Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    NFHS 5 Report: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: সচেতন ও সর্তক ভাবেই হোক যৌন সম্পর্ক। বাঙালি মহিলারা (Bengali Women) কিন্তু নিরাপদ যৌন সংসর্গে (Protective Sex) যেতেই অধিক আগ্রহী। বাঙালি পুরুষের (Bengali Men) তুলনায় মহিলারাই যৌন নিরাপত্তা (Safe Sex) নিয়ে অধিক সচেতন। অন্তত দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট সে রকম ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ ( NFHS 5 Report) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি (HIV) নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষেরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনায় এগিয়ে মহিলারা। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। তাছাড়া কন্ডোমের ব্যবহার এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে, এগুলো সম্পর্কে এ রাজ্যের মহিলারাই অধিক সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন ‘নির্মল’ হবে কিনা সংশয়ে চিকিৎসকরা

    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারি’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিঃশব্দে দেশে শক্তিশালী হচ্ছে এই ‘মহামারি’। রাজ্যেও তার প্রকোপও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    তবে, এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা করলে অনেক সময়েই গর্ভস্থ শিশু এইচআইভি রোগ থেকে বাঁচানো যায়। ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-র চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এইচআইভি চিকিৎসা চালানোর পাশপাশি এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ও চালানো হচ্ছে। এক চিকিৎসকের কথায়, “মায়েরা সচেতন হচ্ছেন। নিজেরাই সময় মতো এসে চিকিৎসা করান। পরবর্তী প্রজন্মকে এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে চান। এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক দিক।”

    আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা

    স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তার কথায়, স্কুল স্তর থেকেই এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে দেখাচ্ছে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের মেয়েরা যৌন নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হচ্ছে। নিরাপদ যৌন সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। তবে শুধু মেয়েরা সতর্ক হলেই চলবে না। ছেলেদেরও এই নিয়ে সচেতন হতে হবে, তবেই এই রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা যাবে। তবে, এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল পরিযায়ী শ্রমিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ভারতে এ রাজ্যের একটি বড় অংশের পুরুষেরা কাজ করতে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সেখানে নানান সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকেই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক সময় কিন্তু বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে মহিলাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মহিলারা যদি নিরাপদ যৌন সম্পর্কে অধিক আগ্রহী হন, তাহলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। যার ফলে, এ রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ও কমবে। সেটাও যথেষ্ট ইতিবাচক দিক। 

  • Hair Fall: কোভিড মুক্ত হতেই বেশি পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে চুল! কারণ জানেন?

    Hair Fall: কোভিড মুক্ত হতেই বেশি পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে চুল! কারণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত চুল উঠে যাওয়ার (Hair Fall) সমস্যায় ভুগছেন আট থেকে আশি। তবে কোভিড আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ কোভিড থেকে সেরে যাওয়ার পর অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম।

    কোভিডের পর এই চুল পড়ার সমস্যাটি টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামে পরিচিত। আমাদের মাথার ত্বকের প্রায় ৯০% চুল বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকে, যাকে বলা অ্যানাজেন, এবং প্রায় ১০% চুল স্থায়ী পর্যায়ে থাকে, যাকে টেলোজেন বলা হয়। আমাদের স্ক্যাল্পে, অ্যানাজেন প্রায় তিন বছর স্থায়ী হয় এবং তারপরে চুল টেলোজেনে রূপান্তরিত হতে শুরু করে, যা দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়। টেলোজেনের শেষে, আমাদের চুলগুলি তাদের ফলিকল থেকে ঝরে যায় এবং নতুন অ্যানাজেন চুল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। তারপরে, এই বৃদ্ধি চক্র চলতে থাকে। কিন্তু কোভিডের ফলেই এই চক্রে ব্যাঘাত ঘটে ও চুল পড়ার সমস্যা বেসি দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: চুল ঝরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো…

    তবে এই চুল পড়া রোধে কোন তেল ও শ্যাম্পু উপকারী, জানেন?

    নারকেল তেল চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় তেল প্রয়োগ করলে চুলের বৃদ্ধি বাড়তে পারে। যেমন, কুমড়ার বীজের তেল, জোজোবা তেল, ল্যাভেন্ডার তেল, পেপারমিন্ট তেল, টি ট্রি ওয়েল চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ক্যাফিন-ভিত্তিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা স্ক্যাল্প ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায়।

    কেমন ধরণের খাবার চুল পড়া রোধ করতে পারে?

    খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু ভিটামিন এবং খনিজ যা সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে: সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি, ডি, এ, সি, ই, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি।

    এছাড়াও কোভিড ছাড়াও চুল পড়ার অন্য কারণও হতে পারে। তাই রক্ত পরীক্ষা, পুল টেস্ট, স্ক্যাল্প বায়োপসি, লাইট মাইক্রোস্কোপি ইত্যাদি পরীক্ষাাগুলো করিয়ে চুল পড়ার আসল কারণ জানা যেতে পারে।

  • Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি বা পেটের গণ্ডগোল চাই চটজলদি নিরাময়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাচ্চার স্কুলে পরীক্ষা তাই তার শরীর খারপ হলে বেশিদিন স্কুলে ছুটি হয়ে যাবে। নিজের শরীর খারাপ হলে অফিসে ছুটি নিতে হবে। তাই দ্রুত নিরাময়ের হাতিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক। ছোটখাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় নেই। নিজের জানা একটি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই চট করে রোগ সেরে যাবে। এই ধারণা নিয়ে চলেন বশিরভাগ ভারতীয়ই। 

    আরও পড়ুন: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল?

    সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি সমীক্ষার ফল বলছে, নিজেদের ইচ্ছেমতো সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন ভারতীয়রাই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিডের আগে এবং কোভিড চলাকালীন ভারতীদের মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত নয়। গবেষকরা ভারতের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজনে নিয়মকানুনের সংস্কারমূলক আইন আনা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ কাম্য নয়। উপযুক্ত  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ল্যানসেটের সমীক্ষা মতে, ভারতীয়দর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার চল সবচেয়ে বেশি। আর তার পরেই সেফিক্সাইম ২০০ নামক ওষুধটির উপর নির্ভর করে ভারতীয়রা। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলে শরীরে তৈরি হয়, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। আগামী দিনে তা বিপদ ডেকে আনে। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আর ওই অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার বয়স যতই হোক না কেন, আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন কিনা, সেই দিকে নজর রাখা বিশেষ জরুরী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন কোষ, পেশী তৈরি করতে, আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শক্তি জোগাতে, বিপাকক্রিয়া সঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে বয়স ৫০-এর বেশী হলে কী কী প্রোটিন জাতীয় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, তা নিয়ে পুষ্টিবিদরা কিছু খাবারের উল্লেখ করেছেন সেগুলো হল-

    দুগ্ধজাত খাবার

    যাদের দুগ্ধজাত খাবারে কোনও অ্যালার্জি নেই, তাদের জন্য এই ধরণের খাবার খুবই উপকারী। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, এছাড়াও এতে ক্যালশিয়াম রয়েছে। ফলে শরীরে উপকারী প্রোটিন সরবরাহ করে পেশি তৈরিতে সাহায্য করার পাশাপাশি হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে।

    কুইনোয়া

    এটি একটি গোটা শস্য, যা তৈরি করতে খুব সহজ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কুইনোয়াতে উপস্থিত প্রোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে, বার্ধক্যজনিত রোগ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে।

    আরও পড়ুন: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    ডিম

    পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ডিমে ৬-৭ গ্রাম প্রোটিনের সঙ্গে, আয়রন, ভিটামিন বি-12 এবং ডি আছে। ফলে ডিম মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    মটরশুটি ও লেগুম

    এই খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি ২০ টি অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। এই জাতীয় খাবারগুলো ফাইবারেও সমৃদ্ধ। ফলে এই খাবারগুলো অনেক পেট ভরা থাকে, ফলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে না, ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে, কোলেস্টেরল কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো উপকারী. বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল জাঙ্ক ফুড খাওয়াার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, জাঙ্ক ফুড খেতে সুস্বাদু হলেও এর উপকারিতা কম, ক্ষতিই বেশি। এর একটি কারণ হল আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা, যার কারণে আমাদের সময় কম, আমরা এমন খাবারের দিকে চলে যাই যা পাওয়া সহজ, তৈরি করাও সহজ। তাই এই ধরনের খাবারকে ফাস্ট ফুডও বলা হয়। তবে জানেন কী জাঙ্ক ফুড খাওয়া আমাদের শরীরের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

    জাঙ্ক ফুড খুব তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এটি খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, তাই এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়াই ঠিক। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ইত্যাদির মত রোগ দেখা যায়, তেমনি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    গবেষকরা জানিয়েছেন, মনের অবস্থা অবশ্যই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে। আমরা কী খাচ্ছি তা আমাদের ডিপ্রেশনের মাত্রাকে বাড়িতে বা কমিয়ে আনে। কারও ক্ষেত্রে নতুন করে স্ট্রেস দেয়। আমাদের খাবারের অভ্যাসের ফলে শরীর মোটা-রোগা হয়। শরীরে পুষ্টির কমতি দেখা যায়। এইসব কিছুই বিষণ্ণতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

    কিছু আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যারাই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি পরিমাণে খায়, তাদেরই মানসিক অবস্থা ঠিক থাকে না। তাদের স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বেড়ে যায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের অতি-প্রক্রিয়াজাতকরণ তার পুষ্টির মানকে কমিয়ে দেয় এবং ক্যালোরির সংখ্যাও বাড়ায়, কারণ অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যেখানে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল কম থাকে। ফলে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায় ও এর পাশাপাশি উদ্বেগ, ডিপ্রেশনের শিকার হয় মানুষ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

  • Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (CoronaVirus) আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে কোনো সময় এর সংখ্যা বাড়তে পারে। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, তবে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলার ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হল এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট।

    কিন্তু, এরই মধ্যে গবেষকরা এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন যা করোনার প্রতিটি ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এর নাম SP1-77 (sp1-77 অ্যান্টিবডি)। SP1-77 নামক এই অ্যান্টিবডিটি বোস্টন চিলড্রেন’স হাসপাতাল এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা (Researchers at Boston Children’s Hospital and Duke University) আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কারের গবেষণাটি সায়েন্স ইমিউনোলজি জার্নালে (journal Science Immunology) প্রকাশিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    কী এই SP1-77 অ্যান্টিবডি?

    SP1-77 অ্যান্টিবডি গবেষকদের দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টিবডি যা এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2-এর সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এটি মূলত এইচআইভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার জন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল। পরে এই অ্যান্টবডি একটি মাউস মডেলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা তৈরি করেছেন।

    এখন এটি মিউটেশন করা হয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত ইঁদুরের মানুষের মতো একই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল এবং তারপরে তাদের উপর অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছিল। গবেষকরা ইঁদুরের মধ্যে দুটি মানব জিন প্রবেশ করান, যা তারপরে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যেটি মানুষও তৈরি করতে পারে। ইঁদুরগুলি তখন SARS-CoV-2 এর স্পাইক প্রোটিনের সংস্পর্শে আসে এবং গবেষকরা দেখতে পান যে এটি নয়টি ভিন্ন পরিবারের অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে যা করোনার অনেক স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে।  তারপরে এটি করোনার বিভিন্ন স্পাইক প্রোটিনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে এটি SP1-77- COVID-19-এর ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সমস্ত ভেরিয়েন্টেও কাজ করে।

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যেই ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cancer: শিশুদের মধ্যেই ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

    Cancer: শিশুদের মধ্যেই ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে মানুষ যে রোগগুলোতে মারা যায়, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হল ক্যান্সার। একসময় ছিল যখন শিশুদের মধ্যে এই রোগ বিরল প্রায় দেখা যেত না। কিন্তু বর্তমানে এর একেবারে বিপরীত। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ক্যানসার হওয়ার বেসি সম্ভাবনা এখ শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে।

    প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় তিন লাখের বেশি শিশু (০-১৮ বছর বয়সী) বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আবার শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হারও বেড়ে চলেছে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হলে এই মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।

    আরও পড়ুন: জরায়ুমুখের ক্যানসারের টিকা নিয়ে হাজির সিরাম, আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালের পর থেকেই ৫০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কেদের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এই ক্যান্সারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কিডনি, লিভার, ব্রেস্ট, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ক্যান্সার হওয়ার প্রধান কারণগুলো হল ধূমপান, মদ্যপান, অপর্যাপ্ত ঘুম, ওবেসিটি, ওজন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও বর্তমানে কম বয়সীদের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার অন্য কারণ হল জীবনধারা। ১৯৫০ সালের পর থেকে হঠাৎ করেই চিনিযুক্ত সফট ড্রিঙ্কস, জাঙ্কফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে প্রায়ই সবার মধ্যে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওবেসিটি হতে দেখা যাচ্ছে। এই জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ও তাঁদের লাইফস্টাইলের পরিবর্তনের ফলে মাইক্রেবায়োমে পরিবর্তন দেখা যায়।

    ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের বেশির ভাগ ক্যানসারই জন্মগত। এ ছাড়া ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার, বায়ুদূষণ বৃদ্ধির ফলে শিশুদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Weight Loss: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Weight Loss: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ছিপছিপে শরীর পেতে কে না চায়! মোটা হয়ে যাওয়ার থেকে বাঁচতে অনেকেই কত কিছুই না করে থাকে। কারণ প্রায় সবাই জানে, মোটা হওয়া মানেই শরীরে রোগের বাসা বাঁধা। যত বেশী মোটা তত বেশি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে রোগা হওয়া খুবই জরুরি। সেই মতো নিয়ম মেনে ডায়েট অনুযায়ী খাবার খাওয়া, ব্যায়াম সবই করছেন, কিন্তু তবুও রোগা হতে পারছেন না? তবে এই ভুলটা কি আপনিও করছেন?

    অনেকেরই ধারণা বেশি ঘুমোলেই মোটা হয়ে যায় ও ওবেসিটি দেখা যায়। তবে এখানেই আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলেই বাড়তে পারে ওজন। এমনকি ওবেসিটির মূল কারণের মধ্যে একটি হতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুম।

    ওবেসিটিকে বাংলায় বলে অতিস্থূলতা। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ভারতে প্রায় ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ এই অবস্থার শিকার। বিশ্বে স্থূলতা-ই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। মাঝবয়সীদের মধ্যেও এর প্রভাব বেড়ে গিয়েছে ও ফলে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। বর্তমানে শিশুদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যারা আট ঘন্টার কম ঘুমোন তাঁদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি ইত্যাদি দেখা যায়।

    গবেষণা করা হয় ১২ ও ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। দেখা গিয়েছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়েছেন তাদের কোনও ওজন বৃদ্ধি হয়নি। আর যারা অপর্যাপ্ত ঘুমিয়েছন তাদের প্রায় ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

    ফলে জীবনধারার পরিবর্তন, ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও শরীরের পক্ষে জরুরী। সাধারণত বলা হয় দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weight Loss Tips: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    Weight Loss Tips: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর রোগা-পাতলা চর্বিহীন শরীর কে না চায়! কিন্তু বর্তমান যুগের ওজন বেড়ে যাওয়া এক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আবার এখন তো চিকিৎসকরাও সুস্থ থাকার জন্য রোগা হতে বলেন। কিন্তু রোগা হওয়ার চক্করে অনেকেই ভুল পদ্ধতিতে ডায়েট করে থাকেন। অনেকে রোগা হতে এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠে যে তারা না খেয়ে, উপোস করে বা খাওয়ার স্কিপ করে স্লিম আর ফিট হতে চায়। আর এখানেই আপনারা করে বসেন সবচেয়ে বড় ভুল। এ ভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের শরীরের চূড়ান্ত ক্ষতি করে ফেলেন। ফলে অনেক সময় ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করে। আপনার বয়স যদি ৩০ বছরের বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক,  ওজন কমাতে যে ৫টি কাজ কখনোই করবেন না।

    ওজন কমানো শুধুমাত্র লক্ষ্য করা উচিত নয়

    ওজন কমানো মানেই শুধু কিলো কমানো নয়। অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনেই ডায়েট চার্ট তৈরি করেন যার ফলে হিতে বিপরীত হয়। এমনকি খাবার না খেয়ে অনেকেই জল খেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে শরীরে জলের জন্যও বেড়ে যায় শরীরের ফোলা ভাব।

    প্রয়োজন মত ক্যালোরি না খাওয়া

    ওজন কমানো মানে না খেয়ে থাকা নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে এরপর শরীরচর্চা করে ক্যালোরি কমানো উচিত। কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    ব্যায়াম না করা

    ব্যায়াম সবসময় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পেশীর পাশাপাশি চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা ভাল। এটি আপনাকে আপনার বিপাক এবং হজমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

    কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া

    ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কম চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কখনোই রোগা হওয়া সম্ভব নয়। তারা কখনই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে না, বিশেষ করে যখন আপনার বয়স যদি ৩০-এর ওপরে থাকে। সবধরণের খাবারই খাওয়া উচিত কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবার না খাওয়া

    আপনার প্রতিদিনের খাবারে পুষ্টি পাওয়ার জন্য সমস্ত রকম খাবারের ভারসাম্য থাকা উচিত। পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া কখনই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে না। প্রোটিন ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করে, পেশী ভর রক্ষা করে এবং এমনকি বিপাকীয় হার বাড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Whole Grains: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    Whole Grains: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু বছর ধরে আমাদের ডায়েটে দানা শস্য বা হোল গ্রেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গোটা শস্য বা দানা শস্য হচ্ছে অপরিশোধিত শস্য। গোটা শস্যের ৩টি স্তর থাকে ব্র্যান, এন্ডোস্পার্ম এবং জার্ম। ব্র্যান-এ আছে ফাইবার, বি ভিটামিন, খনিজ। এন্ডোস্পার্মে আছে শর্করা, প্রোটিন যা শক্তি দেয়। জার্ম-এ আছে প্রচুর উপাদান যেমন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, বি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।

    চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে দানা শস্য খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সাধারণত ওটমিল, পপকর্ন, মিলেট, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, বার্লি, গম, বাজরা এগুলোকে দানা শস্য বলা হয়। দানা শস্যের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছায় নানা পুষ্টিগুণ, খনিজ, ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ভিজ উপাদান। ফলে শরীরকে ভালো রাখতে পুষ্টিবিদরা ডায়েটে দানা শস্য রাখতে বলে। তবে জেনে নেওয়া যাক দানা শস্যের উপকারিতা।

    সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

    দানা শস্যের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম তাই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই খাবারে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্রোমিয়াম, ফাইটোকেমিক্যালস, জৈব অ্যাসিড এবং এনজাইম ইত্যাদি খনিজগুলির উপস্থিতি এবং এর উচ্চ ফাইবার রক্তে শর্করার  মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    আরও পড়ুন: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

    দানা শস্য কার্ডিওভাসকুলার এবং করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ১৬-৩০ শতাংশ কম করে। আবার এতে উপস্থিত  ফাইবার, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। হার্টের নানা সমস্যা দূর করে।

    হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে

    দানা শস্যে লিগনান নামক উপাদান থাকে যা ভাল হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করতে পারে। এই শস্যগুলি ভিটামিন বি৬- এর উৎস যা হরমোনগুলি পরিচালনা করতে এবং মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

    দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমায়

    অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের মূলে রয়েছে প্রদাহ। দানা শস্যের খাবারগুলি প্রদাহজনক সাইটোকাইনের সিরাম স্তরকে প্রভাবিত করে বলে জানা গেছে। সুতরাং, প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় দানা শস্য ব্যবহার করলে প্রদাহ কমে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share