Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Picnic: শীত মানেই পিকনিক! আনন্দে ভেসে যাওয়ার আগে কোন কোন দিকে নজরদারি জরুরি?

    Picnic: শীত মানেই পিকনিক! আনন্দে ভেসে যাওয়ার আগে কোন কোন দিকে নজরদারি জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শহর থেকে জেলা, জাঁকিয়ে বসছে শীত! আর বছর শেষের এই মরশুমে মানুষ মাতেন উৎসবে। স্কুল থেকে পাড়ার ক্লাব কিংবা আবাসনের বাসিন্দা, একসঙ্গে বনভোজনের উৎসবে সামিল হন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীত মানেই পিকনিক (Picnic) হলেও কয়েকটি দিক নজরে না রাখলেই বিপদ বাড়বে। বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতাও। তাই সুস্থ শরীরে শীত উদযাপনের জন্য দরকার কয়েকটি দিকে বিশেষ নজরদারি। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    জল পরিশ্রুত কিনা নজরে থাকুক (Picnic)

    জল পরিশ্রুত কিনা সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিক বা বনভোজনে যে পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে কিংবা রান্নায় যে জল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। জল থেকেই একাধিক জটিল রোগ তৈরি হয়। জন্ডিস, টাইফয়েড কিংবা ডায়ারিয়ার মতো রোগ জলবাহিত। তাই এই ধরনের জটিল রোগ আটকাতে পরিশ্রুত জল জরুরি। পিকনিকের রান্নায় ব্যবহারের সময় অনেকেই জল পরিশ্রুত কিনা, সে দিকে বিশেষ নজর দেন না‌। তাই পরিশ্রুত জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শৌচালয়ের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শৌচালয় নিয়ে জনসচেতনতা তলানিতে। বিশেষত শৌচালয়ের স্বাস্থ্যবিধি কিংবা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অনেকেই সচেতন নয়। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিক (Picnic) স্পটে সাধারণত একটি বা দুটি শৌচালয় থাকে। একাধিক মানুষ সেগুলো ব্যবহার করেন। ঠিকমতো পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে না পারলে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষত ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে‌। তাই মহিলাদের এই বিষয়ে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শৌচালয় ব্যবহারের আগে ও পরে পর্যাপ্ত জল ব্যবহার জরুরি এবং ভালোভাবে শৌচালয় পরিষ্কার রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার।

    খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি (Picnic)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বনভোজনের সময় ঠিকমতো হাত পরিষ্কার করে খাবার খাওয়া হয় না। বিশেষত বাচ্চারা খেলাধূলা করতে করতেই খায়। এর ফলে পেট ব্যথা, বমি, অন্ত্রে সংক্রমণের মতো বিপদ তৈরি হয়। তাই খাবার আগে ভালোভাবে হাত ও মুখ পরিষ্কার করার দিকে নজর দেওয়া দরকার।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বিশেষ সতর্কতা জরুরি

    বনভোজনের (Picnic) মেনুতে কেক থেকে জয়নগরের মোয়া, এমন পদ থাকবেই। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে এই সময়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতেই হবে।

    উল্লাসে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

    বনভোজনের উল্লাসে অনেকেই মদ্যপানে সামিল হন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে একদিকে লিভারের ক্ষতি করে। আবার অতিরিক্ত মদ্যপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শীতের (Winter) উদযাপনে মদ্যপানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, বড়দিনের উৎসব। কিন্তু শীতের সময়েই হানা দেয় নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ, পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। শিশু থেকে বয়স্ক, শীতের সময়ে অনেকেই নানান রোগের দাপটে নাজেহাল হয়। সর্দি-কাশির মতো অসুখের পাশপাশি অনেকেই ফুসফুসের নানান সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সবজিতেই (Vegetables) হতে পারে বাজিমাত। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজির পুষ্টিগুণ একাধিক। রয়েছে রোগ মোকাবিলা শক্তি। তাই শীতের মরশুমে নিয়মিত কয়েকটি সবজি খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। আসুন, দেখে নিই, কোন কোন সবজির কী কী পুষ্টিগুণ?

    পালং শাক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Vegetables)

    শীতের সবজির তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং শাক। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই একাধিক ভিটামিন থাকার জেরেই এই শাক শীতকালে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার পালং শাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। ফলে, হাড় মজবুত হয়। শীতে অনেকেই বাতের যন্ত্রণায় কাবু হন।‌ তাই শীতে এই শাক নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের জোগান সহজ হয়। আবার আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের জোগানও পাওয়া যায়।

    ব্রোকলি হজমে বাড়তি সাহায্য করে

    শীতের মরশুমে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। হজম না হওয়া কিংবা বমি, পেটের সমস্যার মতো‌ ভোগান্তিও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রোকলি এই সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে (Vegetables) আছে‌‌ ভিটামিন কে, সি, ফাইবারের মতো উপাদান। ফলে, ব্রোকলি খেলে হজম ভালো হয়। পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে ফুলকপি

    শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। বাঙালির রান্নাঘরে শীতে ফুলকপি থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুলকপি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাছাড়া, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থও যথেষ্ট থাকে। তাই ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে মূলো (Vegetables)

    শীতের মরশুমে বিয়ে‌বাড়ির নেমন্তন্ন কিংবা বনভোজনের ভূরিভোজে মেতে ওঠেন কমবেশি সকলেই। আর দেদার খাওয়া-দাওয়ার জেরে অনেকেই কিন্তু ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগের কারণ। তবে শীতে এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মূলো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলো খুবই কম ক্যালোরি যুক্ত একটি সবজি। তাই নিয়মিত মূলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মূলোতে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মূলো ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমায়। শীতে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মূলোর মতো সবজি খেলে এই ঝুঁকি (Winter diseases) কমবে।

    শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে গাজর

    সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হোক কিংবা ফুসফুসের অসুখ, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিকমতো থাকলে রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে (Vegetables) থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত গাজর খেলে তাই শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষায় প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ নামলে শক্তি ক্ষয় হয়, দাপটও কমে। এমনটাই গত কয়েক বছর হয়ে এসেছে। কিন্তু এই বছরের ছবি বেশ ব্যতিক্রম। রাজ্যে শীত জাঁকিয়ে বসছে। কিন্তু তারপরেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। বরং ডেঙ্গি সংক্রমণের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে শুধু কলকাতাতেই প্রায় ৩৫০ জনের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। চলতি বছরে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার সর্বশেষ রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, শীতেও রাজ্যের সর্বত্র ডেঙ্গির মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চলতি বছরে রাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। চলছে মৃত্যু মিছিল। অন্যান্য বছরে শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু চলতি বছরে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত।

    কাদের ঝুঁকি বাড়ছে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ডেঙ্গি আক্রান্ত উপসর্গহীন হচ্ছেন‌। আর তার ফলেই বিপদ বাড়ছে। প্রথম থেকেই জ্বর কিংবা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। সামান্য সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ বমি বা রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের জন্য এই ধরনের উপসর্গহীন ডেঙ্গি আরও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    শীতেও (Winter) মশার দাপট চলছে। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশা নিধনে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো যাবে না। তাই দরকার সচেতনতা।‌ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাই ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলার প্রথম ও প্রধান অস্ত্র। নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। জমা জল একেবারেই রাখা চলবে না। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এলাকার বাগান কিংবা পার্ক থাকলে, সেগুলো পরিষ্কারে বাড়তি নজর দিতে হবে‌। পাশপাশি স্কুল কিংবা অফিস চত্বর পরিষ্কার রাখার দিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মশা নিধন স্প্রে দেওয়া জরুরি। নিকাশি ব্যবস্থাও পরিষ্কার থাকা দরকার। মশা বাহিত রোগ মোকাবিলার জন্য দরকার সতর্কতা। তবে সাধারণ সর্দিকাশির উপসর্গের আড়ালেও হানা দিচ্ছে ডেঙ্গি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্রুত করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ রোগ প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি সংক্রমণ রুখতেও সুবিধা হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    Oranges: শীত মানেই কমলালেবু! এই ফল নিয়মিত বেশি খেলে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ কমছে। শীতের (Winter) আমেজ শহর থেকে জেলা সর্বত্র! আর বাঙালির শীতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে কমলালেবু। শীতকাল আর কমলালেবু একে অপরের পরিপূরক। শীত পড়তেই অনেকেই নিয়মিত কমলালেবু খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ একাধিক রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কমলালেবু (Oranges) খেলে শরীরে নানান সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের মতে, কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি-র মতো উপাদান। এর ফলে শরীরে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার শীতে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমাতে কিংবা ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা মেটাতেও কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবুর একাধিক গুণ রয়েছে, একথা ঠিক। তবে, অতিরিক্ত কমলালেবু নিয়মিত খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কমলালেবু কোন সমস্যা বাড়াতে পারে?

    আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায় (Oranges)

    কমলালেবু ঠান্ডা ফল। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা বেশি ভোগাতে পারে। যাঁরা বাতের সমস্যায় কাবু কিংবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি ক্ষতিকারক এই ফল। অনেক সময়েই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।

    শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, দেখা দেয় হার্ট বার্ন

    কমলালেবু টক জাতীয় ফল। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কমলালেবু অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বুক জ্বালা বা হার্ট বার্নের মতো সমস্যা হয়‌।

    ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় 

    কমলালেবুতে (Oranges) থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এমনকী ডায়ারিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারে কমলালেবু। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনে দু’টোর বেশি কমলালেবু খেলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে।

    কিডনির ঝুঁকি বাড়ায় (Oranges)

    অনেকেই কিডনির রোগে ভুগছেন। কমলালেবু তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান অ্যাসিড থাকে। এর ফলে কিডনির সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের কমলালেবু খাওয়ার সময় পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক

    কমলালেবু দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে অ্যাসিড থাকে। তাই অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে দাঁতের নানান ক্ষতি দেখা যেতে পারে। বিশেষত ক্যাভেটিসের সমস্যা থাকলে কমলালেবু বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে।

    বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে

    কমলালেবু (Oranges) বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের জেরে গ্যাস্ট্রোইজোফেসিয়াল রিফ্ল্যাক্স হতে পারে। ফলে গ্যাস এবং বদহজমের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, কমলালেবুর পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই নিয়মিত কমলালেবু শীতে খেলে শরীরে যথেষ্ট উপকার হবে। তবে পরিমাণে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। একদিনে একাধিক কমলালেবু খাওয়া কখনই উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spinach: শীতে কেন খাবেন পালং শাক? কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে সবুজ, সতেজ এই সবজিটিতে?

    Spinach: শীতে কেন খাবেন পালং শাক? কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে সবুজ, সতেজ এই সবজিটিতে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের বাজার মানেই হরেক রঙের সবজি। আর তার সঙ্গে হাজির থাকে সবুজ, সতেজ পালং শাক (Spinach)। শীতের মরশুমে বাঙালির পাতে পালং শাক থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদে নয়, গুণেও পালং শাক অতুলনীয়। বিশেষত শীতের সময়ে পালং শাক খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। একাধিক রোগ মোকাবিলায় পালং শাক খুবই সাহায্য করে। তাই মরশুমের সবজি হিসেবে শীতে পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী (Spinach)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে তাপমাত্রার রকমফেরে অনেক সময়েই রক্তচাপ ওঠানামা করে। তাই যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, অথবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁরা শীতে পালং শাক খেলে বাড়তি উপকার পাবেন। কারণ, পালং শাকে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। শীতের শুরুতে কিংবা শীতের বিদায়পর্বে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়। আর তার জেরেই নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। ফলে, অনেকেই নানান সংক্রমণের শিকার হন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি পর্যাপ্ত থাকলে ভোগান্তি কমবে‌। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ। এই উপাদান দেহের রক্তের শ্বেত কণিকাকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বাড়তি সাহায্য করে।

    ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য

    শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। আদ্রর্তার অভাবেই এই সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক এক্ষেত্রে বাড়তি উপকারী।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে (Spinach) ভিটামিন এ থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে এই উপাদান‌‌ বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও, পালং শাকে থাকে ফলিক অ্যাসিড।‌ ফলে এই সবজি খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। শীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। তাই হৃদরোগ রুখতে পালং শাক‌ বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে, শুধু শীতের সমস্যা কমায় না। পালং শাক শরীরে একাধিক উপকার করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে‌ বিটা ক্যারোটিন। এর ফলে চোখ ভালো থাকে। চোখে ছানির ঝুঁকি কমায় এই উপাদান। এছাড়াও পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    পালং শাক খাওয়ার সময় কোন দিক নজরে থাকবে? (Spinach)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকের উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। কিন্তু কয়েকটা দিক নজরে রাখা জরুরি। তবেই শরীর ভালো থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস, পেটব্যথাও হতে পারে। তাই পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। আবার পালং শাক নিয়মিত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। কারণ পালং শাক বেশি খেলে শরীরে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত পালং শাক (Vegetable) খেলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন কিডনির সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হয়‌।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    JNU: ম্যালেরিয়া-কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নয়া আবিষ্কার জেএনইউ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় আবিষ্কার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বিজ্ঞানীদের। ম্যালেরিয়া ও কোভিড ১৯ চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই আবিষ্কার। জেএনইউয়ের (Big Discovery) স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের দলটি একটি মানব প্রোটিন, ‘এইচএসপি ৭০’-কে চিহ্নিত করেছে।

    একাধিক সংক্রমণ রুখবে (JNU)

    এই প্রোটিনটি ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিজ্ঞানীরা রাশিয়া ও ভারতের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে এইচএসপি ৭০ এর একটি ছোট মলিকিউল ইনহিবিটর তৈরি করেছেন, যা একাধিক সংক্রমণের জন্য একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম চিকিৎসা হিসাবে কাজ করতে পারে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন জেএনইউয়ের স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং শৈলজা সিং। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এইচএসপি ৭০-কে টার্গেট করা হলে ওষুধ প্রতিরোধ আটকানো যেতে পারে, যা সংক্রমণের চিকিৎসায় একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ফর বায়োলজিকাল ম্যাক্রোমলিকিউলসে।

    এইচএসপি ৭০ টার্গেট

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে (JNU), এইচএসপি ৭০ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এবং মানুষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, যা ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, জ্বরের সময় এইচএসপি ৭০ এর মাত্রা বাড়ে এবং এই সংযোগকে স্থিতিশীল করে। ফলে ভাইরাসটি কোষে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এইচএসপি ৭০ ইনহিবিট করে তারা ল্যাব পরীক্ষায় ভাইরাসের প্রতিলিপি সম্পূর্ণরূপে থামাতে সক্ষম হন। অধ্যাপক শৈলজা সিং বলেন, “ম্যালেরিয়া পরজীবী বা সার্স-কোভ২ এর মতো রোগজীবাণু হোস্টের মেকানিজম ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। এইচএসপি ৭০ টার্গেট করে আমরা তাদের প্রতিলিপি তৈরি করার ক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে (Big Discovery) লড়াই করার ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    আবিষ্কারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে অধ্যাপক রঙ্গনাথন বলেন, “বিশ্ব হয়ত কোভিড ১৯-কে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আবিষ্কার ভবিষ্যৎ মহামারির জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করতে পারে।” এইমসের ড. প্রমোদ গর্গ এবং পিএইচডি স্কলার প্রেরণা জোশি-সহ গবেষণার অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এই গবেষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে একটি সর্বজনীন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে (JNU)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা। মহারাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ওকহার্ট লিমিটেড প্রথম দেশীয়ভাবে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ‘নাফিথ্রোমাইসিন’ (বাণিজ্যিক নাম- মিকন্যাফ) তৈরি করেছে। এটি বহু-ওষুধ প্রতিরোধী (Drug Resistant Pneumonia) জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। এই নয়া অ্যান্টিবায়োটিকটি (Antibiotic) প্রাপ্তবয়স্কদের কমিউনিটি-অ্যাকোয়ার্ড ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া (CABP) চিকিৎসার কাজে লাগবে।

    ‘সফট লঞ্চ’ (Drug Resistant Pneumonia)

    চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল (BIRAC) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই ওষুধটির ‘সফট লঞ্চ’ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রাগ-প্রতিরোধী নিউমোনিয়া প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী  ২০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার মধ্যে ভারতের অংশ ২৩ শতাংশ। এখানে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো প্রচলিত ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কারণে চিকিৎসায় নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে (Drug Resistant Pneumonia)।

    কী বলছেন প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান?

    বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল ওকহার্টকে নাফিথ্রোমাইসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ৮ কোটি টাকা দিয়েছে। যদিও প্রকল্পের খরচ ৫০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ওকহার্টের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ডঃ হাবিল খোরাকিওয়ালা তাঁর বক্তব্যে মিকন্যাফের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এটি একটি ওরাল ড্রাগ, যা কমিউনিটি রেসপিরেটরি ইনফেকশন মোকাবিলার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। গত ৩০ বছরে এই সেগমেন্টে বিশ্বব্যাপী কোনও নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, ওষুধটি অ্যাজিথ্রোমাইসিনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি কার্যকর এবং ফুসফুসে ৮ গুণ বেশি এক্সপোজার দেয়। এটি প্রতিদিন একবার করে তিন দিন খেতে হবে। তিনি জানান, নাফিথ্রোমাইসিন উন্নততর নিরাপত্তা এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করে। এতে ক্লিনিক্যাল কিওর রেট রয়েছে ৯৬.৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাফিথ্রোমাইসিনের উন্নয়ন ১৪ বছরের টানা গবেষণা এবং ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের (Antibiotic) ফল, যেখানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে (Drug Resistant Pneumonia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Antibiotics: সামান্য কিছু হলেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক? জানেন কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন?

    Antibiotics: সামান্য কিছু হলেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক? জানেন কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঋতু পরিবর্তনের সময় সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি হোক কিংবা পেটের অসুখ, যে কোনও সমস্যাতেই অনেকে  অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খান। একটা অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই সব সমস্যা মিটে যাবে, অনেকের ধারণা এটাই।‌ তাই অনেক সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলতেই থাকে। আবার অনেকে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খান। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ফলে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এখন থেকেই সতর্ক না হলে পরে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।

    কী বিপদের আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Antibiotics)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার। তার ফলেই বাড়ছে বিপদ। শিশু বয়স থেকেই যে কোনও সামান্য অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত  অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শরীর ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়ার জেরে শরীরের ভিতরে থাকা জীবাণু ওষুধের বিরুদ্ধে শক্তিশালী থাকার কৌশল জেনে যাচ্ছে। এর ফলে বড় কোনও অসুখ হলে ওই ওষুধ আর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে না।‌ অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) বিরুদ্ধে যেসব জীবাণু শক্তি বাড়াচ্ছে, তাদের বিশেষজ্ঞেরা ‘সুপারবাগস’ বলেই চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে বিভিন্ন জটিল অসুখে শারীরিক অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। বিশেষত যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরে শরীরে ইনফেকশন আটকানো‌ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস শরীরে প্রবল শক্তিশালী হয়ে থাবা বসাচ্ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ বয়স্কদের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এই সুপারবাগস (superbugs)। বয়স বাড়লে নানান অসুখে শরীর কাবু হচ্ছে। কিন্তু কোনও ওষুধ শরীরে ঠিকমতো কাজ করছে না।‌ শারীরিক পরীক্ষা করে ধরা পড়ছে অধিকাংশ ওষুধের বিরুদ্ধে শরীরে জীবাণুর রেজিস্ট্যান্স শক্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়ছে। আবার হাসপাতালে বারবার ভর্তি থাকতে হলেও পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। শরীরের ভিতরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে নানান জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ছে‌।

    কীভাবে সুপারবাগস-এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা সম্ভব? (Antibiotics)

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা এবং সতর্কতাকেই হাতিয়ার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না, এ নিয়ে আরও সচেতনতা জরুরি। কারণ, অনেকেই এ ব্যাপারে একেবারেই সতর্ক নয়। বিশেষত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতনতা জরুরি। সামান্য সর্দি-কাশি কিংবা সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখে একেবারেই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ খুব ছোট থেকেই এভাবে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা (Big danger) আরও বাড়বে। তাই সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া দরকার। তবেই এই বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian gooseberry: খাওয়ার পরেই একটা আমলকি!  এই ফলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    Indian gooseberry: খাওয়ার পরেই একটা আমলকি! এই ফলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আমলকি! ভারতীয় এই ফলের চাহিদা বিশ্ব বাজারে তর তর করে বাড়ছে! বিশেষজ্ঞ মহল এই ফলের নাম দিয়েছে ‘সুপার ফুড’ (Indian gooseberry)! ভাত খাওয়ার পরে কিংবা বিকেলে, দিনের যে কোনও সময় এক টুকরো মুখে পুরলেই দেখা দেবে ম্যাজিক! একাধিক রোগ মোকাবিলার বাড়তি শক্তি পাওয়া যাবে এতে।  এমনকী বিভিন্ন রোগের উপশম করে এই ফল। তাই এই ফলকে ‘সুপার ফুড’ও বলা হয়।

    কাদের জন্য উপকারী এই ফল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই এই ফল নিয়মিত খেতে পারে। সবার জন্য এই ফল বিশেষ উপকারী। তবে শিশুকে তিন বছরের আগে আমলকি দেওয়া উচিত নয়। কারণ, কাঁচা আমলকি যথেষ্ট শক্ত হয়। ফলে গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে তিন বছরের উর্ধ্বে শিশুদের এই ফল ছোট টুকরো করে দেওয়া যেতে পারে। বয়স্করা নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন। প্রবীণদের জন্য আমলকি বিশেষ উপকারী হয়।

    কী কী উপকার পাওয়া যায়? (Indian gooseberry)

    আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর ফলে সর্দি-কাশি মোকাবিলায় এই ফল বিশেষ করে উপকারী। প্রবীণ এবং শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বারবার অনেকেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হন। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। 
    মাথাব্যথায় আমলকি বিশেষ উপকার করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই বমি এবং মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি আরও বাড়ে। আমলকি (Indian gooseberry) নিয়মিত খেলে বমি ভাব দূর হয়। মাথাব্যথাও কমে। 
    আমলকিতে থাকে আয়রন।  তাই নিয়মিত আমলকি খেলে রক্তাল্পতা কমে। শরীরে আয়রনের জোগান ঠিকমতো পাওয়া যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েরা নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে। 
    আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিয়মিত আমলকি খেলে ক্যান্সারের মতো রোগকেও মোকাবিলা করা সহজ হয়। 
    স্থূলতা কমাতে আমলকি (Indian gooseberry) বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমলকি সহজেই দেহের ক্ষতিকারক মেদ ঝরাতে সাহায্য করে‌। তাই স্থূলতা রুখতে আমলকি খুবই উপকারী। 
    আমলকি হজমে সাহায্য করে। পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমলকির রস পেপটিক আলসার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও আমলকি বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুকনো আমলকির (Amlaki) গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ির একরত্তি সদস্য হোক কিংবা পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ, শীতের আমেজ শুরু হতেই এক অদ্ভুত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কত বয়স, ছেলে না মেয়ে-এই পরিচয় আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সমস্যার জেরে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ নামতেই অনেকেই খুসকির (Dandruff) সমস্যায় কাবু। ঘন ঘন মাথা চুলকানো, অস্বস্তিবোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলেই হবে মুশকিল আসান।

    কেন শীতের শুরুতে বাড়ে খুসকি? (Dandruff)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের চামড়ার অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুসকির সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। আর ধুলো ও দূষণের জেরে মস্তিষ্কের চামড়া অর্থাৎ চুলের ভিতরের অংশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুসকির সমস্যা। তবে, এই সমস্যাকে আরও জটিল করে শুষ্ক ত্বক। ত্বক শুষ্ক হলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। আর শীতের শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা এমনিতেই বাড়ে। আরেক দিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরুতে ভোগান্তি বাড়ায় খুসকি। তাছাড়া, অনেকের নানা ধরনের অ্যালার্জি থাকে। যার জেরেও খুসকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের প্রথমে অনেক সময়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার জেরে রক্তে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় নানান ছত্রাকের সংক্রমণ। এর জেরে খুসকির মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু কীভাবে মুশকিল আসান হবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজেই কমতে পারে খুসকির ভোগান্তি।

    রাতভর ভেজানো নিমপাতার মিশ্রণ

    খুসকির সমস্যা কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা শরীরের একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। খুসকি কমাতেও বিশেষ উপকারী এই নিমপাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০ থেকে ১৫টা নিমপাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সেই ভেজানো নিমপাতা বেটে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সেই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুসকির (Dandruff) সমস্যা অনেকটাই কমবে‌।

    মেথি বীজ এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চামড়ায় লাগানো (Dandruff)

    মস্তিষ্কের চামড়ায় অর্থাৎ চুলের ফাঁকে ভালো ভাবে মেথির বীজ এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ লাগালে দ্রুত খুসকির সমস্যা কমে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারা রাত মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে তাকে মসৃণ ভাবে বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পাতিলেবুর রস মেশানো সেই মেথির বীজের মিশ্রন মাথায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন মাখলেই কমবে খুসকির (Dandruff) সমস্যা।

    তুলসী পাতা এবং আমলার ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা এবং আমলা একসঙ্গে বেটে মাথায় মাখলে খুসকি দ্রুত কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে‌। দশ থেকে বারোটা তুলসী পাতা ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। আমলার গুঁড়ো এবং তুলসী পাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে অন্তত তিরিশ মিনিট রাখতে হবে। নিয়মিত এটা ব্যবহার করলেই খুসকির সমস্যা কমবে। 

    তবে এই সব ঘরোয়া উপাদান‌ (Domestic ingredients) ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুল পরিষ্কার থাকলে, মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share