Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

    Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ইউরোপীয় কপার্নিকাস নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড করা গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এই তাপমাত্রা চরম ভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী এখন তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এটা ধীরে ধীরে মহামারির রূপ নেবে। কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক বিশ্ব উষ্ণায়নের শিকার হয়েছেন।”

    এমন প্রচণ্ড গরমে, স্বস্তি ও আরামের জন্য এসি বা বাতানুকূল যন্ত্রে (Sleeping With AC) অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও এসি স্বস্তি দিতে পারে, তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমালে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ (Victim) হতে পারে। এসি চালিয়ে ঘুমানোর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই একনজরে কেমন প্রভাব ফেলে এসি।

    শুষ্ক চোখ:

    এসি (Sleeping With AC) বাতাস থেকে আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি এবং অস্বস্তি (Victim) হয়।

    অলসতা:

    শীতল তাপমাত্রা শরীরে পরিপাকের হার কমাতে পারে এবং শরীরের বাকি প্রক্রিয়াগুলিকে ধীর করে দেয়। যার ফলে ক্লান্তি এবং তন্দ্রা দেখা দেয়।

    ডিহাইড্রেশন:

    শুষ্ক বায়ু দ্রুত আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরের শূন্যতা তৈরি করে। ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

    শুষ্ক বা চুলকানি ত্বক:

    এসির শুষ্ক বাতাসে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমন কী জ্বালা-পোড়া হতে পারে।

    মাথাব্যথা:

    এসির কারণে শরীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস মাথাব্যথা এবং সাইনাসের কারণ হতে পারে।

    শ্বাসকষ্ঠ জনিত সমস্যা:

    ঠান্ডা এবং শুষ্ক বায়ু শ্বাসনালীতে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। হাঁপানি এবং অ্যালার্জির মতো অবস্থার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।

    অ্যালার্জি এবং হাঁপানি:

    এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ধুলো, পরাগ এবং ছাঁচের মতো অ্যালার্জেনকে আশ্রয় দিতে পারে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।

    শব্দ দূষণ:

    ক্রমাগত এসি থেকে নির্গত শব্দ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে।

    সংক্রামক রোগ:

    রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক ছড়াতে পারে। এতে সংক্রমণ হতে পারে।

    অভ্যন্তরীণ দূষণকারী:

    এয়ার কন্ডিশনার ধুলো, পোষা প্রাণীর খুশকির মতো ময়লা জমা করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।

    ইমিউনিটি কমে যায়:

    বেশিরভাগ মানুষই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র বা অফিসে এসি-তে সময় কাটিয়ে থাকেন। তারপর বাড়ি ফিরে রাত হলেই আবার এসি চালিয়ে শুয়েও পড়েন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বহু মানুষের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে রক্তনালী ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ে। আর সেই সুবাদে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয় ব্যাপক। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই রাতে এসি চালিয়ে ঘুমানোর বদভ্যাসগুলি বদল করা একান্ত প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?

    শিশুদের অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত

    ত্রিবান্দ্রমের এসপি মেডিফোর্ট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিদ্যা বিমল বলেছেন, “সঠিকভাবে বাতানুকূল যন্ত্র (Sleeping With AC) ব্যবহার করা হলে নবজাতক শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়। পিতামাতার উচিত শিশুর শরীরের তাপমাত্রার সাথে বাতানুকূল যন্ত্রের (Sleeping With AC) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ এবং সামঞ্জস্য করা। নবজাতককে ঘরে আনার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে এসি চালু করা এবং ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। কাশি এবং সম্ভাব্য নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে ঠান্ডা বাতাস কম ব্যবহার করার দিকে নজর রাখতে হবে। কিছু শিশুরও ঠান্ডায় অ্যালার্জি হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে বাড়ছে নানা রোগের দাপট। আর তার মধ্যে সব চেয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস (Hepatitis)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেপাটাইটিসের সমস্যা বাড়ছে। লিভারের এই রোগে শিশু এবং বয়স্কদের ভোগান্তি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি বেশ জটিল হচ্ছে। বর্ষার জমা জলের জেরেই হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে হেপাটাইটিসের প্রকোপ? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষার মরশুমে জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। একটানা বৃষ্টি হলেই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় জল জমে যায়‌। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যায়। আর এর জেরে অনেক সময়েই পানীয় জল পরিশ্রুত থাকে না। নিকাশি নালা ফেটে যায়। কোথাও আবার পানীয় জলের পাইপও ফেটে যায়। পানীয় জল, নোংরা জলের সঙ্গে মিশে যায়। আর এই ধরনের ঘটনার জেরেই হেপাটাইটিসের মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি মরশুমে শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে‌। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে (Stagnant Water)। অনেক সরকারি স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। বহু শিশুকেই স্কুলে গিয়ে অপরিশ্রুত জল খেতে হচ্ছে। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কীভাবে চিনবেন হেপাটাইটিস?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জ্বর, ক্লান্তি বোধের পাশপাশি হেপাটাইটিস (Hepatitis) আক্রান্ত হলে রোগীর পেটে ব্যথা হয়, হাত ও পায়ের চামড়ায় হলদে ভাব আসে। চোখের সাদা অংশেও হলুদ ছোপ দেখা যায়। আবার রোগীর বারবার বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। কোন ধরনের হেপাটাইটিসে রোগী আক্রান্ত, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করতে হবে? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকা জরুরি। শিশুদের হেপাটাইটিস টিকাকরণ জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের হেপাটাইটিসের টিকা দেওয়া হলে এই রোগের ঝুঁকি কমে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো টিকাকরণ হলে এই রোগের দাপট যেমন কমবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে। এর পাশপাশি জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশুদের সুস্থ রাখতে বর্ষার মরশুমে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পানীয় জল যাতে পরিশ্রুত হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জল ঢেকে রাখা কিংবা যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, তা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। তবেই এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব (Stagnant Water)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vision Problems: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা! কোন ঘরোয়া খাবারে মিলতে পারে সমাধান?

    Vision Problems: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা! কোন ঘরোয়া খাবারে মিলতে পারে সমাধান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়মিত ল্যাপটপ, মোবাইলের পর্দায় চোখ আটকে রাখে পরিবারের একরত্তি সদস্য। স্কুলের প্রজেক্ট হোক কিংবা অবসরের বিনোদন, সব কিছুর রসদ আছে ওই স্ক্রিনে। আর এর জেরেই বাড়ছে সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা (Vision Problems)। এমনকী পাঁচ বছরের আগেই বহু শিশুর দেখার সমস্যা হচ্ছে। যার জেরে নিয়মিত চশমার ব্যবহারও করতে হচ্ছে। শৈশবে চোখের যত্ন ঠিক মতো না নিলে পরবর্তী কালে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে শুষ্ক চোখের সমস্যাও। তার জেরে নানান ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তবে, কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। চোখের নানান সমস্যাকেও দূর করা সহজ হয়। এখন দেখে নেওয়া যাক, কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    চোখ ভালো রাখতে রান্না হোক অলিভ অয়েলে (Vision Problems)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে এবং একাধিক রোগ রুখতে তেলের ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি। তেলের পরিমাণ নিয়ে যেমন সতর্কতা জরুরি, তেমনি কোন তেলে রান্না করা হচ্ছে, সেদিকেও‌ খেয়াল রাখতে হবে। চোখের জন্য অলিভ অয়েল বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অলিভ অয়েলে থাকে‌ ভিটামিন ই। এই উপাদান চোখের জন্য খুবই উপকারী। তাই অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার খেলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কমে।

    চিংড়ি, ইলিশের মতো সামুদ্রিক মাছ চোখ ভালো রাখে

    সামুদ্রিক মাছের একাধিক উপকার রয়েছে। শিশুর শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে অন্তত একবার দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, চিংড়ি, ইলিশের মতো সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ভিটামিন ই-র মতো নানান পুষ্টিগুণ। এগুলো দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে (Vision Problems) বিশেষ সাহায্য করে।

    করলা, গাজর, মিষ্টি আলু ভালো রাখবে কর্ণিয়া 

    চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কর্ণিয়া। তাই কর্ণিয়া যাতে সুস্থ থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। করলা, গাজর, মিষ্টি আলুর মতো সবজি তাই নিয়মিত শিশুর পাতে দেওয়া জরুরি। এই সবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান চোখের শুষ্কতা রুখতেও বিশেষ সাহায্য করে (Eye Problems)। তাই নিয়মিত এই ধরনের সবজি খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

    পালং শাক কমাবে চোখের একাধিক রোগের ঝুঁকি

    মোবাইল স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, নানান ধরনের আলোর জেরেও চোখের সমস্যা বাড়ছে। আর এই সমস্যা (Vision Problems) কমাতে সাহায্য করবে পালং শাক, এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন। অতিরিক্ত নীল আলো চোখে পড়ার জেরে দৃষ্টিশক্তিতে যে সমস্যা তৈরি হয়, এইসব ক্যারোটিনয়েড প্রাকৃতিকভাবেই সেগুলো কমায়। তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যাও মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়।

    বেরি, অ্যাপ্রিকটের মতো ফল চোখ সুস্থ রাখে (Vision Problems)

    মাছ, সবজির মতোই নিয়মিত কিছু ফল খেলে চোখ সুস্থ (Eye Problems) থাকবে। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন অ্যাপ্রিকট, বেরির মতো ফল নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Teflon Flu: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    Teflon Flu: নন-স্টিক কুকওয়্যারে রান্না করেন! আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ছে ‘টেফলন ফ্লু’, কী এটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্মার্ট হেঁসেলে বহু দিনই ঠাঁই করে নিয়েছে নন-স্টিক রান্নার বাসনপত্র। কড়াই, চাটু বা সসপ্যান— অল্প তেলে রান্না করতে হলে নন-স্টিকের বাসনই পছন্দ। তেল-মশলার চিটে না পড়া এবং সহজেই পরিষ্কার করার সুবিধে থাকায় রসুইঘরে জনপ্রিয় এই নন-স্টিক কুকওয়্যার। কিন্তু তার মধ্যেই রয়েছে বিপদের হাতছানি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্রগুলি গত কয়েক বছর ধরে ননস্টিক প্যানে রান্না নিয়ে গবেষণা করছে। সেখানেই তারা দেখেছে যারা গত ২০ বছর ধরে ননস্টিক প্যানে রান্না করে তাদের মধ্যে ফ্লুজাতীয় অসুস্থতা বেশি। হতে পারে টেফলন ফ্লু (Teflon Flu)। 

    টেফলন ফ্লু কী (Teflon Flu)

    টেফলন ফ্লু, (Teflon Flu) পলিমার ফিউম ফিভার নামেও পরিচিত, একটি অস্থায়ী অবস্থা যা উত্তপ্ত টেফলন (PTFE) থেকে বেরনো ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করার ফলে হয়। ননস্টিক কুকওয়্যার অতিরিক্ত গরম করার কারণে এই যৌগ নির্গত হয়। যখন ননস্টিক প্যানগুলি, বিশেষত পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিন (PTFE) দিয়ে লেপা, যা সাধারণত টেফলন নামে পরিচিত, ৫০০°ফারেনহাইট (২৬০°সেন্টিগ্রেড) এর উপরে তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়, তখন তার থেকে ধোঁয়া বেরোয়। এই ধোঁয়ায় বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে যেমন পারফ্লুরোওকটানোয়িক অ্যাসিড (PFOA) এবং অন্যান্য ফ্লোরিনযুক্ত যৌগ, যা শ্বাস নেওয়ার সময় ক্ষতিকারক হতে পারে।

    আমেরিকায় বাড়ছে টেফলন ফ্লু (Teflon Flu in US)

    বিশ্বের নানা স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, উনুনের আঁচে নন-স্টিক প্যান বা কড়াই তেতে উঠলে বাসনের টেফ্লন কোটিং (যা দিয়ে সেগুলি মোড়া থাকে) থেকে ধোঁয়ার মতো এক ধরনের বাষ্প বেরোয়। সেই ধোঁয়া খাবারে মেশে এবং রাঁধুনির নাকেও ঢুকে পড়ে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি লাগাতার শরীরে ঢুকলে শ্বাসনালীর সমস্যা, থাইরয়েডের গোলমাল থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকিও থেকে যায়। ননস্টিকের বাসন ব্যবহারের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্টে ইতিমধ্যেই পলিমার ফিউম ফিভার বা টেফলন ফ্লু-এর (Teflon Flu in US) মতো রোগে প্রায় ৩৬০০ জন আক্রান্ত। ২০২৩ সালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৭। দেখা যাচ্ছে ২০০০ সাল থেকে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    টেফলন ফ্লু এর লক্ষণ (Teflon Flu)

    টেফলন ফ্লু-এর লক্ষণগুলি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। টেফলন ফ্লু হলে অসহ্য  মাথাব্যাথা করতে পারে। বার বার ঠান্ডা লাগতে পারে। জ্বরের সঙ্গে বমিবমি ভাব, বুকে ব্যাথা, কাশি, গলা ব্যাথা হতে পারে। একই সঙ্গে নিঃশ্বাস নিতেও সাময়িকভাবে সমস্যা হতে পারে।

    কী করে প্রতিরোধ

    ‘টেফলন ফ্লু’-এর (Teflon Flu) ঝুঁকি কমাতে ননস্টিক কুকওয়্যারের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রান্নার সময় ননস্টিক প্যান অতিরিক্ত গরম করা যাবে না। রান্নার জায়গায় যাতে বায়ু চলাচল সঠিকভাবে হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে রান্নার সময় নির্গত ধোঁয়া বা গ্যাস ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে। ননস্টিক প্যান পুরানো হয়ে গেলে বা তাতে স্ক্র্যাচ পড়লে সেগুলি প্রতিস্থাপন করতে হবে। খালি ননস্টিক প্যান আগে থেকে গরম করা যাবে না। কারণ এটি দ্রুত উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছাতে পারে। প্রিহিট করার সময় আঁচ কমিয়ে রাখা উচিত। পারলে একটু জল দিয়ে দিলেও অসুবিধা নেই।

    আরও পড়ুন: ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে আট শতাংশ! কেন জানেন?

    ভারতে নন স্টিক ব্যবহারে সতর্কতা

    কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ‘আইসিএমআর’-এর অধীন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন’ (এনআইএন)-এর এক্সপার্ট কমিটির সদস্যরা বহুদিন আগেই ননস্টিক বাসন ব্যবহারে সাবধানী হতে বলছেন। বলা হয়েছে, ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই কুকওয়্যার থেকে পার-ফ্লুওরো-অক্টানোয়িক অ্যাসিড (পিএফওএ) এবং পার-ফ্লুওরো-অক্টেন-সালফোনিক অ্যাসিড (পিএফওএস)-এর ক্ষতিকারক ধোঁয়া বেরোয়। টেফলন (Teflon Flu) কোটিংয়ের মূল উপাদান এই দু’টি পার এবং পলি ফ্লুওরো-অ্যালকাইল সাবস্ট্যান্স গোত্রের রাসায়নিক। ধূমপান বা অন্য নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ক্যান্সারের নজির আজকাল ভীষণ বেড়ে গিয়েছে, তার কারণও কিয়দাংশে ননস্টিকে রান্না করা। নন-স্টিক প্যান কিছু দিন ব্যবহারের পরেই রং উঠতে শুরু করে। ননস্টিকের পরত উঠতে থাকলে তাতে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়, সেগুলি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Teflon Flu in US) পিএফসি যৌগকে ‘কার্সিনোজেনিক’ বলে চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ, ক্যানসারের মতো মারণরোগের আশঙ্কা বাড়ে এই যৌগের ব্যবহারে। শুধু ক্যানসারই নয়, চিকিৎসকদের মতে থাইরয়েড, বন্ধ্যত্বের মতো রোগেরও কারণ এই পিএফসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Memory Loss: মনে রাখতে অসুবিধা? জানেন কি, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়তে পারে ঘরোয়া উপাদানেই? 

    Memory Loss: মনে রাখতে অসুবিধা? জানেন কি, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়তে পারে ঘরোয়া উপাদানেই? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই খুব সাধারণ বিষয়ও মনে রাখতে পারেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, স্মৃতিলোপের এই সমস্যা প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যেই আটকে নেই। কম বয়সী, এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে (Memory Loss)। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, খুব সাধারণ বিষয়, যেমন, খাতা কিংবা ব‌ই কোথায় রয়েছে, কোন দিন স্কুলে কোন বিষয় নিয়ে পড়ানো হবে, এগুলোও অনেক সময়েই পড়ুয়ারা মনে রাখতে পারছে না। আর এর জেরেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে, তা ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। মনে রাখার ক্ষমতা খুব কম বয়স থেকেই কমলে পরবর্তী জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠবে। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি।

    কেন কম বয়সেই কমছে স্মৃতিশক্তি? (Memory Loss)

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমার প্রধান কারণ দূষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণ কিংবা শব্দদূষণ সাময়িক শারীরিক অসুস্থতা তৈরি করে না। এর ফল থাকে সূদূরপ্রসারী। বাতাসে কার্বন মনো অক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ মারাত্মক বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের উপরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। ফুসফুসের পাশাপাশি এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্কও। আর তার জেরেই কমছে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা। এছাড়া শব্দের দাপট শিশুদের মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও উৎসবে শব্দের দাপট একটা বড় সমস্যা। হঠাৎ খুব জোরে শব্দ হওয়া কিংবা লাগাতার একটানা খুব জোরে ডিজে বা মাইক বাজানোর শব্দ শিশুর মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। এর জেরে যেমন শ্রবণশক্তি কমে, তেমনি মস্তিষ্কের একাধিক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই স্মৃতিশক্তিও কমে‌ (Memory Loss)।
    দূষণের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মস্তিষ্কের সক্রিয়তার মাত্রা নির্ভর করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। বিশেষত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে নানান হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তনের জেরে মানসিক চাপ তৈরি হয়। তার থেকেও ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়ে। অনেক ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল পেরনোর পরে সেই সমস্যা কমে যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেকের ক্ষেত্রেই সেই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকছে। ফলে তাদের জীবন জটিল হয়ে উঠছে। পাশপাশি পারিবারিক অশান্তি থাকলে শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলে। ফলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপরেও‌ তার প্রভাব দেখা‌ যায়।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন (Domestic Ingredients) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। একদিকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, আরেকদিকে জীবন যাপনের ধরনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই দুই ধরে রাখতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ঘুম খুব জরুরি। শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা জরুরি।‌ দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে না থাকার অভ্যাস তৈরি করা দরকার। মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বাড়বে। এর পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে (Memory Loss) নিয়মিত প্রাণায়মের অভ্যাস তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। নিয়মিত মাছ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। মাছে থাকে ফসফরাস। এই উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। যে কোনও বাদাম জাতীয় উপাদান, যেমন কাজু, আখরোট, কাঠবাদাম, এগুলোতে থাকে নানান খনিজ পদার্থ। যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের বাদাম জাতীয় খাবার মেনুতে থাকা দরকার। 
    ডিম এবং চিকেন নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রোটিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকেন এবং ডিম থেকে খুব সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারী প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চিকেন‌ এবং নিয়মিত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    বিট, গাজর, ক্যাপসিকামের মতো রঙিন সবজি মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত ফল ও সবজি মেনুতে রাখা দরকার (Domestic Ingredients)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই সমস্যা এখন বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারতীয় শিশুদের অসুস্থতার অন্যতম বড় কারণ হল জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল স্থূলতা (Childhood Obesity)। ভারতের প্রায় ৪০ লক্ষ শিশু এই সমস্যায় ভুগছে। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ‘হু’। তারা জানাচ্ছে, ওজন নিয়ে সচেতনতা তৈরি না হলে পরবর্তী জীবনে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে সার্বিক সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Childhood Obesity)

    তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছয় থেকে সাত বছর বয়স থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আর তার জেরেই দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ভারতীয় ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো নানান রোগে খুব কম বয়স থেকেই আক্রান্ত হচ্ছে (Excess Food)। এমনকী বয়স তিরিশের চৌকাঠে‌ পৌঁছানোর আগেই ভারতীয়দের হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। এর পাশপাশি বাড়ছে ক্লান্তি। কমছে কর্মদক্ষতা। অনিয়ন্ত্রিত ওজনের জেরে অধিকাংশ ভারতীয় শিশুর এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিশুদের ওজনে অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা স্থূলতার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কেন ভারতীয় শিশুদের স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থূলতার (Childhood Obesity) সমস্যার অন্যতম কারণ, অপুষ্টিকর খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস। এর জেরে একদিকে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, আরেকদিকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করছে। ওজন বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবারের ধারণা এখনও অধিকাংশ অভিভাবকের কাছেই অস্পষ্ট। তাই ‘ভালো খাবার’ হিসেবে যা শিশুকে দেওয়া হয়, অধিকাংশ সময়েই তার জেরে শিশুর শরীরে বিপদ বাড়ছে।
    তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের স্তন্যপান করানো নিয়ে এখনও নানান অসচেতনতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একযোগে প্রচার করার পরেও, বহু পরিবারে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ পর্যাপ্ত, এই ধারণা এখনও সর্বত্র নেই। তাই অনেক সময়েই শিশুকে নানান বাজারচলতি প্যাকেটজাত দুধ ও খাবারে অভ্যস্ত করা হয়। কিন্তু এই সমস্ত খাবারে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা। যা শরীরের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে‌ তোলে। 
    পাশপাশি, অধিকাংশ পরিবারেই শিশুরা খুব কম বয়স থেকেই চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার অধিকাংশ শিশু নিয়মিত খায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে রুটি, পালং শাক, বিট, গাজর, মোচা, কুমড়োর মতো খাবার। কিন্তু এই ধরনের খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাট না থাকায়, শিশু সুস্থ থাকে। কিন্তু খাবার নিয়ে এই সচেতনতার অভাব বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই ভারতে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? (Childhood Obesity)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই শিশুকে অতিরিক্ত খাওয়ানোর মানসিকতায় বদল জরুরি। অধিকাংশ অভিভাবকদের সমস্যার জেরেই শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুর ওজন ও বৃদ্ধি ঠিক থাকার পরেও অধিকাংশ অভিভাবকদের অভিযোগ থাকে শিশু ঠিকমতো‌ খায় না। অভিভাবকদের কর্মশালা জরুরি। খিদে পেলে শিশু জানাবে এবং সে খাবে, এটাই সুস্থ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, এই সম্পর্কে এখনো অধিকাংশ অভিভাবক ওয়াকিবহাল নয়। এর জেরে প্রথম থেকেই তাঁরা শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার (Excess Food) খাওয়ায় অভ্যস্থ করে তোলেন। আর কী খাওয়ানো হচ্ছে, সেদিকেও নজরদারি জরুরি। সবজি, ফল, দানাশস্য, নানান ধরনের বাদামের পাশপাশি নিয়মিত বাড়িতে‌ তৈরি মাছ, মাংস, ডিম পরিমিত পরিমাণে শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে তেল কিংবা বাটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। স্থূলতার সমস্যা এড়াতে হলে যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই দেওয়া চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবজনিত সমস্যায় অনেক মানুষই ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন-ডি মূলত ক্যালসিয়ামকে শরীরে শোষণ করতে প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি, ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের আরও অনেক কাজ মানবদেহে রয়েছে। ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। শিশুদের পা ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং মাথার খুলি বড় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগলে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাবে চোয়ালের গঠনও ঠিকঠাক হয় না, অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া নামের এক প্রকার রোগ হয় ভিটামিন-ডি এর অভাবে। এই রোগে বয়স্কদের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ক্ষয় হয়ে পড়ে। কখনও কখনও কোমরে ও মেরুদণ্ডে বাতের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডও বেঁকে যায়।

    চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯ থেকে ৭০ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন নিয়মিত (Health Tips) করে ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে, পিলের মাধ্যমে ভিটামিন-ডি নেওয়া যেতেই পারে। এর পাশাপাশি রোদেও প্রচুর ভিটামিন-ডি থাকে। তবে ভিটামিন-ডি এর পরিমাণ শরীরে বেড়ে যাওয়াও ঠিক নয়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর প্রভাবে হাইপারক্যালসেমিয়া রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন। ডি-২, ডি-৩ সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু অবশ্যই তা যে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। কারণ এর সঙ্গে অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যেমন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন, আপনি কোন পরিবেশে থাকেন- এ সমস্ত কিছুই। তবে শরীরে মারাত্মক পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি হলে সাপ্তাহিক বড় ডোজ নেওয়া যেতে পারে।

    উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে

    ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহার কমিয়ে দিয়েছে ভিটামিন-ডি এর বড় পরিমাণের সাপ্তাহিক ডোজ (Health Tips)। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ আমেরিকার নাগরিকই ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে ভোগেন বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি তাঁরা পান না। ২০২২ সালে এই সমীক্ষাটি হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৪১ শতাংশ আমেরিকার নাগরিকের শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। ভিটামিন-ডি এর অভাবে ক্লান্তি দেখা যায় শরীরে, কাজে অনীহা থাকে, হাড়ের ব্যথার মতো নানা রকমের উপসর্গও দেখা যায়। তবে কখনও আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনার ভিটামিন-ডি এর অভাবের জন্য শরীরে এইগুলি রোগগুলি হচ্ছে। আপনার শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে কিনা তা জানতে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করতেই হবে। তবে প্রতিবেদনে শুরুতেই যেমন বলা হয়েছে, শরীরে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে। এই হাইপারক্যালসেমিয়া রোগে ঘনঘন প্রস্রাব, দুর্বলতা ভাব, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা যায়।  ভিটামিন-ডি এর অত্যধিক পরিমাণের ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি নানা রকমের কিডনির জটিলতাও হতে পারে।

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আপনি নিতে পারেন পনির, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত যে কোনও মাছ, যেমন ম্যাকরাল, স্যামন, টুনা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি প্রাতঃরাশের টেবিল আপনি রাখতে পারেন দুধ, কমলার রস, মাশরুম ইত্যাদি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাভোকাডো এবং বাদামেও ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকে। অনেক মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে শোবার আগে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এর ফলে ভিটামিন-ডি এর কার্যকারিতা বাড়ে নাকি, তা নিয়ে চিকিৎসকরা কিছু বলতে পারছেন না।

    সূর্যালোক থেকে কীভাবে নেবেন ভিটামিন-ডি

    ১) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোদে আপনার ছায়া আপনার তুলনায় যখন ছোট হেব সেসময়ই আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারবে। 

    ২) অতিবেগুনি রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না।

    ৩) পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে বের হয়ে লাভ নেই। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন।

    ৪) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স্কদের বেশি পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজন হয়। সূর্যালোকে দিনে অন্তত ২০ মিনিট কাটাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weight Loss:  জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    Weight Loss: জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজনের (Weight Loss) কারণে মারা যান। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকলে বেশ কিছু দুরারোগ্য এবং জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ বিষয়ে একমত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জেরে শরীরে বাড়তে থাকে মেদের পরিমাণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার মেজাজও হয়ে যায় খিটখিটে।

    গবেষকদের দাবি

    অতীতে ধারণা ছিল স্থূলকায় ব্যক্তিরা উদার হয়, তাঁদের মেজাজ (Weight Loss) সবসময় খুব ভালো থাকে। কিন্তু বর্তমান গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শরীরে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। আবার ওজন কমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানসিক সুস্থতা। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন জার্মান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান নিউট্রিশন পটসডাম-রেহব্রুকের বিজ্ঞানীরা। কমবয়সে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সরাসরি যোগ রয়েছে স্থূলতার। দেহের অতিরিক্ত মেদ থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ ব্যাহত হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা অন্যান্য বহু রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে। শরীরে যত কম পরিমাণ ফ্যাট থাকবে শরীর তত বেশি ভালো থাকবে।

    ওবেসিটি বিপাক হারে বাধা

    ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার এক মাত্র পদ্ধতি হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই)। ওবেসিটি গ্রাস করলে শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি(পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন হ্রাস (Weight Loss) বিপাকীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। শরীর যদু স্থূলকায় হয়, বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়, দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য সংকেত প্রদান করতে পারে না। জার্মানির ওই ইনস্টিটিউটে  ডিসিশন অ্যান্ড নিউট্রিশনের নিউরোসায়েন্স বিভাগের ছাত্ররা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৬২ জনের মধ্যে ১০ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায়, যাঁদের স্থূলতা কমেছে, তাঁরা অনেক বেশি অ্যাক্টিভ এবং সিদ্ধআন্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। বয়ঃসন্ধিকালে স্থূলতা শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না বরং কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

  • Type 1 Diabetes: টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুরা বেশি মানসিক সমস্যায় ভোগে, বলছে রিপোর্ট

    Type 1 Diabetes: টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুরা বেশি মানসিক সমস্যায় ভোগে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় পাল্টেছে, জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিশুদের ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes)। সব দেশে শিশুদের এ রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের। প্রথমটির কারণ শরীরে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া, যাকে বলে টাইপ১ ডায়াবেটিস। দ্বিতীয়টিতে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়, যার নাম টাইপ২ ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে সমস্ত শিশুরা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে বড় ঝুঁকি থাকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার। তারা উদ্বেগজনিত সমস্যায় (Mental Health Issues) ভুগতে থাকে, যাকে বলে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। ব্রিটেন ও চেক রিপাবলিকের একটি গবেষণা দল এমনই তথ্য সামনে এনেছে সম্প্রতি।

    মুড ডিসঅর্ডার এবং অ্যাংজাইটিজ ডিসঅর্ডার ভোগে টাইপ১ ডায়াবেটিসে (Type 1 Diabetes) আক্রান্ত শিশুরা 

    এই গবেষক দল আরও জানিয়েছে যে শিশুদের যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে (Type 1 Diabetes) আক্রান্ত তাদেরকে সর্বদাই পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। একটি গবেষণা বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৮৭ লাখ শিশু টাইপ১ ডায়াবেটিসে। আক্রান্তদের মধ্যে ব্রিটেনেই এই সংখ্যা চার লাখ। সম্প্রতি, চেক প্রজাতন্ত্রের গবেষকরা সাড়ে চার হাজার শিশুর কাছ থেকে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে, যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সেই ডেটাতেই গবেষকরা লক্ষ্য করেন, যে সমস্ত শিশুরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত নয়, তাদের সাপেক্ষে এই শিশুরা বেশি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার এবং মুড ডিসঅর্ডারে ভোগে। প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেশি মুড ডিসঅর্ডার এবং অ্যাংজাইটিজ ডিসঅর্ডার স্বাভাবিক শিশুদের থেকে বেশি দেখা যায় টাইপ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুদের।

    টাইপ১ ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes) আক্রান্তের লক্ষণ 

    শিশুদের টাইপ১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা দেয় তুলনামূলক কম বয়সে (Mental Health Issues)। আক্রান্ত শিশু দিন দিন শুকিয়ে যায়, ঘন ঘন প্রস্রাব করে আর দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে -এমনকি রক্তে শর্করা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। টাইপ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে আগে থেকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন পরিশ্রম ও নিয়ন্ত্রিত জীবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন সম্ভব, এমনটাই বলছেন গবেষকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandipura Virus: নয়া আতঙ্ক চণ্ডীপুরা ভাইরাস! সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুর শরীরে, জানেন কী এটি?

    Chandipura Virus: নয়া আতঙ্ক চণ্ডীপুরা ভাইরাস! সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুর শরীরে, জানেন কী এটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নতুন আতঙ্কের নাম চণ্ডীপুরা ভাইরাস (Chandipura Virus)। গুজরাটে (Gujarat) হু হু করে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস সাধারণ ভাবে শিশুদের কাবু করছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে সংক্রমিত ১৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। মোট ১৫টি জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ২৬ জন সন্দেহজনক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা (Chandipura Virus)

    বুধবার গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, চণ্ডীপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অরাবলি জেলার হিম্মতনগর গ্রামের এক হাসপাতালে শিশুটি চিকিৎসাধীন ছিল। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্টে জানা যায়, সে চণ্ডীপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত। এই ভাইরাসে আরও ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা সবরকাঁটা, আরাবলি, মেহসানা, মহিসাগড়, রাজকোট, আহমেদাবাদ, মরবির বাসিন্দা। গুজরাট ছাড়া এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ, বিহার. অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে দেশজুড়ে চাঁদিপুরা ভাইরাসের লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাস কী (Chandipura Virus)

    ১৯৬৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রের চণ্ডীপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের (Chandipura Virus) অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। তারপরেই গ্রামের নামে ভাইরাসের নামকরণ হয়। এই ভাইরাসের আক্রান্তদের জ্বর, এনসেফালাইটিস, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগ মূলত মশা থেকে ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে। নয়মাস থেকে ১৪ বছর বয়সিরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। বর্ষাকালেই এই ভাইরাসের প্রকোপ সবথেকে বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাসের প্রধান উপসর্গ (Chandipura Virus)

    বমিভাব: এই ভাইরাসে আক্রান্ত দেয় গা পাক দিয়ে বমি হয়। ঘন ঘন বমির জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে

    খিঁচুনি ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর: তীব্র জ্বরের পাশাপাশি খিঁচুনিও শুরু হয় ছোট বাচ্চাদের।

    অচৈতন্য হয়ে যাওয়া: অনেক সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রেদেশে উল্টে গেল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের অন্তত ১০ টি কামরা

    গুজরাট (Gujarat) স্বাস্থ্য দফতরের জানিয়েছে, এই ভাইরাস ছোয়াঁচে নয়। তবে গত কয়েকদিনে যে হারে ভাইরাসে (Chandipura Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে একে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয় বলেই জানানো হয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share