Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    Diabetes in Children: শিশুদের বাড়ছে টাইপ ২ ডায়বেটিস, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিফিন বক্সে থাকে ন্যুডলস কিংবা পাস্তা। সপ্তাহান্তে ভালো-মন্দ খাওয়া মানেই চিকেন ফ্রাই কিংবা পিৎজা, বার্গার। আর মাঝেমধ্যে ডিনারে বিরিয়ানি, চাইনিজ তো চলতেই থাকে। মাঠে ছুটে খেলার সময় বিকেলে থাকে না। তাই বাড়িতেই ফ্রি-টাইম কাটাতে হয়। সঙ্গী হয় মোবাইল। বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে পরিবারের খুদে সদস্যের জীবন (Children Lifestyle)। তাই বয়স্কদের একাধিক সমস্যা এখন বাড়ির সবচেয়ে ছোটো সদস্যের শরীরেও দেখা দিচ্ছে। 

    শিশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের আগে টাইপ ১ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হতো। অর্থাৎ, ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। জন্ম থেকেই এই রোগ অনেক শিশুর শরীরে বাসা বাঁধে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়বেটিস (Type 2 Diabetes) হচ্ছে। অর্থাৎ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন থেকে যে ধরণের সমস্যা হয়। ১০-১২ বছর বয়সিদের মধ্যে এই টাইপ ২ ডায়বেটিস হচ্ছে। ইনসুলিন নয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। 

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    কী কী খাবে না? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাড়ির বাচ্চাকে কী খেতে দেওয়া হচ্ছে এটা মনে রাখার থেকেও বেশি জরুরি হয়ে উঠছে কী কী খেতে দেওয়া যাবে না। নানান চটজলদি (Fast Foods) ও প্রসেসড্ খাবার (Processed Foods) এখন সব সময় হাজির। সেগুলো খেতেও সুস্বাদু হয়। বাচ্চারা পছন্দ করে। তাই বাড়ির লোকেরাই তাদের সেই সব খাবার খাওয়াচ্ছে। আর এতেই বাড়ছে বিপদ। 
    এই সব চটজলদি খাবারে একদিকে দেহের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— হটডগ, বার্গার, পিৎজা, ইনস্ট্যান্ট ন্যুডলস এগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। 

    বিরিয়ানি, রোল, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত তেল মশলার খাবারে এখন অনেক পরিবারের ছোটরাই অভ্যস্ত। কিন্তু এই খাবার সপ্তাহে একাধিকবার খেলে স্থূলতার সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা আছে। আর স্থূলতা ডায়বেটিস (Diabetes in Children) ডেকে আনে। তাই একেবারেই এই অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবারে অভ্যস্থ হওয়া উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    কী কী খাবে? 

    শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস (Diabetes in Children) রুখতে নিয়মিত ফলকে খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, যে কোনও দুটি ফল শিশুকে রোজ খাওয়ানো দরকার। বিশেষত কলা, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল বিশেষ উপকারী। কারণ, এগুলো আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে একদিকে যেন পুষ্টি বাড়বে, তেমনি হজম করার ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে। তাই নিয়মিত খাবারের মেনুতে ফল আবশ্যক। 

    ডায়াবেটিসের (Diabetes in Children) হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে স্কুল থেকে ফিরে ন্যুডলস বা পিৎজার বদলে রুটি কিংবা স্যালাড খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, বাড়ির তৈরি রুটি-সব্জির একদিকে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, তেমনি সহজ পাচ্য। তাই শরীরের জন্য উপকারি। আলু, গাজর, পেপের মতো সব্জি দিয়ে স্যালাড ও শরীরের জন্য উপকারী। 

    শরীর চর্চা 

    শিশুদের টাইপ ২ ডায়বেটিস (Diabetes in Children) থেকে বাচাতে প্রথম থেকেই শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীর চর্চার অভ্যাস থাকলে দেহের ওজন অতিরিক্ত হবে না। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকিও থাকবে না। ফলে, ডায়বেটিস (Diabetes in Children) হওয়ার ঝুঁকি কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেও নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সুস্থ থাকা যাবে। বিভিন্ন যোগ ব্যায়াম আছে, যা বাড়িতে করা যায়। সেগুলো নিয়মিত করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। প্রত্যেক দিন যাতে বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য যোগাভ্যাসে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    নভেম্বর মাস ডায়বেটিস অ্যাওয়ারনেস মান্থ (Diabetes Awareness)! একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে, শিশুদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে এই রোগ (Diabetes in Children)। অথচ জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণ বদলে দিতে পারে এই প্রবণতা। জীবনভর রোগের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারে শিশুরা। তাই জীবন যাপনের নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। 

  • Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মশার (Dengue mosquito)আতঙ্কে ভুগছে সারা রাজ্য। ডেঙ্গি রোগের বাহক মশার নাম এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) । বলা হয়ে থাকে এডিস মশার (Dengue Mosquito) প্রথম উৎপত্তি স্থান ছিল আফ্রিকায়। বর্ষাকাল এবং অতিরিক্ত আর্দ্র পরিবেশে এডিস মশার(Dengue Mosquito) দ্রুত বংশ বিস্তার হয়।  একসময় আফ্রিকা থেকে জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে আমেরিকা এবং এশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই মশা। 

    কীভাবে চিনবেন এডিস মশা (Dengue mosquito)? 

    এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) মশা খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব। কিভাবে শনাক্ত করবেন আসুন জানা যাক।

    ১) ডেঙ্গি রোগ বহনকারী এই মশার (Dengue mosquito) দেহে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে, তাই এটিকে অনেক সময়  টাইগার মশাও বলা হয়ে থাকে। খালি চোখে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

    ২) এডিস মশা (Dengue mosquito) মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। অর্থাৎ খুব বড়ো বা খুব ছোট হয়না। 

    ৩) এডিশ মশার (Dengue Mosquito) অ্যান্টেনা বা শুঙ্গটি কিছুটা লোমশ দেখতে হয়।

    ৪) এডিস মশার(Dengue mosquito) অ্যান্টেনায় অনেকটা দাড়ির মত থাকে। পুরুষ মশার অ্যান্টেনা স্ত্রী মশার চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি লোমশ দেখতে হয়।

    ৫) পুরনো টায়ার, লন্ড্রি ট্যাংক, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, অন্যান্য জলাধার, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা (Dengue Mosquito) জন্ম নেয়।

    এডিস মশা (Dengue Mosquito) কখন কামড়ায়?

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে বলেই বিশেষজ্ঞ দের মত রয়েছে। বলা হয় যে সকাল ও বিকেলে ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ানোর সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। গবেষণা অনুসারে, মশা দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, সূর্যোদয়ের প্রায় ২ ঘন্টা পরে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘন্টা আগে। যদিও, এডিস ইজিপ্টাই (Dengue Mosquito) মশা সূর্যাস্তের পরেও মানুষকে কামড়াতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এডিস মশা (Dengue Mosquito) একাধিক বার কামড়াতে পারে, যখন তাদের ডিম পাড়ার সময় হয়। ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন পায়ের গোড়ালি, কনুইয়ের চারপাশে কামড়ায়। ডেঙ্গি মশার(Dengue Mosquito) একটি কামড়ই একজন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আসামে নাবালিকা পরিচারিকা খুন মামলায় নয়া মোড়, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার জেলাশাসক

    ‘ডেঙ্গি’ শব্দটি এলো কোথা থেকে 

    আফ্রিকার সোয়াহিলি ভাষায় একটি  প্রবাদ আছে ‘কান্ডডিঙ্গা পেপো’। এখান থেকেই থেকে ‘ডেঙ্গি’ নামটি এসেছে বলে মনে করা হয়। এই শব্দের অর্থ- শয়তানের শক্তির কাছে আটকে যাওয়ার মতো ব্যথা। ডেঙ্গি হলে শরীরে ব্যাথা যন্ত্রণা হয় যে। কারও কারও ধারণা স্প্যানিশ ডেঙ্গি শব্দ থেকে এ রোগের নামকরণ করা হয়, যার অর্থ ‘হাড়ভাঙা জ্বর’। ‘দুষ্ট আত্মার সংস্পর্শে এলে মানুষের হাড়গোড় ভাঙার ব্যাথার যন্ত্রণা সমেত জ্বর হয়। অনেকের ধারণা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গোলাম বা দাসরা এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা এঁকে বেঁকে হাঁটতো, তখন তাদের হাঁটার ভঙ্গিমা ডান্ডি নৌকার মতো হতো বলে, এই জ্বরকে বলা হতো ‘ডান্ডি ফিভার’, সেখান থেকে ডেঙ্গি নাম। 

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ের লক্ষণ 

    সাধারণ ডেঙ্গি মশা কামড় দিলে (Dengue Mosquito)  চোখে পড়ে মূলত নিম্নলিখিত এই লক্ষণগুলি-

    ১.  তীব্র জ্বর এবং এই জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
    ২. মাথায় তীব্র যন্ত্রণা
    ৩. চোখের পেছনের অংশে যন্ত্রণা।
    ৪. জ্বরের পাশাপাশি সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
    ৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা সঙ্গে কোমরে ব্যথা।
    ৬. গা বমি দেওয়া।
    ৭. ত্বকে র‌্যাশ কিংবা লাল লাল দানা  দেখা দেয়া।

    রক্তপাতসহ ডেঙ্গিজ্বরের ক্ষেত্রে :

    ১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ কিংবা বমির সঙ্গে রক্তপাত।
    ২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে কিংবা পেটে জল জমে যাওয়া।

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে করণীয়:

    একথা মনে রাখতে হবে যে ডেঙ্গি ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। সুতরাং জীবাণুবাহী ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করা এবং তার কামড় থেকে নিজে সুরক্ষিত রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি কর্মসূচীর সুপারিশ করেছে: (১) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণে প্রচার, সামাজিক সক্রিয়তা, এবং জনস্বাস্থ্য সংগঠন গুলিকে শক্তিশালী করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি দেশকে। (২) স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিটি বেসরকারি সংস্থার সাথে সরকার কে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। (৩) প্রতিটি দেশের সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে হবে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের জন্য। (৪) ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব এর সময় সরকার কে প্রমাণ ভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা। জল জমার জায়গা খালি করে অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করে অথবা এইসব জায়গায় বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্টপ্রয়োগ করে, ডেঙ্গি মশাকে (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানব স্বাস্থ্যের উপর কীটনাশকের কুপ্রভাব ব্যাপক। তাই এই কথাকে মাথায় রেখে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি তে  জমা জল কম করাটাই ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল উপায়। বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার  করে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় এড়ানো যেতে পারে।

    আমরা কী কী করতে পারিে? 

    ১. বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।

    ২.  ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং জল জমার পাত্র থেকে দ্রুত জল বের করতে হবে।

    ৩. ডেঙ্গু মশা (Dengue Mosquito) নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন বার স্প্রে বা ফগিং করতে হবে‌।

    ৪. পাড়ার আশপাশে কোথাও জল জমে থাকলে, সকলে মিলে পরিষ্কার করতে হবে‌।

    ৫. রাত্রি বা দিনে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

    ৬. বৃষ্টির জল দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে কোথাও জমতে দেওয়া যাবেনা । কারণ , এডিস মশা (Dengue Mosquito) এই জায়গাতেই ডিম পাড়ে।

    ৭. ডেঙ্গু মশার(Dengue Mosquito) প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

    ৮. এডিস মশা(Dengue Mosquito) যেহেতু দিনের বেলাতে কামড়ায় তাই , দিনের বেলায় সাবধানতা বেশী অবলম্বন করতে হবে।

    কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

    মশা তাহলে আমাদের জন্য শুধু বিরক্তির কারণই নয় বরং ক্ষুদ্র এই পতঙ্গ থেকে যেকোনো মানুষের জীবন নাশের ঝুঁকিও থাকছে। এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। তাই সাবধানতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মশা, মশাবাহিত রোগ, মশার দমনে এখন আর উদাসীন থাকলে চলবে না। যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডেঙ্গি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় খেয়ে হাসপাতাল যাওয়ার থেকে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাটা বেশি জরুরী। ডেঙ্গি প্রতিকারের চেয়ে মশার প্রতিরোধই হবে যুক্তিযুক্ত। মশা নিয়ন্ত্রণ সফল করতে পারলে নিশ্চিত ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা কমবে এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই এ বছর ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মশা দমনে আমাদেরকে বেশী মনোযোগী হতে হবে। আর এ জন্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নাই।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কিন্তু আমাদের ঘরের ভেতরেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে যেমন- আমাদের  ঘরের ভিতরে ফুলদানি, রান্নাঘরে বা বাথরুমে জমে থাকাজল, কলসি বা বালতিতে রেখে দেওয়া পানি প্রভৃতিতে। তাই ঘরের ভিতরের এসব স্থানগুলো আমাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে মশারা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। বাড়ির মহিলারা এ কাজে বেশি সচেতন হতে পারেন। ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়াতে মশা সর্ম্পকে আমাদেরকে কিছু সাধারণ জ্ঞান রাখতে হবে যেমন- কোন প্রজাতির মশা আমাদের জন্য ক্ষতিকর বা কোন মশা কখন কামড়ায়, মশাদের জীবনচক্র কেমন, কোথায় কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে ইত্যাদি। মশা সম্পর্কে ধারণা থাকলে মশা দমন কিছুটা সহজ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে ঘুম ভাঙার পরই হাতে এক গ্লাস প্রোটিন সেক (Protein Shake)! সঙ্গে বাড়ির ট্রেডমিলে (Trademill) আধ ঘণ্টা সময় কাটানো। কিংবা সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে নিয়ম করে জিমে (Gym) যাওয়া। জিম ইনস্ট্রাক্টরের পরামর্শ মতো চলছে স্টেরয়েড! পেশিবহুল শরীরে ক্রমশ মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো?

    ফিটনেস ফ্রিক…

    সিদ্ধার্থ শুল্কা, সিদ্ধান্ত সূরিয়াবংশীর মতো অভিনেতারা নিয়মিত জিম করতেন। প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে অভ্যস্ত ছিলেন। দেখে আপাদমস্তক ‘ফিট’। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠও পেরোয়নি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ (Fitness frick) এখন ট্রেন্ড। নিয়ম মতো জিমে যাওয়াতেই বিষয়টি আটকে নেই। অনেকেই প্রোটিন পাউডার খান। সঙ্গে চলে স্টেরয়েড। সব মিলিয়ে কতখানি স্বাস্থ্য সম্মত এই ‘ফিটনেস ফ্রিক’ জীবন?

    চিকিৎসকদের একাংশ কিন্তু জানাচ্ছেন, এতে বিপদ বাড়ছে। হৃদরোগ চিকিৎসক রবীন চক্রবর্তী বলেন, “নিজের শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কোনও বন্ধু জিমে ভর্তি হয়েছে বলেই নিজেকে হতে হবে, এই মানসিকতা থেকে বেরতে হবে। আমি কতখানি কসরত করতে সক্ষম। কতখানি ওজন তুলতে পারবে আমার শরীর, এইগুলো জানা দরকার।” তবে, সবচেয়ে বেশি জরুরি নিজেকে সময় দেওয়া। চিকিৎসক চক্রবর্তীর কথায়, “কোনও কিছু চটজলদি করতে গেলেই বিপদ। আজকে জিমে ভর্তি হয়ে, কালকেই দারুণ পেশিবহুল হয়ে উঠবো, এই ভাবনাই বিপদ ডাকছে। অতিরিক্ত শারীরিক কসরত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধীরে ধীরে ওজন তোলার ক্ষমতা বাড়ানো কিংবা ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বাড়ানোর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করতে শুরু করেন। ফলে, তখনই শরীর নিতে পারে না। শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি হয়।”

    আরও পড়ুন: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে লুকিয়ে বিপদ!

    অতিরিক্ত জিমের পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার আর স্টেরয়েড আরও বিপদ বাড়িয়ে তুলছে বলেই মনে করছেন মেডিসিনের চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতিকারক। বিশেষত সেই প্রোটিন যদি কৃত্রিম হয়, তাহলে তো আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। টাটকা ফল, সবজি, মাছ, মাংস থেকে শরীর যেভাবে তার প্রয়োজনীয় উপাদান নেয়, সেটা এই কৃত্রিম পাউডার পূরণ করতে পারে না। বরং এই কৃত্রিম পাউডার লিভার, কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই দ্রুত শক্তিশালী শরীর তৈরির জন্য নিয়মিত প্রোটিন পাউডারে অভ্যস্ত হলে নানান ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে।”

    তাছাড়া, অনেকেই নিয়মিত স্টেরয়েড নেন। জিমে অতিরিক্ত কসরতের ফলে পেশিতে টান ধরা কিংবা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই তাঁরা এমন পেন কিলার খান, যাতে স্টেরয়েড আছে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরণের স্টেরয়েডে নিয়মিত অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই কিন্তু আরও সমস্যা বাড়ছে।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যাকে দেখে সম্পূর্ণ সুস্থ ও শারীরিক ভাবে ভীষণ শক্তিশালী মনে হচ্ছে, সেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ এই ধরণের স্টেরয়েড দীর্ঘদিন ব্যবহার করা। এতে একদিকে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়। তেমনি চোখ, কিডনি, লিভারের সমস্যা ডেকে আনে।

    চক্ষু রোগ চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “চিকিৎসক একজন রোগীর অনেক দিক পরীক্ষা করে, তারপরে স্টেরয়েড দেন। কিন্তু অনেক সময়েই জিম ইনস্ট্রাক্টরের সেই সব দিক বিবেচনা করার মতো অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে বিপদ কিন্তু সুদুর প্রসারি। দিনের পর দিন স্টেরয়েডের ব্যবহার অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।”

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজের শরীর কতখানি পরিশ্রম করতে পারছে, সেটা বিবেচনা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারপরে শারীরিক কসরতের সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। তবে, শরীর সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস কিন্তু শরীরকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখে। শুধু শরীর নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও যোগ অত্যন্ত ভালো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কৃত্রিম উপাদানের বাইরে নিয়মিত রাস্তায় হাঁটা, মাঠে দৌড়নো আর যোগাভ্যাসও সুস্থ এবং ‘ফিট’ শরীর গড়তে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (World Diabetes Day)। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও ডায়েবেটিস থেকে আজও নিষ্কৃতি পায়নি মানবজাতি। একবার ডায়েবেটিস হলে তা থেকে মুক্তি নেই আজও। কিন্তু জীবনযাত্রায় বদল এনে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগ। ডায়াবেটিস মূলত ২ প্রকার। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত কারণে হয়। যাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডায়াবেটিস থাকে, তাঁদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ অনিয়মিত জীবন যাত্রা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কোনও রকম ডায়েট না মেনে চলা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা হল ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। আর তাই এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মেনে খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যাদের ডায়াবেটিস বর্ডার লাইনে, তাদের বলা হয় প্রি-ডায়াবেটিক। প্রি-ডায়াবেটিকরা মূলত খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করলে ডায়াবেটিক হওয়া আটকাতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    প্রি-ডায়াবেটিকদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ?

    ফলের রস: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে ফল ভালো হলেও ফলের রস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ফলের রসে ফাইবারের পরিমাণ কমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফ্রুকটোজ সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। 

    প্যাকেজড খাবার: কোনও প্যাকেজড বা প্রসেসড খাবার মূলত স্ন্যাকস বা মাংস জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যেগুলি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল নয়। 

    শর্করা প্রধান খাবার: হোয়াইট ব্রেড, হোয়াইট রাইস, পাস্তা, বেকারির যেকোনও খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে একেবারেই ভালো নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এইসব খাবারগুলো খেলে।    

    জাঙ্ক ফুড: যেকোনও ডিপ ফ্রায়েড খাবার এড়িয়ে চলুন।   

    ফ্রোজেন ডেজার্ট: ইয়োগার্ট বিশেষ করে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট একেবারেই খাবেন না। কারণ এর মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে।

    চর্বি জাতীয় খাবার: যেকোনও ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফুল ফ্যাট মিল্ক ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কারণ এই অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

    ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল: ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। 
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
  • Winter Superfoods: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    Winter Superfoods: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে কী কী সুপারফুড থাকা জরুরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত আসলেই বাজারে দেখা যায় এই মরশুমের বিভিন্ন শাক-সবজি (Winter Superfoods), যা প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরী। ফলে শীতকালে ডায়েটে কিছু পরিবর্তনও আসে। আর এর ফলে শীতের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় বেশি করে নজর রাখা উচিত। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে কিছু বাধা-নিষেধ আছে। কারণ শীতকালীন সব সবজিই খেতে পারেন না তারা। তবে কিছু কিছু শীতকালীন খাবার আছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শীতের ডায়েটে বিভিন্ন সুপারফুড

    আমলকি

    আমলকি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি ক্রোমিয়ামে সমৃদ্ধ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার করে (Winter Superfoods)।

    বিটরুট

    পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইটোকেমিক্যালের মতো ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ বিটরুট রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এবং শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনারা নারকেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করে ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন (Winter Superfoods)। 

    বাজরা

    বাজরা দিয়ে তৈরি মজাদার খাবার উপভোগ করার সবচেয়ে ভালো সময় হল শীতকাল। এই শস্য ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং অন্যান্য শস্য ও শস্যের তুলনায় গ্লাইসেমিক সূচকে কম। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাজরা একটি উপযুক্ত খাবার হতে পারে (Winter Superfoods)।

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    গাজর

    গাজরে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য ফাইবার। এছাড়াও এটি চিনির নিঃসরণকে ধীর করতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মিশে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় গাজরকে স্যালাড হিসাবে কাঁচাও খেতে পারেন আবার গাজর আদার স্যুপ করেও খেতে পারেন (Winter Superfoods)।

    হলুদের শিকড়

    সাধারণত শীতকালে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। হলুদে পাওয়া সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি অত্যন্ত প্রদাহ বিরোধী। এছাড়াও, গবেষণায় দেখা যায় যে কারকিউমিন ইনসুলিন প্রতিরোধ, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপারলিপিডেমিয়া (উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড) নিয়ন্ত্রণ করতে পারে (Winter Superfoods)।

    কমলা

    ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয় এই ফল। এটিতে কম গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে শীতের ডায়েটে অনায়াসে অন্তর্ভুক্ত করা যায় (Winter Superfoods)।

    দারচিনি

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ দারচিনি রক্তে শর্করা ও ট্রাইগ্লিসারাইড ঠিক রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, এটি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও দারচিনি গ্লুকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইড উভয়ের মাত্রাকে স্বাভাবিক করে, ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (Winter Superfoods)।

  • Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে। জ্বর হলেই এখন রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক। ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে, এমন কিন্তু মানে নেই! বাড়িতেই করা যেতে পারে ডেঙ্গির চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্লেটলেট না কমলে বাড়িতে থেকেই ডেঙ্গি চিকিৎসা সম্ভব। তবে, কয়েক দিকে নজর দিতে হবে। ডেঙ্গির চিকিৎসার কয়েক বিষয়ে বাড়ির লোক সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় কী কী নজরে থাকবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে। কারণ, তার থেকে অন্যদের রোগ ছড়াতে পারে। মশাবাহিত এই রোগ থেকে পরিজনদের বাঁচাতে ও রোগীকেও দ্রুত সুস্থ করতে মশারি টাঙানো জরুরি।  ডেঙ্গি রোগী বাড়িতে থাকলে, ডেঙ্গি চিকিৎসায় আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি (Dengue Treatment at Home)। দেখতে হবে, রোগীর দেহ থেকে কোনও ভাবে রক্তপাত হচ্ছে কিনা! যদি কোনও ক্ষত না থাকা সত্ত্বেও ডেঙ্গি রোগীর রক্তপাত হয়, তাহলে কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তখন ডেঙ্গি ট্রিটমেন্টের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

    বাড়িতে রেখে ডেঙ্গি চিকিৎসা করলে রোগীর খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। মূলত নজরদারি করা হয়। তাই বাড়িতেও সেই একরকম নজরদারি করলে ডেঙ্গি চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে। ডেঙ্গি রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় রোগী কী খাচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রোগীর দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে (Dengue Treatment at Home)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি চিকিৎসায় জল অত্যন্ত জরুরি। রোগীর দেহে যাতে কোনও ভাবেই জলের পরিমাণ না কমে, তা দেখতে হবে। তাই বারবার জল খাওয়ানো দরকার। তাছাড়া ফলের রস, দুধ এই রকম তরল জাতীয় খাবার বারবার খেতে হবে। কারণ, এগুলো যেমন দেহে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখবে, তেমনি প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলবে। বিশেষত লেবুর রস ডেঙ্গি রোগীকে নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। 

    ডেঙ্গি রোগীর মেনুতে নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখতেই হবে। অর্থাৎ, ভাত কিংবা রুটি খেতে হবে। কারণ, কার্বোহাইড্রেট দেহে এনার্জি জোগায়। ডেঙ্গি আক্রান্তেরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তের দ্রুত সুস্থ হতে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এনার্জি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় পেঁপে আর আমলকি বিশেষ সাহায্য করে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ডেঙ্গি আক্রান্ত পেঁপে পাতার রস খেলে প্লেটলেট কমে না। তবে, অনেকের আবার পেঁপে পাতার রস খেয়ে কলেরার উপসর্গ দেখা দেয়। তাই যদি সেই রকম কিছু উপসর্গ হয়, তাহলে পেঁপে পাতার রস না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, খাবারের তালিকায় পেঁপে রাখা ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর এমন সবজি খাওয়া দরকার, যা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিগুণ অনেক। তাতে একদিকে যেমন শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধবে না। আরেক দিকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই পেঁপে, পটল, কাঁচকলার মতো সবজি ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ উপকারী (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি রোগী খাওয়ার পরে নিয়ম করে আমলকি খেলে বিশেষ উপকার পাবে। আমলকি হজম করাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় আমলকিকেও খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    তবে, দুধ, ফল, সবজির সঙ্গে প্রত্যেক দিন প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডিম, মাছ মাংস নিয়ম করে খেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ ফল পাওয়া যাবে (Dengue Treatment at Home)।

  • East Bengal: ডেঙ্গি এবার ময়দানেও! আক্রান্ত ইস্টবেঙ্গল এফসির অধিনায়ক, হাসপাতালে ভর্তি সৌভিক চক্রবর্তী

    East Bengal: ডেঙ্গি এবার ময়দানেও! আক্রান্ত ইস্টবেঙ্গল এফসির অধিনায়ক, হাসপাতালে ভর্তি সৌভিক চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, খাস কলকাতাতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা ৫০ হাজার  ছুঁইছুঁই! রাজ্যের তুলনায় কলকাতায় পজিটিভি রেট দ্বিগুণ। ডেঙ্গি এবার হানা দিল ময়দানেও। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) অধিনায়ক,দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী।  চলতি মরসুমে টানা সাতটি ডার্বি হেরেছে লাল হলুদ শিবির। গত পাঁচ ম্যাচে চারটি ম্যাচ হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এর মধ্যে অধিনায়কের অসুস্থতা চিন্তায় ফেলেছে দলকে।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    দলীয় সূত্রে খবর, ২ দিন আগে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে। এর আগে, গত বছর গোড়ালিতে চোটের জন্য় ইস্টবেঙ্গল দলে ছিলেন না সৌভিক। এবার কি খেলতে পারবেন? আপাতত বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কের খেলা অনিশ্চিত। পুজোর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌভিক। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    শীত পড়তে এখনও বেশ দেরি। তার আগে শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কলকাতা ও সল্টলেকের তিনজনের মৃত্য়ু হয়েছে। এদিকে জেলাগুলিতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়ায় ডেঙ্গি বাড়ছে, হুগলির কিছু এলাকা ক্রমেই ডেঙ্গির হটস্পট হয়ে উঠছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে নবান্নে। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জানা গেছে, কলকাতা পুরসভা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। এবার থেকে শহরের আনাচ কানাচে কোন বাড়ির চারপাশে আবর্জনা, জল জমছে তা চিহ্নিত করা হবে। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে। আক্রান্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে মানুষজনকে সচেতন করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। জ্বর মানেই ডেঙ্গি বা কোভিডই (Dengue or Covid) হবে এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই ভয় একেবারেই নেই এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। কী করে বুঝবেন ডেঙ্গি না কোভিড হয়েছে? তাই জ্বর হলে ডেঙ্গি বা কোভিড বুঝতে হলে, সব উপস্বর্গগুলিই (Symptoms) জানতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতা কমলেও, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। তাই থাকতে হবে সতর্ক। কোনও উপসর্গ দেখলেই অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই করিয়ে নিন পরীক্ষা।

    ডেঙ্গি এবং কোভিডের উপসর্গ 

    ডেঙ্গি হলে, জ্বরের সঙ্গে চোখের পিছনে ব্যথা হবে। জ্বরের সঙ্গে পেশিতে ব্যাথা হবে। বমিবমি ভাবে, মাথা যন্ত্রনা, হাড়ে ব্যাথাও হতে পারে। কোভিডের ক্ষেত্রেও শরীরে ব্যাথা হব এবং মাথা ভার হয়ে থাকবে। গলা খুসখুস, সর্দি জমা, এমনকি শ্বাসকষ্ট অবধি হতে পারে। এরকম অবস্থা হলে বাড়ি বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দরকারে কোভিড হয়েছে কিনা বুঝতে আরটি-পিসিআর কিংবা ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে এনএস ১ পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে ঠিক কোন রোগ হয়েছে। তবে সবসময় জ্বর মানেই কোভিড না ডেঙ্গি হয়েছে এরকম ভাবারও কোনও কারণ নেই? সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। তাই জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সরকারি গাইড লাইন মেনে চলুন।

    আরও পড়ুন: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি 

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডেঙ্গি সংক্রমণ সামাল দিতে মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নের। ডেঙ্গি সংক্রমণের পিছনের এই বাড়বাড়ন্তর কারণ কী? সেই উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার। এর ফল ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছেঞ মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর বা গ্রামীণ এলাকায় জমা জলে, যেখানে মূলত গৃহস্থালির আবর্জনা স্তূপ জমা করা হয় সেই সকল স্থানে এই মশা জন্মায়।

    এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গি

    মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশাই হল ডেঙ্গিরোগের বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফেলেস মশা রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর পেশি ও গাঁটে ব্যথা হওয়ায় ডেঙ্গিকে  ‘Break Bone Fever’-ও বলা হয়ে থাকে।

    ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব

    ডেঙ্গি জ্বর সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর হার ২.৫ শতাংশ। 

    ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ

    এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গি জীবাণুটি ​​সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’।

    প্রথম ক্যাটেগরির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির লক্ষণ খুব একটি প্রকট হয় না। ‘এ’ ক্যাটেগরি রোগীদের শরীরে শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গি রোগী ‘এ’ ক্যাটেগরির। সাধারণত এই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের শরীরে কিছু ডেঙ্গি উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগীদের জ্বরের সঙ্গে চোখে ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে হয়) থাকে। রোগীর পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা থাকার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের ডেঙ্গি উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে সাতদিন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে কারও যদি গুরুতর ডেঙ্গি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

    ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতি ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ‘সি’ ক্যাটেগরিতে পড়তে পারেন। এই রোগীদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এই রোগীর।

    এই রোগীদের সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা যায়

    1. পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
    2. বমি (২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনবার)।
    3. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
    4. বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত।
    5. দুর্বলভাব, ক্লান্তিবোধ, অস্বস্তি।

    কোনও  ব্যক্তি  ডেঙ্গি  জ্বর  থেকে  সুস্থ  হয়ে উঠলে তাঁর পুনরায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

    ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিলে কী কী করনীয়

    ডেঙ্গি জ্বরের এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গি হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই ধরনের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে ডেঙ্গির চিকিৎসা ও রোগীর সঠিক পরিচর্যা করা দরকার, নতুবা রোগীর হেমোরেজিক শকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত তা নীচে দেওয়া হল:

    ১. যদি আপনার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানান।

    ২. যতটা সম্ভব, বিশ্রাম নিন।

    ৩. জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামোল খেতে পারেন। তবে অ্যাসিপিরিন এবং ইবুপ্রফেন খাবেন না।

    ৪. ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। তাই শরীরে প্রচুর পরিমাণে তরল দরকার। জল পান করুন বা জলে ইলেকট্রোলাইট বা ওআরএস মিশিয়ে জল পান করতে হবে।

    ৫. যদি খুব জ্বর থাকে, তাহলে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন।

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা

    ঘরোয়া কিছু উপায়ে ডেঙ্গির উপসর্গ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকাংশেই আরাম বোধ করেন।

    • গুলঞ্চের রস – ডেঙ্গি জ্বর কমাতে গুলঞ্চের বিশেষ ভূমিকা আছে। বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকরী। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ডেঙ্গির জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে রোগীকে শারীরিক আরাম প্রদান করে গুলঞ্চ। দু’টি ছোট গুলঞ্চের ডাল ভেঙে একগ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এছাড়া এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দুই ফোঁটা গুলঞ্চের রস ফেলেও পান করতে পারেন। তবে বেশিমাত্রায় গুলঞ্চের রস পান করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
    • পেঁপে পাতার রস – ডেঙ্গি রোগীর রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়। পেঁপে পাতা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডেঙ্গির সময়ে যাতে প্লেটলেট হ্রাস না পায়, তার জন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিয়ে পেষণ করে তার রস বের করুন। দিনে দু’বার পান করুন পেঁপে পাতার রস।
    • তাজা পেয়ারার রস – প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে পেয়ারার রসে। এতে বিশেষ করে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটে পেয়ারার রস যোগ করলে তা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ পরিমাণে পেয়ারার রস নিয়ে দিনে দু’বার পান করুন। এছাড়া গোটা পেয়ারাও খাওয়া যায়।
    • মেথি বীজ- ডেঙ্গির জ্বরের প্রকোপ কমাতে জুড়ি নেই মেথি বীজের। এককাপ পরিমাণ গরম জলে কিছুটা মেথি বীজ ভিজতে দিন। জল ঠান্ডা হলে দিনে দু’বার করে পান করুন। মেথি বীজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী, কারণ মেথি বীজে থাকে ভিটামিন সি, কে। মেথি বীজ জ্বর কমানোর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

    এছাড়াও রোগীর পথ্যের দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত যে ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই ধরনের খাদ্য গ্রহণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রোগীর সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু ও লেবুর রস খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীকে প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। রোগীর রান্নায় রসুন, হলুদ সহ আরও কিছু মশলার ব্যবহারও করা উচিত।

    ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত

    • মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা – ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    • পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা – মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে, কারণ মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে ।
    • মশা প্রতিরোধক – বাজারে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট ও নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক প্রতিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।
    • মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা – আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করুন। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই  সমস্ত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশাকে আকর্ষণ করে না। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, একটি ঘর আলোকিত রাখুন। আলো মশাকে আকর্ষণ করে না, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ঘরে সর্বোত্তম আলো রয়েছে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ হলো, আপনার বাড়ির ভিতরে বা বাইরে একটি নিম গাছ লাগান, যদি জায়গা থাকে। নিম গাছকে মশা নিরোধক বলে দাবি করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আবার হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেঙ্গ-২’ ও ‘ডেঙ্গ-৩’। আর এই দুই ভ্যারিয়েন্টই সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। নতুন এই প্রজাতির ডেঙ্গিতে জ্বর কমে যাওয়ার পরে হঠাৎ করেই প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আর এই উপসর্গ অনেক রোগীর শরীরেই দেখা গিয়েছে। ফলে এই নতুন প্রজাতির জোড়া হানায় রাজ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গি।

    সাধারণত, ডেঙ্গি হলে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে থাকে। তাই প্লেটলেট দ্রুত বাড়ানোর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখা দরকার। চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেন। তবে তার জন্য আপনাকে কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। সেগুলি হল-

    পেঁপে পাতা

    পেঁপে পাতায় প্যাপাইন ও সাইমোপ্যাপাইন এনজাইম পাওয়া যায়, যা হজম ঠিক করে এবং গ্যাস-বদহজম প্রতিরোধ করে। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ মিলি পেঁপের রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়।

    বেদানা

    বহু শতাব্দী ধরে রক্ত বৃদ্ধিতে বেদানা ব্যবহার হয়ে আসছে। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর পাশাপাশি প্লেটলেট বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    ডাবের জল

    ডেঙ্গি জ্বরে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝড়ে যার ফলে শরীরে জলশূন্যতার সৃষ্টি হয়। তাই ডাবের জল পান করা খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরে শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে, যার ফলে শরীর থেকে অনেক ধরনের টক্সিন বেরিয়ে যায়।

    হলুদ

    অ্যান্টিসেপটিক এবং মেটাবলিজম বুস্টার হওয়ায় দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

    শাক-সবজি

    এই সময় বেশি করে শাক-সবজি খাওয়া উচিত। যেগুলো খেলে রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ে সেগুলো হল শালগম, অঙ্কুরিত শস্য, ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি।

    লেবু জাতীয় ফল

    ভিটামিন সি প্লেটলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই লেবু, কমলালেবু, মুসম্বি, বাতাবি লেবু খেলে প্লেটলেট বাড়ে।

    চর্বিওয়ালা মাছ

    চর্বিওয়ালা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এই ভিটামিন লোহিত রক্ত ​​কণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্লেটলেটের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।

LinkedIn
Share