Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)। বয়স মাত্র কুড়ির চৌকাঠ পেরনোর পরেই দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। অনেকেই খুব কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে হৃদপিণ্ডের নানান সমস্যা (Health Problems)। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও বাড়ছে। ভারতেও কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত, কমবয়সি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই হৃদরোগের জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগের জেরে কর্ম জীবনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই প্রথম থেকেই জীবন‌ যাপনে, বিশেষত খাদ্যাভাসে রাশ টানার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হৃদরোগ নিয়ে আয়োজিত এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটা জানালেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোন চার খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি (Foods To Avoid)। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের নিয়মিত খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মক বেশি থাকে। অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার খান। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। যার জেরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। বিশেষত রক্তসঞ্চালনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়ার জেরে হৃদপিণ্ডে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে (Heart Attack)।

    পেস্ট্রি হোক বা রসগোল্লা, মিষ্টিতে থাকুক নিয়ন্ত্রণ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি বিশেষত চিনি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, পেস্ট্রি, কেক বা রসগোল্লা, যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Foods To Avoid)। নিয়মিত রান্নায় চিনির ব্যবহারেও লাগাম দেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একদিকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরেকদিকে মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বয়স চল্লিশ পেরোলে (Diet After 40), আরও বেশি খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন নয়…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রাণীজ প্রোটিনে অভ্যস্থ। অনেক সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাবারের মেনুতে ভিটামিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল একেবারেই থাকছে না। শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন থাকছে। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন নির্ভর খাবার খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। এর ফলে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আবার অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার জেরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। রক্তে চাপ বাড়ছে। তার ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই নিয়মিত খাবারে পরিমিত পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন জরুরি। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার দরকার (Health Tips)। অর্থাৎ, সবুজ সব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার এবং দানাশস্য নিয়মিত জরুরি। তবেই হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো থাকে।

    মদ্যপান এবং ধূমপানে না…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ‌্যপান এবং ধূমপানের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ। ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক (Foods To Avoid)। পাশপাশি অনেকেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হৃদপিণ্ডের উপরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপানে না বলা জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের (Health Tips)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Ayurveda Day: ধনতেরাসে নয়! প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে আয়ুর্বেদ দিবস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi government)। এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে “আয়ুর্বেদ দিবস” (Ayurveda Day)। এতদিন আয়ুর্বেদ দিবস ধনতেরস উপলক্ষে পালিত হত, যা হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে। তবে এবার থেকে একটি নির্দিষ্ট দিনে আয়ুর্বেদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, ধনতেরস-এর তারিখ প্রতিবার তিথি ও নক্ষত্র মেনে পরিবর্তিত হওয়ায়, আয়ুর্বেদ দিবসের (Ayurveda Day) উদযাপন নিয়মিত ও সুসংগঠিতভাবে করা যাচ্ছিল না। ২০২৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ধনতেরসের তারিখ ১৫ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে—এই অনিশ্চয়তা কাটাতেই এই বড় সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা বিকল্প তারিখ খুঁজে বার করেন। তাদের পরামর্শে চারটি সম্ভাব্য তারিখ বিবেচনা করা হয়। সব দিক বিচার করে ২৩ সেপ্টেম্বরকে চূড়ান্ত করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাত প্রায় সমান। এই দিনটি প্রকৃতির ভারসাম্যের প্রতীক। আয়ুর্বেদের (Ayurveda Day) মূল দর্শনও এই ভারসাম্য—মন, শরীর ও আত্মার মধ্যে সুষম অবস্থান বজায় রাখা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে একটি পরম্পরাগত এবং বিজ্ঞানের সমন্বিত সিদ্ধান্ত হিসেবে।

    আয়ুর্বেদে গুরুত্ব সরকারের

    আয়ুষ মন্ত্রক বলেছে, এই নতুন তারিখ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আয়ুর্বেদকে নতুন পরিচয় দেবে। ভারতের প্রাচীন জ্ঞান-ভাণ্ডারকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এখন থেকে দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সংস্থা, গবেষণা কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে ২৩ সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। মোদি সরকার বরাবরই আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার ও প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ও বিদেশে একাধিক আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ সেন্টার ও হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ‘আয়ুষ’ শিল্পও গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বিকশিত হয়েছে।

  • Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবারে নরম তুলতুলে ডিমের পোচ কিংবা ফ্রায়েড এগ অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। আবার অনেকে‌ই স্কুল-কলেজ যাওয়ার আগে ঘি-আলু সিদ্ধ ভাতের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ নিয়মিত খান। একদিকে পুষ্টি আরেকদিকে স্বাদ! ডিমের (Eggs) এই যুগলবন্দিতে শিশু থেকে বয়স্ক বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এই খাবার নিত্যসঙ্গী! তবে, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের ভোগান্তি বাড়তে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। তাহলে স্বাস্থ্য সমস্যা হবে না। দেখা যাক, কোন কোন খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চা কিংবা কফি খাওয়া উচিত নয় (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে অনেকেই নিয়মিত ডিম খান। কখনও ফ্রায়েড, কখনও পোচ আবার কখনও সিদ্ধ। তবে তার সঙ্গে অনেকেই চা কিংবা কফি জাতীয় গরম পানীয় খেতে পছন্দ করেন। আর এতেই বিপদ বাড়ে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কফি কিংবা চা জাতীয় পানীয়তে ক্যাফিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। এই উপাদান শরীরে অন্যান্য খাবারের পুষ্টিগুণ সহজে পৌঁছতে দেয় না। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে নানান ভিটামিন, প্রোটিন থাকে। এর সঙ্গে কফি বা চা খেলে সেই পুষ্টি শরীরে পৌঁছতে পারে না।

    দই খেলে বাড়বে বিপদ

    শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই এবং ডিম-এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই দুই পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই এবং ডিম (Eggs) এই দুই খাবারেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, সকালে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে, দুপুরের খাবারের পরে টক দই খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ এই দুই খাবার খাওয়ার সময়ের মধ্যে একটা ব্যবধান জরুরি।

    প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    যে কোনও প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত সসেজ কিংবা হ্যাম জাতীয় খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থাকে। সসেজ কিংবা হ্যাম হল নানান রকমের মাংসের পদ। এগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। একসঙ্গে এত বেশি পরিমাণ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ইংলিশ ব্রেকফাস্ট পছন্দের হলেও হজমের গোলমাল রুখতে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সসেজ সহ ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারেই নয়

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ডিমে (Eggs) থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এই প্রোটিন ও ফ্যাট একসাথে শরীরে প্রবেশ করলে, পেট ব্যথা, হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া দরকার। এড়িয়ে চলতে হবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো পদ।

    চিনি এবং কলা একেবারেই এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    ডিম সিদ্ধ, পাউরুটি এবং কলা, জলখাবারের এই পদ প্রায় প্রত্যেকের খুবই পরিচিতি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম সিদ্ধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কলায় রয়েছে‌ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই বিষক্রিয়া হতে পারে। অর্থাৎ পেটের গোলমাল, পেট ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই কারণে ডিমের সাদা চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।

    চিজ এড়িয়ে চলা জরুরি

    চিজ অমলেট অনেকেই খুব পছন্দ করেন। কিন্তু নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ দেওয়া অমলেট একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিজ অমলেট নিয়মিত খেলে ক্লান্তিবোধ বাড়ে। শরীরে এনার্জির ঘাটতিও‌ দেখা দেয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চকলেট, আইসক্রিম বা ঘরের তৈরি ডাল-ভাত, যে কোনও খাবারেই হতে পারে দাঁতের ক্ষয়রোগ। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে এমন নানান জিনিস খাবারের তালিকায় যোগ হচ্ছে, যাতে দাঁতের ক্ষয়রোগের (Tooth decay) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে এক-দুবার দাঁত ব্রাশ করলেই সেই ঝুঁকি কমবে না। বরং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দাঁত পরিষ্কার না করলে, বিপদ বাড়তে পারে। শিশুদের প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে দাঁত ও মুখের ভিতর পরিষ্কার করার অভ্যাস রপ্ত করানো জরুরি। তাহলে তাদের দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি কমবে। মুখের ভিতরে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের কোন পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি?

    কখন দাঁত ব্রাশ করতে হবে? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই ব্রাশ করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রাশ করার সময় অত্যন্ত জরুরি। রাতে খাবার খাওয়ার পরেই ব্রাশ করলে অনেক সময়েই তা ক্ষতি হতে পারে। কারণ, খাবার খাওয়ার পরে প্রায় এক ঘণ্টা মুখের ভিতরে নানান ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড সক্রিয় থাকে। সেই সময়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষলে কার্যত ব্যাকটেরিয়া ঘষা হয়। তাছাড়া ওই অ্যাসিড আর টুথপেস্ট একসঙ্গে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। আর কিছুই উপকার হয় না। তাই খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা পরে ব্রাশ করা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট পনেরো পরেই ব্রাশ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শুধু ব্রাশ করলেই জীবাণুমুক্ত হয় না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু ব্রাশ করলেই মুখ জীবাণুমুক্ত হয় না‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখের ভিতরে এমন নানান জায়গা থাকে, যেখানে ব্রাশ করলেও জীবাণু থেকে যায়। মুখের ভিতরের সব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছতে পারে না। তাই ব্রাশ করার পাশপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু দাঁত ব্রাশ যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্লাগ বা ক্ষতিকারক উপাদান জমে থাকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে। তাই ব্রাশ করার সময়ে সেই জায়গা পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে মুখের ভিতর জীবাণুমুক্ত হবে না।‌ দাঁতের নানান সমস্যাও (Tooth decay) দেখা দিতে পারে।

    কতক্ষণ ব্রাশ করা উচিত? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করতে কত সময় লাগবে, এই নিয়ে নানান সংশয় রয়েছে‌। দাঁত ব্রাশ করতে মিনিট তিনেক সময় লাগে। তবে দাঁত ব্রাশ করার নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জোরে জোরে উপর-নীচে ব্রাশ চালিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। দাঁত ব্রাশ করতে হবে গোল গোল করে। অর্থাৎ, একসঙ্গে দুই বা তিনটি দাঁতের উপরে ব্রাশ রেখে, গোল গোল করে দাঁত ঘষতে হবে। তাহলেই দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার হবে। দাঁতও ভালো থাকবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করার পাশপাশি মুখ ধোয়ার অভ্যাস জরুরি। বিশেষত শিশুরা অনেক সময়েই দিনে একাধিকবার মিষ্টিজাতীয় খাবার খায়। বারবার তাদের ব্রাশ করা হয় না। কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরে ভালো করে জল দিয়ে ধোওয়া জরুরি। এতে দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো‌ যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠে‌ কিংবা নিত্যদিনের ঘরোয়া কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা কিংবা কোমরে যন্ত্রণা অনুভব হয়। অনেকেই হঠাৎ এই পা, ঘাড় কিংবা কোমরের পেশিতে খিঁচ (Muscle cramps) অনুভব করেন। যার ফলে দিন কয়েক ধরে ভোগান্তি চলে। স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। এমনকী মারাত্মক ব্যথার জন্য অনেক সময় হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের ঘন ঘন এই ধরনের পেশিতে টানের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তখন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার দেহের বিভিন্ন পেশিতে টান, জানান দেয় শরীরে একধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কেন‌ বারবার পেশিতে খিঁচ ধরে? (Muscle cramps)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেশিতে খিঁচ বা টান অনুভব হয় মূলত দূর্বলতার কারণে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের ক্ষমতার বাইরে একটানা পরিশ্রম করলে, পেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর তখন পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়। আর তার জেরেই পেশিতে টান বা খিঁচের মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে খেলোয়াড়দের প্র্যাক্টিসের সময় পেশিতে টান ধরে। লাগাতার অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই এই সমস্যা হয়। দুর্বলতার পাশপাশি শরীরে জলের অভাব পেশিতে খিঁচের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ জল থাকে। সেই জলের সাহায্যেই মানুষের শরীরের একাধিক অঙ্গ সক্রিয় থাকে। পেশির সচলতা বাড়াতেও শরীরের ভিতরের জল সাহায্য করে। শরীরে এই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলেই পেশিতে নানান সমস্যা দেখা যায়। তার জেরেই কোমর, ঘাড় কিংবা হাতে-পায়ে খিঁচের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    তবে, এর পাশপাশি শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে এই উপাদানের ঘাটতি হলেই দুর্বলতা দেখা দেয়। পেশি শক্তি কমে এবং খিঁচ হতে পারে (Muscle cramps)।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, লাগাতার কাজ করবেন না। দিনে যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, কাজের ফাঁকে অন্তত আধ ঘণ্টা অন্তর কিছুটা সময় বিশ্রাম জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরুর আগে কিছুটা সময় শারীরিক কসরত জরুরি। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশিতে টান ধরার (Muscle cramps) সমস্যাও কমবে।
    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে জলের ঘাটতি না হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার পাশপাশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবুর রস, ডিম খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যায়। দুর্বলতা কম হয়‌। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ফলে, পেশিতে টান ধরার সমস্যাও কমে।
    নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে শরীর সহজেই পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে‌। এর ফলে শরীরের পেশি মজবুত হয়। খিঁচের ঝুঁকিও কমে (Muscle cramps)।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে হানা দেয় নানা রোগ। বিশেষত জীবন যাপন সংক্রান্ত নানা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম বয়সে অনেকেই এই রোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সীমারেখায় আর রোগ আটকে থাকছে না। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) ভুগছেন। কিন্তু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক না থাকার জেরে নানান বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

    কেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ একাধিক জটিল রোগের কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১২০/৮০ হল যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ। ১৪০/৯০ রক্তচাপ ছাড়ালেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলা যেতে পারে।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে‌। আর তার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষত কম বয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তাই অনেক সময়েই স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ডিমেনশিয়া একটি মহামারির আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ, বমি ভাবের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ জানান দেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

    নাক থেকে রক্তক্ষরণ

    লাগাতার সর্দি-কাশি কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ নাক থেকে রক্তপাত (Nosebleeds) হলে সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাক থেকে রক্তপাত উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) লক্ষণ। মাঝেমধ্যে নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা

    নানান কাজের চাপে অনেকের প্রায় মাথার যন্ত্রণা হয়। বিশেষত যারা দিনের দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বারবার মাথা যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে, বিশেষত মাথার পিছনের অংশে যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    ঝাপসা দৃষ্টিতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখেন। হয়তো চোখে জল দিয়ে ধুয়ে সাময়িক সমস্যা মেটান। কিন্তু বারবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে রেটিনা ও তার আশপাশের রক্তনালীতে চাপ বাড়ে। এর ফলেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

    শ্বাসকষ্টের সমস্যা

    শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করলে ফুসফুসের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন জরুরি। ধুমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এগুলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Hypertension) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Asthma: দ্বিগুণ হারে বাড়ছে হাঁপানি! ভারতীয়দের ভোগান্তি কোথায়? কীভাবে সাবধান হবেন? 

    Asthma: দ্বিগুণ হারে বাড়ছে হাঁপানি! ভারতীয়দের ভোগান্তি কোথায়? কীভাবে সাবধান হবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বায়ুদূষণ। একাধিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের কারণ হিসেবে বায়ুদূষণকেই দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল। ভারতেও বায়ুদূষণের জেরে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর সেই তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে হাঁপানি (Asthma)। দেশ জুড়ে হাঁপানির দাপট বাড়ছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষার তথ্যে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশজুড়ে হাঁপানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ হাঁপানির জেরে স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন না। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট হাঁপানি আক্রান্তের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তার পাশপাশি মৃত্যুর পরিসংখ্যানও বেশ উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এ দেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গত কয়েক বছরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

    কেন ভারতে হাঁপানির দাপট বাড়ছে? (Asthma)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাঁপানির ভোগান্তি বাড়ার অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা, দিল্লি সহ দেশের একাধিক বড় শহরে বছরের বেশিরভাগ সময় বায়ুদূষণ মারাত্মক আকারে থাকে। কার্বন মনোক্সাইড সহ একাধিক বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি থাকে। এর ফলেই ফুসফুসের রোগ দেখা দিচ্ছে। জনসচেতনতার অভাবকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীপাবলি কিংবা বিবাহ অনুষ্ঠান, যে কোনও আনন্দ উৎসবেই নানান ধরনের আতসবাজি পোড়ানোর অভ্যাস বাড়ছে‌। এর ফলে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
    বায়ুদূষণের পাশাপাশি প্রতিদিনের নানান অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস হাঁপানির দাপট বাড়িয়ে তুলেছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে‌। ধুমপানের পাশপাশি মদ‌পানের আসক্তি হাঁপানির (Asthma) সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই মনে করছেন মদ্যপান যে কোনও উদযাপনের অংশ।‌ নিয়মিত মদ্যপান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এতে লিভারের পাশপাশি ফুসফুস এবং শ্বাসনালীরও ক্ষতি করে। তাই হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ে।
    এর পাশাপাশি, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নানান অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসেও অভ্যস্থ হয়ে পড়ছেন। নানা রকমের রাসায়নিক দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ার জেরে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে হাঁপানির ঝুঁকিও বাড়ছে।
    শিশুদের হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ভিটামিনের অভাব। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের একাংশ নিয়মিত সবুজ সবজি খাচ্ছে না।‌ আবার রোদে বেরনোর অভ্যাসও তেমন তৈরি হচ্ছে না। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি সহ একাধিক ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে হাঁপানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বিশেষজ্ঞ মহলের?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাঁপানির ভোগান্তি এড়াতে সচেতনতা জরুরি। ধূমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এর পাশাপাশি ঋতু পরিবর্তনের সময়ে কিংবা দীপাবলির মতো উৎসবের সময়ে, যখন বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন বাইরে থাকলে মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এতে যে কোনও বায়ুঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
    তবে এর পাশপাশি নিয়মিত কিছু খাবার খেলে হাঁপানির মতো অসুখের ভোগান্তি কমতে পারে বলেই মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া জরুরি। যে কোনও ধরনের লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান‌ বজায় থাকে। এতে ফুসফুস ও শ্বাসনালী সুস্থ থাকে। ফলে হাঁপানির (Asthma) ঝুঁকিও কমে।
    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই এই নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে হাঁপানির ঝুঁকি কমে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, আপেল, পেয়ারা, পালং শাকের মতো খাবার প্রতিদিনের মেনুতে রাখলে হাঁপানি মোকাবিলা সহজ হবে।
    মাছে থাকে ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়রন। এই উপাদানগুলো ফুসফুস সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    এছাড়া, রুটি, নাশপাতি, বাদাম জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে দেহে ফাইবারের জোগান‌ ভালোভাবে হয়। এর ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে। হাঁপানির ঝুঁকি কমে।
    হাঁপানির অসুখ মোকাবিলায় একাধিক ভারতীয় মশলা বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদ, রসুন, দারুচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে যে কোনও ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে। এই ধরনের মশলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। পাশাপাশি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। এর ফলে যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে পারে। ফুসফুস সুস্থ থাকে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এক বেলা সবজি-মাছ-ভাত খেলেও, অনেকেই রাতে নিয়ম করে রুটি (Bread) খাওয়ায় অভ্যস্ত! নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বয়স সাত-আট মাস পেরোলেই অনেকে নিয়মিত রুটি খাওয়ানোতে অভ্যস্ত করেন। ফলে শিশুদের শরীরেও এই খাবারের প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত রুটি খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এখন দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত রুটি খেলে কী হয়?

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে (Bread) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে অধিকাংশ ভারতীয় এখন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকিও কমে। তাই নিয়মিত রুটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

    হজম শক্তি বাড়ে

    পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুটি (Bread) নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে থাক্স ফাইবার থাকে। তাই এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুদের জন্যও তাই রুটি বিশেষ উপকারী। নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে ফাইবারের জোগান ঠিকমতো হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। নিয়মিত রুটি খেলে, সেই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা হয়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী (Bread) 

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য রুটি বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য যা বিপজ্জনক। সেক্ষেত্রে রুটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ওজন বাড়ে না

    ভারতীয় শিশুদের মধ্যে (Child) একটা বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। তাই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের খাবার দেওয়ার সময় ক্যালোরির দিকটি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে চর্বি জাতীয় উপাদান থাকে না। তাই রুটি খেলে ওজন বাড়ে না। স্থূলতার ঝুঁকিও তৈরি হয় না। তাই শিশুদের নিশ্চিন্তে নিয়মিত রুটি (Bread) দেওয়া যেতে পারে‌।

    কীভাবে রুটি খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে। রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজরা কিংবা রাগীর মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। এই ধরনের দানাশস্যে ফাইবারের পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। তাই শরীরে বাড়তি উপকার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে তৈরি রুটির উপকার বেশি। তবে আটার রুটি (Bread) খেলেও শরীরে প্রচুর উপকার হয়। কিন্তু ময়দার তৈরি রুটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রুটির উপরে মাখন কিংবা ঘি ঢেলে দেন। নিয়মিত রুটির সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি কিংবা মাখন খেলে শরীরে উপকার হবে না। বরং হজমের সমস্যা‌ কিংবা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে।
    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দুটি রুটির সঙ্গে ডাল কিংবা সবজি খেলে শরীরে ব্যালেন্স ডায়েট হয়। অর্থাৎ ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন সবকিছুর চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কেউ কথা বলতে চায় না। আবার কেউ ডাকলেও কোনও রকম সাড়া দেয় না। অনেক সময়েই শিশুর এমন আচরণ অবাক করে। অভিভাবকেরাও অনেক সময় এগুলো গুরুতর সমস্যা বলে বিবেচনা করেন না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ ! বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও অটিজম (Autism) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ দেশের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ অটিজমে আক্রান্ত। তবে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঠিকমতো রোগ নির্ণয় না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার জেরে সমস্যা নির্ণয় হয় না। এর ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

    আক্রান্তের মতোই কেন অভিভাবকদের থেরাপিও জরুরি? (Autism)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম একটি আচরণগত সমস্যা। জিনের এক ধরনের সমস্যার জেরেই অটিজম আক্রান্ত হয়। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে দু’বছর বয়স থেকেই নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা নির্ণয় করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। এই সমস্যার উপসর্গ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে, শিশুর পাশপাশি তার বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় থেরাপি জরুরি।

    পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু আর পাঁচজন সাধারণ ছেলেমেয়েদের মতো জীবন যাপন করতে পারবেন না। এই সম্পর্কে তার পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অধিকাংশ সময়েই শিশু অটিজম (Autism) আক্রান্ত জানার পরে, বাবা-মায়ের মধ্যে মারাত্মক হতাশা গ্রাস করে। এর ফলে শিশুর বিকাশ আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই দরকার সার্পোট গ্রুপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্তের বিকাশের মাপকাঠি আলাদা। কীভাবে অটিজম আক্রান্তকে জীবন যাপনের কৌশল শেখানো‌ যায়, কীভাবে তাকে নানান কাজ করার নির্দেশ দেওয়া যায়, তার কৌশল রপ্ত করা জরুরি। ঠিকমতো সহযোগিতা পেলে অটিজম আক্রান্ত মানুষ ভালোভাবেই জীবন যাপন করতে পারেন। আর শিশুকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে, তার বাবা-মা। অটিজম আক্রান্ত সন্তানকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হতেই অভিভাবকদের থেরাপি জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে অটিজম আক্রান্ত পরিবারের থেকে ঠিকমতো সহযোগিতা না পাওয়ার জেরে, তার বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে তার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই অটিজম সমস্যা মোকাবিলায় শিশুর থেরাপির (Therapy) পাশপাশি জরুরি অভিভাবকদের কর্মশালাও।

    সন্তানের অটিজম রয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন? (Autism)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই অটিজম নিয়ে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে কথা বলবে না। সাধারণত শিশুর দু’বছর বয়সের পরেই কথা বলা শুরু হয়। পরিবারের সকলকে নানান নামে ডাকে। শিশুকে তার নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয়। কিন্তু যদি শিশু কখনই কোনও সাড়া না দেয়, কিংবা নিজেও কোনও কথা বলার চেষ্টা না করে, তাহলে এটা গুরুতর সমস্যা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি অটিজমের অন্যতম লক্ষণ হল মেলামেশায় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দু-তিন বছরের শিশু একে অপরের সঙ্গে মেশামেশা করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে কখনই অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে আগ্রহী হবে না।‌ সামাজিক যোগাযোগে অনীহা অটিজমের অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
    যে কোনও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আটকে থাকা কিংবা সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না বলা, অটিজমের (Autism) অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সাধারণ দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা কোনও বিষয়েই একটানা দীর্ঘ সময় দেখে না। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে ঘরের ফ্যানের দিকে বা আলোর দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে। আবার আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় কখনই সে চোখের দিকে সরাসরি তাকাবে না। এই ধরনের উপসর্গ শিশুর মধ্যে দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজরদারি জরুরি।
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট কিছু স্নায়বিক এবং আচরণগত পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু অটিজমে আক্রান্ত কিনা তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সমস্যা চিহ্নিত হলে তবেই মোকাবিলা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ultra-Processed Foods: পিৎজা, বার্গার, প্যাস্ট্রি খচ্ছেন প্রতিদিন, ডেকে আনছেন অকাল মৃত্যু! কী বলছে গবেষণা?

    Ultra-Processed Foods: পিৎজা, বার্গার, প্যাস্ট্রি খচ্ছেন প্রতিদিন, ডেকে আনছেন অকাল মৃত্যু! কী বলছে গবেষণা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত-প্রক্রিয়াজাত খাবার (Ultra-Processed Foods) হতে পারে অকাল মৃত্যুর কারণ। এখনকার দিনের বেশিরভাগ মানুষই বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। এই খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আলট্রা প্রসেসড ফুড যা আপনার শরীরে ক্যান্সার বা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আলট্রা প্রসেসড ফুড’ (UPFs) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদ্‌রোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও।

    কী বলছে গবেষণা

    নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলট্রা প্রসেসড ফুড (Ultra-Processed Foods) অতিরিক্ত গ্রহণের সঙ্গে অকাল মৃত্যুর হারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আটটি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিলি, কলোম্বিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র) জাতীয় পর্যায়ের খাদ্যতথ্য ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে। গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন-এ। ব্রাজিলের এক গবেষক ড. এডুয়ার্দো অগুস্তো ফার্নান্ডেজ নিলসন বলেন, “এই খাবারগুলোতে শুধু উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি মজুত তাই নয়, বরং শিল্প পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণের ফলে স্বাস্থ্যহানিকর নানা কৃত্রিম উপাদান—যেমন কৃত্রিম রং, স্বাদ, মিষ্টতা, এমালসিফায়ার ও অন্যান্য অ্যাডিটিভস—যোগ করা হয়, যা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

    কীভাবে হয় গবেষণা

    আটটি দেশের প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা দেখেন যে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের (Ultra-Processed Foods) পরিমাণ যত বাড়ছে, মৃত্যুঝুঁকিও তত বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যতালিকায় অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ প্রতি ১০ শতাংশ বাড়লে, যে কোনও কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি আনুমানিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এমনকি অল্প পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব স্পষ্ট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।

    ৩২টি রোগের কারণ

    গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত আলট্রা প্রসেসড ফুড  (Ultra-Processed Foods) গ্রহণ ৩২টি রোগের সঙ্গে জড়িত—এর মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কিছু ক্যান্সার ও বিষণ্ণতা। বিশ্বের প্রথম এই ধরনের গবেষণা বলছে, প্রতিটি দেশেই অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে অকাল মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য, এবং এটি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যনীতি ও জনস্বাস্থ্য কৌশলে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনা জরুরি। শুধু শরীর নয়, এর পাশাপাশি এই খাবার পরিবেশ দূষণের কারণও হতে পারে। গবেষণায় অকালমৃত্যু বলতে ৩০ থেকে ৬৯ বছর বয়সে ঘটে যাওয়া মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের খাবার খাওয়ার মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা গেছে। গবেষকেরা বলেন, যেসব দেশে খাদ্যতালিকায় ইউপিএফের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম (২০ শতাংশের নিচে), যেমন ব্রাজিল ও কলম্বিয়া, সেখানে অকালমৃত্যুর হারও তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৪ শতাংশ)।

    ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম উপকরণ

    আলট্রা প্রসেসড ফুড বা অতিরিক্ত-প্রক্রিয়াজাত খাবার (Ultra-Processed Foods) সাধারণত তৈরি হয় ল্যাব বা ইন্ডাস্ট্রিতে, যেখানে আসল খাবারের বদলে ব্যবহৃত হয় খাদ্য থেকে উত্তোলিত উপাদান বা কৃত্রিম উপকরণ। অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হল এমন ধরনের খাবার, যা প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে বেশি পরিমাণে কৃত্রিম উপাদান ও কসমেটিক অ্যাডিটিভ (যেমন: রং, স্বাদ, সংরক্ষণকারী পদার্থ) দিয়ে তৈরি। এ ধরনের খাবারের সাধারণ উদাহরণ হল—প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কারখানায় তৈরি পাউরুটি ও পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রস্তুত খাবার মিষ্টি দুধজাত পণ্য, সফট ড্রিংকস, জেলি। এসব খাবার ধীরে ধীরে তাজা ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরিতে নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক নীতির মাধ্যমে আলট্রা প্রসেসড ফুড গ্রহণ হ্রাস করাই উচিত সরকারের।

    মোদি সরকারের নীতি

    বার্গার, পিৎজা-সহ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য (Ultra-Processed Foods) বা জাঙ্কফুডের বিক্রি উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ভারতেও। ফুলেফেঁপে উঠছে সংস্থাগুলির ব্যবসা। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। লোকসভায় চলতি বছর আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে নরম পানীয়, প্যাকেটবন্দি ভাজা খাবার, চকলেট, নাগেটস, অতিরিক্ত চিনি-নুন মেশানো খাবারের ব্যাপারে সতর্কবাণী রয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ধরনের খাবারে বিপুল পরিমাণে ফ্যাট-সহ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে। যা ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রেই স্থূলতা, হৃদরোগ-সহ বিভিন্ন বিরূপ প্রভাব ফেলে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে এই শ্রেণির খাদ্যপণ্যকে ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে দাবি করে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনও প্রচার করে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি। রিপোর্টে সুপারিশ, দেশের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই-এর মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করুক স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হোক ক্রেতাসুরক্ষা আইনে। যেখানে এফএসএসএআই অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের স্পষ্ট সংজ্ঞা তৈরি করবে। মোড়কের উপরে অত্যাবশ্যক সাবধানবার্তা চালু করে ধারাবাহিক কড়া নজরদারিরও ব্যবস্থা করবে।

LinkedIn
Share