Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • National Protein Day: সুস্থ থাকতে রোজ খাওয়া উচিত প্রোটিন, তবে কোন ধরণের?

    National Protein Day: সুস্থ থাকতে রোজ খাওয়া উচিত প্রোটিন, তবে কোন ধরণের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল, ২৭ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতীয় প্রোটিন দিবস (National Protein Day)। বিশ্বব্যাপী মানুষের দেহে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে বা প্রোটিনের অভাব দূর করতে এই সচেতনতামূলক দিনটি পালিত হয়। ২০২০ সালে প্রথম জাতীয় প্রোটিন দিবস পালন করা হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আমাদের শরীরে হজম প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কোষ গঠন ইত্যাদিতে সাহায্য করে এটি। সব ধরণের কাজেই প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই প্রোটিন থাকতে হবে যা আমাদের শরীরকে করে তুলবে স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী।

    কোন কোন ধরণের প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত (National Protein Day)?

    ফ্যাটহীন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: সব সময় চর্বিহীন প্রোটিন বেছে নিন। যে যে খাবারে প্রোটিন বেশি, ফ্যাট বা চর্বি কম, সেগুলি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এর মধ্যে মাছ, ডাল ও মাংস রয়েছে। এগুলিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এবং আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি ১২-এ সমৃদ্ধ হয়।

    উদ্ভিদজাত প্রোটিন খাবার: উদ্ভিদজাত প্রোটিন শরীরের জন্য আরও ভালো। তাই এগুলিও খাবারের তালিকায় রাখুন‌। বাদাম, বীজ ইত্যাদি খেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।

    ডিম: প্রোটিন জাতীয় খাবার বললে সবসময় ডিম অন্তর্ভুক্ত করবেন আপনার ডায়েটে। কারণ ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, এর পাশাপাশি এতে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এবং কোলিন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজনে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ৯১ শতাংশ! ঠিক কী বলছে নতুন গবেষণা

    প্রোটিন পাউডার বুঝে খান: অনেকে শরীরে প্রোটিন জোগাতে প্রোটিন পাউডার খান। এই ধরনের প্রোটিন খেলে ভালো মানের খাওয়াই ভালো। নয়তো অতিরিক্ত চিনি থাকায় শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

    খাবার খাওয়ায় ভারসাম্য: প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া একটু বুঝে-শুনে খাওয়া উচিত। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সব রকমের উপাদানই রাখা উচিত।

    প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস: স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছে হলে সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসই খাওয়া উচিত।

    সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া: প্রোটিন দেহের জন্য উপকারী হলেও সবসময় সঠিক বা পর্যাপ্ত পরিমাণেই খাওয়া উচিত।

    হাইড্রেটেড থাকুন: প্রোটিনজাত খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খাওয়া উচিত। কারণ পর্যাপ্ত জল সামগ্রিক স্বাস্থ্য, সঠিক হজম এবং প্রোটিনের মত পুষ্টির শোষণে সহায়তা করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Methi: হার্ট ভাল রাখা থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ! জানেন আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে মেথির?

    Methi: হার্ট ভাল রাখা থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ! জানেন আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে মেথির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেথি (Methi) একধরনের  ভেষজ উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে মেথি কেবলমাত্র এশিয়া মহাদেশেই পাওয়া যেত কিন্তু এখন ভারত, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পাওয়া যায়।

    এই ভেষজ প্রাচীনকালে পৃথিবীতে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত। প্রায় ৪ হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে মেথির ব্যবহারের বিষয়ে জানা যায়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।  এর বীজ খুবই পুষ্টিকর এবং যা প্রায়শই রান্নায় ব্যবহৃত হয়।

    মেথির (Methi) ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে জানব

    ১. মেথি (Methi)  আপনার হার্টকে ভাল রাখে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেথির (Methi) আয়রন উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশিরভাগ লোকেরা যখন আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের কথা ভাবেন তখন মাংসের কথা ভাবেন, তবে এটি মেথির (Methi) মতো গাছপালা এবং বীজেও রয়েছে ভরপুর আয়রন।

    ২. মেথি (Methi) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে 

    স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে মেথি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের রোগের জন্য দুটি সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ।

    ৩. এটি প্রদাহ কমাতে পারে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেথিতে (Methi) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে প্রদাহ কমাতে সক্ষম।

    ৪. রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে মেথি (Methi)

    গবেষকরা বলছেন, মেথি (Methi) প্রায়শই রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন এককাপ গরমজলে ১০ গ্রাম মেথি মিশ্রিত করে খাওয়া উচিত, বলছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

     

    ৫. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মেথি (Methi) অত্যন্ত ভাল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেথি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

    ৬. অন্ত্রের স্বাস্থ্যের  জন্যও ভাল মেথি 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার, সবই মেথিতে পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম হজমে সাহায্য করে। আয়রন পেটে অ্যাসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। অর্থাৎ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ৭. সদ্য মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন তাঁদের বুকের দুধের বৃদ্ধি হতে পারে নিয়মিত মেথি (Methi) সেবনে।

    ৮. নিয়মিত মেথি (Methi) খাওয়া চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল

    গবেষণায় দেখা গেছে, মেথির নির্যাস খাওয়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Thalassemia Examination: সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে চান! গর্ভবতী হলে করাতেই হবে থ্যালেসেমিয়ার পরীক্ষা

    Thalassemia Examination: সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে চান! গর্ভবতী হলে করাতেই হবে থ্যালেসেমিয়ার পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়া ও সিক্‌ল সেল অ্যানিমিয়া— এই দুই রক্তের রোগে আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত স্তরের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের ওই রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। গর্ভবতী হওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা পেতে হলে এবার থেকে থ্যালাসেমিয়া ও সিকল সেল রোগের পরীক্ষা করাতেই হবে।

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষার সময় এই দুটি পরীক্ষা করাতে হবে সবাইকেই। পরীক্ষা পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। শহরের মোট পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল আইটিজিএমইআর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই পরীক্ষাগুলি করা হবে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, এতদিন গর্ভবস্থায় থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটেই করা হত। তবে এবার থেকে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জন্যই এই পরীক্ষার নমুনা সংগ্ৰহ করা বাধ্যতামূলক করা হল। রাজ্যে বিপুল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    থ্যালাসেমিয়া একটি জিনঘটিত সমস্যা। সাধারণত বাবা মায়ের জিনে রোগটি প্রচ্ছন্ন থাকলেও শিশুর মধ্যে তা প্রকট হতে পারে।স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রক্তের সংগৃহীত নমুনা ঠিক তাপমাত্রায় রেখে তা তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে (টিসিইউ)। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ থেকে পাঠানো ওই নমুনার রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে দিতে হবে। প্রসূতির পরীক্ষায় যদি থ্যালেসেমিয়া পজিটিভ আসে, তখন স্বামীরও পরীক্ষা করা হবে। তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ এলে, গর্ভস্থ ভ্রূণের জিন পরীক্ষা করে দেখা হবে। যদি দেখা যায়, ওই ভ্রূণও একই ভাবে আক্রান্ত, তা হলে ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানোর বিষয়ে বোঝানো হবে দম্পতিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    Adeno Virus: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus)-এর হানায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।  সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। 

    নয়া নির্দেশিকা

    নয়া নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের (Oxygen System) ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর (Ventiletor) প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশুবিভাগে পর্যাপ্ত বেড রাখতে হবে। শিশু বিভাগ না থাকলে তৈরি করতে হবে’। আপদকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে শিশুরোগ বিভাগ খুলতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সচেতনতা প্রচারে এএন‌এম, আশা কর্মীদের কাজে লাগানোয় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি আইএলআই (ILI), সারি (SARI)-এর উপসর্গ নিয়ে কোন হাসপাতালে কত রোগী ভর্তি হচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য হাসপাতালগুলির কাছে চেয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। এরপর‌ই এই নির্দেশিকা সামনে এল।

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কমাতে চান! খাদ্য তালিকায় রাখুন এই ৭টি নেগেটিভ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার

    অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে দিশাহারা শিশুদের অভিভাবকরা। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ এসওপি স্থির করে দিয়েছে। কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক থেকে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে তার নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। অ্যাডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য মূলত দায়ী দু’টি স্ট্রেন। টাইপ ৩, টাইপ ৭ স্ট্রেনের আধিক্য এক্ষেত্রে বেশি। উদ্বেগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, নাইসেড-এর রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, গত দেড়মাসে স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২ শতাংশই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত।

    আরটি-পিসিআর পরীক্ষা 

    জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ক্ষেত্রে এ বার করোনার পরীক্ষাও (আরটি-পিসিআর) বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ঘরে ঘরে জ্বর এবং সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের এই অবস্থার নেপথ্যে কি শুধুই অ্যাডিনোভাইরাস? না কি, গোপনে করোনাও ছোবল মারছে? এই নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যে সব বিধি ছিল, সেগুলি ফের মেনে চলার কথা বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায় ‘‘ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। সে ক্ষেত্রে অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: এবার অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রাণ কাড়ল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত খড়্গপুরের কিশোরীর

    Adeno Virus: এবার অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রাণ কাড়ল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত খড়্গপুরের কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের অ্যাডিনো ভাইরাসে (AdenoVirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক কিশোরীর। বুধবার মৃত্যু হল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত কিশোরী উর্জাসাথী রায় চৌধুরীর। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিল বছর তেরোর উর্জাসাথী। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। এই ভাইরাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। 

    স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত 

    স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামে এক রোগে আক্রান্ত ছিল ওই কিশোরী। উর্জাসাথীর বাবা উজ্জ্বল রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি হল এমন একটি রোগ যাতে মাংসপেশীর একটি একটি কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, দুর্বলতা বাড়ে। সে কারণেই সহজ অসুস্থ হয়ে পড়ত কিশোরী। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সর্দি-কাশি বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। উজ্জ্বল বাবু জানিয়েছেন চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল তার মেয়ে। পরে ৫ তারিখে বাড়ি ফিরে এসেছিল। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লড়াই থামে উর্জাসাথীর।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কার

    সংগীতে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য গত ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের দিন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল উর্জাসাথী রায়চৌধুরী। তাঁর হাতে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু এই পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও রাজ্য স্তরে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে এই কিশোরী। প্রতিভাবান এই কিশোরীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া। 

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুড হতে পারে ঘি! কেন জানেন?

    বাড়ছে ভাইরাসের দাপট

    রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। শিশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুদের ফুসফুস ও শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে দু’দিনও সময় লাগছে না। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালেও। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শহরে অ্যাডিনোভাইরাসের হামলা রুখতে পুরকর্মীদের জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরে আনুন এই ৫ শাক সবজি   

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরে আনুন এই ৫ শাক সবজি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যস্ত জীবনযাত্রার ফলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি হার্টের জন্য খুবই বিপজ্জনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তি ওজন, মদ্যপান, শারীরিক অনুশীলন না করা, উচ্চ রক্তচাপ বিপদ আরও বেড়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: বয়স ৪০ পেরিয়েছে! বার্ধক্য ঠেকাতে এই ৬টি সুপারফুড ডায়েটে রাখুন

    পুষ্টিবিদদের মতে, শাকসবজি সমৃদ্ধ খাদ্য কোলেস্টেরলের (Cholesterol)  মাত্রা কমায়। সবুজ শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি ভাল উৎস যা সাধারণত হার্টকে ভাল রাখে। 

    কয়েকধরনের শাকসবজি নিয়ে আজ আলোচনা করব যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

    ব্রকোলি

    ব্রকোলি হল ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সালফোরাফেন নামক একটি যৌগ রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

    পালং শাক

    পালং শাক একটি সবুজ শাক, এটিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের (Cholesterol)  মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

    মিষ্টি আলু

    মিষ্টি আলু ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের একটি বড় উৎস। এগুলিতে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি যৌগ থাকে যা শরীরে প্রদাহ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের (Cholesterol)  মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    গাজর

    গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। এগুলিতে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের (Cholesterol)  মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    বাঁধাকপি

    বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের (Cholesterol)  মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুড হতে পারে ঘি! কেন জানেন?

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যে আগামী কাল, বৃহষ্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থী যাতে সুস্থভাবে মাধ্যমিক দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সাবধানী ভূমিকা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে যাতে সর্দি কাশি কিংবা জ্বর নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে না যায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনও মূল্যেই পরীক্ষা দিতে চাইবেন ছাত্রছাত্রীরা। তাই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে “সিক রুম” রাখতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    সতর্ক পর্ষদ

    পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবরকম সতর্কতা নেবে পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকতে চলেছে “সিক রুম”। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করলে যাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই কারণেই এই সিক রুমের ব্যবস্থা থাকছে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই। সব কটি ভেন্যুতেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকবে। যেভাবে জ্বর বা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে, তার জেরেই এই বাড়তি ব্যবস্থা বলে জানান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ক্লান্ত লাগছে, দুর্বল! ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নয় তো?

    মার্চ পর্যন্ত সাবধানে থাকুন

    ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অ‌্যাডিনো (Adenovirus) সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই সকলকে আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রাজ‌্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন‌্য দায়ী অ‌্যাডিনো ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়নি। যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটি পুরনো। এবং আগেও ছিল, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৮ সালেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এবছর এই ভাইরাস সংক্রমণ লাগাম ছাড়া। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়। পেডিয়াট্রিক আউটডোরে থিক থিক করছে লোক। ভিড় উপচে পড়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। বি সি রায় হাসপাতালের আউটডোরে। তাই আপাতত আরও একমাস সকলকে সাবধানে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট শহর জুড়ে! জানুন এর উপসর্গ ও নিরাময়ের উপায়

    Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট শহর জুড়ে! জানুন এর উপসর্গ ও নিরাময়ের উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শহর কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ৫০ শতাংশ শিশু  জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে কাহিল। ৩ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুদের সংক্রমণ বেশি। ৩৪ শতাংশ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। একজন আক্রান্ত হলেই তার হাঁচি-কাশি থেকে অন্য শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।

    উল্লেখ্য, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো পাঁচশোরও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস আর প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে।

    অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ও নিরাময়

    তিনদিনের বেশি জ্বর,নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, কাশি, গা হাত পা ব্যথা, বমি, লুস মোশন, দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে কোনও একটিও উপসর্গ দেখা গেলে প্রচুর পরিমাণ জল কিংবা ORS খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। তবে দিনে সর্বাধিক পাঁচবার। নাক বন্ধ হয়ে গেলে নুন দিয়ে গারগেল। খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাবের পরিমাণেও।

    কাদের ঝুঁকি বেশি

    শিশু চিকিৎসকদের কথায়, ২ বছরের কমবয়সি শিশুদের মধ্যে যাদের জন্মগত কোনও হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে অথবা সময়ের আগে জন্মেছে কিংবা জন্মের সময়ে ওজন ২ কেজি-র কম ছিল, তাদেরই ঝুঁকি সব চেয়ে বেশি। সাধারণ সর্দি-কাশিটা ভয়াবহ শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে অনেক সময়ে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও নিচ্ছে না। তাই সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। এই ভাইরাস ঠেকানোর বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন পর শরীর থেকে বিদায় নিচ্ছে ভাইরাস। তবে কাশিটা থেকে যাচ্ছে। সতর্কতা জরুরি।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি

    অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) মূলত শিশুরা (Child)  আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে স্কুল থেকে শিশুদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে স্কুলে না পাঠানোই ভাল। শিশু সংক্রমিত হলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখুন। যাতে সকলের সংস্পর্শে সে আসতে না পারে, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adenovirus: মাস্ক পরুন, ভিড় এড়ান! অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত বহু শিশু, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    Adenovirus: মাস্ক পরুন, ভিড় এড়ান! অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত বহু শিশু, নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভিড় বাড়ছে আক্রান্ত শিশুদের। কলকাতা শহরের সব সরকারি হাসপাতালেই শিশুবিভাগের শয্যা প্রায় ভর্তি । ১ থেকে ২ বছরের মধ্য শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। জ্বর- সর্দি-কাশি- হাঁচি নিয়ে হাসপাতালে আসছে শিশুরা। কারও অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে।  

    সরকারি নির্দেশিকা

    অ্যাডিনো ভাইরাস সম্পর্কে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, চিকিৎসকদের  অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটার এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনের জোগানে নজরদারির জন্য সিএম‌ওএইচ, মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।  বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শিশুবিভাগে অতিরিক্ত পিকু এবং নিকু খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শুধু তাই নয়, কোভিডের ধাঁচে ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস বা ইলি এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুখের ডেটা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়াও চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলিতে কত নতুন শিশু ভর্তি হচ্ছে, কতজনের মৃত্যু, নতুন-পুরোনো মিলিয়ে কতজন শিশু, চিকিৎসাধীন রয়েছে, পিকু, নিকু, সিসিইউ, এস‌এনসিইউয়ে কতজন রয়েছে, ভেন্টিলেটরে কতজন রয়েছে- সব তথ্য হাসপাতালগুলিকে জানাতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    বাবা-মায়েরা কী করবেন

    প্রসঙ্গত, শিশু চিকিৎসকেরা কোভিডের মতোই অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রামক জানিয়ে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা সহ বিশেষ নির্দেশিকা জারি করার প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। তাঁদের সেই প্রস্তাব মেনে সরকারি নির্দেশিকায় (Guidelines) বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে ৫টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল- অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন না। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাস-ট্রেন-সহ ভিড়বহুল জায়গায় মাস্কের ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করা ঠিক নয়। জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশির উপসর্গ হলেই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে বা  রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম হলে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    Adeno: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা এবং কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ইমিউনিটি কমে যাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শহর জুড়ে দেখা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাসের দাপট। যার নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। শিশুদের উপর এরা বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, প্রাথমিক ভাবে এমনই লক্ষ্মণ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ভুল করে ফেলছেন চিকিৎসক থেকে রোগীর পরিবার।  সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শিশু হাসপাতালে আইসিইউয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আইসিইউয়ে বেডের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উপচে পড়ছে জেনারেল বেড।  কলকাতা মেডিক্যালে দেড় মাসে এই ভাইরাসের সংক্রমণে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। 

    অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ

    আচমকাই শহরে বেড়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তাঁরা বাড়তি সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আইসিইউ বেড যাতে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকে হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এক থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে আইসিইউতে। 

    আরও পড়ুন: পুষ্টিবিদরা দৈনন্দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখতে বলছেন, এর ৭টি পুষ্টিগুণ জানুন

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি। একইসঙ্গে পারদের ওঠানামা লেগেই রয়েছে। পিসিআর (polymerase chain reaction) টেস্ট করে অ্যাডিনোভাইরাস চিহ্নিত করা গেলেও এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডাইরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে রোগীর। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share