Category: বিনোদন

Get updates on Entertainment News Celebrities, Hollywood, Bollywood, Tollywood Movies, Web series, OTT from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Shree Hanuman Chalisa: গুলশান কুমারের হনুমান চালিশা প্রথম ভারতীয় ভিডিও যা ইউটিউবে পার করল ৫০০ কোটি ভিউ!

    Shree Hanuman Chalisa: গুলশান কুমারের হনুমান চালিশা প্রথম ভারতীয় ভিডিও যা ইউটিউবে পার করল ৫০০ কোটি ভিউ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী হনুমান চালিশার (Shree Hanuman Chalisa) ভিডিও নির্মাতারা নতুন দর্শক সংখ্যার তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৪ বছরের পুরনো ভক্তিমূলক এই ভিডিওটি ইউটিউবে ৫০০ কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে। ভারতীয় ভক্তিমূলক গানের এই ভিউ এখন বিরাট মাইলফলক। যেখানে অন্যান্য শীর্ষ ভারতীয় ভিডিওগুলি ২০০ কোটিরও কম ভিউ (Indian videos) রয়েছে, সেখানে শ্রী হনুমান চালিশা দেশের সর্বোচ্চ ভিউর ভিডিও হিসাবে সামাজিক মাধ্যমে অবস্থান করছে।

    ভিডিও নির্মাণ হয়েছিল ২০১৪ সালে (Shree Hanuman Chalisa)

    টি-সিরিজের প্রখ্যাত গীতিকার প্রয়াত গুলশান কুমার অভিনীত “শ্রী হনুমান চালিসা”-র (Shree Hanuman Chalisa) ভিডিওটি (Indian videos) ২০১১ সালের ১০ মে প্রকাশিত হয়েছিল। গত ১৪ বছরে এটি ধীরে ধীরে ৫,০০৬,৭১৩,৯৫৬ বার দেখা হয়েছে। হরিহরণের কণ্ঠ এবং ললিত সেনের সুরে, এটি এখন বিশ্বব্যাপী ইউটিউবের সর্বাধিক দেখা ভিডিওগুলির মধ্যে একটি। হনুমান ভক্তদেরও মধ্যে বিরাট উচ্ছ্বাসে প্রতিছবি ধরা পড়েছে।

    টি-সিরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূষণ কুমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “হনুমান চালিশা লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। আমার বাবা শ্রী গুলশান কুমারজি আধ্যাত্মিক সঙ্গীতকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ এই মাইলফলক ভিডিও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। ৫০০ কোটি ভিউ অতিক্রম করা এবং ইউটিউবের সর্বকালের সেরা ১০টি সর্বাধিক দেখা ভিডিও হওয়া কেবল একটি ডিজিটাল প্রাপ্তি নয়; ভারতের মতো দেশের জন্য মানুষের যথেষ্ট ভক্তিরও প্রতিফলন।”

    আর কোন কোন ভিডিও এগিয়ে?

    ‘শ্রী হনুমান চালিশা’-এর (Shree Hanuman Chalisa) সংখ্যার কাছাকাছি কোনও ভারতীয় ভিডিও নেই। এরপরে পরেই সর্বোচ্চ ভিউ হওয়া ভিডিও গুলির মধ্যে হল পাঞ্জাবি ট্র্যাক লেহেঙ্গা, যা ১৮০ কোটি ভিউ পেয়েছে। হরিয়ানভি গান ৫২ গজ কা দমন এবং তামিল গান ‘রাউডি বেবি’, যা ১৭০ কোটি ভিউ পেয়েছে। শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য জনপ্রিয় ভারতীয় ভিডিওগুলির মধ্যে রয়েছে ‘জারুরি থা’, ‘ভাস্তে’, ‘লৌং লাচি’, ‘লুট গে’, ‘দিলবার’ এবং ‘বাম বাম বোলে’।

    বিশ্বব্যাপী, ‘বেবি শার্ক ড্যান্স’-এর ভিউ ১ হাজার ৬৩৮ কোটি, ‘ডেসপাসিটো’-এর ভিউ ৮৮৫ কোটি, ‘হুইলস অন দ্য বাস’-এর ভিউ ৮১৬ কোটি, ‘বাথ সং’-এর ভিউ ৭২৮ কোটি এবং ‘জনি জনি ইয়েস পাপা’-এর ভিউ ৭১২ কোটি। এগুলি ভিডিও-এর তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তবে ‘শ্রী হনুমান চালিশা’ এখনও পর্যন্ত ইউটিউবে সর্বাধিক দেখা ভারতীয় ভিডিও।

  • Dharmendra: ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ‘এক যুগের সমাপ্তি’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Dharmendra: ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ‘এক যুগের সমাপ্তি’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন শোলে-র বীরু। সোমবার, ৮৯ বছর বয়সে মুম্বইতে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। প্রয়াত অভিনেতা (Bollywood) এই মাসের শুরুতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বলিউডের হি-ম্যান হিসেবে খ্যাত ধর্মেন্দ্র ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে এক অসাধারণ সিনেমার সম্ভার রেখে গিয়েছেন দর্শক মহলে। পর্দায় তাঁর শেষ অভিনীত সিনেমা হল ‘ইক্কিস’। আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে এই চলচ্চিত্র। ধর্মেন্দ্রর দুই স্ত্রী প্রকাশ কৌর এবং হেমা মালিনী। সব মিলিয়ে ছয় সন্তান তাঁর। ছেলে মেয়েদের মধ্যে হলেন, অভিনেতা সানি দেওল, ববি দেওল, অভিনেত্রী এষা দেওল, অহনা দেওল, অজিতা এবং বিজেতা। আগামী মাসের ৮ তারিখ হবে তাঁর ৯০ তম জন্মদিন। কিন্তু তাঁর আগেই চলে যাওয়ায় ভক্ত মহলে তীব্র শোকের ছায়া।

    সিনেমায় ছয় দশক কাজ করেছেন (Dharmendra)

    ধর্মেন্দ্র কৃষ্ণ দেওলের (Dharmendra) জন্ম ৮ ডিসেম্বর পঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি গ্রামে। বলিউড চলচ্চিত্র (Bollywood) জগতে প্রবেশের আগেই তিনি ১৯৫৪ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরকে বিবাহ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অভিনেত্রী হেমা মালিনীকেও আবার বিয়ে করেন। চলচ্চিত্র জগতে তিনি ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। অ্যাকশেন, রোমান্টিক এবং হাস্যকর চরিত্রের ভূমিকায় সমানভাবে প্রতিভার প্রমাণ রেখে গিয়েছেন এই অভিনেতা। ২০১২ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

    ছয় দশকে তাঁর কর্মজীবনে ‘শোলে’, ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’, ‘মেঘেরা’-সহ অসংখ্য হিট সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়াও ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘নৌকার বিবি কা’, ‘ফুল অর পাথর’, ‘সত্যকাম’, ‘অ্যায় মিলান কি বেলা’, ‘দিল নে ফির ইয়াদ কিয়া’, ‘আয়ে দিন বাহার কে’, ‘আঁখেঁ’, ‘আয়া সাওয়ান ঘুম কেউজু’, ‘মিস্টার জুম’, ‘ধরম বীর’, ‘আজাদ’, ‘গজব’, ‘লোহা’, ‘হুকুমত’ এবং ‘আপনে’-র মতো সিনামায় কাজ করেছেন। পুত্র সানি দেওল অভিনীত এবং তাঁর প্রযোজনায় নির্মিত ‘ঘায়েল’ সিনেমা জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে ধর্মেন্দ্রর ‘ফুল অর পাথর’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ এবং  ‘রেশম কি ডোরি’ সিনেমা।

    সামাজিক মধ্যেম বেশ সক্রিয় ছিলেন

    গত ১৫ দিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। মাঝে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও পৌঁছে ছিলেন। কিন্তু শ্বাসকষ্ঠের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ৮৯ বছর বয়সেও, ধর্মেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন। প্রায়শই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং জৈব জীবনযাত্রার প্রচারমূলক ভিডিও শেয়ার করতেন। তাঁর অনেক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ট্র্যাক্টর চালানো, কৃষি খামারের যত্ন নেওয়া এবং তাঁর ভক্তদের সহজ জীবনযাপনের নানা কথা বিনিময় করতেন। একই ভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নানাবিধ টিপস দেওয়ার ছবিও বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে। তিনি শেষবার ২০২৪ সালে শাহিদ কাপুর এবং কৃতি শ্যানন অভিনীত রোম্যান্টিক কমেডি ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যাইসা উলঝা জিয়া’ সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁর চলে যাওয়া চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

    ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন স্ত্রী হেমা মালিনী, মেয়ে ঈষা দেওল, অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আমির খান সহ আরও অনেকে। চিত্র পারিচালক করণ জোহর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “একটা যুগের অবসান হল।

    শোক প্রকাশ মোদির

    তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, “ধর্মেন্দ্রজির (Dharmendra) মৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি যুগের সমাপ্তি ঘটিয়েছে। তিনি ছিলেন একজন আইকনিক চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিত্ব। একজন অসাধারণ অভিনেতা, তাঁর অভিনীত প্রতিটি চরিত্রে মনোমুগ্ধকর মনোভাব এবং গভীরতাকে তুলে ধরেছিলেন। তিনি যেভাবে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তা অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে দাগ রেখেগিয়েছেন। তাঁর সরলতা, নম্রতা এবং উষ্ণতার জন্য সমানভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন। এই দুঃখের মুহূর্তে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অসংখ্য ভক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে শোক প্রকাশ করছি। ওম শান্তি।”

  • Dharmendra Deol: ধর্মেন্দ্র স্থিতিশীল, মৃত্যুর খবর মিথ্যা, সংবাদ মাধ্যমের ওপর চরম রাগ হেমার

    Dharmendra Deol: ধর্মেন্দ্র স্থিতিশীল, মৃত্যুর খবর মিথ্যা, সংবাদ মাধ্যমের ওপর চরম রাগ হেমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মেন্দ্র (Dharmendra Deol) স্থিতিশীল, মৃত্যুর খবর মিথ্যা। ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন এই বলিউড অভিনেতা। স্ত্রী হেমা মালিনী (Hema Malini) এবং মেয়ে এষা মৃত্যুর খবরকে ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এই প্রবীণ অভিনেতা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার রাতেই ছড়িয়ে গিয়েছিল মৃত্যর খবর। যেহেতু হাসপাতাল এবং পরিবারের তরফ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হচ্ছিল না তাই ধোঁয়াশা ছিলই। সোমবার অবশ্য পরিবারের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয় মৃত্যুর খবর মিথ্যা। তবে পরিবারের তরফে সংবাদমাধ্যমকেও কড়া ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

    চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন (Dharmendra Deol)

    সোমবার রাতে ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra Deol) মৃত্যুর খবরে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে সামাজিক মাধ্যমে এই খবর ব্যাপক ভাইরাল হয়। মৃত্যুর খবরকে মিথ্যা বার্তা দিয়ে সানি দেওল সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। একই ভাবে হেমা মালিনী নিজেও জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র জীবিত। তিনি ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। একই সঙ্গে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার উপর দেওয়া হয়েছে বিশেষ জোর। বাড়তি পুলিশকে লাগানো হয়েছিল প্রহরায়। তবে ধর্মেন্দ্র সহ সমস্ত রোগীর গোপনীতা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃক এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেয়ে এষা দেওল মৃত্যুর খবর মিথ্যা বলে সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “বাবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যম চাপে পরে মৃত্যু সংবাদের উল্লেখ করেছেন। বাবা আগের তুলনায় ভালো রয়েছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।”

    মিথ্যা খবরে তোপ হেমার

    তবে মঙ্গলবার হেমা (Hema Malini) নিজে মৃত্যুর গুজবে তোপ দেগে বলেন, “যে হারে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে তা ক্ষমার অযোগ্য। একজন মানুষ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর সংবাদমাধ্যম তাঁর ভুয়ো মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে! দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সংবাদ মাধ্যমের কাছে আসা করিনি। এই ধরনের সংবাদ কোনও পরিবারের কাছেই কাম্য নয়। অত্যন্ত অসম্মানজনক খবর। এমন ভিত্তিহীন খবর শুধু পরিবারের সদস্যদেরই নয়, অসংখ্য অনুরাগীদের মনেও ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি করছে। সকলকে অনুরোধ করছি, যাচাই না করে কোনও খবর যেন কেউ শেয়ার না করেন।”

    চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন

    এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৯ বছরের ধর্মেন্দ্র। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিংবদন্তী এই অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চলচ্চিত্র জগৎ। তাঁর অভিনয়ে সাড়া বিশ্বের মানুষকে মোহিত করেছেন।  তিনি এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছে। সোমবার এমন মৃত্যর খবরে তাঁর ভক্ত মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। পরে সেই খবরও ভুয়ো বলে জানানো হয় পরিবারের তরফে। হেমা-সহ দেওল পরিবার দ্রুত পৌঁছে যান হাসপাতালে। একে একে এই প্রবীণ অভিনেতাকে দেখতে আসেন শাহরুখ খান, সলমন খান, অমিষা পটেল-সহ বলিউডের তারকারা। আগামী ৮ ডিসেম্বর ৯০ পূর্ণ করবেন জনপ্রিয় শোলে সিনেমার অভিনেতা বিরু। সানি দেওলের টিমের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, “ধর্মেন্দ্র এখন স্থিতিশীল এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সকলে প্রার্থনা জানাই ভুয়ো খবর থেকে বিরত থাকুন।”

    হাসপাতালে ভর্তি প্রেম চোপড়া

    অন্যদিকে, বলিউডের আর এক বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রেম চোপড়া (Prem Chopra) অসুস্থ। ৯০ বছরের বর্ষীয়ান এই অভিনেতা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর জামাই বিকাশ ভাল্লা এই সংবাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান। জানা গিয়েছে তিনি মুম্বইয়ের প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনই আশঙ্কার তেমন খবর নেই। তবে তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। নিয়মিত চিকিৎসার জন্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে দিন কয়েক থাকতে হবে তাকে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রুটিন এই চিকিৎসা। প্রসঙ্গত ষাট-সত্তরের দশকে অন্যতম দাপুটে খলনায়ক ছিলেন প্রেম। তিনি ৩৮০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য গোটা অভিনয় জগত উদ্বিগ্ন। ধর্মেন্দ্রর খবরের পাশাপাশি এই খবরে ভক্তদের মধ্যে অত্যন্ত চিন্তা জনক।

  • Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে নিভল জীবন-প্রদীপ! কমেডির অন্যতম লেজেন্ডকে (Comedy Legend) হারাল বলিউড। চুরাশি বছর বয়সে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন গোবর্ধন আসরানি, স্নেহভরে যাঁকে সবাই আসরানি (Asrani) বলেই ডাকতেন। হিন্দি সিনেমায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাস্যরস, চমৎকার সংলাপ-প্রয়োগ ও নিখুঁত কমিক টাইমিংয়ের এক অমূল্য উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন তিনি। আসরানির ম্যানেজার বাবু ভাই থিবা জানান, জুহুর আরোগ্য নিধি হাসপাতালে সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এদিনই সন্ধ্যায় সান্তাক্রুজ শ্মশানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

    মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে জন্ম (Asrani)

    ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম হয় আসরানির। বেড়ে ওঠেন এক মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে। তাঁর বাবা কার্পেট ব্যবসা করতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায় তেমন আগ্রহ ছিল না গোবর্ধনের। বরং অভিনয় ও শিল্পকলায় ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পাঠ চুকিয়ে আসরানি ভর্তি হন রাজস্থান কলেজে। সেখান থেকেই হন স্নাতক। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য জয়পুরে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। কলেজ জীবনেই অভিনয়ের প্রতি আসরানির আকর্ষণ গভীর হতে থাকে। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সাহিত্য কলভাই ঠাক্কার’-এর অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় ভর্তি হন। এই সিদ্ধান্তই বদলে দেয় তাঁর জীবনের গতিপথ।

    ‘হরে কাঁচ কি চুড়িয়ান’

    ১৯৬৭ সালে ‘হরে কাচ কি চুড়িয়ান’ ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন আসরানি। এই ছবিতে তিনি অভিনেতা বিশ্বজিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আসরানি বেশ কিছু গুজরাটি চলচ্চিত্রেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় এমন এক অভিনয়জীবন, যার সমকক্ষ বলিউডের ইতিহাসে খুব কমই রয়েছে। ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আসরানি (Comedy Legend)। রুপোলি পর্দায় কখনও তিনি ছিলেন নায়ক, কখনও আবার অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। নানান চরিত্রেই তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ। হাস্যরসাত্মক অভিনয়ই দর্শকদের হৃদয়ে পাকা আসন করে দেয় আসরানিকে (Asrani)। সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত আসরানি ছিলেন বড় পর্দার এক পরিচিত মুখ। রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে তাঁরা এক সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ২৫টিরও বেশি ছবিতে। আসরানির অসংখ্য স্মরণীয় অভিনয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘চুপকে চুপকে,’ ‘ছোটি সি বাত,’ ‘বাওয়ার্চি,’ ‘কোশিশ’ এবং ‘মেরে নিজের।’ এই ছবিগুলি আজও প্রথম মুক্তির মতোই উপভোগ্য।

    ‘ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর’

    তবে যদি এমন একটি চরিত্র থাকে যা আসরানিকে অমর করে রেখেছে, তা হল রমেশ সিপ্পির শোলে’ ছবির অদ্ভুত জেলরের চরিত্র। তার চোখ, সামরিক টুপি, এবং অতিরঞ্জিত ইংরেজি উচ্চারণ “হাম ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর হ্যায়ঁ!” – এই সংলাপটি ছবির চেয়েও দীর্ঘজীবী হয়ে উঠেছিল। এক সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত আসরানির এই সংলাপ। আসরানি কখনও একটিমাত্র ধারায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ‘চলা মুরারী হিরো বননে’ ছবির লেখক, পরিচালক এবং অভিনেতাও ছিলেন তিনি। ছবিটি তাঁর রসবোধ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। পরে তিনি পরিচালনা করেছিলেন ‘সালাম মেমসাব’। গুজরাটি সিনেমায়ও প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর অভিনয়। কুড়িয়েছিলেন দর্শকদের ভালোবাসা (Asrani)। দশকের পর দশক ধরে আসরানি হিন্দি সিনেমার সোনালি যুগ থেকে নতুন সহস্রাব্দ পর্যন্ত অবিচলভাবে কাজ করে গিয়েছেন। ২০০০ সাল-উত্তর তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলেন তিনি। ‘হেরা ফেরি,’ ‘ভাবাগ ভাগ,’ ‘ধামাল,’ ‘ওয়েলকাম,’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া’র মতো ছবির মাধ্যমে আসরানি প্রমাণ করে দেন তাঁর কমেডির টাইমিং আগের মতোই ধারালো (Comedy Legend)।

    বহু সম্মান পেয়েছেন আসরানি

    আসরানির কাজ তাঁকে বহু সম্মান এনে দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার অন্যতম। আসরানি দর্শকদের এমনভাবে হাসাতে পারতেন, যেখানে কোনও বিদ্বেষ বা তাচ্ছিল্য ছিল না, যা খুব কম অভিনেতাই করতে পেরেছেন। আসরানি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যাঁরা সহজেই শিল্প ও বিনোদনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারতেন এবং যাঁদের সৃষ্টি করা চরিত্রগুলি আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে (Asrani)।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    আসরানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় গোবর্ধন আসরানিজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান বিনোদনশিল্পী এবং সত্যিকারের বহুমুখী শিল্পী, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষের জীবনে আনন্দ ও হাসি এনেছেন (Comedy Legend)। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি (Asrani)।”

  • Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    Pankaj Dheer: প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর, শোকের ছায়া বিনোদন দুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ধীর (Pankaj Dheer)। বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া। ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পুরনো বন্ধু ও সহকর্মী অমিত বহেল এই খবর জানিয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৬৮। বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এর কর্ণ চরিত্রে তাঁর অভিনয় এখনও দর্শকমনে গেঁথে রয়েছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পঙ্কজ।

    কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে

    ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে পঙ্কজ ধীরের (Pankaj Dheer) কর্ণ চরিত্র আজও দর্শকের মনে অমর। তাঁর অভিনয়ে একদিকে ছিল বীরত্ব, অন্যদিকে করুণ মানবিক বোধ যা তাঁকে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। দর্শকেরা তখন থেকেই তাঁকে চেনেন ‘কর্ণ’ নামে। তাঁর সংলাপ, দৃঢ় কণ্ঠস্বর ও চোখের অভিব্যক্তি আজও ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে ক্লাসিক হিসেবে গণ্য হয়। পঙ্কজ ধীর শুধু টেলিভিশন নয়, বলিউডেরও পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি অভিনয় করেছেন বহু জনপ্রিয় ছবিতে। বর্ষীয়ান অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ‘সৌগন্ধ’, ‘সনম বেওফা’, ‘বিজয়পথ’, ‘তীর্যা’, ‘সদাক ২’ সহ আরও অনেক হিট ছবি। ‘সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফেও শোকপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে তাঁর মৃত্যুর কথা।

    সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা

    বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ তাঁকে বিশেষ খ্যাতি এনে দিলেও অজস্র হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ। কাজ করেছেন হিন্দি ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজেও। ‘সোলজার’, ‘জমিন’, ‘আন্দাজ’, ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’-এর মতো বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি দুটো ছবি পরিচালনাও করেছিলেন। প্রায় ৫৫ বছরের অভিনয়জীবন তাঁর। ২০২৪ সালেও ‘ধ্রুব তারা’ নামে এক ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন তিনি। পঙ্কজ ধীরের ছেলে নিকিতিন ধীরও বলিউডের পরিচিত মুখ। যিনি ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘শের শাহ’ সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। একইসঙ্গে নিকিতিনের স্ত্রী অভিনেত্রী ক্রাতিক সেঙ্গরও জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা। প্রিয়জনের এমন মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। অভিনেতার মৃত্যুতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ‘মহাভারত’-এর যুধিষ্ঠির তথা গজেন্দ্র চৌহান, দুর্যোধন অর্থাৎ পুনিত ইসা সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, “পঙ্কজ ধীর শুধু একজন অসাধারণ অভিনেতা নন, ছিলেন এক মহৎ মানুষও।”

  • Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    Zubeen Garg: জলে নেমেই খিঁচুনি! মর্মান্তিক মৃত্যু গায়ক জুবিন গর্গের, জানেন এই রোগের প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই প্রখ্যাত অসমীয়া গায়ক জুবিন গর্গ সিঙ্গাপুরের লাজারাস আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভেরর সময় খিঁচুনির শিকার হন। যা শেষপর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়। মৃত্যুকালে জুবিন গর্গের বয়স হয়েছিল ৫২।

    কী ঘটেছিল

    প্রয়াত গায়কের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ জানিয়েছেন, “জুবিন প্রায় সাত-আট জনের একটি দলের সঙ্গে ইয়ট করে লাজারাস দ্বীপে গিয়েছিলেন। দলের মধ্যে ছিলেন ড্রামার শেখর ও সিদ্ধার্থ সহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটেন এবং পরে ইয়টে ফিরে আসেন। কিন্তু জুবিন আবার একা সাঁতারের জন্য নামেন এবং সেই সময়েই খিঁচুনির আক্রমণ হয়।” তিনি আরও জানান, “জুবিন আগেও একাধিকবার খিঁচুনির সমস্যায় পড়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। এবারও সহযাত্রীরা কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দু’ঘণ্টা আইসিইউ-তে রাখা হয়।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জুবিন।

    বলিউডে পরিচিত নাম জুবিন

    জন্মসূত্রে অসমের হলেও বলিউডে বেশ পরিচিত নাম জুবিন। গান গেয়েছেন ‘ফিজা’, ‘গ্যাংস্টার’, ‘রাজ’, ‘থ্রিডি’, ‘কৃষ থ্রি’র মতো সিনেমায়। বাংলা চলচ্চিত্রেও একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। রংবাজ, খিলাড়ি, খোকা ৪২০-এর মতো সিনেমায় দিয়েছেন কণ্ঠ। অসমিয়া ছবিতে গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে বছরখানেক ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না জুবিনের। গায়কের ঘনিষ্ঠমহলও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অত্যধিক মদ্যপানের অভিযোগ তুলেছে। যার জেরে তাঁর একাধিক শো-ও বাতিল সাম্প্রতিক অতীতে। একসময়ে যে গায়কের কণ্ঠে ‘ইয়া আলি…’ শুনে গোটা দেশে ঝড় উঠেছিল, সেই গায়কের এহেন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অনুরাগীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। খিঁচুনি একটি জিনঘটিত রোগ হলেও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই রোগে অনুঘটকের কাজ করে।

    খিঁচুনি কী?

    খিঁচুনি হল মস্তিষ্কে হঠাৎ করে অতিরিক্ত ইলেকট্রিক্যাল ক্রিয়াকলাপের ফলে ঘটে যাওয়া সাময়িক অস্বাভাবিকতা, যা আচরণ, অনুভূতি কিংবা চেতনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি খিঁচুনির ধরন একরকম হয় না। কেউ হঠাৎ থেমে গিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারেন, আবার কারও দেহে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি দেখা দিতে পারে। একজন ব্যক্তি হয়তো জীবনে একবারই খিঁচুনি অনুভব করবেন, আবার কেউ প্রতিদিন একাধিকবার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ জীবনে অন্তত একবার খিঁচুনির অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

    খিঁচুনির ধরন

    জেনারেলাইজড সিজার (Generalized Seizure): এ ধরণের খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের উভয় পাশেই একযোগে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়। এতে দেহে প্রবল ঝাঁকুনি দেখা যায় অথবা ব্যক্তি হঠাৎ স্থির হয়ে যায়। সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনও বয়সে এটি হতে পারে।

    ফোকাল সিজার (Focal Seizure): এতে খিঁচুনির সূত্রপাত মস্তিষ্কের একটি পাশে হয় এবং দেহের একদিকে লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় ব্যক্তি এই খিঁচুনির অভিজ্ঞতা মনে রাখতে পারেন না। ফোকাল সিজার ধীরে ধীরে উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়তেও পারে।

    খিঁচুনির লক্ষণসমূহ

    খিঁচুনির লক্ষণ ধরণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে, জ্ঞান হারানো, শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি, মাংসপেশির টান, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, দাঁত শক্ত করে চেপে ধরা, লালা পড়া, চোখে অস্বাভাবিক নড়াচড়া, প্রস্রাব বা পায়খানা ধরে রাখতে না পারা, অজানা শব্দ তৈরি হওয়া, হঠাৎ আবেগের পরিবর্তন – ভয়-বিভ্রান্তি-আনন্দ বা উদ্বেগ।

    খিঁচুনির কারণ কী?

    সাধারণত মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানের ফলে খিঁচুনি হয়। এই সংকেত মস্তিষ্কের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে সামগ্রিক বৈদ্যুতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এটি প্রধানত দুই ধরনের।

    প্রোভোকড সিজার (Provoked Seizure): যেটি কোনও সাময়িক অবস্থার কারণে ঘটে। যেমন: জ্বর, রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মাথায় আঘাত।

    আনপ্রোভোকড সিজার (Unprovoked Seizure): যেগুলি নিজে নিজেই ঘটে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি মৃগী বা এপিলেপসির লক্ষণ হতে পারে।

    সাঁতারের সময় খিঁচুনি কেন বিপজ্জনক?

    জলের মধ্যে খিঁচুনি হলে ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারেন, ফলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লাইফ জ্যাকেট থাকলেও হঠাৎ শরীরের কাঁপুনি ও অঙ্গ সঞ্চালনে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও ব্যক্তি আগে খিঁচুনির শিকার হলে, সাঁতারের সময় তাঁর সবসময় নজরদারির মধ্যে থাকা উচিত। জলে একা নামা একেবারেই উচিত নয়।

    জুবিনের জনপ্রিয়তা

    ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুবিন বোর ঠাকুর। পরে তিনি তাঁর পরিবারের গোত্র থেকে গর্গ উপাধিটি গ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সঙ্গীত সুরকার জুবিন মেহতার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। সাহিত্য ও সঙ্গীতে যথেষ্ঠ চর্চা ছিল জুবিনের পরিবারে। তাঁর বাবা মোহিনী মোহন বোরঠাকুর ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও কবিও ছিলেন। তিনি কপিল ঠাকুর নামে লিখতেন। তাঁর মা হলেন ইলি বোরঠাকুর, তিনিও একজন গায়িকা। অভিনেত্রী তথা গায়িকা জংকি বোরঠাকুর তাঁর বোন। তিনি ২০০২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর আর এক বোন, ডঃ পাম বোরঠাকুর। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজি এবং এমনকি কার্বি, মিসিং এবং তিওয়ার মতো উপজাতি ভাষা সহ মোট ৪০ টিরও বেশি ভাষা এবং উপভাষায় গান গেয়েছিলেন। তবে কেবল গান নয় নানা বাদ্যযন্ত্রেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। তিনি তবলা থেকে শুরু করে গিটার, ড্রাম, হারমোনিয়াম, দোতারা, ঢোল, ম্যান্ডোলিন এবং হারমোনিয়াম-সহ ১২টি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন। জুবিন গার্গের অকাল মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগত শোকাহত। তাঁর স্মৃতি, গান এবং অবদান শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।

  • Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) ও তাঁর গানের দল ‘হুলি গান ইজম’। গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মনে ছাপ ফেলেছে। তবে গানের মাধ্যমে তিন ঘোষকে বিঁধলেও, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে। তার পরেই অনির্বাণকে একহাত নিলেন বিজেপির তারকা-রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

    সনাতন ধর্মকে আক্রমণ (Rudranil Ghosh)

    তিন ‘ঘোষ’কে নিয়ে ছড়া কেটে বাজার মাত করেছে অনির্বাণের দল। এই তিন ঘোষ হলেন কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ। এঁদের বিঁধতে গিয়েই গায়করা টেনে এনেছেন সনাতন ধর্মকে। গাইছেন, “সনাতন এসে গেছে… আর সনাতনী?… সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলেছি… আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে…সবাই এগিয়ে যায়…আমরা পিছিয়ে যাব।” ছড়া-গানটির এই অংশ শুনেই অনির্বাণকে তোপ দাগল বিজেপি।

    ক্ষমা চাওয়ার দাবি রুদ্রনীলের

    দলের তারকা-নেতা রুদ্রনীলের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অনির্বাণকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনির্বাণকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসচেতন, জ্ঞানহীন বক্তব্যের। …ভাই অনির্বাণ, পৃথিবীর চূড়ান্ত মুর্খ ব্যক্তিও জানেন সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদিতম ধর্ম বা জীবনচর্চা। তারপর বাকি সব ধর্মের জন্ম। আর আপনি বললেন, সনাতন এসে গেছে? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে! আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে, তাঁরা এতক্ষণে আপনাকে কোন জায়গায় রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন!” রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) সাফ কথা, “ভাই অনির্বাণ (Anirban Bhattacharjee), যদি সত্যিই নিজের অজ্ঞানতা থেকে এই বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে জানান। দেখবেন সনাতনীরা দল-মত-ঝান্ডা ভুলে আপনাকে ক্ষমা করবেন ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার অনুরোধ করবেন। আর যদি সজ্ঞানে থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সনাতন ধর্ম আদি ও অনন্ত। আপনি আমি দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, সনাতন-সনাতনী ছিল, আছে এবং থাকবেও। ভালো থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।”

    অনির্বাণকে আক্রমণ রুদ্রনীলের

    অনির্বাণের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়ও করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে এবার এই একটি শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। রুদ্রনীল লেখেন, “সবাই জানে, টলিউড মাফিয়ারা আপনার কাজ কেড়ে নিয়েছে, তাই গান গেয়ে আপনাকে পেটের ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক!! কিন্তু যে হুলি গানরা আপনার পেটের ভাত কেড়ে নিল, তা নিয়ে বা আরজি কর ডাক্তার হত্যা নিয়ে বা শিক্ষক পেটানো-শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আপনার মুখে কুলুপ! অথচ অকারণ ছোট করছেন নিজের ধর্মকে? সনাতন ও সনাতনীকে? কাকে খুশি করতে?”

    অনির্বাণকে বয়কটের ডাক

    ‘গোঁত্তা’ (Rudranil Ghosh) খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ। তবে তাঁকে বয়কটের ডাক উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একজন লিখেছেন, “এদের শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন (Anirban Bhattacharjee)। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে করুক, ওকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে, সনাতন ধর্ম নিয়ে এসব করা খুবই সহজ, বয়কট অনির্বাণ।” অন্য একজন আবার লিখেছেন, “শহিদ দিবসের মঞ্চে পিসির পাশে চেয়ার নেবার জন্য অনির্বাণ এইসব বলছে। ঠিক যেমনটা নচিকেতা করেছে।” আর একজন লিখেছেন, “বাঁমঘেঁষা আঁতেলদের এই একটা সমস্যা। নিজেদের চূড়ান্ত শিক্ষিত মনে করে। সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ভালোভাবে জানতে মার্কস পড়ার আগে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত পড়ুন ভাই। টেক্সট পড়ে বুঝতে না পারলে, পণ্ডিতরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেগুলি পড়ুন।”

    থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    এদিকে, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,  ‘হুলি গান ইজম’-এর সদস্যরা ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সনাতন ধর্মের উপাসক হিসেবে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। ওই কথাগুলোর জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ও সনাতনীদের আবেগে আঘাত লেগেছে।” এতে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপওটিও সেঁটে দিয়েছেন।

    এর আগে তরুণজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অনির্বাণের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতার মধ্যে ততক্ষণ পড়ে, যতক্ষণ না আপনি (Anirban Bhattacharjee) কাউকে আঘাত করছেন। কিন্তু গানের মধ্যে সনাতনী টানার মানে কী ছিল? এগুলি নিয়ে খিল্লি করার কারণ কী?” তাঁর প্রশ্ন, “সাহস হবে নাকি ইসলাম নিয়ে বলার? বললে স্লোগান হবে সর তন…। আর বললাম না (Rudranil Ghosh)!”

  • Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। সোমবার ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Tollywood Actor)। শেষ সময়ে অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট জয়কে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৭ অগাস্ট তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। এদিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘণ্টাচারেক হাসপাতালেই থাকবে অভিনেতার মরদেহ।

    বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান (Joy Banerjee)

    ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয়ের। ছোট থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয় ‘অপরূপা’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। দ্রুত ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়ে যান সুপুরুষ জয়। পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পান জয়। অঞ্জন চৌধুরীর ‘হীরক জয়ন্তী’ ছবি বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয় তাঁকে। জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও হিট করে। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জয়কে। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’-সহ বহু ছবির নায়ক ছিলেন সুপুরুষ জয়।

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন

    অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন জয়। যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে বীরভূম ও উলুবেড়িয়া লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জয়। বীরভূমে তিনি হেরে যান তৃণমূলের তারকা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের কাছে। হেরে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও। বিজেপির হয়ে একাধিকবার ভোটের ময়দানে নামলেও, প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন জয়। শেষমেশ ২০২১ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির হয়ে আর প্রতিনিধিত্ব করবেন না।

    জয়ের প্রথম স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ফের বিয়ে করেন জয় (Joy Banerjee)। এবার তাঁর ঘরণী হন অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর সময় তিনিই ছিলেন পাশে। আর ছিলেন জয়ের মা। প্রয়াত অভিনেতার সহকারী ছোটু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জয়। সম্প্রতি (Tollywood Actor) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Joy Banerjee)। তাঁর জীবনাবসানের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাংস্কৃতিক সেলের কো-কনভেনর সুরজিৎ চৌধুরী।

  • The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পরে শনিবারেও বাধা দেওয়া হয় ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে। শুক্রবারই একটি ভিডিও শেয়ার করে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, কলকাতায় নির্ধারিত ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল বাতিল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আমাদের টিম নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি সিনেমা হলে ট্রেলার লঞ্চের পরিকল্পনা করেছিলাম। তাঁরা সব অনুমতিও দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়।” পরিচালক আরও বলেন, “শুরুতে আমাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল। সেই কারণে আমরা কলকাতায় এসেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

    শনিবারেও বাধা, কেটে দেওয়া হয় তার (The Bengal Files)

    শুধু শুক্রবার নয়, শনিবারও ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেলার দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তার কেটে দেয় জায়ান্ট স্ক্রিনের। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী এবং প্রযোজক পল্লবী জোশীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এই ছবি আটকাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”

    ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে?

    বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই তারা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে? এক ভারতীয়দের জন্য, আরেকটা কি পশ্চিমবঙ্গের জন্য?” উল্লেখ্য, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

    কেউ এই ছবির মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না

    পরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দেরি করব না। খুব শীঘ্রই কলকাতাতেই ট্রেলার লঞ্চ করব।” শুক্রবার তিনি নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, “কলকাতায় নামার পর জানতে পারলাম, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার লঞ্চের ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে—আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে। কিন্তু আমাকে থামানো যাবে না, কারণ সত্যকে চুপ করিয়ে রাখা যায় না। সব কলকাতাতেই হবে। দয়া করে এই ভিডিও শেয়ার করুন এবং বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করুন।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে দেবীর দর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমি মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। কেউ এই ছবি মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না।”

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশীর তোপ (The Bengal Files)

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, “ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ঘিরে যা হয়েছে তা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে না, বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা তৈরি হওয়া দরকার ছিল। দেখুন কী হচ্ছে বাংলায়। সেই কারণে এই ধরনের সিনেমা এখনকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই সিনেমার দেখার জন্য অনুরোধ করব৷ যাতে তারা বাংলার আসল রূপ দেখতে পারে৷” তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না৷ কিন্তু যেভাবে আমাদের সিনেমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা আমি মেনে নেব না৷ আমার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগেনি৷ কোনও পরিচালক বা অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া সেই রাজ্যের দায়িত্ব৷ আর এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই রাজ্যে কি মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা আছে? একজন অভিনেতা, নির্মাতা হিসাবে আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকু নেই যে সেখানে ট্রেলার দেখানো যাবে৷ একটা সিনেমাকে কেন এত ভয় পাচ্ছে সরকার?”

    ট্রেলার না দেখাতে দেওয়া অনৈতিক, এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি

    পল্লবীর কথায়, “ট্রেলার না দেখাতে (The Bengal Files) দেওয়া অনৈতিক ৷ এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি। আমরা তো কাশ্মীরে গিয়েও শুটিং করেছি৷ এখন তো মনে হচ্ছে কাশ্মীরের অবস্থা হয়তো বাংলার থেকেও ভালো৷ এই রাজ্যে কী এইভাবে চলতে হবে? আর আমার মনে হয়, এই কারণে দ্য বেঙ্গল ফাইলস গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি গোটা যুব সমাজকে আহ্বান জানাবো, এই সিনেমা দেখার জন্য ৷ বোঝার জন্য যে বাংলায় কী চলছে!”

    এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি, বললেন প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল

    প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “এখানে অনুমতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ তাহলে কেন যখন টেস্টিং চলছিল, তখন বারণ করা হয়নি? এতবড় পাঁচতারা হোটেলে অনুমতি ছাড়া কী কোনও কাজ চলতে পারে? গতকাল রাত থেকে সেটআপ তৈরি করা হচ্ছিল ৷ আজ ট্রেলার লঞ্চ করার কথা ছিল৷ থিয়েটারে অনুমতি বাতিল করার পর হোটেল ব্য়বস্থা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি। সেই সমস্যা অনেক কম ছিল। তবে বাংলার এসে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা প্রথম ৷ ট্রেলার চলতে চলতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পরিচালক বিবেকের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ৷ একটা ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে এত পুলিশ ৷ এত ভয় কেন?”

  • Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয় জেসিকা র‍্যাডক্লিফ (Jessica Radcliffe Orca Attack) নামে এক ২৩ বছর বয়সি মেরিন ট্রেনার ঘাতক তিমির (killer whale) আক্রমণে নিহত হয়েছেন। ভিডিওতে দাবি করা হয়, পারফরম্যান্স চলাকালীন ওই দাঁতাল তিমি বা অরকা তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ভিডিওটি মূলত টিকটক এবং ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, জেসিকা নামে কোনও মেরিন ট্রেইনারের অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই খবর অস্বীকার করেছে। ভিডিওটি এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি বলেও মনে করেন অনেকে।

    পুরনো অরকা আক্রমণের ঘটনা

    এই গুজব (Jessica Radcliffe Orca Attack) ছড়ানোর পেছনে বাস্তব কিছু ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে, টিলিকাম নামে একটি অরকা সি-ওয়ার্ল্ড, অরল্যান্ডোতে পারফরম্যান্স চলাকালীন ডন ব্রাঞ্চো নামে এক অভিজ্ঞ ট্রেইনারকে হত্যা করে। এই ঘটনা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হয় বিখ্যাত তথ্যচিত্র ব্ল্যাকফিশ। ২০০৯ সালে, স্পেনের এক ট্রেইনার আলেক্সিস মার্টিনেজ প্রশিক্ষণ চলাকালীন কেটো নামের এক অরকার আঘাতে নিহত হন। ১৯৯১ সালে, কানাডার এক ব্যক্তিকে তিনটি তিমি একসঙ্গে জলে টেনে নিয়ে যায়। এইসব সত্য ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে, বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অরকা কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক

    অরকা বা “কিলার হোয়েল” বা ঘাতক তিমি (Jessica Radcliffe Orca Attack) মূলত অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তারা একসঙ্গে দু-তিনজন করে থাকে। এরা সাধারণত সামুদ্রিক শিকারি। যদিও বন্য অরকা দ্বারা মানুষের উপর হামলার ঘটনা খুবই বিরল, কিন্তু বদ্ধ অবস্থায় রাখা অরকাদের দ্বারা কিছু মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর প্রমাণ মেলে। ভারতের পশ্চিম উপকূল এবং আন্দামান সাগরে মাঝে মাঝেই অরকা দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় অরকার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে জেসিকার যে ভিডিওটি সমাজ-মাধ্যমে ভাইরাল, তা ভুয়ো বলেই দাবি করছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।

LinkedIn
Share