Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম (well sleep)। তবে ঘুম থেকে উঠে যদি মাটিতে পা ফেলতে কষ্ট হয়, পিঠের শিড়দাঁড়া বেঁকে যায়, কোমর যদি যন্ত্রণায় ফেটে পড়ে তাহলে শুয়ে লাভ কী?
    ডাক্তার দেখালেই জানা যায় শোওয়ার দোষে অথবা উপযুক্ত গদি বা ম্যাট্রেসের অভাবেই শরীরের এই হাল হয়েছে। সারাদিন বাড়ি ও অফিসের কাজ সামলাবার পর, ক্লান্ত শরীর চায় একটু আরামের ঘুম। তাই প্রয়োজন উপযুক্ত বিছানা এবং বিছানার কমফর্টের জন্য সঠিক সরঞ্জাম, যার মধ্যে ম্যাট্রেস এবং বালিশ সবথেকে জরুরি। শরীরের আরাম হলেই ব্যথা, যন্ত্রণার হাত থেকেও অব্যাহতি মেলে। 

    কেন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    উপযুক্ত গদি অথবা ম্যাট্রেস ভালো ঘুম হতে যেমন সাহায্য করে তেমনি স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস শিরদাঁড়ার হাড়ে চাপ সৃষ্টি হতে দেয় না, তাই কোমরের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই চিকিৎসকেরা এই ম্যাট্রেস ব্যবহারের উপর জোড় দিচ্ছেন।   যাদের শিরদাঁড়ায় ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে পেন কেয়ার ম্যাট্রেস অত্যন্ত উপযোগী। বাজারে এই ম্যাট্রেসের চাহিদা বেশ ভালো। এর বাজার মূল্য সাধারণত ১৫ থেকে শুরু করে ২৫ -৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

    ব্যাথা থাকলেই কী অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    সুস্থ থাকার জন্য সবাই এই ধরনের ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে পারেন। এখন বিশেষ কিছু কোম্পানি বাজারে এমন ম্যাট্রেস নিয়ে আসছে, যেগুলি আকুপাংচারের সঙ্গে স্পা-এর চাহিদাও অনেকটা মেটায়। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস কেনার আগে একবার চিকিসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তাহলে কোনটা আপনার জন্য প্রযোজ্য তা বুঝতে পারবেন।

  • Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বয়সেরও দরকার পড়ে না। যেই গতিতে হার্টের রোগ বাড়ছে, তাতে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, এমন খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন যা খেলে হার্ট ভালো থাকতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কয়েকটি সুপারফুডের বিষয়ে বলা হল যা হার্টের ক্ষেত্রে উপকারী, বিশেষ করে যারা ৫০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন তাদের ডায়েটে এই খাবারগুলো রাখা উচিত।

    দানা শস্য

    পরিশোধিত শস্যের বিপরীতে,  গোটা শস্য শরীরে, বিশেষ করে হার্টের জন্য অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করে। পরিশ্রুত খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়,  কিন্তু গোটা শস্য হার্টোর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

    ডার্ক চকোলেট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীর এবং হার্টকে আমাদের চারপাশে উপস্থিত টক্সিন থেকে সুরক্ষিত রাখে। ডার্ক চকোলেট প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ যা হার্টের কার্যকারিতা উন্নত করে।

    ক্রুসিফেরাস সবজি

    ক্রুসিফেরাস শাকসবজি যা সবুজ শাক সবজি নামে পরিচিত তার মধ্যে রয়েছে লেটুস, বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি। এই সবজি ফাইবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং হার্টের জন্য ভালো।

    চর্বিযুক্ত মাছ

    চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটের একটি বড় উৎস। শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    বাদাম

    বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিকর সুপারফুডগুলির মধ্যে একটি। এগুলি পুষ্টিতে ভরপুর এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা উন্নত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট অনেক করোনারি রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    টমেটো

    টমেটো প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন করোনারি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

    অলিভ ওয়েল

    অলিভ অয়েল হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার। বিভিন্ন তেল করোনারি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় যেখানে জলপাই তেল এটি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    লেগুম

    ৫০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হৃদরোগের মধ্যে একটি হল কোলেস্টেরল। মুসুর ডাল, মটরশুটি এবং ছোলার মত লেগুম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এগুলি প্রয়োজনীয় খনিজ লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

    বেরি

    ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হল বেরি। এই উপাদানগুলি আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং উন্নত করে। ৪০-এর পরে আপনার ডায়েট সম্পর্কে খুব সতর্ক হওয়া উচিত।

  • Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্ক হল শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত। আপনার লাইফস্টাইলের অনেকটাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে ভূমিকা পালন করে থাকে।

    ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম এবং পুষ্টি হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে পারে। যখন পুষ্টির কথা আসে, তখন কিছু খাবার আছে যা আমরা জানি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যগঠনে সাহায্য করতে পারে, যেমন— ওমেগা-৩, ফল, শাকসবজি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    তবে ডায়টেশিয়ানদের মতে, মস্তিষ্কের ভালোর জন্য সবচেয়ে উপকারি হল মাছ। সামুদ্রিক মাছ পুরো স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারি, তবে মস্তিষ্কের জন্য বেশি উপকারি। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিন, পুষ্টিকর ফ্যাট, ভিটামিন-বি, বিভিন্ন মিনারেলস যেমন— জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার। তবে মস্তিষ্কের জন্য স্যামন মাছ বেশি পুষ্টিকর।

    পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় অর্ধেক অংশই ফ্যাট, ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (omega-3 polyunsaturated fatty acids) দিয়ে তৈরী। আর এই ফ্যাটের ৯০ শতাংশই docosahexaenoic acid (DHA)-এ পরিণত হয়ে থাকে। এই DHA-ই মস্তিষ্কের আকার তৈরীতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: গরমকালে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন জাম, কী কী উপকারিতা জানেন?

    স্যামন মাছ ডিএইচএ (DHA) ,ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইপিএ (Eicosapentaenoic acid)-তে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ স্যামন মাছ মস্তিষ্কে brain-derived neurotrophic factor (BDNF) নামক প্রোটিন তৈরীতে সাহায্য করে যেটি মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে ও নতুন কোষ তৈরীতে সহায়তা করে থাকে।সুতরাং স্যামন মাছ আপনার মস্তিষ্কের জন্য একেবারে উপযুক্ত খাবার।

    স্যামন মাছ আদতেও মস্তিষ্কের জন্য উপকারি কি না তা বুঝতে আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে দুবার এই মাছ খেয়ে দেখা উচিত। সপ্তাহে সেটি তিনবার খেলে আরও ভালো হয়। স্যামন মাছ ওভেনে সবজির সঙ্গে রোস্ট করে অথবা কারি বানিয়েও খেতে পারেন।

     

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

  • Non-Communicable Disease: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    Non-Communicable Disease: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ কী, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ (World Health Organisation) থেকে। জানা গিয়েছে, প্রতি ২ সেকেন্ডে ১জন করে ৭০ বছরের কম বয়সী মারা যান নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ-এ।

    নন-কমিউনিকেবেল ডিজিজ (non communicable disease) কী?

    এগুলো এমন ধরনের রোগ যা এক ব্যক্তির দেহ থেকে আর এক ব্যক্তির দেহে যায় না। এগুলো সংক্রামক রোগ নয়। হৃদরোগ (cardiovascular disease), ক্যানসার, শ্বাসজনিত সমস্যা এবং ডায়াবেটিস- এই ধরনের রোগের সংখ্যা হঠাৎ করেই অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ভারতে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো সবকটাই নন-কমিউনিকেবেল ডিজিজ (non communicable disease)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে লেখা আছে, “লক্ষ লক্ষ মানুষ – বিশেষ করে যেসব দেশে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই সেই দেশেই এই জাতীয় রোগে মারা যায় বেশি সংখ্যক মানুষ। প্রতি বছর ৭০ বছরের কম বয়সী ১৭ মিলিয়ন মানুষ এনসিডিতে মারা যায় এবং ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছ তারা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।”

    আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    এতে উল্লেখ করা আছে যে, এই ননকমিউনিকেবল ডিজিসের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার রোগ (হৃদরোগ এবং স্ট্রোক), ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ- বিশ্বে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মৃত্যুর কারণ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান এনসিডির পিছনের কারণগুলি হল সামাজিক, পরিবেশগত , বাণিজ্যিক এবং জেনেটিক। কিন্তু প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় – অর্থাৎ ৯৩ লক্ষ পরিবার প্রতি বছর ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে।

    তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সব রোগ এড়ানো যায় সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার, সময়মতো খাবার খাওয়া, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখার মাধ্যেমে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার বা যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস (World Liver Day) পালন করা হয়। যকৃৎ আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর জটিলতা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানা যাক। লিভার সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যা হল ফ্যাটি লিভার।

    Fatty liver disease :  ফ্যাটি লিভারের সমস্যা – এখন প্রায় ঘরে ঘরে। হজমের সমস্যা, পেটের যন্ত্রণা, খাবারের তালিকায় একটু রদবদল হলেই বদহজম হতে পারে। ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হল

    পেট ফুলে যাওয়া ( Abdominal swelling)
    ত্বকের নিচে থাকা ব্লাড ভেসেল ফুলে যাওয়া  (Enlarged blood vessels just beneath the skin’s surface)
    প্লীহা বেড়ে যাওয়া ( Enlarged spleen) 
    হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া (Red palms)
    অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব (Yellowing of the skin and eyes)

    Fatty Liver Syndrome কখন হয় ? 

    পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় লিভার। খাদ্যে মূলত ৬ রকমের পুষ্টি উপকরণ থেকে থাকে। কার্বোহাইড্রেট, শর্করা , প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন , মিনারেল ও জল। ক্ষুদ্রান্ত্রের ইলিয়ামে (ileum intestine) এই ছ’টি জিনিস পরিপাকের পর শোষণ হয়। তারপর তা একটি সার্কুলেশনে যায়। যাকে পোর্টাল সার্কুলেশন হয়। পোর্টাল ভেইনের মারফত এই খাবারগুলো লিভারে পৌঁছায়। লিভারই এই খাদ্যকে বিভিন্ন দিকে চালিত করে। শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে প্রোটিন বা ফ্যাট থেকে শর্করা তৈরি করতে পারে লিভার। গ্লুকোনিওজেনেসিস (gluconeogenesis)  বলে। গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে, গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে স্টোর করে লিভার।

    ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে লিভার ফ্যাট নিজের মধ্যে স্টোর করতে পারে। যদি অতিরিক্তি ফ্যাট আসে লিভারে, তখন তার কিছুটা জমা হয় লিভারে, কিছুটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে স্থান পায়। তাতে একজন মানুষ স্থূলকায় হয়ে পড়েন। লিভারের অধিকাংশ কোষে যদি ফ্যাট স্টোর হয়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

    ওই কোষগুলি তখন খাদ্য পরিপাকের কাজটি ভালভাবে করে উঠতে পারে না। লিভারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফ‍্যাট জমে লিভার বড় হয়ে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে ফ্যাটি লিভার হয়, তাকে অ্যালকোহলিক ফ‍্যাটি লিভার বলা হয়ে থাকে।

    Alcoholic fatty liver disease : 
    অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়। লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।

    Nonalcoholic fatty liver disease : 
    নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হয়ে থাকে  অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে। 

    ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তার কয়েকটি হল  –

    তেল-চর্বি, ঝাল, ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন ।
    খাবারের পরিমান শরীরের প্রয়োজন ও ক্যালরির খরচের সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রণ করুন।
    শহুরে জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফাস্ট ফুড । এই খাবারগুলি সহজপাচ্য তো নয়ই, উপরন্তু অপকারী ফ্যাটের সম্ভার।
    এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার ।
    অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্যাকেজড  ফ্রুট জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
    সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
    সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল নয় ! ফ্যাট এনার্জি যোগায়। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে রোজ এক্সারসাইজ করুন। হাঁটুন। দরকারে জিমে যান। 

  • Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশলা ছাড়া রান্না হয় কিন্তু নুন ছাড়া নয়। নুন হল সেই উপাদান যেটি ছাড়া কোনও খাবারই সুস্বাদু হয়ে ওঠে না। লবণ ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ। তবে রান্নায় নুন কম হলে যেমন খাওয়া যায় না, তেমনই বেশি হলেও মুখে তোলা দায়। কম বা বেশি লবণ খাবারের স্বাদ একেবারেই নষ্ট করে দেয়। আবার পরিমাণমতো লবণ সেই খাবারকেই সুস্বাদু করে তোলে। নুনের মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইডও আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের শরীরে ঠিক কতটা নুনের প্রয়োজন। অনেক সময়ই আমরা না বুঝে দৈনিক খাদ্যতালিকায় বেশি লবণ গ্রহণ করে ফেলি, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এর মতে, অত্যধিক নুন শরীরে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা তৈরি করে। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমরা দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে নুন খাচ্ছি। যা আমাদের ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  দৈনিক মাত্র পাঁচ গ্রাম নুন গ্রহণ করার কথা বলছে।
    হু-এর অভিমত, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ, মূলত লবণের মাধ্যমে এবং অপর্যাপ্ত পটাশিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ করা, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, করোনারি হার্ট অ্যাটাক, প্রভৃতির ঝুঁকি কম করে। WHO-এর মতে, বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন গড়ে ৯-১২ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে। যদি বিশ্বব্যাপী লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে বছরে আনুমানিক ২৫ লক্ষ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতে পারে।

    কখন নুন খাবেন না 
    বিশ্বজুড়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার প্রতিদিনের সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ দ্রুত বাড়াচ্ছে।

    হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে: হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের রক্তচাপ কমাতে চিকিৎসকেরা প্রথমেই নুন খাওয়া কমানোর পরামর্শ দেন। কারণ কি জানেন? নুন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে শরীরের ভিতরে প্রেসার বেড়ে যায়। যা উচ্চ রক্তচাপে (high pressure)ভোগা রোগীদের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই তো রক্তচাপ বাড়লেই নুনকে টাটা-বাইবাই করতেই।

    শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত নুন খেলে কিছু বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে শরীরের ভিতরে জল জমতে শুরু করে। এই ধরনের সমস্য়া হলেই তাই নুন খাওয়া ছাড়তে হবে। নচেৎ কিন্তু বিপদ!

    মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া: এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে মুখের ভিতর খুব শুকিয়ে যায়, সেই সঙ্গে জল তেষ্টাও বেড়ে যায়। এমনটা কেন হয় জানা আছে? আসলে যেসব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবার খেলেই সাধারণত এমন ধরনের লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই সময় অনেক পরিমাণে জল খান। দেখবেন সমস্য়া কমে যাবে।

    কিডনির সমস্যা: অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আসলে শরীরে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই অতিরিক্ত নুনকে শরীর থেকে বের করে দিতে কিডনি মাত্রাতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে বার বার প্রস্রাব পেতে থাকে। তাই সমস্যা দেখা যায়।

    কোন খাবারে নুন বেশি থাকে
    চিপস জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা অনুচিত। 

    আমরা সকলেই জানি যে, লবণ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। লবণ ছাড়া প্রায় প্রতিটি খাবারই অসম্পূর্ণ। লবণ যে শরীরকে শুধুমাত্র হাইড্রেট রাখে তা নয়, থাইরয়েড গ্রন্থি যাতে সঠিকভাবে কাজ করে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয় ব্লাড প্রেসার কম থাকলে বা শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে, লবণ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এমনকি লবণের মাধ্যমেই শরীরে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু যদি লবণ অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যার মতো রোগ, বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব নুন খান কিন্তু পরিমাণ মেপে।

  • Health tips: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    Health tips: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা তো জানেনই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা প্রয়োজনীয়।  আর যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদেরও উচিৎ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা। এতে পরবর্তীতে টাইপ টু ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কম থাকে। আর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীরটাও ভালো থাকে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগী ঘরে ঘরেই দেখা যায়। আর ডায়াবেটিসের মূল কারণই হল সঠিক লাইফস্টাইল মেনে না চলা। আর তার ফলেই জীবনধারায় পরিবর্তন আনাটা খুবই জরুরী। কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাবেন তা এই ক্ষেত্রে খুব জরুরি। এমনও কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। সেগুলো কোনগুলি চলুন দেখে নেওয়া যাক।

    ডিম

    ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ব্রকলি

    ক্রুসিফেরাস সবজি ব্রকলিতে কার্বের পরিমাণ কম এবং এই সবজি ভিটামিন, মিনারেলসএ সমৃদ্ধ। এই সবজি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। বরং সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    ব্রাউন রাইস

    ব্রাউ সুগারে কার্বস আছে তবে তা ক্ষতিকারক নয়, ফলে ব্রাউ রাইস খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই তাঁদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা শরীরের অন্য কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।

    সয়বীন

    পুষ্টিবিদদের মতে, টোফু ও সয়বীনে অল্প পরিমণে কারবস থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে না। এতে প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাটে সমৃদ্ধ। এই জাতীয় খাবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • COVID-19: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত, ৪৫ বার পজিটিভ, পারসিসটেন্স কোভিডে নয়া তথ্য

    COVID-19: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত, ৪৫ বার পজিটিভ, পারসিসটেন্স কোভিডে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন লন্ডনের এক ব্যক্তি। ৪৫ বার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অবশেষে মারণ ব্যাধির কাছে জীবন যুদ্ধে হার মানতে হলেও কোভিড নিয়ে গবেষণার নতুন দিক খুলে দিয়েছেন ওই ব্যাক্তি। তবে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইনিই একমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগী কি না, তা এখনও জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। 

    ‘দ্য গাইস অ্যান্ড সেন্ট থমাস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর ভাইরাল রোগ বিশেষজ্ঞ ড. লুক ব্ল্যাগডন স্নেল জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ইনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অনেকেই বারবার একটানা করোনা পরীক্ষা করান না। ফলে রিপোর্টে সেভাবে ধরা পড়ে না। এখনও পর্যন্ত “লং কোভিড” সম্পর্কে অনেকেই অবগত। কিন্তু এই ধরনের রোগীরা পারসিসটেন্স কোভিড নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য জোগাবেন বলে অভিমত চিকিৎসকদের। 

    লং কোভিড মানে, করোনামুক্ত হওয়ার পরেও রোগের উপসর্গ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায় শরীরে। অন্যদিকে পারসিসটেন্স কোভিডের অর্থ হল, ভাইরাস দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরেই বাসা বেঁধে থাকে। মিউটেশনও হয়। বিশেষত অত্যন্ত কম ইমিউনিটি যাঁদের,তাঁদের পারসিসটেন্স কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাঁদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে, এইচআইভি, ক্যানসার, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। 

    টানা আট সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত এমন ৯ জন রোগীর সন্ধান পেয়েছিলেন স্নেল এবং তাঁর দল। তাঁদের মধ্যে দু’জন এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে পাঁচজন এখনও বেঁচে আছেন। চারজন মারা গেছেন। যে পাঁচজন বেঁচে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন এখন করোনা নেগেটিভ। তবে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আর একজন এখনও পজিটিভ। যিনি ৪১২ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত।   

    স্নেল জানান, টানা ৫০৫ দিন ধরে আক্রান্ত থাকা লন্ডনের ওই ব্যাক্তি ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সমস্ত অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ দেওয়ার পরেও ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় তাঁর মৃত্যু হয়। বারবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির সংক্রমণ গড়ে ৭৩ দিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। তাঁর শরীরে করোনার প্রায় ১০ বার মিউটেশন ঘটে। তিনি আলফা, গামা, ওমিক্রন সবরকম ভ্যরিয়েন্টেই আক্রান্ত ছিলেন।

    গবেষকরা জানান, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রোগী টানা ৩৩৫ ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের এমন স্থায়িত্ব বিরল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ বিরল হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের রোগীরা হয়তো করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিকে জন্ম দিতে পারে। 

    করোনার ঝুঁকি নিয়ে জানা-অজানা তথ্যের পরিধি বাড়াতে এধরনের দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণের ওপর গবেষণা দরকার বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিংস কলেজ লন্ডন এবং গাই’স অ্যান্ড সেন্ট থমাস’ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের  বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই পারসিসটেন্স কোভিডের চিকিৎসাও শুরু হবে।

     

  • Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখনই ওজন কমানের কথা আসে তখনই বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের কথা বলে থাকেন। কেউ বলেন কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত আবার কেও বলেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন আমাদের ডায়েটে রাখা উচিত। সুতরাং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এক-একজনের এক-একরকমের মতামত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে ডায়েটে সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।

    বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। শস্য, ফল এবং সবজিতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়,  ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে সেগুলো হল-

    ব্রকলি

    ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি উভয়ই ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ব্রকলিতে প্রতি কাপে পাঁচ গ্রাম ফাইবার থাকে। এই সবজি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    পালং শাক

    এই শাক চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। পালং শাক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

    সবুজ মটর

    সবুজ মটর সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়াও, সবুজ মটর দিয়ে রান্না করাও সহজ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ঢেঁড়শ

    এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ধরণের খনিজ উপাদান রয়েছে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, লেডিফিঙ্গার অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।

    কুমড়ো

    এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং কে এর একটি ভাল উৎস। এটি মিষ্টি এবং স্বাদযুক্ত উভয় জিনিস তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কুমড়ো ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

    ফুলকপি

    এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই সবজিটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

    বেগুন

    দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবারের পাওয়ার হাউস হল বেগুন। বেগুনের খোসা অদ্রবণীয় ফাইবার ও বেগুনের ভেতরের অংশ দ্রবণীয়। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share