Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

  • Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজঃ আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর গরমের এই আবহাওয়ায় চটজলদি আরাম পেতে অনেকের সঙ্গী হয় নরম ঠান্ডা পানীয়‌। বোতলবন্দী বা প্যাকেটজাত কার্বোনেটেড (Calcium Deficiency) ওয়াটার গরমের অস্বস্তিতে তৃপ্তি এনে দেয়।‌ অনেকের আবার বিরিয়ানি কিংবা বার্গারের সঙ্গে এই নরম পানীয়তে চুমুক না দিলে স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই কার্বোনেটেড ওয়াটার বা নরম পানীয়ের প্রতি অনেকেই এক ধরনের আসক্তি অনুভব করেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই, তাদের এক গ্লাস নরম পানীয় (Cold Drinks) না হলে চলে না। আর এই আসক্তি জানান দেয়, শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন রোগ! সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে চারটি রোগের দাপট মারাত্মক ভাবে বেড়েছে, যার পিছনে মূল কারণ মাত্রাহীন কার্বোনেটেড ওয়াটারের প্রতি আসক্তি।

    কেন নরম ঠান্ডা পানীয়তে আসক্তি বাড়ে (Calcium Deficiency)?

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি প্রৌঢ়দের মধ্যেও এই নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি মারাত্মক বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ঘটনা একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ, অতিরিক্ত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে হাড় ক্ষয় হয়, আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত এই নরম ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের অধিকাংশই ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) অভাবে‌ ভুগছেন। আবার তাঁরা এতটাই এই পানীয়তে (Cold Drinks) আসক্ত, যে এগুলো ছাড়া খাবার খেতেই পারছেন।

    কোন চারটি রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে নরম ঠান্ডা পানীয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ, জীবন যাপনের অভ্যাস। গত এক দশকে যে সমস্ত রোগ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন‌ যাপনের অভ্যাস। মূলত চারটি অসুখ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার পিছনে নরম ঠান্ডা (Cold Drinks) পানীয়কে দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল!

    হাড়ের ক্ষয় রোগ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। আর নরম ঠান্ডা পানীয় এই রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কার্বোনেটেড ওয়াটারে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডা। আর এই উপাদান হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।‌ সোডা হাড়কে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়। তাই নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে দেহে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) ঘাটতি দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি যে কোনও সময় হাড় (Cold Drinks)  ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়‌।

    ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি!

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা নানান উপাদান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমে। যার ফলেই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কসে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ উপাদান এবং চিনি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে তাই ওবেসিটি বা স্থূলতার (Calcium Deficiency) ঝুঁকিও বাড়ে।

    বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্টে কয়েক বছর আগে স্পষ্ট করা হয়েছিল, একাধিক নরম পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপার্টেম হল এক ধরনের কৃত্রিম মিষ্টি। বোতলবন্দি নরম পানীয়ের স্বাদ বাড়াতেই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আর এই অ্যাসপার্টেম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিশেষত ক্যান্সারের (Calcium Deficiency) ঝুঁকি বাড়ায় এই উপকরণ। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয়তে অভ্যস্থ হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Drumstick tree: বসন্তে নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাচ্ছেন! কোন রোগের মোকাবিলায় কার্যকর এই সবজি?

    Drumstick tree: বসন্তে নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাচ্ছেন! কোন রোগের মোকাবিলায় কার্যকর এই সবজি?

    মাধ্যম ডেস্কঃ তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বাড়ছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় অস্বস্তিও চরমে। এই সময়ে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। ঘরে তৈরি শুক্ত, হালকা সবজির তরকারি নিয়মিত খেলে শরীর ভালো থাকবে। এই সময়ে বাজারে সজনে ডাঁটা দেদার পাওয়া যাচ্ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাঙালিরা নানা রকমের তরকারিতে সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) দেয়। এই সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর। বিশেষত এই আবহাওয়ায় এই সবজি খেলে শরীরের বাড়তি উপকার হয়। এখন দেখা যাক, সজনে ডাঁটা খেলে কী উপকার হবে?

    পক্সের ঝুঁকি কমবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্ত (spring) ঋতুতে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এই সময়েই চিকেন পক্সের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে। তাছাড়া সাধারণ ভাইরাস ঘটিত সর্দি-কাশি, জ্বর হয়। তাই নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে এই সব রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর একটি সবজি। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, পক্সের ঝুঁকি কমে। আবার সজনে ডাঁটা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এটি খেলে সাধারণ ভাইরাস ঘটিত সর্দি-কাশি এবং জ্বরের ভোগান্তিও কমে।

    হজমে সাহায্য করে

    মার্চ-এপ্রিল মাসে হঠাৎ করেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই বেড়ে যায়।‌ আবার পরিবেশ বেশ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে, এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। পেটের অসুখে ভোগান্তিও বাড়ে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে সজনে ডাঁটা খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) আঁশ সমৃদ্ধ একটি সবজি। তাই এই খাবার খেলে পেটের সমস্যা কমে। হজম ভালো হয়।

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Drumstick tree) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিত সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) খেলে তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তচাপের ওঠানামা ও কমায়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী

    সজনে ডাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নিয়মিত সজনে ডাঁটা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন।

    শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে

    সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর সবজি। তাছাড়া সজনে ডাঁটায় অ্যান্টি অ্যালার্জি উপাদানও রয়েছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা নিয়মিত খেলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বক্ষঃনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।

    শরীরের ক্লান্তি সহজেই দূর করে (spring) 

    ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। এর জেরে স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। তার ফলে নানান সমস্যাও বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যাও সমাধান করে সজনে ডাঁটা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ডাঁটা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের, ক্যালসিয়ামে ভরপুর একটি সবজি। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ফলে শরীরে ক্লান্তিবোধ হয় না।

    ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাচ্ছে। এর ফলে হজম শক্তি কমছে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বাড়ছে। সজনে ডাঁটা (Drumstick tree) ফেলে লিভারের এই বাড়তি ফ্যাট কমবে। লিভার সুস্থ থাকবে। সজনে ডাঁটা স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করবে।

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত পাতে থাকুক সজনে ডাঁটা। শিশু থেকে প্রবীণ সকলের জন্য উপকারি এই সবজি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tiredness: ‘লাঞ্চ ব্রেক’-এর পরেই কাজে অনীহা! কোন খাবারে দূর হবে দিনভর ক্লান্তি?

    Tiredness: ‘লাঞ্চ ব্রেক’-এর পরেই কাজে অনীহা! কোন খাবারে দূর হবে দিনভর ক্লান্তি?

    মাধ্যম ডেস্ক: সকাল থেকে একনাগাড়ে কাজ! এনার্জিও ভরপুর। কিন্তু দুপুরের সাময়িক বিরতি সব কিছু বিগড়ে দেয়।‌ লাঞ্চ ব্রেকের পরেই কাজের গতি কমে যায়। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ঝিমিয়ে থাকতে হয়। কথা বলা বা কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায় না। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। যার ফলে তাদের কাজের জায়গায় যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হতে হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর অন্যতম কারণ ক্লান্তি! শরীরের পেশি, স্নায়ু এবং মস্তিষ্ক ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যায়। আর তার জন্যই কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। মনোযোগ নষ্ট হয় এবং কাজের গতিও শ্লথ হয়ে যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের (Food) তালিকায় সামান্য রদবদল পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।‌ দূর করতে পারে দিনভর ক্লান্তি। কিন্তু কী রদবদলের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা (Tiredness)?

    সঙ্গে থাকুক কয়েকটা খেজুর

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার মাঝে অনেকটা সময় বিরতি থাকলে শরীর বাড়তি ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যায়। সকালের জলখাবার এবং দুপুরে অফিসের লাঞ্চ ব্রেকের মাঝে অনেকটা বিরতি থাকে। এর ফলে অনেকের শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারপরে অনেকটা বেশি‌ পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেয়ে ফেললে কাজের গতি কমে যায়। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ বলেন, নিয়মিত সঙ্গে থাকুক কয়েকটা খেজুর। খেজুর সহজেই খাওয়া যায়, তাই কাজের ফাঁকে একটা খেজুর খেতে বেশি সময় নষ্ট হয় না। লাঞ্চ ব্রেকের আগেই তাই সহজেই খেজুর খাওয়া যায়। আর খেজুরে (Food) থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান রকমের খনিজ পদার্থ। এর ফলে এই খাবার মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে‌ বিশেষ সাহায্য করে। তাই ক্লান্তি বোধ দূর হয়।

    সপ্তাহে দুদিন এক চামচ ঘিয়ের তৈরি খাবার

    শরীর ক্লান্ত (Tiredness) হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-র অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। পেশির নানান সমস্যাও বাড়ছে। আর তার ফলেই কাজের প্রতি মনোযোগ কমছে। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহ অন্তত দু’দিন এক চামচ ঘি-য়ে তৈরি সবজি লাঞ্চের মেনুতে থাকুক। তাঁরা বলেন, শরীরে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ সবচেয়ে সহজে পূরণ করে ঘি। তাই অন্তত দুদিন এক চামচ ঘি (Food) শরীরে পৌঁছলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। এর ফলে ক্লান্তি দূর হবে।

    কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের ব্যালান্স ডায়েট জরুরি

    তরুণ প্রজন্মের রোগা হওয়ার চাহিদা এবং তার জন্য অপরিকল্পিত ডায়েট ক্লান্তি বোধ (Tiredness) আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সারাদিন সম্পূর্ণ কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ হচ্ছে না। তার ফলেই ক্লান্তি বোধ বাড়ছে। মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকছে না। তাঁদের পরামর্শ, লাঞ্চে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিনের ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। রুটি, ডাল, সবজি জাতীয় খাবার (Food), তার সঙ্গে সামান্য ফল থাকলে শরীর এনার্জি সহজেই পাবে। এতে ক্লান্তি বোধ কমবে।

    পর্যাপ্ত জল জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ক্লান্তি বোধ গ্রাস করে জলের ঘাটতি হলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বাইরে থাকলে খুব কম পরিমাণে জল খান (Food)। এর ফলে খাবার খাওয়ার পরেই শরীরের বিভিন্ন পেশির সক্রিয়তা আরও কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরের সমস্ত পেশি সক্রিয় থাকে। তখন ক্লান্তি (Tiredness) বোধ কম হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rabies Vaccine: কুকুর কামড়ালে শুধু জলাতঙ্কের টিকা যথেষ্ট নয়! কী নিতে বলছেন বিজ্ঞানীরা?

    Rabies Vaccine: কুকুর কামড়ালে শুধু জলাতঙ্কের টিকা যথেষ্ট নয়! কী নিতে বলছেন বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুকুর আঁচড়ালে বা কামড়ে দিলে শুধুমাত্র জলাতঙ্কের টিকা (Rabies Vaccine) নিলেই যে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নয়। সঙ্গে নিতে হবে র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন। সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, দশকের পর দশকে এই ভাইরাস মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও, এখনও প্রতিবছর প্রায় ৫৭২৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলেন, কুকুরের কামড় বা হাঁচড়ের পর পরই র‍্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। তা না হলে এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। ডাক্তার মত, এই ভাইরাসকে আটকাতে শুধু ভ্যাকসিন নয়, নিতে হবে র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন।

    কত দ্রুত ছড়ায় র‌্যাবিস ভাইরাস

    ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে কুকুরের কামড়ে মৃত্যু নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এ দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় র‌্যাবিস ভাইরাসের (Rabies Vaccine) কারণে। অনেকেই সময় মতো জলাতঙ্কের টিকাও নেন, কিন্তু তার পরেও শরীরে সংক্রমণ ঘটে। এর কারণ হল, কেবল অ্যান্টি-র‌্যাবিস টিকা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে না। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, যেমন শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে কুকুর কামড়ে দিলে কেবল ওই একটি টিকা নিয়ে ভাইরাস ঠেকানো যাবে না। র‌্যাবিস ভাইরাস খুব দ্রুত দেহকোষের মধ্যে বিভাজিত হয়ে বংশবিস্তার করতে পারে। এই ভাইরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলিকে একের পর এক নষ্ট করতে থাকে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, টিকা নেওয়ার ৭-১০ দিন পরে ধীরে ধীরে অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হয়। এর মধ্যেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে সারা শরীরে।

    র‌্যাবিস ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়?

    কুকুরের কামড়ে যদি গভীর ক্ষত তৈরি হয়, তা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রতিষেধক নিলে তবেই র‌্যাবিস ভাইরাসের (Rabies Vaccine) থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলেই দাবি গবেষকদের। তবে গবেষকদের তে সবচেয়ে ভালো, জলাতঙ্কের টিকার পাশাপাশি আরও একটি প্রতিষেধক নিয়ে নোওয়া, যার নাম র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন (আরআইজি)। এই প্রতিষেধকটি কৃত্রিম অ্যান্টিবডি দিয়েই তৈরি হয়েছে। ইঞ্জেকশন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যান্টিবডি রক্তে মিশে যাবে ও ভাইরাসগুলিকে ধ্বংস করতে শুরু করবে। জলাতঙ্কের টিকার সঙ্গেই র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন প্রতিষেধক নিলে দ্বিস্তরীয় সুরক্ষাবলয় তৈরি হবে শরীরে। ফলে প্রাণসংশয়ের ঝুঁকি থাকবে না।

    জলাতঙ্কের আতঙ্ক

    জলাতঙ্ক একসময়ে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল! এই ভাইরাস (Rabies Vaccine) সরাসরি মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। যা মূলত আক্রান্ত প্রাণীর লালারস থেকে ছড়ায়। যার ফলে মৃত্যুর হারও অনেক ছিল। তবে জলাতঙ্কের টিকা আবিস্কারের পর, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হার কমে।

    কী এই র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন

    র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন জলাতঙ্ক রোগ থেকে রক্ষা করে। এই ইঞ্জেকশন অ্যান্টিবডি থাকে। যা জলাতঙ্ক ভাইরাসকে (Rabies Vaccine) রুখে দিতে পারে। আহমেদাবাদের শালবি হাসপাতালের সংক্রামক রোগ পরামর্শদাতা ডাঃ সংকেত মানকড় বলেন, “যাদের আগে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়নি তাঁদের ক্ষেত্রে এই রেবিজ ইমিউনোগ্লোবুলিন তাৎক্ষণিক সুরক্ষা হিসাবে কাজ করে।” এই ইঞ্জেকশন ভারতে পাওয়া যায়। তবে, র‍্যাবিস ভ্যাকসিনের থেকে এটি অনেক বেশি দামি। যেখানে র‍্যাবিস ভ্যাকসিন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সেখানে র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিনের দাম ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার।

    কুকুর কামড়ালে কখন নেবে র‍্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র একটি নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কুকুর কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থানটি ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট জায়গাটিতে টানা জল দিয়ে যেতে হবে। এর পরে আয়োডিন বা অ্যালকোহল (৭০ শতাংশ) দিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করতে হবে, যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এর পরে যদি জলাতঙ্কের টিকা বা ‘অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন‘ (এআরভি) নেন তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সময় দেখে র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন টিকাও নিয়ে নিতে হবে। পাঁচটি ডোজে নিতে হবে এই টিকা। একটি ডোজ সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে। অন্যগুলি ৩, ৫, ৭ ও ১৪ দিনের ব্যবধানে নিতে হবে। পঞ্চম ডোজটি নিতে হবে ২৮ দিন পরে।

  • Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত উৎসব বা হোলিতে (Holi 2024) অনেকেই চুটিয়ে রঙ খেলেন। বসন্তের আবির এবং পলাশ রঙে মেতে ওঠেন সকলে। কিন্তু এই আবহে চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। রঙ খেলার পর নানা ভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে জ্বালা, ক্ষয় ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কীভাবে যত্ন নেবেন একবার জেনে নিন। দেখে নিন, কীভাবে হয়ে উঠবেন সেই আগের মতো।

    কেন রঙ ক্ষতিকারক? (Holi 2024)

    উত্তরাখণ্ডের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশা সাকলানি বলেছেন, “হোলিতে (Holi 2024) আবিরের সঙ্গে অনেক পরিমাণে শুকনো রঙ, পেইন্ট এবং ভেজা রঙ ব্যবহার করা হয়। আবির বা রঙে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দাম কম হওয়ায় বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয় এগুলি। কিন্তু এতে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ত্বক ও চুলের জন্য অনেক ক্ষতি করে।” তাই বসন্তের দোল উৎসবে (Holi 2024) রঙ খেলার সময় খুব সর্তকতা এবং নিয়ম মানলে ত্বককে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়। তবে কোনও বিশেষ রোগ থাকলে রঙ না খেলাই ভালো। ভেষজ রং বা আবির ব্যবহারের দিকে নিজর রাখতে হবে।

    ময়েশ্চারাইজার মাখুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলের ময়েশ্চারাইজার মেখে দোলে (Holi 2024) রঙ খেলা উচিত। শুধু মুখে নয়, সারা শরীরে এটি মেখে রঙ খেলুন। ফলে ত্বকের মধ্যে রঙ বসে যাবে না এবং ক্ষতি কম করবে। তাড়াতাড়ি রঙ ওঠার ক্ষেত্রে ভীষণ সুবিধাজনক হবে। তবে স্টেরয়েড ধর্মী কোনও ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।

    নারকেল তেল মাখুন

    দোলে (Holi 2024) রঙ খেলার আগে কোনও রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করার দরকার নেই। এতে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে দোলের আগের দিন রাতে চুলে ভালো করে মাখতে হবে। শুষ্ক ভাব থাকবে না এবং চুলের ক্ষতি কম হবে। এতে রঙ চুলের ক্ষতি কম করবে। হোলির দিনে রঙ মাখার আগে শরীরে সানস্ক্রিন ভালো করে মেখে নিন। রঙ খেলার অন্তত দু’দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

    কীভাবে রঙ তুলবেন?

    হোলিতে রঙ খেলার (Holi 2024) পর চুল থেকে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে প্রথমে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে চুলগুলিকে পরিষ্কার করুন। এতে লেগে থাকা শুষ্ক রঙ পড়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে চুলগুলিকে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলে চুলে আটকে থাকা অতিরিক্ত রঙ ও ময়লা ঝরে যাবে। এরপর হালকা বা হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। আর সম্ভব হলে চুল ধোয়ার পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ভাবে আপনার চুলে ক্ষতি কম হবে।

    দোল উৎসবে ত্বকের যত্ন নিতে কী কী উপায় নেবেন

    ওটমিলের মিশ্রণ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন টেবিল চামচ ওটসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং মধু মেশাতে হবে। হোলির ঠিক পরেই এই ফেস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। সামান্য শুকিয়ে এলে অল্প জল দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। ৪০ মিনিট মুখে রেখে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

    বেসন ও দুধের মিশ্রণ– বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে মাখুন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।  সামান্য গরম জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। দুধে আছে ভিটামিন-এ। যা ব্রণর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

    নারকেল তেল– এখন দোলের সময় বেশিরভাগ রঙই ভেষজভাবে তৈরি হয় যাতে তা ক্ষতিকারক না হয় ত্বকের জন্য। ভেষজ উপায়ে বানানো রঙ ছাড়া দোলের সময় যে রঙ সাধারণত ব্যবহার করা হয়, তাতে থাকে রাসায়নিক পদার্থ। তা থেকেই মুখে অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যেখানে মনে হচ্ছে সমস্যা হচ্ছে, সেই সব জায়গায় সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল দিতে পারেন। এতে সাময়িকভাবে স্বস্তি মিলতে পারে।

    দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ– সামান্য পরিমাণে লেবুর রস, দই এবং এক চিমটে চন্দন কাঠ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই মিশ্রণ ত্বক থেকে রঙের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে আনে জেল্লা। দোলের রঙ থেকে ত্বক রক্ষা করতে এই মিশ্রণের জুড়ি মেলা ভার।

    অ্যালোভেরা– অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা আপনার ত্বককে অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা করে। দোলে রঙ মাখার আগে অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বককে হাইড্রেট করতে পারেন।

    এগুলো সবই ঘরোয়াভাবে উপলব্ধ। পাশাপাশি আরও যে উপাদানগুলো ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করবে হোলিতে সেগুলি হল, বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার, নন-কমেডোজেনিক এসপিএফ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঘাড়, মুখ ও কানে সানস্ক্রিন যত ঘন হবে তত ভালো।

  • Festival of colors: রঙের উৎসবে খেয়াল থাকুক ত্বক ও চোখে! কেন বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Festival of colors: রঙের উৎসবে খেয়াল থাকুক ত্বক ও চোখে! কেন বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা! আর তার পরেই রঙের উৎসব! দোল উদযাপনে (Festival of colors) আপামর বাঙালি। তবে এই রঙিন উৎসবের আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দোলের উৎসবের পরেই ত্বক এবং চোখের নানান সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষত শিশুদের বাড়তি নানান সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের কানেও নানান সমস্যা এবং সংক্রমণ হয়। তাই তাঁদের পরামর্শ, এই উৎসবে আনন্দ করার সময় বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উদযাপন সম্ভব হবে। এখন দেখা যাক, কী ধরনের সমস্যার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?

    ত্বকে অ্যালার্জি, চোখে সংক্রমণ (Festival of colors)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দোলের উদযাপনে অনেকেই নানান রকমের রঙ ব্যবহার করেন। সব রঙের গুণমান সমান হয় না। কম মানের রঙ ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে। চুলকানি, Rash, গোলগোল চাকা দাগ এমন নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যা দীর্ঘদিন ভোগান্তি তৈরি করে। আবার চোখেও নানান সংক্রমণ হতে পারে। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রায় প্রত্যেক বছরেই দোলের পরে চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ে। অনেকের চোখে রঙ ঢুকে নানান ধরনের অ্যালার্জি হয়। আবার অনেকের চোখ ফুলে যায়। সংক্রমণ জটিল হয়ে গেলে দৃষ্টিশক্তিতেও প্রভাব ফেলে‌।

    কানে যন্ত্রণা

    অনেক সময় কানের সমস্যাও দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় আক্রান্তেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুরা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবির জাতীয় রঙ খেলার সময় (Festival of colors) সময়েই অসাবধানতার জন্য শিশুদের কানের ভিতরে রঙ ঢুকে যায়। এর ফলে পরে কানে যন্ত্রণা হয়। অনেক সময়েই জটিল সংক্রমণ দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Festival of colors)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দোলের উৎসব উদযাপনের সময় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখলেই এই ধরনের বিপদ আটকানো সম্ভব হবে। ত্বকের সমস্যা এড়ানোর জন্য রঙের গুণমানের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব রঙ এখন পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের নানান সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে‌।
    তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ভালোভাবে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার জাতীয় ক্রিম মেখে নিতে হবে। এতে চট করে রঙ চামড়ায় ছাপ ফেলবে না। রঙ ওঠানোও সহজ হবে।
    শিশুদের রঙের উৎসবে সামিল করার আগে বাড়তি সতর্কতা দরকার। যাতে চোখ ও কানের ভিতরে রঙ ঢুকে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রঙিন নানা রকম উইগ এবং মুখোশ ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, মাথায় উইগ কিংবা মুখে মুখোশ পরলে শিশুদের কান এবং চোখে কিছুটা আচ্ছাদন থাকে। ফলে অনেক ভোগান্তি সহজেই এড়ানো সম্ভব হয়।
    উৎসবের (Festival of colors) পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পাশাপাশি বাড়ির বড়দেরও এই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দিতে হবে। হাত, নখ, চুল, চোখে যাতে রঙ ঢুকে না থাকে, তার জন্য ভালোভাবে পরিষ্কার হতে হবে। তবেই নানান রোগে আক্রান্ত (skin and eyes) হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজনের ঝামেলা কিংবা কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্তে দুশ্চিন্তা! সব মুশকিল সহজেই মেটাতে পারে এক চামচ চিয়া বীজ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কম বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। যার ফলে খুব‌ কম বয়স থেকেই শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চল্লিশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা বাড়ছে। পাশপাশি মহিলাদের হাড়ের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরে তিরিশের আগেই মহিলারা হাঁটু ও কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই ধরনের নানান রোগের মোকাবিলা করতে পারে চিয়া (Chia seeds)! এখন দেখা যাক, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিয়ার বীজ খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। পাশপাশি চিয়া বীজে থাকে ওমেগা থ্রি। এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ থাকে। এর ফলে নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয়রোগ কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে বিশেষত মহিলারা হাড়ের ক্ষয় রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিয়া‌ বীজ তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্থূলতা ভারতের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। এই স্বাস্থ‌্য সমস্যা একাধিক রোগের জন্ম দিচ্ছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও স্থূলতাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে চিয়া (Chia seeds)। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ তৈরি করে না। বরং ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।

    হজম শক্তি বাড়ায় চিয়া বীজ

    অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং লিভার, পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে চিয়া বীজ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল কমে যায়। লিভার এবং পাকস্থলীও সুস্থ থাকে‌।

    কীভাবে খাবেন চিয়া বীজ (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে একাধিক উপকার হয়। তাঁদের পরামর্শ, সারারাত এক চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া, যে কোনও খাবার, যেমন দুধ কিংবা ফলের রসের সঙ্গেও ভেজানো চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে দুধ কর্নফ্লেক্স খান। তাঁরা কাজু, কিসমিস জাতীয় নানান ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে সেটা খান। সেই খাবারেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া যে কোনও রকম স্যালাডের সঙ্গে চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। শশা, গাজর, টমেটোর উপরেও এক চামচ চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার স্যান্ডুইচের ভিতরেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Cucumber: নিয়মিত একটা খেলেই ‘ম্যাজিক’! কোন কোন রোগে সাহায্য করবে শসা?

    Cucumber: নিয়মিত একটা খেলেই ‘ম্যাজিক’! কোন কোন রোগে সাহায্য করবে শসা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা কিংবা চোখের নীচে কালচে দাগ, শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় জেরবার। আবার ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যাও ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সবেরই মুশকিল আসান করবে‌ শসা। নিয়মিত একটা শসা (Cucumber) একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজ হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত ডায়েটে শসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন রোগের মুশকিল আসান করবে শসা?

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেসাহায্য করে (Cucumber)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শসাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। এই উপাদানগুলো রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উপাদানের জোগান ঠিকমতো হলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। তাই তাঁদের পরামর্শ, কিডনির সমস্যা না থাকলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তেরা নিয়মিত শসা খেলে খুবই উপকার পাবেন। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য শসা বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, শসায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশপাশি ইনসুলিনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    পেটের অসুখের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শসা (Cucumber) পেটের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, শসায় ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এর ফলে অন্ত্র ভালো থাকে। শসা খেলে হজম তাড়াতাড়ি হয়। আবার পেটে ব্যথা হয় না। গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাও কমে।

    হাড়ের রোগ রুখতে পারে

    শসা থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন কে পায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে সুস্থ শরীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। বিশেষত হাড়ের শক্তি বাড়াতে এবং হাড়ের ক্ষয়রোগ রুখতে ভিটামিন কে জরুরি। তাই নিয়মিত শসা খেলে হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমে।

    স্থূলতা রুখতে সাহায্য করে (Cucumber)

    অনেকের বারবার খিদে পায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অসময়ে বারবার খাওয়ার ফলেই অনেকের দেহের ওজন বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শসা সঙ্গে থাকুক। তাঁরা জানাচ্ছেন, খিদে পেলেই শসা খাওয়া যেতে পারে। কয়েক টুকরো শসা সহজেই খিদে মেটাতে পারবে। কিন্তু শসায় ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। ফলে দেহে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্থূলতার সমস্যাও‌ কমবে।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই দুই উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শসা খেলে একাধিক রোগের মোকাবিলা শক্তি বাড়তে থাকে।

    ত্বক ভালো রাখে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শসাতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। তাই নিয়মিত শসা (Cucumber) খেলে দেহে জলের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়‌। এর ফলে ত্বকের শুষ্কতা কমে। ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। আবার শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকার জেরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে।

    তবে, শসা খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নুন মাখিয়ে শশা খান। যা খুবই ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শসার উপকারিতা কমে যায়। বরং দেহে অতিরিক্ত নুন প্রবেশ করে। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই নুন মাখিয়ে শসা খাওয়া চলবে না। বরং জলখাবার বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে শসা নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Snack time: স্ন্যাক্স টাইম বাড়াচ্ছে বিপদ! দেশ জুড়ে শিশুদের স্থুলতা কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    Snack time: স্ন্যাক্স টাইম বাড়াচ্ছে বিপদ! দেশ জুড়ে শিশুদের স্থুলতা কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

    মাধ্যাম ডেস্ক: ভারতে স্থুলতার সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সী কিংবা বয়স্কদের পাশপাশি শিশুদের অতিরিক্ত ওজন বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের স্থুলতার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শিশুদের (Childhood Obesity) দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্থুলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থুলতা শিশুদের শরীরে নানান জটিল রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বড় কারণ খাদ্যাভাস (Snack time)। বিশেষত চটজলদি জলখাবার অতিরিক্ত ওজন বাড়াচ্ছে।

    কেন স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে?

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের স্থুলতার সমস্যা আরও বেশি। আর তার প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জলখাবারের খাদ্যতালিকায় অধিকাংশ খাবার অস্বাস্থ্যকর থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই সন্তানকে নিয়মিত চটজলদি খাবার দেন। ন্যুডলস, পাস্তা, বার্গারের মতো খাবার (Snack time) নিয়মিত অনেক পরিবারেই খাওয়া হয়। এই ধরনের খাবারে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যায়। আবার অনেকেই নিয়মিত কেক, পেস্ট্রি, চটলেট জাতীয় খাবার খায়। এর ফলে দেহে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে। দুপুর কিংবা রাতের খাবারের তুলনায় অনেকে শিশুই (Childhood Obesity)  এই জলখাবার কিংবা স্ন্যাক্স টাইমের খাবারের জেরেই দেহে অতিরিক্ত ওজন বাড়ছে। যার জেরেই তারা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে।

    খাবারের পাশপাশি নিয়মিত পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না হওয়ার জেরেও শিশুদের দেহে অতিরিক্ত মেদ জমছে। মাঠে দৌড়ানো কিংবা সাঁতার কাটা, অথবা ফুটবল, ক্রিকেট খেলার মতো নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম খুব কম শিশুই নিয়মিত করে। এর ফলে ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ ও কম থাকে। এর জেরেই স্থুলতার সমস্যা আরও কাবু করছে‌।

    কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় (Snack time) ভোগেন। যার ফলে ডায়বেটিস, হৃদরোগ, লিভারের সমস্যার মতো নানান জটিল সমস্যা দেখা যায়। তার সঙ্গে হাঁটু ও কোমড়ের হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো বিপদ ও দেহের অতিরিক্ত ওজনের ফলে তৈরি হয়‌। কিন্তু একজন শিশুর স্থুলতার সমস্যা দেখা দিলে খুব ছোটো বয়স থেকেই তার দেহে এই ধরনের জটিল রোগ দেখা দেবে। এর ফলে তার স্বাভাবিক জীবন যাপন আরও বেশি কঠিন হয়ে যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে‌। আর তার অন্যতম কারণ স্থুলতা। পাশপাশি কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। দেহের অতিরিক্ত ওজন তার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন হলে কাজের প্রতি অনিহা তৈরি করে। সবসময় ক্লান্তিবোধ গ্রাস করে। অনেক সময়েই অতিরিক্ত ওজনের জন্য শিশু (Childhood Obesity) নিয়মিত পড়াশোনা কিংবা স্কুলের কাজ করতে পারে না। এর ফলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ও দেখা যায়। শিশুদের এই স্থুলতার সমস্যার প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। তাই এই সমস্যা বৃদ্ধির জেরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুকে (Childhood Obesity) প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যস্থ করতে হবে। তার সঙ্গে পরিমিত খাবারের ধারণা ও দিতে হবে। অনেক সময়েই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার জেরেই নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। ভাত কিংবা রুটির (Snack time) সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে সব্জি, মাছ নিয়মিত খেতে হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, জলখাবারের তালিকায় দুধ-কর্নফ্লেক্স, রুটি তরকারি ডিম সিদ্ধ কিংবা ডাল জাতীয় খাবার রাখতে হবে। মটর কিংবা ছোলা জাতীয় দানা শস্য ও বাড়িতে নানান পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। তার সঙ্গে নিয়মিত নানান রকমের ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাহলে খাবার একঘেয়ে লাগবে না। আবার তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীর পাবে। আর শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি। তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক কসরতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে। অতিরিক্ত মেদ ঝরবে। স্থুলতার ঝুঁকিও কমবে।

LinkedIn
Share