Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Health Day: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস! জানেন চলতি বছরের থিম কী ছিল? 

    World Health Day: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস! জানেন চলতি বছরের থিম কী ছিল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ০৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালিত হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়ে বহু বছর আসছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করাও এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা সম্পর্কে ব্যক্তিকে সচেতন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস

    ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। স্বাস্থ্য সমস্যায় নজর রাখা ও তার নিবারণ এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। তবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের প্রত্যেকটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এই দিনটি পালনের পিছনে অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

    এ বছরের থিম

    প্রতি বছরই কোনও না-কোনও থিমকে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day) পালিত হয়। গত কয়েক বছরে বিশ্ব করোনা সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তাও টের পাওয়া গিয়েছে। চলতি বছর এই দিবস পালনের থিম হল ‘সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য’। WHO-এর প্রতিষ্ঠা দিবসই প্রতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। যে স্বাস্থ্য সমস্যা কোনও নির্দিষ্ট বছরকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্য দিবসের থিম নির্ধারণ করা হয়। তাই এ বছরের থিমও তাই সকলের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। কারণ এটি ভালো করেই বোঝা গিয়েছে, এক জনের সঙ্গে সকলের স্বাস্থ্যের সূত্র জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত নাগরিক যাতে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন, তা নিশ্চিত করাই এই দিনটির উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Watermelon: ভুলে যান কোল্ড ড্রিঙ্কস! এই গ্রীষ্মে সতেজ থাকুন তরমুজে, জানেন উপকারিতা?

    Benefits of Watermelon: ভুলে যান কোল্ড ড্রিঙ্কস! এই গ্রীষ্মে সতেজ থাকুন তরমুজে, জানেন উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম পড়তেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। তাপমাত্রার পারদ যে ভাবে চড়ছে তাতে ভরসা এখন এই লাল ফলেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোল্ড ড্রিংস নয়, বরং সতেজ রাখে তরমুজই (Benefits of watermelon)! তরমুজের মধ্যে ৯২ শতাংশ রয়েছে জল। তরমুজের মধ্যে সামান্য ক্যালোরি থাকে। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার।

    একনজরে দেখে নিই তরমুজের উপকারিতা (Benefits of watermelon)

    ১. তরমুজ শরীরে জলের অভাব মেটায়

    তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জল থাকে। ফলে গরমে শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে কিন্তু তরমুজ খুব ভাল কাজ করে। সেই সঙ্গে কিন্তু হজমেও সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

    ২. তরমুজ বাড়তি ওজন কমায়

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম কাল ওজন কমানোর জন্য সেরা সময়। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। আর তাই গরমে বাজারে উপলুব্ধ ঠান্ডা নরম পানীয় না খেয়ে তরমুজ খান। উপকারে আসবে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে ওজন বাড়ারও ভয় নেই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল। ফাইবারের ফলে তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

    ৩. তরমুজ কিডনি সমস্যারও সমাধান করে 

    পুষ্টিবিদদের মতে, তরমুজের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। যা আমাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যা থেকেও দূরে রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

    ৪. তরমুজ ত্বক ভাল রাখে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে তা ত্বকেও প্রভাব ফেলবে। গরমে বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়া দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে ভিটামিন সি। মাড়ির টিস্যুতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রোধ করতে পারে এই ফল।

    ৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হল তরমুজ

    তরমুজে থাকা কোলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কোলিন বেশ সহায়ক।

    ৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে তরমুজ

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকাও রয়েছে তরমুজের। তরমুজের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে থাকে নিট্রিক অক্সাইড ডিলায়েটস- যা রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রোধ করে।

    ৭. হার্টের সমস্যার সমাধান করে তরমুজ

    হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য। কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।

    তরমুজের বীজের উপকারিতা…

    তরমুজের বীজ কিন্তুও খুব উপকারী। যা কপার, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজে সমৃদ্ধ। তরমুজের বীজে উচ্চ প্রোটিন রয়েছে। আপনার সারাদিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০% আপনি পাবেন এই এককাপ (৩০.৬ গ্রাম) তরমুজের দানায়। শরীরে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে এর মধ্যে। তার মধ্যে একটি হল আর্গিনাইন, যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনারি হার্ট ডিজিজের চিকিত্‍‌সার ক্ষেত্রেও এটা একটা জরুরি উপাদান। এ ছাড়াও গ্লুটামিক অ্যাসিড, লাইসিন, ট্রিপ্টোফানের মতো প্রোটিনও রয়েছে তরমুজের বীজে। ভিটামিন বি-ও রয়েছে তরমুজের বীজে। 

    তরমুজের খোসার উপকারিতা…

    তরমুজের খোসায় (মূলত খোসার ভেতরের অংশ, অর্থাৎ, মূল শাঁস ও বাইরের আস্তরণের মাঝের অংশ) রয়েছে সিট্রুলিন, যা ফ্রি রেডিকেল দূর করতে ভালো কাজ করে। এটা এমিনো এসিডে পরিবর্তিত হয়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। বাড়তি ওজন কমাতে পারে। রক্তচাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে, তরমুজের খোসা খাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে বাইরের যে সবুজ অংশ, সেটা খাবেন না। এটা পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    তবে সাবধান! নিয়ন্ত্রণ অবলম্বনও জরুরি…

    তবে তরমুজ খেতে হবে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজ ফাইবারে ভরপুর। তাই  অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়াসহ পেটের নানা রোগ দেখা যেতে পারে।  বেশি তরমুজ খেলে অম্বল ও বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম। তাই ১ দিনে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ হজম করা সম্ভব।  এতে শরীরে ঢোকে ১৫০ গ্রাম ক্যালরি, যা শরীরের জন্য যথেষ্ট। এর থেকে বেশি তরমুজ খেলেই সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Covid 19: দেশে ফের বাড়ছে করোনার গ্রাফ! দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, মৃত ৬

    Covid 19: দেশে ফের বাড়ছে করোনার গ্রাফ! দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার, মৃত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে দেশে। প্রায় প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে এক দিনে প্রায় ২ হাজার মানুষ নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের সপ্তাহেই সংখ্যাটি ছিল ১৯। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত মাস অর্থাৎ ২১০ দিনের মাথায় এটা সর্বোচ্চ। গত বছর অক্টোবর মাসে শেষ বার এক দিনে এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে, এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যে হারে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা ২ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।

    বিগত ৬ সপ্তাহ ধরেই করোনা ধীরে ধীরে মাথাচারা দিচ্ছে

    গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৮১ জন। তার আগের সপ্তাহের পরিসংখ্যানের চেয়ে যা ৭৮ শতাংশ বেশি। পূর্ববর্তী সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৯২৯ জন। সে ক্ষেত্রেও দৈনিক সংক্রমণে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। গত ৬ সপ্তাহ ধরেই করোনা ধীরে ধীরে মাথা চারা দিয়ে উঠছে।

    সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আগামী দিনে নতুন করে অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধপত্র, অক্সিজেন এবং আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে কি না, যাচাই করে দেখা হবে এপ্রিলের মহড়ায়। আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। অনুষ্ঠিত হবে মহড়া। এবিষয়ে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Navratri Fasting: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    Navratri Fasting: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত নবরাত্রির শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে চলবে ৩০ মার্চ অবধি। ওই দিন রামনবমী, যা ভগবান রামের জন্মতিথি হিসাবে উদযাপিত হবে সারাদেশে। মা দুর্গার ভক্তরা এই সময়ে নয় দিন উপবাস (Navratri Fasting) করেন। উপবাসের দিনগুলিতে সতেজ ও তরতাজা থাকতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না, সেবিষয়ে আলোচনা করবো আমরা।

    কী কী করবেন

    ১. শরীরকে পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি দিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্যরশ্মি এনার্জির পাশাপাশি ভিটামিন ডি-র উৎস। সূর্যের আলো আপনার মস্তিষ্কের সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়াতে সাহায্য করবে। এরফলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে।

    ২. পর্যাপ্ত ঘুম

    পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম আপনাকে সবসময় তরতাজা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় অন্তত দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।

    ৩. কিছু প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করুন

     পুষ্টিবিদদের মতে, পেপারমিন্ট, সাইট্রাস ব্লেন্ড এবং রোজমেরির মতো তেল আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এতে ক্লান্তিবোধ কম হবে।

    ৪. সঠিকভাবে পুষ্টি দিন শরীরকে

    বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া ভীষণ দরকার

    ৫.হাইড্রেটেড থাকুন

     ইলেক্ট্রোলাইট বাড়ায় এমন পানীয়গুলি উপবাসের (Navratri Fasting) সময় গ্রহণ করুন। এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান থাকে। আবার এই সময় প্রচুর পরিমানে জল পান করতেও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৬: একটু আধটু হাঁটাচলা করুন

     উপবাসের (Navratri Fasting) সময় আপনার শরীরে শক্তির অভাব হয়। তখন অনেকেই বসে বসে সময় কাটান স্মার্টফোন নিয়ে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইসময় একটু হাঁটাচলা করুন। 

    ৭. বেশি করে হাসুন

    বিশেষজ্ঞদের মতে একজন শিশু দিনে প্রায় গড়ে ৩০০ বারের বেশি হাসে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্করা গড়ে মাত্র পাঁচবার হাসেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে হাসি মেজাজ ভাল রাখে।

    কী কী করবেন না

    ১. কার্বনেটেড জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন

    সোডা জাতীয় পানীয় পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন খালি পেটে এগুলো খাওয়া হয়। এই পানীয়গুলিতে উচ্চ মাত্রার গ্যাস থাকে যা আপনার পেটে চাপ বাড়াতে পারে, তাই  উপবাসের সময় এগুলিকে এড়িয়ে যেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২. শর্করা জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন

    গুলাব জামুন, লাড্ডু, ক্ষীর এবং অন্যান্য মিষ্টান্নের থেকে এইসময় দূরে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    ৩. লবণাক্ত খাবার একদম গ্রহণ করবেন না

    অত্যধিক পরিমাণে লবণ খাওয়া আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই এগুলি এড়িয়ে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Covid 19: ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের

    Covid 19: ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। শনিবার করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ১৩০ দিনের মধ্যে যা দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, শনিবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭১ জন। গত বছরের ৯ নভেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা শেষ বার ১০০০ ছাড়িয়েছিল।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা

    শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তরফে কোভিড-১৯ -কে (COVID-19) সিজিনাল ফ্লুয়ের মধ্যে রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর রবিবারই পূর্ণবয়স্ক কোভিড-১৯ রোগীদের (Adult COVID-19 patients) সুস্থ করার জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ কোভিড-১৯ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স।

    ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের (bacterial infection) ফলে রোগটি হয়েছে এটা যতক্ষণ না পরীক্ষাগারে প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ অ্যান্টি বায়োটিকের (Antibiotics) ব্যবহার করা যাবে না। কিছু উপসর্গ দেখা গেলে কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রমণ (infections) হয়েছে কিনা তাও দেখতে হবে। অল্প সংক্রমণ হলে কিছু স্টেরয়েডের (steroids) ব্যবহার করতে বারণ করা হচ্ছে।

    পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতেই সংক্রমণ বেশি

    গত সাত দিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এক সপ্তাহে গোটা দেশে প্রায় ৫ হাজার মানুষ নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড সংক্রমণের হার মূলত পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতেই বেশি। তবে উত্তর, পূর্ব ভারতেও ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে গুজরাটে। সাত দিনে সেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬০ জন।  এছাড়া অধিক পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    সংক্রমণের হারে পিছিয়ে নেই রাজধানী দিল্লিও। সাত দিনে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩৫। এছাড়া, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে করোনা সংক্রমণের হার বেশি রয়েছে। দেশে গত সাত দিনে করোনায় ১৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অন্য ভাইরাস সক্রিয় থাকলেও কোভিড সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Soup: ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে কাবু! ইমিউনিটি বাড়াতে খান এই স্বাস্থ্যকর স্যুপগুলো

    Soup: ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে কাবু! ইমিউনিটি বাড়াতে খান এই স্বাস্থ্যকর স্যুপগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদায় নিয়েছে শীতকাল ও শেষের পথে বসন্ত কালও। আর এই গরমের শুরুতেই শুরু হয়েছে ঘন ঘন হাঁচি, সর্দি, কাশি, ফ্লুয়ের মত সমস্যা। এই আবহে রাজ্যে আবার অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ, আর দেশ জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। যার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফলে ঋতু পরিবর্তনের সময় খাদ্যতালিকায় কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যোগ করার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা। যাতে এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে। তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন এই স্যুপগুলি (Soup)।

    ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারী স্যুুপ

    গাজর আদার স্যুপ

    গাজর ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ সমৃদ্ধ, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা রোগ সংক্রমণ থেকে আপনাকে দূরে রাখে। আদা ও গাজরের স্যুপ সর্দি এবং কাশির জন্য একটি কার্যকরী। এটিকে আরও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে এই স্যুপে গোল মরিচ এবং রসুনও যোগ করুন।

    টোম্যাটো ও গোল মরিচের স্যুপ

    ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে টোম্যাটো স্যুপ। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, কে রয়েছে এতে। এছাড়াও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে গোল মরিচে। এই দুই উপকরণের ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টোম্যাটো ও গোল মরিচের স্যুপ।

    মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ

    বিভিন্ন রকমের সবজি যেমন-মটর, গাজর, টোম্যাটো, ফ্রেঞ্চ বিন ইত্যাদি, প্রয়োজনে আরও সবজি যোগ করে তৈরি করা হয় ভেজিটেবল স্যুপ। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই স্যুপে মিশিয়ে নিন লবণ, গোলমরিচ এবং জিরে গুঁড়ো।

    রসুন স্যুপ

    যদি আপনি রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন, তবে এই স্যুপ আপনারই জন্য এবং রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী। রসুনে কিছু স্বাস্থ্যকর সালফিউরিক যৌগ রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সবজি গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মটর, ভুট্টার সঙ্গে রসুন মিশিয়ে তৈরি করুন এই স্যুপ।

    থুকপা স্যুপ

    হিমালয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার এই লাদাখি চিকেন থুকপা। চিকেনের সঙ্গে সবজি, কাটা রসুন, আদা, স্প্রিং অনিয়ন, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমত নুন, সয়াসস এবং ধনে পাতা ছড়িয়ে তৈরি করুন এই স্যুপ। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

    মিষ্টি আলুর স্যুপ

    মিষ্টি আলুতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, অ্যান্থোসায়ানিন, ভিটামিন এবং পটাসিয়াম। এগুলি আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের জন্যও উপকারী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2 Virus: নয়া আতঙ্ক ইনফ্লুয়েঞ্জা! ঘরে ঘরে থাবা বসাচ্ছে H3N2, H1N1 ভাইরাস, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    H3N2 Virus: নয়া আতঙ্ক ইনফ্লুয়েঞ্জা! ঘরে ঘরে থাবা বসাচ্ছে H3N2, H1N1 ভাইরাস, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে এখন নয়া আতঙ্ক ইনফ্লুয়েঞ্জা। H1N1 ভাইরাস, সোয়াইন ফ্লু এবং H3N2 ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) তরফে সম্প্রতি  এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গোটা দেশ জুড়ে ৯৫৫ জন H1N1 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

     H3N2 ভাইরাসের দাপট

    থাবা চওড়া হচ্ছে  H3N2 ভাইরাসেরও। ক্রমেই দাপট বাড়ছে এই ভাইরাসের। এই পরিস্থিতিতে কী উপায়ে নিজেকে রক্ষা করবেন, তার পরামর্শও দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনার প্রকোপ কমেছে বলে যাঁরা মাস্ক ত্যাগ করেছেন, তাঁদের ফের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম- এর তথ্য অনুসারে, সব রাজ্যে ৯ মার্চ পর্যন্ত H3N2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি। H3N2 এবং H3N1 উভয় ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস, যা সাধারণত ফ্লু নামে পরিচিত। এই সমস্যা আটকাতে ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিড-১৯ এর মতো ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়৷ অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়াকে আটকাতে পারে, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসকে নয়।  এই জ্বরের লক্ষণগুলি হল-দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, শরীরে ব্যথা,গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট।

    বাতাসে সক্রিয় পাঁচ রকম ভাইরাস

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে পাঁচ রকম ভাইরাস (Virus) ছড়িয়েছে পরিবেশে যারা জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো অসুখের জন্য দায়ী। করোনার কিছু নতুন প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেই সঙ্গেই আরও কয়েকরকম রেসপিরেটারি ভাইরাস ছড়িয়েছে। করোনার প্রথম দিকের কিছু প্রজাতি, সোয়াইন ফ্লু (H1N1), ইনফ্লুয়েঞ্জা সাবটাইপ এ বা হংকং ফ্লু  (H3N2), সিজনাল ভিক্টোরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি প্রজাতির ভাইরাস ছড়িয়েছে। রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসও (RSV) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এইসব ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই ধরনের রেসপিরেটারি ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার কোনও প্রজাতির সংক্রমণ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। ফলে পরিবারে একজনের হল তা থেকে বাকিদেরও রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্কদের। 

    আরও পড়ুন: ফের শিশু-মৃত্যু! অ্যাডিনো নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা স্বাস্থ্যভবনের

    কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশ জুড়ে যেভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়ছে, তাতে বেশিরভাগ আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে শ্বাসের কষ্ট। বাচ্চা থেকে বড়, সবার মধ্যে ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। গোটা দেশ জুড়ে ৩,৯৭,৮১৪ জনের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জ ধরা পড়েছে বলে খবর। তবে আশা করা হচ্ছে, মার্চের শেষ থেকে গোটা দেশ জুড়ে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Covid Cases: ভাইরাল ফ্লু ঘরে ঘরে! বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও, আশঙ্কায় রাজ্যবাসী

    New Covid Cases: ভাইরাল ফ্লু ঘরে ঘরে! বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও, আশঙ্কায় রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওষুধের দোকানে সহজে মিলছে না ওষুধ। অনলাইনে ওষুধ কিনতে গেলে ভেসে উঠছে, “সোল্ড আউট” লেখা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। দেশ জুড়ে বাড়ছে ভাইরাল ফ্লু-তে (Viral Flu) আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর (fever) সারলেও থেকেই যাচ্ছে কাশি, গলা খুসখুস। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে H3N2 সংক্রমণ নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১১৩ দিন পরে রবিবার সারা দেশে একদিনে ৫২৪ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ২০২২-এর ১৮ নভেম্বর সারা দেশে ৫০০ জন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। রবিবারের সংখ্যা ধরে এই মুহূর্তে সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬১৮ জন। 

    বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা

    কেরলে করোনার সংক্রমণে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।  এই সংখ্যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ৫,৩০, ৭৮১। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত সাত দিনে সংক্রমণের সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে। গত সাত দিনে নতুন করে ২৬৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগেকার তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্বস্তির কথা এটাই যে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা বৃদ্ধি পায়নি। সুস্থ হওয়ার হার ৯৮.৮০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: সতেজ ও সুস্থ থাকতে আপনার শিশুকে দিন ‘হার্ট-হেলথি-ফুড’

    চিন্তা বাড়াচ্ছে H3N2 ভাইরাস

    কোভিডের থেকে এই মুহূর্তে সারা দেশে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে H3N2 ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা। সাধারণভাবে H3N2 ভাইরাসে কেউ সংক্রমিত হলে, তাঁর দুর্বলতা ও ক্লান্তি থেকে সেরে উঠতে সময় লেগে যায় প্রায় ২ সপ্তাহের মতো। এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য উপসর্গ কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার অতি সাধারণ উপরূপ এইচ৩এন২-এর আক্রমণে শিশুদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে। দিন দিন হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2 Virus: মার্চের শেষ থেকেই প্রকোপ কমতে পারে জ্বর-সর্দি-কাশির, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    H3N2 Virus: মার্চের শেষ থেকেই প্রকোপ কমতে পারে জ্বর-সর্দি-কাশির, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হলেও দেশ জুড়ে রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জার আতঙ্ক। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশ্বাস, চলতি মাসের শেষে দিকে প্রকোপ কমতে পারে জ্বর, সর্দি, কাশির।  গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাপট দেখাচ্ছে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) দুই উপপ্রজাতি H3N2 ও H3N1 প্রতি বছরই থাবা বসায়। মরশুমি জ্বরে আক্রান্ত হয় বহুমানুষ। এ বছরও তাই হয়েছে। মার্চের শেষ থেকেই ভাইরাসের উপদ্রব কমে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইনফ্লুয়েঞ্জার হানায় কর্নাটক ও হরিয়ানায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার এই সাবটাইপ সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। পাখি ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের শরীরেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বহুবার জিনের বদল ঘটাতে পারে।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি এই ইনফ্লুয়েঞ্জার শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, “IDSP-র মাধ্যমে দেশের কে কোথায় ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁর বিস্তারিত তথ্য জমা রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন মতো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেওয়া হবে।” তবে এখন পর্যন্ত এই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দেখা যায়নি বলে খবর মিলেছে।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে নাইসেডের সমীক্ষা! অ্যাডিনো সংক্রমণে শীর্ষে বাংলা

    স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, জ্বর, কাশি, শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। অন্তত মাস দুয়েক থাকছে উপসর্গ। এই ভাইরাসের সংক্রমণে যে জ্বর হচ্ছে তার নাম হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর (fever) হলেই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিকও খাবেন না। জ্বর (fever) আসার দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে বেসিক রক্তপরীক্ষাগুলি করান। জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপরীক্ষা করালে সমস্ত রিপোর্টই নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা বেশি৷ ‘বেসিক পরীক্ষা’ মানে আগে রুটিন ব্লাড কাউন্ট দেখা দরকার৷ তা থেকেও বোঝা যায় কী কারণে জ্বর হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share