Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পালং শাক থেকে শুরু করে মাশরুম, ডিম থেকে শুরু করে দুধের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) জানিয়েছেন, কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে সংমিশ্রণ করলে ভালো পুষ্টি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন:ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    কলা ও দই: কলা ও দইয়ের (Curd) সংমিশ্রণ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। কলা এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে পেশীর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কলাতে (Banana) উপস্থিত ইনুলিন ও দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।


    মাশরুম ও তিলের বীজ: ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাশরুম (Mushroom) ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম ও তিলের বীজ (Til seed) একসঙ্গে খেলে হাড় শক্ত হয়। ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের জারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    পালংশাক ও জলপাই তেল: অলিভ অয়েল (Olive Oil) দিয়ে পালং শাক (Spinach) রান্না করলে অলিভ অয়েলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও পালং শাকের মতো ভিটামিন-এ (Vitamin A) সমৃদ্ধ রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

    শাকসবজি ও লেবুর রস: শাকসবজির সবজির (Leafy vegetables) সঙ্গে লেবুর রস (Lemon Juice) মিশিয়ে খেলে লেবুতে (Lemon) উপস্থিত ভিটামিন-সি ও শাকসবজিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


    কাঠবাদাম এবং কমলালেবু: কাঠবাদাম (Chestnut) ও কমলালেবু (Orange) এক সঙ্গে দৈনন্দিন খেলে ভিটামিন-সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন-ই (Vitamin E) সমৃদ্ধ খাদ্য সংমিশ্রণটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে ও ক্ষত নিরাময় তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পর বছর পঁয়তাল্লিশের রোগীকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁকে বাঁচাতে স্টেন্টিং করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই রোগী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকেও কম। কিন্তু আসল সত্যটা হল কোলেস্টেরলের মাত্রা সব সময় হার্টের বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরে না। কারণ রক্তে প্রবাহিত কোলেস্টেরল যে কোনও সময়ই জমাট বেঁধে যেতে পারে ধমনীতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রার হার কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপদ, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মূলত যে ভুলটি করে, তা হল কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা দিয়ে হার্টের ভালো বা মন্দ বিচার করে। কিন্তু হার্টের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে রোগীকে অন্যান্য লক্ষণগুলির ওপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয়দের শরীরে এইচডিএল যেহেতু কম, সেহেতু ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও (LDL) এদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা কখনওই ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার  অতিক্রম করা উচিত নয়। এজন্য আমাদের শুধুমাত্র ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। 

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন!

    আন্তর্জাতিক (International) মাপকাঠি অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক রোগীর আছেন যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক, অথচ তাঁদেরও হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জিনগত কারণও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। যদি রোগী মনে করেন যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাববেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু অত্যধিক ধূমপান (Smoking) ও মদ্যপান করেন, তাঁদের প্রতি ছ মাস পর পর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। যাঁরা স্থুলকায়, তাঁদের দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ তাঁদেরও হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পালং শাক থেকে শুরু করে মাশরুম, ডিম থেকে শুরু করে দুধের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) জানিয়েছেন, কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে সংমিশ্রণ করলে ভালো পুষ্টি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন:ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    কলা ও দই: কলা ও দইয়ের (Curd) সংমিশ্রণ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। কলা এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে পেশীর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কলাতে (Banana) উপস্থিত ইনুলিন ও দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।


    মাশরুম ও তিলের বীজ: ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাশরুম (Mushroom) ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম ও তিলের বীজ (Til seed) একসঙ্গে খেলে হাড় শক্ত হয়। ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের জারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    পালংশাক ও জলপাই তেল: অলিভ অয়েল (Olive Oil) দিয়ে পালং শাক (Spinach) রান্না করলে অলিভ অয়েলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও পালং শাকের মতো ভিটামিন-এ (Vitamin A) সমৃদ্ধ রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

    শাকসবজি ও লেবুর রস: শাকসবজির সবজির (Leafy vegetables) সঙ্গে লেবুর রস (Lemon Juice) মিশিয়ে খেলে লেবুতে (Lemon) উপস্থিত ভিটামিন-সি ও শাকসবজিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


    কাঠবাদাম এবং কমলালেবু: কাঠবাদাম (Chestnut) ও কমলালেবু (Orange) এক সঙ্গে দৈনন্দিন খেলে ভিটামিন-সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন-ই (Vitamin E) সমৃদ্ধ খাদ্য সংমিশ্রণটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে ও ক্ষত নিরাময় তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Lung Day 2022: আজ বিশ্ব ফুসফুস দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    World Lung Day 2022: আজ বিশ্ব ফুসফুস দিবস, এই দিনের গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিশ্ব ফুসফুস দিবস (World Lung day 2022)। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস-সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি দিনটিকে ফুসফুস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফুসফুস আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে দেওয়া, এবং বাইরে থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরে সরবরাহ করা। ফলে আপনার বেঁচে থাকার জন্য ফুসফুসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

    আপনার ফুসফুসের অবস্থা এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলি জেনেটিক্স, অসুস্থতা এবং পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ফলে ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা, ফুসফুসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করেতই এই দিনটি পালন করা হয়। ফুসফুস রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্র্যতা, সামাজিক সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    ক্যান্সার ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ কারণ হয়ে উঠেছিল। আর অন্যান্য ক্যান্সারের মতো ফুসফুসের ক্যান্সারও দেখা দেয়। ফুসফুসের ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণ হল ধূমপান। সিগারেটের ধোঁয়া বা এর কিছু উপাদানের সংস্পর্শে অনেকের ফুসফুসে পরিবর্তন ঘটায় যা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। এই পরিবর্তনগুলি ফুসফুসে একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে এও দেখা গিয়েছে যে, ধূমপান না করলেও অনেকের ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে। সারা বিশ্বের গবেষণা অনুসারে, ২৫ শতাংশ মানুষ যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হয়। ফুসফুসের ক্যান্সার ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের বেশি প্রাভাবিত করে।

    তবে ফুসফুসের ক্যান্সার হলে আপনারা আগেই জানতে পারবেন না। তাই ফুসফুস ক্যান্সারের কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও ফুসফুসের স্ক্রীনিং করান। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছ কিনা বা এটি নিরাময়যোগ্য কিনা। অনেক সময় এই ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা হলে কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফুসফুসের ক্যান্সারের উপসর্গ হল দীঘস্থায়ী কাশি, এছাড়া শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা নিউমোনিয়া, গলা বসে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, হঠাৎ ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, নাক বা মুখ ফুলে যাওয়া, আঙ্গুলের আকার পরিবর্তন বা কাঁধে ব্যথা ইত্যাদি। ফলে এই উপসর্গ ও কাশি চার সপ্তাহের বেশি থাকলে অবহেলা না করে শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যান।

  • High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাইবার (Fibre) হল এমন একটি কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) যা সাধারণত উদ্ভিদজাত খাবার থেকে পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার (Sugar) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকায় এই সব রোগীদের যব (Oat), আপেল ও ফুলকপির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ডায়াবেটিক রোগীদের শুধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও ফাইবার যুক্ত খাবারের ভূমিকা অপরিসীম।

    যব ও বার্লি: যব ও বার্লি (Barley) এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রেচন ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নির্গত হয়ে শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ১/৪ কাপ বার্লিতে ৭ গ্রাম ফাইবার, ৩৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৭০ ক্যালোরি থাকে। ১/২ কাপ যবে থাকে ৪ গ্রাম ফাইবার, ১৫০ ক্যালোরি ও ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমী শৌচাগারের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর ভারতীয় স্টাইল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মটর: মটরের (Peas) মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে। সাদা মটর কোলেস্টেরল হ্রাসের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। মটর ও পুদিনা এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

    বেরি: বেরি ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। ব্ল্যাকবেরিতে (Blackberry) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি-৬ থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই বেরি। শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও বিশেষ সহায়তা করে এই ফল।

    আরও পড়ুন: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    মসুর ডাল: যাঁদের রক্তে শর্করা রয়েছে, তাঁদের জন্য মসুর ডাল বিশেষ উপকারি। মসুর ডালে (Lentil) রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ ফাইবার। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই ডাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মসুর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশের জন্য সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই হেলদি ডায়েট ভীষণ প্রয়োজন। ছাত্র জীবনে জ্ঞান অর্জনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। সুস্থ থাকতে এবং পড়াশোনার দিক ঠিক রাখতে বাজার চলতি ফাস্ট ফুড (Fast Food) এড়িয়ে চলাই ভাল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশ হয়। বজায় থাকে মানসিক স্থিতিও। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন—

    সব রকমের বাদাম: সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার কথা প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন। কাঁচা বাদাম মাংসপেশি মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদামে প্রোটিন, ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন-ই সহ আরও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। আখরোটেও (Walnut) রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। আখরোটে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাট মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

    ডিম: সিদ্ধ ডিম (Boil Egg) সবচেয়ে উপকারি। সিদ্ধ ডিম খাবার হজমে, হাড় সুদৃঢ় করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকায় চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ফ্যাট। সিদ্ধ ডিম শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশে বিশেষ কার্যকরী।

    তৈলাক্ত  মাছ:  চর্বি যুক্ত মাছে (Fatty Fish) প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ওমেগা-থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আর্থারাইটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

    আরও পড়ুন:ত্বকে ট্যান পড়েছে? রইল কিছু ঘরোয়া উপায়

    বিট ও বেরি: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আয়রন। বিট ও বেরিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিট ও বেরিতে (Berry) রয়েছে নাইট্রেট নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। নাইট্রিক আসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

    শাকসবজি: দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি যুক্ত করা উচিত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন খাবারের পাতে শাকসবজি অবশ্যই রাখতে হবে। পালং শাক রক্তে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। লাল শাক খেলে বজায় থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। ডাটা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (Vitamin C) ও ফলিক অ্যাসিড। এগুলি ত্বক ও চুলের (Skin & Hair) ক্ষয় রোধ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
  • Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু সুজি (Sooji)। ভারতের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরেই দেখা মেলে এই খাবারের। সুজি ওজন এবং ডায়াবেটিস (Diabates) নিয়ন্ত্রণে রাখে।  পাচনতন্ত্র ও হার্টের জন্যও সুজি উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত সুজি। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুজিতে ক্যলোরি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। ৬০ গ্রাম সুজিতে ১৯৮ ক্যালোরি থাকে। থাকে ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম প্রোটিন সহ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানও। 

    আরও পড়ুন: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    সুজির পুষ্টিগুণ

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুজি হল আদর্শ খাদ্য। সুজিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) এবং ফাইবার যা শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সহজে হজম হয়ে যাওয়ায় শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।

    হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: সুজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে সুজি। পাব মেড সেন্ট্রাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত সুজি খেলে হৃদরোগের সমস্যা কমে যায়।

    হজমে সাহায্য করে: ফাইবার (Fibre) সমৃদ্ধ সুজি হজম প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। ন্যশানাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে, পাচনতন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির কাজে সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের পাশাপাশি রক্তে পুষ্টির শোষক হিসেবেও ভাল কাজ করে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দু সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সুজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলি কমে। 

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুজি থালামিন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি-র ভালো উৎস। সুজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ওজন কমানোর ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।

    কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ক্ষারকে শরীর থেকে নির্গত করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। পটাসিয়াম যুক্ত খাবার কিডনিকে সুস্থ রাখে।

    হাড় মজবুত করে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের (Phosphorus) মতো উপাদানগুলি পেশীকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

    রক্তাল্পতা কমায়: সুজিতে থাকা আয়রন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যাগুলির সমাধান হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Work Stress: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    Work Stress: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অফিসে কাজের চাপ আর নিরাপত্তাহীনতার শিকার বিশ্বের বহু কর্মরত মানুষ। কখনও কখনও স্ট্রেস এতটাই বেড়ে যায়, যে এটির ফলে দেখা দিতে পারে কঠিন কঠিন রোগ। অফিসে কাজের চাপ তো থাকেই, সঙ্গে অফিসে যখন-তখন চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অধিকাংশ মানুষ। আবার বেতনের পরিমাণও মন মত না হলে তারা একটি চাকরি করার পাশাপাশি অন্য পার্ট-টাইম কাজ করার দিকে চলে যায়। আর তখনই ঘটে বিপদ। এমনই ঘটনা ঘটে গেল দেশের অন্যতম সেরা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো (Wipro)-এর ৩০০ জন কর্মীদের সঙ্গে।

    সংস্থার ৩০০ কর্মীকে ‘মুনলাইটিং’-এর অভিযোগে বরখাস্ত করেছে এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। তবে কী এই মুনলাইটিং (Moonlighting)? কোনও এক সংস্থায় কর্মরত এবং সেই সংস্থা থেকে বেতন নেওয়ার পরও যখন কোনও কর্মী অর্থের বিনিময়ে অন্য কোনও সংস্থার হয়ে কাজ করে, তখন তাকে ‘মুনলাইটিং’ বলে। আর এই মুনলাইটিং-এর অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যে, এই কর্মীরা উইপ্রোর প্রতিদ্বন্দ্বী এক সংস্থার সঙ্গেই কাজ করেছে। আর এই কথা জানিয়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি (Rishad Premji)।

    কোভিডের পর থেকেই বহু সংস্থায় হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, বেতন কমানো হয়েছে বা বেতন দেওয়া হয়নি। আর এসবের কারণেই বহু কর্মী একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও অন্য সংস্থায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মুনলাইটিং-এর জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু দুই চাকরিতেই একই ধরনের কাজ করলে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয় এবং এটি তখন বেআইনি।

    আরও পড়ুন: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে কাজের ফলে আপনি মানসিক চাপে রয়েছেন?

    ক্লান্তি, পেশীতে টান, মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, যেমন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, বিরক্তি ইত্যদি দেখে বুঝবেন যে আপনি স্ট্রেসে রয়েছেন।

    কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস প্রতিরোধ করার উপায়

    • বাকিদের সঙ্গে আপনার উদ্বেগ নিয়ে কথা বলুন।
    • স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে আপনার খাদ্য ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
    • যোগাসন করার চেষ্টা করুন।
    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং অন্যান্য কাজ নির্দিষ্ট সময় মত করুন।
    • ধূমপান, অ্যালকোহল এবং ড্রাগের নেশা দূরে থাকুন।
    • এর পাশাপাশি সাইকোলজিস্টের থেকে পরামর্শ নিন।
  • Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র কয়েক দিন। সপ্তাহান্তেই শুরু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব — দুর্গা পুজো (Durga Puja 2022)। তবে উৎসবের মরশুমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে সুস্থ রাখা। সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসকদের ছুটি নেওয়ার হিড়িক। তাই অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসক ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষত সপ্তমী থেকে দশমী অধিকাংশ হাসপাতালের বেশ কিছু বিভাগ চিকিৎসক শূন্য থাকে। তাই বড় বিপদ ঘটলে বাড়তি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়। পুজোর সময় তাই বড় বিপদ এড়াতে বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা আগাম সর্তক হোন। নিয়মিত ওষুধগুলো কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষত যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা নিয়ম করে ওষুধ খাবেন। কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিয়ম মাফিক ওষুধের পাশাপাশি জল খাওয়ার ক্ষেত্রে ও বাড়তি নজর দেবেন। 

    পুজোর সময় ডায়ালিসিস সেন্টারগুলোতে কর্মীদের ছুটির জন্য পরিষেবা অনিয়মিত যায়। তাই কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। ডায়বেটিস আক্রান্তদের শারীরিক সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। ইনসুলিন নিলে, তা কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। তাহলেই বাড়তি বিপদ হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    তবে, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের বড় বিপদ এড়াতে খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে গোলমাল হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। অনেক সময়েই দেখা যায়, পুজোর সময় অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই খাবারে রাশ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার বা অতিরিক্ত প্রোটিন অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আনে। পুজোর সময় কমবেশি সকলেই বাইরের খাবার খান। কিন্তু পরপর অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। তাই পুজোর সময় বাইরের খাবার বিশেষত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে। বার্গার, হট ডগ থেকে বিরিয়ানি, যে কোনও তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
     
    তবে, ক্রনিক রোগের পাশপাশি রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। পুজোর মরশুমে মশাবাহিত এই রোগের দাপট যেন কয়েক গুণ বেড়েছে। তাই জ্বর নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ডেঙ্গি হলে সাধারণ দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই জ্বর হলে দেরি করা চলবে না। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ প্রথম থেকেই রোগ নির্ণয় না করলে বিপদ বাড়তে পারে। উৎসবের মরশুমে ভোগান্তি আরও বেশি হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    তাই জ্বর এলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করা গেলে অন্তত টেলি যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা জানাতে হবে। পাশাপাশি, এলাকার ব্লাড ব্যাংকের যোগাযোগ নম্বর রাখতে হবে। যাতে প্লেটলেটের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করা যায়। তবে, ডেঙ্গি ছাড়াও এই সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। তাই বেশি পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকা জরুরি। 

    তবে, অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী পরিষেবায় অসুবিধা হবে না। জরুরি পরিষেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য সবরকম পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিশেষ ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে, সচেতনতা অবলম্বন করলে উৎসবের দিনে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share