Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ভিটামিনের মত ভিটামিন ডিও আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ডি এর প্রধান কাজ হল রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০শতাংশ ভারতীয়দের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্য, এটা প্রায় সবারই জানা। তবে সূর্য ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা ভিটামিন ডি-এ সমৃদ্ধ। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে দেখে নিন।

    চিজ- নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল চিজ। আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যেকোনো ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    ডিম- ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। শুধু ভিটামিন ডি নয়, এতে আছে একাধিক পুষ্টিকর এবং জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন। তাই ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

    মাশরুম- এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। ভিটামিন ডি ২ সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।

    স্যালমন মাছ- ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

    সয়া মিল্ক- সয়া মিল্কে গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে, তবে এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে।

  • Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

    জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় জ্বর হলে মানুষ তা সাধারণ জ্বর ভেবেই ওষুধ খেয়ে নেয়। তবে আপনি যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস বেশ কার্যকরী। পেঁপে পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এ পাতায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এই পাতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গি নিরাময়ে পেঁপের পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    পেঁপে পাতার রস তৈরি করতে বিভিন্ন উপকরণ

    ৪-৫ টি পেঁপে পাতা, ৬-৭ গোলমরিচ, ৬-৭ তুলসী পাতা, ১/৪ গ্লাস জল, এক টুকরো সুতির কাপড় বা একটি রুমালও নিতে পারেন। 

    কীভাবে তৈরি করবেন?

    প্রথমে পেঁপে পাতা ভালো করে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে প্লেটে রেখে সব পাতার পেছন থেকে ডাঁটা কেটে নিন। এরপর পাতাগুলোর ছোট ছোট টুকরো কেটে প্লেটে রাখুন। এরপর রস তৈরি করতে, একটি মিক্সার জারে সমস্ত পাতা রেখে এর সঙ্গে কিছু জল, গোলমরিচ এবং তুলসী পাতা যোগ করুন। এবার মিক্সার জারটি ভালোভাবে বন্ধ করে পেঁপে পাতাগুলোকে ভালোভাবে পিষে নিন। এবার একটি গ্লাসে মিশ্রণটি বের করে নিন। এরপরে একটি বাটিতে পরিষ্কার সুতির কাপড়ের সাহায্যে, পিষে রাখা পাতাগুলিকে ছেঁকে নিন। এতে পাতার সব রস বাটিতে চলে আসবে। আর এভাবেই প্রস্তুত পেঁপে পাতার রস।

    তবে এতে কোনও চিনি বা লবণ দেওয়া যাবেনা। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুবার ১০ মিলিলিটার পরিমাণ মত পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত। পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সের শিশুদের ৫ মিলিলিটার ও ৫ বছরের ছোটদের ২.৫ মিলিমিটার পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত।

  • Dengue: ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ টি খাবার

    Dengue: ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ টি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ এখনও কমেনি। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০১৯-এর রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে ডেঙ্গি থেকে দ্রুত সুস্থ হতে প্রথমে ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। এই পরিস্থিতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে ডায়েটের উপর দিতে হবে বাড়তি নজর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই সময়ে ডায়েটে কী কী খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, জেনে নিন।

    মেথি

    খাবারে প্রায়ই মেথির ব্যবহার করে থাকেন আপনারা। কিন্তু জানেন কি এই উপাদান শরীরের জন্য কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ডেঙ্গিতে যখন মারাত্মক জোরে ভুগছেন কোনও ব্যক্তি তখন তাকে আরাম দিতে সাহায্য করে মেথি।

    বেদানা

    ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের শরীরে নানা ব্যথা যন্ত্রণা হয়, সেই ব্যথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় এই বেদানা। এই ফল নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

    ডাবের জল

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে নারকেল অথবা ডাবের জল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    ব্রকলি

    এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন কে যা অনুচক্রিকা পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ব্রকলি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত।

    দই

    এই সময়ে দৈনন্দিন খাবারে দইয়ের মত প্রোবায়োটিক রাখা জরুরী। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও শরীর দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করবে।

    কিউই

    এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম রিকভারির ক্ষেত্রে উপকারী।

    রসুন

    শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে ডায়েটে বেশি করে রাখা উচিত রসুন। 

  • Winter Health Tips: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    Winter Health Tips: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুম প্রায় শেষ। শরতের আমেজ শেষে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ বেশ কমছে। আবহাওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে হাওয়া-বদল হচ্ছে। শীতের শুরুতে আবহাওয়ার অনেকটাই বদল হয়। তাই এই সময়ে অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশিতে (Winter Health Tips) কাবু হয়। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে কাবু হওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই চিকিৎসকেরা এই সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাদের সিওপিডি অর্থাৎ ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিজিজ আছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন। বয়স্কদের এক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন জরুরি বলেই মত চিকিৎসকদের। আবহাওয়ার বদলে সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। ফলে, সিওপিডি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দীপাবলিতে যে হারে লাগামহীন বাজির জন্য পরিবেশ দূষণ হয়েছিল, তাতে এমনিতেই সিওপিডি রোগীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই এর মধ্যে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে সেই সমস্যা আরও জটিল হবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

    বয়স্কদের পাশপাশি শিশুরা অনেক সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের জন্য এসময়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্ক ও শিশুরা অবশ্যই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেবে। কারণ, এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো যাবে। সিওপিডি ছাড়াও হাপানি রোগীদের ক্ষেত্রেও এই সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সিওপিডি, হাঁপানির মতো সমস্যা না থাকলেও ভাইরাস ঘটিত জ্বর রুখতে কয়েকটা বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ে তাপমাত্রা কম-বেশি হয়। দিনের মধ্যে একাধিক বার হঠাৎ গরম লাগে আবার রাতের দিকে বা ভোরবেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। তাপমাত্রার এই তারতম্যের জন্য সর্দি-কাশিতে ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে একেবারেই এসি চালিয়ে ঘুমোনো উচিত নয় বলে পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে দ্রুত সেরে উঠবেন

    উৎসবের মরশুম। তাই আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় দেদার খাওয়ার হিড়িক। কিন্তু এই সময়ে এগুলো মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় খেলে চট করে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরও হতে পারে। তাই আপাতত কিছুদিন এগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া, শীতে অতিরিক্ত চাইনিজ খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, চাইনিজ খাবারের কিছু উপকরণ শীতে শিশুদের ত্বকের সমস্যা ডেকে আনে। তাই বিশেষত শিশুদের চাইনিজ খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হওয়া জরুরি।

    শীতে অনেক রকমের উৎসব হয়। কমবেশি সকলেই নানান পদের খাবার খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু নিয়মিত ফল যাতে মেনুতে থাকে সেটা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত রোগ আটকানো যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাছাড়া, জল পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, যে কোনও ভাইরাস ঘটিত জ্বরে শরীরকে সুস্থ থাকতে দেহে জলের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকা জরুরি। তাই কোনও ভাবেই যাতে দেহে জলের ঘাটতি না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ঠাণ্ডা জলে স্নান না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

  • Breast Cancer: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে  দ্রুত সেরে উঠবেন

    Breast Cancer: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে দ্রুত সেরে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাস ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ শতাংশ মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি চার মিনিটে একজন ভারতীয় মহিলার ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভারতে ১ লাখ ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্তের ১২ শতাংশ রোগী মারা যান। কিন্তু ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের সময় মতো চিকিৎসা করালে মৃত্যু হার শূন্য শতাংশে নামানো যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। কিন্তু  এর জন্য প্রয়োজন সময় মতো রোগ নির্ণয় ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা।

    কীভাবে বুঝবেন 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিরিশ বছরের উপরে মহিলারা সজাগ থাকুন। বুকে কোনও রকম মাংসপিণ্ড দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিপল দিয়ে রক্তপাত হলে একেবারেই দেরি করা উচিত নয়। এটা স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ। বুকে কোনও রকম লাল দাগ কিংবা চুলকানি হলে, দীর্ঘদিন সেগুলো থেকে অস্বস্তি হলেও চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়েই বুকে lump বা মাংসপিণ্ড দেখা যায়, যাতে কোনও ব্যথা হয় না। অথচ তা ক্রমশ বড় হচ্ছে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    নিরাময়ের উপায়

    সময় মতো চিকিৎসা করালে ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব, মত চিকিৎসকদের। প্রয়োজন মতো, অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপি করালে এই রোগ থেকে মুক্তি মেলে। তবে, অনেক সময়েই এই রোগ নির্ণয় অনেক দেরিতে হয়। তাই সম্পূর্ণ চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায় না।  তবে, এই রোগ রুখতে নিজের জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    প্রথমেই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত ফাস্ট ফুড বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো খাবারে যেসব রাসায়নিক থাকে, তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে, নিয়মিত, শাক-সবজি ও মাছ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পালং শাক খান। পালং শাক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাছাড়া পালং শাকের লিউটিন জেক্সানথিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া খাবারে হলুদের ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। খাবারে রসুনের ব্যবহার কমাতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি। কারণ, রসুনে রয়েছে সালফার যৌগ। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। টম্যাটো নিয়মিত খেলে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এটি লিকোফিন নামের লাল ফাইটোকেমিট্যাল সমৃদ্ধ সবজি। গাজরও ব্রেস্ট ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে। কারণ, গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এটা এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সব্জিগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ, এই সব সব্জিতে থাকে গ্লুকোসিনোলোটস। এগুলোতে ফাইটোকেমিট্যাল থাকে, যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্ট্রবেরি, কমলালেবু, ব্লু বেরির মতো ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সামুদ্রিক মাছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান থাকে। স্যালমন, টুনার মতো মাছ ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Intermittent Fasting: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    Intermittent Fasting: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমাতে কত রকমেরই কৌশল-উপায় বেছে নেন সাধারণ মানুষ। তবে নানরকমের কৌশলের মধ্যে যেটি কার্যকরী সেটি হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপবাস রেখে বা এইভাবে ডায়েট করলে ওজন সত্যি কমে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ সারা দিনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাবতীয় খাবার খাওয়া শেষ করে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে থাকতে হয়।

    কিন্তু তাই বলে আপনিও কি নিজের ওজন কমানোর জন্য এই উপায়কেই (Intermittent Fasting) বেছে নিয়েছেন। তবে তা আজই বন্ধ করুন। কারণ নতুন এক গবেষণায় এক অন্য তথ্যই উঠে এসেছে। জাানা গিয়েছে, এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সরাসরি মহিলাদের প্রজনন হরমোনের ওপর ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আরও পড়ুন: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    সম্প্রতি শিকাগোর ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস’-এর একদল গবেষক কিছু মেনোপজ-পরবর্তী স্থূলকায় মহিলাদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে তাদের উপর ৮সপ্তাহ ধরে এই ‘ওয়ারিয়র ডায়েট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখেছেন। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রিস্টা ভারাডি। এই ডায়েট পদ্ধতিতে (Intermittent Fasting) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৪ ঘণ্টা খাবার খাওয়ার অনুমতি মেলে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত কিছু খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরিমাণের ক্ষেত্রেও কোনও বিধি নিষেধ থাকে না। কিন্তু চার ঘণ্টার পরে আর কিছু খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়না।

    এরপরে ওই সমস্ত মহিলাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, যারা এই উপোস করেছেন তাদের হরমোনের মাত্রায় পার্থক্য রয়েছে। আর যারা এই ফাস্টিং করেনি তাদের হরমোনে কোনও প্রভাবই পড়েনি। ক্রিস্টা ভারাডি এবং তাঁর দল দেখেছে যে উপোস করা লোকজনের মধ্যে গ্লোবুলিন হরমোনের মাত্রা আট সপ্তাহ পরে অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়াও অপরিবর্তিত ছিল টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মতো অন্যান্য হরমোনও। কিন্তু ডিহাইড্রোপিয়ান্ড্রোস্টেরন বা ডিএইচইএ হরমোন মেনোপজ-পূর্ব এবং পরবর্তী উভয় মহিলাদের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। এটি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ডিম্বাণুর গুণমানেও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এই গবেষণা থেকেই বোঝা গিয়েছে যে, কীভাবে মহিলাদের দেহে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting) প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্টিওপরোসিস, বর্তমান শতাব্দীর সর্বপেক্ষা আলোচিত রোগগুলোর একটি। এটি এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের শরীরকে ধরে রাখে যে হার তারই নাম মেরুদণ্ড আর এই রোগে মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড় সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গার প্রবণতা থাকে। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এর  অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত। 

    সাধারণত এই রোগ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের বেশি হয়। এছাড়া যাঁদের আগে হাড় ভাঙার ইতিহাস রয়েছে, বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ অথবা খিঁচুনির ওষুধ সেবন করেছেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানও এই রোগের কারণ হতে পারে। যেহেতু হাড়ের ঘনত্ব কমা এই রোগের প্রধান কারণ, আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতিই হাড়কে দুর্বল করে, সেহেতু কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, কায়িক শ্রমের ঘাটতি রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া কিছু বাতজনিত রোগ, থাইরয়েড ও প্রজনন গ্রন্থির রোগ, খাদ্যনালী থেকে পুষ্টি ও ভিটামিন শোষণে সমস্যা ইত্যাদি কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পার।।

    তবে বিশেষজ্ঞরা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির  কিছু উপায় দিয়েছেন…

    ১) সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ :  ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে সুপরিচিত কিন্তু ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্য অত্যাবশ্যক।
    এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

    ২) সূর্যালোকে কিছুটা সময়: আমাদের সাধারণত প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন, আর সূর্যালোকে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা আমরা সরাসরি সূর্যালোক থেকে সংগ্রহ করতে পারি। তার দিনের কিছুটা সময় থাকুন সূর্যালোকে। 

    ৩) কোলাজেন বৃদ্ধি : বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের দেহে কোলাজেন হ্রাস পেতে থাকে। কোলাজেনের অভাব হাড় ভাঙার অপর একটা কারণ। তাই প্রতিনিয়ত কোলাজেন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।

    ৪) হাঁটা ও ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞের মতে নিয়মিত ব্যয়াম আর প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্যভ্রমণ শরীর ও মনের মধ্যে স্ফুর্তি আনার পাশাপাশি হাড়ের দৃঢ়তা প্রদান করে। তাই নিয়মিত ব্যয়াম কিংবা হাঁটা অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

    ৫) অ্যালকোহল যুক্ত পাণীয় ত্যাগ: অ্যালকোহল কিংবা যেকোনও নেশা জাতীয় পানীয় এবং সকল ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই!  প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই! প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue)পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবনও। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৬৬ জন। চলতি সপ্তাহে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৯৩৬ জন। সাপ্তাহিক আক্রান্তের রেখচিত্রে এই সপ্তাহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।  এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এ ছাড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    এরই মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Police) কর্মীর। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এএসআই (ASI) উৎপল নস্কর বৃহস্পতিবার থেকে সিএমআরআই হাসপাতালে (CMRI Hospital) ভর্তি ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর,পঞ্চাশোর্ধ ওই পুলিশ কর্মী শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ মারা যান। এদিকে পুলিশ বাহিনীর আরও কয়েকজন কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    ডেঙ্গির সঙ্গেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। চিকিত্‍সকরা বলছেন, একই সঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কমবয়সী ও মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রবণতা। ভালভাবে শীত না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ চলবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খ‍বর, বেশ কিছু জায়গায় মারাত্মক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি। তার মধ্যে, শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৫ জন। ব্যারাকপুর পুরসভায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬। শ্রীরামপুর পুরসভায় ৪৪০ জন।  বহু জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানুষ। আবার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে,সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পুরসভার পক্ষে  ডেঙ্গি ঠেকানো সম্ভব নয়। বাড়িতে জমা জল পরিষ্কারের ব্যাপারে নাগরিক অনিহাকে দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sleeping Tips: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

    Sleeping Tips: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স ৫০ বা তার বেশি হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, এই বয়সটা ঝুকিপূর্ণ। যদি ঘুমের (Sleeping Tips) পরিমাণ । পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোন তাহলে ঝুঁকি আরও বেশি। কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসারের মতো রোগের আশঙ্কা অনেক বেশি।     

    ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সি ৭,৮৬৪ জন ব্রিটিশ সরকারিদের কর্মীদের নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষকরা PLOS মেডিসিন জার্নালে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে। ১৮ অক্টোবরের সংখ্যায় গবেষণার এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যাঁদের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন, গবেষকরা তাদের ২৫ বছরের ঘুমের সময়কাল জেনে নিয়েছেন।  

    বিভিন্ন রোগের সঙ্গে এই ঘুমের সম্পর্ক কমা বা বাড়ার বিষয়টিকে তুলনা করে দেখেছেন। মোট ১৩টি ক্রনিক রোগকে গবেষকরা তাঁদের তালিকায় রেখেছিলেন। তার মধ্যে দুটি বা তার বেশি দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা আরও দেখতে চেয়েছিলেন, ৫০ বছর বয়সে ঘুমের পরিমাণ কীভাবে একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের স্বাভাবিক গতিপথকে প্রভাবিত করে।

    ‘উদ্বেগজনক’, কেনিয়ায় দুই ভারতীয় খুন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

    স্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে ক্রনিক রোগ, মাল্টিমরবিডিটি এবং মৃত্যু এই বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ঘুমের কতটা সম্পর্ক আছে, এই গবেষণার মাধ্যমে তা নির্ণয় করা অন্যতম লক্ষ্য ছিল গবেষকদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁরা পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমিয়েছিলেন, তাদের ক্রনিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।  

    আর, ২৫ বছরের মধ্যে দুই বা ততোধিক ক্রনিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। তুলনায় যাঁরা সাত ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমোন, তাঁদের ক্রনিক রোগের পরিমাণ কম। গবেষণায় ৫০, ৬০ এবং ৭০ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁদের মাল্টিমরবিডিটির ঝুঁকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। 

    মোট ১৩টি ক্রনিক রোগকে গবেষকরা তাদের তালিকায় রেখেছিলেন। তার মধ্যে দুটি বা তার বেশি দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা। গর্ভনিরোধক কোনও কিছু ব্যবহার না করার কারণে কৈশোরে মা হচ্ছেন বহু কিশোরী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হিন্দুদের (Hindus) চেয়ে কৈশোরে মা হচ্ছেন বেশি মুসলিম (Muslim) কিশোরী। শরীর পুরোপুরি গঠন হওয়ার আগেই মা হওয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য হচ্ছেন কিশোরী মা। যা ভবিষ্যতে তাঁর নিজের শরীরের পক্ষেই ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সম্প্রতি ডেটা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS) ৫। তাতেই উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য। জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যেই মা হচ্ছেন ৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা। এঁদের মধ্যে আবার মুসলমানদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৮.৪। এর পরে রয়েছে খ্রিস্টান। শতাংশের হিসেবে তাঁরা ৬.৮। সব শেষে রয়েছেন হিন্দু। তাঁদের হার ৬.৫ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্ট যে হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলমানদের গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি। এই তথ্য থেকে এও স্পষ্ট গর্ভনিরোধক ব্যবহারে তাঁদের ঘোর অনীহা।

    আরও পড়ুন: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    প্রসঙ্গত, বাল্য বিবাহের কারণে হিন্দুদের শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু মুসলমানদের তা দেওয়া যায় না। কারণ তাঁদের পার্সোলান ল’ রয়েছে। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি। শিক্ষা এবং সম্পদ যাঁদের কম, তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রেই সচরাচর এটা দেখা যায়। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মহিলা ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে মা হন। কৈশোরে গর্ভবতী হওয়ার হার সব চেয়ে বেশি ত্রিপুরায়। শতাংশের হিসেবে ২২। এর পরেই রয়েছে বাংলা। সেখানে এই হার ১৬ শতাংশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড।

    সমাজকর্মীদের মতে, নাবালিকা বিবাহের কারণে দ্রুত বাড়ছে জনসংখ্যা। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুসলমানদের মধ্যে এই বয়সে সন্তান জন্মদানের হার ২.৪ শতাংশ। সেখানে হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে এই হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, ভারতে গত পাঁচ বছরে নাবালিকা বিয়ের হার ২২২ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share