Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • HMPV Outbreak: ‘‘এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়’’, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভিডিও বার্তা নাড্ডার

    HMPV Outbreak: ‘‘এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়’’, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভিডিও বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস (HMPV Outbreak) নয়। দেশবাসীর উদ্বেগ দূর করতে এক ভিডিও বার্তায় সোমবার এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ভিডিও বার্তায় কী বললেন নাড্ডা?

    নিজের ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখনই চিন্তার পরিস্থিতি হয়নি।’’ জনসাধারণের উদ্দেশে নিজের বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে এইচএমপিভি (HMPV Outbreak) নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এটি বহু বছর ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এইচএমপিভি বাতাসের মাধ্যমে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’’ নাড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যদি হঠাৎ করে খুব বেড়ে যায়, তাহলেও সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

    পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত, জানালেন নাড্ডা (JP Nadda) 

    তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে। শীত ও বসন্তের প্রথম দিকে ভাইরাসটি (HMPV Outbreak) বেশি ছড়ায়।’’ নিজের বিবৃতিতে নাড্ডা বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে, চিনে এইচএমপিভির ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের তরফে চিনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।’’ তিনি জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের সঙ্গে কথা বলছে। তারাও তাদের রিপোর্ট দিল্লিকে দেবে। প্রসঙ্গত, চিনও সেখানে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণকে একটি ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। নাড্ডা আরও জানান, চিনের পরিস্থিতির ওপর অবিরাম নজর রাখছে কেন্দ্র। নজর রাখা হচ্ছে অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। হু শীঘ্রই ওই ভাইরাসের বিষয়ে তাদের তথ্য ভারতকে পাঠাবে বলেও আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগে এমনই শীতে দানা বেঁধেছিল মহামারি। কয়েক মাসে গোটা বিশ্ব আক্রমণের কবলে পড়েছিল! সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে কি? এমন চিন্তায় অনেকেই। করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই চিনেই আবার আরেক ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মৃত্যুর খবরও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের (HMPV) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে।

    নতুন চিনা ভাইরাসের উপসর্গ কী

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চিনের এই ভাইরাসের পোশাকি নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই রোগে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেবে। আবার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে‌। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসেও শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বমি, পেটব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? (HMPV)

    চিনের এই ভাইরাসে বিপদ বাড়ছে শিশুদের। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগের প্রকোপে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর মনে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষত শিশুদের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাদের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে, শিশুদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের পাশপাশি বড়দেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সর্দি-কাশি-জ্বর যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবারের কেউ জ্বর কিংবা সর্দিতে ভুগলে, তাঁর আলাদা থাকাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ কারণ, এই ভাইরাস (HMPV) হাঁচির মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে‌ চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিশ্রুত জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    করোনা ভাইরাসের মতোই মহামারির আশঙ্কা রয়েছে কি? (HMPV)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ আতঙ্কের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাসের চিকিৎসা রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই ভাইরাস সক্রিয় হয়েছিল। চিকিৎসা করে রোগ নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাবধানতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়। যা আগের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। আতঙ্ক নয়। সচেতনতাই পারবে এই রোগের মোকাবিল করতে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ ফের নেমেছে। তাই রাজ্য জুড়ে শীতের (Winter) আমেজ। শীতের যেসব খাবার বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে, সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে খেজুর গুড়। যার গন্ধে ও স্বাদে বাঙালি মজে থাকেন! পায়েস হোক কিংবা পরোটা, শীতের খেজুর গুড়ের (Date molasses) স্বাদ ও গন্ধ এই সময়ে বাড়তি উষ্ণতা জোগায়। কিন্তু খেজুর গুড় শরীরে কী প্রভাব ফেলে! কতখানি উপকার করে, নাকি এই খাবারে ক্ষতির পাল্লা বেশি ভারী! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ের গুণ একাধিক। তবে ক্ষতির দিকটিও নজর দেওয়া দরকার। বিশেষত সকলের জন্য এই খাবার স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। কতখানি উপকারী খেজুর গুড়?

    শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটায় (Date molasses)

    খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আয়রন খুব প্রয়োজন। তাছাড়া, শরীরের এনার্জি ধরে রাখতেও আয়রনের দরকার। খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরে আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়‌।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    খেজুর গুড় লিভারের জন্য উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে (Date molasses) রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য উপকারি। এতে লিভার সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হজমে সাহায্য করে (Date molasses)

    খেজুর গুড় হজম শক্তি বাড়ায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক টুকরো খেজুর গুড় খেলে হজম শক্তি বাড়ে‌। অন্ত্র সুস্থ থাকে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে খেজুর গুড়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় থেকে শরীর সহজে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম পায়। তাই এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।

    ত্বক ভালো থাকে

    খেজুর গুড় ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় (Date molasses) ত্বককে মসৃণ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ কমাতে খেজুর গুড় বাড়তি সাহায্য করে।

    কাদের জন্য ক্ষতিকারক এই খাবার?

    খেজুর গুড়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখার একাধিক গুণ থাকলেও এর (Date molasses) বেশ কিছু দিক যথেষ্ট ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে শর্করা থাকে। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। শরীরে শর্করার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। 
    আবার, খেজুর গুড় দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় নিয়মিত খেলে স্থূলতার সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যাঁরা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই খাবার বাড়তি ক্ষতিকারক।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Human Metapneumovirus: চিনের নতুন ভাইরাসে আতঙ্ক! ভারতে সংক্রমণের ভয় কতটা, কী বলল কেন্দ্র?

    Human Metapneumovirus: চিনের নতুন ভাইরাসে আতঙ্ক! ভারতে সংক্রমণের ভয় কতটা, কী বলল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ক্রমশ বাড়ছে নয়া ভাইরাসের দাপট। চিনের একাধিক হাসপাতালে থিক থিকে ভিড়। করোনার পর হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এইচএমপি ভাইরাসে। চিনের এই ভাইরাসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও কেস রিপোর্ট হয়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কী বলল কেন্দ্র

    হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি। এটি সাধারণ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মতোই। সাধারণ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই ভাইরাস নিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সতর্কবার্তাও নেই। তবে শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর। অতুলের কথায়, ‘‘চিনে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খবর ঘুরছে। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। সর্দি-জ্বর ঘটায় এমন যে কোনও শ্বাসযন্ত্র আক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই কাজ করে এইচএমপিভি। ছোট থেকে বয়স্ক, যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জ্বরে ভুগতে পারেন।’’

    শ্বাসনালীর সংক্রমণের নিয়ে সাবধানতা

    অতুল শ্বাসনালীর সব ধরনের সংক্রমণের নিয়েই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ অতুল এ-ও জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে এ দেশের মানুষ জনের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়নি। অন্তত পরিসংখ্যানে তেমনটা ধরা পড়েনি। দেশের কোনও হাসপাতালেই শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কোনও খবর মেলেনি। যদিও শীতকালে এই সমস্যা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। হাসপাতালগুলিও সেই মতো প্রস্তুত থাকে। তার পরেও বার বার মানুষজনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অতুল। তিনি বলেন, ‘‘একটাই কথা সকলকে বলতে চাই যে, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সংক্রমণ নিয়ে যে ভাবে সতর্ক হই, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে হবে। তার অর্থ, কারও সর্দি বা কাশি হলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’’ হাঁচি, কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অতুল।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর 

    মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়

    মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়, ২০০১ সালেও এর সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু যেটা নতুন, তা হল সংক্রমণের হার। ১৪ বছরের নীচে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, একইসঙ্গে বয়স্করাও। তবে তা হচ্ছে চিনে। এই ভাইরাসের হদিশও পাওয়া গিয়েছে চিনে। এই ভাইরাসের উপসর্গ অনেকটাই কোভিডের মতো। তবে ওতটা মারাত্মক না হলেও, চিকিৎসকরা সতর্ক থাকতে চাইছেন। এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকদের কাছে সেটাই উদ্বেগের কারণ। এর উপসর্গ সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে লাগাতর জল পড়া, অসম্ভব গলা ব্যথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) চিকিৎসায় ‘সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল থেরাপি’ নিয়ে নতুন রকম গবেষণার পথে আইআইটি গুয়াহাটি ও কলকাতার বোস ইনস্টিটিউট। এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে লন্ডনের ‘রয়াল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি’-র বিজ্ঞান পত্রিকা ‘মেটেরিয়াল্স হরাইজনস’-এ। গবেষণাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে। ‘হাইড্রোজেল’ তৈরি করা এবং সেটির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণায় রয়েছেন আইআইটি গুয়াহাটির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস ও তাঁরই দুই ছাত্রী তনুশ্রী দাস ও ঋত্বিকা কুশওয়াহা। অন্যদিকে, ‘হাইড্রোজেল’ পদ্ধতিটির বাস্তব প্রয়োগ করে কী ফল পাওয়া যাচ্ছে, সে নিয়ে পরীক্ষা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা ও তাঁর ছাত্র সত্যজিৎ হালদার এবং অনুপকুমার মিশ্র।

    নয়া গবেষণায় সাফল্য

    স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) দুই রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আছে— অস্ত্রোপচার ও কেমোথেরাপি। অস্ত্রোপচার করলেই যে ক্যান্সার কোষ নির্মূল হবে, তা নয়। এর পরেও কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপি দিতে হয়, যা যথেষ্টই যন্ত্রণাদায়ক ও খরচসাপেক্ষও। বস্তুত শরীরে বিষ প্রয়োগ করেই বিষক্ষয়ের চেষ্টা হয়। এতে যেমন শরীরের উপর অত্যাচার হয়, তেমনই মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন রোগী। কাজেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেবল শরীরে নয়, মনেও হয়। নয়া গবেষণা প্রসঙ্গে আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস বলেন, “ক্যান্সারের চিকিৎসায় সুপ্রামলিউকিউলার জেল নিয়ে গবেষণা করে আমরা যা ফল পেয়েছি, তা আগে কখনও হয়নি বলেই আমার ধারণা। পলিমার জেল নানা রকম গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু ক্যান্সার সংক্রান্ত গবেষণায় এর প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গিয়েছে।”

    ‘হাইড্রোজেল’-এর বিশেষত্ব

    আর পাঁচটি জেলের মতো নয়। এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পলিমার, যা ছোট ছোট পেপটাইড দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হল পেপটাইড। সেই পেপটাইড দিয়েই তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেল। এর মধ্যে জলীয় ভাবই বেশি। সহজ করে বললে থকথকে জেলির মতো। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা বলেন, “হাইড্রোজেল খুব নরম বস্তু, তরলও নয় আবার শক্তও নয়। এর ভিতরে পলিমারের নেটওয়ার্ক আছে। জেলের ভিতর ওষুধ ভরে দিলে ওই নেটওয়ার্কের জালিতে গিয়ে ওষুধটি সেঁটে যাবে। শক্ত করে আটকে বসবে, বাইরে বেরোবে না। এ বার জেলিটা শরীরে ইনজেক্ট করলে সেটি ওষুধটিকে নিয়ে সোজা চলে যাবে ক্যান্সার কোষের কাছে। সেখানে গিয়ে ফেটে যাবে এবং ওষুধটি ছিটকে বার করে একেবারে টিউমারের উপর ফেলবে।”

    কীভাবে ধ্বংস হবে ক্যান্সার কোষ

    গবেষণাগারে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল। এটি যত ক্ষণ বাইরে রাখা হবে, তত ক্ষণ জেলির মতো জমে থাকবে। সিরিঞ্জে ভরার পরেই সেটি তরল হবে এবং সহজে ইনজেক্ট করা যাবে। আবার সুচের ডগা দিয়ে বেরোনো মাত্রই ফের জমে গিয়ে জেলি হয়ে যাবে। এই জেলি এমন এক আধার, যা তার পেটের ভিতর ওষুধ পুরে নিয়ে দৌড়বে ক্যান্সার কোষের দিকে। সরাসরি আঘাত করে ধ্বংস করবে টিউমার কোষকে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার কোষ একটি সঙ্কেত ছাড়ে, যেটি বুঝতে পারবে হাইড্রোজেল। সেই সঙ্কেতটির নাম হল ‘গ্লুটাথায়োন’। এক রকম ট্রাইপেপটাইড, যা শরীরেই তৈরি হয়। ক্যান্সার কোষে এর মাত্রা খুব বেড়ে যায়। হাইড্রোজেল দেখবে যে কোষে গ্লুটাথায়োনের মাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেশি, সেখানে গিয়েই সেটি ফেটে যাবে আর ওষুধও বেরিয়ে আসবে ভিতর থেকে।

    ইঁদুরের উপর পরীক্ষা

    হাইড্রোজেলটি কী ভাবে কাজ করছে, সে গবেষণা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা। তিনি বললেন, “ইঁদুরের উপর পরীক্ষা হয়েছে। ওষুধটির একটিমাত্র ডোজ ইনজেক্ট করে দেখা গিয়েছে, ১৮ দিনের মাথায় টিউমার কোষের ৭৫ শতাংশ নির্মূল হয়েছে। ইনভিট্রো সেল কালচার মডেলে পরীক্ষাটি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছি আমরা। এর পরে মানুষের উপর পরীক্ষাও হবে।”

    আরও পড়ুন: ঝঞ্ঝায় দক্ষিণে বাড়তে পারে পারদ, বৃষ্টি-বরফের সম্ভাবনা উত্তরে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মানুষের উপর প্রয়োগ

    হাইড্রোজেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়। এখনও গবেষণাটি চলছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আরও অনেকগুলি স্তরেই গবেষণা হবে। হাইড্রোজেলের ‘পেটেন্ট’ পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছে তা পাঠানোও হয়েছে। আইআইটি গুয়াহাটি ও বোস ইনস্টিটিউটের অনুমতিসাপেক্ষে বাণিজ্যিক ভাবে তাঁরা এই নিয়ে কাজও করতে পারেন। এর পরের ধাপ হল মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা। তার জন্য নানা জায়গায় আবেদন করতে হয়। সে কাজ চলছে। যদিও তা সময়সাপেক্ষ, তবুও আশাবাদী গবেষকেরা। আগামী দিনে ক্যান্সারের ওষুধটি সাধারণের নাগালে এলে, তা কম খরচে বহু জনের প্রাণ বাঁচাতে পারে বলে বিশ্বাস গবেষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New Year 2025: নতুন বছরের দেদার উদযাপনে কোন দিকে খেয়াল রাখা জরুরি? কেন বিপদের আশঙ্কা? 

    New Year 2025: নতুন বছরের দেদার উদযাপনে কোন দিকে খেয়াল রাখা জরুরি? কেন বিপদের আশঙ্কা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কাউন্ট ডাউন শেষ, শুরু হয়ে গিয়েছে ইংরেজি নতুন বছর (New Year 2025)! এর উদযাপনে মাতেন অনেকেই। শহর থেকে জেলা, কোথাও বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আবার কোথাও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। আর উদযাপন মানেই বিশেষ খাওয়া-দাওয়া! বছরের এই পর্বে তাই রেস্তোরাঁয় উপচে পড়ে ভিড়। তবে নতুন বছর শুরুর উদযাপনে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা বিশেষ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ না থাকলে কোনও উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার আগে জেনে নিন, কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? কেন দিতে হবে গুরুত্ব?

    স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ নজরদারি (New Year 2025)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বিশেষ সচেতনতা জরুরি। সেদিকে খেয়াল না রাখলে নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। যেখানে খাওয়া হবে, সেটা পর্যাপ্ত পরিষ্কার জায়গা কিনা সেদিকেও নজরদারি জরুরি। সেটা ঠিকমতো না হলে ডায়ারিয়া, কলেরার মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    তাপমাত্রার পারদে নজর থাকুক

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে। হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। ঠান্ডার আমেজ কমে গিয়ে আবার ফিরছে। আর আবহাওয়ার এই বদল যথেষ্ট বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই এই তাপমাত্রার পরিবর্তনের জেরে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে, ভাইরাসঘটিত সর্দি-কাশি এবং জ্বরের প্রকোপ বাড়তে পারে। দরকার বাড়তি সতর্কতা। রাতের দিকে বাইরে যাওয়ার আগে শীতের পোশাক পরা উচিত বলেই তাঁদের পরামর্শ।

    ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে‌ বাড়তি সতর্কতা (New Year 2025)

    ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে‌ বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। ফলে রক্তনালী বারবার সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয়। এতে হৃদযন্ত্রের উপরে চাপ পড়ে। ফলে, স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই যারা ডায়বেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খাওয়া দরকার। কোনও ভাবেই যাতে ওষুধে ছেদ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল‌ রাখা উচিত। আবার এই সময়ে উদযাপনের খানা-পিনায় সামিল হয় কেক, পেস্ট্রির মতো মিষ্টি জাতীয় খাবার, তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সতর্ক থাকা উচিত। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার।

    খাবারে থাকুক সচেতনতা

    উদযাপন (New Year 2025) মানেই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ভালো-মন্দ খানা-পিনা স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেই করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাই উদযাপনের তালিকায় মদ্যপানে রাশ জরুরি।‌ কারণ এই অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। পাশপাশি, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার সবকিছুর ব্যালেন্স যাতে থাকে, অর্থাৎ, উদযাপনের (Celebration) মেনুতে মাছ-মাংসের মতো প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হোক পালং শাক, ব্রোকলির মতো শীতের সবজি। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন‌ নিয়ন্ত্রণে থাকবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে সেজেছে শহর থেকে জেলা! বছর শেষের উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! কিন্তু তার মধ্যেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নানান রোগ। সর্দি-কাশি কিংবা নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ এক সপ্তাহে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কনজাংটিভাইটিস কী? শীতে কেন এই রোগ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের সংক্রমণ (Eye infections)। এর ফলে চোখ ফুলে যায়। লাল হয়ে যায়। আবার চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ে। অনেক সময় দেখতেও কষ্ট‌ হয়। চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ, এই আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই আবহাওয়ায় বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এই সময়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন জেনে নিন, কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন?

    নিয়মিত রোদচশমার ব্যবহার জরুরি (Conjunctivitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোদচশমার ব্যবহার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে গেলেই রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। এমন সানগ্লাস পরতে হবে, যাতে চোখ ভালোভাবে ঢেকে থাকে। ধূলো না লাগে। হাওয়া লাগার ঝুঁকিও কম হয়। তবেই চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    বাইরে থেকে ফিরেই চোখ ধুয়ে ফেলুন

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ নিয়মিত পরিশ্রুত জলে পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করলে যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের (Conjunctivitis) ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে চোখ পরিষ্কার করা জরুরি।

    চোখে হাত একদম নয় (Conjunctivitis)

    চোখে হাত দিয়ে চুলকানো একদম অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাত থেকে নানান সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত দিয়ে চোখ চুলকানো একেবারেই উচিত নয়। চোখে অস্বস্তি হলে বারবার জল দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। এছাড়া পরিষ্কার তুলো এবং গরম জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার। এতে সংক্রমণ হলেও প্রকোপ বেশি হবে না।

    ভিড় এড়িয়ে চলুন

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে চলুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংক্রামক রোগ (Conjunctivitis) ভিড়ে বেশি ছড়ায়। কনজাংটিভাইটিস একটি সংক্রামক রোগ। এই জীবাণু ভিড়ে আরও নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংক্রমণ বাড়ায়‌। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, বারবার অস্বস্তি হলে কিংবা চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে নিজের ভোগান্তি কমবে। আবার অন্যের সংক্রমণের (Eye infections) ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই মানব সমাজ তার পুরনো অভ্যাসের দিকেই ফিরে চলেছে। কারণ এই অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক এবং বিশুদ্ধ উপাদানে পরিপূর্ণ। সেই রকমই একটি অভ্যাস হল নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা (Neem Stick)। প্রাচীন ভারতে নিম দাঁতন (Dental Health) দিয়ে দাঁত মাজার চল ছিল। বর্তমান আমলে তা আবার ফিরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম গাছ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার রীতিকে বলা হয় নিম দাঁতন। 

    নিম দাঁতন (Neem Stick) রাসায়নিক মুক্ত

    নিম দাঁতন করার অন্যতম উপকারিতা হল যে এটি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের যে টুথব্রাশ আমরা ব্যবহার করি তার বিকল্প হিসেবেও কাজ করে নিম দাঁতন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে নিম হল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এই কারণে নিম দাঁতন যে কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। এছাড়া নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা মাড়িকে শক্ত করে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিম দাঁতন (Neem Stick) দিয়ে দাঁত মাজার উপকারিতা

     ক্যাভিটিস প্রতিরোধ: নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে, তা ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।

    মাড়ি মজবুত: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রতিদিন নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি মজবুত হয় এবং মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

    মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না: নিমের প্রাকৃতিক উপাদানে এর পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না।

    এছাড়াও দাঁতের সাদা রং অপরিবর্তিত রাখে, দাঁতের যে কোনও অংশ ফুলে ওঠা রোধ করতে নিম দাঁতন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

    কীভাবে ব্যবহার করবেন নিম দাঁতন

    প্রথমেই ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি নিম দাঁতন নিতে হবে, ঠিক পেন্সিলের আকারের।

    এরপরে তার যে কোনও একটি প্রান্ত চিবিয়ে নিতে হবে।

    এটা যখন ব্রাশের আকৃতির হয়ে যাবে, তখন ধীরে ধীরে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

    নিম ডাল (Neem Stick) ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন

    মাউথফ্রেশনার-সহ নানা ধরনের কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক কিছু উপকার হলেও,তা কখনওই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য নিম ডাল খুবই উপযোগী, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিমডাল ব্যবহারের আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

    গাছের ডালকে অবশ্যই ভালো করে ভেঙে ব্যবহার করতে হবে।

    নিমডালে দাঁত মাজার আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Heart attack: শীতে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! কেন এই বাড়তি আশঙ্কা? কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Heart attack: শীতে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! কেন এই বাড়তি আশঙ্কা? কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের মরশুম মানেই নানান উৎসব, উদযাপন। কিন্তু তার সঙ্গে শীতকালে হানা দেয় নানান রোগ। সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বর কিংবা সংক্রামক রোগের পাশপাশি শীতে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ়দের পাশপাশি কম বয়সি, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগের (Heart attack) প্রকোপ বাড়ছে। উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো যায়। শীতে হৃদযন্ত্রের বাড়তি যত্নও প্রয়োজন।

    কেন শীতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে? (Heart attack)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ তাপমাত্রা কমে যাওয়া। আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমে গেলে শরীর নিজের তাপমাত্রার সঙ্গে আবহাওয়ার তাপমাত্রা সামঞ্জস্য রাখতে চায়। তাই শরীরের রক্তনালী নিজে থেকেই সংকুচিত হয়ে যায়। যাতে শরীরের উত্তাপ বজায় থাকে। আর তার জেরেই রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে, হৃদযন্ত্রের উপরে চাপ বাড়ে‌। কারণ, রক্তনালী সংকুচিত হলে রক্তপ্রবাহে বাধা পায়। পাশপাশি শীতে শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন হয়। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতেই এই প্রয়োজন। এর ফলে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। চাপ পড়ে হৃদপিণ্ডে। একদিকে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, আরেকদিকে হৃদযন্ত্রের বাড়তি কার্যকারিতা, সবমিলিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হৃদযন্ত্রের বাড়তি খেয়াল কীভাবে রাখবেন? (Stay healthy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদযন্ত্রের (Heart attack) বাড়তি খেয়াল রাখার জন্য কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রথমত, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস আক্রান্ত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যাবেন। কোনও ভাবেই যাতে ওষুধ বাদ না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। 
    নিয়মিত শরীর চর্চা প্রয়োজন বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই শারীরিক কসরত পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। হৃদযন্ত্রের উপরে চাপ পড়ে (Heart attack)। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা দরকার। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে। 
    মদ্যপানে রাশ টানাও জরুরি, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ শীতে অনেকেই নানান উৎসব এবং উদযাপনে অংশ নেন। আর তাতে চলে মদ্যপান। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, মদ্যপানে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ, এর জেরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। 
    ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই খাবার নিয়েও সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই দেদার প্রাণীজ প্রোটিন খান। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ব্যালেন্স ডায়েট প্রয়োজন। পরিমিত প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল জাতীয় খাবার জরুরি। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রোগের ঝুঁকিও কমবে (Stay healthy)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share