ব্রহ্ম (Ramakrishna) অবাঙ্মনসোগোচর। জ্ঞানসূর্যের তাপে সাকার বরফ গলে যায়। ব্রহ্মজ্ঞানের পর, নির্বিকল্পসমাধির পর, আবার সেই অনন্ত, বাক্যমনের অতীত, অরূপ নিরাকার ব্রহ্ম!

    “ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা (Kathamrita) যায় না, চুপ হয়ে যায়। অনন্তকে কে মুখে বোঝাবে! পাখি যত উপরে উঠে, তার উপর আরও আছে, আপনি কি বল?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Election 2024: “আঘাড়ি মানে বিনাশ”! মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী জনসভায় তোপ অমিত শাহের

    Maharashtra Assembly Election 2024: “আঘাড়ি মানে বিনাশ”! মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী জনসভায় তোপ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহা বিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোটকে ‘বিনাশ’ বা ধ্বংস হিসেবে উল্লেখ করলেন। বুধবার মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Assembly Election 2024) ধুলেতে এক জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মহাজুটি মানে ‘বিকাশ’ এবং আঘাড়ি মানে ‘বিনাশ’। মারাঠাবাসীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যারা উন্নয়ন করতে জানে তাদেরকে ক্ষমতায় আনবেন, নাকি যারা ধ্বংস ঘটায় তাদেরকে?”

    মহারাষ্ট্রের উন্নতির প্রতিশ্রুতি

    আগামী সপ্তাহেই ভোট মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Assembly Election 2024)। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে এক দফায় ভোট হবে ২০ নভেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর। তার আগে নির্বাচনী জনসভায় শাহ আরও দাবি করেন যে কংগ্রেস কেন্দ্রে থাকাকালীন মহারাষ্ট্রে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করেনি। তিনি বলেন, “এই মঞ্চ থেকে আমি রাহুল বাবা ও শারদ পাওয়ারকে প্রশ্ন করতে চাই, যখন আপনারা কেন্দ্রে ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, তখন মহারাষ্ট্রকে কত টাকা দিয়েছিলেন? তাঁরা ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল, আর মোদিজি ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দিয়েছেন ১০ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুন: হাসিনাকে নিয়ে ইন্টারপোলে অতিসক্রিয় অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার, এবার আবেদন গ্রেফতারের

    মিথ্যা আশ্বাস নয়

    দেশের উন্নতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের উন্নতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সময় ভারত ছিল বিশ্বের অর্থনৈতিক সূচকে এগারোতম স্থানে, বিজেপি দেশকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে এসেছে। ২০২৭ সালে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হবে।” মহা বিকাশ আঘাড়ির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগও তোলেন শাহ। তাঁর কথায়, “আঘাড়িওয়ালে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে বলেছিলেন, যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব নয়, তা দেওয়া উচিত নয়। কংগ্রেস সরকারের কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় প্রতিশ্রুতিগুলি পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু মোদিজি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা ‘পাথর কি লকীর’।” শাহ আরও বলেন, “আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে রাম মন্দির নির্মাণ করব, এবং তা সম্পন্ন করেছি… রাহুল বাবা বা সুপ্রিয়া সুলে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি, কারণ তাদের ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। তবে, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে চলল, এখনও অধিকাংশ বাড়িতে বন বন করে ফ্যান ঘুরছে। গরম কাটিয়ে শীত কবে আসবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। চলতি সপ্তাহেই শীতের আমেজ আসতে পারে রাজ্যে, এমনটাই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর।

    কত তাপমাত্রা কমবে? (Weather Update)

    মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভোর থেকে রাজ্যে (West Bengal) তাপমাত্রা খানিক কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও কিছুটা পারদপতন হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া (Weather Update) অফিস। উত্তরের পাহাড় সংলগ্ন জেলাগুলির পাশাপাশি গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গেও তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। অর্থাৎ, এখনই ‘শীতকাল’ এসে না পড়লেও শুক্রবার থেকেই শীতের আমেজ আসতে চলেছে বঙ্গে! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণের কোথাওই বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার হেরফের হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার পর থেকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় নামতে পারে পারদ। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ

    উত্তরবঙ্গেও দেখা যাবে একই চিত্র। বুধবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আপাতত আগামী পাঁচ দিন উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে। পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে, তার পর থেকে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে উত্তরবঙ্গেও। ফলে সপ্তাহ শেষেই শীতের আমেজ দেখা দিতে পারে উত্তরে।

    বুধবার সারা দিন পরিষ্কার ছিল কলকাতার আকাশ। রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। সেই তুলনায় বুধবার খানিক কমেছে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি কম। ফলে, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে আমজনতা। এমনই মনে করছে হাওয়া অফিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটিশ দিয়ে ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বড়মার মন্দির (Barama Temple)। অথচ নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরে ঢুকে দিব্যি পুজো দিলেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মায়ের কাছে পুজো দিতে আসা অসংখ্য ভক্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন। সব মিলিয়ে উপনির্বাচনের দিন সাত সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈহাটির অরবিন্দ রোড চত্বরে রীতিমতো উত্তেজনা দেখা দেয়।

    বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তরা (Barama Temple)

    এদিন রাজ্যে ৬টি বিধানসভার মধ্যে নৈহাটিতেও উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটের জন্য নৈহাটির বড়মার মন্দির (Barama Temple) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে ফেসবুকে মন্দির কমিটির তরফে পোস্টও করা হয়। মন্দিরের গেটেও মন্দির বন্ধ রাখার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা খেয়াল না করায় অন্যান্য দিনের মতো এদিনও মন্দিরের সামনে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে। দূরদুরান্ত থেকে এসে ভক্তরা মন্দির বন্ধ শুনে অনেকেই হতাশ হয়ে সেখানে বসে পড়েন। ভক্তরা বলেন, মন্দির বন্ধ থাকার বিষয়টি আমরা জানতাম না। আগাম ঘোষণা করা হয়নি। সকাল থেকে লাইন দিয়ে ভক্তরা দাঁড়িয়েছিলেন। আমিও লাইনে দাঁড়াই। পরে, জানতে পারি মন্দির এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই, সকলেই ফিরে যাচ্ছিলাম। এই সময় দেখলাম তৃণমূলের প্রার্থী আসতেই মন্দিরের গেট খুলে গেল। তিনি ভিতরে গিয়ে পুজো দিলেন। এটা তো দ্বিচারিতা। তাই, আমাদের মতো বহু ভক্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মন্দির কর্তৃপক্ষ দ্বিচারিতা করল কেন? বেশ কিছু সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভ প্রশমিত করতে বড়মার মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় কেবলমাত্র সেই সময় উপস্থিত থাকা ভক্তদের জন্য। তবে কোনও পুজোর আয়োজন হয়নি। মায়ের দর্শন করেই খুশি হন দূর থেকে আসা ভক্তরা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    মন্দির কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বড়মার (Barama Temple) ট্রাস্টি কমিটির সদস্য অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন্দির যে  বন্ধ থাকবে তা দু’দিন আগে পোস্ট করে জানানো হয়েছিল। প্রতিদিন এই মন্দিরে প্রায় ৫ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। ভোটের দিনে এই ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হত না। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ দিন সকালে যে ভক্তরা এসেছিলেন তাঁদের জন্য দরজা খুলে দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।” তৃণমূল প্রার্থীর জন্য আলাদা করে দরজা খোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad: মদ, টাকা বিলিয়ে ওয়েনাড়ের ভোটারদের প্রলোভন! প্রিয়াঙ্কাকে তোপ বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসের

    Wayanad: মদ, টাকা বিলিয়ে ওয়েনাড়ের ভোটারদের প্রলোভন! প্রিয়াঙ্কাকে তোপ বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ, টাকা বিলিয়ে ওয়েনাড়ের (Wayanad) ভোটারদের প্রলোভন! প্রিয়াঙ্কাকে তোপ বিজেপি প্রার্থী নব্যা হরিদাসের। পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ছে দেশ জুড়ে। উল্লেখ্য, কেরলের এই আসনে ২০২৪ সালের ভোটে জয়ী হয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এবার আসনে লড়বেন তাঁর বোন।

    অপর দিকে বিজেপির প্রার্থী নব্যা হরিদাস। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কেরলের কোঝিকোড পুরসভার ২ বারের কাউন্সিলর ছিলেন। সেই সঙ্গে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

    কংগ্রেস নির্বাচনে হার বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে গিয়েছে (Wayanad)

    মঙ্গলবার এই নির্বাচনকে (Wayanad) ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী সকাল থেকেই বুথ পরিদর্শন করছিলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস ভোটারদের প্রলোভন দিচ্ছে। টাকা, মদ উপহার বিলি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আসলে কংগ্রেস নির্বাচনে হার বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে গিয়েছে। এখানে এমন একজন জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন, যিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন, এখানকার স্থানীয় সমস্যার কথা প্রতিদিন শুনবেন এবং সংসদে গিয়ে বক্তব্যকে তুলে ধরতে পারবেন।”

    আরও পড়ুনঃ ফের কেলেঙ্কারি, সরকারি তালিকায় নাম নেই, অথচ রিষড়ার সংস্থা থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ওষুধ আরজি করে

    কী বললেন প্রিয়াঙ্কা?

    অন্যদিকে ভোটদানের পর্ব শুরুর আগেই সামজিক মাধ্যমে সকলকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কথা জানিয়ে ওয়েনাড়ের (Wayanad) কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, আপনারা নির্ভয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আজ আপনাদের মতপ্রকাশের দিন। নিজেরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বেছে নিন। সংবিধান আপনাদের যে অধিকার দিয়েছে তা প্রয়োগ করুন। চলুন আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share