Author: user

  • Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আজও রীতিমতো গরমের হলকা ও অস্বস্তি বজায় থাকবে। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ বিগত কয়েকদিনের মতোই থাকবে। বেলা বাড়লেই রয়েছে লু’-এর সতর্কতা। এ বছর গরমের বাড়াবাড়ি। গত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে পারদ। দার্জিলিংয়েও যেন গরমের অনুভূতি। হতাশ পর্যটকরা। তবে উত্তরবঙ্গের মাটি আজ ভিজতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা  

    ২০ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় বৃষ্টি না হওয়ায় একটাই কারণ ছিল, জলীয় বাষ্পের অভাব। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করায় সুখবর মিলল। শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে কবে হবে আবহাওয়ার পরিবর্তন

    তবে ২২ শে এপ্রিল আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। প্রচণ্ড গরমের দাবদাহ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। উপকূলের জেলা-সহ তিন-চার জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে সপ্তাহের শেষে। 
    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ২২ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া। এদিকে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় তাপের সঙ্গে শুরু হয়েছে আর্দ্রতার অত্যাচার। ফলে কলকাতায় ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে। ঘর্মাক্ত পরিবেশে অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ চলবে (Weather Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    Nepal: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর মধ্যে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নেপালে সবথেকে বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬১ সালে যেখানে নেপালে মাত্র ৪৫৮ জন খ্রিস্টান বাস করতেন, সেখানে ২০১১ সালের সেনসাসে মোট জনসংখ্যার ১.৪ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ছিলেন। আবার, ২০২২ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। নেপালের এই ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তনে বিপদ দেখছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক এবং ধর্মীয় বিন্যাস ক্রমশই বদলে যাচ্ছে নেপালে। বিশেষজ্ঞদের মতে নেপালের সামাজিক এবং ধর্মীয় বিন্যাস স্থিতিশীল ছিল ২০০৬ পর্যন্ত। তখন নেপাল ছিল একটি হিন্দু রাষ্ট্র। কিন্তু পরবর্তীতে নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে যখন থেকে আত্মপ্রকাশ করে, তখন থেকে সুযোগটা নিতে থাকে মিশনারিরা।

    সেদেশে ৬৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে United Mission নামের একটি সংগঠন

    সেদেশের হিন্দু বৌদ্ধরা এই ধর্মান্তকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তবুও কাজ সেভাবে হচ্ছেনা বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে নেপালের সংবিধানে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারা রয়েছে, তবে তা শুধুমাত্র সংবিধানেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তার কোনও প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায়না। আন্তর্জাতিক খ্রীস্টান সংগঠনগুলি থেকে ব্যাপক ফান্ডিং আসে নেপালে। মিশনারিরা ধরেই নিয়েছেন যে নেপাল হল তাদের সহজ লক্ষ্যবস্তু। তারা প্রতি মুহূর্তে সক্রিয় ধর্মান্তকরণের কাজে। জানা যাচ্ছে সেদেশে ৬৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে United Mission নামের একটি সংগঠন। খাতায় কলমে দেখায় যে তারা গরিব এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করে, কিন্তু আদতে তাদের লক্ষ্য নেপালকে খ্রীস্টান রাষ্ট্র বানানো। এই কাজে তাদের সাহায্য করে চলেছে বিভিন্ন খ্রীস্টান এনজিও।

    উত্তর নেপালে মিশনারিদের এই প্রভাব সবথেকে বেশি

    উত্তর নেপালে মিশনারিদের এই প্রভাব সবথেকে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। গরিব মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, তাদের ভাল জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখিয়ে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মান্তকরণ করে চলেছে।  “to make Christ known by word and life”……. এই নামে চলছে প্রচার অভিযান। অন্যদিকে মুসলিম সংগঠনের নেতারা এবং খ্রীস্টান সংগঠনগুলি লাগাতার দাবি জানিয়ে আসছে ধর্ম পরিবর্তনের অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দানের জন্য। ২০১৪ সালে সেদেশের ব্রিটিশ দূত বলেন, ব্যক্তির নিজ ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তনকে আমরা সর্বদাই সমর্থন করি। ধর্ম পরিবর্তনের অধিকারকে সদা সুরক্ষিত রাখব আমরা।

    গসপেল অফ ট্রুথ কেন প্রচার করা হচ্ছে গরিব মানুষের সেবা কাজে 

    সেদেশের খ্রিস্টান মিশনারিরা অবশ্য এসব অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলছে, আমরা কাউকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করছিনা। সবাই নিজেদের জীবনকে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বানানোর জন্য খ্রিস্টান হচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সবাই যখন নিজের ইচ্ছায় খ্রিস্টান হচ্ছে, তবে বাইবেলের সঙ্গে তাদের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে? গসপেল অফ ট্রুথ কেন প্রচার করা হচ্ছে গরিব মানুষের সেবা কাজে?

    সবথেকে বেশি ধর্মান্তকরণের কাজ মিশনারিরা করেছে ২০১৫ সালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময় 

    বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সবথেকে বেশি ধর্মান্তকরণের কাজ মিশনারিরা করেছে ২০১৫ সালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময়। সেসময় সেবা কাজের অজুহাতে তারা ব্যাপক ধর্মান্তকরণ চালাতে থাকে। ভূকম্প বিধ্বস্ত নেপালে তখন ঘরবাড়ি হারান বহু সংখ্যক মানুষ, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে এগিয়ে আসে মিশনারিরা।

    একনজরে….

    ১৯৫১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা –  ০

    ১৯৬১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৪৫৮

    ২০১১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৩,৭৬,০০০

    ২০২২ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৫,৪৫,০০০

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল আনিসুর রহমান ওরফে গুড্ডু রহমান নামে তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাপুটে এক নেতার সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রায় দেখা যায়। ফলে, তৃণমূল কর্মী হয়ে দলীয় কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ওই কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়া হল?

    মূলত বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকির (Threat) মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে, সেই নির্মাণে কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। কামারহাটির গুড্ডুর বিরুদ্ধে ওই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর মার্চ মাসে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে। সেই কাউন্সিলরের মতো কামারহাটি পুরসভার ওই কাউন্সিলরের হাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় বলেন, আসলে এলাকার মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আমার ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে কাজ করতে বাধা দিয়েছি। এরপরই ওই গুড্ডু আমাকে ফোন করে হুমকি (Threat)  দিতে থাকে। পানিহাটি কাউন্সিলরের মতো আমার হাল হবে বলে হুমকিও দেয়। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

     এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, এই বিষয়ে আমি খোঁজ নেব। গুড্ডু আমাদের দলেরই কর্মী। তাই, এই ধরনের হুমকির (Threat) ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক নয়। এরকম অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তাই, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলছি না। অভিযোগ সত্য হলে দলগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিষয়টি সম্পর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য জয় সাহা বলেন, নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরাই অভিযোগ করছে। বেআইনি নির্মাণ করবে আর কাউন্সিলরকে টাকা দেবে না এটা কখনও হয়? এসব করেই এই দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। বুধবার ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানা…

    এর প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এর পরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন? কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন, ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই অভিযোগ (অমিত শাহকে ফোন) মিথ্যা। শুভেন্দুকে ভুঁইফোড় এবং কিম্ভূতকিমাকার সম্বোধন করে মমতা বলেন, দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দড়ির উপর খেলা দেখাতেন (Chinese Acrobat) স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ৩০-৪০ ফুট উচ্চতায় এক দড়ি থেকে অন্য দড়ি লাফিয়ে ধরতেন। অতখানি উচ্চতায় কখনও জাম্প করে একে অপরকে ধরতেন। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। ৩০ ফুট উচ্চতায় স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের আনহুই প্রদেশে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, মৃতা মহিলার নাম সান। অন্যান্যদিনের মতো এদিনও তিনি দড়ির উপর আক্রোব্যাট করছিলেন স্বামীর সঙ্গে। এটাই ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। প্রথম থেকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ঘটে এমন দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তাঁদের দুজন কখনও সেফটি বেল্ট পরে স্টান্ট দেখাতেন না। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এই ভিডিও ইতিমধ্যে পৃথিবী জুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

    স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি অশান্তি চলছিল?

    চিনের (Chinese Acrobat) মিডিয়ার একাংশ দাবি করেছে, এদিন ঘটনার সময় বাদানুবাদ চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মৃতার স্বামী। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে কাজ করছি। কখনও আমাদের মধ্যে অশান্তি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC)-সঙ্গ অস্বীকার করলেন প্রবীণ নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।

    মুকুল রায় (Mukul Roy)…

    তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দূরত্ব হেতু ২০১৭ সালে ঘাসফুল শিবির থেকে সরে আসেন মুকুল রায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। ২ থেকে ১৮টিতে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ মুকুল ফ্যাক্টরের পক্ষেই সওয়াল করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হন মুকুল। জয়ীও হন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে পরেই তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তিনি (Mukul Roy) ফেরেন ঘাসফুল শিবিরে। পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ। এনিয়ে বিধানসভায় হইচই হয় বিস্তর।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মুকুলের এই ‘দলবদলে’র কারণে স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এমতাবস্থায় স্ত্রী বিয়োগ হয় মুকুলের। তারপর বেশ কিছুদিন আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। বুধবার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি আমি। আমি সব সময় বিজেপির সঙ্গে থাকব। দল আমাকে যে কাজ দেবে, তাই করব। মুকুল দিল্লি যাওয়ার পরে মিসিং ডায়েরি করেন পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি শুভ্রাংশুর। ছেলের দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুকুল (Mukul Roy) দাবি করেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। জেলা সভানেত্রীও দলীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের কী অবস্থান, তা জানিয়ে দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃত্ব। দিলীপ বর্মনকে দেখেই তিনি অন্য নেতাদের মাধ্যমে তাঁকে সেই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় জেলা নেতৃত্ব মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য?

    এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের জেলা সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ বর্মন। তিনি যে জেলা সভানেত্রী তথা জেলা কমিটিকে মানেন না, সেকথাও বুধবার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে আমাকে এখান থেকে কেউ টিকিট দেয়নি। কলকাতা থেকে আমার টিকিট এসেছে। আর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের (TMC) এখানকার নেতানেত্রীরা আমাকে জেতাননি।  তাই, এখানে কে কী বলছেন, আমি সে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের আমন্ত্রণেই আমি গিয়েছিলাম। আমি গোটা ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  জেলা সভানেত্রী?

    এদিকে দিলীপ বর্মনের এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্কিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল।  জেলা কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেইমতো মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি থেকে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: চলতি আইপিএলে ফের গড়াপেটার ছায়া! সিরাজকে কেন ফোন করেছিলেন জুয়াড়ি?

    IPL 2023: চলতি আইপিএলে ফের গড়াপেটার ছায়া! সিরাজকে কেন ফোন করেছিলেন জুয়াড়ি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি আইপিএলে (IPL 2023) ফের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা সামনে এল। আইপিএল বাজিতে টাকা হেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এক ব্যাক্তি। তিনি সিরাজকে প্রলুব্ধ করেছিলেন, সিরাজ যদি তাঁকে দলের ভিতরের জিনিসগুলি বলেন, তাহলে তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে পারেন। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ পুরো বিষয়টি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (এসিইউ) জানিয়ে দেন।

    সিরাজকে ফোন

    বিসিসিআই সূত্রে খবর, সিরাজের কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। যেখানে তাঁর কাছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অন্দরের খবর জানতে চাওয়া হয়। জানানো হয়, সেই ব্যক্তি জুয়া খেলতে গিয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই ক্ষতি মেটাতে দলের অন্দরের খবর জানতে চান। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজ অ্য়ান্টি করাপশন ইউনিটে অভিযোগ জানান। বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, “সিরাজকে যে বার্তা পাঠিয়েছিল, সে পেশাদার কোনও জুয়াড়ি নয়। হায়দরাবাদের একজন বাসচালক, যে ভারতের ম্যাচে নিয়মিত জুয়া খেলে। একাধিক জুয়ায় হেরে যাওয়ার পর হতাশা থেকেই সিরাজকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল।” সিরাজের অভিযোগ পাওয়ার পরেই অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন: বিরাট-তিক্ততা! সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরকে অনুসরণ করা বন্ধ করলেন সৌরভ-কোহলি

    অতীতে ম্যাচ গড়াপেটাকাণ্ডে কলঙ্কিত হয়েছে আইপিএল। এস শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান এবং অজিত চাণ্ডিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তারপরে চেন্নাই দলের তৎকালীন মুখ্যকর্তা গুরুনাথ মেইয়াপ্পানকেও গ্রেফতার করা হয়। চেন্নাই এবং রাজস্থান দলকে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অপরাধে দু’বছর করে নির্বাসিত করা হয়। তারপর থেকে আইপিএল-সহ সব ধরনের ক্রিকেটে দুর্নীতি আটকাতে সক্রিয় বোর্ড। আইপিএলে প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন অ্যান্টি করাপশন অফিসার রয়েছেন। যিনি দলের প্রতিটি মুভমেন্টে নজর রাখেন। কী করতে হবে আর কী করতে হবে না, প্রতিটি প্লেয়ারকে তা জানিয়ে দেন সেই অফিসার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের একমাত্র রাস্তা পাকা না হলে ভোট (Panchayet Vote) বয়কটের ডাক দিলেন বাসিন্দারা। এমনকি গ্রামে পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, এমনটাই আক্ষেপ তাঁদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা চিতাবাঘ থেকে ভিজে বিড়াল হয়ে যান। জোড়হাত করে হাজির হন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে গালভরা প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট ফুরোলেই আবার তাঁরা বাঘ হয়ে যান’। বছরের পর বছর এই ঘটনার সাক্ষী হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরের বাসিন্দারা। তাই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গ্রামের রাস্তা তৈরি না হলে কেউই ভোট দিতে যাবেন না।

    কী অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের?

    গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূল দাবি করে, তারা ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নাকি মানুষের দুয়ারে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। দরজা, জানালা খুললেই নাকি উন্নয়ন দেখা যায়। এদিকে জগৎপুর গ্রামের মানুষ দরজা খুললেই গ্রীষ্মে প্রখর ধুলোর ঝড় দেখেন, বর্ষায় এক হাঁটু কাদা দেখতে পান, সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রামের মহিলারা শাড়ি গুটিয়ে চলাচল করেন, বৃষ্টি হলে ছেলেবুড়ো সকলে জুতো হাতে করেই চলাচল করেন। প্রায় ১ কিমি পথ জুতো হাতে চলার পর পায়ের কাদা পরিষ্কার করে তবেই জুতো পরতে পারেন। দরজা খুলে এই উন্নয়ন যখন দেখা যায়, তখন খাতায়কলমে গ্রামে ঢোকার মুখে উন্নয়নের আরও একটি চিত্র দেখা যায়। সেখানে একটি বড় সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এই বোর্ডটি বছর দুয়েক আগে লাগানো হয়েছিল। বোর্ডের অর্ধেক লেখা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে গেছে। ভালো করে পড়া যায় না। মোটামুটি যেটা বোঝা যায় তা হল, সাড়ে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করে এই গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তাটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ভোটের আগে (Panchayet Vote) এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। 

    অশেষ ভোগান্তি নিয়ে গ্রামের মহিলারা কী বলছেন?

    এই বিষয়ে এলাকার গৃহবধূ অনিমা সামন্ত বলেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিয়ের জন্য দেখাশোনায় যাঁরা আসছেন, তাঁদের একটাই বক্তব্য, এখনও ভাঙাচোরা মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে এখানকার মানুষ। তাহলে বর্ষাকালে  কী পরিস্থিতি তৈরি হয়? একটু বৃষ্টি হয়ে গেলেই আসার আর কোনও পথ নেই। আর যাই হোক, যাঁরা দেখাশোনার জন্য আসবেন, তাঁরা জুতো হাতে এতটা পথ পেরিয়ে আসবেন, তা সম্ভব নয়। তাই কেউ বিয়ে করতে এলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে পালকি করে অথবা খালি পায়ে কাদা ভেঙেই আসতে হবে। এতটা ঝুঁকি নিয়ে কেউ বিয়ে করতে চাইছে না এখানে।” অপরদিকে আরেক গৃহবধূ ঝর্ণা সামন্ত বলেন, “মেয়েদের সম্মান রক্ষাও এই গ্রামে যথেষ্ট মুশকিল। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুর উপর পর্যন্ত কাপড় গুটিয়ে চলাচল করতে হয়। বাচ্চা কোলে কাদা ভাঙা যথেষ্ট মুশকিল। সারা বছরই শুনি সব কিছু হয়ে গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এবার আর প্রতিশ্রুতিতে ভুলছি না। আগে রাস্তা, তারপর ভোট। রাস্তা না হলে কেউ ভোট (Panchayet Vote) দিতে যাব না।

    কী প্রতিশ্রুতি দিলেন অঞ্চল প্রধান?

    এই রাস্তাটি যে সত্যিই প্রয়োজনীয়, তা বালি অঞ্চলের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালও স্বীকার করছেন। তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হবে”। সবমিলিয়ে এখন দেখার, প্রশাসন বা শাসকদল ভোট বয়কট Panchayet Vote রুখতে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয় কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Karnataka Assembly: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন। দক্ষিণের এই রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারক কারা, সোমবার তার তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। ১০ মে হতে চলেছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই কোমর কষে নামছে পদ্ম শিবির। জানা গিয়েছে, তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতানেত্রীর। এদিন যে ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির, তা থেকে স্পষ্ট, কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    উত্তর ভারতে একের পর রাজ্য দখল করতে সক্ষম হলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্ম শিবির। কর্নাটককে (Karnataka Assembly) বলা হয় দক্ষিণের গেটওয়ে। তাই কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরতে কোমর বেঁধে নামছেন বিজেপি নেতারা। তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশাপাশি নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীশ গড়করি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রমুখের। তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের নামও। বিজেপির ওই তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহান, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, কেএস এসারাপ্পাও রয়েছেন ওই তালিকায়। বর্তমানে কর্নাটকে (Karnataka Assembly) প্রচারে রয়েছেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। দু দিনের সফরে কর্নাটকে রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে গিয়েছেন নাড্ডা। ২১ এপ্রিল থেকে তিনদিনের কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যে দুটি রোড শোয়ে অংশ নেবেন শাহ। গত মাসে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম কর্নাটক সফরে যাচ্ছেন শাহও। এদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই এবং ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের। প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। ভোট হবে এক দফায়। ফল বেরবে ১৩ মে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share