Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Health Tips: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    Health Tips: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি আপনার ব্রেকফাস্টে বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন- রুটি, বিস্কুট, ভাত জাতীয় খাবার খান? তবে কিন্তু আপনি অনেক বড় ভুল করছেন। কারণ দিনের শুরু করতে হয় কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার দিয়ে। শুধু ওজন কমাতেই নয়, বরং আপনার মেজাজ ভালো রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং অসময়ে খিদে পাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে জলখাবারে কী খাচ্ছেন, সেটি খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ।

    পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে ডোপামিন, ইনসুলিন এবং কর্টিসলের মতো হরমোনকে প্রভাবিত করে। যার কারণে আপনি মেজাজী এবং ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। দিন শুরু করার জন্য আপনার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জিনিস খাওয়া উচিত। তবেই দীর্ঘক্ষণ আপনার খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই রুটি, বিস্কুট বা ভাতের পরিবর্তে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার বেছে নিন। ওটমিলের চেয়ে ডিম বেছে নিন।

    আরও পড়ুন: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    কার্বোহাইড্রেট দিয়ে আপনার দিন শুরু করা উচিত নয় কেন?

    • কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেটজ জাতীয় খাবারই ভুঁড়ি হওয়ার অন্যতম কারণ।
    • এগুলি লেপটিন প্রভাবকেও হ্রাস করে। যার ফলে আপনার খিদে পেতেই থাকে।
    • এর ফলে সারা দিন ধরেই খিদে পেতে থাকে। যার ফলে দিনের দ্বিতীয় ভাগে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
    • এটি গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে, যা শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে।
    • এর ফলে অন্ত্রের ডিসবায়োসিস হতে পারে। যা থেকে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    সকালে ওঠার পর কী কী খাবেন?

    • ঘুম থেকে ওঠার পর তামার পাত্র থেকে ৪০০ মিলিলিটার জল খান।
    • স্বাস্থ্যকর তেল জাতীয় খাবার বাদাম, আখরোট, আমন্ড দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন।
    • আপনার সকালের ডায়েটে মোরিঙ্গা জল, মেথি বীজ ভেজানো জলের মতো পুষ্টিকর পানীয় যোগ করুন।
    • জলখাবারের আগে কলা বা পেঁপের মতো ফল খান।
    • একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট করুন। যাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে না পায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন হৃদরোগের (Heart Disease) জন্যে আর কোনও বয়স লাগে না। ৩৫-৪৫ বছর বয়সীরাও এই রোগে ব্যাপকহারে প্রাণ হারাচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া! সময় মতো অনেকেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। তাতেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। কাজের চাপ বা ডাক্তার দেখানোয় অনীহাও এর অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকে সমস্যা আছে সেটাও বুঝতে পারেন না। তখন দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসকদের হাতেও তখন আর কিছু থাকে না। তাই সময় থাকতেই সাবধান হোন। কয়েকটি বিষয়ে (Early Signs) লক্ষ্য রাখলেই বুঝতে পারবেন, আপনার হার্টে সমস্যা আছে কী না। 

    আরও পড়ুন: বর্ষায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ? উপদ্রব কমাতে জানুন কিছু ঘরোয়া উপায়

    শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে জল জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। 

    অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।

    গোড়ালি ফুলে যাওয়া: হার্ট ঠিক মতো পাম্প না করলে গোড়ালিতে ফ্লুইড জমা হয়। এটা হার্টের সমস্যার বড় লক্ষণ। 

    তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছু ক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।

    হজমে সমস্যা: পাক যন্ত্রে রক্ত কম পৌঁছলে হজমের সমস্যা হয়। সেই ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা হলে ঘন ঘন বদহজম হতে পারে। 

    হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া: বুক ধড়ফড় করতে পারে। হার্টের রেট বেড়ে যেতে পারে। এরকম কইছু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mosquito: বর্ষায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ? উপদ্রব কমাতে জানুন কিছু ঘরোয়া উপায়

    Mosquito: বর্ষায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ? উপদ্রব কমাতে জানুন কিছু ঘরোয়া উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম আসতে না আসতেই বেড়েছে মশার উপদ্রব। সন্ধ্যা নামতে না নমতেই ঘরে ঢুকে পড়ছে মশা। আর এই মশা থেকেই হতে পারে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতি রোগ। মশার জ্বালায় বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন তো আপনি? বর্ষায় মশার উপদ্রব কম করবেন কীভাবে?

    মশার হাত থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করে থাকি, রেপেলেন্ট, কয়েল বা স্প্রে। কিন্তু মশা মারার এই সমস্ত ওষুধই নানান ভারী রাসায়নিক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। সে ক্ষেত্রে এই রাসায়নিকগুলি বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদেরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে অনেকের শ্বাসকষ্ট বা মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।

    আজ জেনে নিন এমনই প্রাকৃতিক, ঘরোয়া উপায়, যেগুলির সাহায্যে সহজেই মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এগুলির থেকে ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ও তেমন নেই।

    ল্যাভেন্ডার তেল

    ল্যাভেন্ডারের একটি তীব্র গন্ধ রয়েছে যা মশা তাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ল্যাভেন্ডার ফুল থেকে ল্যাভেন্ডার তেল বের করা হয়। ল্যাভেন্ডারে অ্যানালজেসিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। ল্যাভেন্ডার তেলকে অন্য তেলে মিশিয়ে, লোশন ইত্যাদির সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাভেন্ডার তেল বাড়ির ভিতরে ডিফিউজারেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    সিট্রোনেলা তেল

    সাধারণত বাইরেও মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত করা হয় সিট্রোনেলা। এটি ভেষজগুলির সংমিশ্রণ থেকে তৈরি করা হয়। আপনি এটি অন্যান্য তেলের সাথে অল্প করে আপনার সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজারের মতো লাগিয়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

    টি ট্রি তেল

    এই তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো আছে। মশা থেকে শুরু করে পোকামাকড় মারার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

    নিম তেল

    স্বাস্থ্যের পক্ষে নিমের উপকারিতা সকলেরই জানা। মশা তাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে নিম। নিম ও নারকেলের তেলকে সমপরিমাণে মিশিয়ে শরীরে লাগিয়ে নিন। এর ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচতে পারবেন।

    কর্পূর

    কয়েলের পরিবর্তে বাড়িতে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটি জ্বালিয়ে রাখলেই কাজ দেবে। কর্পূর মশা দূর করতে কাজে আসে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tomato Flu: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    Tomato Flu: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona), মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) আতঙ্ক তো ছিলই এখন আবার নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে টোম্যাটো জ্বর (Tomato Fever)। আগের ভাইরাসগুলোর সঙ্গে সামলে ওঠার আগেই এবার ভারতে হানা দিয়েছে টোম্যাটো ফ্লু। কেরালা, ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বহু শিশু। সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকেই এই জ্বরে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৮২ জন শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, অধিকাংশ আক্রান্ত কেরালার কোল্লাম (Kollam) জেলায় দেখা গিয়েছে। এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে শিশুদেহে লাল ফোসকা দেখা যায় ও এর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাও অনুভূত হয়।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    তবে অনেকেই টোম্যাটো ফ্লু বা টোম্যাটো জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। তাই এই দুই ভাইরাসের কী কী উপসর্গ আছে তা ভালো করে জেনে রাখা দরকার। যদিও করোনা ও টোম্যাটো ফ্লু-এর কিছু উপসর্গ এক হতে পারে। যেমন- জ্বর, গা ব্যথা, ক্লান্তি। আবার কোভিডে আক্রান্ত রোগীদেরও গায়ে ফোসকা মত দেখা গিয়েছিল। কিন্তু টোম্যাটো ফ্লু-এর সঙ্গে সারস-কোভিড-২ এর কোনও সম্পর্ক নেই। টোম্যাটো ফ্লু একটি বিরল প্রকৃতির ভাইরাল ইনফেকশন এবং এটি আবার হাত-পা-মুখের রোগের (hand-foot-and-mouth disease) (HFMD) নতুন ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে। হাত-পা-মুখের রোগে সাধারণত শিশুদের মুখে ঘা, হাতে পায়ে ফোসকা হয়। তবে, এই ভাইরাসের প্রধান লক্ষণগুলো হল গায়ে টোম্যাটোর মতো লাল রঙের ফোসকা (Blister)। এছাড়াও জ্বর, ত্বকে জ্বালা, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা ও শরীরে ব্যথা হয়। তবে কোভিডের ক্ষেত্রে আক্রান্তের গায়ে টোম্যাটোর মতো লাল রঙের বড় বড় ফোসকা দেখা যায়না।

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    আবার টোম্যাটো জ্বরের সঙ্গে অন্যান্য রোগের উপসর্গও এক হতে পারে। যেমন- তীব্র জ্বর, ফোসকা, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও দেখা যায়। অন্যদিকে জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথা ইত্যাদি টোম্যাটো জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও দেখা যায়।

     

  • Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে সবাই ব্যস্ত। আর সামনেই পুজো আসছে যার জন্য ছোট থেকে বড় সবাই ওজন কমাতে মরিয়া। ফলে ওজন কমানোর জন্য অনেকেই না খেয়ে থাকেন, বা দিনের একবেলার খাবার স্কিপ করে দেন। আর সবথেকে বড় ভুল করে বসে সবাই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দিনের তিন বেলার খাবারের সঙ্গে কিছু ড্রিঙ্কস খাওয়া উচিত যেগুলো পুষ্টিকর তো বটেই, তবে খাবার হজমে এমনকি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে থাকে।

    সকালের খাবার (ডিম ও ব্ল্যাক কফি)- ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির জুড়ি মেলা ভার। ডিম প্রোটিন যুক্ত খাবার ও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী, অন্যদিকে ব্ল্যাক কফি মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও কফি বেশ সাহায্য করে। তবে দুধ, চিনি দেওয়া কফি নয় ওজন কমে ব্ল্যাক কফিতে। এছাড়াও আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয় কফি।

    আরও পড়ুন: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    দুপুরের খাবার (মাছ ও গ্রিন টি)- ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মাছ ও গ্রিন টি-এর এই জুটি বিশেষ উপকারী। ডিমের মত মাছও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ড্রিঙ্কস হিসেবে খান গ্রিন টি। গ্রিন টি র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত গ্রিন টি খেলে হজম ভালো হয় সেই সঙ্গে ওজনও কমে।

    রাতের খাবার (বাদাম, বীজ, কালো মটরশুটি, এবং ছোলা দিয়ে স্যালাড ও আদা দিয়ে চা)- প্রোটিনে ভরপুর এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এই স্যালাড খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা জুটি হিসেবে উপযুক্ত। আদাও মেটাবলিজম বাড়ায় ও খিদে কমায়।

    স্ন্যাকস (প্লেইন গ্রীক দইয়ের সঙ্গে বেরি ও জল)- গ্রীক দই প্রোটিনে ভরপুর ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, আর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে বেরিও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ফলে এই খাবারের সঙ্গে জল খেলে ওজন কমার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য হয়। জলে কিছু ফ্লেভার অ্যাড করতে শশা বা পুদিনা পাতা দিতে পারেন।

     

  • Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ১০ অগাস্ট জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর তিনি ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। তারপরেই পড়ে যান। এরপরেই তাঁকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে ৫৮ বছর বয়সী কমেডিয়ানের অবস্থা এখন খানিকটা স্থিতিশীল।  

    শুধু এটাই নয়। কলকাতার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীও ওয়ার্ক আউট (Workout)করার সময় হঠাতই পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্যার ইতিহাস ছিল না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    একের পর এক এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনায় বেশ চিন্তিত স্বাস্থ্য মহল। তাহলে কী গোড়াতেই গলদ? আমরা বুঝতেই পারছি না আমাদের শরীরের চাহিদা কী?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টেকনোলজির অত্যাধিক ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবন ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সবার শরীর ভিন্ন। এক একজনের শরীরের এক একরকমের ব্যায়ামের প্রয়োজন। 

    আজকাল আমরা ফিট থাকার জন্যে স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট ফোনের ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আমরা যদি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া মাপ ১০ কিলোমিটার হাঁটতে না পারি, তাহলে শরীরের ওপর চাপ দিতে শুরু করি। এমনকি সেটা আমাদের শরীর না চাইলেও। আমাদের সবার শরীরের গঠন আলাদা। তাই আমাদের ক্ষেত্রে ব্যায়ামও আলাদাই হবে। 

    আরও পড়ুন: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, এখন ১৮-২০ বছর বয়সীরাও হৃদরোগের শিকার হচ্ছেন। কার্ডিওলজি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদেশে ৩৫-৫০ বয়সীদের মধ্যে প্রতি মিনিটে ৪ জনের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের মধ্যে ২৫% – এর বয়সই ৩৫ বছরের নীচে। 

    আগে মনে করা হত এই রোগ শুধু বয়স্কদেরই হয়। যারা একদমই ওয়ার্ক আউট করেন না, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কিন্তু যারা অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট করেন, তাঁদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রবল। স্টেরয়েডের ব্যবহারও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। অ্যাসোসিয়েটেড এশিয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে যারা জিমে যান, তাঁদের মধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষই স্টেরয়েড নেন। এদের মধ্যে ৭৩% – এর বয়স ১৬-৩৫ – এর মধ্যে। এরা পরিশ্রম করে নয়, কম সময়ে ইনজেকশন নিয়ে সুঠাম শরীর তৈরি করতে চান। 

     

     

     

  • Monkey Pox: নাম পরিবর্তন করা হবে মাঙ্কি পক্স-এর! কী বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা

    Monkey Pox: নাম পরিবর্তন করা হবে মাঙ্কি পক্স-এর! কী বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড (Covid-19) মহামারি এখনও শেষ হয়নি। পাশাপাশি বিশ্বে নতুন করে থাবা বসাচ্ছে মাঙ্কি পক্স। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাাসের নাম পরিবর্তন করে কী রাখা যেতে পারে তার জন্য বিশ্বের নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে হু। ভাইরাসজনিত কারণেই যে এটি রোগ সৃষ্টি করে, তা বোঝাতেই নতুন নামকরণ করতে চান বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগেই ৩০ জন বিজ্ঞানী লিখিত আবেদন জানান। এরপরই নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ নেয় হু (WHO)।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    একটি বানরের শরীরে প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায় বলেই এর ভাইরাসটির নাম মাঙ্কি পক্স হয়ে যায়। এছাড়াও এই মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের সঙ্গে মহাদেশের নামও উল্লেখ করা হয়। ভাইরাসটিকে আফ্রিকান বলে উল্লেখ করা হয়, যা একদমই ঠিক নয়। ফলে হু-এর মুখপাত্র ফাডেলা চাইব (Fadela Chaib) সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘মাঙ্কিপক্সের জন্য একটি নতুন নাম খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি একটি গোষ্ঠী, একটি অঞ্চল, একটি দেশ, একটি প্রাণী ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে রাখা উচিৎ নয়।’

    এক সময়ে এই ভাইরাস শুধু আফ্রিকাতেই ছড়াত। ফলে অকারণ শুধু আফ্রিকাকে এর জন্য দোষী মনে করে অনেকে। কিন্তু বর্তমানে অন্য দেশেও মাঙ্কি পক্সের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। আবার এই ভাইরাস প্রথমে বানরের শরীরে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে অন্যান্য পশুদের মধ্যেও এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। সুতরাং এর জন্যই মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হু। আর এর জন্য নাগরিকদেরই সাহায্য করতে বলা হয়েছে হু-এর তরফে।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    প্রসঙ্গত, ৯২টি দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মাঙ্কি পক্সে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলেও ঘোষণা করেছে।

     

  • Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা (Covid-19) থেকে এখনও সেরে ওঠেনি বিশ্ব। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলছে। করোনার মতো মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে এই ভাইরাস।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (World Health Organisation) তরফে গত বুধবার জানানো হয়েছে যে, পুরো বিশ্বের ৯২ টি দেশ থেকে ৩৫০০০ আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে। আর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কারণ আগের সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫০০, আর এই সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০০-এর বেশি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এর জন্য অনেক দেশেই মাঙ্কি পক্সের জন্য টিকার উচ্চ চাহিদা রয়েছে। সূত্রে খবর অনুযায়ী, কিছু দেশ মাঙ্কি পক্সের প্রতিষেধক হিসেবে গুটি বসন্তের টিকা মজুত করে রেখেছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের নতুন উপসর্গ শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা, কী সেই উপসর্গ?

    দ্য ল্যানসেট (The Lancet) নামক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, গুটি বসন্তের (Small Pox) টিকা মাঙ্কি পক্সের গুরুতর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। তবে এটি  পরবর্তীতে মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কাজ করতে নাও পারে।

    হু (WHO) থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাড়ির পোষ্যর থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ সম্প্রতি ফ্রান্সে একটি কুকুরের মাঙ্কি পক্স হওয়ার খবর সামনে এসেছে এবং কুকুরটি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই সংক্রমিত হয়েছে। কুকুর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত, এমন ঘটনা এর আগে সামনে আসেনি। তাই হু-এর মতে এটি একটি নতুন তথ্য। ফলে সকলকেই সতর্ক থাকা উচিত। মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলেও ঘোষণা করেছে। ফলে সবাইকে এখন থেকেই সাবধান হতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোটিক রোগ-এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং এর উপসর্গগুলো গুটি বসন্তের মতোই। মাঙ্কি পক্সের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর,  দেহে বড় বড় ফুসকুড়ি এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া। এই উপসর্গগুলো মানুষের দেহে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ দেখা যায়।

  • Health Tips: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

    Health Tips: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বল আর কোমল ত্বক কে না চায়! সুন্দর ত্বক পেতে আমরা কত রকমের জিনিসই ব্যবহার করে থাকি। যেমন- স্কিন ট্রিটমেন্ট, স্কিন কেয়ার রুটিনে কত রকমের স্টেপ, ঘরোয়া টোটকা, ফেসিয়াল, দামি দামি ক্রিম আরও কত কী! পারফেক্ট স্কিনের জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা। তবে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে শুধু বাইরের রূপচর্চাই যথেষ্ট নয়। ভেতর থেকেও পুষ্টির যাতে ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলেই ত্বক হয়ে উঠবে দাগহীন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ডায়েটে রাখুন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার। কোন খাবারগুলো ত্বকের জন্য কার্যকরী, চলুন জেনে জেনে নেওয়া যাক-

    ক্যাপসিকাম

    এটি আপনার ত্বকের জন্য বিশেষ কার্যকরী কারণ এটি ত্বকের টিস্যু তৈরির জন্য অপরিহার্য এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এছাড়াও ক্যাপসিকামে উচ্চ ফাইবার, কম শক্তি এবং ভিটামিন এ, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী।

    চর্বিযুক্ত মাছ

    স্যামনের মতো মাছ যাতে ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ উচ্চ মানের প্রোটিন, ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে পারে এবং আপনার ত্বককে কোমল রাখতে পারে।

    আখরোট

    আখরোট হল প্রয়োজনীয় চর্বি, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং প্রোটিনের একটি বড় উৎস- এগুলি সবই আপনার ত্বককে ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।

    ব্রকলি

    ব্রকলি ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস যা ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করতে পারে।

    আরও পড়ুন: এই ছটি ফল খান, আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক

    ডার্ক চকোলেট

    কোকোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের গঠন, বলিরেখা এবং রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে।

    বেরি

    স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি বা ব্লুবেরি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

    অ্যাভোকাডো

    অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভালো চর্বি, ভিটামিন ই এবং সি থাকে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    সূর্যমুখী বীজ

    সূর্যমুখী বীজে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।

    গ্রিন টি

    গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

    টোম্যাটো

    ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রঙের সবজি, টকজাতীয় খাবার (ভিটামিন সি), প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশ কার্যকর। তবে ত্বকের জন্য হিসেবে আলাদা করে লাল টোম্যাটোর কথা বলতেই হয়। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা উজ্জ্বল ত্বকের মূল রহস্য। এতে লাইকোপিন নামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা এবং শুষ্কভাব দূর করে ত্বক মসৃণ করে।

     

  • Good Health During Monsoon: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    Good Health During Monsoon: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় সর্দি-জ্বর-কাশি, ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া,বমির মতো বিভিন্ন জলবাহিত রোগও দেখা যায়। বদহজম,গ্যাস-অম্বলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত বেশি হয়। তাই এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে বা উপযুক্ত খাবার খেলে শরীর সুস্থ রাখা যায়। জেনে নিন বর্ষায় সুস্থ থাকার পাঁচ দাওয়াই:

    ১) জল ফুটিয়ে খান। ফিল্টারের জল হলেও খাওয়ার আগে এক বার গরম করে নিন। ফুটিয়ে নিলে জলে থাকা সব জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা আর থাকবে না।

    ২) বর্ষায় তিতকুটে বা হালকা ঝাঁঝ আছে এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। করলা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। তাই এই সময় উচ্ছে, করলা খান। খেতে ভাল না হলেও আপনি এর উপকারিতা উপেক্ষা করতে পারবেন না। বর্ষাকালে যেখানে রোগের ঝুঁকি বাড়ে সেখানে করলা খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। হালকা ঝাঁঝ রয়েছে এমন খাবার হল রসুন। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। রান্নায় রসুন ব্যবহার করুন। পুরো পরিবারের জন্য রসুনের চাটনি তৈরি করতে পারেন।

    ৩)ভাজাপোড়া নয় সবজি খান। বিশেষত আলু, পটল, কচু এসব বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কুমড়ো, উচ্ছে বা করলা, ঝিঙে, লাউ ইত্যাদি খাবার তালিকায় রাখুন। এর সঙ্গে গোলমরিচ, তুলসি, পুদিনা, নিম ইত্যাদিও খেলে শরীর থাকবে তরতাজা। বিভিন্ন পেটের রোগ ও অনান্য সমস্যা দূর করতে এসব খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, কাঁচা অবস্থায় কোনও সব্জি বা খাবার খাবেন না। পুরোপুরি সেদ্ধ হলে তার পরেই খান।

    আরও পড়ুন: অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো

    ৪) হজমশক্তি বাড়ায় এমন মশলা যেমন আদা, রসুন, জিরা, ধনে, হলুদ এগুলো রান্নায় বেশি ব্যবহার করুন। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাতে কোনও সন্দেহ নেই। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ-হলুদ খেতে পারেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।

    ৫) সামুদ্রিক খাবার এই বর্ষায় বেশি না খাওয়াই ভাল। চিংড়ি, কাঁকড়া এড়িয়ে চলা ভাল। এগুলো হজম করা কষ্টকর। এতে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

LinkedIn
Share