Ayurveda Detox Tips: আয়ুর্বেদিক উপায়ে শরীরকে ডিটক্স করে তুলবেন কীভাবে?

1271918-body

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরকে ডিটক্স করার কথা সমস্ত ডায়েটেসিয়ানরাই বলে থাকেন। তবে অনেকেই ডিটক্সের আসল অর্থ জানেন না। আমাদের শরীরে অনবরত টক্সিক পদার্থ বা বিষাক্ত পদার্থ খাবার, পানীয়, শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করে। আর এই বিষাক্ত পদার্থকে শরীর থেকে বের করে দেওয়া মানেই শরীরকে ডিটক্স করা। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা প্রয়োজন। অর্থাৎ, শরীরকে ডিটক্স করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা থেকে বড়সড় রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের ত্বকের, অন্ত্রের, ফুসফুসের, কিডনির এবং লিভারের থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলেই শরীরে এই ডিটক্সিফিকেশন হয়।  আয়ুর্বেদের কিছু টোটকা মেনে চললেই শরীরকে ডিটক্স করা খুব সহজ।

শরীরকে ডিটক্স করার জন্য আমাদের সবসময় খাবার ও পানীয়ের প্রতি বেশি নজর রাখা উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার জন্য ফাইবার, ভিটামিন সি, সালফার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক এবং হাইড্রেটিং সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। কিডনি থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে হাইড্রেট থাকাও জরুরি। কিছু খাবার যেমন- সেলেরি, ডাবের জল, তরমুজ ইত্যাদি কিডনির জন্য উপকারী।

আরও পড়ুন: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

আবার কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের ফলেও শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হয়। এতে ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে উপোস বা ইন্টারমিটেন্ট উপোস করলেও শরীরের জন্য ভালো। তবে উপোস করলে সঠিক নিয়ম মেনে করতে হবে। আবার যোগব্যায়ামও শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং প্রাণায়াম ফুসফুসকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এগুলোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদে কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন সহজ হয়।

  • সন্ধ্যা ৭টার আগে রাতের খাবার খেতে হবে। ঘুমনোর ৪-৫ ঘণ্টা আগে ডিনার করা জরুরি। এতে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।
  • সকালে খালি পেটে সবজি বা ফলের রস খান। শসা, করলা বা লাউয়ের ডিটক্স জুস খাওয়া বেশি উপকারি। এগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
  • সপ্তাহে একবার লিক্যুইড ডায়েট মেনে চলুন। তরল খাবার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, ওজন কমায় এবং হজমশক্তিকে উন্নত করে। পাশাপাশি এটি ক্যালোরির বদলে পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লিক্যুইড ডায়েট করা উচিত।

  

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share