Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid-19: করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১! বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক মাস্ক

    Covid-19: করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১! বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার মাস্কে মুখ ঢাকার আতঙ্ক বিশ্বের নানা প্রান্তে। হঠাতই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। করোনার নয়া উপরূপ জেএন.১ দাপট দেখাচ্ছে চিনে। ভারতেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিদিন কোভিড-রোগীর (Covid-19) সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও।

    নয়া উপরূপের সন্ধান

    কোভিড-১৯-এর (Covid-19) নতুন একটি উপরূপের খোঁজ মিলেছে চিনে। যার নাম জেএন.১। চিনে ইতিমধ্যে অন্তত সাত জন রোগীর শরীরে ভাইরাসের নতুন এই উপরূপ পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, করোনর নতুন উপরূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার এই উপরূপটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। গত সেপ্টেম্বরে তার খোঁজ মেলে। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় যে ক’জন কোভিড রোগী এই মুহূর্তে আছেন, তাঁদের ১৫-২৯ শতাংশের দেহে রয়েছে জেএন.১ উপরূপ। ভারতে এখনও পর্যন্ত একটি এই ধরনের রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর কেরলের এক জনের দেহে মিলেছে নতুন উপরূপটি। 

    মাস্ক বাধ্যতামূলক

    সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিঙ্গাপুরে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে। করোনার শেষ ভ্যারিয়ান্ট  বিএ.২.৮৬ এর প্রজাতি জেএন.১ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে হাসপাতালগুলিতে এমনকি আইসিইউয়ে করোনা রোগীর ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাস্ক পরা-সহ করোনা বিধি মেনে চলার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। বিশেষত, বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরা এবং কোভিডের দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আগাম সতর্কতা হিসাবে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও প্রবেশের ক্ষেত্রে শুক্রবার থেকে সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    ভারতে করোনার দাপট

    শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কেরলে করোনা আক্রান্তের হার সবেচেয়ে বেশি। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই শতাধিক। একমাস আগেও ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫০০-র কম ছিল। কিন্তু, শীত পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। তবে এখনই এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে উপসর্গ মৃদু দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Medicine: ঠিক নেই ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র   

    Medicine: ঠিক নেই ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজারে রয়েছে ওষুধ (Medicine)। আমজনতা তা কিনেও খাচ্ছেন। তবে তার গুণগত মান ঠিক রয়েছে কিনা, তা জানেন না তাঁরা। জানার কথাও নয়। তবে এখন যখন জানা গিয়েছে, তখন চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। জানা গিয়েছে, সুগার, হৃদরোগ, শিশুদের ওষুধ এবং অ্যান্টি বায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান ঠিক নেই। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে সব রাজ্যকে।

    রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে সতর্ক

    সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে সারা বছর বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয় এমন ৫৯টি ওষুধ, যেগুলির গুণমান ঠিক নয়। এই তথ্য হাতের আসের পরেই দেশের সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে। এই অর্গানাইজনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ১ হাজার ১০৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল (Medicine)। এর মধ্যে ৫৯ ধরনের ওষুধের গুণমান ঠিক নয়। এই তালিকায় রয়েছে সুগার, হৃদরোগ, শিশুদের ওষুধ এবং অ্যান্টি বায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যে ব্যাচগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট ৫৯ ধরনের ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই ব্যাচ নম্বর ধরে সতর্ক করা হয়েছে সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে।

    এসএসকেএমে রোবোটিক সার্জারি 

    এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামক্সিলিন, পটাশিয়াম ক্লেভালনেট অ্যান্ড ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাসিলাস ট্যাবলেট, রাবেপ্রাজল সোডিয়াম অ্যান্ড ডমপেরিডোন ক্যাপসুলস, ডাইক্লোফেনেক সোডিয়াম ট্যাবলেটস আইপি ৫০ এমজির মতো ওষুধও। এদিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে এবার চালু হতে চলেছে রোবোটিক সার্জারি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন আউটডোর ভবনের একটি তলে বিশেষ অপারেশন থিয়েটার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখানেই হবে রোবোটিক সার্জারি।

    আরও পড়ুুন: মথুরার শাহি মসজিদে সমীক্ষায় সায় আদালতের, হদিশ মিলবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের?

    নতুন বছরের গোড়ায়ই চালু হয়ে যাবে এই সার্জারি। তবে কোন কোম্পানির তৈরি যন্ত্রে ওই সার্জারি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এজন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়া। চিকিৎসকদের মতে, রোবোটিক সার্জারি প্রযুক্তিতে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। জানা গিয়েছে, নামে রোবোটিক সার্জারি হলেও, আদতে চিকিৎসা করবেন রোবটের নিয়ন্ত্রক শল্য চিকিৎসকরাই। কম্পিউটার স্টেশনে বসে রোবোটিক হাতের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবেন তাঁরাই (Medicine)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রক্তে অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) নিয়ে ভুগতে হচ্ছে অনেককেই। ডায়াবেটিস আর এখন‌ শুধু প্রৌঢ়কালের সমস্যায় আটকে নেই। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়বেটিসের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়াটাই শুধু সমস্য়া নয়। কমে যাওয়াও বড় বিপদ তৈরি করে। অনেকের হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এই ওঠানামার জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ছে কিনা, তা দেখার পাশপাশি খেয়াল রাখতে হবে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিনা।‌ দ্রুত এই সমস্যা মোকাবিলা না করলে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি? (Blood Sugar) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। কারণ, অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ ওঠানামা করে। শর্করার মাত্রাও অস্বাভাবিক থাকে। ফলে, হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করার ঝুঁকি তাঁদের‌ বেশি হয়।‌
    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হঠাৎ অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হলে, কিংবা হার্ট, কিডনির জন্য নতুন কোনও ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) কমে যায়। 
    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। খাবার না খাওয়া, ডায়েটের রেওয়াজ করে ফেলেছেন অনেকেই। আর এতেই ঘটছে বিপত্তি। পর্যাপ্ত না খেয়ে অতিরিক্ত শরীর চর্চা, কিংবা সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার না খাওয়া, এই ধরনের অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়।

    কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে হঠাৎ শর্করার (Blood Sugar) মাত্রা কমে গেলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর ফল পড়ে সুদূরপ্রসারী।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বারবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কিডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফলে, একাধিক অঙ্গ বিকলের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত মোকাবিলা করতে হবে। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, তাদের নিয়মিত বাড়িতে গ্লুকোমিটারের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) পরিমাপ করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমলে পনেরো মিনিটের মধ্যে, তা মোকাবিলা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাদের পরামর্শ, চিনি নয়, বরং ক্যান্ডি বা জেলি জাতীয় খাবার ১৫ গ্রাম খেলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তবে, সবচেয়ে উপকারী মিষ্টি ফলের রস। যে কোনও ধরনের জুস ১৫ মিলিলিটার খেলে, দ্রুত শর্করার পরিমাণ ঠিক হয়ে যায় বলেই পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি অনেক সময়ে রক্তে মিশতে সময় নেয়। কিন্ত জেলি, জুসের মতো‌ খাবার দ্রুত শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের (14 Hours Fasting) ব্যবধান রাখতে হবে। সেই বযবধান ১৪ ঘণ্টা হলে সবচেয়ে ভাল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ১০ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ যদি নিজেদের খাদ্য গ্রহণ করে তা শরীরকে সতেজ রাখবে। গবেষণা বলছে কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত বিরতি দিয়ে খাবার খান। কখনওই খাবার সময় পরিবর্তন করবেন না। ঘুম থেকে ওঠার পর ১০ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিন তাহলে যা খেলেন তা হজমের জন্য পুরো সময় পাওয়া যাবে।

    ঘুম ভাল হয়, মেজাজ ঠিক থাকে

    শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে৷ ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে আমাদের শরীর প্রভূত ক্ষতি হয়৷ সবসময় কেমন যেন একটা ক্লান্তির ঘোর লেগে থাকে শরীরে, এমনকি মনেও৷ আসলে, স্ট্রেস আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে৷ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে বলে জানা যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুম ভাল হয়। মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে।

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেদ ঝরে দ্রুত

    ১৪ ঘণ্টার উপবাস আমাদের শরীরের মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া, শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। এই নিয়ম মানলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। মন স্থির হয়, মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতি শক্তি  বাড়ে ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই নিয়ম মানলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে, নতুন স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Arthritis Day: আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস, জানেন রোগ সম্পর্কে?

    World Arthritis Day: আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস, জানেন রোগ সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ১২ অক্টোবর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day) হিসেবে। রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সাল থেকে পালিত হয় দিনটি। বিশ্বের বহু মানুষ এই রোগে ভুগলেও, সেই অর্থে গড়ে ওঠেনি সচেতনতা। সেই কারণে ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়ম করে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

    আর্থ্রাইটিস কী?

    চিকিৎসকদের মতে, আর্থ্রাইটিস কোনও নির্দিষ্ট অঙ্গের ব্যথা নয়। বরং নানা অঙ্গেই এটা হতে পারে। আঙুলের গাঁটে গাঁটে যে ব্যথা হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকেও আর্থ্রাইটিস বলা হয়। শরীরে কোনও আঘাত না লাগলেও, কোনও ব্যক্তি কাবু হতে পারেন এই রোগে। আর্থ্রাইটিস (World Arthritis Day) হল সন্ধিস্থলের প্রদাহ। নিত্য এই প্রদাহ হলে তার প্রভাব পড়ে সন্ধিস্থলের টিস্যুগুলিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর সঙ্গে সংযোগকারী টিস্যুগুলিও। যার জেরে সন্ধিস্থলের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন রোগী।   

    আর্থ্রাইটিসের রকমফের   

    বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে শুরু হয় ক্ষয়। যার জেরে দুর্বল হতে থাকে হাড়-মজ্জা। ক্ষরণ কমবেশি হয় নানা হরমোনের। তাই শুরু হয় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন এই রোগের শিকার। বিশ্বে ১০০-রও বেশি ধরনের আর্থ্রাইটিস রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ হল দু’টি – অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।

    আর্থ্রাইটিস রোগের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত খেতে হবে দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকায় হাড়ের ক্ষয় কমে। শক্তিশালী হয় হাড়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত দু’ দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে রুই, টুনা এবং স্যামন মাছ।

    আরও পড়ুুন: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু

    আর্থ্রাইটিসের জন্য বাদাম বেশ উপকারী। নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন আখরোট, পেস্তা ও কাঠ বাদাম। কারণ এগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ফাইবার। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হাড়কে রক্ষা করে গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ বছর বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবসের (World Arthritis Day) থিম হল, লিভিং উইথ অ্যান আরএমডি অ্যাট অল স্টেজেস অফ লাইফ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • World Heart Day: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায় 

    World Heart Day: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস (World Heart Day)। সারা বিশ্বে মানুষকে কার্ডিওভাস্কুলার নানা সমস্যা নিয়ে সচেতন করার জন্যই আলাদা করে একটা দিনের উদযাপন। ২০২৩-এর বিশ্ব হার্ট দিবসের থিম হল, “Use Heart, Know Heart” অর্থাৎ, হৃদযন্ত্র শুধু ব্যবহার করবেন না, আপনার হৃদযন্ত্রকে জানুন।

    কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক

    এখন ২০ বছর বয়সেও হার্টের অসুখ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে হার্টের অসুখের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব আরও বাড়ছে। সেই উপলক্ষ্যেই এই দিবসটির (World Heart Day) গুরুত্বও বাড়ছে। হৃদরোগ এবং হৃদরোগের কারণে মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়াই বিশ্ব হার্ট দিবসের লক্ষ্য। চিকিৎসকদের কথায়  হাই ব্লাড প্রেসার মহামারীর থেকে কম কিছু নয়! শুধু বয়স্করা নয়, কমবয়সীরাও রীতিমতো ঘায়েল হচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়। আর তার ফলস্বরূপ কমবয়সেই হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক!

    দিনটির গুরুত্ব কেন বাড়ছে

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ফি বছর সারা পৃথিবীর প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেলিওরের মতো কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। তাই দীর্ঘায়ু হওয়ার ইচ্ছে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব হার্টের দিকে নজর ফেরান। শেষ এক দশকে হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই এই দিনটির (World Heart Day) গুরুত্বও এখন অপরিসীম।

    হার্ট সুস্থ রাখার উপায়

    হার্ট (World Heart Day) ভালো রাখতে চাইলে সব সময় অ্যাক্টিভ থাকুন। প্রতি সপ্তাহে ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন। কিংবা হাঁটুন। শাকসবজি, বিনস, মাছের স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এতে মিলবে উপকার। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এই সকল খাবার। স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খান সীমিত। মাখন, চর্বি, চর্বিযুক্ত মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য যতটা পারবেন কম খান। এমন খাবার হার্টের জন্য মোটেই ভালো নয়। হার্ট ভালো রাখতে চাইলে আপনার ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে। হার্ট অ্যাটাক থেকে স্ট্রোকের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে এই স্থূলতা। হার্ট ভালো রাখতে সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলুন। রোজ সঠিক সময় খাবার খান। রোজ সঠিক সময় ঘুমান। রোজ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বিশ্রাম নিন।  

    হার্ট অ্যাটাকের পিছনে

    হার্টের রোগের ফাঁদে পড়ার অন্যতম কারণ হল দীর্ঘদিনের হাই সুগার, প্রেশার ও কোলেস্টেরল। আসলে এই রোগগুলি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হার্টের বারোটা বাজাতে পারে। তাই হৃদরোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আপনাকে ডায়াবিটিস, প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মতো ঘাতক অসুখকে বাগে আনতেই হবে। আজকাল আমরা সকলেই দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাই। আর এই কারণেও হার্টের (World Heart Day) রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত প্রাণায়াম বা যোগা করে স্ট্রেস কমান।

    আরও পড়ুন: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    হাসিতেই সমাধান

    হার্টের সমস্যায় নানা ওষুধ তো আবিষ্কার হয়েছে, তবে হাসিতেই মিলবে হৃদযন্ত্রের সমস্যার সবচেয়ে বড় সমাধান! এমনই দাবি করছেন ব্রাজিলের একদল বিজ্ঞানী। তাঁর বলছেন ‘লাফটার থেরাপি’র মাধ্যমেই হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বার্ষিক বৈঠকে বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে হাসি-চিকিৎসার বিকল্প নেই৷ হাসি একদিকে যেমন এন্ড্রোফিন রিলিজ করে, তেমনই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: মৃত্যুর হার করোনার থেকে বেশি! নিপা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর

    Nipah Virus: মৃত্যুর হার করোনার থেকে বেশি! নিপা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)। নিপার সংক্রমণে মৃত্যুর হার কোভিডের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সতর্কতা জারি করে এই বার্তা দিল কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’(ICMR)। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) রাজীব বহল শুক্রবার জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০-৭০ শতাংশ। অন্য দিকে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার নিপার তুলনায় অনেকটাই কম। মাত্র ২-৩ শতাংশ।

    আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি

    কেরলে নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ছ’জন নিপায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কেরলের কোঝিকোড়, কান্নুড়, ওয়েনাড় এবং মলপ্পুরমে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিপা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আরও অন্তত ২০টি ডোজ আনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এর আগে ২০১৮ সালে ওই অ্যান্টবডি আনা হয়েছিল। তার মধ্যে বর্তমানে যতটুকু আছে, তাতে ১০ জন রোগীর চিকিৎসা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একেবারে শুরুর দিকেই রোগীকে এই অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তবেই ফল পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ভারতে কাউকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজীব বাহল তথ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের বাইরে ১৪ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তবে এই অ্যান্টিবডি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কেরল সরকার, ডাক্তার এবং রোগীদের পরিবারের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে, বলেছেন রাজীব।

    আরও পড়ুন: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    সতর্কতা বিভিন্ন রাজ্যে

    শুক্রবার কেরলের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, যাঁরা ওই সব রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদেরও চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদেরও একান্তবাসে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কেরলের পাশাপাশি কর্নাটক এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান সরকার বৃহস্পতিবার নিপা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। একই সঙ্গে, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকেও নিপা ঠেকাতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। বর্ষার মরশুমে কয়েক গুণ বেড়েছে ডেঙ্গির দাপট। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক জটিলতা। সুস্থ হলেও ক্লান্তি আর দুর্বলতা গ্রাস করছে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে সঙ্গে থাকুক বিশেষ ফল (Dengue And Kiwi)। আর তাতেই এড়ানো যাবে বড় বিপদ।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেখতে খানিকটা সবেদার মতো। কিন্তু কাটলেই সম্পূর্ণ আলাদা। মোটা বাদামি খোসা ছাড়ালেই হালকা সবুজ রং। আর কালো রঙের দানা! দাম বেশি হলেও বাজারে এখন দেদার পাওয়া যাচ্ছে কিউই। পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, এই ফল (Dengue And Kiwi) নিয়মিত খেলেই একাধিক বিপদের সঙ্গে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা সহজ হবে।

    কী উপকার আছে এই ফলে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই নিয়মিত একটা খেলে শরীরের জন্য তা যথেষ্ট উপকারী। কিউই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ফল নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। বিশেষত বর্ষা বা শীতের ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ফল নিয়ম করে খেলে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ এড়ানো যায়। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে এই ধরনের রোগকে বাসা বাঁধতে দেয় না। তাই ডেঙ্গির মতো রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। পাশাপাশি ভিটামিন সি-র জোগান অব্যাহত থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিউই (Dengue And Kiwi) ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডেঙ্গি হলে কিডনি, লিভার এবং চোখে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গি জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এমনকি প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই ডেঙ্গি হলে কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। যাতে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। 

    কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডেঙ্গি হলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অনেক সময়ই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এই সময়ে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। নিয়মিত একটা কিউই খেলে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব। 

    এর পাশপাশি, পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, ফুসফুস থেকে জরায়ু, যে কোনও রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

    তাছাড়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিউই ফল। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের হজমের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই কিউই সেই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি, যেহেতু কিউই হজম শক্তি বাড়ায়, তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের খাবারের ইচ্ছে বজায় থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যা খুবই জরুরি।

    কীভাবে খাবেন কিউই? 

    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে নিয়মিত একটা কিউই (Dengue And Kiwi) খাওয়া উচিত। তবে, অতিরিক্ত কোনও রকম নুন বা মশলা মেশানো হলে, গুণমান কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, পরিষ্কার জলে ধুয়ে এই ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ডেঙ্গি হলে অনেক সময়ই খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তখন কিউই শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটসের মতো করে খাওয়া যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিউই কেটে গোলমরিচ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখলে তার স্বাদ যেমন থাকে, তেমনি উপকারও এক রকম থাকে। তাই এভাবেও কিউই ফল রাখা যেতে পারে। এতে খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনার নয়া রূপ নিয়ে চিন্তা! উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, প্রস্তুত সরকারও

    Covid 19: করোনার নয়া রূপ নিয়ে চিন্তা! উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, প্রস্তুত সরকারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস (Covid 19)। সম্প্রতি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপের কারণে প্রস্তুতি পর্ব সারতে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসলেন৷ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ইংল্যান্ড জুড়ে শুরু হওয়া করোনার নতুন রূপ (ভ্যারিয়ান্ট) ইজি ৫.১ অথবা এরিসের বাড়াবাড়িতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় বৈঠক

    কোভিডের (Covid 19) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়৷ এই মিটিংয়ে ছিলেন, নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পাল, ছিলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা অমিত খারে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, শ্রী সুধাংশু পন্থ-সহ অনেকেই৷ একাধিক ভ্যারিয়্যান্ট বা প্রজাতির কোভিড সংক্রমণ নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন স্বাস্থ্য সচিব৷ দেশে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সংখ্যা বাড়াতে সক্রিয় হতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার সামগ্রিক সংখ্যা বাড়ানোতেও।

    নতুন ভ্যারিয়্যান্টের উপসর্গ

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এরিস রূপটিকে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে ইংল্যান্ডে করোনার (Covid 19) এই নয়া রূপে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইংল্যান্ডে ১০ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল এক জনের শরীরে এরিস রূপ মিলছে। কোভিডের উপসর্গের সঙ্গে এই  নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কিছুটা পার্থক্য আছে। গবেষণা মতে, স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পরিবর্তিত এই বিশেষ স্ট্রেইন কিছু নতুন উপসর্গ যুক্ত। তবে খুব একটা আলাদা নয়। সর্দি, হাঁচি-কাশি, হালকা জ্বর এবং মাথা ঘোরা হল করোনার নয়া রূপে আক্রান্তদের সাধারণ উপসর্গ। এর সংক্রমণের হার বেশি হলেও কোভিড-১৯ এর মত এটি ভয়াবহ নয়।

    আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামস্বামী?

    কী বলছে কেন্দ্র 

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে পৃথিবীর ৫০টি দেশে এই এরিস প্রজাতি ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২১৯টি কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের খবর মিলেছে শেষ সাত দিনে৷ এর মধ্যে ভারতে এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে মোটে ২২৩ জন, মোট আক্রান্তের ০.০৭৫ শতাংশ৷ দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে ৫০-এর নীচে৷ পজিটিভিটি রেট ০.২ শতাংশ৷ পাশাপাশি করা হচ্ছে জিনোম সিকোয়েন্সিংও৷ তিনি বলেছেন, সারা দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু যে কোনও জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেই সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষো দিতে তৈরি আছে প্রশাসন৷ বিশেষজ্ঞরা এ-ও জানাচ্ছেন, এই প্রেক্ষিতে ‘বুস্টার শট’ নেওয়া খুব জরুরি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fever Detector App: থার্মোমিটারের দরকার নেই! ফোন থেকেই চেক করতে পারবেন ডেঙ্গির জ্বর 

    Fever Detector App: থার্মোমিটারের দরকার নেই! ফোন থেকেই চেক করতে পারবেন ডেঙ্গির জ্বর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি হোক বা কোভিড কিংবা ভাইরাল জ্বর, বডি টেম্পারেচার মাপতে হবে ঘন ঘন। জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে গা। অথচ হাতের কাছে নেই থার্মোমিটারটা। হাতের কাছে স্মার্টফোনটা তো আছে! থার্মোমিটারের প্রয়োজন পড়বে না স্মার্টফোনে ডাউনলোড করুন একটি বিশেষ অ্যাপ তাহলেই বডি টেম্পারেচার মাপতে পারবেন।

    জেনে নিন সেই বিশেষ অ্যাপ

    ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের (UW) গবেষকরা একটি স্মার্টফোনকে থার্মোমিটারে রূপান্তর করতে ‘ফিভারফোন’ অ্যাপ তৈরি করেছেন। এতে আপনি কোনও হার্ডওয়্যার কানেকশন ছাড়াই আপনার জ্বর আছে কি না পরীক্ষা করতে পারবেন। ইউডব্লিউ-এর ছাত্র জোসেফ ব্রেডা গবেষণাটি শুরু করেন। এই অ্যাপটি ফোনে আপনার তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করবে। এতে লাগানো সেন্সরটি ডিভাইসের কাছে আসা যে কোনও গরম জিনিসকে শনাক্ত করবে। অ্যাপটিকে অন করে কপালের সামনে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ফোনের টাচ স্ক্রিনটি কপালের সামনে থাকে। সঠিক ভাবে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ফোনটিকে ৯০ সেকেন্ড মতো কপালে ঠেকিয়ে রাখতে হবে। যদি স্ক্রিনে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় তবে জ্বর এসেছে। অ্যাপটি নিয়ে এখন নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তা কবে বাজারে আনা হবে, সেটা নিয়ে এখনও জানাতে পারেননি গবেষকরা। এখন শুধু বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাপটি।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    অন্য অ্যাপগুলি

    বডি টেম্পারেচার থার্মোমিটার: এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে দশ লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে পারে, যাতে সহজেই বোঝা যায় আপনার জ্বর আছে কি না।
    বডি টেম্পারেচার অ্যাপ: এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ৩.৭ রেটিং পেয়েছে এবং এটি এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন।
    থার্মোমিটার ফর ফিভার ট্র্যাকার: শরীরের তাপমাত্রা চেক করতে পারবেন এই অ্যাপটির সাহায্যে। এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোরে ১ লাখ ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন এবং এটি ৩.২ রেটিং পেয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share