Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandipura Virus: নয়া আতঙ্ক চণ্ডীপুরা ভাইরাস! সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুর শরীরে, জানেন কী এটি?

    Chandipura Virus: নয়া আতঙ্ক চণ্ডীপুরা ভাইরাস! সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শিশুর শরীরে, জানেন কী এটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নতুন আতঙ্কের নাম চণ্ডীপুরা ভাইরাস (Chandipura Virus)। গুজরাটে (Gujarat) হু হু করে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস সাধারণ ভাবে শিশুদের কাবু করছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে সংক্রমিত ১৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। মোট ১৫টি জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ২৬ জন সন্দেহজনক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা (Chandipura Virus)

    বুধবার গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, চণ্ডীপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অরাবলি জেলার হিম্মতনগর গ্রামের এক হাসপাতালে শিশুটি চিকিৎসাধীন ছিল। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্টে জানা যায়, সে চণ্ডীপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত। এই ভাইরাসে আরও ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা সবরকাঁটা, আরাবলি, মেহসানা, মহিসাগড়, রাজকোট, আহমেদাবাদ, মরবির বাসিন্দা। গুজরাট ছাড়া এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ, বিহার. অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে দেশজুড়ে চাঁদিপুরা ভাইরাসের লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাস কী (Chandipura Virus)

    ১৯৬৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রের চণ্ডীপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের (Chandipura Virus) অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। তারপরেই গ্রামের নামে ভাইরাসের নামকরণ হয়। এই ভাইরাসের আক্রান্তদের জ্বর, এনসেফালাইটিস, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগ মূলত মশা থেকে ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে। নয়মাস থেকে ১৪ বছর বয়সিরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। বর্ষাকালেই এই ভাইরাসের প্রকোপ সবথেকে বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

    চণ্ডীপুরা ভাইরাসের প্রধান উপসর্গ (Chandipura Virus)

    বমিভাব: এই ভাইরাসে আক্রান্ত দেয় গা পাক দিয়ে বমি হয়। ঘন ঘন বমির জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে

    খিঁচুনি ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর: তীব্র জ্বরের পাশাপাশি খিঁচুনিও শুরু হয় ছোট বাচ্চাদের।

    অচৈতন্য হয়ে যাওয়া: অনেক সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রেদেশে উল্টে গেল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের অন্তত ১০ টি কামরা

    গুজরাট (Gujarat) স্বাস্থ্য দফতরের জানিয়েছে, এই ভাইরাস ছোয়াঁচে নয়। তবে গত কয়েকদিনে যে হারে ভাইরাসে (Chandipura Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে একে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয় বলেই জানানো হয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Childhood cataracts: শিশুদেরও বাড়ছে চোখের ছানি! কতখানি জটিল হতে পারে এই সমস্যা? 

    Childhood cataracts: শিশুদেরও বাড়ছে চোখের ছানি! কতখানি জটিল হতে পারে এই সমস্যা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে অনেকের কমে দৃষ্টিশক্তি। প্রবীণদের চোখে ছানি পড়ার সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শিশুদের চোখের ছানি (Childhood cataracts)। জুন মাস ছিল ‘ভিশন হেলথ মান্থ’। দেশ জুড়ে চলেছে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার কর্মসূচি। সেখানেই বেরিয়ে আসে, কম বয়সীদের মধ্যে চোখের সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া কিংবা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যার পাশপাশি চোখে ছানি পড়ার সমস্যাও বাড়ছে। খুব ছোট শিশুরাও এই চোখের ছানির সমস্যায় ভুগছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ঠিক সময়ে এই ছানি অপারেশন করতে না পারলে শিশু অন্ধত্বের শিকার হতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই তাঁদের মত।

    কেন শিশুদের চোখে ছানি হচ্ছে? (Childhood cataracts)

    অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই সমস্যা জন্মগত। অর্থাৎ, মাতৃগর্ভ থেকেই শিশু এই রোগে আক্রান্ত। আর এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভবতী বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর চোখে ছানির সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গর্ভাবস্থায় অনেকেই সাধারণ ভাইরাস ছাড়াও ডেঙ্গি, জিকা কিংবা করোনার মতো জটিল ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর জেরে শিশুর শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুর মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র এবং চোখের গঠনে প্রভাব দেখা দিচ্ছে। এর ফলেই ছানির মতো সমস্যা বাড়ছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান ধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে গর্ভবতী কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখে আক্রান্ত হলে তার প্রভাব মারাত্মক হয়। বিশেষত রুবেলা জাতীয় ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুর চোখে ছানির সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভাইরাস ঘটিত প্রভাবের পাশাপাশি মা কোনও রকম অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হলে তার জেরেও শিশুর চোখে ছানির (Childhood cataracts) সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    মায়ের শরীরে নানান ভিটামিনের অভাব শিশুর চোখে ছানির সমস্যা বাড়াচ্ছে বলেও মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব দেখা দিচ্ছে। আর তার জেরেই শিশুদের শরীরে নানান জন্মগত সমস্যা বাড়ছে। ছানি তার মধ্যে অন্যতম। মায়ের শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি-র অভাব থাকলে শিশুর জন্মগত ছানির সমস্যা হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থাতেই শুধুমাত্র শিশুদের চোখে ছানি হয়, এমন নাও হতে পারে‌। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেড় থেকে দু’বছর বয়সে শিশুর কোনও ধরনের মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের জেরেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে‌ (Damage to Eyesight)।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দেখতে সমস্যা হলে (Childhood cataracts) অনেক সময়েই বলতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশুর চোখের আই বলে সামান্য সাদা ছোপ দেখা দিলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। যত দ্রুত ছানি নির্মূল করা যাবে, শিশুর অন্ধত্বের ঝুঁকি তত কমবে। তবে এর পাশপাশি গর্ভবতীদের বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি বলেও জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো যত্ন হলে, নবজাতকের এই ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা কমবে। মায়ের পুষ্টির দিকেও বিশেষ নজরদারি জরুরি।‌ মায়ের শরীরে যাতে ভিটামিনের ঘাটতি না ঘটে, সে দিকে নজরদারি প্রয়োজন। এছাড়া, গর্ভবতীর দেহে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ যাতে বেশি না দেওয়া হয়, এ নিয়ে সর্বত্র প্রচার হওয়া জরুরি। কারন, অতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহার একাধিক রোগের কারণ। গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে স্টেরয়েড অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই এ নিয়েও সচেতনতা জরুরি (Damage to Eyesight)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই বর্ষাকাল। তবে জাঁকিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার (Dengue and malaria) প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে (Health Update) জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪১। মৃত্যুর কোনও খবর এখনও নেই। এপ্রিল মাসের শেষে এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা  ২ হাজার ১৬৪ জন। বাংলায় মৃত্যু হয়েছে এক ম্যালেরিয়া রোগীর। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ।

    বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে একশোর ঘর। গত ছ’মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এখানে মশা-বাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোর কোঠা। মালদা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং হুগলির ছবিটাও ভয় ধরায় মনে।

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে (Health Update)। মালদায়ও সংখ্যাটা প্রায় একই। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর ওপরে। হুগলিতে দেড়শোর কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দিয়েছিল গত এক যুগের রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এমতাবস্থায় জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। এজন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।

    এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা ছাড়াও, হালকা জ্বর এবং পেটে মোচড় দেওয়ার মতো উপসর্গও এবার দেখা যাচ্ছে। তাই পেট খারাপ ও অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গির (Dengue and malaria) এনএস ওয়ান পরীক্ষা লিখতে হবে প্রেসক্রিপশনে (Health Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ বলে রোগ আরোগ্য। বাক্যটি যে নেহাৎ কথার কথা নয়, তা জানা গেল এইমসের সাম্প্রতিক এক গবেষণাও (AIIMS Study)। জানা গিয়েছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ ও ব্যথা (Arthritis Pain) কমাতেও দারুণ কাজ করে যোগ ব্যায়াম। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হল একটি ক্রনিক অটোইমিউন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হয় প্রদাহ, গাঁটে গাঁটে হয় ব্যথা। ফুসফুস, হার্ট এবং মস্তিষ্কেও প্রভাব পড়ে এই ব্যথার। যার জেরে রোগী ক্রমেই অথর্ব হয়ে পড়েন।

    যোগ বলে রোগ আরোগ্য (AIIMS Study)

    এইমসের চিকিৎসকদের করা গবেষণা বলছে, এর থেকে মুক্তি দিতে পারে যোগ ব্যায়াম। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে এটি কাজ করে দারুণভাবে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। অথর্ব বেদে যোগের গুণগান গাওয়া হলেও, সিংহভাগ ভারতীয়ই চর্চা করতেন না যোগের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম যোগের গুণাগুন তুলে ধরেন সারা বিশ্বের কাছে। তার পর থেকে ফি বছর ২১ জুন দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে। সেই যোগেরই নয়া কার্যকারিতার কথা জানা গেল এইমসের সমীক্ষায় (AIIMS Study)।

    এইমসের গবেষণা

    সমীক্ষাটি করেছে এইমসের ল্যাব ফর মলিকিউলার রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড জেনেটিক্স, দ্য অ্যানাটমি ডিপার্টমেন্ট এবং রিউম্যাটোলজি ডিপার্টমেন্ট। তাদের সাহায্য করেছিল ডিএসটি। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, কীভাবে রিউমাটেড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের কোষ এবং মলিকিউলার লেভেলে কাজ করে যোগ। কেবল যন্ত্রণামুক্তিই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু কাজ করে যোগ। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সেলুলার ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যোগ যে প্রদাহও হ্রাস করে, তা-ও জানা গিয়েছে ওই সমীক্ষায়। প্রো এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি সাইটকিনসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে যোগ।

    আরও পড়ুন: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    রোগীর শরীরে বাড়িয়ে দেয় এনডর্ফিনের স্তর, হ্রাস করে কর্টিসল এবং সিআরপির মাত্রা। মেলাটনিন রিদমও বজায় রাখে যোগ। প্রদাহ চক্রকে ভেঙে এটা করে যোগ। গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। মলিকিউলার লেভেলে যোগ টেলোমের্স এনজাইম এবং জিনের অ্যাক্টিভিটি বাড়িয়ে দেয়। এই জিন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ডিএনএ এবং কোষ চক্র রেগুলেশন করতে। এগুলোই রোধ করে কোষের বয়স বেড়ে যাওয়াকে। যার জেরে রোগী থাকেন চনমনে। রিউমাটোলজি বিভাগের প্রধান উমা কুমার বলেন, “যোগ যে কেবল রোগীর (Arthritis Pain) জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করে তাই নয়, রোগীদের মধ্যে থাকা চাপ এবং উদ্বেগও কমায় (AIIMS Study)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি চলছেই। বর্ষায় যেমন বাঙালির পাতে থাকে ইলিশ, তেমনি বর্ষার মরশুমের আরেক খাবারও বাঙালির প্রিয়। আর সেটা হল আনারস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস খুবই উপকারী। বিশেষত এই সময়ে আনারস (Pineapple) নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতাও জরুরি। না হলে আনারস বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক, আনারসের উপকার কতখানি?

    আনারস কমায় ডায়ারিয়ার ঝুঁকি

    বর্ষায় (Rainy Season) ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিভিন্ন জায়গায় জমা ও অপরিচ্ছন্ন জলের জেরে ডায়ারিয়ার মতো পেটের অসুখের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস ডায়ারিয়ার ঝুঁকি কমায়। তাই বর্ষার সময় অন্তত সপ্তাহে দু’দিন আনারস খেলে একাধিক পেটের অসুখের মোকাবিলা সহজ হয়। আনারস পেটের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়ারিয়ার মতো রোগকেও সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

    কাশি কমাতে সাহায্য করে আনারস (Pineapple)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই মারাত্মক সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আনারস এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। আনারস গলার সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই আনারস খেলে কাশির সমস্যার সহজেই মোকাবিলা করা যায়।

    ত্বকের সমস্যা কমায় আনারসের রস

    বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকে। আর তার জেরেই অনেকে নানান ফাঙ্গাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি বা লাল হয়ে থাকা এর প্রধান লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারসের (Pineapple) রস সেই জায়গায় লাগালে দারুণ উপকার হয়। দ্রুত সংক্রমণ কমে। চুলকানির সমস্যাও কমে।

    কিডনি ভালো রাখে আনারস

    কিডনির জন্য আনারস ভীষণ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস মূত্রনালীর সংক্রমণ ও কিডনির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। অনেকেই মূত্রনালীর সংক্রমণে ভোগেন। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এক কাপ আনারসের রস নিয়মিত খেলে কিডনি সুস্থ থাকে‌। কিডনিতে পাথরের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি অনেক কমে। আবার মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই মহিলাদের বিশেষ করে এই দিকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কাদের বিপদ বাড়াতে পারে বর্ষার এই ফল? (Pineapple)

    লিভার, কিডনি কিংবা ত্বকের জন্য উপকারী হলেও আনারস নিয়মিত খেলে কিছু ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মিত আনারস খেলে বিপদ হতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।

    ক্যাভেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁতের জন্য অনেক সময়েই আনারস (Pineapple) ঝুঁকি তৈরি করে‌। ক্যাভেটিস এবং জিংজাইভেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি অনেক সময় আনারস বাড়িয়ে দেয়।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়

    আনারস মিষ্টি ফল। আবার অনেকেই চিনি মিশিয়ে আনারস খান। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা নিয়মিত আনারস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই বাড়তি বিপদ তৈরি হয়।

    অ্যালার্জি থাকলে ভোগান্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যালার্জিপ্রবণ হন।‌ বিভিন্ন ধরনের খাবারে তাঁদের চুলকানি, ঠোঁট ও গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তাঁদের জন্য আনারস বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করতে পারে। তাই আনারস খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Rainy Season)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    Superfood: রাজ্যভেদে পান্তা ভাতের হরেক নাম! কেন এই খাবারকে সুপারফুড বলা হয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পান্তা ভাতের (Panta Bhat) হরেক নাম রয়েছে (Superfood)। ওড়িশায় পখাল, অসমে পৈতা ভাত, বিহার-ঝাড়খণ্ডে বাসিয়া ভাত ও তামিলনাড়ুতে কানজি। পান্তা ভাতের সঙ্গে কিন্তু বিলাসিতা বা আভিজাত্য একেবারেই জুড়ে নেই। গুণাগুণ ও উপযোগিতার (Superfood) কারণে যুগ যুগ ধরে পান্তা ভাত জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে পান্তা ভাতের স্বাদ নিতে পছন্দ করেন প্রত্যেকেই। এর সঙ্গে যদি জুড়ে যায় এক টুকরো পেঁয়াজ ও কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা তাহলে তো কথাই নেই। শ্রমজীবী মানুষদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই পান্তা ভাত। গ্রীষ্মকালে তাঁরা এই খাবার খেয়েই কাজে বের হন। পান্তাভাত তৈরি করা খুব সহজ। ভাত রান্না করে ঠান্ডা করে তাতে জল মিশিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পান্তা ভাত। সবচেয়ে ভালো হয় মাটির পাত্রে রাখতে পারলে।

    ওড়িশায় প্রভু জগন্নাথদেবকেও উৎসর্গ করা হয় পান্তা
     
    সাধারণভাবে আজকের দিনে মধ্যবিত্তের ফ্রিজে দেখা মেলে জল দেওয়া ভাতের। রাজ্য ভেদে পান্তা ভাত খাওয়ার রীতিও (Superfood) বদলে যায়। ওড়িশার লোকেরা পখাল ভাত (Panta Bhat) খেতে পছন্দ করেন দই, ভাজা শাক, সবজি, মরিচ এবং মাছ ভাজা দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাতে সাধারণত মাছ ভাজা, কুমড়োর ফুল ভাজা, পোস্ত বড়া, আলু চোখার সঙ্গে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও একই ভাবে পান্তা ভাত খাওয়া হয়। অন্যদিকে, অসমে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাজা মাছের সঙ্গে খাওয়া হয় পৈতা ভাত। ওড়িশাতে পখাল এতটাই জনপ্রিয় যে প্রভু জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা হয় এই ভাত। প্রতিবছর ২০ মার্চ ওড়িশাতে পখাল দিবসও পালন করা হয়।

    আসুন জেনে নেওয়া যাক পান্তা ভাত সুপারফুড (Superfood) বলা হয়-

    পান্তা ভাতকে (Panta Bhat) এখন বলা হচ্ছে সুপারফুড (Superfood)। কী এমন আছে পান্তাভাতে, যে কারণে এই খাবার সুপারফুড?
     
    ১. পান্তা ভাতে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।
     
    ২. মাত্র একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদেরকে প্রোবায়োটিকস বলে, যাদের কাজ হল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।

    ৩. এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম থাকে পর্যাপ্ত, যা হার্ট ভালো রাখে।

    ৪. গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। স্লিম থাকার জন্যও পান্তা হেল্প করে। 

    ৫. পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচেরাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

    ৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এখন প্রায় অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। পান্তা নিদ্রাহীনতা দূর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cold and Cough: সন্তানের সর্দি-কাশিতে নাজেহাল? কোন ঘরোয়া উপাদান করবে মুশকিল আসান?

    Cold and Cough: সন্তানের সর্দি-কাশিতে নাজেহাল? কোন ঘরোয়া উপাদান করবে মুশকিল আসান?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম হাজির হতেই শুরু ভোগান্তি। কখনও ভ্যাপসা গরম, আবার কখনও লাগাতার বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই রকমফেরের জেরে নানান অসুখ বাড়ছে। বিশেষ করে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সর্দি-কাশি, গলাব্যথায় কাবু অধিকাংশ স্কুলপড়ুয়া‌। ঋতু পরিবর্তনের সময় লাগাতার সন্তানের সর্দি-কাশির জেরে নাজেহাল বাবা-মায়েরাও। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, কিছু ঘরোয়া উপাদানের (Domestic Ingredients) ব্যবহারেই হবে মুশকিল আসান। সামান্য কয়েকটি বিষয়ে সচেতনতা আর কিছু নিয়মিত অভ্যাসের বদল কমাবে ভোগান্তি। এবার একনজরে দেখে নিন, কোন ঘরোয়া উপাদান সমস্যা কমাবে?

    মেথি কমাবে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি (Cold and Cough)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির ভোগান্তি রুখতে মেথি খুবই সাহায্য করে। শ্বাসনালীতে ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়ার মতো জটিল সমস্যাও তৈরি হয়। পাশপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতাও সমস্যায় পড়ে। ফলে হাঁপানির মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মেথির মতো মশলা রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করলে শ্বাসনালী ভালো থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তাই বর্ষায় সন্তানকে সুস্থ রাখতে রান্নায় মেথির ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

    নিয়মিত রান্নায় থাকুক আদা আর রসুন

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আদা আর রসুন-এই দুই উপাদান সর্দি-কাশি (Cold and Cough) মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যে কোনও একটি তরকারি রান্নার সময় এই দুই উপাদান ব্যবহার করলে সর্দি-কাশি মোকাবিলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রসুন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হয়। বর্ষার মরশুমে সর্দি-কাশির এই সমস্যা মূলত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত হয়। তাই দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলে, তা প্রতিরোধ সহজ হবে। পাশপাশি, আদা শ্বাসনালীর সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই বর্ষার আবহাওয়ায় নিয়মিত আদা খেলে গলাব্যথা আর কাশির মতো সমস্যা কমবে।

    এক চামচ মধু-লেবুর সিরাপ কমাবে সর্দির ঝুঁকি (Cold and Cough)

    মধু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মধু যেমন দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও‌ বাড়ায়। সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। আবার লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যে কোনও রকম লেবু নিয়মিত খেলে দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পৌঁছয়। এর জেরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে বাড়িতেই এক ধরনের সিরাপ তৈরি থাক। নিয়মিত লেবুর রস আর মধু (Domestic Ingredients) মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কম হবে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।

    কোন অভ্যাস ছাড়লে কমবে রোগের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কিন্তু অনেকেই এখনও সারারাত এসি চালিয়ে ঘুমোচ্ছেন। বিশেষত শিশুরা এই আবহাওয়ায় কোনও রকম চাদর গায়ে ঢাকা না দিয়ে, সারা রাত এসি ঘরে ঘুমোলে সর্দি-কাশির (Cold and Cough) ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এসির ব্যবহারে তাই লাগাম টানতে হবে। ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। খুব ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন হয়। আর তার থেকেই সর্দি-কাশির ভোগান্তিও বাড়ে। তাই আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় খাবারে রাশ জরুরি। ফ্রিজে রাখ ঠান্ডা জল এই আবহাওয়ায় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    Snake Bite: বর্ষার জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব! দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওষুধের আকাল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সর্বত্র বর্ষা হাজির। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপটে ভোগান্তি বাড়ছে। একাধিক জেলায় জমা জলে সমস্যা হচ্ছে। আর সেই ভোগান্তিকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলছে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। উত্তরের আলিপুরদুয়ার, মালদা থেকে দক্ষিণবঙ্গের নদীয়া, বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, বর্ষায় সাপের উপদ্রবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

    কী অভিযোগ উঠছে?

    রাজ্যের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষা (Rainy Season) শুরু হতেই জল জমছে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। তাই নর্দমা দিয়ে জল যাচ্ছে না। রাস্তায় জল জমার পাশপাশি ঘরেও জল জমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন স্কুলের ক্লাসরুমেও জল জমছে‌। আর এর জেরেই বাড়ছে সাপের উপদ্রব। একাধিক সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ক্লাসরুমের ভিতরে সাপ থাকার জেরে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারছে না। জমা জলের জেরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ডায়ারিয়ার মতো নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার উপরে সাপের উপদ্রব (Snake Bite)। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। 
    তবে, সাপের উপদ্রবের চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা ওষুধের আকাল। সাপে কামড়ের পরে হাসপাতালে গেলেও‌ ওষুধ পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যান্টি স্নেক ভেনম (এএসভি) ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সাপের কামড়ের টিকা না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ।

    দুশ্চিন্তা কোথায়? (Snake Bite)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টি স্নেক ভেনম একটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই টিকা সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নেই। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশেষত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই টিকা অমিল।‌ কিন্তু কুকুরে কামড়ানোর অ্যান্টি রেবিস টিকা কিংবা সাপে কামড়ানোর অ্যান্টি স্নেক ভেনম-র মতো‌ ওষুধ প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাপে কামড়ানোর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই টিকা দিলে প্রাণনাশের ঝুঁকি কমে‌। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সাপের কামড়ে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে একমাত্র অ্যান্টি স্নেক ভেনম। কামড়ের পরে যত দ্রুত এই ওষুধ দেওয়া হবে, তত মৃত্যুর আশঙ্কা কমবে। পাশপাশি কিডনি সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ ক্ষতির ঝুঁকিও কমবে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রাজ্যে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ওষুধের জন্য রোগী ও পরিজনদের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরতে হচ্ছে‌। এর জেরে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    কী বলছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা? (Snake Bite)

    স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য ওষুধের আকালের অভিযোগ মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, অনেক সময়েই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধের তালিকা পাঠানো‌ হয় না। কোন ওষুধের প্রয়োজন বেশি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট তালিকা না পৌঁছলে, সরাবরাহ করতে দেরি হয়। আবার বর্ষার সময়ে (Rainy Season) রাস্তার অবস্থা স্বাভাবিক থাকে না। তাই অনেক সময়েই প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছতে সময় লাগে। কিন্তু এক-দুদিনের মধ্যেই সেই সমস্যা মিটে যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “ওষুধের কোনও আকাল নেই। সব হাসপাতালেই অ্যান্টি স্নেক ভেনম ওষুধ রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও প্রয়োজন মতো‌ ওষুধ পৌঁছে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

    জিকা সংক্রমণ কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

    জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share