Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • High Fiber Foods: নিয়মিত মেনুতে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার! কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    High Fiber Foods: নিয়মিত মেনুতে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার! কোন বিপদ বাড়াচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পরিমাণেই রয়েছে পুষ্টিগুণ! শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান ও অতিরিক্ত পরিমাণে পৌঁছলে বিপদ বাড়তে পারে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকায় পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের শরীরে নানান উপাদানের ঘাটতির জেরেই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপাদান প্রয়োজনের অতিরিক্ত শরীরে প্রবেশ করছে। তার জেরেও নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তেমনি একটি উপাদান হল ফাইবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবং একাধিক রোগ এড়াতে নিয়মিত ফাইবার জাতীয় খাবার (High Fiber Foods) জরুরি। কিন্তু নিয়মিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে পৌঁছলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের এই প্রয়োজন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকছে না। আর তার জেরেই বিপদ (Health Risks) বাড়ছে।

    অতিরিক্ত ফাইবার কী সমস্যা তৈরি করে?

    শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের একাধিক অঙ্গ সুস্থ রাখতে উচ্চ ফাইবার-যুক্ত খাবারের (High Fiber Foods) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে পৌঁছলে হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে সময় লাগে। অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে, অনেক সময় হজমের গোলমাল হয়।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বহু মানুষ হজমের সমস্যায় ভোগেন। এই আবহাওয়ায় সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার খেলে (High Fiber Foods) হজমের লাগাতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের নিয়মিত সমস্যা অন্ত্রের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন অন্ত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকস্থলি, অন্ত্র এবং লিভারের একাধিক জটিল রোগের সূত্রপাত হজমের সমস্যা। গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা। তাই খাবার যাতে সহজে হজম হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই মেনু সাজানো দরকার।

    অতিরিক্ত ফাইবার নিয়মিত খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাই অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার (High Fiber Foods) খেলে বারবার মলত্যাগের সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ ফাইবার খেলে বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হজম না হওয়া, পেট ব্যথা এবং বমি এগুলো‌ ভোগান্তি বাড়াবে।

    কতখানি ফাইবার প্রয়োজন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে কতখানি ফাইবার প্রয়োজন, মহিলা নাকি পুরুষ, বয়স কত সেগুলোর উপরেই নির্ভর করে। তাই ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো বলেই, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত খেলে সমস্যা দেখা যায়। আমেরিকান নিউট্রেশনিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, শিশুর বয়স ২ বছর হওয়ার আগে, নিয়মিত ফাইবার (High Fiber Foods) জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত নয়। ২ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর ১৪ গ্রাম ফাইবার নিয়মিত পর্যাপ্ত। ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের নিয়মিত ২২ গ্রাম এবং ছেলেদের ২৫ গ্রাম ফাইবার নিয়মিত জরুরি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ নিয়মিত ৩১ গ্রাম এবং মহিলা নিয়মিত ২৫ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরলেই ফাইবার গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাই পঞ্চাশোর্ধ মহিলাদের নিয়মিত ২২ গ্রাম এবং পুরুষদের ২৬ গ্রামের বেশি ফাইবারজাতীয় খাবার (Health Risks) খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

    কোন খাবারে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবারে শরীরের প্রয়োজন মাফিক ফাইবার থাকে। যা রোজ খেলেও বিশেষ সমস্যা তৈরি হয় না। কিন্তু কিছু খাবারে থাকে অতিরিক্ত ফাইবার (High Fiber Foods)। যা নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে বিপদ তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আটা, বাজরা, রাগী, মিলেটের মতো দানাশস্যে‌ ফাইবার থাকে। নিয়মিত এই ধরনের দানাশস্যের তৈরি রুটি একটি বা দুটি খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবার পৌঁছয়। কিন্তু কিডনি বিনস্ (রাজমা), আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম জাতীয় কিছু খাবারে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম রাজমা খেলে ৭ গ্রামের বেশি ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়।

    আলুবোখারাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। একজন‌ প্রাপ্ত বয়স্ক দিনে দুটোর বেশি আলুবোখারা খেলে তাই হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূর্যমুখীর বীজ শরীরের জন্য উপকারি। কিন্তু পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে (High Fiber Foods)। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ খেলে, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে লিভারের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তাই এই ধরনের খাবার নিয়মিত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় উপকার ও পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    Mango: ওজন বাড়িয়ে দেয় আম! আমের স্বাদ কি বিপদ বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের মরশুম! তীব্র গরম রাজ্য জুড়ে। তাপমাত্রার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে বাঙালির রসনাতৃপ্তির উপকরণ রয়েছে! পাকা আমের (Mango) মিষ্টি সুবাসে মন ভালো হয় না, এমন বাঙালি প্রায় নেই। গরমকালের যাবতীয় কষ্ট অনেকটাই বাঙালি সহ্য করে নেন বছরের ‘সেরা’ ফলের স্বাদে! কিন্তু নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কতখানি উপকারি? বিশেষত ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কতটা বাড়তি বিপদ বাড়ায় আম (Mango Eating Risks)? আবার তরুণ প্রজন্মের একাংশ এখন স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের জন্য নিয়মিত পাকা আম খাওয়া কি বাড়তি বিপদ তৈরি করছে না, এমন অনেক প্রশ্নের জেরেই আম খাওয়া নিয়ে ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মরশুমের এই ফল নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। স্বাদের পাশপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল না রাখলে বিপদ বাড়বে।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম কতখানি বিপদ বাড়াতে পারে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য আম যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে (Mango Eating Risks)। কিন্তু কিছুটা সতর্কতা নিয়ে চললে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাকা আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাকা আমে যে শর্করা থাকে, তা প্রক্রিয়াজাত নয়। অর্থাৎ, চিনি, কেক, ময়দা শরীরে যে ধরনের ক্ষতি করে, পাকা আম (Mango) তেমন ক্ষতিকারক নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে পাকা আম খেলে অসুবিধা হবে না। তবে মনে রাখা জরুরি, পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কখনই সপ্তাহে সাতদিন একটা করে পাকা আম খেতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিন এক-দু টুকরো পাকা আম খাওয়া যেতে পারে।

    পাকা আম (Mango) কি ওজন বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাক আমে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই নিয়মিত অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পাকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায়। বিশেষত যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না, দিনের দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, তাঁরা প্রত্যেক দিন পাকা আম খেলে খুব তাড়াতাড়ি স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আম খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলেও, নিয়মিত একাধিক পাকা‌ আম খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে ওজন বাড়ার পাশপাশি হজমের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে পাকা আম খেলে বিপদের ঝুঁকি কমবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় নজরে রাখা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত কিংবা ওবেসিটি আক্রান্তের ঝুঁকিও তৈরি হবে না। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে খুব হালকা খাবার খাওয়ার পরে কখনই পাকা আম খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks)। তাঁদের পরামর্শ, ভারি খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে‌ বিপদের ঝুঁকি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব অল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার ব্যালেন্স করে খাওয়ার পরে এক থেকে দুই টুকরো পাকা আম খাওয়া যায়। এতে শরীরে বাড়তি বিপদ তৈরির ঝুঁকিও কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই খালি পেটে আম খেলে শরীরে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকে। ব্যালেন্স ডায়েটের পরে আম খেলে, সেই ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থাকলে আম নিয়মিত খাওয়া উচিত নয় (Mango Eating Risks) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, সপ্তাহে তিন দিনের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। আর আম খেলে ভাত ও রুটির পরিমাণের ক্ষেত্রে বাড়তি সজাগ থাকা দরকার। কারণ একসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট কতখানি শরীরে পৌঁছচ্ছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গরমে অনেকেই শারীরিক কসরত নিয়মিত করেন না। স্থূলতার সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই আমের স্বাদ পেতে চাইলে শারীরিক কসরত নিয়মিত করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যালোরি বার্নের দিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা, শারীরিক কসরত করলে আম (Mango) খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম হবে। ডায়বেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহে জুড়ে গরমের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে পক্স! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ভাবে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (Pox in Summer)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস সক্রিয় হয়। কিন্তু চলতি বছরে গরমে পক্সের বাড়বাড়ন্ত বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। তাই সতর্কতা জরুরি।

    কেন গরমে পক্সের দাপট?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে পক্সের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। কিন্তু, এই গরমেও দেখা যাচ্ছে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার রকম ফেরে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। শীতের শেষ এবং গরম শুরু, এমন মরশুমে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তন হয়। তাই পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের দাপট বাড়ে। বসন্ত ঋতুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু চলতি মরশুমে বারবার তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাচ্ছে। তার জেরেই এই রোগের দাপট বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ, প্রায় দিন পনেরো কখনও বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রা একটু কমেছে। আবার কখনও তীব্র গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। কখনও গরম থেকে বাঁচতে এসি ঘরে, আবার তারপরেই তীব্র রোদে বাইরে যাওয়া। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনে ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই এই গরমেও বাড়ছে পক্সের (Pox in Summer) দাপট। তাপমাত্রার ঘনঘন রকমফেরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাদের নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে‌। দিনের মারাত্মক গরমে শরীরের ভিতর গরম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তার ফলেই যেকোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Pox in Summer)। তবে, শিশুদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম থাকে। তাই যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চলতি মরশুমে শিশুদের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    পক্স রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পক্স রুখতে (Precautions Against Pox) শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন খাবার মেনুতে রাখা জরুরি, যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য অনেকেই প্যাকেটজাত ঠান্ডা নরম পানীয় খান। কিন্তু সেটা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। বরং, নুন এবং পাতিলেবু মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার ভিটামিন সি-র চাহিদাও পূরণ হয়।

    কার্যকর ঘরোয়া টোটকা

    মেথি, মৌরির মতো পরিচিত মশলা শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মেথি, মৌরি ভেজানো সরবত লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই সরবত খেলে হজমের গোলমাল কম হয়। গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে। পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়।
    গরম থেকে রেহাই পেতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাব খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার ডাবের জল ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। পক্সের ভোগান্তি রুখতে ও ডাব সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌
    তবে বারবার আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ (Precautions Against Pox) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ‌পাশপাশি বারবার এসি ঘর থেকে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার বারবার তারতম্য হলে পক্সের ঝুঁকি বাড়বে (Pox in Summer)!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লিভারের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ১২ জুন গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার ডে (Global Fatty Liver Day)! আর সেই উপলক্ষে দেশ জুড়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন।

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া। তার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে এর গভীর প্রভাব পড়ে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন মুশকিল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ বেড়ে যাওয়া, যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর আগেও মূলত নিয়মিত মদ্যপান করলে, তবেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। নিয়মিত মদ্যপানে আসক্ত নন, এমন বহু মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) বলা হচ্ছে। এই রোগের কবল থেকে বাদ নেই শিশুরাও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই রোগের মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র সচেতনতা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে একটি সমীক্ষা চালায়। আর তাতেই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পাওয়া যায়। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন‌। প্রায় ৬৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় (Urban Indians) নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) সমস্যায় আক্রান্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এমনকি আক্রান্তের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

    কেন প্রকোপ বাড়াচ্ছে ফ্যাটি লিভার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের এই সমস্যা দেখা যায়। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো সমস্যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাবার খাওয়া, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এই দুই সমস্যা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) অন্যতম কারণ। আর এই দুই সমস্যার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস সরাসরি ভাবে যুক্ত। অতিরিক্ত ওজন‌ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। ফ্যাটি লিভারেরও কারণ স্থুলতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। অনিয়মিত খাদ্যাভাস শরীরে প্রভাব ফেলে। আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ, যেসব খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিক দেওয়া মাংস ব্যবহার হয়, সেই ধরনের খাবার নিয়মিত খান। যার ফলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, পরিবারের কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে, পরবর্তী প্রজন্মের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি থাকে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো রোগের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করা চলবে না। তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ রুখতে শরীরের ওজন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। স্থুলতা যাতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দিনের অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা কিংবা আধ ঘণ্টা যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকি কমে। হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। আবার দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায়। ফলে, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ফ্যাটি লিভারের রুখতে ‘ওষুধ’-এর মতো কাজ করবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার রুখতেও বিশেষত নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো রোগ মোকাবিলা করবে খাবার। নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ রুখতে সাহায্য করবে। তাঁদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কম তেল মশলার সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে লিভার সুস্থ থাকে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয়। নিয়মিত ডাব, লাউ, পেঁপে, কাঁচকলা, আপেল, পালং শাকের মতো ফল এবং সব্জি খাওয়া দরকার। এতে লিভার সুস্থ থাকে। অতিরিক্ত মেদ জমে না। মাছ, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার, ঠিকমতো রান্না হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত তেল মশলা যাতে ব্যবহার না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।‌ প্রানীজ প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই প্রোটিন পায়। সেই প্রোটিন যাতে ঠিকমতো শরীরে কাজে লাগে, তাই রান্না নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চটজলদি প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি, পিৎজা, হটডগ‌, বার্গার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) মোকাবিলা সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের দুধের গ্লাস কিংবা সন্ধ্যার জলখাবারের পদ, বাড়ির একরত্তির জন্য তৈরি করা, যেকোনও খাবারেই মিষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে (Children Foods)। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুরা ছোটো থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শর্করা (High Sugar Content) জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। এর ফলে পরবর্তী কালে তাদের নানান রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী বলছে সমীক্ষার তথ্য?

    সম্প্রতি, এক আর্ন্তজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিশুরা নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি শর্করা জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। অধিকাংশ শিশু খাদ্যে (Children Foods) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় উপাদান থাকছে। যার শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থুলতা এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে (Children Health Risks)। স্কুল স্তর পেরনোর আগেই শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন‌ এবং পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ছোটো থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে, দীর্ঘকাল রোগের প্রকোপ শরীরে আরও গভীর ভাবে পড়ছে। কিডনি এবং স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের ডায়বেটিস বাড়তি উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারের (Children Foods) জেরেই আরো বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

    স্থূলতা ভারতীয় শিশুদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।‌ স্কুল স্তর থেকেই অধিকাংশ ভারতীয় শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেহে অতিরিক্ত মেদের জেরে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে নানান হরমোন ঘটিত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (High Sugar Content) খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য শর্করার পাশপাশি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমান প্রয়োজন (Children Foods)। বিশেষত শিশুদের শরীরের বাড়তির এনার্জির জোগান দিতে এবং হাড়, পেশি মজবুত করতে প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সবরকম উপাদানের জোগান ঠিকমতো না হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর খাবারে বাড়তি চিনির ব্যবহার একেবারেই চলবে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মিষ্টি কিংবা চকলেট জাতীয় খাবার প্রায় খাওয়া হয়। তাই নিয়মিত খাবারে বাড়তি মিষ্টি দেওয়া উচিত নয় (Children Foods)। প্রথম থেকেই দুধ বা অন্য যেকোনও খাবারে বাড়তি মিষ্টি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কস কিংবা খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি, ডাল, সব্জি জাতীয় খাবার নিয়মিত মেনুতে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তাতে শরীরে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সরাবরাহ ঠিকমতো হয়। আবার বাড়তি শর্করা যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস (High Sugar Content) বর্জন করতে পারলে শিশুর একাধিক রোগের ঝুঁকি (Children Health Risks) সহজেই কমানো‌ যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তবে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। নিয়মিত চকলেট, আইসক্রিম, লাড্ডু কিংবা কেক জাতীয় খাবার যাতে শিশু না খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি (Children Foods)। কারণ এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‘স্মার্ট’ দেখানোর কৌশল কিংবা আর পাঁচ জনের সামনে ‘আধুনিক’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অনেকেই প্রথম সুখটান দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিছক আনন্দ, অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ে বিপদ। ধূমপান বা গুটখার মতো তামাকজাত পণ্য সেবনের জেরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে (Tobacco Health Risks)। অনেকক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে‌ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু তারপরেও ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষার রিপোর্ট। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বয়স ১৪ বছরের চৌকাঠ পেরোলেই অধিকাংশ ভারতীয় ছেলেমেয়েরা ধূমপান করছে। ছেলের পাশপাশি মেয়েদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস থাকছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ধূমপান করছে। দীর্ঘকাল এই অভ্যাস থাকছে। যার ফলে নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে (Tobacco Health Risks)। ধূমপানের পাশপাশি গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত পণ্যেও তরুণ প্রজন্মের একাংশ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওই সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের সর্বস্তরে এবং স্কুলেও এই নিয়ে বাড়তি কর্মশালা জরুরি। ১ জুন ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে (World No Tobacco Day)! জুন মাস জুড়ে তাই বিভিন্ন স্তরে চিকিৎসক সংগঠনগুলো তামাক নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করেছে। স্কুলগুলোতে ও নানান কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কেন তামাক বিপদ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক সেবনের জেরে দেহের একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও গত এক দশকে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। দেখা গিয়েছে, ধূমপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (Tobacco Health Risks)। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের তামাক সেবনের অভ্যাস, তার জন্য দায়ী বলেও মনে করছেন একাংশের চিকিৎসক।

    ফুসফুসের সমস্যা এবং সংক্রমণের অন্যতম কারণ তামাক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভাবে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফুসফুসের লাগাতার সংক্রমণে ভুগছে। নিউমোনিয়ার মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ফুসফুসের সংক্রমণের অন্যতম কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়। ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Tobacco Health Risks)। কম বয়স থেকেই ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ফুসফুসে জটিল রোগ সহজেই বাসা বাঁধে। এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তামাক ডেকে আনে বন্ধ্যাত্ব থেকে হরমোনের সমস্যা

    নিয়মিত তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তামাক শরীরের নানান হরমোনের নিঃসরণের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তামাক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। তাই তামাক সেবন শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক (Tobacco Health Risks)।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে তামাক নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি প্রয়োজন। তামাক সেবন থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবন হার্ট অ্যাটাক, কিডনির রোগ এবং নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এই সম্পর্কে সর্বস্তরে বারবার জানানো দরকার। স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হলে তবেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কমবে। এর পাশপাশি প্রয়োজন কাউন্সেলিং। স্কুলে স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের বোঝানো‌ দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করা দরকার। বন্ধু মহলে স্মার্ট দেখানো বা নিজেকে আধুনিক প্রমাণের হাতিয়ার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং ধূমপান একেবারেই একটি খারাপ অভ্যাস। এর সঙ্গে আধুনিকতার কোনো মেলবন্ধন হয় না। এটা বোঝানো এবং প্রচার জরুরি। তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলোর (Tobacco Health Risks) পাশপাশি এই দিক থেকেও বিষয়টি বারবার কম বয়সিদের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই তামাক সেবন নিয়ে সচেতনতা (Tobacco awareness) গড়ে উঠবে। এর পাশপাশি তামাকজাত পণ্যও যেন স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সহজে না পৌঁছয় সে সম্পর্কে প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share