Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর বা গ্রামীণ এলাকায় জমা জলে, যেখানে মূলত গৃহস্থালির আবর্জনা স্তূপ জমা করা হয় সেই সকল স্থানে এই মশা জন্মায়।

    এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গি

    মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশাই হল ডেঙ্গিরোগের বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফেলেস মশা রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর পেশি ও গাঁটে ব্যথা হওয়ায় ডেঙ্গিকে  ‘Break Bone Fever’-ও বলা হয়ে থাকে।

    ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব

    ডেঙ্গি জ্বর সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর হার ২.৫ শতাংশ। 

    ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ

    এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গি জীবাণুটি ​​সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’।

    প্রথম ক্যাটেগরির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির লক্ষণ খুব একটি প্রকট হয় না। ‘এ’ ক্যাটেগরি রোগীদের শরীরে শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গি রোগী ‘এ’ ক্যাটেগরির। সাধারণত এই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের শরীরে কিছু ডেঙ্গি উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগীদের জ্বরের সঙ্গে চোখে ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে হয়) থাকে। রোগীর পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা থাকার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের ডেঙ্গি উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে সাতদিন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে কারও যদি গুরুতর ডেঙ্গি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

    ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতি ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ‘সি’ ক্যাটেগরিতে পড়তে পারেন। এই রোগীদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এই রোগীর।

    এই রোগীদের সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা যায়

    1. পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
    2. বমি (২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনবার)।
    3. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
    4. বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত।
    5. দুর্বলভাব, ক্লান্তিবোধ, অস্বস্তি।

    কোনও  ব্যক্তি  ডেঙ্গি  জ্বর  থেকে  সুস্থ  হয়ে উঠলে তাঁর পুনরায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

    ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিলে কী কী করনীয়

    ডেঙ্গি জ্বরের এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গি হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই ধরনের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে ডেঙ্গির চিকিৎসা ও রোগীর সঠিক পরিচর্যা করা দরকার, নতুবা রোগীর হেমোরেজিক শকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত তা নীচে দেওয়া হল:

    ১. যদি আপনার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানান।

    ২. যতটা সম্ভব, বিশ্রাম নিন।

    ৩. জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামোল খেতে পারেন। তবে অ্যাসিপিরিন এবং ইবুপ্রফেন খাবেন না।

    ৪. ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। তাই শরীরে প্রচুর পরিমাণে তরল দরকার। জল পান করুন বা জলে ইলেকট্রোলাইট বা ওআরএস মিশিয়ে জল পান করতে হবে।

    ৫. যদি খুব জ্বর থাকে, তাহলে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন।

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা

    ঘরোয়া কিছু উপায়ে ডেঙ্গির উপসর্গ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকাংশেই আরাম বোধ করেন।

    • গুলঞ্চের রস – ডেঙ্গি জ্বর কমাতে গুলঞ্চের বিশেষ ভূমিকা আছে। বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকরী। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ডেঙ্গির জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে রোগীকে শারীরিক আরাম প্রদান করে গুলঞ্চ। দু’টি ছোট গুলঞ্চের ডাল ভেঙে একগ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এছাড়া এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দুই ফোঁটা গুলঞ্চের রস ফেলেও পান করতে পারেন। তবে বেশিমাত্রায় গুলঞ্চের রস পান করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
    • পেঁপে পাতার রস – ডেঙ্গি রোগীর রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়। পেঁপে পাতা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডেঙ্গির সময়ে যাতে প্লেটলেট হ্রাস না পায়, তার জন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিয়ে পেষণ করে তার রস বের করুন। দিনে দু’বার পান করুন পেঁপে পাতার রস।
    • তাজা পেয়ারার রস – প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে পেয়ারার রসে। এতে বিশেষ করে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটে পেয়ারার রস যোগ করলে তা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ পরিমাণে পেয়ারার রস নিয়ে দিনে দু’বার পান করুন। এছাড়া গোটা পেয়ারাও খাওয়া যায়।
    • মেথি বীজ- ডেঙ্গির জ্বরের প্রকোপ কমাতে জুড়ি নেই মেথি বীজের। এককাপ পরিমাণ গরম জলে কিছুটা মেথি বীজ ভিজতে দিন। জল ঠান্ডা হলে দিনে দু’বার করে পান করুন। মেথি বীজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী, কারণ মেথি বীজে থাকে ভিটামিন সি, কে। মেথি বীজ জ্বর কমানোর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

    এছাড়াও রোগীর পথ্যের দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত যে ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই ধরনের খাদ্য গ্রহণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রোগীর সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু ও লেবুর রস খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীকে প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। রোগীর রান্নায় রসুন, হলুদ সহ আরও কিছু মশলার ব্যবহারও করা উচিত।

    ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত

    • মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা – ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    • পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা – মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে, কারণ মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে ।
    • মশা প্রতিরোধক – বাজারে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট ও নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক প্রতিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।
    • মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা – আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করুন। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই  সমস্ত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশাকে আকর্ষণ করে না। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, একটি ঘর আলোকিত রাখুন। আলো মশাকে আকর্ষণ করে না, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ঘরে সর্বোত্তম আলো রয়েছে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ হলো, আপনার বাড়ির ভিতরে বা বাইরে একটি নিম গাছ লাগান, যদি জায়গা থাকে। নিম গাছকে মশা নিরোধক বলে দাবি করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আবার হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেঙ্গ-২’ ও ‘ডেঙ্গ-৩’। আর এই দুই ভ্যারিয়েন্টই সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। নতুন এই প্রজাতির ডেঙ্গিতে জ্বর কমে যাওয়ার পরে হঠাৎ করেই প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আর এই উপসর্গ অনেক রোগীর শরীরেই দেখা গিয়েছে। ফলে এই নতুন প্রজাতির জোড়া হানায় রাজ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গি।

    সাধারণত, ডেঙ্গি হলে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে থাকে। তাই প্লেটলেট দ্রুত বাড়ানোর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখা দরকার। চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেন। তবে তার জন্য আপনাকে কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। সেগুলি হল-

    পেঁপে পাতা

    পেঁপে পাতায় প্যাপাইন ও সাইমোপ্যাপাইন এনজাইম পাওয়া যায়, যা হজম ঠিক করে এবং গ্যাস-বদহজম প্রতিরোধ করে। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ মিলি পেঁপের রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়।

    বেদানা

    বহু শতাব্দী ধরে রক্ত বৃদ্ধিতে বেদানা ব্যবহার হয়ে আসছে। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর পাশাপাশি প্লেটলেট বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    ডাবের জল

    ডেঙ্গি জ্বরে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝড়ে যার ফলে শরীরে জলশূন্যতার সৃষ্টি হয়। তাই ডাবের জল পান করা খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরে শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে, যার ফলে শরীর থেকে অনেক ধরনের টক্সিন বেরিয়ে যায়।

    হলুদ

    অ্যান্টিসেপটিক এবং মেটাবলিজম বুস্টার হওয়ায় দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

    শাক-সবজি

    এই সময় বেশি করে শাক-সবজি খাওয়া উচিত। যেগুলো খেলে রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ে সেগুলো হল শালগম, অঙ্কুরিত শস্য, ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি।

    লেবু জাতীয় ফল

    ভিটামিন সি প্লেটলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই লেবু, কমলালেবু, মুসম্বি, বাতাবি লেবু খেলে প্লেটলেট বাড়ে।

    চর্বিওয়ালা মাছ

    চর্বিওয়ালা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এই ভিটামিন লোহিত রক্ত ​​কণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্লেটলেটের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।

  • Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ভিটামিনের মত ভিটামিন ডিও আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ডি এর প্রধান কাজ হল রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০শতাংশ ভারতীয়দের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্য, এটা প্রায় সবারই জানা। তবে সূর্য ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা ভিটামিন ডি-এ সমৃদ্ধ। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে দেখে নিন।

    চিজ- নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল চিজ। আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যেকোনো ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    ডিম- ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। শুধু ভিটামিন ডি নয়, এতে আছে একাধিক পুষ্টিকর এবং জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন। তাই ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

    মাশরুম- এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। ভিটামিন ডি ২ সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।

    স্যালমন মাছ- ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

    সয়া মিল্ক- সয়া মিল্কে গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে, তবে এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে।

  • Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

    জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় জ্বর হলে মানুষ তা সাধারণ জ্বর ভেবেই ওষুধ খেয়ে নেয়। তবে আপনি যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস বেশ কার্যকরী। পেঁপে পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এ পাতায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এই পাতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গি নিরাময়ে পেঁপের পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    পেঁপে পাতার রস তৈরি করতে বিভিন্ন উপকরণ

    ৪-৫ টি পেঁপে পাতা, ৬-৭ গোলমরিচ, ৬-৭ তুলসী পাতা, ১/৪ গ্লাস জল, এক টুকরো সুতির কাপড় বা একটি রুমালও নিতে পারেন। 

    কীভাবে তৈরি করবেন?

    প্রথমে পেঁপে পাতা ভালো করে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে প্লেটে রেখে সব পাতার পেছন থেকে ডাঁটা কেটে নিন। এরপর পাতাগুলোর ছোট ছোট টুকরো কেটে প্লেটে রাখুন। এরপর রস তৈরি করতে, একটি মিক্সার জারে সমস্ত পাতা রেখে এর সঙ্গে কিছু জল, গোলমরিচ এবং তুলসী পাতা যোগ করুন। এবার মিক্সার জারটি ভালোভাবে বন্ধ করে পেঁপে পাতাগুলোকে ভালোভাবে পিষে নিন। এবার একটি গ্লাসে মিশ্রণটি বের করে নিন। এরপরে একটি বাটিতে পরিষ্কার সুতির কাপড়ের সাহায্যে, পিষে রাখা পাতাগুলিকে ছেঁকে নিন। এতে পাতার সব রস বাটিতে চলে আসবে। আর এভাবেই প্রস্তুত পেঁপে পাতার রস।

    তবে এতে কোনও চিনি বা লবণ দেওয়া যাবেনা। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুবার ১০ মিলিলিটার পরিমাণ মত পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত। পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সের শিশুদের ৫ মিলিলিটার ও ৫ বছরের ছোটদের ২.৫ মিলিমিটার পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত।

  • Dengue: ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ টি খাবার

    Dengue: ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭ টি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ এখনও কমেনি। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০১৯-এর রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে ডেঙ্গি থেকে দ্রুত সুস্থ হতে প্রথমে ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। এই পরিস্থিতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে ডায়েটের উপর দিতে হবে বাড়তি নজর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই সময়ে ডায়েটে কী কী খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, জেনে নিন।

    মেথি

    খাবারে প্রায়ই মেথির ব্যবহার করে থাকেন আপনারা। কিন্তু জানেন কি এই উপাদান শরীরের জন্য কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ডেঙ্গিতে যখন মারাত্মক জোরে ভুগছেন কোনও ব্যক্তি তখন তাকে আরাম দিতে সাহায্য করে মেথি।

    বেদানা

    ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের শরীরে নানা ব্যথা যন্ত্রণা হয়, সেই ব্যথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় এই বেদানা। এই ফল নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

    ডাবের জল

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে নারকেল অথবা ডাবের জল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    ব্রকলি

    এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন কে যা অনুচক্রিকা পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ব্রকলি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত।

    দই

    এই সময়ে দৈনন্দিন খাবারে দইয়ের মত প্রোবায়োটিক রাখা জরুরী। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও শরীর দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করবে।

    কিউই

    এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম রিকভারির ক্ষেত্রে উপকারী।

    রসুন

    শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে ডায়েটে বেশি করে রাখা উচিত রসুন। 

  • Winter Health Tips: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    Winter Health Tips: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুম প্রায় শেষ। শরতের আমেজ শেষে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ বেশ কমছে। আবহাওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে হাওয়া-বদল হচ্ছে। শীতের শুরুতে আবহাওয়ার অনেকটাই বদল হয়। তাই এই সময়ে অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশিতে (Winter Health Tips) কাবু হয়। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে কাবু হওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই চিকিৎসকেরা এই সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাদের সিওপিডি অর্থাৎ ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিজিজ আছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন। বয়স্কদের এক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন জরুরি বলেই মত চিকিৎসকদের। আবহাওয়ার বদলে সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। ফলে, সিওপিডি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দীপাবলিতে যে হারে লাগামহীন বাজির জন্য পরিবেশ দূষণ হয়েছিল, তাতে এমনিতেই সিওপিডি রোগীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই এর মধ্যে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে সেই সমস্যা আরও জটিল হবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

    বয়স্কদের পাশপাশি শিশুরা অনেক সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের জন্য এসময়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্ক ও শিশুরা অবশ্যই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেবে। কারণ, এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো যাবে। সিওপিডি ছাড়াও হাপানি রোগীদের ক্ষেত্রেও এই সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, সিওপিডি, হাঁপানির মতো সমস্যা না থাকলেও ভাইরাস ঘটিত জ্বর রুখতে কয়েকটা বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ে তাপমাত্রা কম-বেশি হয়। দিনের মধ্যে একাধিক বার হঠাৎ গরম লাগে আবার রাতের দিকে বা ভোরবেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। তাপমাত্রার এই তারতম্যের জন্য সর্দি-কাশিতে ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে একেবারেই এসি চালিয়ে ঘুমোনো উচিত নয় বলে পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে দ্রুত সেরে উঠবেন

    উৎসবের মরশুম। তাই আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় দেদার খাওয়ার হিড়িক। কিন্তু এই সময়ে এগুলো মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় খেলে চট করে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরও হতে পারে। তাই আপাতত কিছুদিন এগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া, শীতে অতিরিক্ত চাইনিজ খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, চাইনিজ খাবারের কিছু উপকরণ শীতে শিশুদের ত্বকের সমস্যা ডেকে আনে। তাই বিশেষত শিশুদের চাইনিজ খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হওয়া জরুরি।

    শীতে অনেক রকমের উৎসব হয়। কমবেশি সকলেই নানান পদের খাবার খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু নিয়মিত ফল যাতে মেনুতে থাকে সেটা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত রোগ আটকানো যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাছাড়া, জল পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, যে কোনও ভাইরাস ঘটিত জ্বরে শরীরকে সুস্থ থাকতে দেহে জলের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকা জরুরি। তাই কোনও ভাবেই যাতে দেহে জলের ঘাটতি না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ঠাণ্ডা জলে স্নান না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

  • Breast Cancer: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে  দ্রুত সেরে উঠবেন

    Breast Cancer: ব্রেস্ট ক্যান্সার! ভয় পাবেন না, জানুন কীভাবে দ্রুত সেরে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাস ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ শতাংশ মহিলা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি চার মিনিটে একজন ভারতীয় মহিলার ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভারতে ১ লাখ ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্তের ১২ শতাংশ রোগী মারা যান। কিন্তু ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের সময় মতো চিকিৎসা করালে মৃত্যু হার শূন্য শতাংশে নামানো যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। কিন্তু  এর জন্য প্রয়োজন সময় মতো রোগ নির্ণয় ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা।

    কীভাবে বুঝবেন 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিরিশ বছরের উপরে মহিলারা সজাগ থাকুন। বুকে কোনও রকম মাংসপিণ্ড দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিপল দিয়ে রক্তপাত হলে একেবারেই দেরি করা উচিত নয়। এটা স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ। বুকে কোনও রকম লাল দাগ কিংবা চুলকানি হলে, দীর্ঘদিন সেগুলো থেকে অস্বস্তি হলেও চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়েই বুকে lump বা মাংসপিণ্ড দেখা যায়, যাতে কোনও ব্যথা হয় না। অথচ তা ক্রমশ বড় হচ্ছে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে জেনে নিন এই মারণ রোগের সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    নিরাময়ের উপায়

    সময় মতো চিকিৎসা করালে ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব, মত চিকিৎসকদের। প্রয়োজন মতো, অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপি করালে এই রোগ থেকে মুক্তি মেলে। তবে, অনেক সময়েই এই রোগ নির্ণয় অনেক দেরিতে হয়। তাই সম্পূর্ণ চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায় না।  তবে, এই রোগ রুখতে নিজের জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    প্রথমেই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত ফাস্ট ফুড বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো খাবারে যেসব রাসায়নিক থাকে, তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে, নিয়মিত, শাক-সবজি ও মাছ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পালং শাক খান। পালং শাক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাছাড়া পালং শাকের লিউটিন জেক্সানথিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া খাবারে হলুদের ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। খাবারে রসুনের ব্যবহার কমাতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি। কারণ, রসুনে রয়েছে সালফার যৌগ। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। টম্যাটো নিয়মিত খেলে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এটি লিকোফিন নামের লাল ফাইটোকেমিট্যাল সমৃদ্ধ সবজি। গাজরও ব্রেস্ট ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে। কারণ, গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এটা এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সব্জিগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ, এই সব সব্জিতে থাকে গ্লুকোসিনোলোটস। এগুলোতে ফাইটোকেমিট্যাল থাকে, যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্ট্রবেরি, কমলালেবু, ব্লু বেরির মতো ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সামুদ্রিক মাছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান থাকে। স্যালমন, টুনার মতো মাছ ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Intermittent Fasting: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    Intermittent Fasting: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমাতে কত রকমেরই কৌশল-উপায় বেছে নেন সাধারণ মানুষ। তবে নানরকমের কৌশলের মধ্যে যেটি কার্যকরী সেটি হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপবাস রেখে বা এইভাবে ডায়েট করলে ওজন সত্যি কমে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ সারা দিনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাবতীয় খাবার খাওয়া শেষ করে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে থাকতে হয়।

    কিন্তু তাই বলে আপনিও কি নিজের ওজন কমানোর জন্য এই উপায়কেই (Intermittent Fasting) বেছে নিয়েছেন। তবে তা আজই বন্ধ করুন। কারণ নতুন এক গবেষণায় এক অন্য তথ্যই উঠে এসেছে। জাানা গিয়েছে, এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সরাসরি মহিলাদের প্রজনন হরমোনের ওপর ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আরও পড়ুন: শীতের বাতাস শুরু! হাওয়া-বদলে কাবু না হতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

    সম্প্রতি শিকাগোর ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস’-এর একদল গবেষক কিছু মেনোপজ-পরবর্তী স্থূলকায় মহিলাদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে তাদের উপর ৮সপ্তাহ ধরে এই ‘ওয়ারিয়র ডায়েট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখেছেন। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রিস্টা ভারাডি। এই ডায়েট পদ্ধতিতে (Intermittent Fasting) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৪ ঘণ্টা খাবার খাওয়ার অনুমতি মেলে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত কিছু খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরিমাণের ক্ষেত্রেও কোনও বিধি নিষেধ থাকে না। কিন্তু চার ঘণ্টার পরে আর কিছু খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়না।

    এরপরে ওই সমস্ত মহিলাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, যারা এই উপোস করেছেন তাদের হরমোনের মাত্রায় পার্থক্য রয়েছে। আর যারা এই ফাস্টিং করেনি তাদের হরমোনে কোনও প্রভাবই পড়েনি। ক্রিস্টা ভারাডি এবং তাঁর দল দেখেছে যে উপোস করা লোকজনের মধ্যে গ্লোবুলিন হরমোনের মাত্রা আট সপ্তাহ পরে অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়াও অপরিবর্তিত ছিল টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মতো অন্যান্য হরমোনও। কিন্তু ডিহাইড্রোপিয়ান্ড্রোস্টেরন বা ডিএইচইএ হরমোন মেনোপজ-পূর্ব এবং পরবর্তী উভয় মহিলাদের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। এটি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ডিম্বাণুর গুণমানেও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এই গবেষণা থেকেই বোঝা গিয়েছে যে, কীভাবে মহিলাদের দেহে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting) প্রভাব ফেলতে পারে।

  • Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    Osteoporosis: আপনার হাড় কি দুর্বল! জেনে নিন এই রোগে আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্টিওপরোসিস, বর্তমান শতাব্দীর সর্বপেক্ষা আলোচিত রোগগুলোর একটি। এটি এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের শরীরকে ধরে রাখে যে হার তারই নাম মেরুদণ্ড আর এই রোগে মেরুদণ্ডের মধ্যে কশেরুকার হাড়, হাতের হাড়, এবং কোমরের হাড় সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গার প্রবণতা থাকে। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এর  অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত। 

    সাধারণত এই রোগ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের বেশি হয়। এছাড়া যাঁদের আগে হাড় ভাঙার ইতিহাস রয়েছে, বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ অথবা খিঁচুনির ওষুধ সেবন করেছেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানও এই রোগের কারণ হতে পারে। যেহেতু হাড়ের ঘনত্ব কমা এই রোগের প্রধান কারণ, আর ক্যালসিয়ামের ঘাটতিই হাড়কে দুর্বল করে, সেহেতু কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, কায়িক শ্রমের ঘাটতি রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া কিছু বাতজনিত রোগ, থাইরয়েড ও প্রজনন গ্রন্থির রোগ, খাদ্যনালী থেকে পুষ্টি ও ভিটামিন শোষণে সমস্যা ইত্যাদি কারণেও অস্টিওপোরোসিস হতে পার।।

    তবে বিশেষজ্ঞরা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির  কিছু উপায় দিয়েছেন…

    ১) সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ :  ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে সুপরিচিত কিন্তু ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্য অত্যাবশ্যক।
    এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 

    ২) সূর্যালোকে কিছুটা সময়: আমাদের সাধারণত প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন, আর সূর্যালোকে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা আমরা সরাসরি সূর্যালোক থেকে সংগ্রহ করতে পারি। তার দিনের কিছুটা সময় থাকুন সূর্যালোকে। 

    ৩) কোলাজেন বৃদ্ধি : বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের দেহে কোলাজেন হ্রাস পেতে থাকে। কোলাজেনের অভাব হাড় ভাঙার অপর একটা কারণ। তাই প্রতিনিয়ত কোলাজেন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।

    ৪) হাঁটা ও ব্যায়াম: বিশেষজ্ঞের মতে নিয়মিত ব্যয়াম আর প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্যভ্রমণ শরীর ও মনের মধ্যে স্ফুর্তি আনার পাশাপাশি হাড়ের দৃঢ়তা প্রদান করে। তাই নিয়মিত ব্যয়াম কিংবা হাঁটা অস্টিওপরোসিস রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

    ৫) অ্যালকোহল যুক্ত পাণীয় ত্যাগ: অ্যালকোহল কিংবা যেকোনও নেশা জাতীয় পানীয় এবং সকল ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই!  প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    Kolkata Dengue: বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই! প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue)পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবনও। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৬৬ জন। চলতি সপ্তাহে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৯৩৬ জন। সাপ্তাহিক আক্রান্তের রেখচিত্রে এই সপ্তাহেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে।  এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এ ছাড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    এরই মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হল এক পুলিশ (Police) কর্মীর। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এএসআই (ASI) উৎপল নস্কর বৃহস্পতিবার থেকে সিএমআরআই হাসপাতালে (CMRI Hospital) ভর্তি ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর,পঞ্চাশোর্ধ ওই পুলিশ কর্মী শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ মারা যান। এদিকে পুলিশ বাহিনীর আরও কয়েকজন কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    ডেঙ্গির সঙ্গেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। চিকিত্‍সকরা বলছেন, একই সঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কমবয়সী ও মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রবণতা। ভালভাবে শীত না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ চলবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খ‍বর, বেশ কিছু জায়গায় মারাত্মক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি। তার মধ্যে, শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত এক সপ্তাহে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৫ জন। ব্যারাকপুর পুরসভায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬। শ্রীরামপুর পুরসভায় ৪৪০ জন।  বহু জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানুষ। আবার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে,সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পুরসভার পক্ষে  ডেঙ্গি ঠেকানো সম্ভব নয়। বাড়িতে জমা জল পরিষ্কারের ব্যাপারে নাগরিক অনিহাকে দায়ী করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share