Author: user

  • Menstrual Leave: ঋতুকালীন ছুটি ঘোষণা ওড়িশা সরকারের, বছরে ১২ দিন অতিরিক্ত ছুটি মহিলাদের

    Menstrual Leave: ঋতুকালীন ছুটি ঘোষণা ওড়িশা সরকারের, বছরে ১২ দিন অতিরিক্ত ছুটি মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েদের জন্য বিশেষ ‘উপহার’ ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকারের। এবার থেকে মাসে এক দিন করে সবেতন ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) পেতে চলেছেন মেয়েরা। শুধু রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারি কর্মীরাই নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতা মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন। বেসরকারি দফতরগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হবে। মঙ্গলবার‌ এমনই ঘোষণা করেছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির দফতর। আগামী মাস থেকেই কার্যকর হতে চলেছে এই নিয়ম।

    ঘোষণা অনুযায়ী কাজ

    চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনই সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রভাতী পারিদা জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই রাজ্যের মহিলা কর্মীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) আনতে চলেছে ওড়িশা সরকার। ঋতুচক্রের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিন মিলবে এই বিশেষ ছুটি। নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার সেই নির্দেশেই সিলমোহর পড়ল। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ওড়িশার (Odisha) সমস্ত ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলারা মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন। অর্থাৎ বছরে মোট ১২টি এমন ছুটি নেওয়া যাবে। এই ছুটি সাধারণ ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) বলেই গণ্য হবে। 

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মোট কটা সিএল মহিলাদের

    ওডিশায় (Odisha) মহিলারা বার্ষিক ১৫টি সিএল পেতেন। চলতি বছরের মার্চে ‘পারিবারিক দায়িত্ব এবং মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা’ মাথায় রেখে বার্ষিক ১০টি অতিরিক্ত ছুটি (Menstrual Leave) ঘোষণা করেছিল পূর্ববর্তী বিজেডি সরকার। এখন তাঁদের প্রাপ্য বার্ষিক সিএলের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭। বর্তমানে ভারতে শুধুমাত্র বিহার এবং কেরলেই মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটির নীতি চালু রয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটল ওড়িশাও। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। অনেক রাজ্যই মেয়েদের সুবিধার্থে এই ছুটি চালু করতে চাইছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর স্বপ্ন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র। তাঁর স্বপ্নের ভারতকে ডিজিটাল করতে একাধিক পদক্ষেপও করেছেন তিনি। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ইউপিআই দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাতে আরও বেশি আয়েশি করা যায়, দিনরাত তারই চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড’ (Shivraj Singh Chouhan)

    প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের ডিজিটাইজেশনের (Bhu AADHAAR) প্রভাব কতদূর পৌঁছেছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের ৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড করা হয়েছে।” এতদিন ছিল কাগুজে নথি। এবার থেকে জমি সংক্রান্ত হিসেব নিকেশের তথ্য মিলবে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাই জমি সংক্রান্ত নথি পেতে আর অযথা ঝক্কি পোহাতে হবে না জমির মালিকদের। শিবরাজ জানান, দেশের মোট ৬ লাখ ২৬ হাজারটি গ্রামের জমি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রামে সরকারি খরচে সব তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এই জমির রেকর্ড থাকছে।”

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    ভূ-আধার

    জানা গিয়েছে, ২২.৩ মিলিয়ন ম্যাপের ডিজিটাইজেশন হয়েছে। তৈরি হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অ্যাকিউরেসি ইমপ্রুভ করতে পারি, পারি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ল্যান্ড রেকর্ডও রাখতে পারি অনায়াসেই।”  মন্ত্রী (Shivraj Singh Chouhan) জানান, দেশের প্রায় সব গ্রামের নথিগুলো ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি সরকার প্রায় ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে কম্পিউটারাইজড করেছে। এতে জমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১৪০ কোটি অনন্য জমি পার্সেল শনাক্তকরণ নম্বর, যা ভূ-আধার (Bhu AADHAAR) নামে পরিচিত, জারি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন জমির মালিক, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদাররা (Shivraj Singh Chouhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    কিয়ৎক্ষণ পরে কলিকাতা হইতে কয়েকটি পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তন্মধ্যে একজন—শ্রীযুক্ত ঠাকুরদাস (Ramakrishna) সেন। ঘরে অনেকগুলি ভক্তের সমাগম হইয়াছে। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। সহাস্যবদন, বালকমূর্তি। উত্তরাস্য হইয়া বসিয়াছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে আনন্দে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—তোমরা ‘প্যাম’ ‘প্যাম’ কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা? চৈতন্যদেবের ‘প্রেম’ হয়েছিল। প্রেমের দুটি লক্ষণ। প্রথম—জগৎ ভুল হয়ে যাবে (Kathamrita)। এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশূন্য! চৈতন্যদেব “বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে, সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে।”

    দ্বিতীয় লক্ষণ—নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে।

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) কতকগুলি লক্ষণ আছে। যার ভিতর অনুরাগের ঐশ্বর্য প্রকাশ হচ্ছে তার ঈশ্বরলাভের আর দেরি নাই।

    অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, সাধুসঙ্গ, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন, সত্যকথা—এই সব।

    এই সকল অনুরাগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায়, ঈশ্বর দর্শনের আর দেরি নাই। বাবু কোন খানসামার বাড়ি যাবেন, এরূপ যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ির অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়! প্রথমে বন-জঙ্গল কাটা হয়, ঝুলঝাড়া হয়; ঝাঁটপাট দেওয়া হয়। বাবু নিজেই সতরঞ্চি, গুড়গুড়ি এই সব পাঁচরকম জিনিস পাঠিয়ে দেন। এই সব আসতে দেখলেই লোকের বুঝতে বাকি থাকে না, বাবু এসে পড়লেন বলে।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞে, আগে বিচার করে কি ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ও এক পথ আছে। বিচারপথ। ভক্তিপথেও অন্তরিন্দ্রিয় নিগ্রহ আপনি হয়। আর সহজে হয়। ঈশ্বরের উপর যত ভালবাসা আসবে, ততই ইন্দ্রিয়সুখ আলুনী লাগবে।

    যেদিন সন্তান মারা গেছে, সেই শোকের উপর স্ত্রী-পুরুষের দেহ-সুখের দিকে কি মন থাকতে পারে?

    একজন ভক্ত—তাঁকে ভালবাসতে (Kathamrita) পারছি কি?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    গৃহস্থ ও কর্মযোগ

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীশ্রীভবতারিণী, শ্রীশ্রীরাধাকান্ত ও দ্বাদশ শিবের পূজা শেষ হইল। ক্রমে ভোগারতির বাজনা বাজিতেছে। চৈত্রমাস দ্বিপ্রহর বেলা। ভারী রৌদ্র। এই মাত্র জোয়ার আরম্ভ হইয়াছে। দক্ষিণদিক হইতে হাওয়া উঠিয়াছে। পূতসলিলা ভাগীরথী এইমাত্র উত্তরবাহিনী হইয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে কক্ষমধ্যে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রাখালের দেশ বসিরহাটের কাছে। দেশে গ্রীষ্মকালে বড় জলকষ্ট।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি মল্লিকের প্রতি)—দেখ রাখাল বলছিল, ওদের দেশে বড় জলকষ্ট (Kathamrita)। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন। তাহলে কত লোকের উপকার হয়। (সহাস্যে) তোমার তো অনেক টাকা আছে, অত টাকা নিয়ে কি করবে? তা শুনেছি, তেলিরা নাকি বড় হিসাবী। (ঠাকুরের ও ভক্তগণের হাস্য)

    মণিলাল মল্লিকের বাড়ি কলিকাতা সিন্দুরিয়াপটি। সিন্দুরিয়াপটির ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে তিনি অনেককে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। উৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। মণিলালের বরাহনগরে একখানি বাগান আছে। সেখানে তিনি প্রায় একাকী আসিয়া থাকেন ও সেই সঙ্গে ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। মণিলাল যথার্থ হিসাবী লোক বটে! সমস্ত গাড়িভাড়া করিয়া বরাহনগরে প্রায় আসেন না; ট্রামে চাপিয়া প্রথমে শোভাবাজারে আসেন, সেখানে শেয়ারের গাড়িতে চাপিয়া বরাহনগরে আসেন। অর্থের অভাব নাই; কয়েক বৎসর পরে গরিব ছাত্রদের ভরণপোষণের জন্য এককালে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন।

    মণিলাল চুপ (Kathamrita) করিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে এ-কথা ও-কথার পর, কথার পিঠে বলিলেন, “মহাশয় পুষ্করিণীর কথা বলছিলেন। তা বললেই হয়, তা আবার তেলি-ফেলি বলা কেন?”

    ভক্তেরা (Ramakrishna) কেহ কেহ মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন। ঠাকুরও হাসিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আগামী বৃহস্পতিবার তীব্রতার সঙ্গে আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝড় তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা থাকায় রেলের তরফে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। আইআরসিটিসি (IRCTC) বাতিল ট্রেনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন কোন ট্রেন তালিকায় রয়েছে।

    ২৩ এবং ২৫ অক্টোবর বাতিল ট্রেন (IRCTC)

    দক্ষিণ পূর্ব রেল (IRCTC) এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টিরও বেশি এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-যশোবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। বাতিল করা ট্রেনগুলি আগামী ২৩ অক্টোবর এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মূল স্টেশনগুলি ছাড়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, “ঝড়ের গতি এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে এই ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে চলা আরও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে। রেলের এই ক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত।”

    আর কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    রেল (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে ছাড়া বা ওপর দিয়ে যাওয়া ১৯৮টি ইস্ট কোস্ট ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ, শালিমার পুরী, কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর, খড়গপুর-ভিলুপুরম, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, শালিমার-হায়দারবাদ, হাওড়া-পুরী। আবার ইস্টার্ন রেলওয়েতে পাটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী, পুরী-কলকাতা, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে। একই ভাবে বাতিল হওয়া আরও কিছু নম্বর সহ ট্রেন হল–

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    ২২৩২৯ হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস

    ২২৩৩০ আসানসোল-হলদিয়া এক্সপ্রেস

    ১২৫৫২ কামাখ্যা-এসএমভিবি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস        

    ২২৬৪৪ পাটনা-এরনাকুলাম এক্সপ্রেস

    ৩১০১ কলকাতা–পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ৩১০২ পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ২২৫০৪ ডিব্রুগড়- কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস       

    ২২৫০৩ কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস        

    ১২৫০৯ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস        

    ৩৪২৯ সেকেন্দ্রাবাদ-মালদা টাউন এক্সপ্রেস       

    ৩৪৩০ মালদা টাউন-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস     

    ১৮৪১৯ পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস      

    ২২২০২ পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস        

    ৩২৩০ পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল

    ১২৫১৪ শিলচর-সেকেন্দ্রাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস       

    ১৫২২৭ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-মুজফফরপুর এক্সপ্রেস  

    ১৩৪১৮ মালদা টাউন-দিঘা এক্সপ্রেস 

    ১৩৪১৭ দিঘা-মালদা টাউন এক্সপ্রেস

    আরব সাগরে অগাস্টের শেষের দিকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উত্তর ভারত মহাসাগরের অববাহিকায় এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্ত জল্পনার অবসান। অবশেষে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এবার ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’-র (Cyclone Dana) আকার ধারণ করল। আর সেই ঘুর্ণিঝড়টি ক্রমশ এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। তার গতিপ্রকৃতির ওপর সর্বদা নজর রেখেছেন আবহবিদেরা। বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে উপগ্রহচিত্র। সেই সব ছবি থেকেই নিম্নচাপের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য নিয়ে আগাম সতর্ক করছে হাওয়া অফিস।

    কত দূরে রয়েছে ‘দানা’? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবনের দেওয়া বুধবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় মধ্যেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে তা এগিয়ে আসছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহবিদদের অনুমান, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে। ‘ল্যান্ডফলের’ সময় এটির সর্বাধিক গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    দানার দাপটে বৃষ্টি কোথায়?

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Cyclone Dana) কারণে বুধবার আন্দামানের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ওড়িশার ভদ্রক, বালেশ্বর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, পুরী এবং খোরড়া জেলাও ভিজবে ভারী বৃষ্টিতে। পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের এই সব জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের আশঙ্কা।

    দিঘায় হোটেল খালির নির্দেশ

    বুধবার থেকেই রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার থেকেই ন’টি জেলার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল দিঘার (Digha) সৈকত। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের  হোটেল মালিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে হোটেল খালি করে দিতে হবে পর্যটকদের। ফলে, সমুদ্র সৈকত ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে পর্যটকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia) চত্বর সাজানো হয়েছিল সুদৃশ্য রঙিন রঙ্গোলিতে। সেই সঙ্গে জ্বালানো হয়েছিল নয়নাভিরাম দিয়া। দীপাবলি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তার আগে আনন্দ করছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। রাষ্ট্রীয় কলা মঞ্চের ব্যানারে আয়োজন করা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানের। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জ্যোতির্ময় ২০২৪’।

    ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’! (Jamia Millia Islamia)

    সাংস্কৃতিক এই অনুষ্ঠানে শিল্পীরা গাইছিলেন গান। রঙ্গোলি প্রতিযোগিতাও হচ্ছিল। জ্বালানো হয়েছিল হাজারো দিয়া। অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যখন আনন্দে আত্মহারা, তখনই কাটল তাল। হঠাৎই ইসলামিক স্লোগান (Islamic Slogans) দিতে থাকেন কয়েকজন ছাত্র। প্রতিবাদ জানান অনু্ষ্ঠানের। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘নারা-ই-তকবীর’, ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’। ঘটনাটিকে দ্রুত মোবাইল বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কয়েকজন ছাত্র। দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, হিন্দু-মুসলমানের সংঘর্ষ হচ্ছে। ঘটনার সময় হিন্দুরা দিতে থাকেন ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’।

    জামিয়া মিলিয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    হিন্দু উৎসবের বিরোধিতার সাক্ষী এর আগেও হয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ হোলি উৎসব পালন করছিলেন। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রঙ্গোৎসব’। আয়োজন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আচমকাই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় নেমে পড়েন কয়েকজন ছাত্র। শুরু হয় অশান্তি। সেই সময় এক্স হ্যান্ডেলে এক ছাত্র লিখেছিলেন, “সহিহ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কাফেরদের উৎসবে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয়। ভারতে হিন্দুরা যখন শুধু গরু খাওয়ার কারণে মুসলমানদের অত্যাচার করছে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, তখনও আপনি তাদের সঙ্গে উৎসব পালন করতে চান?” ইসলামে হিন্দুদের উৎসব (Jamia Millia Islamia) পালন করা হারাম বলে বিবেচিত হয়। তার জেরে এই বিশ্ববিদ্যালেয় নানা সময় হিন্দুদের উৎসব পালনের বিরোধিতা করেছে পড়ুয়াদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    হনুমান জয়ন্তী পালন, রাম নবমী উৎসব এবং নবরাত্রি উৎসব কিংবা সরস্বতী পুজো, সব সময়ই অশান্তি পাকিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ভাঙচুর, ইটের টুকরো ছোড়া, এসব ঘটনাও ঘটেছে। প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ক্যাম্পাসে স্লোগানও আগে দিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল পড়ুয়া হামাসের সমর্থনে (Islamic Slogans) ব্যাজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও এসেছিলেন (Jamia Millia Islamia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর পর পরই রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন (By Election 2024) হতে চলেছে। পুজোর এই আবহের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রচার চলছে জোর কদমে। এই অবস্থায় রাজ্যের চার জেলার সর্বত্র এবং অন্য দু’টি জেলার অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা এলাকায় আবাস যোজনার (Awas Yojana) অধীনে বাড়ি তৈরির প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। 

    কমিশনে কী অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি? (By Election 2024)

    রাজ্যের যে ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন, ওই সব জায়গায় আদর্শ নির্বাচনী বিধি (By Election 2024) জারি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, যে সব এলাকায় উপনির্বাচন হবে, সে সকল জায়গায় আবাস যোজনার কাজ চললে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। এ নিয়ে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে গিয়েছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা জানায়, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের যাচাই করার (ভেরিফিকেশন) কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। যে পাঁচ জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে এই যাচাই করার কাজ বন্ধ রাখা হোক। কারণ, উপনির্বাচনের জন্য পাঁচ জেলায় আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত যে তিন বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন সেখানে আবাস প্রকল্পের কাজ উপনির্বাচন না মেটা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে, অন্যান্য জেলা এবং জলপাইগুড়ি-উত্তর ২৪ পরগনার বাকি অংশে এই কাজ চলতে পারে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    কবে উপনির্বাচন?

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট (এই বিধানসভার কিছু অংশ জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে), উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় উপনির্বাচন (By Election 2024) রয়েছে। ২৩ নভেম্বর ভোটের ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশ মেনে আবাসের বাড়ি তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ফের উত্তপ্ত ঢাকা! এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের বাইরে বিক্ষোভ 

    Bangladesh Crisis: ফের উত্তপ্ত ঢাকা! এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের বাইরে বিক্ষোভ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ঢাকা (Bangbhaban Dhaka)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা দাবি নিয়ে আবারও ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভে সামিল ছাত্ররা (Bangladesh Crisis)। সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ, আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন-এর বাইরে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।

    পুলিশের সঙ্গে বিরোধ

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের (Bangbhaban Dhaka) সামনে শ’দুয়েক বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ (Bangladesh Crisis) জানাতে শুরু করে। কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে সক্রিয় হয় পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায়, লাঠিচার্জ করে। এতে ৫ জন জখম হয়েছেন। মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লা ও সমন্বয়ক সারজিস আলম উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভে ইতি টানার ডাক দিয়ে জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাঁরা যোগ্য রাষ্ট্রপতি বেছে ৭ দিনের মধ্যে পদে বসাবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন!

    কেন ফের উত্তপ্ত ঢাকা

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর সেনাপ্রধান আমেরিকা থেকে ফেরার পরেই তাঁরা এ বিষয়ে এগোবেন। রাষ্ট্রপতিকে সরানোর দাবি গত কয়েক দিন ধরেই তুলছিল কোটা-বিরোধী ছাত্ররা। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, দেশছাড়া হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনও ‘দালিলিক প্রমাণ’ নেই। এর পরেই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতিকে ‘মিথ্যাচারী’ বলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন। একই দাবি তোলেন ছাত্র সমন্বয়কেরাও। এর ফলে আবারও বিশৃঙ্খলা শুরু হয় ঢাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব দরজা (Kartarpur Sahib Corridor)। শিখদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মস্থল হল এই কার্তারপুর। শিখ ধর্ম মতে এই স্থানের গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত জায়গা শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যস্থান। দেশ ভাগের পর এই স্থান পশ্চিম পাঞ্জাব তথা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি পুনরায় স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    শত্রুতার খানিকটা অবসান (Kartarpur Sahib Corridor)

    পাকিস্তানের শত্রু মনোভাব এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজের জন্য উভয় দেশের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সংখ্যালঘু হিন্দু-শিখের ওপর অত্যাচারে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবার এই শত্রুতাকে ভুলে, দুই দেশের মধ্যে শিখ ধর্মাবলম্বীদের কথা মাথায় রেখে কার্তারপুর (Kartarpur Sahib Corridor) ধর্মস্থলে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বাক্ষর হয়েছে। এই কার্তারপুর করিডর চুক্তির মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। দুই দেশই এই চুক্তির মাধ্যমে শত্রুতার খানিকটা অবসান ঘটাতে পেরেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেজ্ঞরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চুক্তির কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন।

    পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জয়শঙ্কর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানিজেশনের একটি বৈঠকে যোগদান করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবনহ উপ-প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে কার্তারপুর করিডর নিয়ে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ইসলামাবাদের জোর করে অতরিক্ত ফি বাড়ানো নিয়ে দুইদেশের মধ্যে আলোচনা করা চলছে।

    আরও পড়ুনঃ কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে ভারতের বাইরে চলে যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। এরপর থেকে শিখ ধর্মের পুণ্যার্থীরা দাবি করেন, কার্তারপুরের (Kartarpur Sahib Corridor) গুরুদোয়ারায় যেন দর্শন করতে যেতে পারা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হোক। এরপর কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাকিস্তান সরকার একটি করিডরের মধ্যে দিয়ে কার্তারপুর দর্শনের সুযোগ করে দেয়। এই চুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার থেকে ৫ বছর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ধর্মস্থলে যেতে পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়। এবার থেকে এই ফি মুকুব করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আগামী ৫ বছরের জন্য শ্রীকর্তারপুর সাহিব করিডরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থানে যাতায়াতের সুযোগ তৈরির লক্ষ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share