Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

  • Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নির্ণয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা, এতেই শেষ নয়। বরং আধুনিক জীবনে রোগী চিকিৎসায় সবচেয়ে জরুরি পাঠ রোগীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। শারীরিক রোগের সঙ্গে মনের যোগ কতখানি, তা বিচার করা। সেই মতোই চিকিৎসা চালানো। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) এই নয়া সমীকরণে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    ১ জুলাই ভারতে পালিত হচ্ছে জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors Day)। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আর সেই উপলক্ষে কলকাতায় একটি কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্ক নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। আধুনিক সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতিতে নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। চিকিৎসকদের শুধু সেই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই চলবে না। পাশপাশি, রোগীকে কীভাবে সে সম্পর্কে জানাবেন, রোগীর সঙ্গে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। কীভাবে সেই দক্ষতা বাড়ানো যায়, সেদিকেও নজর দিতে হবে!

    রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে (Doctor-Patient Relationsip) কেন বাড়তি নজর?

    রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা এতেই দায়িত্ব শেষ নয়। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ নিরাময়ের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কিনা, সেটা বোঝা যায়। কিংবা খুবই সাধারণ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব সম্পর্কেও‌ জানা যায়। কিন্তু এই সমস্যা কেন হচ্ছে, সেটা জানার জন্য রোগীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। রোগীর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, তাঁর মানসিক চাপ কতখানি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে না পারলে, রোগীর এই রোগ নিরাময় কঠিন। তাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কথা বলার অর্থাৎ কমিউনিকেশন স্কিলের (Communication Skill) দিকে নজরদারি জরুরি।

    বারবার রোগীদের ক্ষোভের মুখে চিকিৎসকরা

    কলকাতা ও রাজ্য জুড়ে গত কয়েক বছরে বারবার চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্থা করার ঘটনা চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া সমীকরণ নিয়ে সচেতনতা বাড়তি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানান পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। অনেক সময়েই রোগী সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু তার জন্য চিকিৎসককে পুরোপুরি দায়ী করা যায় না। চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের তরফে ওই কর্মশালায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রথম সারিতে থাকা কর্মী মাত্র। পরিকাঠামো ঠিক করার দায় সরকারের। চিকিৎসকের সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই করার থাকে না। কিন্তু তাঁদের রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাই রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হবে।

    রোগী-চিকিৎসক নতুন সম্পর্কের সমীকরণ কীভাবে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসা-পড়ুয়াদের পঠনকালের প্রথম বছর থেকেই এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Council) সুপারিশ মেনে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক (Doctor-Patient Relationsip) ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদেরও সেই সমস্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ওই আলোচনা চক্রে (National Doctors Day) বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, রোগীর সামাজিক পরিচয় জরুরি। অর্থাৎ, চিকিৎসক রোগী কোথায় থাকেন, কীভাবে থাকেন, পরিবারের পরিস্থিতি, এগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি। কারণ, অনেক সময়েই এই অবস্থাগুলো রোগীর রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি হয়ে ওঠে। কারণ, একাধিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তার সামাজিক পরিস্থিতি রোগ নিরাময়ের পথে বাধা হয়ে ওঠে। তাই সে সম্পর্কে চিকিৎসক ওয়াকিবহাল না থাকলে, রোগীকে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে উঠবে। তাই চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া দিক সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠছে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Premanand Ji Maharaj: রোজ এই ৬ অভ্যাসেই সুস্থ থাকবে শরীর-মন, বলছেন প্রেমানন্দ মহারাজ

    Premanand Ji Maharaj: রোজ এই ৬ অভ্যাসেই সুস্থ থাকবে শরীর-মন, বলছেন প্রেমানন্দ মহারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শরীরচর্চা নয়, প্রকৃত শক্তি আসে অন্তরের গভীর থেকে। মন, আত্মা এবং ঈশ্বরের উপর আস্থা—এই তিনটির মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেই জীবনে স্থিতি আসে। প্রেমানন্দ মহারাজ (Premanand Ji Maharaj) মনে করেন, জীবনের ভারসাম্য ধরে রাখার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সঠিক অভ্যাস ও আত্মিক চর্চায়। তাঁর মতে, নিয়মমাফিক জীবনযাপন শুধু শরীর নয়, মনকেও রাখে সুস্থ ও স্থির। কী সেই অভ্যাসগুলি যা আমাদের ভিতরকার শক্তিকে জাগিয়ে তোলে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

    ১. ব্রহ্ম মুহূর্তে জাগরণ

    সূর্যোদয়ের আগের সময়কে বলা হয় ‘ব্রহ্ম মুহূর্ত’। এই সময় প্রকৃতিতে এক বিশেষ পবিত্র শক্তির উপস্থিতি থাকে। মহারাজের (Premanand Ji Maharaj) মতে, এই সময় ঘুম থেকে উঠলে মন থাকে শান্ত, চিন্তাভাবনায় আসে স্বচ্ছতা এবং সারাদিন কাটে মনঃসংযোগ ও ইতিবাচকতায়।

    ২. প্রতিদিন ধ্যান ও জপের অভ্যাস

    প্রতিদিন ঈশ্বরের নাম জপ ও ধ্যান করলে মন শান্ত হয়, বাড়ে একাগ্রতা। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে দরকার ব্যায়াম, তেমনই আত্মিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ধ্যান ও জপ। এর মাধ্যমে মন থেকে নেতিবাচক ভাবনা দূর হয়।

    ৩. সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ

    “আমরা যা খাই, তাই আমাদের মন ও চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে,” এমনটাই বলেন মহারাজ (Premanand Ji Maharaj)। তাই নিরামিষ, ঘরোয়া ও সহজপাচ্য খাদ্য যেমন—শাকসবজি, ফলমূল, দুধ ও শস্য গ্রহণ করলে শরীরের পুষ্টির পাশাপাশি মনও থাকে পরিষ্কার ও স্থিত।

    ৪. ব্রহ্মচর্য বা সংযম পালন (Healthy Life)

    নিজের ইচ্ছা, ভাবনা ও কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ রাখাই ব্রহ্মচর্য। মহারাজের মতে, এই আত্মসংযমই ধীরে ধীরে গড়ে তোলে মনের জোর ও শারীরিক বল। এতে জীবনে আসে লক্ষ্যভেদী দৃষ্টিভঙ্গি ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

    ৫. নিঃস্বার্থ সেবা (Healthy Life)

    অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করলে হৃদয় হয় উদার, আর অহংকার কমে যায়। মহারাজ বলেন, “শক্তি শুধু শরীরের পেশিতে নয় বরং সত্যিকারের শক্তি নিহিত থাকে সহানুভূতি, সহিষ্ণুতা ও বিনয়ের মধ্যে।”

    ৬. সাধু-সঙ্গ ও ধর্মগ্রন্থ পাঠ

    প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যয় করুন ঈশ্বরচিন্তা, ধর্মীয় আলোচনা বা শাস্ত্র পাঠে। মহারাজের (Premanand Ji Maharaj) ভাষায়, “এটি যেন প্রতিদিনের এক ‘আত্মিক চার্জিং পয়েন্ট’, যা মনকে নির্মল ও সংকল্পকে দৃঢ় করে তোলে।”

    প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, বাহ্যিক শক্তির থেকেও অনেক বেশি মূল্যবান হল অন্তরের বল। এই শক্তিই মানুষকে সত্যিকারের শান্তি, স্থিতি ও সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই শক্তির উৎস—নিয়ম, সংযম, সদাচরণ ও আধ্যাত্মিক সাধনা।

  • Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুধুই ওষুধ, কেমো থেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি নয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) অন্যতম জরুরি ‘দাওয়াই’ ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ (Palliative Care)। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসা চলাকালীন এবং ক্যান্সার আক্রান্তের ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হলে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম বাধা এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নেই। তাই অনেক সময়েই ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ে।

    প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) কী?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, রোগী চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের পাশপাশি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরে নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই বাড়তে থাকে মানসিক চাপ এবং অবসাদ। যা তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অর্থাৎ, যারা আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এমন অভিজ্ঞতার মানুষের প্রয়োজন। যারা ক্যান্সার আক্রান্তের ‘সার্পোট সিস্টেম’ হিসাবে পাশে থাকবেন। আক্রান্তের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবেন। তার ফলে রোগী চিকিৎসায় আরও দ্রুত সাড়া দেবেন।

    কেন জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার?

    অঙ্কোলজিস্ট বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার পথ দীর্ঘ। অধিকাংশ সময়েই রোগী হতাশ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক মূলত অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং কেমো কিংবা রেডিওথেরাপির বিষয়ে নজর দেন। কিন্তু এই সমস্ত প্রক্রিয়ার একটি চাপ রোগীর মনের উপরে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত ফের সুস্থ হয়ে জীবন যাপনের আশা হারিয়ে ফেলছেন। কিংবা এই দীর্ঘ জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময়েই তার ফলে আক্রান্তের শরীরে চিকিৎসা সাড়া দেয় না। কিন্তু রোগী এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) পেলে সহজেই নিজের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যেহেতু যার কাছে রোগী নিজের সমস্যা জানাচ্ছেন, তিনিও অভিজ্ঞ, তাই সহজেই সমস্যা বোঝানো যায়। পাশপাশি ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব, এটা বারবার চোখের সামনে দেখলে রোগীর মধ্যে ইতিবাচক জোর আসে। যা তাঁর শরীর ও মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধ, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির মতোই সমান জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগীর শরীরে ওষুধের মতোই কাজ করে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের থেরাপি। নিয়মিত এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার পেলে রোগীর মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাতেও সুবিধা হয়। কেমো থেরাপি বা রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসায় শরীরে অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাতে চিকিৎসা আরও ভালো হয়। দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়।

    রাজ্যে সমস্যা কোথায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার গড়ে তুলতে হলে ক্যান্সার চিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ জরুরি। রোগী কোথায় থাকেন, কতদিন চিকিৎসা চললো, এখন কেমন আছেন, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ জরুরি। ক্যান্সার আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। কারণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার, যারা দেবেন, তাঁদের নূন্যতম প্রশিক্ষণ জরুরি। রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করা, কথা বলা, তাঁর মনের অবস্থা বোঝার মতো প্রশিক্ষণ জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) তৈরির প্রাথমিক কাজ ঠিক মতো হয় না। অর্থাৎ, তথ্য সংগ্রহের কাজ ঠিকমতো হয় না। ফলে রাজ্যের কোনো সরকারি হাসপাতালেই ক্যান্সার আক্রান্তেরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সুবিধা পাচ্ছেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হাড়ের ক্ষয় (Bone Decay) রোগ।‌ ভারতের মহিলাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। বাদ নেই শিশুরাও। বহু ভারতীয় শিশু হাড়ের রোগে আক্রান্ত। বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরোলেই অনেকে কোমড় ও হাঁটুর ব্যথায় কাবু হচ্ছেন। আর চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যার জন্যই কোমড়, হাঁটুর যন্ত্রণার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘসময় একনাগাড়ে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই হাড়ের সমস্যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছেন না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। প্রথম থেকেই সচেতন না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি আরও বাড়বে। এর ফলে স্বাভাবিক জীবন‌ যাপনে অসুবিধা হবে।

    কেন হাড়ের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা (Bone Decay) বাড়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব হাড়ের সমস্যা বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ভিটামিন কে-র (Vitamin K) অভাব দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ভারতীয় বিশেষত তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে ভিটামিন কে-র অভাব বাড়ছে। যার জেরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যাও এ দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খেলে হাড়ের সমস্যা কমবে।

    কেন হাড়ের জন্য ভিটামিন কে জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে (Vitamin K) হাড়ের ভিতরের মজ্জা অর্থাৎ অস্থি মজ্জার জন্য জরুরি‌। অস্থি মজ্জা ঠিক রাখতে ভিটামিন কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশপাশি ভিটামিন কে পেশির তন্তু শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশির তন্তু শক্তিশালী হলে তবেই শরীরের একাধিক কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। কাজ করাও সহজ হয়। অস্থি মজ্জা ঠিক থাকলে হাড় ভেঙে (Bone Decay) যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই শরীরের কাঠামো মজবুত করতে ভিটামিন কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কীভাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে পাওয়া যাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র (Vitamin K) ঘাটতি পূরণ করার জন্য ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগ রুখতে অনেকেই নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেন। কিন্তু হাড় মজবুত (Strong Bones) করতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খাওয়া সমান জরুরি। পুষ্টিকর খাবার শরীর সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিয়মিত শাক খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাওয়ার শুরুতে শাক খাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। কিন্তু আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিয়মিত শাক খান না। ওয়ান পট মিল অর্থাৎ, একরকম খাবারেই পেট ভরিয়ে ফেলেন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপত্তি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শাক হলো ভিটমিন কে-র সবচেয়ে বড় উৎস। যে কোনও রকম শাক থেকে সহজেই ভিটামিন কে পাওয়া যায়। বিশেষত পালং শাক, মেথির শাকের মতো সবুজ পাতা শরীরে ভিটমিন কে জোগান সহজ করে।

    ব্রকোলি ভিটামিন কে জোগান দেবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রকোলি হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ একটি খাবার। নিয়মিত ব্রকোলি খেলে শরীর সহজেই ভিটামিন কে (Vitamin K) পাবে। ব্রকোলি রোস্ট কিংবা তরকারি হিসাবে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব্জি নিয়মিত খেলে হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    রোজ একটি ডিম খেলে কমবে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র অন্যতম উৎস ডিম। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। তাই নিয়মিত একটি ডিম খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন কে-র জোগান ঠিকমতো হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের নিয়মিত একটি ডিম খাওয়ানো জরুরি। ডিমে‌র পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক ভিটামিনের চাহিদাও ডিম সহজেই পূরণ করে। তাই ডিম নিয়মিত খেলে শিশুদের ও হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    কিউই জাতীয় ফল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে (Vitamin K) থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন কিউই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন কে পাবে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Diet At 60: ষাটের পরেই বাড়ছে ক্লান্তি! কোন খাবারে প্রৌঢ় বয়সে বাড়বে শক্তি?

    Diet At 60: ষাটের পরেই বাড়ছে ক্লান্তি! কোন খাবারে প্রৌঢ় বয়সে বাড়বে শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রৌঢ় জীবন যাপনের (Old Age Lifestyle) সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। বয়স ষাট কিংবা সত্তরের চৌকাঠ পেরনোর পরেই অনেকে স্বপ্ন পূরণ শুরু করছেন। কেউ পাহাড় চড়ার সখে তালিম নিতে চাইছেন আবার কেউ বিদেশের মাটিতে ছুটি উদযাপন করতে যেতে চান। কিন্তু অনেক সময়েই এই সমস্ত স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শরীর! অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে শরীরে বাড়তি ক্লান্তি গ্রাস করছে। নানান রোগের জেরে ভোগান্তি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স প্রৌঢ়কালে পৌঁছলেই পুষ্টির (Diet At 60) দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। শরীরের প্রয়োজন বুঝে পুষ্টিতে নজর দিলেই বড় সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। রোগ ভোগান্তির ঝুঁকিও কমে।

    কোন ধরনের সমস্যার দিকে নজর জরুরি? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের (Old Age Food Habits) কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাহলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। ভোগান্তিও কম হয়।

    হৃদরোগ নিয়ে সতর্কতা!

    বয়স বাড়লে রক্তচাপ ওঠানামা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই হৃদযন্ত্রের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এমন খাবার খাওয়া নিয়মিত জরুরি, যাতে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। দেহের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। তাছাড়া শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের সরবরাহ ঠিকমতো হয় (Diet At 60)। যাতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকলে বার্ধক্যের একাধিক সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্নায়ুর কার্যক্ষমতার উপরে নজরদারি জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমছে। তাই স্বাভাবিক জীবন যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এই সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সব খাবারে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ে সেগুলো নিয়মিত খাওয়া জরুরি। পাশপাশি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে নিয়মিত যোগাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অন্ত্রের দিকে বাড়তি নজর!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স ষাট পেরোলেই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় হজমের গোলমাল। বাইরে যাওয়া ও থাকার ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই খাবার খাওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়। অনেকেই বমি, পেটের অসুখ, হজমের সমস্যায় কাবু হন। তাই অন্ত্রের খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত এমন খাবার খাওয়া উচিত (Old Age Diet), যাতে হজম ঠিক মতো হয়। লিভার সুস্থ থাকে। হজমের গোলমাল এড়ানো গেলে প্রৌঢ় জীবনের নানান রোগের ভোগান্তিও কমানো যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রৌঢ় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই রোগের জেরেই শরীরে নানান রোগের দাপট বাড়ছে। তার উপরে কিডনির কার্যকারিতা কমছে। ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি। ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করলে অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিডনির জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোন কোন খাবারে মিলবে সমাধান?

    নিয়মিত প্রোটিন জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লেও (Diet At 60) প্রোটিন খাওয়া কমালে চলবে না। বরং, নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম, সোয়াবিনের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। এগুলো শরীরে এনার্জি জোগান দেবে। পেশি মজবুত করবে। বয়স বাড়লে পেশির জোর কমে। তাই প্রোটিন আরও দরকার। স্নায়ু ও পেশির সক্রিয়তা বজায় রাখতে প্রোটিন জরুরি। তবে অবশ্যই সহজপাচ্য প্রোটিন রান্না দরকার। মাছ, মাংস বা ডিম পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, কখনই বেশি তেল মশলা দিয়ে রান্না করা চলবে না। তাহলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে।

    ক্যালসিয়ামের জোগানের দিকে বাড়তি নজর!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে হাড়ের পুষ্টির দিকে বাড়তি নজরদারি দরকার (Diet At 60)। তাই ক্যালসিয়াম নিয়ে সচেতনতা জরুরি। নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দুধ, ডিম এবং লেবু জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই তিন খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই হাড়ের ক্ষয় রোগ মোকাবিলা সহজ হয়‌‌। দাঁত ভালো থাকে।

    হৃদরোগ এড়াতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামে ভরসা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে দানাশস্য জাতীয় খাবার এবং বাদাম জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। বরং রুটিন মাফিক এই ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট, কাজুবাদাম জাতীয় নানা রকমের বাদাম খাওয়া প্রয়োজন (Old Age Food Habits)। প্রতিদিন অন্তত একধরনের বাদাম পাঁচ থেকে ছয়টি খাওয়া জরুরি। বাদাম চিবিয়ে খেলে মুখের পেশি ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। তাছাড়া বাদাম জাতীয় খাবার খনিজ পদার্থে ভরপুর (Diet At 60)। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়ামের মতো উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় আবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে। এর ফলে বার্ধক্যের একাধিক ভোগান্তির ঝুঁকি কমানো যায়।

    অন্ত্রের জন্য টক দই জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় কালে অন্ত্রের ভোগান্তি কমাতে তেল মশলা কম দেওয়া খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি (Old Age Food Habits)। পাশপাশি নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইতে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে। এর ফলে হজম শক্তি বাড়ে। অন্ত্র সুস্থ থাকে। লিভারের রোগের ঝুঁকিও কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা সমস্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ (Anemia in Bengal)। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রনের ঘাটতি থেকেই এই রোগ। যা সুস্থ জীবন যাপন ব্যহত করে। পাশপাশি, নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের এই ঘাটতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তে আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বাড়ছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ শিশু এবং ৫৯ শতাংশ কিশোরী অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছে। দেশের প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে তিনজন রক্তাল্পতা সমস্যায় ভুগছেন। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুক্তভোগীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Tops Anemia List)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা অ্যানিমিয়ার শিকার। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলার এই রক্তাল্পতার সমস্যা অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যে কেন রক্তাল্পতার (Anemia in Bengal) সমস্যা বাড়ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিনটে কারণে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের অসচেতনতা এ রাজ্যের মহিলাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাব। বহুক্ষেত্রে মহিলারা নিয়মিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। তাই এ রাজ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশপাশি অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল এমনকি ধনী পরিবারের মহিলাদেরও অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। আর এই কারণেই রক্তাল্পতা (Anemia in Bengal) বাড়ছে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমিণে আয়রন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় থাকছে না। এ রাজ্যের অধিকাংশ শহুরে কিশোরীর নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় মাছ, ডাল, কাঁচকলা, মোচা জাতীয় খাবার থাকে না। এগুলো থেকে শরীর সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু নিয়মিত অনেকেই এই ধরনের খাবার খায় না। বরং এমন অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, যেগুলোর কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ফলে ওজন বাড়ছে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    বায়ুদূষণ!

    পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছরে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি বাড়ার অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ (Anemia in Bengal)। তাঁরা জানাচ্ছেন, বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় না। শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। নানান দূষিত কণা শরীরে পৌঁছে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন নষ্ট করে। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ রাজ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাল্পতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের বিশেষত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এগুলো না হলে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি শারীরিক বিকাশ ও ঠিকমতো হয় না। এর ফলেও অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Anemia in Bengal)।

    রক্তাল্পতা কেন উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের আয়রনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে নানান কারণে প্রতি বছর ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু এ রাজ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার দাপট বাড়ছে, তাতে সুস্থ জীবন যাপন আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমলে যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ ছাড়া মহিলাদের অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় আরও জটিলতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ সন্তানের জন্মদান করার জন্য মায়ের সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। মায়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে সন্তানের শরীরে তার প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। মায়ের জীবনের ঝুঁকিও বাড়বে। ফলে গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও তৈরি হবে। তাই অ্যানিমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) রুখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খাওয়া জরুরি। মুসুর, মুগ কিংবা ছোলার ডাল, যেকোনও রকমের ডাল শরীরের জন্য উপকারি। পাশপাশি মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ থেকে শরীর সহজেই আয়রন পায়। তাই নিয়মিত মাছ খেলে আয়রনের জোগান সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, কলা, আপেল, বেদানার মতো ফল সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলগুলো আয়রনে ভরপুর। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে (Bengal Tops Anemia List)‌। ডুমুর, থোড়, মোচার মতো সব্জি সপ্তাহে অন্তত একবার কিংবা দু’বার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই অ্যানিমিয় মোকাবিলায় সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে পরিবার! কাজের জন্য অধিকাংশ পরিবারেই সন্তান আর বাবা-মায়ের বাসস্থানের ঠিকানা এখন আলাদা! পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে অধিকাংশ পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে আলাদা শহরে কিংবা ভিনদেশে থাকতে হচ্ছে। বাড়িতে থাকছেন প্রৌঢ় বাবা-মা। আর তার প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কে! সম্প্রতি অ্যালজাইমার নিয়ে এক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, একাকিত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কারণ একাকিত্ব (Loneliness)!

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে দেশ জুড়ে বেড়েছে ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সেই অনেকে খুব সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের বিষয়ে মনে রাখতে পারছেন না। এর ফলে বয়স্কদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই ‘ব্রেন ফগ’-র মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, স্বাভাবিক কাজ করার সময়েই হঠাৎ কী কাজ করা হচ্ছিল, কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে সবকিছু কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা বারবার দেখা দিলে যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ব্যবহারের ছোটো ছোটো জিনিস মনে রাখতে না পারা, ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। একাধিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মধ্যে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন একাকিত্ব (Loneliness) বিপদ বাড়াচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে সমাজ ও পরিবারের কাঠামো অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই অনেক সময়েই পরিবারের তরুণ প্রজন্মদের সঙ্গে বয়স্কদের সময় কাটানোর বিশেষ সুযোগ হয় না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলে, অনেক সময়েই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হয়। এর প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। স্নায়ুর সক্রিয়তা ও কমে যায়। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক কারণেই স্নায়ুর ক্ষমতা কমে। কিন্তু তার উপরে মানসিক চাপ বাড়তি প্রভাব ফেলে। পাশপাশি, বাড়িতে দীর্ঘ সময় একা থাকলে সক্রিয় থাকার সুযোগ কম হয়। স্থির জীবনে মস্তিষ্কের কাজ করার সুযোগ ও কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপরে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও কমতে থাকে‌। তাই অ্যালজাইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ার পিছনে একাকিত্ব সবচেয়ে বড় কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের?

    ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। পরিবারের কাঠামো ও বদলে যাচ্ছে। তাই এই সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকাও দরকার। প্রৌঢ় বয়সে নিজের মতো জীবন যাপন জরুরি। সে সম্পর্কে অবগত থাকাও প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেই ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমবে‌। মানসিক চাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত সক্রিয় জীবন যাপন, সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

    বই পড়া, হাঁটা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বই পড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস একাকিত্ব (Loneliness) কাটাতে সাহায্য করবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখবে। স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করবে‌‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা বা পড়লে মস্তিষ্কের কাজ হয়। আবার একাকিত্ব কমে‌। এর ফলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
    এর পাশপাশি নিয়মিত হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকাল ও বিকেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে বেরোলে অবসাদ কমে। মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলা এগুলো একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করে। আবার নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়‌। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ঠিক থাকে।

    আড্ডায় অনেক উপকার

    বিভিন্ন ধরনের মেন্টাল অ্যাক্টিভিটির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরে বসেই ক্রশওয়ার্ড বা পাজেল গেম জাতীয় অ্যাক্টিভিটির অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে‌। বন্ধু তৈরি সবচেয়ে জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য বন্ধু প্রয়োজন। একাকিত্ব কাটাতে এবং প্রৌঢ় বয়সের রোগের ঝুঁকি কমাতেও জরুরি বন্ধু। তাই এলাকার ও আশপাশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দরকার। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এলাকার সম বয়সিদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করার অভ্যাস থাকা জরুরি। তাহলে একাকিত্ব (Loneliness) জটিল আকার নিতে পারবে না। ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ চড়লেও আকাশে মেঘ জমেছে! মাঝেমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বর্ষা (Monsoon) আসছে! আবহাওয়া দফতর জানান দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি (Dengue) শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ফের ডেঙ্গির দাপট (Dengue in Bengal) শুরু হতে পারে। তাই আগাম বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমাতে এখন থেকেই বাড়তি তৎপরতা (Dengue Precautions) প্রয়োজন। না হলে বিপদ মারাত্মক হতে পারে।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষা (Monsoon Season) শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে প্রকোপ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই তিন মাসে ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। বিশেষত সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তাই অন্তত জুন-জুলাই থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Dengue Precautions)। বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় হলে, বিপদ মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যের কী পরিস্থিতি?

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in Bengal) সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বর্ষা শুরুর আগেই হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় কমবেশি ১৬০ জন। হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ডেঙ্গির চোখরাঙানি থেকে বাদ নেই কলকাতাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এছাড়াও, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া জেলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ।

    কীভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি মোকাবিলা সহজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় এলাকা (Dengue in Bengal) পরিষ্কার সবচেয়ে জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে না পারলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তাই এলাকার পার্ক, রাস্তা এমনকি আবর্জনা ফেলার জায়গাও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির ছাদে, বাগানে কিংবা এলাকার পার্কে আগাছা জন্মালে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষত যারা ছাদে বা বারন্দায় বাগান করেন, তাঁদের জন্য পরামর্শ, টবে যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থির জলে ডেঙ্গি মশা বেশি জন্মায়। তাই টব কিংবা ফুলদানির মতো জায়গায় জল জমলে ডেঙ্গির মশার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও (Dengue Risks) বেশি। বাড়িতে চৌবাচ্চা থাকলে সেখানেও সাত দিনের বেশি জল যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আশপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণ রুখতে ডেঙ্গির উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিন দিন লাগাতার জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি (Dengue in Bengal)। ডেঙ্গি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই সংক্রমণ রুখতে সহজ হবে। রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানোও সহজ হবে। পরিবারের কোনো সদস্য ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখা জরুরি। বাড়ির অন্য সদস্যদের যাতে ডেঙ্গি (Dengue Precautions) না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে বাড়তি তৎপরতা প্রয়োজন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share