Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুম! শীতকালে বছর শেষের উৎসবে (New Year 2024) মেতেছে বাঙালি।‌ পার্ক স্ট্রিট থেকে জেলার অলিগলি, বছর শেষের উদযাপন সর্বত্র! আর নতুন বছরের আগমনের আনন্দে প্রায় চলছে খানাপিনা, রাতের উল্লাসে থাকছে মদ্যপানের আসর! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হরেক রকম মাংসের পদ, দেদার মদ্যপান আর কেক, পেস্ট্রি বিপদ বাড়াচ্ছে।‌ সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে‌।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? (New Year 2024)  

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অনেকেই শীতকালে নানান অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন। কিন্তু তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।‌ মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।‌ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের মদ্যপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।‌ পাশপাশি লিভারের সমস্যা বাড়াতে পারে মদ্যপানের অভ্যাস। তাই লিভার ও হার্ট সুস্থ রাখতে উদযাপনের দিনে (New Year 2024) মদ্যপানের অভ্যাস বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    তবে, মদ্যপানের পাশপাশি খাবার নিয়েও সজাগ থাকা জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই মাংসের নানান পদ নিয়মিত খান। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ আবার প্রৌঢ়দের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ কম বয়সীদের জন্যও এই ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, অনেক সময়েই এই ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার জেরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। 
    বছর শেষে চলে দেদার কেক, পেস্ট্রি খাওয়া। কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের এই ধরনের খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    পাশাপাশি, শীতে অনেকের স্ট্রোক হয়। তাই এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, যাতে রক্তচাপ ওঠানামা না করে। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে, হজমের গোলমাল হতে পারে। তার জেরে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। 
    বছর শেষে এই সময়ে (New Year 2024) রেস্তোরাঁগুলোয় থাকে খাদ্যরসিকদের লম্বা লাইন।‌ কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের মতে, নিয়মিত রেস্তোরাঁর খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এমনকি শীতের সময়ে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে শিশুদের একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসব উদযাপন (New Year 2024) মানেই স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে চলা নয়। বরং সজাগ ও সচেতন ভাবেই উদযাপন জরুরি। তাই খাদ্যাভ্যাসে থাকুক সচেতনতা। সবুজ সব্জি, ফল থাকুক ফি-দিনের মেনুতে। বেশি রাতে খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময়ে অনেকেই অনেক রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার রেস্তোরাঁর খান।‌ যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি করতে পারে।‌ তাই খাবারের পরিমাণের সঙ্গে নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। রাত নটার পরে‌ কোনও ভাবেই চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া চলবে না।‌ নিয়মিত মদ্যপান যাতে না হয়, সেদিকেও‌ সতর্ক থাকা জরুরি। আর খাওয়ার পাশপাশি শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলে স্থূলতা, রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যা এড়ানো যাবে। তবেই সুস্থ ভাবে নতুন বছরের উদযাপন (New Year 2024) সম্ভব হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • COVID-19: বড়দিনে করোনার কামড়! কোন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    COVID-19: বড়দিনে করোনার কামড়! কোন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid-19)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৬২৮ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুসারে, সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

    জেএন-১ সংক্রমণ

    এক লাফে জেএন-১ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের একাধিক রাজ্যে থাবা বসিয়েছে এই ভ্যারিয়ান্ট। বড়দিনের দিন এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জেএন-১ আক্রান্তের হদিশ মিলেছে গোয়া। সেখানে মোট ৩৪ জনের শরীরে এই ভাইরাসের প্রজাতির অস্তিস্ব মিলেছে।  এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে জেএন-১ -এ আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। কর্নাটকে আট জন, কেরালায় ছয় জন, তামিলনাড়ুতে চার জন এবং তেলঙ্গানায় দু’জন এই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরালাতে। এই রাজ্যেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশে একমাত্র করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে কেরালায়। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৭১। যার মধ্যে ২৫৮ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    হু’র সতর্কবার্তা

    ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে জেএন-১ সংক্রমণ। এবার করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে সতকর্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতির সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পুনরায় কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নজরদারি এবং করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হু’র তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: প্রতিদিন বাড়ছে করোনা! গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তর সংখ্যা সাতশো পার

    Covid 19: প্রতিদিন বাড়ছে করোনা! গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তর সংখ্যা সাতশো পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছর এগিয়ে আসছে যত, ততই যেন চোখ রাঙানি বাড়ছে করোনাও (Covid 19)। বিগত কয়েক দিনে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে। গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাতশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের ২ দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর মধ্যেই, নতুন করে কোভিড আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    গত ২ দিনের তুলনায় বৃদ্ধি শনিতে

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শনিবার সকালের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। মারা গিয়েছেন ৪ জন। এর আগে শুক্রবারের তথ্য অনুসারে, দেশে ৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৯৪ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৩২৮। শনিবারের পরিসংখ্যান আরও জানাচ্ছে, দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,৪২০-তে। 

    কেরল, কর্নাটকের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

    কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সব থেকে বেশি অবস্থা খারাপ কেরলের। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের এক করোনা আক্রান্তেরও মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কর্নাটকের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এদেশে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু গুজরাট এ সমস্ত রাজ্যগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ (Covid 19)। গত ২৪-ঘণ্টায় কেরল থেকে ২৬৬ জন এবং কর্নাটক থেকে ৭৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

    কেন্দ্রের সতর্কবার্তা প্রতিটি রাজ্যকে

    ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রতিটি রাজ্যে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। ভার্চুয়ালি ভাবে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে খুব শীঘ্রই মক ড্রিলিংও করা হবে। দেশের বেশ কিছু রাজ্যতে শুরু হয়েছে করোনা বিধিও (Covid 19)। 

    রিপোর্ট পজিটিভ হলেই বাধ্যতামূলক জিনোম সিকোয়েন্সিং

    এরই মধ্যে, রাজ্যগুলিকে নতুন নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় কারও করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এলে বাধ্যতামূলকভাবে তা দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই ভাইরাসের মিউটেশন বা অভিযোজন সম্পর্কে জানা যাবে। প্রসঙ্গত দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে জেএন১ সাবভ্যারিয়েন্টের (Covid 19)। করোনা আক্রান্তরা সেই উপ প্রজাতিতে আক্রান্ত নাকি সেটারই পরীক্ষা হবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাদ নেই আমাদের দেশও। দৈনিক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। অন্তত পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ করোনা আক্রান্তের (Covid 19) মৃত্যু হয়েছে।

    দেশে অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২,৯৯৭

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বৃহস্পতিবারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত (Covid 19) হয়েছেন ৩২৮ জন। এ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বেশ কিছু রাজ্যে চালু হয়ে গেছে করোনা বিধি। এতেই ফিরে আসছে আড়াই-তিন বছর আগের সেই আতঙ্কের স্মৃতি। মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে ফের কি মাস্ক-যুগ শুরু হচ্ছে? তবে উদ্বেগ থাকলেও আশার কথা শোনা গিয়েছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে। বিজ্ঞানীমহল বলছে, নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ওষুধ ছাড়াই সেরে ওঠা যাবে জেএন-১ এর সংক্রমণ থেকে। অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে। যদিও কোমর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ফের ফিরছে মাস্ক-যুগ? কলকাতার তিন হাসপাতালে ভর্তি ৩ করোনা আক্রান্ত

    জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ

    নতুন সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক পজিটিভ করোনা নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসক রাজীব জয়দেবনের মতে, জেএন-১ সাধারণত প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এদিকে, কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত ৩২৮ জনের মধ্যে মধ্যে ২৬৫ জনই কেরলের বাসিন্দা। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০৬। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কমবয়সি শিশুদের জন্য সর্দি-কাশি কম করার জন্য নানা ধরনের সিরাপকে (Cough Syrup) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের ওষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা— সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কাশির সিরাপে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে মোট ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই ভারতে সতর্কতা জারি করে বেশ কিছু কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ, তাকেও এক নির্দেশিকায় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন সিরাপ নিষিদ্ধ (Cough Syrup)?

    শীতের সময় ঠান্ডা লাগলেই থাকে সাধারণ ভাবে। আর তাই ঠান্ডা আর কাশি (Cough Syrup) থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপের ব্যবাহার ব্যাপাক ভাবে বেড়ে যায়। তবে সব সিরাপ ব্যবহার যোগ্য এমনটাও নয়। শিশুদের জন্য ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন বা এফডিসি-র অন্তর্গত কোনও সিরাপ ঠান্ডায় ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ক্লোরোফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন— এই দুই ধরনের উপাদান মিশ্রিত ওষধ বন্ধ করতে হবে। এমনকী, নিজের উৎপাদনের উপর সতর্কতা জ্ঞাপক কথা হিসাবে “৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এফডিসি ব্যবহার করা উচিত নয়” লিখতে হবে বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ওষধ প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়েছে সিডিএসসিও। 

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের বক্তব্য

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, “২১০৪টি পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ১২৮টি সংস্থার মধ্যে ৫৪টি ওষধ কাশি (Cough Syrup) নিরাময়ে সাফল্য লাভ করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ওষধের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা গিয়েছে নিম্নমানের ওষধ খাওয়ার কারণেই। এর পরে পরেই আমেরিকা এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে কাশির সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপর থেকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশি সিরাপ ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19 in India: ষাটোর্ধ্বদের মাস্ক বাধ্যতামূলক! দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘পিরোলা’, সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    Covid-19 in India: ষাটোর্ধ্বদের মাস্ক বাধ্যতামূলক! দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘পিরোলা’, সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনার রক্তচক্ষু। কোভিড (Covid-19 in India) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০-এর কাছে। তবে এখনই আতঙ্কিত হতে দেশবাসীকে নিষেধ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সংক্রমণ বাড়ছে ঠিকই তবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দক্ষিণের রাজ্য কেরলেই দাপট দেখাচ্ছে করোনা। সব চেয়ে আতঙ্ক-ছড়ানো ভ্যারিয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পিরোলা’ ওরফে ‘বিএ.২.৮৬’ (BA.2.86 or Pirola)। দেখা গিয়েছে, শীত পড়তেই এ বছর বেড়ছে করোনার (Corona Virus) দাপট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায়  নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন।

    কেরলে বাড়ছে করোনা

    কেরলে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। দক্ষিণের এই রাজ্যে কোভিডের (Covid-19 in India) নতুন উপরূপ জেএন.১ ধরা পড়ার পর থেকেই ওই রাজ্য তো বটেই, কেরলের সীমানালাগোয়া কর্নাটকের জেলাগুলিতেও এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে কর্নাটক সরকার ষাটোর্ধ্বদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্যে। এ ছাড়াও যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    দেশে জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে সম্প্রতি। কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট জাপান, কোরিয়াতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সব রাজ্যগুলিকে। নিয়মিতভাবে জেলাভিত্তিক করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে। অবশ্য সরকার জানিয়েছে, সার্বিক ভাবে দেশে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০০০। এদিকে কেরলেই কোভিডের বাড়বাড়ন্ত তুলনামূলক ভাবে সবথেকে বেশি। এই আবহে কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১ থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই রাজ্যে ১০ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে চিন্তা বাড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JN.1: করোনার নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ কতটা বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    JN.1: করোনার নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ কতটা বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ (JN.1)-এ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল কেরলে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বহেল জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর তিরুঅনন্তপুরম জেলার কারাকুলামে এক করোনা পজিটিভ রোগী মিলেছে, যিনি জেএন ১ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আগেই তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে সিঙ্গাপুর থেকে আগত এক পর্যটকের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ভারত ছাড়াও সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, চিনে এই সাবভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। চিনে জেএন ১ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। গত ১৫ ডিসেম্বর চিনে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।

    নতুন কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি এই সাবভ্যারিয়েন্টে

    বিশেষজ্ঞরা এই সাবভ্যারিয়েন্টের ধরন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, নতুন কোনও উপসর্গ জেএন১ আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া যায়নি। দেখা যাচ্ছে জেএন ১ আক্রান্তদের শরীরে লক্ষণ কোভিড ১৯-এর মতোই। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতাও লক্ষ্য করা যায়নি। কোনও ওষুধ ছাড়া অথবা হালকা ওষুধেই তাঁরা সেরে উঠছেন বলে খবর। করোনার চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলিই এক্ষেত্রে কার্যকরী হবে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। করোনার ভ্যাকসিনও এক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকরী।

    জেএন১ সাবভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

    ১. জেএন ১ (JN.1) সাব-ভ্যারিয়েন্ট প্রথম লুক্সেমবার্গে শনাক্ত করা হয় বলে জানা যায়। তারপরেই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    ২. চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল।

    ৩. বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনার টিকা সাধারণত ভাইরাসের মধ্যে থাকা স্পাইক প্রোটিনকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালায়। ভারতের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের (JN.1) বিরুদ্ধেই কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ৪. তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের (JN.1) ব্যতিক্রমী চরিত্রও আছে। তা হল, এটি স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমে মিউটেশন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি করে।

    ৫. জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। এবং রোগীরা প্রায় কোনও চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে নিজেরাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    ৬. জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ছোটখাট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলি এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে (JN.1) আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ফের দেশে বাড়ছে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ। লকডাউনের পরিস্থিতি যাতে ফের ফিরে না আসে, তাই আগে থেকেই কোভিড নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাল দিল্লি। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশু পন্থ চিঠি পাঠিয়েছেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মরশুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি জানাল, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে। 

    কেন নির্দেশিকা

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বর্তমানে যে সংশোধিত গাইডলাইন রয়েছে কোভিড (COVID-19) নিয়ে, তা মেনে চলার উপর প্রতিটি রাজ্যকে জোর দিতে বলা হয়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ সামান্য বেড়ে গিয়েছে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে ৭৯ বছরের এক মহিলার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তিনি জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা ভাইরাসের জেএন.১ উপপ্রজাতি। তাই, রাজ্যগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হানায় পাকিস্তানে খতম লস্কর জঙ্গি হাবিবুল্লা

    কেন্দ্রের পরামর্শ

    আসন্ন উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে জনস্বাস্থ্যের দিকটি নজর রাখা উচিত। রোগ যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে গাইডলাইন রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও অসুস্থতা বা শ্বাসজনিত কোনও অসুস্থতার উপর জেলাস্তরে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে সেই তথ্য ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফরমেশন পোর্টালে তোলার জন্য বলা হয়েছে। জোর দিতে বলা কোভিড পরীক্ষার গাইডলাইনের উপরেও। জেলাস্তরে যাতে নির্দিষ্ট অনুমাতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কোনও নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য বলা হয়েছে। যাতে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে কি না, তা আগে ভাগে শনাক্ত করা যায়। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তাও দেখে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।

    সতর্কবার্তা হু-এর

    দেশগুলিকে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্বে কোভিড কেসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে বলা হয়েছে দেশগুলিকে। পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য শেয়ার করতেও বলা হয়েছে।  সামনেই বর্ষশেষের উৎসবের মরসুম। ভিড় হবে। তাই সেই সময় অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেনে চলতে বলা হয়েছে কোভিড বিধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid in India: ফের করোনা-আতঙ্ক! দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৩৫, মৃত্যু বেড়ে ৫ 

    Covid in India: ফের করোনা-আতঙ্ক! দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৩৫, মৃত্যু বেড়ে ৫ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছুঁইছুঁই! গত কয়েক দিনে কোভিডে সংক্রমণ যে শুধু লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে, তাই নয়, ঘটছে কোভিড-মৃত্যুও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রামিত হয়েছে। ফলে, চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছল ১,৭০১-এ। একই সময়ে কোভিডে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে চারটি মৃত্যুই হয়েছে কেরলে। অপর মৃত্যুটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। 

    বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    এই বার কেরালাতেই প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, সকলে যেন সাবধানে থাকেন, আতঙ্ক না ছড়িয়ে যেন সমস্ত নিয়মকানুন প্রাথমিক ভাবে মেনে চলেন। আরও জানা গিয়েছ, একটা জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR) জানিয়েছিল, কেরলের এক ৭৯ বছর বয়সী মহিলা কোভিড রোগীর দেহে কোভিড-১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলামের বাসিন্দা। ৮ ডিসেম্বর জানা গিয়েছিল তিনি করোনা পজিটিভ। তার আগে, তাঁর শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ ছিল। তবে, বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। 

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি বলিউড অভিনেত্রী কাজলের মা তনুজা, ভক্ত মহলে উদ্বেগ

    সতর্কবার্তা হু-এর

    এবার সব চেয়ে আতঙ্ক-ছড়ানো ভ্যারিয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘পিরোলা’ ওরফে ‘বিএ.২.৮৬’ (BA.2.86 or Pirola)। দেখা গিয়েছে, শীত পড়তেই এ বছর বেড়ছে করোনার দাপট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায়  নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন! এর জেরে চিকিৎসাধীন করোনারোগীর সংখ্যাও বাড়ল। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে শুধু ভারতে নয়, দুনিয়াজুড়েই বাড়ছে করোনার প্রকোপ। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। সতর্কবার্তা জারি করেছে হু (WHO)। তবে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হু। সিঙ্গাপুর-সহ নানা দেশেই কোভিডের দাপট বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বড়দিনের সময়ে উৎসবের মরশুমে বিশেষ করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: কেরলে বৃদ্ধার শরীরে কোভিড উপরূপ জেএন ১, “ভয় নেই’, বলছে সরকার

    Covid 19: কেরলে বৃদ্ধার শরীরে কোভিড উপরূপ জেএন ১, “ভয় নেই’, বলছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এক বৃদ্ধার শরীরে মিলল কোভিড সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ এর জীবাণু (Covid 19)। থিরুভানাথাপুরম জেলার কারাকুলামে টিআর-পিসিআর পজিটিভ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৮ ডিসেম্বর। নভেম্বরের ১৮ তারিখে জানা যায়, একজনের শরীরে রয়েছে করোনার জীবাণু। কেরলের এই বৃদ্ধার বয়স ৭৯ বছর। এর আগে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন করোনায়।

    ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ

    এবার তাঁর শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ দেখা গিয়েছে। পরে দেখা যায়, তিনি কোভিড সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন ১-এ সংক্রমিত। এদিকে, রাজ্যের হাসপাতালগুলি করোনা (Covid 19) পরিস্থিতির মোকাবিলায় কতটা সক্ষম, তা জানতে মক ড্রিল করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিডে সংক্রমিতের দেখা মিলছে কেরলে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ দেখে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল রোগীদের। তখনই জানা যায় বিষয়টি। এই কেসগুলির সিংহভাগেরই মৃদু লক্ষণ দেখা গিয়েছে। কোনও চিকিৎসা ছাড়াই রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বাড়িতে থেকেই। কেরলের এন্ট্রি পয়েন্টে নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর।

    কী বললেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী?

    এদিকে, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ রবিবার বলেন, “জেএন ১ চিহ্নিত করা হয়েছে কোভিড ১৯ এর সাব ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে। তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।” প্রসঙ্গত, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটির প্রথম খোঁজ মিলেছিল আমেরিকায়। গত সেপ্টেম্বরে তার খোঁজ মেলে। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় যে ক’জন কোভিড রোগী এই মুহূর্তে রয়েছেন, তাঁদের ১৫-২৯ শতাংশের দেহে রয়েছে জেএন-১ সাব ভ্যারিয়েন্ট। ভারতে এখনও পর্যন্ত একটি এই ধরনের রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তিনি হলেন কেরলের এই বৃদ্ধা।

    আরও পড়ুুন: চোখ উপড়ে, পুরুষাঙ্গ কেটে খুন পুরোহিতকে, রণক্ষেত্র বিহারের গোপালগঞ্জ

    জর্জ বলেন, “জেএন ১ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এটা একটা সাব ভ্যারিয়েন্ট। এটা এই সবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দু তিন মাস আগে ভারতে এটা চিহ্নিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে যখন করোনা পরীক্ষা করা হয়, তখনই খোঁজ মেলে এই জীবাণুর।” বীণা বলেন, “এটা ভারতের একটা অংশে রয়েছে। কেরলে এটা চিহ্নিত করা গিয়েছে। যেহেতু কেরলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব ভাল। জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা এটা চিহ্নিত করেছিলাম। তাই এনিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।” তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, কো-মর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবেন। সরকারও সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজরও রাখছে (Covid 19)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share