Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তাল-ফুলুড়ি কিংবা তালের পিঠে! বাঙালি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর ভোগে (Janmashtami Festival) এমন নানান পদ তৈরির রীতি রয়েছে! শ্রাবণ মাসে বাজারে সহজেই তাল পাওয়া যায়! বর্ষার মরশুমে এই ফলের চাহিদাও অনেক। কিন্তু তাল খেলে কী হয়, শরীরের জন্য কতখানি উপকারী এই ফল? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কচি তালের শাঁস দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। আর দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা পেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগকে সহজেই কাবু করা যায়। পাশপাশি কচি তালের শাঁস বমি ভাব কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর (Janmashtami Festival)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তাল সহজেই দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগানে সাহায্য করতে পারে। এর জেরে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    তাল লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, তালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক উপাদান থাকে।  এই সব উপাদান লিভারের রোগ কমাতে সাহায্য করে (Janmashtami Festival)।

    বাতের সমস্যার মোকাবিলা করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাতের সমস্যা মোকাবিলায় তাল (Taler Bora) বিশেষ সাহায্য করে! তালের রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব সহজেই পূরণ হয়। তাই বাতের সমস্যা কমে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এই খাবার খেলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

    জেলাটিন কমাবে স্থূলতার ঝুঁকি (Janmashtami Festival) 

    তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জেলাটিন থাকার কারণে অল্প পরিমাণে তাল খেলেও পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। আর সেই কারণেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি কমে! 

    তবে, তাল টাটকা কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পাকা তাল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাজা তাল না খেলে নানান সমস্যা হতে পারে। পেটের অসুখ, হজমের গোলমাল সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই তাল পেকে গেলে (Taler Bora) একদিনের বেশি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ, পাকা তাল সতেজ না থাকলে সেই খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। বরং আরও সমস্যা বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্সের (Monkey Pox) উপসর্গ নিয়ে রোগীর খোঁজ মিললে, সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, মঙ্গলবার তার নির্দেশিকা প্রকাশ করল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS Delhi)। যদিও ভারতে এখনও কোনও এই ধরনের আক্রান্তের খবর  নেই। জানা গিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    এইমসের ডাক্তাররা কী বললেন?

    এইমস (AIIMS) ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, মাঙ্কিপক্স একটি ‘ভাইরাল জুনোসিস’, যার লক্ষণগুলি গুটিবসন্তের মতো, যদিও কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই রোগ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তা রোধ করার জন্য উচ্চতর সচেতনতা, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হু’।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

    হু (WHO)-এর জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে মান্যতা দিয়ে সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি এইমস (AIIMS)। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা রূপরেখা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কার্যপ্রণালিতে। প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ত্বকের ক্ষত। সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য পাঁচটি শয্যা মনোনীত করা হয়েছে।

    এইমসের জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সন্দেহজনক এমপক্স আক্রান্তদের জন্য মনোনীত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এইমসে চিকিৎসা করা হবে। উপসর্গ থাকা রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হবে।  অন্যান্য রোগী এবং কর্মীদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগ কম করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সঠিক ডকুমেন্টেশন পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে বজায় রাখতে হবে। পরবর্তীকালে, সন্দেহজনক রোগীদের সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হবে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী বললেন চিকিৎসকরা?

    সফদরজং হাসপাতালের মাঙ্কিপক্সের নোডাল অফিসার ডাঃ সুশ্রুত কাঠুরিয়া বলেন, সমস্তরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন জরুরি ব্লকে একটি ঘর এই ধরনের রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। সুপারস্পেশালিটি ব্লকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আরএমএল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অজয় শুক্লা বলেন, একটি ১০-শয্যার ওয়ার্ড মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আর হাসপাতালের মেডিসিন এবং চর্মরোগ বিভাগের দুজন নোডাল অফিসার পরিস্থিতির তদারকি করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বুকের ভিতরে হঠাৎ ধড়ফড় করে ওঠে। হৃদস্পন্দন ওঠানামা করতে শুরু করে! আবার কখনও হাতে-পায়ে এক ধরনের অসাড়তা! হাত-পা নাড়াচাড়া করার শক্তিটুকুও থাকছে না। ক্লান্তি গ্রাস করছে শরীরে! অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ভোগান্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। বারবার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে, বুঝতে হবে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি (Hypokalemia) দেখা দিচ্ছে। কারণ, পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মস্তিষ্ক সচল রাখতে, পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো বজায় রাখতে পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পটাশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। তাই তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে‌। পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে, তা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও জরুরি। তবে শরীরে যাতে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়, সে নিয়ে আগাম সতর্কতা দরকার। তাই খাদ্যতালিকায় সেই মতো নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু কীভাবে পটাশিয়ামের ঘাটতি মিটবে? চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত কিছু খাবার খেলেই শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    কলা (Hypokalemia)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিয়মিত একটি কলা খেলেই শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটি কলায় ৪০০-৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই কলা খেলে শরীর সহজেই পটাশিয়ামের জোগান পায়। বিশেষত শিশুদের নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শিশুদের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও বাড়ে।‌ তাই নিয়মিত একটি কলা খেলে অনেকটাই সমস্যা (Potassium Deficiency) কমে।

    ডাব

    ডাব শরীরের পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, এক কাপ ডাবের জলে প্রায় ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত ডাব খেলে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ডাবের জলে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। এর জেরে শরীরের প্রত্যেক কোষে সহজেই এনার্জি পৌঁছে যায়। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতির (Hypokalemia) ঝুঁকিও কমে।

    বিনস

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ২০০ গ্রাম বিনস নিয়মিত খেলে শরীরের ২১ শতাংশ পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, যাঁরা পটাশিয়ামের ঘাটতির (Potassium Deficiency) সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত বিনস খাওয়া জরুরি।

    কমলা লেবু (Hypokalemia)

    শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে কমলা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, একটি কমলা লেবুতে প্রায় ২৩০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, পেশি সবল রাখতে কমলা লেবু অত্যন্ত উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    Mpox Emergency: ‘এমপক্স’-এর বাড়বাড়ন্তে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক! সতর্ক করল ‘হু’, নজরদারি বৃদ্ধি ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির পর এবার আরও এক উদ্বেগ ‘এমপক্স’ (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি এমপক্স (Mpox Emergency) সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১১৬টি দেশে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতে (India) এখনও এই রোগের একটিও কেস রিপোর্ট হয়নি। তবে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র। দেশে ঢোকার এন্ট্রি-পয়েন্টগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

    সংক্রমণ থেকে বাঁচতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্র 

    এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র এমপক্স (Mpox Emergency) প্রাদুর্ভাবের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেন। একইসঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণের তাৎক্ষণিক সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বৈঠকের সময়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতে কোনও নতুন এমপক্স কেস সনাক্ত হয়নি। তবে এমপক্স (Mpox Emergency) সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে।

    একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ কেন্দ্রের

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC) এমপক্স নিয়ে ভারতের (India) ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে গত ১২ অগাস্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করে। সেখানেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার ক্ষেত্রে সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পরই, (১৯ অগাস্ট) সোমবার, নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। সেখানে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বিমানবন্দর এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তের স্থলবন্দরগুলিতে আগত যাত্রীদের এমপক্সের কোনও লক্ষণ আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, এমপক্সে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে ‘নোডাল সেন্টার’ হিসাবে বাছা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী”, রাজ্যকে তোপ নাড্ডার 

    এমপক্সের উপসর্গ (Mpox Emergency) 

    এমপক্স হল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। ১৯৫৮ সালে প্রথম বাঁদরের দেহে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই কারণে রোগের নামকরণ হয়েছে মাঙ্কি পক্স। এটি মূলত প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়। ভারতে (India) এই রোগের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২২ সালে। কেরলের ৩৫ বছরের এক যুবক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হন। এমপক্সে স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায়। যেমন— জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, র‌্যাশ (যা প্রথমে মুখে দেখা যায়। তারপর তা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে)। এই উপসর্গ দেখা যায় দুই থেকে চার সপ্তাহের তফাতে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই রোগের মৃদু উপসর্গ থাকে। কারও ক্ষেত্রে তা প্রকট হয়। সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের মাধ্যমেও এই রোগের সংক্রমণ হয়।  
    তবে বর্তমানে গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে এমপক্সের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সে (Mpox Emergency) মোট ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    Diabetic Nephropathy: ডায়াবেটিস হলেই কি কিডনির রোগ? কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই রক্তে বাড়ছে শর্করার মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়াবেটিস। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। আর ডায়াবেটিসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিডনি। দেশ জুড়ে বাড়ছে কিডনির রোগ। গত কয়েক বছরে দেশে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে‌ কিডনির সমস্যা। কিডনির কার্যকারিতা হারানোর জেরে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথম থেকেই কিডনি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা (Diabetic Nephropathy) না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেই কি কিডনির রোগের ঝুঁকি? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে গ্লুমেরুলি সংকীর্ণ হয়। এর জেরে রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায়। আর তার জেরেই কিডনির কার্যকারিতাতেও সমস্যা দেখা যায়। পাশপাশি কিডনিতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার জেরেই কিডনির ভিতরের বিভিন্ন ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা কমে যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং মূত্রনালীর মধ্যে ঠিকমতো যোগাযোগ থাকে না। এর ফলে, মূত্রথলি পূর্ণ হয়ে গেলেও আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন না। দীর্ঘদিন এইভাবে চললে কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ‌ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে বিশেষত কিডনিতে নানান ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর জেরে কিডনির রোগের ঝুঁকি (Kidney Disease) বেড়ে যায়।

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে,‌ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি (Diabetic Nephropathy) মারাত্মক বেশি। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় প্রাথমিক পর্বেই হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির অসুখ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গ চিহ্নিত করা যায় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিডনির পরীক্ষা করানো জরুরি। কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা দরকার। তবে, পা ফুলে যাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, বমি ভাবের মতো উপসর্গ নিয়মিত দেখা গেলে কিডনির পরীক্ষা আবশ্যিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Diabetic Nephropathy)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও নজরদারি জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই কুকিজ, সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনির অসুখের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। চিনিজাতীয় কোনও খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজরদারি দরকার। কারণ, ডায়াবেটিসের সঙ্গে রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হলে তা কিডনি ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি।‌ যাতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এছাড়া, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। ফলে, কিডনিও সুস্থ থাকে (Kidney Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফি-বছর বর্ষাকালে রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি বাড়ায় ডেঙ্গি। মশাবাহিত এই রোগে নাজেহাল সকলেই। কয়েক হাজার মানুষ মারাও যান। লাখখানেক মানুষ আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সচেতনতার অভাব এই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে! আসুন, এক নজরে দেখে নিই এই মারণ রোগের খুঁটিনাটি।

    ডেঙ্গি কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের রক্তে সংক্রমিত হয়। মূলত স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Dengue)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। তার সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত হাত ও পায়ের জয়েন্টে যন্ত্রণা বেশি হয়। মাথার যন্ত্রণা হয়। এর পাশপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে গোল দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে, বুঝতে হবে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

    কেন ডেঙ্গি বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমণ (Virus Infection) হলে আক্রান্তের রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ কমতে থাকে। আর তা হলেই রক্ত সঞ্চালন থমকে যায়। তার ফলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতা বাধা পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই ডেঙ্গি বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে ডেঙ্গি? (Dengue)

    প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গি সংক্রমণ যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডেঙ্গি মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দ্রুত পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মৃত্যুহার খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদের তুলনায় বেশি। 
    তবে একবার ডেঙ্গি আক্রান্ত আরেকবার ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গিতে সংক্রামিত হলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মূলত চারটি প্রজাতি রয়েছে। এক প্রজাতির ভাইরাস এক ব্যক্তির দেহে একাধিক বার সংক্রমিত হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয় না। কারণ সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তিকে বারবার এক ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সংক্রমিত করলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তখন আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একাধিক অঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে, তাকে আরও সতর্ক ভাবে থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) মশাবাহিত রোগ। তাই মশার দাপট রুখতে পারলেই ডেঙ্গির মোকাবিলা সহজ‌‌ হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর পাশপাশি বাড়ির আশপাশ ও এলাকা পরিষ্কারের দিকে নজরদারি জরুরি। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, যে কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এলাকার বিভিন্ন পার্ক ও বাগানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। এলাকার কেউ জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা দরকার। তবেই দ্রুত চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে। আক্রান্তকে‌ আলাদা ভাবে রাখতে হবে। এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত (Virus Infection) হলে বাকিদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি! তার পরে কয়েক দিনের রোদ! এই আবহাওয়া এখন উদ্বেগজনক। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এমনই আবহাওয়ার জেরে রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট আরও বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। চলতি বছরে ডেঙ্গি বঙ্গবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে এই মারণ রোগ মোকাবিলায় কোনও সমন্বয়ই নেই। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোন জেলা? (Dengue)

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, এবারে আক্রান্তের নিরিখে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। ইতিমধ্যেই ওই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে ৫০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার পরেই নদিয়া। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, নদিয়া জেলায় গত মাসে ৪০০-র বেশি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতিও নজরে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনিক (State Administration) সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই চলতি বছরেও জুন মাস থেকেই কলকাতা ও হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও যথেষ্ট। মশার এই জোড়া আক্রমণে নাজেহাল কলকাতা তথা বঙ্গবাসী।

    কী পরিকল্পনা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা পরিদর্শনের পাশপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালেও পরিদর্শন জরুরি। এমনই নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। কর্তারা জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু জায়গায় জল জমে আগাছা জন্মাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর তার জেরেই মশার বাড়বাড়ন্ত। তাই স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন জরুরি। পাশপাশি হাসপাতাল চত্বরে যাতে জল না জমে, সে নিয়েও নজরদারি জরুরি। এক স্বাস্থ্যকর্তার (State Administration) কথায়, “ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তাদেরও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” 
    তবে, স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, গতানুগতিক ভাবে শুধু পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অনেক সময়েই তা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি যে ভাবে বাড়ছে, সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য কর্তাদেরই একাংশ।‌ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    World Breastfeeding Week: জন্মের পরের ছ’মাস শুধুই স্তন্যপান! শিশু ও মায়ের শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সন্তানের জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস, তার শারীরিক বিকাশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর খাদ্যাভ্যাস থেকে পরিচর্যা, সব বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারি না রাখলে পরবর্তী সময়ে নানান জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে তাই জানানো হয়েছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধু মাতৃ স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) যথেষ্ট। এতেই শিশুর ঠিকমতো বিকাশ হবে। সুস্থ শরীর ও মানসিক গঠন ঠিক মতো হবে‌। কিন্তু বিশ্ব জুড়েই মাতৃদুগ্ধ (Mother’s Milk) পান নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল কিন্তু স্পষ্ট জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। আর কিছুই দরকার নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো‌ ভারতেও স্তন্যপান করানো নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই দেশ জুড়ে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ স্তন্যপান সচেতনতা সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্তন্যপান করানো শুধু সদ্যোজাতের জন্য উপকারী নয়, মায়ের শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। তাই মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে স্তন্যপান জরুরি।

    শিশুর শরীরে স্তন্যপান কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? (World Breastfeeding Week)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করলে, শিশুর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের খাবার থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে সব চেয়ে বেশি। কিন্তু মায়ের বুকের দুধ খেলে সেই ঝুঁকি কার্যত থাকে না। বিশেষত পেটের অসুখের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেলে, তার প্রভাব হয় সুদূর প্রসারী। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মায়ের বুকের দুধে কোলেস্ট্রাম থাকে। এই উপাদান দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। বিশেষত অন্ত্র, লিভার এবং পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই উপাদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই মাতৃদুগ্ধ সন্তানের জন্য সব চেয়ে উপকারী। জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র ব্রেস্টফিডিং করলে শিশুর কিডনি ভালো থাকে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশেও মায়ের দুধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।‌ তারা জানাচ্ছে, শিশুর জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধে এক ধরণের হলদে উপাদান থাকে। এই উপাদান শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে।

    স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান (World Breastfeeding Week) করালে তার পাশপাশি মায়ের শরীরেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শিশুকে স্তন্যপান করালে মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। বিশ্বের একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, স্তন্যপান করালে মহিলাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে। সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে স্তন ক্যান্সারের পাশাপাশি ওভারি এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার পাশপাশি মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হয়। শিশুকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে নতুন মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। সন্তান জন্মের পরে দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার স্তন্যপান (Mother’s Milk) করালে, মায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক হয়। ফলে মায়ের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মহিলাদের পোস্ট পার্টোম ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমে বলেও‌ জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, অধিকাংশ মায়েরাই সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে নানান মানসিক অবসাদে ভোগেন। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন ঘটার জেরেই এই ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। নিয়মিত স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনেও প্রভাব ফেলে। ফলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে স্তন্যপান (World Breastfeeding Week)। মা নিয়মিত সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Empty Stomach: সকালে খালি পেটে কী খাবেন? কোন ঘরোয়া উপাদানে রয়েছে সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি? 

    Empty Stomach: সকালে খালি পেটে কী খাবেন? কোন ঘরোয়া উপাদানে রয়েছে সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালে ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি ভারী খাবার নয় (Empty Stomach)। বরং কিছু ঘরোয়া খাবারই করবে বাজিমাত। শরীর রাখবে সুস্থ। তা একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করবে‌। এমনই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, কম বয়স থেকেই এখন নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। একদিকে স্থূলতার মতো সমস্যা, আরেকদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ। এসব রোগে এখন তরুণ প্রজন্ম নাজেহাল।‌ তাই দিনের শুরু থেকেই জরুরি রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ঘরোয়া কিছু উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, কিংবা মহিলাদের ওভারি, জরায়ুর জটিল সমস্যা দূর করতে পারে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান (Household Ingredients) কতখানি উপকারী?

    আমলকি ভেজানো জল (Empty Stomach)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়ার অভ্যাস একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। তারা জানাচ্ছে, আমলকি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমলকি ভেজানো জল খালি পেটে খেলে, তা যথেষ্ট উপকারে আসে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, আমলকিতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন ই। তাই খালি পেটে আমলকি ভেজানো জল খেলে একদিকে হজমের সমস্যা কমে, শরীরে প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে। আবার ত্বক এবং চুলের সমস্যাও কমে। ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    গরম জলে মধু মিশিয়ে খাওয়া

    সকালে ঘুম থেকে উঠে সপ্তাহে অন্তত তিন‌ দিন গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে (Empty Stomach) শরীর সুস্থ থাকবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই পানীয় শরীরের টক্সিন বের করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এর জেরে একদিকে সহজেই স্থূলতার সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। এই পানীয় মেদ দ্রুত ঝরায়।‌ আরেকদিকে কিডনি ভালো থাকে। মহিলাদের ওভারি সুস্থ রাখতে এই পানীয় বিশেষ সাহায্য করে। আবার ত্বকও ভালো‌ থাকে।

    ভেজানো কাঠবাদাম (Empty Stomach)

    সকালে খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম অন্তত পাঁচটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে‌। তাই শিশুদের খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ানোয় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান।‌ তাই এই উপাদান শরীরে এনার্জি জোগায়। আবার স্নায়ু সুস্থ রাখে। পাশাপাশি এই ধরনের উপাদানগুলো মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সকালে উঠে নিয়মিত ভেজানো কাঠবাদাম খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়।

    খালি পেটে খেজুর কমাবে একাধিক সমস্যা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বহু মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। খালি পেটে (Household Ingredients) একটা খেজুর খেলে এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। তারা জানাচ্ছে, খেজুরে রয়েছে একাধিক ভিটামিন এবং ফাইবার। তাই এই ফল একদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে সহজেই কাবু করে, আবার দ্রুত শক্তি জোগায়‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutritional Value: প্যাকেটজাত খাবার ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, স্বাগত জানাল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    Nutritional Value: প্যাকেটজাত খাবার ঘিরে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, স্বাগত জানাল স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে কোনও খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে লবণ, চিনি ও চর্বির পরিমাণ (Nutritional Value) জানাতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতর এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি লবণ, চিনি এবং চর্বির মাত্রা কতটা রয়েছে, (Food Safety) এই সংক্রান্ত তথ্য মোটা অক্ষরে সংস্থাকে জনগণের জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করতে হবে।

    চিনি, লবণ এবং চর্বি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে (Nutritional Value)

    মোটা অক্ষরে চিনি, লবণ এবং চর্বি সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শনের প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ায়, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়াও ডায়াবেটিস এবং লবণ গ্রহণের সমস্যা যাদের রয়েছে তাঁরাও উপকৃত হবেন। এতদিন পর্যন্ত ভারতে খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি শুধুমাত্র প্যাকেটের পিছন দিকে প্রাথমিক পুষ্টি (Food Safety) সংক্রান্ত তথ্য মুদ্রণ করতে বাধ্য ছিল। যদিও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে প্যাকেটের সামনের দিকে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সমস্ত দেশে অস্বাস্থ্যকর খাবার ব্যবহারের প্রতি মানুষের ঝোঁক কমেছে। যদিও প্রথমে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরফে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটে হেলথ স্টার রেটিং রাখা হবে এবং খাবারের গুণাগুণ সংক্রান্ত তথ্য প্যাকেটের সামনের দিকে থাকতে হবে। কিন্তু তারা হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত থেকে কেন সরে এল, তা জানা যায়নি। হেলথ স্টার রেটিং মডেলের উদ্দেশ্য হল, ওই খাদ্য মানব দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকারক কিংবা কতটা সুরক্ষিত সে সংক্রান্ত তথ্য সাধারণ মানুষকে দেওয়া। কিন্তু এই রেটিং সিস্টেমের বিরোধিতা এসেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। মনে করা হচ্ছ, এর জন্যই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ।

    আরও পড়ুন: বর্ষায় সর্বদা তরতাজা থাকতে চান? মেনে চলুন এই ৬টি অভ্যাস

    নয়া পন্থায় খাদ্য দ্রব্যের প্যাকেটে চিনি, লবণ এবং চর্বির মাত্রা জানানোর ফলে খাবারের অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, লবন বা চর্বি থাকলে আগেভাগেই তা জেনে নিতে পারবেন উপভোক্তারা।

    স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের বক্তব্য (Food Safety)

    স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ প্রথম থেকে হেলথ স্টার সিস্টেমের বিরোধিতা করছিল। তাদের অভিযোগ, হেলথ স্টার সিস্টেমে (Food Safety) অতিরিক্ত স্টার থাকলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওই খাদ্যদ্রব্য কারও কারও জন্য ক্ষতিকারক হতে পারত এবং স্টার সিস্টেমের বুজরুকি হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল প্রবল। বিশেষ করে প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কাছে স্টার ব্যবস্থায় (Nutritional Value) চালাকি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু চিনি, লবণ এবং চর্বির পরিমাণ জানালে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি এবং যকৃতের অসুখে ভোগা ব্যক্তিরা আগেভাগে ওই খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share