Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Health Tips: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো

    Health Tips: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়, তাই ৪০ বছর বয়সের আগে এবং বয়সের সময় পুরুষদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলেন ৪০ বছর বয়সের পরে ছেলেদের বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। ফলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি, বিশেষ করে পেটের চর্বি ও নান রকমের রোগ দেখা যায়।

    ৪০ বছরের বেশি বয়সের লোকেদের জন্য বিশেষ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে রোজ খান এই ৫টি শাক, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    ফাইবার যুক্ত খাবার: আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  এছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কালো বিনস, ডাল, ওটস, শাক, বাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

    কম সোডিয়াম পরিমাণ যুক্ত খাবার: কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলে শরীরে পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কম সোডিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে কলা, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

    ডায়েটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: আপনার ডায়েটে জলপাই, বাদাম, অ্যাভোকাডোর মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলোতে ভালো পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। ৪০ বছর বয়সের পর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়তে পারে। এই সমস্যা এড়াতে আপনাকে ভালো ফ্যাট যুক্ত খাবার ডায়েটে রাখা উচিত এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: রোগ প্রতিরোধের  ক্ষমতা বাড়াতে গোলমরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, আদা খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    ভেষজ খাবার ও মশলা: খাদ্যতালিকায় ভেষজ জাতীয় খাবার অর্থাৎ তুলসী, অশ্বগন্ধা, গুলঞ্চ রাখা উচিত ও মশলার মধ্যে হলুদ, কালো জিরা, গোলমরিচ, দারচিনি রাখা উচিত।

    এছাড়াও যেসব খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে এমন খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও যেসব খাবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তেমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

  • Frozen Shoulder: ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন এর থেকে মুক্তির উপায়

    Frozen Shoulder: ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন এর থেকে মুক্তির উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রোজেন শোল্ডারের (Frozen Shoulder) সমস্যায় ভুগছেন? কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়াকেই ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ বলা হয়। অনেক সময় ঘুম থেকে উঠে কিংবা স্থির অবস্থা থেকে নড়াচড়া করতে গেলে প্রবল ব্যথা অনুভূত হয় কাঁধে।  কাঁধে ব্যথা বোধ করলে তার পেছনে নানারকম কারণ থাকতে পারে। যদিও কাঁধ ব্যথার আসল কারণ এখনো জানা যায়নি। কাঁধের ব্যথা বিশেষ করে রাতে শোওয়ার সময় বেশি হতে পারে। ফলে অনেক সময় এই ব্যথায় হাত কাঁধ নাড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে চিকিৎসকদের মতে,  কাঁধের পেশীতে ক্ষতের সৃষ্টি হলে বা ক্যালশিয়ামের অভাবেও   এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    আরও পড়ুন: হার্টের রোগের ঝুঁকি রয়েছে কাদের, বলে দেবে ব্লাড গ্রুপ!

    ফ্রোজেন শোল্ডারের সম্ভাব্য কারণ-

    এই সমস্যার প্রধান কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস। যারা ডায়াবেটিক রোগী তাদের ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যাদের কোনো অপারেশন বা সার্জারি করা হয়েছে তাদেরও কাঁধের সমস্যা হতে পারে।

    কীভাবে ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়?

    ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিক্যাল থেরাপি করেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফিজিক্যাল থেরাপির সাহায্যে কাঁধের সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু সপ্তাহ বা মাস লাগতে পারে। ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যাকে দূর করতে আগেই  কোনো অপারেশন করা উচিত নয়। তবে কোনো এই সমস্যার দ্রুত কোনো চিকিৎসা না করালে এটি চিরস্থায়ী হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু ব্যায়ামের সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই ব্যায়ামগুলো হল-

    আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    শোল্ডার রোটেশন: হাতের আঙুলকে কাঁধে রেখে তারপর একবার ক্লকওয়াইজ ও একবার অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ হাতকে ঘোরাতে হবে। 

    শোল্ডার ওয়ার্ম আপ: শোল্ডারকে রিল্যাক্স করে। কয়েকবার সামনের দিকে কয়েকবার পেছনের দিকে ঘুরিয়ে আনা নেয়া করুন। এটি প্রায় ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে করুন।

    এক্রোজ দা চেস্ট স্ট্রেস: আপনার ডান হাতটি সোজা করে আপনার বুকের ওপর রাখুন। এবার বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই বরাবর ধরে বুকের বাম পাশের দিকে চাপ দিন ও ধরে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ড। পদ্ধতিটি উভয় হাত ব্যবহার করে ৩-৫ বার করুন।

    এছাড়াও পেন্ডুলাম রোটেশন, শোল্ডার এক্সটেনশন ইত্যাদি ব্যায়ামের সাহায্যে  খুব সহজেই কাঁধের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।  

  • Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। প্রতিদিন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হয়ত চতুর্থ ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল বলে! কোভিড ঘিরে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশ্বাস, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ঘিরে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, আক্রান্তরা যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনটা কিছুই হয়নি। কারণ করোনা হয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কম, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, একইসঙ্গে করোনার থেকে বাঁচতে কোভিড নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। 

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সোমবার দিল্লিতে একদিনে কোভিডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬০, আর মৃত্যু হয় ৬ জনের। শুক্রবারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯৭ যা বিগত চার মাসের মধ্যে  সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল।

    চিকিৎসকদের মতে, গত সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়লেও এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর সমস্যাও কম দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র বয়স্ক অথবা যাঁদের ইমিউনিটি কম বা যাঁদের আগের থেকে অসুখ রয়েছে তাঁরাই একমাত্র ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

    বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাধারণ মানুষকে এই ভাইরাস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি কোভিডবিধি পালন করতে হবে। যেমন— মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাঁদের শরীরে কোভিডের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের আগে থেকে আইসোলেশনে (Isolation) চলে যাওয়া উচিত বলেও পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    অসতর্কতা বা সচেতনতার অভাবেই গ্রাফের এই উত্থান বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কোভিড পুরোপুরিভাবে না যাওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ ভ্যাকেশনে (Vacation) চলে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়েও কোনওপ্রকার কোভিড নিয়ম মেনে চলছেন না। তাঁদের মতে, মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং সামাজিক দূরত্ব (Social Distancing) বজায় না রাখার সঙ্গে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি (Health Guidelines) ঠিকঠাক করে না মেনে চলার জন্যই করোনার গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি।

    ফলে করোনা নিয়ে চিন্তা না থাকলেও প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের (Mask) ব্যবহার মাস্ট এবং এতেই হবে সমস্যা দূর। এছাড়া শারীরিক দূরত্ববিধিও মেনে চলা থেকে শুরু করে নিয়মিত হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

  • Diabetes & Jackfruit:  ডায়াবেটিস রোগীদের কি কাঁঠাল খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা..

    Diabetes & Jackfruit: ডায়াবেটিস রোগীদের কি কাঁঠাল খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা..

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা পুরোপুরি বদলে গেছে। তাদের জীবনধারা ও খাদ্যাভাস সমস্ত কিছুতে পরিবর্তন আসায় মানুষের দেহে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আলস্যতাও বেড়েছে ফলে তা স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন রোগের জন্ম হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Worls Health Organisation) অনুসারে, বর্তমানে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০ বয়স থেকে ৭০ বয়সের মানুষের প্রায় ৮.৭ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। রক্তে যখন শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখনই মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। এই অসুখ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী হয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে এবং খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে নিয়ন্ত্রণ আনলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

    আরও পড়ুন:করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না, একটি ফল খাদ্যতালিকায় রাখলে মধুমেহকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়, আর সেটি হল কাঁঠাল (Jackfruit)। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে আপনার ডায়েটে কাঁঠাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কাঁঠাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, রাইবোফ্লাভিন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এটি ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারী। এমনকি রান্না করা কাঁঠালের চেয়ে পাকা কাঁঠাল বেশী উপকারী।

    কিন্তু কাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় জানেন কি?

    যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পাশাপাশি অনেক সময় কাঁঠালের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা হাইপারক্যালেমিয়া (hyperkalemia) রোগের সৃষ্টি করে।

    আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত

    সব মিলিয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খেতে পারেন। তবে তা পরিমাণে হতে হবে অল্প। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কীরূপ প্রতিক্রিয়া করতে পারে তা জানা সম্ভব নয়। তাই কাঁঠাল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

  • Monkeypox: নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    Monkeypox: নতুন বিপদ! ‘মাঙ্কিপক্স’কে অতিমারি ঘোষণা ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona) না যেতেই আবার বিশ্বজুড়ে আরেক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ২৩ জুন ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক (World Health Network) তরফে ‘মাঙ্কিপক্স’ (Monkey Pox) কে অতিমারি(Pandemic) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার পরও রেহাই নেই বিশ্বে। নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে এই মাঙ্কি পক্স।

    আরও পড়ুন: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের প্রভাব ক্রমশ একাধিক দেশে বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কোনো পদক্ষেপ তৎক্ষণাৎ না নিলে মাঙ্কিপক্সের প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। যদিও এই মুহূর্তে স্মল পক্সের তুলনায় মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর হার কম। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই মুহূর্তে এই রোগের মোকাবিলার চেষ্টা চলছে সর্বত্র। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স অতিমারি ছাড়া আর কিছু নয় জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

    মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই  এক বৈঠকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক বার্তা জারি করেছিল। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্কের সহকারি প্রতিষ্ঠাতা (Co-founder) তথা নিউ ইংল্যান্ড কমপ্লেক্স সিস্টেম ইনস্টিটিউটের (New England Complex System Institute) প্রেসিডেন্ট (President) ইয়ানির বার ইয়াম (Yaneer Bar-Yam) জানান,  আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। এটিই সঠিক সময় পদক্ষেপ নেওয়ার। এই ভাইরাস আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত। এখন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরবর্তীতে আরও ক্ষতি হলে সেটি সামনালো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা

    ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কিপক্সকে অতিমারি ঘোষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল যাতে অধিকাংশ দেশগুলি এই ভাইরাসের প্রতি বিশেষ নজর রাখে ও এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেই এই ভাইরাসের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে গোটা বিশ্ব। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করার কথাও বলেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

  • mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের (mRNA vaccine) আপৎকালীন ব্যবহারে  ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। পুনের (Pune) ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মা করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেওয়া যাবে। 

    এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন mRNA ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হয়, কিন্তু জেনোভার  প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিনটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে রাখলেও নষ্ট হবে না। ফলে এই ভ্যাকসিন  সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। জেনোভার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে এই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই ডোজগুলি ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা  হবে। গত শুক্রবার, করোনা মোকাবিলায় এই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল, যা  মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা অনুমোদিত হয়। 

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ, অ্যাডমিট ডাউনলোড কীভাবে?

    ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ফেজ-২ ও ফেজ-৩ ট্রায়ালে ৪ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। মেসেঞ্জার আরএনএ হল এক ধরনের আরএনএ যা শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।  mRNA ভ্যাকসিন অন্যান্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দেওয়া হয়। এটি শরীরের ভিতরে পৌঁছে কোষে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ওপরেও স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায়। যখন শরীরে প্রোটিন তৈরি হয়, তখন আমাদের কোষগুলি এমআরএনএ ভেঙে তা সরিয়ে দেয়। এরপর আমাদের কোষের স্পাইক প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে এবং স্পাইক প্রোটিন ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনও ধ্বংস হয়ে যায়। 

    দেশীয় mRNA ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়াও মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল সিরাম ইনস্টিটিউটের  কোভোভ্যাক্স (Covovax) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে৷ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।

  • Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    Nasal Vaccine: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এর মধ্যেই এল এক খুশির খবর। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। ভারত বায়োটেকের তৈরি নেজাল কোভিড ভ্যাকসিনের (Nasal Vaccine) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল (Third Trial) শেষ। ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella) জানান, আগামী মাসেই ট্রায়াল সংক্রান্ত সব তথ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছি। এখন আরও কিছু পরীক্ষা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাব। আর তাহলে এটাই হবে বিশ্বের করোনার প্রথম ক্লিনিক্যালি টেস্টেড নেজাল ভ্যাকসিন।”  

    ডাঃ এল্লা আরও বলেন, “এই ভ্যাকসিন যদি মান্যতা পায়, তাহলে ভারতের জন্যে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশের ৬৫টি স্টার্টআপ এই গবেষণায় এগিয়ে এসেছে। এই সবকটি সংস্থাই সম্ভবনাময়। আমরাও ১৯৯৭ সালে স্টার্টআপই ছিলাম। ভারত বিশ্বের জন্যে কী করতে পারে তা এই কাজ থেকে প্রমাণিত।”

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    এই বছরই জানুয়ারি মাসে ভারত বায়োটেকের এই নেজাল ভ্যাকসিনকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল ডিসিজিআই। ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছমাস সময় লেগেছে।    

    অন্যদিকে, কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে এদিন ডাঃ এল্লা জানান, “করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়া অবশ্যই উচিত। যারা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাঁরা বুস্টার ডোজ নিন এবং নিশ্চিন্ত থাকুন।” 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৯। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত চার হাজারের বেশি। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে সরকার।        

    ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) প্রস্তাব দিয়েছে, দ্বিতীয় ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানোর। দ্বিতীয় ডোজের ছমাস পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নমাস। একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।  

    দেশে যখন নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা, তখন এই নেজাল ভ্যাকসিন বাজারে এলে অনেকটাই স্বস্তি পাবে দেশবাসী, বলে মনে করছে চিকিৎসকমহল। যদিও কবে এই টিকা বাজারে আসবে, সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।   

     

     

     

  • Covaxin Booster Jab: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর  কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    Covaxin Booster Jab: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রিপোর্ট অনুসারে, ডেল্টা (Delta) আর ওমিক্রন (Omicron) রুখতে দারুণ কাজে দিচ্ছে কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ (Covaxin Booster Jab)। এমনকি ওমিক্রনের দুটি ভ্যারিয়েন্ট থেকেই রক্ষা করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ। দেশজুড়ে করোনার (Corona) দাপট বাড়তেই বারবার একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন দিয়ে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টকে রোখা কঠিন। আর তারই মধ্যে খানিক স্বস্তির খবর দিল বায়োরিক্সভ(Biorixv)-এর এই রিপোর্টটি। জানা যায়, কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজটি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও যেমন কার্যকর, তেমন ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট  BA.1.1 এবং BA.2 রুখতেও সক্ষম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেই গ্রহীতার ইমিউনিটি অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

    দ্বিতীয় ডোজের পর এই বুস্টার ডোজটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকারি ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কতটা কার্যকারিতা রয়েছে তা নিয়ে ‘সিরিয়ান হ্যামস্টার মডেল’ (Syrian hamster model )-এ বিশেষ গবেষণা করা হয়েছে। করোনা হওয়ার ফলে ইমিউনিটি কমে যায় ও ফুসফুসেরও ক্ষতি হয়। তাই এই বিষয়েও কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ কতটা কাজ করতে পারে, সেটিও গবেষণা করে দেখা হয়েছে। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর ফুসফুস-সহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। কিন্তু কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর ক্ষতির আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে দাবি করছে এই রিপোর্ট।

    উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research)  -এর সঙ্গে ভারত বায়োটেকইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (Bharat BiotechInternational Limited)-এর যৌথ উদ্যোগে এই কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ তৈরী করা হয়েছে। ভারত বায়োটেক দাবি করে,  সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে ৮১ শতাংশ কার্যকর। কোভ্যাক্সিন হল প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যা সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারী থেকে ভারত দেশব্যাপী টিকাকরণের (Vaccination) অভিযান শুরু করেছিল।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ?

    তবে বর্তমানে ফের করোনা ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ নাগরিকদের ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনার চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও মাস্ক পরার সঙ্গে সঙ্গে  বিভিন্ন করোনাবিধিও মেনে চলতে হবে।

  • Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    Covid-19 Symptoms: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের(Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে এবার গবেষকরা করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের (New Coronavirus Symptoms) সন্ধান পেয়েছে। বিজ্ঞানী-গবেষকরা কোভিড নিয়ে গবেষণা করেই এই নতুন উপসর্গের উল্লেখ করেছেন। শরীরে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা এগুলোই হল কোভিডের নতুন লক্ষণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত ৩জনের মধ্যে একজনের গায়ে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসস্থার(World Health Organization) একটি রিপোর্টে বিশ্লেষণ করে দেখা হয় যে, প্রায় ৫৬০০০ জন কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীদের গায়ে, পেশীতে ব্যথা আছে।

    শরীরের কোথায় ব্যথা হতে পারে?

    শরীরের  সাধারণত কাঁধে, কোমরে ও পায়ে ব্যথা দেখা গিয়েছে। তবে এইসব উপসর্গের সঙ্গে মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে।

    ব্যথার ফলে কীভাবে বুঝবেন যে আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দেহে, পেশীতে  ব্যথা তো থাকবেই, এর সঙ্গে পেশী সঞ্চালন করলেও এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন। অথবা পেশীকে ছুঁলেও ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

    কতদিন কোভিডের এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে?

    গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি করোনার প্রাথমিক উপসর্গ ও এটি ২-৫ দিন থাকতে পারে। তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধবয়সীদের ৭-৮ দিন এই ব্যথা থাকতে পারে।

    গায়ে ব্যথা কীভাবে আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে?

    কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের গায়ে ব্যথা হলে দেহে স্ফীতাভাব দেখা যেতে পারে, সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটিও  কমে যেতে পারে। তাছাড়াও ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তিভাব দেখা যেতে পারে ও আপনার হাঁটাচলাতেও অসুবিধা হতে পারে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ব্যথা থাকলে আপনার পেশীর কোষগুলিও নষ্ট হয়ে যাোয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এর প্রতিকার কীভাবে করবেন?

    যদি আপনার শরীরে কোনও ব্যথা অনুভব হয়, তবে এটি করোনার লক্ষণ হতে পারে। তাই আপনাকে টেস্ট করে নেওয়া উচিত ও আইসোলেশনেও থাকা উচিত। ব্যথার জন্য সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন ও খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

  • Vitamins: দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে? সাবধান! এই ভিটামিনের অভাব আপনাকে করে তুলতে পারে অন্ধ

    Vitamins: দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে? সাবধান! এই ভিটামিনের অভাব আপনাকে করে তুলতে পারে অন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ধরনের ভিটামিন (Vitamin) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে সুস্থ থাকতে সব ধরনের ভিটামিন-মিনারেল গ্রহণ করা জরুরি। তবে সব খাবারের মধ্যে তো আর ভিটামিন থাকে না। তাই ভিটামিন মিনারেলযুক্ত খাবারের অভাব হলেই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। আর এই কারণেই শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সমস্যা সাময়িক। শরীরে যে কোনও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে খাবার এবং নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে তা পূরণ করা সম্ভব হয়।

    তবে শরীরে যে ভিটামিনের অভাব দেখা গিয়েছে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ফলে তার ঠিকমত চিকিৎসাও করাও হয়ে ওঠে না যার ফলে শরীরে আরও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই আপনার অবশ্যই জেনে রাখা দরকার, শরীরে কোন কোন লক্ষণ ফুটে উঠলে বুঝতে পারবেন আপনার  শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। মানব শরীরে সাধারণত ১৩ রকমের ভিটামিন প্রয়োজন আছে। সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি বছর ২৫ লক্ষ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভিটামিন এ-র অভাবে ভুগে থাকে। একই ভাবে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের কারণ হয়ে ওঠে।

    কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যদি দৃষ্টিশক্তিতে কোনরকমের পরিবর্তন দেখা যায়, তবে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন এ ও বি১২-এর কমতি রয়েছে। এমনকি বি-১২-এর ঘাটতি বেশি মাত্রায় হলে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন আপনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই দুটি ভিটামিনের অভাবে চোখের কর্নিয়া শুষ্ক হতে থাকে ও ধীরে ধীরে কর্নিয়া ও রেটিনা নষ্ট হতে থাকে। ভিটামিন এ -এর অভাব বেশি হলে রাতে দেখার ক্ষেত্রে বা রাতকানার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও চোখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকে জ্বালা অনুভূত হয়। আবার চোখের সমস্যা ছাড়াও ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে ত্বক ফ্যাকাসে, হলদেটে ও শুষ্ক হয়, মাউথ আলসার, ডিমেনসিয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।

    কোন কোন খাবার খেলে ভিটামিন এ ও বি১২-এর ঘাটতি কমবে?

    ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো হল চিজ, ডিম, দুধ, দই, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি। এছাড়াও শাক সবজির মধ্যে হলুদ, লাল, সবুজ সবজি যেমন- গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ফলের মধ্যে আম, পেঁপে ইত্যাদি। আবার ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার হল দই, দুধ, ডিম, মাছ, সমুদ্রের মাছ ইত্যাদি।

     

     

LinkedIn
Share