Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    Stop Eating Rice: রোগা হওয়ার জন্য ভাত খাওয়া বন্ধ করেছেন! আজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীরের ওজন নিয়ে এখন সতর্কতা বাড়ছে। স্থূলতার সমস্যা কমাতে অনেকেই চটজলদি পথে হাঁটতে চাইছেন। আর তাই কাটছাঁট হচ্ছে খাবারে। তাড়াতাড়ি শরীরের ওজন ঝরাতে অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ভাবে ডায়েট তৈরি সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেন। কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই অনেকেই এই ধরনের ডায়েট তৈরি করেন। আর এর ফল হয় মারাত্মক। শরীরের লাভের তুলনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির পাল্লাই এখন বেশি ভারি থাকে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে কী উপকার হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মেনু থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দেয়। কয়েক সপ্তাহ টানা ভাত না খেলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়। ভাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে। তাই নিয়মিত ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে দ্রুত ওজন কমবে।

    কেন ভাত বাদ দিলে ক্ষতির পাল্লা ভারি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেনুতে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে ওজন কমবে। কিন্তু এর প্রভাব খুবই খারাপ। শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ভাত বাদ পড়লে ক্ষতির পাল্লা ভারি হবে‌। দীর্ঘদিন ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে শরীরে একাধিক পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে শুধুই কার্বোহাইড্রেট থাকে না। তার সঙ্গে থাকে একাধিক ভিটামিন। যেমন, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি৩ (নিয়াসিন), আয়রনের মতো একাধিক উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো শরীরে পুষ্টির জোগানে খুবই প্রয়োজনীয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে পুষ্টিও অসম্পূর্ণ থাকে।

    বাঙালির আরেক পরিচয় ভাতে-মাছে বাঙালি! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই পছন্দের জন্য নয়। পরিবেশগত কারণেও ভাত বাঙালির প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। এই আবহাওয়ায় সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে ভাত খেলে হজমের সুবিধা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত থেকে শরীর পর্যাপ্ত ফাইবার পায়। তাই ভাত খেলে হজম ভালো হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় এনার্জির ঘাটতি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট থেকেই শরীর এনার্জি পায়। নিয়মিত বিভিন্ন কাজের শক্তি জোগান হয়। তাই ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিলে এই এনার্জির ঘাটতি হবে। শরীর ক্লান্তি অনুভব করবে‌। প্রতিদিনের স্বাভাবিক সাধারণ কাজ করার ইচ্ছে নষ্ট হবে।

    শরীরের পাশপাশি মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ভাত না খেলে শরীরের পাশপাশি মনের উপরেও চাপ পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়। তাই মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। তাই খাবারের তালিকা থেকে ভাত সম্পূর্ণ বাদ দিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতি হয়।

    ভাত খাওয়া নিয়ে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের প্রকোপ রুখতেও, অনেকেই ভাত না খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভাত না খেলে শরীরে ক্ষতি হয়। আবার বেশি খেলেও নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ভাত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়বেটিসের প্রকোপ ও আটকানো যাবে। আবার ভাত না খাওয়ার ক্ষতিও এড়ানো যাবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো, পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়ার পাশপাশি বিকল্প দানাশস্য জাতীয় খাবার সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। অর্থাৎ শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে রুটি খাওয়া যাবে কিনা, সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন, দুগ্ধজাত খাবার কী খাওয়া যাবে, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার অর্থ শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়া নয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    Hepatitis: বর্ষায় রাজ্যে বাড়ছে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে বর্ষার দাপট বেশি। লাগাতার বৃষ্টিতে সকলেই নাজেহাল। জমা জলের জেরে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার একাধিক এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। আর এই পরিস্থিতিতে একাধিক রোগ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। কয়েক দিন ধরে জমা জলের জেরেই এই ধরনের রোগের সংক্রমণ বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা বজায় রাখতে না পারলে বিপদ আরও বাড়বে। লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।

    কাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস-এ মূলত জলবাহিত রোগ। আবার অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি শিশুদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। তাই তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া শিশুরা অনেক সময়েই বাড়ির বাইরে যায়। বিশেষত স্কুলে দীর্ঘ সময় কাটায়। সেখানেও তারা জল খাচ্ছে। বর্ষার আবহাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত থাকছে, সে নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছে। কারণ, বিভিন্ন জায়গায় জল জমে পানীয় জলের লাইনে নোংরা জল মিশে গিয়েছে। এমন আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। পানীয় জল কতখানি পরিশ্রুত, তার উপরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নির্ভর করে। তাই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শিশুরা হেপাটাইটিস-এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে, হেপাটাইটিসের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই লিভারের নানান রোগে ভুগছেন। এই পরিস্থিতি তাঁদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। কারণ, লিভারের রোগের ঝুঁকি হেপাটাইটিসের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় একাধিক পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে‌। বিশেষত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের দাপট এই রাজ্যে মারাত্মক। আর এই ধরনের রোগের জেরে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে একেবারেই কমিয়ে দেয়। এর ফলে সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ তৈরি করে। ফলে, অনেকেই এই ধরনের সংক্রামক রোগের পরেই জন্ডিসের মতো লিভারের রোগের শিকার হয়। তাই যারা ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    গর্ভবতীদের বাড়তি বিপদ‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় যে কোনও অসুখ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই বর্ষার এই পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়েদের হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার এই জলমগ্ন পরিবেশে হেপাটাইটিস-এ’র বিপদ কমাতে জরুরি পানীয় জলের উপরে নজরদারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত পানীয় জল সুনিশ্চিত করতে হবে। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের ক্ষেত্রে এই নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস এ মূলত জল থেকেই ছড়ায়। তাই পরিশ্রুত পানীয় জল নিশ্চিত করতে পারলে বিপদের ঝুঁকি অনেক কমবে।

    খাবারের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। তাই লিভার সুস্থ রাখতে পারলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। তাই তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে সবুজ সব্জি, ফল এবং দানাশস্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকবে। বরং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার কিংবা বাজারের চটজলদি চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। কারণ, এই ধরনের খাবারে লিভারে বাড়তি চাপ তৈরি করে।

    পর্যাপ্ত বিশ্রাম হেপাটাইটিস-এ’র মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। এনার্জি যথেষ্ট থাকবে। তাহলে যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে শরীর মোকাবিলা করতে পারবে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এই দুই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক। এই দুই অভ্যাসের জেরে লিভার ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এই দুই ক্ষতিকারক অভ্যাস ছাড়লে হেপাটাইটিসের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন যাপনের ধরন। বাড়ছে ব্যস্ততা! আর তাই খাদ্যাভাস থেকে পোশাক বদল আসছে সবকিছুতেই! চট জলদিতেই স্বচ্ছন্দ তরুণ প্রজন্ম। সময় কম লাগবে, অথচ সবটাই হয়ে যাবে সহজে! এমন জিনিসেই সকলে মজেছেন।‌ কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন একাধিক উপাদান। নানান রোগ এড়াতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে প্রয়োজন নানান উপাদান। খাবার থেকেই শরীর সেই সব উপাদান সংগ্রহ করে‌। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর তাই ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওয়ান পট মিল’ (One Pot Meal)! রান্না করতে সময় কম লাগছে। কিন্তু পুষ্টিগুণ প্রচুর। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হচ্ছে। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ওয়ান পট মিলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আধুনিক জীবনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এই ওয়ান পট মিল!

    ওয়ান পট মিল কী?

    পুষ্টিবিদদের মতে, ওয়ান পট মিল হলো এমন খাবার, যেখানে সব রকমের উপকরণ রয়েছে। অর্থাৎ, সুষম খাবারের কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সবকিছু থাকবে। প্রত্যেক উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে, তবেই সেটা পুষ্টিকর খাবার হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলে (One Pot Meal) এই সবকিছুই মোটামুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে এই ওয়ান পট মিল। সাধারণত, ওয়ান পট মিলে ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে সব্জি, ডিম সিদ্ধ এবং ডাল, এই সবরকমের খাবারের উপকরণ থাকে।

    ওয়ান পট মিল হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি! তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটা খাবার যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। চাল-ডাল এবং একাধিক সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। খুব কম তেল ও মশলায় খিচুড়ি রান্না করা যায়। তাই প্রত্যেক উপাদানের পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    লেমন-চিকেন রাইস অন্যতম পছন্দের

    লেমন-চিকেন রাইস জাতীয় খাবারকে ওয়ান পট মিলের (One Pot Meal) তালিকায় অন্যতম খাবার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমের দেশে এই খাবার যথেষ্ট জনপ্রিয়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে ভিটামিন ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত মিশ্রণ। চালের পাশাপাশি এই রান্নায় চিকেন, লেবু, গাজর, বিনস, বেল পেপার, মাশরুম, পার্সলের মতো একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ উপকরণ এবং মাখন ব্যবহার হয়। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট সবকিছুর জোগান ঠিকমতো হয়। আবার অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তাই সহজেই হজম হয়‌। শরীর এনার্জি পায়।

    চিকেন স্যালাডও যথেষ্ট জনপ্রিয়

    চিকেন কিংবা চিংড়ির স্যালাড জাতীয় পদ ওয়ান পট মিল (One Pot Meal) হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেটুস পাতা, যব, বিট,গাজর, ধনেপাতার মতো নানান ধরনের সব্জিতে সামান্য অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে বেকড অথবা গ্রিল করা মাংসের টুকরো কিংবা চিংড়ি মিশিয়ে ওয়ান পট মিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সহজেই পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও এড়ানো যাবে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমবে। কারণ এই ধরনের খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    কেন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থেকে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক সমস্যার কারণ খাদ্যাভাস। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ রোগ জীবন যাপন সংক্রান্ত। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে নানান রোগের দাপট এড়ানো যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে অধিকাংশ মানুষ বাজারের চটজলদি খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে। স্থুলতা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)। এই খাবার বাড়িতে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়। অতিরিক্ত সময় লাগবে না। আবার এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত তেল মশলা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান শরীরে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার রাজ্যবাসী।‌ বিভিন্ন জায়গায় জমা জল, বন্যা পরিস্থিতির দুর্ভোগের পাশপাশি স্বাস্থ্য সঙ্কট বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি, কমবেশি সকলেই জ্বরের (Influenza) কবলে। সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর। গোটা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা। দিন তিনেকের এই ভোগান্তির জের থাকছে কয়েক সপ্তাহ। ওষুধ খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও, ক্লান্তিবোধ থাকছে। যে কোনও স্বাভাবিক কাজেও বিশেষ এনার্জি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে নিয়মিত কাজের গতি কমছে। সাধারণ কিছু কাজ করার পরেও শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। অনেকের মাথা ঘোরা, পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বর (Viral Fever) মোকাবিলায় তাই বাড়তি তৎপরতা জরুরি।

    কেন জ্বর (Influenza) হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন জ্বরে কাবু। কিন্তু আসল ‘ভিলেন’ আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টির জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাঝেমধ্যে তাপমাত্রার মারাত্মক রকমফের হচ্ছে। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রোদের প্রকোপ বাড়ছে। ঘাম হচ্ছে। আবার তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে। আবার যারা নিয়মিত বাইরে যাতায়াত করেন, তাদের অনেক সময়েই বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে‌। জমা জলেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর এর ফলেই শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Viral Fever) ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় একাধিক ভাইরাস বাতাসে সক্রিয় থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লে, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, কমবেশি সকলেই জ্বরে নাজেহাল।

    জ্বরের পরে কোন উপসর্গ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে?

    তবে ওষুধ খেয়ে জ্বর কমলেও দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী বেশ কয়েকদিন নানান ভোগান্তি থাকছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইরাস ঘটিত এই জ্বরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধাক্কা খাচ্ছে। শরীরের এনার্জি কম হচ্ছে। তাই আরও ভোগান্তি বাড়ছে। যেমন সাধারণ কাজ করলেও মাথা ঘুরছে, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ তৈরি হচ্ছে। কোনো কাজ করার ইচ্ছে থাকছে না। শরীর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন পেশিতে খিঁচুনি দেখা যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, বুকে কিংবা পিঠে লাগাতার যন্ত্রণাও অনুভব হচ্ছে। এগুলো শরীরের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি জ্বর হলে কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, সে নিয়েও সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সংক্রামক। তাই পরিবারের কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের থেকে আক্রান্তকে আলাদা রাখা জরুরি। পাশপাশি এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে চলা দরকার। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। আবার নিয়মিত তুলসী পাতা দেওয়া জল, মধুর মতো ঘরোয়া উপাদানের সাহায্য নেওয়া জরুরি। যাতে এই ধরনের জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে জ্বর হলে তার পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ক্লান্তিবোধ কমবে। পাশপাশি জ্বর পরবর্তী ভোগান্তিও কমানো যাবে।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তার ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি আরও বেশি অনুভব করা যায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের পরে অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেন না। এর ফলে শরীর আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তকে নিয়মিত লেবু কিংবা কিউই জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত অন্তত একটা লেবু বা কিউইয়ের রস করে খেলে শরীরে দ্রুত ভিটামিন সি-র জোগান হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার শরীর এনার্জিও ফিরে পাবে।

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই এনার্জি পায়। আর প্রোটিন পেশিকেও মজবুত রাখে। এর ফলে প্রোটিন নিয়মিত খেলে জ্বরের (Influenza) পরের ভোগান্তি কমবে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তিবোধ কমবে। পেশিতে খিঁচুনি ও কমবে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ খাওয়া জরুরি। একাধিক ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডিম এই সময়ে শরীরে বাড়তি উপকার দেবে। প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে তেল-মশলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় প্রোটিন খাবার খেলে উপকার কিছুই হবে না। বরং হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মটন, চিকেন, ডিম, সোয়াবিন বা পনীর যেকোনও প্রোটিন জাতীয় খাবার রান্নার সময় তেল ও মশলায় রাশ জরুরি। স্ট্রু কিংবা স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এনার্জি জোগাতে নিয়মিত খান দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার

    শরীরে এনার্জি জোগাতে নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সংক্রামক রোগ শরীরকে দূর্বল করে দেয়। দ্রুত এনার্জি ফিরে পেতে দুধ খুবই উপকারি। নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীর এনার্জি ফিরে পায়। আবার হলুদ মেশানো দুধ খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালী বা বুকে কোনো ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে, তা কমিয়ে দিতে পারে হলুদ মেশানো দুধ।

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিস মেটাবে ঘাটতি

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার জরুরি। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার এনার্জির জোগান ঠিকমতো থাকে। ফলে কাজ করার ইচ্ছে তৈরি হয়।

  • Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ কয়েকটি ঠিকানা কিংবা কয়েকজনের নাম, মনে রাখতেই অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে পারেন না। আবার স্মৃতিশক্তি হ্রাসের এই সমস্যা অনেকের খুব কম বয়সেই দেখা যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার এই সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুকাল থেকেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজর দিলে পরবর্তীতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। জীবনের নানান পর্যায়ে যা খুবই সাহায্য করে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পরিবারের খুদে সদস্যকে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তিও প্রখর হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    নিয়মিত মেমোরি গেম কিংবা পাজল সলভ করা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন কিছু খেলায় শিশুদের অভ্যস্ত করা দরকার, যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের পাজল গেম, জিকসো পাজল বা ব্লগ পাজলের মতো খেলায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এই ধরনের খেলায় নতুন ভাবে কিছু সমাধান করার চেষ্টা থাকে। তাই চিন্তাশক্তি বাড়ে। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে‌। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের বিনোদনের সময়ে মোবাইল বা টিভির কার্টুনের পরিবর্তে নিয়মিত এই পাজল সলভ ধরনের খেলায় অভ্যস্ত করলে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পাশপাশি নানান ধরনের মেমোরি গেম খেললে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

    নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস!

    শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গান শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশপাশি গান মস্তিষ্কের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। তাই শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শুনলে মস্তিষ্কে দীর্ঘ প্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয় এগুলো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়। পাশপাশি যেকোনও কাজের আত্মবিশ্বাস কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে খুব কম বয়স থেকেই নানান জটিলতার মধ্যে শিশুদের থাকতে হচ্ছে। এর ফলে তার প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে পড়ছে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে তার জোরালো প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত গান শুনলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। স্নায়ুর শক্তিও বজায় থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হয় না। এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনও কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই ছোটো থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস তৈরি হোক।

    ক্রসওয়ার্ড দিয়ে শব্দের ভাণ্ডার বাড়ানো!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শব্দ শেখানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত দীর্ঘ সময় কথা বললে তাদের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ে। এর ফলে সহজেই দুটি সমস্যার সমাধান করা যায়। একদিকে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। আরেকদিকে শিশুর কথা বলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশুদের কথা বলার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিশু ঠিকমতো কথা বলছে না। ইশারাতেই কথা বলছে। শারীরিক সমস্যা না থাকলেও এমন ঘটনা ঘটছে। তার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কথা বলার মানুষের অভাব। এর ফলে পরবর্তীতে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা জরুরি।‌ পাশপাশি বছর পাঁচেক বয়সের পরে শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কতখানি বাড়ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে, আরেকদিকে তাদের যেকোনও ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। তাই নিয়মিত শিশু যাতে নতুন শব্দ শেখে সে নিয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পাশপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে তাঁরা শিশুকে ক্রসওয়ার্ডের মতো খেলায় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    সাবেকি ঘরোয়া খেলায় বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু যদি তার পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, স্বচ্ছন্দ থাকে তবেই তার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং বিভিন্ন কাজে আত্মবিশ্বাস পাবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ট্যাবলেটের ভিডিও গেম নয়। বরং পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে কিছু সাবেকী খেলা শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম একদিকে একাকিত্ব বোধ বাড়িয়ে দেয়, আরেকদিকে চোখের পক্ষে এবং স্নায়ুর পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু লুডো, ক্যারমের মতো খেলা বা যে কোনও কার্ড গেম পরিবারের সঙ্গে বসে খেললে, একদিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শিশু অন্যরকম সময় কাটানোর সুযোগ পায়। মানসিক চাপ কমে‌। একাকিত্ব বোধ তৈরি হয় না। আর এগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শিশুর জন্য বাড়তি উপকারি হয়।

    নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    নিয়মিত নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাচ নিয়মিত করলে শরীরের একাধিক পেশি যেমন সক্রিয় থাকে, তেমন মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের অত্যন্ত কার্যকরী থেরাপি হলো নাচ। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, সক্রিয় রাখতে নিয়মিত নাচ জরুরি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। শরীরে অন্যান্য পেশির সক্রিয়তা বজায় থাকে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। এবার থেকে ভারতেই তৈরি হবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন, যার নাম অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax)। জানা যাচ্ছে, ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির যৌথ প্রচেষ্টাতেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে এই প্রথম এই ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় (Modi Government) আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রচেষ্টা। একাধিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে যুদ্ধ সরঞ্জাম, করোনা মহামারীতেও ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন সারা দুনিয়াতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার গুণমানের জন্য। এবার এই আবহে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) নামের এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ভ্যাকসিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে।

    অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। এটা একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম-কে। প্রসঙ্গত, এই প্যারাসাইট ম্যালেরিয়ার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলে মনে করা হয় এবং তা প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। সেই প্যারাসাইটকেই একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে ভারতবর্ষে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স।

    কেন অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে আলাদা?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করে প্যারাসাইটের লাইফ সাইকেলের উপর। কিন্তু ভারতে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা সহজে এবং একেবারে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ম্যালেরিয়ার ফলে মানবদেহে সংক্রমণ যে স্তরেই থাকুক না কেন, এই ভ্যাকসিন লড়াই চালাতে সক্ষম তার বিরুদ্ধে। এর আগে এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিকবার ল্যাব টেস্টিংও হয়েছে এবং সেখানে বিজ্ঞানীরা যে ফলাফল পেয়েছেন, তা এক কথায় অত্যন্ত ইতিবাচক।

    সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করছেন, এই ভ্যাকসিনের ফলে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের প্রভূত উপকার হবে। বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, যেমন: RTS,S/AS01, R21/Matrix-M. এই সমস্ত প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন অনেক দিকেই কাজ করবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে প্রতিরোধক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করবে — এর পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করবে।

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে?

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে, এর উত্তরও দিচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনকে ৯ মাস ধরে রাখা যেতে পারে ঘরের তাপমাত্রায় এবং খুব সহজেই এটা রাখা যাবে। সহজে এই ভ্যাকসিনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে, বিশেষত ক্রান্তীয় অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত খরচ-সাশ্রয়ী হতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে সাধারণ মানুষ এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন।

    সাত বছরের মধ্যে আসছে বাজারে

    এই ভ্যাকসিন (AdFalciVax) বর্তমানে প্রি-ক্লিনিকাল স্তরে রয়েছে এবং সমস্ত কিছু পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলেছে বলে জানাচ্ছেন এই ভ্যাকসিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কতদিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে গবেষণা চলছে, তাতে ৭ বছর লাগবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এই ভ্যাকসিন। একে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর।

    গোষ্ঠী সংক্রমণও রুখবে এই ভ্যাকসিন

    চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে তৈরি করতে ল্যাকটোকোকাস ল্যাকটিস (Lactococcus lactis) ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নিরাপদ এবং প্রচলিত ব্যাকটেরিয়াম। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এটি রোগীকে যেকোনো ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— এই ভ্যাকসিন ম্যালেরিয়াকে যেকোনও গোষ্ঠীর মধ্যেও সংক্রমিত হওয়া থেকে বাধা দেবে।

    অনেক কোম্পানি তৈরি করতে পারবে এই ভ্যাকসিন

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর তরফ থেকে কর্তা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ভ্যাকসিন প্রযুক্তি অন্যান্য সংস্থাকেও দেবেন এবং নন-এক্সক্লুসিভ চুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে তৈরি করার অনুমোদন দেবেন। অর্থাৎ, এর মানে হচ্ছে বিভিন্ন এবং অনেকগুলি কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের উপর কাজ করতে পারবে এবং এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এর ফলে জনগণের যতটা চাহিদা থাকবে, ঠিক ততটাই ভ্যাকসিন বাজারে সর্বত্র পাওয়া যাবে।

  • Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ছে ব্যস্ততা! কিন্তু তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগের দাপট। সুস্থ জীবন যাপনের প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত যোগাভ্যাস। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের মোকাবিলা করবে নিয়মিত শারীরিক কসরত। কিন্তু নিয়মিত এই ওয়ার্ক আউটের আগে জরুরি শরীরকে প্রস্তুত করা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যেকোনও ধরনের শারীরিক কসরত করার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা জরুরি। তবেই ক্যালোরি ক্ষয় হওয়া এবং এনার্জি ধরে রাখা যাবে। কাজ করতে অসুবিধা হবে না। পাশপাশি ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই ওয়ার্ক আউট করার আগে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    নিয়মিত একটি কলা খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ওয়ার্ক আউটের আগে অন্তত একটি কলা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ক আউটের আগে সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জি পৌঁছয়। ফলে, শারীরিক কসরত করলে বাড়তি ক্লান্তিবোধ হয় না। আবার সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমেও অসুবিধা তৈরি করে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হিসাবে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো কলা। শারীরিক কসরতের আগে এই ফল খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। আবার কলায় থাকে আয়রন এবং পটাশিয়াম। এই খনিজ পদার্থ একাধিক রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতার মতো সমস্যাও রুখতে সাহায্য করে। তাই কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পোরিজ জাতীয় খাবার জরুরি!

    সকালে জিম বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ শুরু করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে কখনই শারীরিক কসরত করা উচিত নয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় না। বরং পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হয়। তাই সকালে শারীরিক কসরত করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, পেস্তা, খেজুর, বেদানা আর কয়েক টুকরো আপেলের মতো ফল যেকোনও দানাশস্য জাতীয় খাবার যেমন মিলেট, বাজরা বা সাধারণ মুসুর বা ছোলার ডালের সঙ্গে মিশিয়ে পোরিজ জাতীয় খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এই সব উপকরণগুলো শরীরে এনার্জি জোগাবে। পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাই ক্যালোরি বার্ন হলেও শরীর দূর্বল হবে না। বরং সারাদিনের কাজের বাড়তি এনার্জি পাওয়া যাবে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবারে নজরদারি!

    ওয়ার্ক আউট শুরুর অন্তত আধ ঘন্টা আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকেল, যেকোনও সময় ওয়ার্ক আউট শুরু করার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশি সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত শারীরিক কসরত করলে পেশিতে বাড়তি চাপ পড়ে। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো না পৌঁছলে হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হবে। আবার পেশি অসাড় হয়ে যেতে পারে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে তবেই শারীরিক কসরত শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে শারীরিক কসরত করলে, তার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে ফ্লেক্স সীড, চিয়া সীড কিংবা তিলের বীজ জাতীয় বীজ মিশিয়ে ডিমের পোচ খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। বিকেল বা সন্ধ্যায় ওয়ার্ক আউট করলে দুপুরের মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, চিকেন স্টু, সোয়াবিন বা পনীর জাতীয় খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখা জরুরি। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো পৌঁছলে তবেই ওয়ার্ক আউট ফলপ্রসূ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে জীবন যাপনের ধরনেই বাড়তি নজরদারি জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার, এই দুই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই শরীর সুস্থ থাকবে। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা, হাড়ের ক্ষয় রোগ সহ একাধিক জটিল অসুখ সহজেই এড়ানো যাবে। ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগের সমস্যাও বাড়ছে‌‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যা জানান দিচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন একাধিক রোগ মোকাবিলার পথ সহজ করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে, বিশেষত নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই ‘সুপার ফুড’-এর (Indian Superfoods) উপরে ভরসা করেন। বিদেশ বিশেষত পশ্চিমের দেশগুলোতে এই সুপার ফুডের ধারণা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু পশ্চিমের এই সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে ভারতীয় খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতি পরিচিত ভারতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে তার যথেষ্ট ভালো প্রভাব পড়ে। যা সুপার ফুডের তুলনায় বেশি ইতিবাচক ফল দেয়!

    সুপার ফুড (Indian Superfoods) কী?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুপার ফুড হল এমন কিছু খাবার, যার মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের ঠিকমতো ব্যালেন্স থাকে। পাশপাশি থাকে ‘গুড’ কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ, যা শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে না। বরং, শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি পৌঁছে দেয়। পাশপাশি এই ধরনের খাবারে থাকে নানান রকমের খনিজ পদার্থ। যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও এই খাবারে পর্যাপ্ত থাকে‌। কেল, অ্যাভোকাডো, কিনোয়ার মতো খাবার সুপার ফুড বলে পরিচিত‌‌। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবারগুলো যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য নয়।

    কোন ভারতীয় খাবার সুপার ফুডকে টেক্কা দিতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে নারকেল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে (Coconut) থাকে ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট। ১০০ গ্রাম নারকেলে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম। এর পাশপাশি নারকেলে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ পদার্থ হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই নারকেল স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উপকারি। নারকেলে থাকে সেলেনিয়াম। যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেলে ম্যাঙ্গানিজের পাশপাশি পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে। এই পদার্থগুলো হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। নারকেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যাভোকাডোকে সুপার ফুড ফল হিসাবে খান। অ্যাভোকাডো যথেষ্ট উপকারি ফল। ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ একটি খাবার। এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও ফ্যাট থাকলেও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু নারকেলের মতো ফল নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজন সহজেই পূরণ করা সম্ভব হয়।

    মিলেট বা কাউনের চালের খিচুড়ি…

    ভারতীয় খাবার হিসাবে মিলেট বা কাউনের চাল (Foxtail Millet), যে কোনও ধরনের সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের মতে, কিনোয়া বা অন্য যে কোনো দানাশস্যের তুলনায় পুষ্টির দিক থেকে এই ভারতীয় খাবারকে এগিয়ে রাখা যেতেই পারে। উপোস করলে অনেকেই কাউনের চালের খিচুড়ি রান্না করে খান। তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন কাউনের চালের (Millet Rice) খিচুড়ি খেলে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাউনের চালে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো একাধিক উপাদান। তাছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত কার্বোহাইড্রেট এবং এই খাবারে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই কাউনের চালের তৈরি খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে উপাদান গড়ে তোলে।

    সজনে ডাঁটা, সজনে শাকের মতো খাবার যেকোনও সুপার ফুডের (Indian Superfoods) মতো উপকারি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ফুল, সজনে ডাঁটা কিংবা সজনে শাক, এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। তাই যেকোনও বিদেশী সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দেবে এই ভারতীয় খাবার।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

LinkedIn
Share