Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    Lung cancer: কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার! নেপথ্যে কি সেই ধূমপান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের রোগ (Lung cancer) বাড়ছে‌। বিভিন্ন সংক্রমণের জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। আর তার ফলে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিবেশে দূষণের জেরে বাড়ছে নানান ভাইরাসের দাপট। আবার লাগামহীন বায়ুদূষণ বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের অসুখের সেটাও আরেকটা কারণ। তবে এর পাশপাশি জীবন যাপনের ধরন ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়ার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। ১ অগাস্ট ওয়ার্ল্ড লাং ক্যান্সার ডে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সচেতনতা কমাতে পারে ক্যান্সারের প্রকোপ। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য জরুরি সতর্কতা।

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ কতখানি? (Lung cancer)

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে ক্যান্সারের দাপট। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-র তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ প্রতি বছর বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট বেশি। তবে বাদ নেই মহিলারাও। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত দু’বছরে মহারাষ্ট্র, কেরল, মিজোরামের মতো রাজ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে। আবার, দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ নতুন ভাবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন। ফলে, চিকিৎসা শুরু করতেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মুখ ও গলার ক্যান্সারের পরেই দেখা যাচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের জেরে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার আক্রান্তের নিরিখে স্তন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের পরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। দেশ জুড়ে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    ফুসফুসের ক্যান্সার বৃদ্ধির নেপথ্যে কি ধূমপান?

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের ২০ শতাংশ রোগী দেখা গিয়েছে, ধূমপান (Smoking) করেন না। কিন্তু ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রোগী দীর্ঘদিন ধূমপানে অভ্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ধূমপানের অভ্যাস বাড়াচ্ছে ফুসফুসের বিপদ(Lung cancer)। সিগারেট কিংবা বিড়ির ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তেমনি এই তামাক সেবনের অভ্যাস ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব বয়স থেকেই অনেকেই এখন ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও ধূমপান করছে। এমনকী শহরের বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁয় নানান রকমের ধূমপানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই সেখানে ধূমপান করছেন।‌ আবার যাঁরা সরাসরি ধূমপান করেন না, কিন্তু আশপাশের মানুষ করছেন, তাঁরাও কিন্তু ধূমপানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের শরীরে পরোক্ষভাবে তামাকের ধোঁয়া প্রবেশ করছে। ফলে তাঁদের ফুসফুস ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Lung cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, লাগাতার সচেতনতা জরুরি। স্কুল পর্যায় থেকেই ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। ইন্টারনেটের যুগে স্কুল পড়ুয়ারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। তাই স্কুল থেকেই শুরু হোক কর্মশালা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ক্ষতিকারক। এই ধরনের অভ্যাস থাকলে পড়ুয়ারা ‘কুল’ হবে না। বরং তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করবে। আর সেই ক্ষতি কতখানি ভয়ানক হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করা জরুরি। এই সচেতনতার হার বাড়াতে পারলে ধূমপানের অভ্যাস কমবে। আবার রেস্তোরাঁ বা বিভিন্ন হোটেলে যে অবাধে নানান রকম ধূমপানের সুযোগ থাকে, সেটাও বন্ধ করা জরুরি। সে ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, এই সবের পাশাপাশি মাস্ক পরে বাইরে যাওয়ার অভ্যাস‌ থাকা দরকার। চিকিৎসকদের মতে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ছে। নানান দূষিত উপাদানও বাড়ছে। ফুসফুস সুস্থ রাখতে মাস্ক কিছুটা সাহায্য করবে (Smoking)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Liver Problems: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    Liver Problems: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজমের সমস্যা থেকে শুরু। তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরে দানা বাঁধছে বড় অসুখ। এখন কম বয়সেই লিভারের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ছোট-বড়, সবার মধ্যেই দিনে দিনে বাড়ছে লিভারের অসুখ। ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে লিভারের সমস্যা বেড়েছে দ্রুত হারে। এর কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়া আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

    কেন বাড়ছে লিভারের সমস্যা

    চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যালকোহল, জাঙ্ক ফুড, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় খাওয়া, ইত্যাদি অভ্যেস ভারতে লিভারের রোগের (Liver diseases) বাড়বাড়ন্তের কারণ। লিভারের রোগ ভারতে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন লিভারের অসুখে ভুগছেন। ভারতে, লিভারের অসুখে মৃত্যুর হার প্রতি বছর আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ২০ লক্ষ মানুষের লিভার-সম্পর্কিত রোগে মৃত্যু ঘটে। সেই সঙ্গে ভয়াবহ ভাবে লিভার ক্যান্সারের হার বাড়ছে। এই মুহূর্তে ভারতে যকৃতের অসুখে ভোগা রোগীদের মধ্যে একটা বড় অংশের বয়স ২৩-৩৫ । 

    অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার 

    ক্রমবর্ধমান হারে অ্যালকোহল সেবনের ফলে ভারতে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD) এ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে, বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। মহিলাদের অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারও কারও ক্ষেত্রে বিপাকে সমস্যা এবং জেনেটিক কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের এই অসুখের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পুষ্টিতে ঘাটতি থাকলেও লিভারের অসুখ করতে পারে।

    টিকা না নেওয়া

    এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, হেপাটাইটিসের জন্য চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশই হেপাটাইটিসের টিকা নেননি। অ্যালকোহল-সম্পর্কিত লিভারের রোগ, ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং সিরোসিসের মতো বিভিন্ন সমস্যা তরুণদের লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর ফলে তরুণদের মধ্যে মৃত্যু ও অসুস্থতার হার বেড়েছে। অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, পর্যাপ্ত জল পান না করা, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ভাইরাল সংক্রমণ এবং দীর্ঘদিন কিছু ওষুধ খাওয়া লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা লিভারের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

    লিভারের গুরুত্ব

    লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বিভিন্ন কাজ করে। এটি বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণ, পুষ্টি প্রক্রিয়াকরণ, হরমোন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত, ইমিউন সিস্টেমের কাজ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চয় করে।

    চিকিৎসকদের অভিমত

    বর্তমানে দেশে তরুণদের মধ্যে লিভারের সমস্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, “২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে তীব্র ভাইরাল হেপাটাইটিস, সিরোসিস, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের অনুপাত প্রায় ১:২ (পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুণ)। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে।” 

    হেপাটাইটিস কী

    হেপাটাইটিস হল লিভারের গুরুতর প্রদাহ যা ভাইরাস (হেপাটাইটিস এ, বি, সি এবং ই), টক্সিন, রাসায়নিক, ড্রাগ অপব্যবহার, অ্যালকোহল পান, জেনেটিক ডিসঅর্ডার এবং কিছু অটোইমিউন রোগের কারণে হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের হেপাটাইটিস রয়েছে যেমন হেপাটাইটিস এ (দূষিত জল বা খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়), হেপাটাইটিস বি (সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শ বা অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়), হেপাটাইটিস সি (রক্ত থেকে রক্তের সংস্পর্শে ছড়ায়), হেপাটাইটিস ডি (কেবল হেপাটাইটিস বি-র রোগীদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়), হেপাটাইটিস ই (দূষিত জলের মাধ্যমে ছড়ায়)। দেখা যাচ্ছে যে হেপাটাইটিস সংক্রমণে আক্রান্তদের হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া হয়নি। হেপাটাইটিস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ হেপাটাইটিসের টিকা নেননি। এই সংক্রমণ হেপাটাইটিসের টিকা নিয়ে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

    সিরোসিস অফ লিভার

    ‘সিরোসিস অফ লিভার’ শব্দবন্ধটি ক্যানসারের চেয়ে কোনও অংশে কম আতঙ্কের নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ ক্যানসারের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, এই রোগ সহজে ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতটা দেরি হয়ে যায় যে, তখন আর কিছু করার থাকে না। চিকিৎসক জানান, “সিরোসিস অফ লিভার হল লিভার রোগের শেষ পর্যায়। এখানে থেকে ফিরে আসার কোনও উপায় নেই। এর মানে হল লিভার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে প্রথমে ফ্যাটি লিভার হল, অর্থাৎ লিভারটি বড় হয়। তারপর লিভার শক্ত হয়ে যায়। তখনও যদি আমরা সতর্ক না-হই তাহলে লিভারটি ফেটে যায় ৷ একেই বলে সিরোসিস অফ লিভার। অতএব ফ্যাটি লিভার হল সিরোসিস অফ লিভারের প্রথম ধাপ।

    আরও পড়ুন: স্যান্ডউইচ বিক্রেতা থেকে ট্র্যাজেডি কিং! বলিউডের বর্ণময় চরিত্র দিলীপ কুমার

    সুস্থ থাকার উপায়

    লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য চিকিৎসকরা বলেন, ফ্যাট জাতীয় খাওয়ার যতটা কম খাওয়ার যায় তত ভালো। তার সঙ্গে টাটকা শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। ফাইবার জাতীয় খাওয়ার মানে আটা, ওটস, কনফ্লেক্স বেশি খেতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় জল খেতে হবে। আর সব থেকে বেশি দরকার হল শারীরিক ব্যায়াম। মানুষের শারীরিক কাজকর্ম কমে যাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাট জমছে ৷ যার ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মদ্যপান কমাতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাত্রায় লাগাম টানতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Loneliness: একাকিত্ব বাড়ছে, তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট! কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠে পা রেখেই বাড়ছে নানান রোগ। নানান ওষুধের গুণে দীর্ঘ জীবন পেলেও, সুস্থ জীবনযাপন এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ জীবন (Loneliness) কমাচ্ছে জীবন‌ যাপনের মান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে এক সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    আন্তর্জাতিক এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একাকিত্ব বাড়ছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের একাধিক বড় শহরে অধিকাংশ মানুষ বন্ধুহীন জীবন কাটাচ্ছেন। তাই বাড়ছে একাকিত্ব। যার জেরে নানান রোগের জটিলতাও বাড়ছে‌।

    কী সমস্যা বাড়ায় একাকিত্ব? (Loneliness)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন একাকিত্বের সমস্যায় ভুগলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। জেরেন্টোলজিস্টদের (বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ) একাংশ জানাচ্ছে, বয়স্কদের একাধিক রোগের কারণ এই একাকিত্ব। একাকিত্বের জেরে বাড়ছে মানসিক অবসাদ। তার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। অনেক বয়স্করাই একা থাকার জন্য ঠিক মতো নিয়মিত রান্না করেন না। সময় মেনে অনেকেই খাবার খান না। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আবার একাকিত্বের জেরে বাড়ছে নানান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। ফলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও বাড়ছে। তাই হৃদরোগ থেকে কিডনির জটিল অসুখ, সবকিছুর পিছনেই রয়েছে একাকিত্বের মতো‌ সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, একাকিত্ব (Loneliness) এক ধরনের মানসিক অবস্থা। একা থাকা মানেই একাকিত্ব নয়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে থেকেও এই একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে কেউ থাকেন না। পরিবার বলতে আশপাশে কেউ নেই। এমন মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাকিত্বের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছুই ভালো না লাগা, হঠাৎ খুব নিঃসঙ্গ মনে হওয়া, যে কোনও বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ। প্রয়োজনীয় থেরাপি ও ওষুধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, একাকিত্বের সমস্যা (Multiple Diseases) এড়াতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
    নিয়মিত সকালে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে নিয়মিত হাঁটলে পরিবেশের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সকালে হাঁটার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখার পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ক্লান্তি দূর করে‌। সকালে বহু মানুষের সঙ্গে সহজেই দেখা হয়। তাই মন হালকা থাকে। একাকিত্ব গ্রাস করে না।

    বই পড়ুন

    বই পড়ার অভ্যাস জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক এখন একা (Loneliness) থাকেন। দিনভর তাদের সঙ্গ দেওয়ার মানুষের অভাব। তাই দরকার বই পড়ার অভ্যাস। এতে দিনের অনেকটা সময় সুন্দরভাবে কাটানো যায়। এর ফলে একাকিত্ব গ্রাস করার সুযোগ কম। আবার নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে (Multiple Diseases)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eyelash Extensions: চোখের পাতা আকর্ষণীয় করতে আই ল্যাশ এক্সটেনশন! হতে পারে নানা ক্ষতিও

    Eyelash Extensions: চোখের পাতা আকর্ষণীয় করতে আই ল্যাশ এক্সটেনশন! হতে পারে নানা ক্ষতিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের পাতা সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে এখন অনেকেই ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ (Eyelash Extensions) করান। চোখের সাজ নিয়ে এখন রূপটানশিল্পীরা নানা রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করছেন। যার মধ্যে ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ এখন বহুল জনপ্রিয়। পুজোর আগে অনেকেই চোখের পাতা ঘন করতে চাইছেন। দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ করালে অনেক সময় চোখে মেক-আপেরও প্রয়োজন হয় না। তবে আবার ঠিকঠাক না হলে এর থেকে চোখে নানারকম সংক্রমণও (Risk Of Eye Infections) হতে পারে।

    কী বলছে গবেষণা

    সম্প্রতি জার্নাল অফ রয়্যাল সোসাইটি-র (Journal of the Royal Society Interface) একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে অত্যন্ত লম্বা এবং ঘন চোখের পাতা ফ্যাশনেবল হলেও এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। প্রাকৃতিক চোখের পাতা চোখকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং বায়ুবাহিত কণা থেকে রক্ষা করে। সিল্ক, মিঙ্ক বা নাইলনের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি এক্সটেনশনগুলি প্রতিটি পাতার সঙ্গে আঠা দিয়ে লাগানো হয়, যা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষতার প্রয়োজন। কারণ ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’ (Eyelash Extensions) এর সময় আঠা দিয়ে চোখের পাতা একসঙ্গে লেগে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চোখের পৃষ্ঠে আঠা কখনওই লাগানো উচিত নয় কারণ এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    কী কী হতে পারে

    একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ৬০ শতাংশেরও বেশি মহিলা চোখের পাতায় আঠা ব্যবহারের পর কেরাটোকনজাঙ্কটিভাইটিসে (Risk Of Eye Infections) আক্রান্ত হয়েছেন, এবং ৪০ শতাংশ অ্যালার্জিতে ভুগেছেন। কিছু আঠায় ফরমালডিহাইড থাকে, সেই আঠা ‘আই ল্যাশ এক্সটেনশন’-এর (Eyelash Extensions) সময় ব্যবহার করলে ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণ জটিলতার মধ্যে রয়েছে ব্লেফারাইটিস, স্টাই, এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য চোখের পাতায় সংক্রমণ। চোখের পাতার সিরাম, বিশেষ করে প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন ধারণকারী সিরাম, আই ল্যাশ এক্সটেনশন করলে এতেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২০ সালে চোখের পাতা এক্সটেনশনের বাজার মূল্য ছিল ১.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ২.৩১ বিলিয়নে পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adult Vaccination: টিকাতেই কমবে রোগ? কোন ভোগান্তি কমাবে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ?

    Adult Vaccination: টিকাতেই কমবে রোগ? কোন ভোগান্তি কমাবে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিশুর শরীরে একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় টিকা (Adult Vaccination)। তবে শিশুর পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের একাধিক সংক্রমণ মোকাবিলায় সাহায্য করে টিকা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বার্ধক্যের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে টিকাকরণ। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা নিয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

    টিকা কোন রোগের সহজে মোকাবিলা করে? (Adult Vaccination)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের ভোগান্তি বাড়ছে। দেশজুড়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ফুসফুসের সমস্যায় ভোগেন Old Age Suffering। অনেকেই শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক ফুসফুসের অসুখে‌ আক্রান্ত। বায়ুদূষণ কিংবা ধুমপান, এমন নানান কারণে ফুসফুসের অসুখ দেশ জুড়ে বাড়ছে। ফুসফুস দুর্বল থাকার জেরে সহজেই ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। ফলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমায় নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন। এই টিকা দেওয়া থাকলে ফুসফুসের অসুখ হলেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের বিশেষত ষাটোর্ধ্বদের এই ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। কারণ, অধিকাংশ বয়স্কদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এই ভ্যাকসিন নিলে বিপদ কিছুটা কমবে।

    নিউমোনিয়া রুখতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাকরণ (Adult Vaccination)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শিশুদের পাশপাশি বয়স্কদেরও এই টিকাকরণ জরুরি। প্রত্যেক বছর ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট বাড়ে। আর তার জেরেই সর্দি-কাশি, জ্বরের ভোগান্তি বাড়ে। বয়স্কদের আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। ফলে বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি আরও কমে যায়। এর জেরে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ আরও বেড়ে যায়। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা নেওয়া থাকলে এই ভোগান্তি কমবে।

    কাদের জন্য এই টিকা আবশ্যিক? (Adult Vaccination)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, চল্লিশোর্ধ যে কেউ এই টিকাকরণ করলে ভোগান্তি কমবে। নানান জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও কমাবে। কিন্তু হাঁপানি ,ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো সমস্যায় আক্রান্তদের অবশ্যই এই দুটি টিকা নেওয়া উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাঁপানি, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে আক্রান্তদের শরীরে যে কোনও রোগ সহজেই কাবু করে। যে কোনও ভাইরাসের দাপটও বেশি প্রভাব ফেলে। তাই তাঁদের রোগ‌ মোকাবিলা Old Age Suffering কঠিন হয়ে যায়। তাই জরুরি টিকাকরণ। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে এ বছরেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue Fever) সংক্রমণ উদ্বেগজনক। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই এবছরেও রাজ্যবাসীর ভোগান্তির কারণ হবে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    কোন জেলা চিন্তা বাড়াচ্ছে? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি বছরে ডেঙ্গি নিয়ে সব চেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরভর কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছিল। কিন্তু জুন মাস থেকে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় চলতি মাসে শতাধিক মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন। ২০২৩ সালে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল ভয়ানক। এই দুই জেলার প্রায় পনেরো হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরেও সংক্রমণ যথেষ্ট ছিল। তবে গত দেড় মাসে এই দুই জেলায় সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক‌ভাবে‌ বেড়েছে।

    বাড়তি দুশ্চিন্তা ম্যালেরিয়া?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে নাজেহাল রাজ্য প্রশাসন। প্রত্যেক বছরেই সংক্রমণ, আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। এবছরে তার সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ ম্যালেরিয়া। কারণ, বর্ষার মরশুম (Rainy Season) শুরু হওয়ার আগেই কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট জারি ছিল। প্রত্যেক মাসে শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্ষার মরশুমে সেই সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়েছে। 
    একদিকে ডেঙ্গি, আরেক দিকে ম্যালেরিয়া, মশাবাহিত এই দুই জোড়া সংক্রমণ রুখতে আরও সক্রিয়তা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক এলাকা পরিষ্কারের দিকে এই সময়ে বাড়তি নজর দিতে হবে। স্কুল, কলেজ, পার্ক এই সব জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, আগাছা না জন্মায় সেটা দেখা জরুরি। বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমবে। তবে সাধারণ মানুষকেও‌ সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সমস্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুর্ত দফতর সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রত করতে হয়, এটা এখন সকলেই জানেন। শুধু সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। পুরসভা আর পঞ্চায়েতকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর স্বাস্থ্য দফতরেও ঠিকমতো রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নিজেদের মতো যা খুশি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ মুশকিল (Rainy Season)।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pesticides: ধূমপানের মতোই কীটনাশকও বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি, প্রকাশ পেল রিপোর্ট

    Pesticides: ধূমপানের মতোই কীটনাশকও বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি, প্রকাশ পেল রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূমপানের মতো কীটনাশকের (Pesticides) ব্যবহারেও ঝুঁকি রয়েছে ক্যান্সারের (Cancer Risk)। সম্প্রতি, এমনই তথ্য উঠে এল মার্কিন দেশের এক গবেষণায়। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এমন ৬৯টি কীটনাশক রয়েছে যার মধ্যে চারটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় আমাদের দেশে, এগুলি বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। এই সাম্প্রতিক গবেষণাতে (Pesticides) তিন ধরনের ক্যান্সারের কথা জানা গিয়েছে এগুলি হল, লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া এবং মূত্রাশয়ের ক্যান্সার। মূলত, এই তিন ধরনের ক্যান্সার বেশি ছড়ায় কীটনাশকের ব্যবহারে। এমনটাই জানিয়েছে গবেষণাকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ফের লাভ জিহাদ! হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল মুসলমান শ্রমিক

    ফ্রন্টিয়ার্স ইন ক্যান্সার কন্ট্রোল অ্যান্ড সোসাইটির গবেষণা (Pesticides)

    প্রসঙ্গত, এই গবেষণাটি চালিয়েছে ফ্রন্টিয়ার্স ইন ক্যান্সার কন্ট্রোল অ্যান্ড সোসাইটি। এই সমীক্ষায় উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে কতগুলি কীটনাশকের (Pesticides) নাম, 2,4-D, Acephate, Metolachlor এবং Methomyl. এই কীটনাশকগুলি থেকেই বেশি ছড়াচ্ছে ক্যান্সার, এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। সাধারণত ভারতে কীটপতঙ্গ এবং আগাছা থেকে ফসল রক্ষা করতে ব্যবহৃত (Cancer Risk) হয় এই ধরনের কীটনাশকগুলি।

    প্রথমবারের জন্য কোনও মার্কিন ভিত্তিক সংস্থা এমন গবেষণা  

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার দেখা গিয়েছে, এগুলির জন্য কীটনাশকের ব্যবহারকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম দিকের প্রদেশগুলিতে এই সময়ের মধ্যে কীটনাশক (Pesticides) ব্যবহারের ফলে মুত্রাশয়ের ক্যান্সার, লিউকেমিয়া ইত্যাদি ক্যান্সারে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবারের জন্য কোনও মার্কিন ভিত্তিক সংস্থা গবেষণা চালাল ধূমপানের মতোই কীটনাশকের ব্যবহারেও ঝুঁকি রয়েছে ক্যান্সারের।

    আরও পড়ুন: দেশে বিপুল চাহিদা কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেমের, ৫ বছরে বৃদ্ধি কত হবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্কুল থেকে ফিরেই জ্বর! সঙ্গে দেখা দিচ্ছে সর্দি, হাঁচি, কাশির মতো উপসর্গ। বর্ষার মরশুমে (Monsoon) এমন সমস্যা হামেশাই হয়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর কিংবা গলাব্যথার মতো সমস্যায় ভোগে কমবেশি সব বয়সীরাই। কিন্তু শিশুদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)। আর তার (HFMD) জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে‌। সতর্ক না হলে ভাইরাসের দাপট বাড়বে। শিশুদের ভোগান্তিও আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) কী? (HFMD)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) হল এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত অসুখ। এই রোগের কোনও টিকা নেই। এই ভাইরাস খুব সহজেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। তাই সচেতনতা ও সতর্কতাই পারে এই রোগের সংক্রমণ রুখতে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে এই রোগের দাপট কম থাকে। শিশুদের ভোগান্তি বেশি হয়। তাই পরিবারের খুদে সদস্যদের নিয়েই সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সাধারণ শীতের মরশুমে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে বর্ষার মরশুমেও হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজের প্রকোপ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই রোগ (HFMD) হচ্ছে। ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে তাপমাত্রার রকমফের হয়। আর তার জেরেই বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। চলতি বছরে কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় মারাত্মক গরম পড়েছিল। বর্ষার মরশুমে সেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)-এর দাপট। 

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত হবে? (HFMD)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) প্রথমে সাধারণ জ্বরের মতোই লক্ষণ দেখা যায়। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা যায় সর্দি, গলাব্যথা। এরপরে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষত পায়ের পাতা, মুখের ভিতর, ঠোঁট এবং হাতে লাল ফোস্কার মতো দাগ ফুটে ওঠে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অধিকাংশ অভিভাবকেরা অনেক সময়েই এই রোগকে চিকেন পক্স ভাবেন। কিন্তু চিকেন পক্স আর হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) সম্পূর্ণ আলাদা। এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর খাওয়ার ইচ্ছে সম্পূর্ণ চলে যায়। 

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Monsoon)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের কোথাও র ্যাশ দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। উপসর্গ দেখা দিলে কোনও রকম দেরি করা উচিত নয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো দরকার। শিশু হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) আক্রান্ত (HFMD) হলে অন্তত ১৪ দিন স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। এই রোগ খুবই সংক্রামক। আক্রান্তের থেকে বহু শিশুর দেহে এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকা জরুরি।‌ 
    আক্রান্তের খাবার থালা, গ্লাস যাতে পরিবারের অন্য কেউ ব্যবহার না করে, সেদিকেও‌ নজর দেওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকলেই সন্তানের ভোগান্তি কমবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sweet Beverage: শিশুদের ডায়াবেটিসের নেপথ্যে সুইট বেভারেজ! মিষ্টি পানীয় বাড়াচ্ছে শৈশবের রোগ?

    Sweet Beverage: শিশুদের ডায়াবেটিসের নেপথ্যে সুইট বেভারেজ! মিষ্টি পানীয় বাড়াচ্ছে শৈশবের রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস। বয়সের চৌকাঠে আর এই রোগ আটকে নেই। বরং শৈশবেও থাবা বসাচ্ছে ডায়বেটিস। করোনা মহামারির পরবর্তীকালে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ আরও বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। খাদ্যাভ্যাস (Sweet Beverage) এবং জীবন যাপনে একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, শিশুদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুইট বেভারেজ।‌ এ দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকও এই তথ্যে সিলমোহর দিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের ডায়াবেটিস‌ (Childhood Diseases) আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যে হারে বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, এই রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। খুব কম বয়স থেকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরবর্তীকালে কিডনি, চোখ, স্নায়ু সহ একাধিক অঙ্গে নানান জটিলতা দেখা যায়। জীবনযাত্রা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কম বয়সীদের সুইট বেভারেজ খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কেন বিপদ বাড়াচ্ছে সুইট বেভারেজ? (Sweet Beverage)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা রঙিন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাছাড়া, এই ধরনের পানীয়তে থাকে প্রচুর কৃত্রিম চিনি এবং ফ্লেভার। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। যার জেরে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, খুব ছোট থেকেই এখন অধিকাংশ শিশু প্যাকেটজাত নানান পানীয় খেতে অভ্যস্ত। বাজার চলতি ফলের রস হিসেবে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ প্যাকেটজাত পানীয়তে (Sweet Beverage) থাকে নানান রাসায়নিক। যা শিশুদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত শর্করা এবং কৃত্রিম ফ্লেভার মেশানো এই সব পানীয়র স্বাদ ধরে রাখতে এতে নানান রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, অধিকাংশ স্কুলে দেখা যাচ্ছে, স্কুল পড়ুয়ারা টিফিনে নানান ধরনের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত প্যাকেটজাত পানীয় নিয়ে যায়। তারা যে ধরনের পানীয়তে অভ্যস্ত, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। আর এর জেরেই ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, যে কোনও প্যাকেটজাত পানীয় (Sweet Beverage) শিশুদের এড়িয়ে চলতে হবে। অভিভাবকদের আরও বেশি এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষকেও এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। অন্তত স্কুলে যেন কোনও ভাবেই প্যাকেটজাত পানীয় খাওয়া না হয়, সেদিকে নজরদারি করা জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, প্যাকেটজাত পানীয়র তুলনায় বাড়িতে তৈরি ফলের রস শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিয়মিত লেবু, আম কিংবা বেদানার মতো ফলের রস খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি হবে‌। তাছাড়া বাড়তি ফ্লেভার দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রোগের ঝুঁকি কমে‌। ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ এড়াতে প্রথম থেকেই খাদ্যাভ্যাসে নজরদারি জরুরি। না হলে ভোগান্তি (Childhood Diseases) বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Hepatitis Day: ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস, এই দিনটি কেন পালন করা হয়?

    World Hepatitis Day: ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস, এই দিনটি কেন পালন করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেপাটাইটিস হল এমন একটি রোগ যা লিভারকে সম্পূর্ণ রূপে খারাপ করে দিতে পারে। যেহেতু লিভার শরীরের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তাই হেপাটাইটিস নামক রোগটি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ আছে, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। হেপাটাইটিস সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস (World Hepatitis Day) পালন করা হয়। ২০২৪ সালে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের থিম হল, ‘এটি অ্যাকশনের সময়’।

    হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) বিভিন্ন প্রকার

    সাধারণভাবে হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) বিভিন্ন প্রকার আছে, তা হল- এ, বি, সি, ডি, ই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে সংক্রামক রোগ (Infectious Disease)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৩০ কোটি মানুষই বর্তমানে হেপাটাইটিস বি অথবা সি রোগে আক্রান্ত। একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, প্রতি বছর ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় হেপাটাইটিসের কারণেই। সাধারণভাবে এই রোগে ক্লান্তি দেখা যায়, ঘনঘন প্রস্রাব হয়, ব্যথা, প্রদাহ জনিত সমস্যা দেখা যায়, ওজন হ্রাস পেতে থাকে, জন্ডিস হয়, দুর্বল ভাব লাগে।

    হেপাটাইটিস-এর চিকিৎসা

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস-এ এর ক্ষেত্রে সাধারণভাবে চিকিৎসার কোনও প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে হেপাটাইটিস-বি এর জন্য বেশ কিছু ভ্যাকসিন প্রচলিত রয়েছে। হেপাটাইটিস-সি এর ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় এবং নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের কাছে আসা-যাওয়া করতে হয়। হেপাটাইটিস-ডি এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও অ্যান্টিভাইরাল (Infectious Disease) চিকিৎসা নেই। অন্যদিকে হেপাটাইটিস-ই সাধারণভাবে আপনা-আপনি চলে যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কেন পালন করা হয় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস (World Hepatitis Day)?

    প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের ডঃ বারুচ স্যামুয়েল ব্লুমবার্গ প্রথম হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আবিষ্কার করেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন তৈরি করেন, যার জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান। ২৮ জুলাই এই মহান ব্যক্তিত্বের জন্মদিন। আর তাই প্রতি বছর ব্লুমবার্গের অবদানকে স্মরণ করার জন্যই পালন করা হয় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।

    জেনে নিন কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?

    টিকাদান: হেপাটাইটিস-এ এবং হেপাটাইটিস-বি এই দুটির ভ্যাকসিন পাওয়া যায় বাজারে। তাই এই দুটি ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই টিকাকরণ করিয়ে রাখবেন।

    নিরাপদ ইনজেকশন: যে কোনও ইঞ্জেকশন নেওয়ার আগে দেখবেন, সূচ একেবারে নতুন আছে কিনা। 

    নিরাপদ যৌনতা: যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার আগে অবশ্যই প্রোটেকশন নেবেন।

    স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জল: যে খাবার এবং জল আপনি গ্রহণ করছেন, নিশ্চিত করুন সেটা পরিচ্ছন্ন কিনা।

    হাত পরিষ্কার রাখুন: খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহার করার পর অবশ্যই হাত ভালো করে ধুতে হবে।

    ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করবেন না: নিজের রেজার, টুথব্রাশ বা নেল কাটার অন্য কাউকে দেবেন না।

    সচেতনতা: হেপাটাইটিস কীভাবে ছড়ায় সেই সম্পর্কে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন সবার আগে।
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share