Author: user

  • Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা (Kaliaganj Minor Girl Death) এবার চলে এল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই নাবালিকার বাবা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে হাজির হন। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশ যেভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে, তাতে তাঁদের কোনও আস্থা নেই। তাই তাঁরা চান, সিবিআইকে দিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। একই সঙ্গে তিনি ক্ষতিপূরণেরও আবেদন জানান। বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন। গুরুত্ব বুঝে খুব সম্ভবত বিষয়টি বৃহস্পতিবারই শুনানির জন্য উঠতে পারে। জানা গিয়েছে, আবেদনকারীর হয়ে মামলা লড়বেন বিজেপির আইনজীবী সেলের কনভেনর লোকনাথ চ্যাটার্জি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে একটি পুকুরের ধার থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।

    মৃতার পরিবারের পাশে বিজেপি 

    মঙ্গলবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিজেপি ওই পরিবারকে সবরকম সাহায্য ও সহযোগিতা করবে। এমনকি তারা যদি হাইকোর্টে মামলা করতে চায়, তাতেও তাঁরা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগাগোড়াই অভিযোগ করে আসছেন, এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। ওই নাবালিকার পরিবার হাইকোর্টে মামলা করলে তাঁরা তাঁদের পাশে থাকবেন। বুধবার নাবালিকার পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় বিজেপির উদ্যোগেই। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হয়ে নাবালিকার বাবা তাঁর অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার (Kaliaganj Minor Girl Death) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শাসক দলের নেতারা। তাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। একমাত্র সিবিআই তদন্তভার হাতে নিলেই প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে বলে তিনি মনে করেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ (Kaliaganj Minor Girl Death)। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজবংশী, তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পাল্টা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

    অন্যদিকে, রবিবারই কালিয়াগঞ্জে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচককাণ্ড নিয়ে মুখ্য়সচিব এবং ডিজিপি-কে ফোন করে রিপোর্ট চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Public Toilet: পুরবোর্ডের মেয়াদ পেরিয়েছে এক বছর, এখনও তালাবন্দি ৭৭টি শৌচালয়!

    Public Toilet: পুরবোর্ডের মেয়াদ পেরিয়েছে এক বছর, এখনও তালাবন্দি ৭৭টি শৌচালয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও ক্লাবের ফাঁকা জায়গায় শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তৈরির কিছুদিন পর থেকেই অনেক শৌচালয় (Public Toilet) বন্ধ। কিছু কিছু শৌচালয় বানানোর পর খোলাই হয়নি। আবার যেগুলি চালু ছিল, তার কোথাও জলে প্রচুর আয়রন, কোথাও আলোর ব্যবস্থা নেই, কোথাও নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়। এই সামান্য সমস্যাগুলি দূর করতে এতদিন উদ্যোগ নেয়নি কেউই, এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।

    সমস্যাটা ঠিক কী?

    দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট শহরে বন্ধ সাধারণ শৌচালয়গুলি (Public Toilet)। পুরবোর্ডের মেয়াদ এক বছর পার হলেও শহরের ৭৭ টি শৌচালয় এখনও তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছমাস আগে পুরসভার তরফে এক কোটি টাকা বরাদ্দে ওই শৌচালয়গুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি। এমনকি অধিকাংশ শৌচালয়ের কাজ শেষ হলেও তা তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরে। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভার দায়িত্ব নিয়ে এমন বহু কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও হয়নি। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, বিগত পুরবোর্ডের আমলে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শহরে নতুন ৭৭ টি সাধারণ শৌচালয় (Public Toilet) গড়ে তোলার কাজ শেষ করা হয়। মূলত নির্মল বাংলা বা স্বচ্ছ মিশনের আওতায় এই শৌচালয়গুলি গড়ে তোলা হয়। নতুন পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসতেই এই বন্ধ থাকা শৌচালয়গুলি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। ‘সুডা’ থেকে প্রায় ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নভেম্বর মাস থেকে সেগুলির সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন বছরেই সেগুলি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও আজও তা হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহরে।

    পৌরসভা প্রতিক্রিয়ায় কী জানাল?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, শহরের সাধারণ শৌচালয়গুলি (Public Toilet) সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কোনওটার ইলেক্ট্রিকের কাজ বাকি, কোনওটার জলের পাইপলাইনের কাজ বাকি। তাই সেগুলি তালাবন্দি অবস্থায় রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজগুলি শেষ হবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই চালু হয়ে যাবে। এছাড়াও শহরের বহু উন্নয়নের কাজ হয়েছে এবং অনেক কাজ চলছে।  

    সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

    এবিষয়ে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস বলেন, আমাদের এলাকায় একটি সাধারণ শৌচালয় (Public Toilet) রয়েছে। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাজার এলাকায় এবং ডাক্তার দেখাতে বহু মানুষ বাইরে থেকে প্রত্যেকদিন আসে। কিন্তু তারা এই সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করতে না পেরে রাস্তার ধারে মূত্র ত্যাগ করছে। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, তহবাজারে যে শৌচালয় রয়েছে, তা দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। যার ফলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয়। এর আগে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম, তারা এবিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তবুও কোনও কাজ হয়নি। 

    সরব বিরোধীরা

    অন্যদিকে, বিরোধীরাও এবিষয়ে (Public Toilet) সরব হয়েছেন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, তৃণমূল বোর্ড কোনও কাজই করতে পারছে না। শহরকে নির্মল বা স্বচ্ছ বললেও সামাজিক শৌচালয়গুলিকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়ে ফাঁকা জায়গাতেই মূত্রত্যাগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আরএসপির জেলা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শহরে বহু সামাজিক শৌচালয় (Public Toilet) বন্ধ রয়েছে। সেগুলির জন্য কোটি টাকা এসেছে। কিন্তু তবুও কেন শৌচালয়গুলি খোলা হচ্ছে না, জানি না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CSC: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    CSC: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল স্তরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি কলেজে শিক্ষক নিয়োগেও (CSC) অনিয়মের অভিযোগ জোরালো হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই আবহের মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ উঠছে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া ঘিরে। সিএসসি বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের (CSC) তরফে অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৯৮টি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সোমবার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং ছিল। গত ২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের ইন্টারভিউয়ে সফল ১৭২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (CSC)। কিন্তু সোমবার কাউন্সেলিংয়ে কমিশনের তরফে অধ্যক্ষহীন কলেজের নাম দেখার জন্য কোনও ডিসপ্লে বা নোটিস বোর্ড ছিল না বলে অভিযোগ জানালেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় কে কত পেয়েছেন সেই স্কোরও এদিন প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এদিনই অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ‘‘আমাদের কাছে এই বিষয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। অধ্যক্ষ নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাবের কথা জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ইমেল করা হয়েছে।’’

    ঠিক কী অভিযোগ

    প্রার্থীদের অভিযোগ, পরের র‍্যাঙ্কে থাকা প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট কলেজ ‘বুক’ করে রাখা হয়েছিল। মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীদেরও পছন্দের কলেজ দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। আবার, প্রার্থীদের র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী, শূন্য পদ আগেই পূরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়। এখানেও শেষ নয়। কাউকে বলা হয়, কলেজের নাম বাইরে বলবেন না। কাউকে বলা হয়েছে, গার্লস কলেজে পুরুষ অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যাবে না। আবার অনেককে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের শিক্ষিকার পছন্দের কলেজে শূন্য পদ নেই।

    অধ্যক্ষ নিয়োগের যোগ্যতামানও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ

    অধ্যক্ষ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান হলো অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হওয়ার আগে কোনও শিক্ষককে তিনটি যোগ্যতামান পেরোতে হতে হয়। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে বেসরকারি কলেজে কর্মরত প্রার্থীরা ইউজিসির বিধি অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতামান অর্জন করলেন কী ভাবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: নিম্নমানের সামগ্রী! রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা 

    Panchayat Road: নিম্নমানের সামগ্রী! রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজকর্মেই যেন পরতে পরতে দুর্নীতির ছবি ফুটে উঠছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অন্তত এমনটাই। আর হবে নাই বা কেন? মানুষ তার নিত্যদিনের অভিজ্ঞতায়, দৈনন্দিন জীবনযাপনে (Panchayat Road) এই ধরনের বহু ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। আর তাকে কেন্দ্র করে দিকে দিকে দানা বাঁধছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ।

    কেন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা?

    যে রাস্তা (Panchayat Road) দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করবে, সেই রাস্তাই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরির অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি আরামবাগের তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মইগ্রাম এলাকার। অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর পর এই রাস্তা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেটা এতই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করছে ঠিকাদার, যে তা দেখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেন।

    সারাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই খারাপ?

    হুগলির আরামবাগের তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের শিয়ালি থেকে ২২ মাইল পর্যন্ত রাস্তাটি (Panchayat Road) প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি প্রায় দু’দশক ধরে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। খারাপ রাস্তার জন্য স্কুল, কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়তেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, গত কুড়ি বছরের মধ্যে দু-একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়েছে, কিন্তু কখনই তা সঠিকভাবে হয়নি। রাস্তা সারাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই সেটি আবার খারাপ হয়ে যায়। এদিকে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বড় বড় ট্রাক ও ভারী যানবাহন যাতায়াত করে। এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের দাবি, এবার ভালো করে রাস্তা সারাইয়ের কাজ করতে হবে। ভালো সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে হবে। তা না হলে কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।

    কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি?

    যদিও এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেড়া জানান, বর্তমানে আমাদের রাজ্যে যে সরকার চলছে তারা দুর্নীতিতে (Panchayat Road) জড়িয়ে পড়েছে। তাদের আর কোথাও বাকি নেই দুর্নীতি করতে। সামনে নির্বাচন আসছে। মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: বিধায়কের আশ্বাসেও আস্থা নেই, জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

    Drinking Water: বিধায়কের আশ্বাসেও আস্থা নেই, জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে অন্ডাল ব্লকের কাজোড়া গ্রামে পানীয় জলের (Drinking Water) সংকট। রানীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক সপ্তাহ আগে এখানে জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। যদিও বিধায়কের আশ্বাসে আস্থা নেই গ্রামবাসীদের, এমনটাই স্থানীয়দের একাংশ বলছেন। জল সংকটের মুখে কাজোড়া পান্ডাপাড়ার বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে কাজোড়া-বহুলা প্রধান সড়ক অবরোধ করেন।  পুরুষরা রাস্তার মাঝখানে বসে এবং মহিলারা রাস্তার উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান।  বিক্ষোভের জেরে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে কাজোড়া রেলগেটও বন্ধ থাকায় জ্যাম আরও বেড়ে যায়।  

    ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কী অভিযোগ করছেন?

    গ্রামবাসী বিজয় পান্ডা, শুশান্ত পান্ডা, শুভদীপ মোদি প্রমুখ বলেন, আমাদের এলাকায় বছরের পর বছর ধরে জলের (Drinking Water) সমস্যা রয়েছে।  প্রতিটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত জল সংকটের নিরসন হয়নি। কয়েকদিন আগে এখানে এসেছিলেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন,  এবার আর কোনও নেতার আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস করি না। সমস্যা এতটাই গভীর যে এলাকার মানুষ প্রতিটি ফোঁটা জলের জন্য ব্যাকুল। ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকায় ট্যাঙ্কার পৌঁছায় না। ট্যাঙ্কারগুলোও অর্ধেক জল নিয়ে আসে, যে কারণে মানুষ পর্যাপ্ত জল পায় না। তাই প্রতিবাদ করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।  বিক্ষোভের খবর পেয়ে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিশ।  পুলিশ গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করে।  দীর্ঘ বিক্ষোভের পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ শেষ হয়।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রাণকৃষ্ট নোনিয়া বলেন, কাজোড়া গ্রাম বছরের পর বছর ধরে জলের (Drinking Water) সমস্যায় ভুগছে।  প্রতিদিন ওই এলাকায় ট্যাঙ্কারে জল সরবরাহ করা হচ্ছে।  রেলগেট সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকায় মানুষ সঠিক সময়ে জল পাচ্ছে না, যার কারণে সমস্যা হচ্ছে।  পিএইচই ট্যাপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।  শীঘ্রই এলাকার জলের সংকট কেটে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hili Land Port: ট্রাকে জুলুমবাজি ও টাকা তোলার অভিযোগ, উত্তাল স্থলবন্দর, পরিবহণ দফতর ঘেরাও

    Hili Land Port: ট্রাকে জুলুমবাজি ও টাকা তোলার অভিযোগ, উত্তাল স্থলবন্দর, পরিবহণ দফতর ঘেরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে বাংলাদেশে রফতানির কাজে যুক্ত ট্রাক থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, এমটাই অভিযোগ ট্রাক মালিকদের। এনিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি জেলাশাসককে তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগপত্রও দেন। এমনকী আরটিও এবং এমভিআই ট্রাক মালিকদের উপর জুলুমবাজি না থামালে গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে জমা করে তারা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই সংগঠন। এই নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিবহণ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান ট্রাক মালিকরা।

    কী লেখা হয়েছে ট্রাক মালিকদের অভিযোগপত্রে?

    দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, আমদানি-রফতানি ব্যবসায় (Hili Land Port) স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাঁদের ব্যবসা না থাকায় চরম দুরবস্থায় পড়ে অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। সেইসব লরি চালকদের উপর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছে আরটিও এবং এমভিআই। “আরটিও ও এমভিআই অফিসারের অত্যাচার ও তাদের টাকা আদায়ের চাপে জীবন ওষ্ঠাগত। পণ্যবাহী ট্রাক পিছু ৩০০০ এবং স্টোনচিপস-এর ট্রাক পিছু ১২০০ টাকা করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এজেন্টের কাছে অগ্রিম এন্ট্রি না করালে রাস্তায় ট্রাক আটকে জরিমানার ভয় দেখিয়ে নগদে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ট্রাক মালিকরা প্রতিবাদ স্বরূপ সই সংগ্রহ করে অভিযোগপত্রের সঙ্গে দিয়েছেন।

    কী জানালেন জেলাশাসক?

    সোমবার এই ঘটনা (Hili Land Port) প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়েছে গোটা জেলাতে। অভিযোগপত্র পেয়ে সুনির্দিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, আরটিও-র বিরুদ্ধে এমন একটি লিখিত অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে বিষয়টি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছে। তারাই এই বিষয়টি দেখবে এবং যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water Crisis: কল আছে, জল নেই! অসহ্য কষ্টের মুখে গ্রামের গৃহবধূরা চলে যাচ্ছেন বাপেরবাড়ি!

    Drinking Water Crisis: কল আছে, জল নেই! অসহ্য কষ্টের মুখে গ্রামের গৃহবধূরা চলে যাচ্ছেন বাপেরবাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। বেলা বাড়লেই গনগনে রোদে অস্থির অবস্থা। এর মধ্যে যদি জল না মেলে? এমনই পরিস্থিতির শিকার হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ। কল আছে, জল নেই! পানীয় জলের তীব্র কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছেন বাসিন্দারা। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাড়ির স্ত্রী ও পুত্রবধূরা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের পুরুষ মানুষরা। পানীয় জলের সংকটের এক ভয়াবহ দৃশ্য ফুটে উঠেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াগাছি গ্রামে। জানা গেছে, গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পানীয় জলের সংকটে ভুগছে ওই গ্রামের প্রায় ৪০০ টি পরিবার। নলকূপ থেকে জল উঠছে না। জলের জন্য হাহাকার করছে গোটা গ্রাম। পুকুরের নোংরা জল দিয়ে চলছে বাসন মাজা ও স্নান। কেউ কেউ আবার পুকুরের জল দিয়েই করছে ভাত রান্না। গ্ৰাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঠে সেচের কাজে ব্যবহৃত সাবমার্শিবল থেকে জল নিয়ে আসছেন গ্রামের পুরুষরা। সেই জল পান করছেন পরিবারের সকলে।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামে বছর চারেক আগে সরকার থেকে দুটো সাবমার্শিবল বসানো হলেও মাসখানেক যেতে না যেতেই সেগুলো বিকল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে মোটর দুটি চুরি করে নিয়ে গেছে। এমনকি গ্রামে থাকা একটি সরকারি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না (Drinking Water Crisis)। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মাস খানেক আগে একটি সাবমার্শিবল বসালেও তার জল পান করতে দিচ্ছেন না জমির মালিক বাবুল আক্তার বলে অভিযোগ। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান নিজের বাড়িতে সরকারি সাবমার্শিবল বসিয়ে একাই ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। 

    ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি

    যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই দুজনই। জমির মালিক বাবুল আক্তার বলেন, তাঁর জমিতে সাবমার্শিবলটি বসানো হলেও পাড়ার সবাই জল পান করছে। জল পান করতে কাউকে তিনি কখনও বাধা দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান জানান, তিনি নিজের টাকায় বাড়িতে সাবমার্শিবল বসিয়েছেন। না জেনেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ (Drinking Water Crisis) করা হচ্ছে।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ?

    হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় দু মাস জল সংকটে (Drinking Water Crisis) ভুগছে মুড়াগাছি গ্রামের মানুষ। জলের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে রান্না পর্যন্ত হয় না। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসুকে গ্ৰামের জলের সমস্যাটি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। শীঘ্রই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হলেন রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা নিতে এসে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনই অভিযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন এক রোগী। আর এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেক রোগীর পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ডায়ালিসিস করাতে আসছে না বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা এক রোগী এর আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। মূলত ডায়ালিসিস বিভাগে অব্যবস্থা নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের পর পরই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ডায়ালিসিস ইউনিট খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই ওই রোগী ফের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিটে একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর তারজন্যই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পরে, শারীরীক পরীক্ষা করে জানা যায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা ৮ জনের মধ্যে ৫ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের তিনি দাবি জানান।

    কী বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ?

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরই মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কল্যাণী (Kalyani) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের হাসপাতালে ১০টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। তারমধ্যে একটি বেড এইচআইভি রোগীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবু, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সুপারের নেতৃত্ব ৮ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপাওয়ার কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে যে পাঁচজন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করবেন। আর হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ওই ছাত্রের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের সময় দুজনকে অবশ্যই হাজির থাকতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত, যাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন হাইকোর্ট ওই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছে। অন্যজন হলেন সেই চিকিৎসক, যিনি ইতিমধ্যেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন এবং যাঁর দেওয়া রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ময়নাতদন্তের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ত্রুটি আছে মনে করাতেই তিনি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করে ৩০ শে জুন মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    যে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে এই রহস্য, তাঁর নাম ফাইজন আহমেদ। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা এই ছাত্রটি থাকতেন খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলে। ২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় (Student Death)। বি টেক থার্ড ইয়ারের ছাত্র ফাইজনকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, ফাইজনের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার স্পষ্ট চিহ্ন তাঁরা দেখেছেন। সেই কারণে মাথার ওই অংশে ছিল জমাটবাঁধা রক্ত। অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে। তার ঘর থেকে বিষ জাতীয় ওষুধও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী ওই ছাত্রের হাতের শিরা ছিল কাটা, এমনটাই দাবি করে পুলিশ আত্মহত্যার তত্ত্বকেই জোরালো করে। এরপরই ওই ছাত্রটির পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে। সেই কমিটির রিপোর্টই এদিন জমা পড়ে, যেখানে ওই ছাত্রের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মূলত দাবিমতো তোলার টাকা না পেলেই পুলিশ ওই রাস্তা অবলম্বন করে, এমন অভিযোগও প্রায়শই শোনা যায়। এই ধরনের অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা সরকার এই ধরনের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার টাকা কোন পুলিশ কর্মী দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট করে দিয়েছে, তদন্তে যদি দেখা যায় একাধিক পুলিশ কর্মী দোষী, তাহলে জরিমানার টাকা সকলকেই দিতে হবে। আরও উল্লেখযোগ্য নির্দেশ হল, এই টাকা দিতে হবে পুলিশ কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে।

    কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ?

    এই ঘটনার সঙ্গেও স্বাভাবিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী হলেন বিশাল শুক্লা। ঘটনাটি ২০২২ সালের ৯ ই মার্চের। ওইদিন বিশালকে তাঁর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ এবং পরের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় মাদক মামলায়। বিশাল শুক্লা এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বিগত পুরসভা নির্বাচনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ শুক্লার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় কংগ্রেস গোড়া থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে এবং বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই পুলিশ বিশাল শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে মাদকের মতো জঘন্য মামলা দিয়েছে। পুলিশ বিশালের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করেছিল, সেটিও খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে সেটি পাঠিয়ে দিয়েছে। 

    বারবার এমন ঘটনা কেন?

    এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণে নেমেছে। মামলাকারী কংগ্রেস কর্মীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচির কথায় ফিরে এসেছে তাঁকে পুলিশের মাঝ রাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। তার তীব্র কটাক্ষ, বিরোধীদের কথা বলা বন্ধ করতে সরকার হাতিয়ার করছে পুলিশকেই। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের সেই ভাইরাল ভিডিওর কথা, যেখানে তিনি পুলিশকে গাঁজা কেস দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এদিনের নির্দেশের পর পরিস্থিতি কি আদৌ বদলাবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share