Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের (mRNA vaccine) আপৎকালীন ব্যবহারে  ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। পুনের (Pune) ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মা করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেওয়া যাবে। 

    এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন mRNA ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হয়, কিন্তু জেনোভার  প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিনটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে রাখলেও নষ্ট হবে না। ফলে এই ভ্যাকসিন  সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। জেনোভার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে এই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই ডোজগুলি ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা  হবে। গত শুক্রবার, করোনা মোকাবিলায় এই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল, যা  মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা অনুমোদিত হয়। 

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ, অ্যাডমিট ডাউনলোড কীভাবে?

    ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ফেজ-২ ও ফেজ-৩ ট্রায়ালে ৪ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। মেসেঞ্জার আরএনএ হল এক ধরনের আরএনএ যা শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।  mRNA ভ্যাকসিন অন্যান্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দেওয়া হয়। এটি শরীরের ভিতরে পৌঁছে কোষে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ওপরেও স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায়। যখন শরীরে প্রোটিন তৈরি হয়, তখন আমাদের কোষগুলি এমআরএনএ ভেঙে তা সরিয়ে দেয়। এরপর আমাদের কোষের স্পাইক প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে এবং স্পাইক প্রোটিন ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনও ধ্বংস হয়ে যায়। 

    দেশীয় mRNA ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়াও মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল সিরাম ইনস্টিটিউটের  কোভোভ্যাক্স (Covovax) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে৷ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।

  • Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এর মধ্যেই এল এক খুশির খবর। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। ভারত বায়োটেকের তৈরি নেজাল কোভিড ভ্যাকসিনের (Nasal Vaccine) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল (Third Trial) শেষ। ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella) জানান, আগামী মাসেই ট্রায়াল সংক্রান্ত সব তথ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছি। এখন আরও কিছু পরীক্ষা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাব। আর তাহলে এটাই হবে বিশ্বের করোনার প্রথম ক্লিনিক্যালি টেস্টেড নেজাল ভ্যাকসিন।”  

    ডাঃ এল্লা আরও বলেন, “এই ভ্যাকসিন যদি মান্যতা পায়, তাহলে ভারতের জন্যে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশের ৬৫টি স্টার্টআপ এই গবেষণায় এগিয়ে এসেছে। এই সবকটি সংস্থাই সম্ভবনাময়। আমরাও ১৯৯৭ সালে স্টার্টআপই ছিলাম। ভারত বিশ্বের জন্যে কী করতে পারে তা এই কাজ থেকে প্রমাণিত।”

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    এই বছরই জানুয়ারি মাসে ভারত বায়োটেকের এই নেজাল ভ্যাকসিনকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল ডিসিজিআই। ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছমাস সময় লেগেছে।    

    অন্যদিকে, কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে এদিন ডাঃ এল্লা জানান, “করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়া অবশ্যই উচিত। যারা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাঁরা বুস্টার ডোজ নিন এবং নিশ্চিন্ত থাকুন।” 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৯। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত চার হাজারের বেশি। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে সরকার।        

    ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) প্রস্তাব দিয়েছে, দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানোর। দ্বিতীয় ডোজের ছমাস পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নমাস। একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।  

    দেশে যখন নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা, তখন এই নেজাল ভ্যাকসিন বাজারে এলে অনেকটাই স্বস্তি পাবে দেশবাসী, বলে মনে করছে চিকিৎসকমহল। যদিও কবে এই টিকা বাজারে আসবে, সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।   

     

     

     

  • Covaxin Booster Jab: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর  কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    Covaxin Booster Jab: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রিপোর্ট অনুসারে, ডেল্টা (Delta) আর ওমিক্রন (Omicron) রুখতে দারুণ কাজে দিচ্ছে কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ (Covaxin Booster Jab)। এমনকি ওমিক্রনের দুটি ভ্যারিয়েন্ট থেকেই রক্ষা করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ। দেশজুড়ে করোনার (Corona) দাপট বাড়তেই বারবার একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন দিয়ে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টকে রোখা কঠিন। আর তারই মধ্যে খানিক স্বস্তির খবর দিল বায়োরিক্সভ(Biorixv)-এর এই রিপোর্টটি। জানা যায়, কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজটি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও যেমন কার্যকর, তেমন ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট  BA.1.1 এবং BA.2 রুখতেও সক্ষম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেই গ্রহীতার ইমিউনিটি অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

    দ্বিতীয় ডোজের পর এই বুস্টার ডোজটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকারি ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কতটা কার্যকারিতা রয়েছে তা নিয়ে ‘সিরিয়ান হ্যামস্টার মডেল’ (Syrian hamster model )-এ বিশেষ গবেষণা করা হয়েছে। করোনা হওয়ার ফলে ইমিউনিটি কমে যায় ও ফুসফুসেরও ক্ষতি হয়। তাই এই বিষয়েও কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ কতটা কাজ করতে পারে, সেটিও গবেষণা করে দেখা হয়েছে। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর ফুসফুস-সহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। কিন্তু কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর ক্ষতির আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে দাবি করছে এই রিপোর্ট।

    উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research)  -এর সঙ্গে ভারত বায়োটেকইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (Bharat BiotechInternational Limited)-এর যৌথ উদ্যোগে এই কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ তৈরী করা হয়েছে। ভারত বায়োটেক দাবি করে,  সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে ৮১ শতাংশ কার্যকর। কোভ্যাক্সিন হল প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যা সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারী থেকে ভারত দেশব্যাপী টিকাকরণের (Vaccination) অভিযান শুরু করেছিল।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ?

    তবে বর্তমানে ফের করোনা ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ নাগরিকদের ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনার চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও মাস্ক পরার সঙ্গে সঙ্গে  বিভিন্ন করোনাবিধিও মেনে চলতে হবে।

  • Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের(Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে এবার গবেষকরা করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের (New Coronavirus Symptoms) সন্ধান পেয়েছে। বিজ্ঞানী-গবেষকরা কোভিড নিয়ে গবেষণা করেই এই নতুন উপসর্গের উল্লেখ করেছেন। শরীরে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা এগুলোই হল কোভিডের নতুন লক্ষণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত ৩জনের মধ্যে একজনের গায়ে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসস্থার(World Health Organization) একটি রিপোর্টে বিশ্লেষণ করে দেখা হয় যে, প্রায় ৫৬০০০ জন কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীদের গায়ে, পেশীতে ব্যথা আছে।

    শরীরের কোথায় ব্যথা হতে পারে?

    শরীরের  সাধারণত কাঁধে, কোমরে ও পায়ে ব্যথা দেখা গিয়েছে। তবে এইসব উপসর্গের সঙ্গে মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে।

    ব্যথার ফলে কীভাবে বুঝবেন যে আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দেহে, পেশীতে  ব্যথা তো থাকবেই, এর সঙ্গে পেশী সঞ্চালন করলেও এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন। অথবা পেশীকে ছুঁলেও ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

    কতদিন কোভিডের এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে?

    গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি করোনার প্রাথমিক উপসর্গ ও এটি ২-৫ দিন থাকতে পারে। তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধবয়সীদের ৭-৮ দিন এই ব্যথা থাকতে পারে।

    গায়ে ব্যথা কীভাবে আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের গায়ে ব্যথা হলে দেহে স্ফীতাভাব দেখা যেতে পারে, সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটিও  কমে যেতে পারে। তাছাড়াও ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তিভাব দেখা যেতে পারে ও আপনার হাঁটাচলাতেও অসুবিধা হতে পারে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ব্যথা থাকলে আপনার পেশীর কোষগুলিও নষ্ট হয়ে যাোয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এর প্রতিকার কীভাবে করবেন?

    যদি আপনার শরীরে কোনও ব্যথা অনুভব হয়, তবে এটি করোনার লক্ষণ হতে পারে। তাই আপনাকে টেস্ট করে নেওয়া উচিত ও আইসোলেশনেও থাকা উচিত। ব্যথার জন্য সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন ও খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

  • Vitamins: দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে? সাবধান! এই ভিটামিনের অভাব আপনাকে করে তুলতে পারে অন্ধ

    Vitamins: দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে? সাবধান! এই ভিটামিনের অভাব আপনাকে করে তুলতে পারে অন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ধরনের ভিটামিন (Vitamin) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে সুস্থ থাকতে সব ধরনের ভিটামিন-মিনারেল গ্রহণ করা জরুরি। তবে সব খাবারের মধ্যে তো আর ভিটামিন থাকে না। তাই ভিটামিন মিনারেলযুক্ত খাবারের অভাব হলেই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। আর এই কারণেই শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সমস্যা সাময়িক। শরীরে যে কোনও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে খাবার এবং নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে তা পূরণ করা সম্ভব হয়।

    তবে শরীরে যে ভিটামিনের অভাব দেখা গিয়েছে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ফলে তার ঠিকমত চিকিৎসাও করাও হয়ে ওঠে না যার ফলে শরীরে আরও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই আপনার অবশ্যই জেনে রাখা দরকার, শরীরে কোন কোন লক্ষণ ফুটে উঠলে বুঝতে পারবেন আপনার  শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। মানব শরীরে সাধারণত ১৩ রকমের ভিটামিন প্রয়োজন আছে। সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি বছর ২৫ লক্ষ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভিটামিন এ-র অভাবে ভুগে থাকে। একই ভাবে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের কারণ হয়ে ওঠে।

    কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যদি দৃষ্টিশক্তিতে কোনরকমের পরিবর্তন দেখা যায়, তবে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন এ ও বি১২-এর কমতি রয়েছে। এমনকি বি-১২-এর ঘাটতি বেশি মাত্রায় হলে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন আপনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই দুটি ভিটামিনের অভাবে চোখের কর্নিয়া শুষ্ক হতে থাকে ও ধীরে ধীরে কর্নিয়া ও রেটিনা নষ্ট হতে থাকে। ভিটামিন এ -এর অভাব বেশি হলে রাতে দেখার ক্ষেত্রে বা রাতকানার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও চোখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকে জ্বালা অনুভূত হয়। আবার চোখের সমস্যা ছাড়াও ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে ত্বক ফ্যাকাসে, হলদেটে ও শুষ্ক হয়, মাউথ আলসার, ডিমেনসিয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।

    কোন কোন খাবার খেলে ভিটামিন এ ও বি১২-এর ঘাটতি কমবে?

    ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো হল চিজ, ডিম, দুধ, দই, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি। এছাড়াও শাক সবজির মধ্যে হলুদ, লাল, সবুজ সবজি যেমন- গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ফলের মধ্যে আম, পেঁপে ইত্যাদি। আবার ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার হল দই, দুধ, ডিম, মাছ, সমুদ্রের মাছ ইত্যাদি।

     

     

  • Beer: বিয়ার খেলে কমবে একাধিক রোগ-ব্যাধি! এমনই দাবি গবেষণায়

    Beer: বিয়ার খেলে কমবে একাধিক রোগ-ব্যাধি! এমনই দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বিয়ার (Beer) খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? সত্যিই ভালো না ক্ষতিকর, এই নিয়ে দ্বিধা অনেকের মনেই রয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, নিরাপদ মাত্রায় বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য বরং ভালো।

    আরও পড়ুন: মূত্র, নর্দমার জল থেকে বিয়ার! চোখ কপালে সুরাপ্রেমীদের

    একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে অ্যালকোহলিক বা নন-অ্যালকোহলিক হোক, বিয়ার আপনার পেটের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে। বিয়ারের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফসফরাস, ফোলেট ও কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বিয়ার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার জন্য ভালো যেটি খাবার হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    সম্প্রতি, ১৯ জন কে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয় ও তাঁদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর দুটি গ্রুপের সদস্যদের প্রতিদিন ৩৩০ মিলিলিটার করে অ্যালকোহলিক বা নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার দেওয়া হয়। চার সপ্তাহ পর দেখা যায়, তাদের সবারই অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভালো ব্যাকটেরিয়া দেখা যায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা থাকে ৫ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে বিয়ার খেতে হবে। কারণ কখনওই মাত্রাতিরিক্ত বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। 

    আরও পড়ুন:ওবেসিটিতে ভুগছেন? মদ্যপান নৈব নৈব চ! হতে পারে ক্যানসারও

    তবে বিয়ার শুধুমাত্র পেটের জন্যই নয়, গবেষণায় দাবি যে এটি ক্রনিক রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। বিয়ারে থাকে গুড কোলেস্টেরল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং একাধিক খনিজ উপাদান, যা ব্যাড কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিয়ার, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলিকে বাধা দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে।

    আবার বিয়ারের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং অল্প পরিমাণ শর্করা। ফলে এটি মেটাবোলিজমের জন্যও ভালো। অন্যদিকে ত্বকের জন্যও বিয়ার অত্যন্ত উপকারী। বিয়ার ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। বিয়ার  কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে যদি কোনও রোগ ব্যাধি থাকে, তবে তাঁর বিয়ার খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।

  • Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিমারির সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অনেকটা সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে, বেড়াতে যাওয়া শিকেয় উঠেছে, সব মিলিয়ে একেবারে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পরিস্থিতি। সেই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে দ্রুত। ঘিরে ধরেছে অবসাদ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পেশায় আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাতে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, পেশায় টান পড়েছে। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। করোনা মহামারির কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, একাকীত্বের মতো মানসিক সমস্যার একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, এই ব্যাধির বিস্তার সর্বত্র। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঘটনা বেড়েছে বহুল পরিমানে।

    সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা অনেক বেশি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ একাকীত্বের  শিকার হয়েছে, যার ফলে সে সম্মুখীন হয়েছে হতাশা, দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যার। তবে দেখা যায়, যেসব ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগের বেষ্টনী সংকীর্ণ, তাঁদের উপর মানসিক স্বাস্থ্যর ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়

    এই সমস্যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেললেও সারাজীবনের জন্য তা মানতে নারাজ মনোবিদরা। তাঁদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর দীর্ঘতর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এর নিরাময় সম্ভব। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুকূল হলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ এবং অদম্য ইচ্ছে থাকা প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

    এই গোটা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এ (Union Budget 2022) বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলি-চিকিৎসা পরিষেবার (National tele-mental health programme) কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। সরকারের মতে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই অতিমারি এক প্রবল প্রভাব তৈরি করেছে। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই সঠিক মানসিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় স্তরে জাতীয় মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছে। 

  • Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এক ওষুধেই নির্মূল হবে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ-ব্যাধি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় (Cancer Treatment) স্বর্গপ্রাপ্তির মতো এক ঘটনা। এবার এই “মিরাকেল ড্রাগ”-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওষুধের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোগী।

    মলদ্বারে ক্যান্সার (Rectal Cancer) এমন ১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করার পরই এই দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের (Memorial Sloan Kettering Cancer Center) চিকিৎসকরা। ওই ঐতিহাসিক পরীক্ষামূলক ক্যানসার চিকিৎসার অংশ ছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলাও।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার নিরাময়কারী এই ওষুধের নাম ডস্টারলিম্যাব (Dostarlimab)। ১৮ জন মলদ্বারে ক্যান্সারেররোগীকে ৩ সপ্তাহ অন্তর ৬ মাস ধরে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ক্যান্সার-মুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহত্তর ট্রায়ালে সেই পরীক্ষা সফল হয় কিনা, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।    

    আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

    নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৮ জন রোগীর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা নিশা ভারুগিস (Nisha Varughese)। সংবাদ সংস্থাকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নিশা। 

    ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পুরো ঘটনাকে ‘মিরাকেল’ বলে অভিহিত করেছেন নিশা। যেদিন প্রথম ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণায় নিশা বারুগেজ বলেন, “ওই দিন হঠাৎ দেখলাম টিউমারটা নেই। আমি ভাবছিলাম, কোথায় গেল টিউমারটা? তারপর মনে হয়েছিল, ওটা ভিতরে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, দেখা যাচ্ছে না। পরে ডাক্তাররা আমায় জানান, টিউমারটি আর নেই। এটা সত্যিই মিরাকল।” 

    নিশা ভারুগেজ এবং ট্রায়াল নেওয়া সকলেই মলদ্বারের ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। শুধুমাত্র মলদ্বারেই স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছিল ক্যান্সার, আর অন্য কোনও অঙ্গে ছড়ায়নি। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, শল্য চিকিৎসা-সহ বিভিন্নরকম পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যান্সার নির্মূল করার চেষ্ঠা করেছিলেন এই রোগীরা। কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অন্ত্র-প্রস্রাবের সমস্যা এমনকি যৌন ক্ষমতা হারাতে বসেছিলেন। এমন সময়ই ওই রোগীদের ওপর করা হয় ওই পরীক্ষা। পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশ করেছেন গবেষকরা। 

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ডস্টারলিম্যাব ওষুধে গবেষণাগারে তৈরি কিছু অণু থাকে, যেগুলি মানবদেহে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসাবে কাজ করে। ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy) শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী করে তোলে।

    মানবদেহের ইমিউন কোষে একটি ‘চেকপয়েন্ট’ নামক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। ওই চেকপয়েন্টই ইমিউন কোষগুলিকে, মানবদেহের স্বাভাবিক কোষগুলি আক্রমণ করা থেকে প্রতিহত করে। ক্যান্সারের কোষগুলি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইমিউন কোষগুলির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে, টিউমারগুলি গোপনে বেড়ে উঠতে পারে।

    ইমিউনোথেরাপি, ক্যান্সার কোষগুলিকে শনাক্ত করে, ইমিউন কোষগুলি দিয়ে সেই কোষগুলিকে আক্রমণ করায়। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য তথা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া সেরসেক জানিয়েছেন, “ইমিউনোথেরাপিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দ্রুত টিউমারগুলি সংকুচিত হয়েছে।”

  • Weight Loss: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    Weight Loss: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাত (Rice) খেয়েও আবার ওজন (Weight) কমানো যায় না-কি! তাই অনেকেই ওজন কমাতে ভাত খাদ্যকতালিকায়(Diet) রাখেন না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে অনেক পুষ্টিগুণ আছে। ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায় একথা অনেকে বললেও বিষয়টি একেবারেই সত্যি নয়। কারণ ভাত খেয়েও ওজন কমানো যায়। সেক্ষেত্রে পরিমিত ভাত ও এর সঙ্গে কী খাচ্ছেন, সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত

    সবারই জানা দরকার, ভাত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার ও এতে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। এটি একটি সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেটও(Carbohydrate), যা সহজেই হজম হয়ে যায়। তাছাড়াও  মানুষের ক্যালোরির বেশী শতাংশই শর্করাজাতীয় খাবার থেকেই আসে। যা পূরণ করে ভাত। এছাড়া ভাত খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। পুষ্টিবিদরা ওজন কমানোর জন্য সাধারণত ভাত মেপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলেই ওজন বাড়ার সমস্যাও অনেকটা কমে যায়। কীভাবে ভাত খেয়েও ওজন কমাবেন, তার জন্য এই পাঁচটি টিপস মেনে চলুন..

    আরও পড়ুন: জেনে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    ১)আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণ কমিয়ে সবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার জায়গায় স্যালাড ও বেশ কিছু তরকারি পাতে রাখুন। তাতে আপনার পেটও ভরা থাকবে সঙ্গে আপনার শরীরে ফাইবারের পরিমাণও ঠিক থাকবে।

    ২)আপনি সরাসরি ভাত না খেয়ে খিচুড়ি করেও খেতে পারেন। ফলে আপনার শরীরে প্রোটিনের পরিমাণও ঠিক থাকবে এবং এতে নয় প্রকারের অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino Acid) থাকে যা আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।

    ৩)আপনি আপনার ডায়েটে বাসমতি চালের ভাত রাখতে পারেন। তবে সেটির পরিমাণ অল্প হতে হবে।

    ৪)ভাত খেতে চাইলে সেটি অবশ্যই একটি ছোট বাটির পরিমাপ মত খাওয়া উচিত।

    ৫)ভাতের সঙ্গে যদি বেশি পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, তা হলে ওজন কমানো আরও সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

  • Cardiovascular Endurance: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    Cardiovascular Endurance: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) বলতে শুধুমাত্র হৃদয়ের স্বাস্থ্যের কথাই ভেবে থাকি। কিন্তু কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা (Cardiovascular Endurance) বলতে হৃদয়ের পাশাপাশি আপনার শারীরিক ক্ষমতার পরিমাণও বোঝানো হয়। অর্থাৎ কোনও গতিশীল কার্যকলাপ করার সময় হৃদয়ের পাশাপাশি ফুসফুসের পেশীগুলি অথবা অন্যান্য পেশীগুলি কতটা ও কিভাবে কাজ করছে এবং আপনার হার্ট কতটা সহ্য করতে পারছে, সেটিকেই বোঝানো হয়।

    কী এই কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা:

    এক কথায় বলতে গেলে আপনি কোনও এক্সারসাইজ অথবা ব্যায়াম করতে গেলে আপনার হার্ট কতটা সেই কাজ কোনও কষ্ট ছাড়াই করতে পারছে সেটিই বোঝা যায় এবং এটি নির্ভর করে আপনার হার্ট কত তাড়াতাড়ি অক্সিজেন সঞ্চালন করতে পারছে। কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা হল জগিং (Jogging), সাঁতার কাটা (Swimming), সাইকেল চালানো (Cycling) এমন কিছু ব্যায়াম যা আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে একটি সময়ের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে ও এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাই আপনার দেহের ক্ষমতা হিসাবে ধরা হয়।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    কোন এক্সারসাইজ করলে কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে:

    আপনারা মনে করেন, শুধুমাত্র দৌড়লেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে কিন্তু দৌড়ানোর সঙ্গে সাইক্লিং, সাঁতার কাটাও একটি ভালো এক্সারসাইজ। আপনি যত আপনার শরীরের পেশীকে সঞ্চালন করবেন ততই আপনার দেহ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আরও কিছু কার্যকরী এক্সারসাইজ হল— স্কিইং, রোয়িং, ইত্যাদি।

    কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতার উপকারিতা:

    নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের কার্যকরী ক্ষমতা উন্নত হবে। ফলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে, সঙ্গে আপনার বিপাক প্রক্রিয়ার কাজকেও দ্রুত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনার শরীর যত সুস্থ থাকবে ততই আপনার ঘুম ভালো হবে। সুতরাং কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতার সরাসরি প্রভাব আপনার ঘুমের উপর রয়েছে।

    আপনার হার্ট যত বেশি ভাল থাকবে তত আপনার হৃদজনিত সমস্যা (Heart problems) কম দেখা যাবে। এছাড়াও হাইপারটেনশন (Hypertension), ডায়াবেটিস (Diabetes) হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকেও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো নিজের করা উচিত। যেমন- ভারী জিনিসপত্র ওঠানো, এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়িতে চড়া, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলো— এইসব কাজ করার মাধ্যমে আপনার দেহের পেশীগুলো ভালোমতো চালনা হবে। ফলে আপনার হার্টেরও কোনও সমস্যা হবে না। সুতরাং দিনের শেষে আপনি যত বেশি অ্যাক্টিভ থাকবেন, আপনার হৃদয় ও শারীরিক অবস্থার সঙ্গে  মানসিক অবস্থারও উন্নতি হবে।

LinkedIn
Share