Author: user

  • Chardham Yatra: চারধাম যাত্রায় আজ খুলছে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মন্দির! কেদারনাথ, বদ্রীনাথ কবে?

    Chardham Yatra: চারধাম যাত্রায় আজ খুলছে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মন্দির! কেদারনাথ, বদ্রীনাথ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্ম মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথি থেকে শুরু হয় চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra)। চারধাম হল, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী। ২২ এপ্রিল যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী ধামের মন্দির খুলছে। ২৫ এপ্রিল খুলছে কেদারনাথ ধাম। ২৭ এপ্রিল বদ্রীনাথ ধাম খুলছে। চারধাম যাত্রায় অংশ নেন দেশ বিদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। যাত্রায় আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। শেষ খবর পাওয়া অবধি চলতি বছরে নাম নথিভুক্ত করেছেন প্রায় ১২ লক্ষ ভক্ত।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, চারধামের (Chardham Yatra) অবস্থান হল দেশের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। সেই কারণে এই রাজ্যকে দেবভূমিও বলা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই ভূমিতে দেবতাদের বাস। চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra) প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন,  রাজ্য প্রশাসনের তরফে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হবে চারধাম যাত্রা। দর্শনার্থীরা সব ধরনের সুবিধা পাবেন। চার ধাম যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ১২ লক্ষের উপর ব্যক্তি এই যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্তি করিয়েছেন। এমনভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে সকলের যাত্রাই ভাল হয়।

    প্রশাসনের গাইডলাইন

    চারধাম যাত্রার জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, 

    ১. পার্বত্য এলাকায় আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরের খাপ খাওয়ানোর জন্য অন্তত ৭ দিন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুণ্যার্থীদের।
        
    ২.ছাতা, রেনকোট, গরম জামাকাপড়, খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
        
    ৩.পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন এবং প্রতিদিন প্রায় আধা ঘণ্টা হাঁটুন।
        
    ৪.চার ধাম যাত্রার আগে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
        
    ৫.কোনও কারণে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ১০৪ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন।
        
    ৬.চার ধাম যাত্রা চলাকালীন করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট।

    কেদারনাথ ও বদ্রীনাথের মাহাত্ম্য

    কেদারনাথ মন্দিরের ভিতরের প্রথম হলটিতে পাঁচ পাণ্ডব ভাই, কৃষ্ণ, নন্দী, শিবের পথপ্রদর্শক এবং শিবের অন্যতম অভিভাবক বীরভদ্রের মূর্তি রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার একটি হিন্দুদের একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত শহরটিকে ঘিরে থাকে হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ। কেদারনাথ শহরে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি ছোট চার ধাম তীর্থ-চতুষ্টয়ের অন্যতম।

    আদিগুরু শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠা করেন বদ্রীনাথ ধামের। দুটি ভিন্ন পাহাড়ের মধ্যিখানে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধাম। এই দুই পর্বতের নাম হল নর ও নারায়ণ। নর ও নারায়ণ পর্বতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে অলকানন্দা নদী। শ্রী বিষ্ণু এই মন্দিরে বদ্রীনারায়ণ রূপে পূজিত হন। শালগ্রাম শিলার তৈরি বদ্রীনাথজির বিগ্রহ এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত। মন্দিরে ঢোকার মুখে তিন ফুটের বেশি লম্বা মূর্তি মন্দিরের অন্যতম মূল আকর্ষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার কাঁকসার বামুনারায়  রাজু ঝা খুনের ঘটনায়  ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিল সিট (SIT) -এর সদস্যরা। রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে যান দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালান সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। এবার সিসি টিভি খতিয়ে দেখতে অভিজিতের বাড়িতে পৌঁছাল সিট (SIT)।

    সিসি টিভি খতিয়ে দেখে কী পেল সিট (SIT)?

    নারায়ণ খারকার দোকানের পর এবার ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিট (SIT) । তার বাড়ির সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তবে, সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টার  ভিডিও ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। নেই ২৪ ঘণ্টার আগের কোনও ভিডিও ফুটেজ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, কী কোনও বিশেষ প্রমাণ লোপাট করতেই মুছে ফেলা হয়েছে সেই সমস্ত ফুটেজ? মূলত তারসঙ্গে কার ওঠাবসা ছিল, তার বাড়িতে কারা কারা আসত তা খতিয়ে দেখতেই সিটের আধিকারিকরা সিসি টিভি খতিয়ে দেখেন। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শুটারদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল অভিজিত্। কয়েকমাস ধরেই শুটাররা টার্গেট করছিল রাজুকে। অবশেষে ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল রংয়ের গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়। পুলিশ তাকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Collapse: রাস্তা জুড়ে ফের ধস! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

    Collapse: রাস্তা জুড়ে ফের ধস! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস (Collapse) ! এবার ধসের (Collapse) আতঙ্কে ঘর ও দোকানপাট ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে এমনই চিত্র উঠে এল অন্ডালের পড়াশকোল এলাকায়। এদিন দুপুর থেকেই অন্ডালের পড়াশকোল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বিশেষ করে চোখের সামনে চলাচলের রাস্তা জুড়ে বিশাল ফাটল দেখে অনেকের রাতে ঘুম চলে যায়।  পড়াশকোল এলাকার প্রসিদ্ধ পদ্মাবতী মন্দির রয়েছে এখানে। মন্দিরে পুজো দিতে বহু ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু, এদিনের ধসের কারণে মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যাও কম ছিল।

    ধস (Collapse) নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের একাংশ লক্ষ্য করেন ,পড়াশকোলের বগুলা কাজরা যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর জায়গায় জায়গায় গভীর আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত দুই বছর আগে এই এলাকায় ব্যাপক আকারে ই সি এল- এর খোলা মুখ খনির কারণেই ধসের (Collapse) সৃষ্টি হয়েছিল।  সেই মুহূর্তে এলাকা ও ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কে ধস (Collapse) কবলিত এলাকা থেকে দূরে ক্লাব ঘরে বাস করছেন। দুই বছর আগে ধসের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন, শাসক দল, ইসিএল আধিকারিকদের বৈঠক করে। সেই সময় এলাকাবাসীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আলোচনা হয়। কিন্তু দু’বছর পার হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আজও আতঙ্কে বসবাস করছেন এলাকার মানুষ । প্রসঙ্গত, পড়াশকোল এলাকা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জামবাদ খোলামুখ খনি এলাকায় দু’বছর আগে ধসে তলিয়ে যায় আস্ত একটা বাড়ি,তলিয়ে যায় বাড়ির লোকজনও। বেশ কয়েক দিনের চেষ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার হয় মাটির তলা থেকে। এই ঘটনার পরেই আতঙ্কিত জামবাদ,পড়াশকোল এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসনের দাবি জানান ইসিএলের দফতরে। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা এলাকায় থাকছিলেন। এদিন নতুন করে ধস (Collapse) শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের নাম ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায়। তারা লাভপুর থানায় কর্মরত।  বৃহস্পতিবারই তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগে চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে লাভপুরে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায় নামে  দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। চরম গরমের কারণে ওই বধূ সিভিকদের কাছে গিয়ে পানীয় জল চান। এমনিতেই দুপুরের দিকে মন্দির চত্বর ফাঁকা ছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই সিভিক পানীয় জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই জল খেয়ে ওই বধূ অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে সাহায্য করার নাম করে সিভিক ভলান্টিয়াররা  অতিথি শালায় নিয়ে যান। সঙ্গে করে চার বছরের শিশু কন্যাকে তাঁরা নিয়ে যান। এরপর অতিথিশালার ভিতরে পালা করে তারা ওই বধূকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পরে, ওই বধূ বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। পরে, তিনি স্বামীকে সমস্ত বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই স্ত্রীকে সঙ্গে করেই তাঁর স্বামী ১৯ এপ্রিল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, নদিয়ার হাঁসখালিতে কিশোরীকে ধর্ষণ (Rape) এবং পরে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়িতে মদ্যপানের আসরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু হাঁসখালি নয় তেহট্টের বাড়িতে মা বাবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের (Rape)  অভিযোগ উঠেছিল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এবার মন্দিরের অতিথিশালা নিয়ে গিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে বীরভূম জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় যা যা করার দরকার তা করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল অফিসে ঝোলানো হল তিনটি তালা! শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূল অফিসে ঝোলানো হল তিনটি তালা! শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তালা ঝুললো তৃণমূলেরই (TMC) দলীয় কার্যালয়ে। তবে, একটি নয়, তিন-তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ছবি আরামবাগের হরিণখোলার হরাদিত্য এলাকার একটি তৃণমূল (TMC) কার্যালয়ের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দলের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    দলীয় কার্যালয় কোন নেতার দখলে থাকবে, সেই নিয়েই দুই নেতা ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ। এলাকা দখল নিয়ে আরামবাগের হরিণখোলা অঞ্চলে তৃণমূলের (TMC) যুব ও মাদার সংগঠনের দ্বন্দ্ব বরাবরই। বর্তমানে হরিণখোলার তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি পার্থ হাজারির সঙ্গে তৃণমূল যুব অঞ্চল সভাপতি স্বরূপ দাসের বিবাদ চলছে। দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিবাদ। আর সেই বিবাদের জেরেই এক পক্ষ তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা?

    যুব তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে হরাদিত্য এলাকায় দলীয় কার্যালয় আমরা ব্যবহার করে আসছি। সেখান থেকেই দলের সমস্ত কাজকর্ম আমরা করি। সম্প্রতি অঞ্চল সভাপতি নতুন গঠন হওয়ার পর, নবনির্বাচিত অঞ্চল সভাপতি নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। এমনকি হরাদিত্য এলাকার তৃণমূলের (TMC) কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে তালা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    যদিও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পার্থ হাজারি বলেন, এলাকায় বিজেপি-র দুষ্কৃতীদের উৎপাত বেড়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কারণে রাতে তালা দেওয়া হয়। কিন্তু, সকালে জানতে পারি একটি তালার বদলে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেও হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে তা উর্ধ্বতন নেতৃত্ব ও প্রসাশনকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)ব্লক সভাপতি?

    এবিষয়ে  আরামবাগের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির সরকার বলেন, অঞ্চলের কার্যালয় অঞ্চল সভাপতির অধীনে চলবে। তবে, তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে আমরা জানাব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, শাসকদলের কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে অভিযোগ করছে। আসলে, তৃণমূল (TMC) দলে কারও সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। সবাই নিজেকে নেতা মনে করেন। তাই, ওদের দলে এত গোষ্ঠীকোন্দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Land Dispute: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে মর্মান্তিক পরিণতি, কাকাকে খুনে গ্রেফতার ভাইপো!

    Land Dispute: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে মর্মান্তিক পরিণতি, কাকাকে খুনে গ্রেফতার ভাইপো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদের (Land Dispute) জেরে ভাইপোর হাতে খুন হয়েছেন কাকা এবং প্রকাশ্য দিবালোকে গলায় ছুরির কোপ মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রানিপুরা গ্রামের ঘটনা। 

    কীভাবে ঘটল ওই মর্মান্তিক ঘটনা?

    রানিপুরা গ্রামের বাসিন্দা ইখতেয়ার হোসেন (৪৫)। একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বিবাদ (Land Dispute) চলছিল তাঁরই ভাইপো মুশফিক রেজার (২৫)। জমির আল নিয়েই ছিল বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে ৩ দিন আগে মুশফিক রেজার হাতে আক্রান্ত হন ইখতেয়ার হোসেন। সেই সময় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করান তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপরেই কুশিদায় নিজের দোকানে যাচ্ছি্লেন ইখতেয়ার। সেই সময় প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মাঝেই তাঁকে গলায় ছুরির কোপ মারে ভাইপো মুশফিক। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ইখতেয়ার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে তুলসীহাটাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় হরিশচন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় বিক্ষোভ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মুশফিক রেজাকে। এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। পরিবার এবং এলাকার লোকেরা ‘খুনীর’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ইখতেয়ার হোসেনের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার।

    কী বলছেন মৃতের আত্মীয়রা?

    মৃতের আত্মীয় রমজান আলি বলেন, জমি নিয়ে ওদের মধ্যে বিবাদ (Land Dispute) চলছিল। তিনদিন আগেও ঝামেলা চলছিল। তারপর আজ এই ঘটনা ঘটে। মৃতের আরেক আত্মীয় ইফতেসার হোসেন বলেন, এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে দিল! আমরা এই ঘটনার বিচার চাইছি। খুনিকে যেন কোনোভাবেই না ছাড়া হয়। মৃতের স্ত্রী নাজিমা খাতুন বলেন, আমার বাড়িতে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। এখন আমরা কী করবে, কোথায় যাব। রাস্তায় সবার সামনে ছুরি মেরেছে। খুনি যাতে আজীবন শাস্তি পায়, এটাই দাবি জানাবো।

    পুলিশ কী জানালো?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ অফিসার জাকির হোসেন বলেন, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বারবার দেখা যাচ্ছে জমি নিয়ে বিবাদের ঘটনা। বিবাদের জেরেই হচ্ছে গণ্ডগোল। যেখান থেকে খুনোখুনি পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হওয়ায় এলাকার নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে এলাকারই একটি পাঁচদিনের অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক। শিশুটিকে মৃত ভেবে বাড়িতে নিয়ে চলে গেলে সে নাকি পুনরায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে এবং হাত-পা নাড়া শুরু করে। এরপরই বাড়ির লোক তৎক্ষণাৎ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেখানে পৌঁছলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন শিশুটিকে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে গভীর রাতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। গভীর রাতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ভালুকা এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় ভালুকা ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা এলাকার গোবরা গ্রামের বাসিন্দা তপন মহালদারের পাঁচদিনের শিশু রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক তাকে স্থানীয় ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Hospital) নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আই ফারানা ইয়াসমিন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং তৎক্ষণাৎ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাড়ির লোক শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এলে শিশুটি চোখ মেলে তাকায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। পুনরায় ওই শিশুকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁচলে রেফার করেন। সেখানে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আর কিছুক্ষণ আগে আনলেই শিশুটিকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনা জানার পরে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে শিশুটি মারা গেল। এর দায় কে নেবে। গ্রামবাসীরা ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন। বিক্ষোভকারী এক গ্রামবাসী নীরদ চৌধুরী বলেন, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে আজকে এই শিশুর মৃত্যু হল। আমরা চাই ওই চিকিৎসকের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।

    কী বললেন অভিযুক্ত চিকিৎসক?

    এদিকে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হয়, তার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: দলীয় কর্মীদের হামলায় টিএমসিপি-র নেতাসহ জখম চার, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Attack: দলীয় কর্মীদের হামলায় টিএমসিপি-র নেতাসহ জখম চার, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই কামারহাটি পুরসভা এলাকায় বেআইনি বাড়ি নির্মাণে বাধা দেন তৃণমূল কাউন্সিলর। আর তারজন্য কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের কামারহাটিতে তৃণমূলের  গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলায় (Attack) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা সহ চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূলের রোহিত সিংয়ের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দেবজ্যোতি দে-এর লোকজনের গণ্ডগোল হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। এদিন এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এবার বেলঘড়িয়া আদর্শপল্লি এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দেবজ্যোতি দে এবং তাঁর সঙ্গীদের ওপর রোহিত সিং এর দলবল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Attack) চালায় বলে অভিযোগ । অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশ, হকি স্টিক ও পিস্তল দিয়ে হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন জখম তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী?

    জখম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী দেবজ্যোতি দে বলেন, আমরা ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা বাইকে করে ১০-১২ জন এসে আমাদের ওপর হামলা (Attack) চালায়। হামলা (Attack)  চালানোর সময় রোহিত সিংসহ কয়েকজনের নাম করে হুমকিও দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কে রয়েছি। থানায় অভিযোগও জানিয়েছি। অভিযুক্ত রোহিত সিং নির্দল কাউন্সিলর বাবু মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। রোহিত সিং এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনায় যাদের দিকে অভিযোগের আঙুল সেই নির্দল পুরপিতা বাবু মণ্ডল ও রোহিত সিং এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি?

    বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সায়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সংগঠনের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা বাবু মণ্ডল আর রোহিত সিংয়ের নাম নেয়। আসলে দুষ্কৃতীরা এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। ছাত্র, যুব কর্মীরা তাতে বাধা দিচ্ছে। এটাতেই তাদের আপত্তি। তাই, এই ধরনের হামলা (Attack) চালানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, তৃণমূলের সময় ঘনিয়ে এসেছে । কামারহাটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akshay Tritiya 2023: মহাভারতের রচনা থেকে গঙ্গার মর্ত্যে আগমন! কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার?

    Akshay Tritiya 2023: মহাভারতের রচনা থেকে গঙ্গার মর্ত্যে আগমন! কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হিন্দুধর্মে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023)। দীপাবলি বা ধনতেরাসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এই তিথি। অনেকে এদিন সোনা কিনে থাকেন। দেশের নানা প্রান্তে অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) ‘আখা তিজ’ নামেও পরিচিত। শুধুমাত্র হিন্দুদের কাছেই নয়, জৈন সমাজের কাছেও দিনটির মাহাত্ম্য রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস এই তিথিতে পূজা-অর্চনায় জীবনে সমৃদ্ধি বিরাজ করে। সাধারণত, অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya 2023) দিনে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। পয়লা বৈশাখের মতো অনেক দোকানে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেও হালখাতা শুরু করা হয়। অনেক বাড়িতেও অক্ষয় তৃতীয়ায় লক্ষ্মী পুজো করা হয়। পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিভিন্ন মন্দিরেও পুজো দেন অনেকে। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক আখ্যান।

    অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya 2023) মাহাত্ম্য

    পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Tritiya 2023) বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়াকে দেশের অনেক প্রান্তে পরশুরাম জয়ন্তীও বলা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন জন্মেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম।

    ঋষি জমদগ্নি ও মাতা রেণুকার পুত্র পরশুরাম জাতিতে ব্রাহ্মণ হলেও আচার আচরণে ছিলেন ক্ষত্রিয়। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে তিনি পৃথিবীকে ২১ বার ক্ষত্রিশূন্য করেছিলেন। ব্রহ্মক্ষত্রিয় পরশুরামের রাজত্ব ছিল দেশের বিস্তীর্ণ অংশে।

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই সত্য যুগের অবসান ও ত্রেতা যুগের শুরু হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়া থেকে নতুন যুগের শুরু করা হয়। ভবিষ্যপুরাণ অনুসারে সত্য, ত্রেতা ও কলিযুগের সূচনা হয়। দ্বাপর যুগের অবসান ঘটে অক্ষয় তৃতীয়াতেই।

    সত্যযুগে নারায়ণ মত্‍স্য, কূর্ম, বরাহ ও নরসিংহ অবতার রূপে ধরাধামে আসেন। ত্রেতাযুগে তিনি বামন অবতার, পরশুরাম অবতার ও রাম অবতার রূপে জন্ম নেন। অধর্মের বিনাশ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে বারবার অবতার-রূপে পৃথিবীতে এসেছেন বিষ্ণু।

    বিশ্বাস মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Tritiya 2023) শ্রীকৃষ্ণের বাল্যবন্ধু সুদামা তাঁকে অন্ন ভোগ দেন।

    পুরাণ অনুযায়ী, এই বিশেষ তিথিতেই  সুদামা তাঁর বাল্যবন্ধু শ্রীকৃষ্ণকে অন্নভোগ দেন। তার পরিবর্তে কৃষ্ণ তাঁর এই প্রিয় বন্ধুকে সুখ ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।

    এরপর থেকেই সুদামার জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস এইদিন দান করলে তার ফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।

    মহাভারত অনুসারে বনবাসে থাকাকালীন অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেন।

    এই দিনই দ্রোপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, যাতে বনবাসে তাঁদের কখনও খাদ্যাভাব না হয়।

    পুরাণ মতে দেবী অন্নপূর্ণার কাছেই এই পৃথিবীর সমস্ত খাদ্য রয়েছে। এদিন খাদ্যসামগ্রী দান করলে কোনও খাবারের অভাব হয় না বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই কারণে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই ক্ষেতে বীজ রোপণ করা শুরু করেন কৃষকরা। 

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই বেদব্যাস মহাভারত লেখা শুরু করেন।

    মহাভারতকে বলা হয় পঞ্চম বেদ। অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারত রচনা শুরু করেন।

    মহাভারতের মধ্যেই রয়েছে শ্রীমদ ভগবত্‍ গীতা। বলা হয়ে থাকে, গীতার অষ্টদশ অধ্যায় যিনি পাঠ করেন, তাঁকে কোনও দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করতে পারে না।

    অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) ভগীরথের প্রার্থনায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা।

    পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসেন দেবী গঙ্গা।

    এদিন থেকে মর্ত্যে প্রবাহিত হতে শুরু করে এই পূণ্যসলিলা নদী। রাজা ভগীরথ তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেবের বরে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা। ভক্তদের বিশ্বাস, গঙ্গার জলে স্নান করলে গত সাত জন্মের পাপ ধুয়ে যায় বলে মনে করা হয়।

    কুবেরকে এই বিশেষ তিথিতে বরদান করেছিলেন মহাদেব।

    পুরাণ মতে, এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেছিলেন। এ দিনেই কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।

    চারধামযাত্রা ও চন্দন উৎসব

    পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই।

    অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই (Akshay Tritiya 2023) রথ তৈরির কাজে হাত লাগানো হয়।

    পুরীর জগন্নাথ ধামে এদিন থেকেই ধুমধাম করে শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। টানা ২১ দিন চলে।

    চারধামযাত্রা শুরু হয় এদিন থেকেই।

    এদিন থেকেই খুলে যায় চারধামের অন্যতম বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা।

    তার সঙ্গে এদিনই মথুরায় বাঁকে বিহারীর দর্শন পাওয়া যায়। সারা বছর পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকেন বাঁকে বিহারী। তাঁর চরণ দর্শন করতে পারলে মৃত্যুর পর স্বর্গে স্থান হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GAIL: ক্ষতিপূরণ নিয়ে বচসা, কেন্দ্রীয় সংস্থার গ্যাসের পাইপলাইনের কাজ বন্ধ করে দিলেন জমিদাতারা

    GAIL: ক্ষতিপূরণ নিয়ে বচসা, কেন্দ্রীয় সংস্থার গ্যাসের পাইপলাইনের কাজ বন্ধ করে দিলেন জমিদাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে থমকে গেল কেন্দ্রীয় সংস্থার (GAIL) গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ। হলদিয়া থেকে পানাগড় শিল্পতালুক পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে বেসরকারি কারখানাগুলির জ্বালানির জন্য গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু জমি নিয়ে সেই আন্দোলনের জেরে আপাতত প্রকল্পটি অথই জলে পড়ে গেল। গেইল বা গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড হল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা মাটির নিচ দিয়ে হলদিয়া থেকে পানাগড় শিল্পতালুক পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে।

    কীভাবে বন্ধ হয়ে গেল কাজ?

    বৃহস্পতিবার সকালে সংস্থার কর্মীরা যন্ত্রপাতি এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বুদবুদের খান্ডারি গ্রামে মাটির তলা দিয়ে পাইপলাইন (GAIL) বসানোর কাজ শুরু করতেই প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ ও জমির মালিকরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর দুপুর নাগাদ হঠাৎই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সংস্থার কর্মীদের। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বুদবুদ থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রাখা হয় কাজ।

    কী দাবি এলাকার বাসিন্দাদের?

    এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি শতকে তাঁদের ৮০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ২৪ হাজার টাকা। সেই ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁরা কোনওভাবেই কাজ শুরু করতে দেবেন না। যদিও এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি (GAIL) প্রশাসনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়। তারপরই বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন গ্রামবাসীরা।

    কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?

    পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, এটা (GAIL) স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়। স্থানীয় প্রশাসনেরই তো হিয়ারিং করার কথা। জানিনা আদৌ হিয়ারিং হয়েছে কিনা। তৃণমূলের নেতারা হয়তো  মাঝখানে এসে নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে নিয়েছে। এটা তদন্তের বিষয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেই পাইপলাইনের কাজ চলছে। পাইপ লাইনের কাজ তো হবেই। কিন্তু যাদের জমির উপর দিয়ে কাজটা হবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করাটা তো স্থানীয় প্রশাসনেরই দায়িত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share