Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Beans Health Benefits: কেন প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখবেন কলাই জাতীয় শস্য? রইল ৫টি কারণ

    Beans Health Benefits: কেন প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখবেন কলাই জাতীয় শস্য? রইল ৫টি কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনস (Beans) বা কলাই জাতীয় শস্যদানাকে ‘সুপারফুড’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার একে পুষ্টির ‘পাওয়ারহাউস’ও বলেন। এই তালিকায় রয়েছে যেমন রাজমার মতো বিনস-জাতীয়, মাষ-মুগের মতো কলাই-জাতীয় শস্যদানা ও ছোলা-মটর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন পুষ্টির উপাদানে ভরপুর থাকে এই কলাই জাতীয় শস্যগুলি।

    আসুন জেনে নিই কলাই জাতীয় শস্যতে (Bean) পুষ্টির কী কী উপাদান থাকে—

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন কলাই শস্য (Bean) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে কলাই শস্য।

    ১. হার্টের জন্য ভাল

    বিশেষজ্ঞদের মতে কলাই শস্যের (Bean) বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। প্রতিটি প্রকারের শস্য আলাদা আলাদা গুণে সমৃদ্ধ।

    কলাই শস্যগুলি দানাদার হয় এবং আকারও আলাদা আলাদা হয়। তবে এগুলি হার্টের জন্য উপকারী এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

    ২. রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে কলাই-জাতীয় শস্য (Bean)

     বিশেষজ্ঞদের মতে কলাই শস্যগুলি (Bean) রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।


    শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও কলাই শস্যগুলি ভূমিকা নেয়।

    ৩. কড়াই শস্যগুলি (Bean) ফাইবারে পরিপূর্ণ

    পুষ্টিবিদরা বলছেন কলাই শস্যগুলি ফাইবারে পরিপূর্ণ।

    এগুলো কোলেস্টরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলো হজমে সহায়ক।

    ৪. হাড় মজবুত করে কলাই জাতীয় শস্য (Bean)

     বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কলাই শস্য খুবই উপকারী।

    400

    ক্যান্সারের মতো রোগেরও ঝুঁকি কমায় কলাই শস্য।

    ৫. নিরামিষভোজীদের প্রোটিনের ভাল উৎস কলাই জাতীয় শস্য (Bean)


    আমিষ খাবার যাঁরা খান না, তাঁদের জন্য বিকল্প উদ্ভিজ প্রোটিনের ভরপুর উৎস হল কলাই জাতীয় শস্য অন্তত এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: পুষ্টিবিদরা দৈনন্দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখতে বলছেন, এর ৭টি পুষ্টিগুণ জানুন

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। মরশুম বদলের এই সময় সাবধান থাকাটা সকলের জন্যই আবশ্যিক। এই সময়ে যে রোগটি বেশি দেখা যায় সেটি হল চিকেন পক্স বা বসন্ত রোগ। ফলে চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে আপনি খেতে পারেন সজনে ফুল। সজনে ফুল এই বসন্তে ভীষণ উপকারি। এই ফুল বসন্ত- প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বসন্তে মরশুম বদলের সময় সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব কিছু থেকেও রক্ষা পেতে সজনে ফুল উপকারি।

    সজনে কেন উপকারি?

    সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। মোরিঙ্গা বা সজনে পাতা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রধানত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন এ, ডি, সি সমৃদ্ধ সজনে পাতা, ফুল ও ডাঁটা। সজনে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি প্রকৃতপক্ষে পুষ্টির পাওয়ার হাউস।

    এতে কী কী গুণ রয়েছে?

    সহজে ঠান্ডা লাগবে না- এই মরশুমে সর্দি,কাশির থেকে দূরে থাকতে সজনে ফুল উপকারি।

    বাতের ব্যথায় উপকারি- সজনে ডাঁটা বা ফলে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। বাতের রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারি। সজনের ডাঁটা থেকে বাতের তেল তৈরি হয়। যা বাত রোগীদের পক্ষে দারুন কার্যকরী।

    শক্তি বৃদ্ধি করে- শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দেয় সজনে পাতা। প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের দুর্বলতা ও তন্দ্রা কমাতে সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিসের জন্য ভালো– এই পাতায় শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল, লিপিড এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রাও কমাতে পারে যা মানবদেহে ডায়াবেটিসের বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

    স্বাস্থ্যকর চোখ- সজনে পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা সুস্থ চোখ, পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তি এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

    হার্টকে সুরক্ষিত রাখে- হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করতে ও কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে সজনে পাতা।

    লিভারকে সুস্থ রাখে- এই পাতায় পলিফেনলের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা লিভারকে যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদ্যতালিকায় মাশরুমের (Mushrooms) আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। মাশরুম নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। এবং প্রতিনিয়ত এর নতুন নতুন গুণাবলী আমাদের সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমের ব্যাপক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। মাশরুম রান্না করাও সহজ।

    আজ আমরা আলোচনা করব মাশরুমের (Mushrooms) বেশ কিছু পুষ্টিগত গুণ নিয়ে

    ১.মাশরুমে (Mushrooms)থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ হল ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে শরীরকে বাঁচানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সেলেনিয়াম নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাশরুমে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। 

    ২. ভিটামিন-ডি এর ভাল উৎস হল মাশরুম (Mushrooms)

    ভিটামিন ডি-এর একটি উদ্ভিজ্জ উৎস হল মাশরুম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির মধ্যে মাশরুমকে বেশ কয়েকঘণ্টা রোদে রাখলে এটি আরও ভাল ভিটামিন ডি এর উৎস হবে। 

    ৩. হার্টের জন্য খুবই ভাল

    বাড়তি ওজন কম করতে মাশরুমের (Mushrooms) জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মাশরুম খুবই ভাল। মাশরুম কোলেস্টরল কম করে এবং রক্তচাপ কমায়।

    ৪. অন্ত্রের জন্য খুবই ভাল

    মাশরুমে (Mushrooms) থাকে বিটা গ্লুকান, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অন্ত্রকে ভাল রাখে।

    ৫. মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপযোগী হল মাশরুম (Mushrooms)। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এর জুড়ি নেই।

    ৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে

    বাড়তি ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য মহৌষধ হল মাশরুম (Mushrooms), অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ৭. চুল এবং ত্বকের জন্য ভাল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও মাশরুম খুব উপকারী।

    ৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে মাশরুম (Mushrooms)।

    ৯. শরীরে অস্বস্তি কমায়

    মাশরুম (Mushrooms) খেলে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়না, অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ১০. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

    মাশরুমে (Mushrooms) পাওয়া যায় ভিটামিন বি৬, যা সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা (Tuberculosis) নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। একটি শীর্ষস্থানীয় বায়োটেক কোম্পানি ভারতের প্রথম পোর্টেবল এক্স-রে ডিভাইস চালু করতে প্রস্তুত। এই ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে এক মিনিটেই সংক্রামক রোগ নির্ণয় করা যাবে।    

    পুনে ভিত্তিক সংস্থা মাইল্যাব ডিসকভারি (Tuberculosis) সলিউশন, ১৪ ফেব্রুয়ারি Qure.ai-এর সঙ্গে যৌথভাবে ঘোষণা করেছে , মেডিকেল ইমেজিংয়ের সাহায্যে এআই সফ্টওয়্যারের একটি এক্সরে প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে। এর ফলে যক্ষ্মা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং ফুসফুসের সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: নতুন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ, এখন থেকে ফটো কোয়ালিটি পছন্দ করতে পারবেন ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরা

    মাইল্যাব এবং Qure.ai শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে ডিভাইস (Tuberculosis)। এর ফলে টিবি রোগ নির্ণয় অনেক বেশি নির্ভুল এবং দ্রুত হবে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা- নিরীক্ষার পরই বাজারে উপলব্ধ হবে এই ডিভাইস। এর খরচ সাধারণ এক্স-রে পরীক্ষার মতোই হবে বলে জানা গিয়েছে৷

    ভারতের যক্ষ্মা পরিস্থিতি 

    সংস্থা দুটি জানিয়েছে, পালমোনারি টিবি রোগীদের খুব দ্রুত সনাক্ত (Tuberculosis) করা যাবে। এর ফলে ২০২৫- এর মধ্যে ভারত যক্ষ্মামুক্ত দেশে পরিণত হবে। এনটিইপি এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল তিনটি। এক, ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যুহার কমানো, দুই, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নতুন করে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দূর করা এবং তিন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে টিবি চিকিৎসায় রোগীর খরচ শূন্য করা। এই প্রকল্প ধাক্কা খায় ২০২১ সালে। কোভিডের কারণে যক্ষ্মা রোগীর রোগনির্ণয় প্রক্রিয়া খানিক বাধাপ্রাপ্ত হয়। তার নেতিবাচক ফলাফলও নজরে আসে।

    ২০১৯ সালে সারা দেশে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষের আশপাশে। টিবি ইন্ডিয়া রিপোর্ট ২০২২–এর তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে টিউবারক্যুলোসিস রোগীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৯ লক্ষ ৩৩ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ রোগীর সংখ্যায় প্রায় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়া প্রাণহানির হারও বাড়ে। তবে লড়াই থেমে ছিল না। তারই ফলে যক্ষ্মা নির্মূলকরণের উদ্যোগে কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁচা পেঁপের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। কাঁচা পেঁপের রস শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি জ্বর নিরাময়ে, পেটের সমস্যা দূর করতে, গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজম দূর করতেও সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা একে ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে।

    হজমে সহায়ক

    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধে কাঁচা পেঁপে সহায়ক। এটি হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি করে। বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানান সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পাপাইন ও চিমোপাপাইন নামক এনজাইম এবং খাদ্য আঁশ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে  কেমোপেইন, প্যাপিন, পাইপাইন ও সাইমোপ্যাপিনের মতো উপাদান থাকে। এগুলো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যেমন—স্যাপোনিনস, টানিনস, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে আইজিএমের মাত্রা বাড়ায়। কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা কারডেনোলিডস ও স্যাপোনিনস উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা উপাদান স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্বাস্থ্যকর হার্টবিট মেইনটেইনে কার্যকর।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    কাঁচা পেঁপেতে কম ক্যালোরি ও উচ্চ মাত্রায় খাদ্য আঁশ রয়েছে। তাই কাঁচা পেঁপে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় এনজাইম প্রদাহ রোধে সহায়ক। কাঁচা পেঁপের জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত কাঁচা পেঁপের জুস খান। 

    ত্বকের জন্য উপকারী

    গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে ত্বকের জন্য উপকারী। এটি স্কিন আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে কাঁচা পেঁপে। সান ড্যামেজ, ব্রণ ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে কাঁচা পেঁপে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। কাঁচা পেঁপে মৃত কোষকে দূর করতে কার্যকরী। আর এতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতরেও পরিষ্কার করে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    কাঁচা পেঁপেতে গাজর ও টমেটোর চেয়েও অনেক বেশি ক্যারটিনয়েডস পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের শরীরের ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে হাঁপানি, অস্টিও আর্থারাইটিস, গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগের উপকারে এবং হার্টকে ভালো রাখতে অনেক কার্যকরী। তবে কাঁচা পেঁপে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে এলার্জি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে পরিমিত আহার শ্রেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chicken Pox: শীতের বিদায়বেলায় বাড়ছে চিকেনপক্স, কোন কোন খাবার খাবেন?

    Chicken Pox: শীতের বিদায়বেলায় বাড়ছে চিকেনপক্স, কোন কোন খাবার খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শীতকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। কখনও কম্বল নিতে হচ্ছে, কখনও আবার চালাতে হচ্ছে ফ্যান। এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। এই সময়ই বসন্তের সঙ্গে সঙ্গেই আসে চিকেন পক্স (Chicken Pox)। বায়ুবাহিত এই রোগ যাঁদের এর আগে হয়নি যাদের, তাদের ভয় আরও বেশি। বিশেষত শিশুদের অবশ্যই এই সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি। এমনকি যাদের এই রোগ আগেও হয়েছে তাদেরও সাবধানে থাকতে হবে। সতর্ক না থাকলে তাঁরাও শিকার হতে পারেন এই অসুখের। তাই সাবধান থাকাটা খুব জরুরি।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    এই সময় বেশ কিছু খাবার খেলে আপনি এই রোগকে দূরে রাখতে পারবেন। কী কী খাবেন?

    সজনে ফুল

    এই সময় মাঝেমাঝেই সজনে ফুল খেতে পারেন। বায়ুবাহিত নানা অসুখকে দূরে রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন খাওয়ার চেষ্টা করুন সজনে ফুল। 

    নিম

    নিম পাতা জীবাণুনাশক। স্নানের সময়ে জলে নিম পাতা দিয়ে স্নান করলে ও নিম পাতা ভাজা খেলে এই অসুখ ঠেকানো অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ‘ভ্যারিসেল্লা’ ভাইরাসেরর আক্রমণে এই রোগ হয়। নিমপাতা সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।  

    বাঁধাকপি

    বাঁধাকপি এই রোগকে দূরে রাখে। থাইরয়েডের সমস্যা না থাকলে বাঁধাকপি খেতে পারেন। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বসন্তের মতো বায়ুবাহিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে। 

    গাজর 

    শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাজর উপকারী। বিটা ক্যারোটিন এবং অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই সব্জি বসন্ত ঠেকাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া যে কোনও সংক্রামক রোগের সঙ্গে লড়তে গাজর খুবই কার্যকর।

    টক দই

    টক দই টক্সিন দূর করে, শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরীর ভিতর থেকে টক্সিন মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়। বসন্ত রোগ ঠেকাতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই ধরনের প্রোবায়োটিক উপাদান যুক্ত খাবারের উপর। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে নানাবিধ সংক্রমণ ঠেকায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এই চাটনি খান এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে দূরে রাখুন

    Cholesterol: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এই চাটনি খান এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে দূরে রাখুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের শরীরে মূলত দু’ধরনের কোলেস্টেরল (Cholesterol) পাওয়া যায়। এইচডিএল এবং এলডিএল। হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন ও লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। এর মধ্যে প্রথমটি ভাল কোলেস্টেরল। আর দ্বিতীয়টিকে বলে খারাপ কোলেস্টেরল। এলডিএল হল খারাপ কোলেস্টেরল, যা শরীরের ক্ষতি করে। এর ফলে হতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। এতে বাড়তে পারে স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে এই সমস্যা আসতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি খুনের সমান’, মানিকের জামিনের বিরোধীতায় ইডি টানল ‘ম্যাকবেথ’- এর তুলনা

    বেশি তেল-মশলা -ঘি দেওয়া খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে খারাপ কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা। আবার অন্য দিকে কোলেস্টেরল বাগে আনতে খেতে পারেন ওটস, বাদাম।

    এছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চাটনি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Anjali Mukerjee (@anjalimukerjee)

    কী করে বানাবেন সেই চাটনি?

    উপকরণ

    • ধনেপাতা- ৫০ গ্রাম
    • পুদিনাপাতা- ৫০ গ্রাম
    • কাঁচা লঙ্কা- প্রয়োজন মতো
    • রসুন- ২০ গ্রাম
    • তিসির তেল- ১৫ গ্রাম
    • ইসবগুল- ১৫ গ্রাম
    • নুন- প্রয়োজন মতো
    • লেবুর রস- ১০ মিলি
    • জল- প্রয়োজন মতো

    এবার সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে বেটে নিলেই চাটনি তৈরি।

    কী উপকার পাবেন?

    • ধনে ও পুদিনা হজমে সাহায্য করে, কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
    • রসুন রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
    • ইসবগুল পেট পরিষ্কার করে। কোষ্টকাঠিন্য থেকে আরাম দেয়। এতে হজম ভালো হয় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
    • তিসি ওমেগা ৩- এর খুব ভালো উৎস। এটি ট্রাই গ্লিসারাইড এবং ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রনে রাখে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • Weight Loss: বাড়তি ওজন কমাতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৬টি সূত্র মেনে চলুন

    Weight Loss: বাড়তি ওজন কমাতে চান? তাহলে আজ থেকেই এই ৬টি সূত্র মেনে চলুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়তি ওজন আজ অনেকের কাছেই ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিকায় শরীর নিয়ে কোনও সুখ নেই! স্লিম হওয়ার জন্য তাই নানা রকমের উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেন প্রত্যেকেই। ছোটা, হাঁটা, ঘাম ঝড়ানো, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা এসব তো আছেই। তার সঙ্গে চলে খাবার এড়িয়ে যাওয়া। পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাবার এড়িয়ে গিয়ে বাড়তি ওজন কমানো (Weight Loss) সম্ভব নয়। এতে হিতে বীপরীত হতে পারে। বাড়তি ওজনের কতগুলো কারণ নিয়ে আমরা আজ আমরা আলোচনা করব। এবং ওজন কমাতে কী কী করবেন তাও বলব। 

    ওজন কমাতে (Weight Loss)  চাইলে কী করবেন এবং কী করবেন না

    ১. প্রাতঃরাশ এড়িয়ে যাওয়া

    প্রাতঃরাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন এটা এড়িয়ে যাওয়া কখনও উচিত নয়। শরীরে শক্তি, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে প্রাতঃরাশ।

    ২. প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন

    পুষ্টিবিদরা প্রক্রিয়াজাত খাবারের ফাঁদে না পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে  রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে এই ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

    ৩. ফল খান

    তাজা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে ফল খেতে বলছেন তাঁরা।

    ৪. প্রচুর জল পান করুন

    ওজন কমাতে (Weight Loss)  চাইলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই শরীরে যেন কখনও জলর মাত্রা কম না হয়।

    ৫. কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন

    ওজন কমাতে (Weight Loss)  চাইলে কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবার একটু কম খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

    ৬. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করুন

    শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শারীরিকভাবে অনুশীলন ভীষণ দরকার। শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়াতেও এর বিকল্প নেই।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Cancer Risk: আপনি কি প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আসক্ত! অজান্তে ক্যানসার ডেকে আনছেন না তো?

    Cancer Risk: আপনি কি প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আসক্ত! অজান্তে ক্যানসার ডেকে আনছেন না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার ধারের খাবার খেতে অথবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে বর্তমান প্রজন্ম এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। নানা রকমের জনপ্রিয় খাবার এবং পানীয়ের সম্ভারে জাঁকজমক পূর্ণ হয়ে ওঠে জন্মদিনের অনুষ্ঠান। শুধু জন্মদিন কেন? সারাবছর ধরে এমন অনেক আল্ট্রা প্রসেসড ফুডই ডায়েটে দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কিছু এমন জনপ্রিয় ফাস্টফুড এবং পানীয় আছে যেগুলি খেলে বাড়তে পারে ক্যান্সারের (Cancer Risk) ঝুঁকি। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

    গবেষণা কী বলছে

    আলট্রা-প্রসেসড খাবারগুলিতে সাধারণত অত্যধিক পরিমাণে লবণ, ফ্যাট, চিনি এবং আরও কৃত্রিম নানারকমের জিনিস মেশানো হয়। যার ফলে সেগুলি বাড়তি ওজনের কারণ হয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে ডেকে আনে এবং তার সঙ্গে হৃদরোগের কারণও হয় এই সমস্ত খাবারগুলি, এটা গবেষকরা বলছেন।

    সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে যে শুধু এই ক্রনিক রোগগুলিকে টেনে আনা নয়, আল্ট্রা প্রসেসড এই খাবারগুলি বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও। জানা গিয়েছে ১০ বছর ধরে ব্রিটেনে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে দু লক্ষ মধ্যবয়স্ক মানুষের ওপর। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের ৩৪টি বিভিন্ন কারণের আবিষ্কার করেছেন তার মধ্যে একটি কারণ রয়েছে আল্ট্রা প্রসেসড ফুড।

    বিজ্ঞানী দল আরও বলছে জরায়ুর ক্যান্সার (Cancer Risk) , ব্রেন ক্যান্সার (Cancer Risk)  এগুলোর ঝুঁকিও প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় এই জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে। বিজ্ঞানীদের মতে ডায়েটে ১০ শতাংশ করে আলট্রা প্রসেসড খাদ্যের পরিমাণ বাড়লে ক্যান্সার (Cancer Risk)  হওয়ার প্রবণতা ২ শতাংশ করে বেড়ে যায়। 

    এই গবেষণায় তারা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতির দিকগুলিকেও তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন ডেটা তাঁরা সংগ্রহ করেছেন যারা এই জাতীয় আলট্রা প্রসেসড খাদ্য গ্রহন করেছিল  তাদের মধ্য থেকে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ জনই বাড়তি ওজন এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anti Ageing: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    Anti Ageing: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি অ্যান্টি-এজিং (Anti Ageing) জিন হৃৎপিণ্ডের জৈবিক বয়স দশ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে। এমনটাই বলছে এক সাম্প্রতিক গবেষণা। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি এবং ইতালির মাল্টিমেডিকা গ্রুপের শিক্ষাবিদদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা সম্প্রতি কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণাটিতে মূলত হার্ট ফেইলিওরের কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

    কী বলছে গবেষণা? 

    যারা এই গ্রহের নীলাঞ্চলে বসবাস করেন, তারা সুস্থ মিউট্যান্ট জিনের (Anti Ageing) বাহক। এই অঞ্চলের মানুষরা ব্যতিক্রমীভাবে, ১০০ বা তার বেশি বছর সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন। এই ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা প্রবণতা কম। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীদের মতে, এই জিনটি তাদের হৃৎপিণ্ডকে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। তাদের হার্ট ফেইলিওরের মতো বার্ধক্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এই নতুন গবেষণায়, গবেষকরা দেখিয়েছেন যে এই স্বাস্থ্যকর মিউট্যান্ট জিনগুলির মধ্যে একটি, শতবর্ষী ব্যক্তিদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই জিনটির হৃদযন্ত্রকে বিকল হওয়া থেকে বিরত রাখার ক্ষমতা রয়েছে।       

    প্রফেসর পাওলো মাদেদ্দুর নেতৃত্বে ব্রিস্টলের (Anti Ageing) গবেষক দলটি লক্ষ্য করেছে, মিউট্যান্ট অ্যান্টি-এজিং জিনটি মধ্যবয়সী ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের ক্ষয় বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি আরও লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, এই বয়স্ক ইঁদুরগুলির হৃৎপিণ্ড বয়স্ক রোগীদের হৃৎপিণ্ডের মতোই আচরণ করে। পরিলক্ষিত হয়েছে যে, জিনটি হৃৎপিণ্ডের জৈবিক বয়সকে দশ বছরেরও বেশি কমিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও  

    ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিস্টল হার্ট ইনস্টিটিউটের (Anti Ageing) পরীক্ষামূলক কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিনের অধ্যাপক এবং গবেষণার অন্যতম লেখক অধ্যাপক মাদ্দেদু বলেন, “আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট এবং রক্তনালীগুলির কার্যকারিতা হ্রাস পায়৷ ধূমপান, অ্যালকোহল এবং বসে থাকা বার্ধক্যকে তরান্বিত করে। একইভাবে ভাল খাওয়া এবং ব্যায়াম করা হার্টের বার্ধক্যকে  বিলম্বিত করে। এছাড়া, বাবা-মার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ভাল জিনগুলি তরুণ এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। জিন হল অক্ষরক্রম যা প্রোটিনকে এনকোড করে। এই অক্ষরগুলির মধ্যে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। মিউটেশন জিনের কাজকে আরও খারাপ বা ভাল করে তুলতে পারে। যেমন মিউট্যান্ট অ্যান্টি-এজিং জিনের জন্য আমরা এখানে মানব কোষ এবং বয়স্ক ইঁদুরের উপর গবেষণা করেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share