Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Beer: বিয়ার খেলে কমবে একাধিক রোগ-ব্যাধি! এমনই দাবি গবেষণায়

    Beer: বিয়ার খেলে কমবে একাধিক রোগ-ব্যাধি! এমনই দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বিয়ার (Beer) খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? সত্যিই ভালো না ক্ষতিকর, এই নিয়ে দ্বিধা অনেকের মনেই রয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, নিরাপদ মাত্রায় বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য বরং ভালো।

    আরও পড়ুন: মূত্র, নর্দমার জল থেকে বিয়ার! চোখ কপালে সুরাপ্রেমীদের

    একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে অ্যালকোহলিক বা নন-অ্যালকোহলিক হোক, বিয়ার আপনার পেটের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে। বিয়ারের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফসফরাস, ফোলেট ও কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বিয়ার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার জন্য ভালো যেটি খাবার হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    সম্প্রতি, ১৯ জন কে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয় ও তাঁদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর দুটি গ্রুপের সদস্যদের প্রতিদিন ৩৩০ মিলিলিটার করে অ্যালকোহলিক বা নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার দেওয়া হয়। চার সপ্তাহ পর দেখা যায়, তাদের সবারই অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভালো ব্যাকটেরিয়া দেখা যায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা থাকে ৫ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে বিয়ার খেতে হবে। কারণ কখনওই মাত্রাতিরিক্ত বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। 

    আরও পড়ুন:ওবেসিটিতে ভুগছেন? মদ্যপান নৈব নৈব চ! হতে পারে ক্যানসারও

    তবে বিয়ার শুধুমাত্র পেটের জন্যই নয়, গবেষণায় দাবি যে এটি ক্রনিক রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। বিয়ারে থাকে গুড কোলেস্টেরল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং একাধিক খনিজ উপাদান, যা ব্যাড কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিয়ার, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলিকে বাধা দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে।

    আবার বিয়ারের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং অল্প পরিমাণ শর্করা। ফলে এটি মেটাবোলিজমের জন্যও ভালো। অন্যদিকে ত্বকের জন্যও বিয়ার অত্যন্ত উপকারী। বিয়ার ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। বিয়ার  কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে যদি কোনও রোগ ব্যাধি থাকে, তবে তাঁর বিয়ার খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।

  • Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    Covid fatigue: মহামারির পর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিমারির সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অনেকটা সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে। ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে, বেড়াতে যাওয়া শিকেয় উঠেছে, সব মিলিয়ে একেবারে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পরিস্থিতি। সেই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে দ্রুত। ঘিরে ধরেছে অবসাদ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পেশায় আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাতে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, পেশায় টান পড়েছে। সেই কারণেই অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। করোনা মহামারির কারণে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, একাকীত্বের মতো মানসিক সমস্যার একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা, এই ব্যাধির বিস্তার সর্বত্র। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঘটনা বেড়েছে বহুল পরিমানে।

    সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা অনেক বেশি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ একাকীত্বের  শিকার হয়েছে, যার ফলে সে সম্মুখীন হয়েছে হতাশা, দুশ্চিন্তার মতো মানসিক সমস্যার। তবে দেখা যায়, যেসব ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগের বেষ্টনী সংকীর্ণ, তাঁদের উপর মানসিক স্বাস্থ্যর ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়

    এই সমস্যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেললেও সারাজীবনের জন্য তা মানতে নারাজ মনোবিদরা। তাঁদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর দীর্ঘতর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এর নিরাময় সম্ভব। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুকূল হলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ এবং অদম্য ইচ্ছে থাকা প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

    এই গোটা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এ (Union Budget 2022) বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলি-চিকিৎসা পরিষেবার (National tele-mental health programme) কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। সরকারের মতে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই অতিমারি এক প্রবল প্রভাব তৈরি করেছে। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই সঠিক মানসিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কেন্দ্রীয় স্তরে জাতীয় মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছে। 

  • Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এক ওষুধেই নির্মূল হবে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ-ব্যাধি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় (Cancer Treatment) স্বর্গপ্রাপ্তির মতো এক ঘটনা। এবার এই “মিরাকেল ড্রাগ”-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওষুধের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোগী।

    মলদ্বারে ক্যান্সার (Rectal Cancer) এমন ১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করার পরই এই দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের (Memorial Sloan Kettering Cancer Center) চিকিৎসকরা। ওই ঐতিহাসিক পরীক্ষামূলক ক্যানসার চিকিৎসার অংশ ছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলাও।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার নিরাময়কারী এই ওষুধের নাম ডস্টারলিম্যাব (Dostarlimab)। ১৮ জন মলদ্বারে ক্যান্সারেররোগীকে ৩ সপ্তাহ অন্তর ৬ মাস ধরে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ক্যান্সার-মুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহত্তর ট্রায়ালে সেই পরীক্ষা সফল হয় কিনা, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।    

    আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

    নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৮ জন রোগীর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা নিশা ভারুগিস (Nisha Varughese)। সংবাদ সংস্থাকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নিশা। 

    ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পুরো ঘটনাকে ‘মিরাকেল’ বলে অভিহিত করেছেন নিশা। যেদিন প্রথম ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণায় নিশা বারুগেজ বলেন, “ওই দিন হঠাৎ দেখলাম টিউমারটা নেই। আমি ভাবছিলাম, কোথায় গেল টিউমারটা? তারপর মনে হয়েছিল, ওটা ভিতরে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, দেখা যাচ্ছে না। পরে ডাক্তাররা আমায় জানান, টিউমারটি আর নেই। এটা সত্যিই মিরাকল।” 

    নিশা ভারুগেজ এবং ট্রায়াল নেওয়া সকলেই মলদ্বারের ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। শুধুমাত্র মলদ্বারেই স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছিল ক্যান্সার, আর অন্য কোনও অঙ্গে ছড়ায়নি। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, শল্য চিকিৎসা-সহ বিভিন্নরকম পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যান্সার নির্মূল করার চেষ্ঠা করেছিলেন এই রোগীরা। কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অন্ত্র-প্রস্রাবের সমস্যা এমনকি যৌন ক্ষমতা হারাতে বসেছিলেন। এমন সময়ই ওই রোগীদের ওপর করা হয় ওই পরীক্ষা। পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশ করেছেন গবেষকরা। 

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ডস্টারলিম্যাব ওষুধে গবেষণাগারে তৈরি কিছু অণু থাকে, যেগুলি মানবদেহে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসাবে কাজ করে। ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy) শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী করে তোলে।

    মানবদেহের ইমিউন কোষে একটি ‘চেকপয়েন্ট’ নামক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। ওই চেকপয়েন্টই ইমিউন কোষগুলিকে, মানবদেহের স্বাভাবিক কোষগুলি আক্রমণ করা থেকে প্রতিহত করে। ক্যান্সারের কোষগুলি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইমিউন কোষগুলির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে, টিউমারগুলি গোপনে বেড়ে উঠতে পারে।

    ইমিউনোথেরাপি, ক্যান্সার কোষগুলিকে শনাক্ত করে, ইমিউন কোষগুলি দিয়ে সেই কোষগুলিকে আক্রমণ করায়। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য তথা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া সেরসেক জানিয়েছেন, “ইমিউনোথেরাপিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দ্রুত টিউমারগুলি সংকুচিত হয়েছে।”

  • Weight Loss: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    Weight Loss: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাত (Rice) খেয়েও আবার ওজন (Weight) কমানো যায় না-কি! তাই অনেকেই ওজন কমাতে ভাত খাদ্যকতালিকায়(Diet) রাখেন না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে অনেক পুষ্টিগুণ আছে। ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায় একথা অনেকে বললেও বিষয়টি একেবারেই সত্যি নয়। কারণ ভাত খেয়েও ওজন কমানো যায়। সেক্ষেত্রে পরিমিত ভাত ও এর সঙ্গে কী খাচ্ছেন, সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত

    সবারই জানা দরকার, ভাত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার ও এতে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। এটি একটি সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেটও(Carbohydrate), যা সহজেই হজম হয়ে যায়। তাছাড়াও  মানুষের ক্যালোরির বেশী শতাংশই শর্করাজাতীয় খাবার থেকেই আসে। যা পূরণ করে ভাত। এছাড়া ভাত খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। পুষ্টিবিদরা ওজন কমানোর জন্য সাধারণত ভাত মেপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলেই ওজন বাড়ার সমস্যাও অনেকটা কমে যায়। কীভাবে ভাত খেয়েও ওজন কমাবেন, তার জন্য এই পাঁচটি টিপস মেনে চলুন..

    আরও পড়ুন: জেনে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    ১)আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণ কমিয়ে সবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার জায়গায় স্যালাড ও বেশ কিছু তরকারি পাতে রাখুন। তাতে আপনার পেটও ভরা থাকবে সঙ্গে আপনার শরীরে ফাইবারের পরিমাণও ঠিক থাকবে।

    ২)আপনি সরাসরি ভাত না খেয়ে খিচুড়ি করেও খেতে পারেন। ফলে আপনার শরীরে প্রোটিনের পরিমাণও ঠিক থাকবে এবং এতে নয় প্রকারের অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino Acid) থাকে যা আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।

    ৩)আপনি আপনার ডায়েটে বাসমতি চালের ভাত রাখতে পারেন। তবে সেটির পরিমাণ অল্প হতে হবে।

    ৪)ভাত খেতে চাইলে সেটি অবশ্যই একটি ছোট বাটির পরিমাপ মত খাওয়া উচিত।

    ৫)ভাতের সঙ্গে যদি বেশি পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, তা হলে ওজন কমানো আরও সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

  • Cardiovascular Endurance: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    Cardiovascular Endurance: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) বলতে শুধুমাত্র হৃদয়ের স্বাস্থ্যের কথাই ভেবে থাকি। কিন্তু কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা (Cardiovascular Endurance) বলতে হৃদয়ের পাশাপাশি আপনার শারীরিক ক্ষমতার পরিমাণও বোঝানো হয়। অর্থাৎ কোনও গতিশীল কার্যকলাপ করার সময় হৃদয়ের পাশাপাশি ফুসফুসের পেশীগুলি অথবা অন্যান্য পেশীগুলি কতটা ও কিভাবে কাজ করছে এবং আপনার হার্ট কতটা সহ্য করতে পারছে, সেটিকেই বোঝানো হয়।

    কী এই কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা:

    এক কথায় বলতে গেলে আপনি কোনও এক্সারসাইজ অথবা ব্যায়াম করতে গেলে আপনার হার্ট কতটা সেই কাজ কোনও কষ্ট ছাড়াই করতে পারছে সেটিই বোঝা যায় এবং এটি নির্ভর করে আপনার হার্ট কত তাড়াতাড়ি অক্সিজেন সঞ্চালন করতে পারছে। কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা হল জগিং (Jogging), সাঁতার কাটা (Swimming), সাইকেল চালানো (Cycling) এমন কিছু ব্যায়াম যা আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে একটি সময়ের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে ও এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাই আপনার দেহের ক্ষমতা হিসাবে ধরা হয়।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    কোন এক্সারসাইজ করলে কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে:

    আপনারা মনে করেন, শুধুমাত্র দৌড়লেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে কিন্তু দৌড়ানোর সঙ্গে সাইক্লিং, সাঁতার কাটাও একটি ভালো এক্সারসাইজ। আপনি যত আপনার শরীরের পেশীকে সঞ্চালন করবেন ততই আপনার দেহ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আরও কিছু কার্যকরী এক্সারসাইজ হল— স্কিইং, রোয়িং, ইত্যাদি।

    কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতার উপকারিতা:

    নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের কার্যকরী ক্ষমতা উন্নত হবে। ফলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে, সঙ্গে আপনার বিপাক প্রক্রিয়ার কাজকেও দ্রুত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনার শরীর যত সুস্থ থাকবে ততই আপনার ঘুম ভালো হবে। সুতরাং কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতার সরাসরি প্রভাব আপনার ঘুমের উপর রয়েছে।

    আপনার হার্ট যত বেশি ভাল থাকবে তত আপনার হৃদজনিত সমস্যা (Heart problems) কম দেখা যাবে। এছাড়াও হাইপারটেনশন (Hypertension), ডায়াবেটিস (Diabetes) হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকেও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো নিজের করা উচিত। যেমন- ভারী জিনিসপত্র ওঠানো, এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়িতে চড়া, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলো— এইসব কাজ করার মাধ্যমে আপনার দেহের পেশীগুলো ভালোমতো চালনা হবে। ফলে আপনার হার্টেরও কোনও সমস্যা হবে না। সুতরাং দিনের শেষে আপনি যত বেশি অ্যাক্টিভ থাকবেন, আপনার হৃদয় ও শারীরিক অবস্থার সঙ্গে  মানসিক অবস্থারও উন্নতি হবে।

  • West Nile Virus: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    West Nile Virus: আতঙ্কের নয়া নাম ওয়েস্ট নাইল! কীভাবে মানবদেহে ছড়ায় এই ভাইরাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমূখী। এর মধ্যেই আবার দেশে মিলল ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus)। সম্প্রতি এই ভাইরাসের কবলে পড়ে কেরালায় (Kerala) মৃত্যু হয়েছে ৪৭ বছরের এক ব্যক্তির। এর আগে ২০১৯ সালে এই রাজ্যেরই কোঝিকোড়ে এই ভারাসের হানায় মৃত্যু হয়েছিল সাত বছরের এক শিশুর।  তারপর থেকেই এই ভাইরাস নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।  

    কী এই ভাইরাস: ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বা ডব্লিউএনভি (WNV) হল নাইল ভাইরাসের পুরো নাম। এটি একটি মশাবাহিত রোগ (vector borne virus)। সাধারণত কিউলেক্স (culex sp) মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। মূলত পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর আসে, মাথা যন্ত্রণা হয়, গায়ে র‌্যাশও বেরোতে দেখা যায় মাঝে মাঝে। এ ছাড়া হয় গ্ল্যান্ডের সমস্যা। এই লক্ষ্মণগুলি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

    কখন বিপদ: নাইল ভাইরাস যদি কোনও ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তাহলেই বিপদ। মস্তিষ্কে পৌঁছলেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। মস্তিষ্কে সংক্রমণ হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সংক্রমণ মস্তিষ্ক থেকে ছড়িয়ে পড়ে সুষুম্নাকাণ্ডে। যার জেরে মানবশরীরের স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে।

     বিপদ বেশি কাদের: যে সব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁরা সহজেই এই রোগের শিকার হন। সাধারণত শিশু ও বয়স্ক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তাই শিশু ও বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি।

    ওষুধ: মানুষের দেহে এই রোগ হলে তা নিরাময়ের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত নেই। স্নায়ুতন্ত্র (nervous system) যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পড়ে সে জন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই রোগের মোকাবিলা করা হয়। 

    ওষুধ নেই তাই এই রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হওয়া ভাল। এই রোগ থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা। বর্ষার আগে নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে শোয়াই বাঞ্ছনীয়।

     

  • Apple Cider Vinegar: জেনে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    Apple Cider Vinegar: জেনে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা জানি যে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের (Apple Cider Vinegar) অনেক উপকারিতা রয়েছে। সেই কারণে অনেকেই নিয়মিতভাবে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেয়ে থাকেন। তবে অনেকে এটি দেহের ওজন কমানোর জন্যই খেয়ে থাকেন।

    আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার তৈরি করা হয়। ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এই ভিনিগার ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষায়ও কাজে লাগে। কিন্তু এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে কিছু দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত।

    অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার সকালে খালি পেটে খাবেন নাকি রাতে খাবেন সেই দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। এই পানীয় সকালে খালি পেটে  খাওয়া  ভালো, কারণ এটি সকালে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় এবং আপনার শরীরের হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

    আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত

    যদিও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে যে, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে থাকে। কারণ এই পানীয়টি পান করলে আপনার খিদে কমে যেতে শুরু করে এবং কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওজন কমতে সময় লাগে না।

    সুতরাং এই পানীয়টি সরাসরিভাবে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে না কিন্তু আপনার খিদে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধুমাত্র এই পানীয় পান করলে আপনার শরীরের ওজন কমবে না, আপনাকে এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে।

    ওজন কমানো ছাড়াও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে। এই পানীয়টি আপনার পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করার অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সহজেই খাবার হজম হয়ে যায় ও গ্যাস, স্ফীতভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    তবে অনেকেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার সরাসরি খেতে পারেন না। ফলে তাদের জন্য একটি সহজ উপায় হল, কিছুটা উষ্ণ গরম জলে ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ১ চা চামচ মধু ও দারচিনি সহ একটি মিশ্রণ বানিয়ে আপনি এটি পান করতে পারেন।

    এটি সাধারণত সকালে খালি পেটে খাওয়াই বেশি উপকারী। কিন্তু এটি পান করার পরে কিছু খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। এই পানীয়টি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখলে এক মাসের মধ্যেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

  • Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    Immunity: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর বাঁচাতে চাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের জোগান। একমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত একটি ডায়েট চার্টই পারে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টির (Nutrients) জোগান দিতে। পুষ্টিকর খাবার খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power)। তখন আর ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে হয় না নানান সংক্রমক রোগ ব্যাধিতে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা বাড়িয়ে নিতে পারি। প্রশ্ন হল, কী খাব? আসুন জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত কোন কোন খাবার পেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    ইমিউনিটি চা: গ্রিন টি, লেবু, আদা, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নিন ইমিউনিটি চা। ব্ল্যাক টি কিংবা কফির পরিবর্তে গ্রিন খেলে উপকার হবে।

    ওয়েলনেস মিল্ক: গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গরম দুধে দারুচিনি মেশিয়ে খেলেও বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার হবে বেশি।

    ইমিউনিটি স্মুদি: শরীর ভালো রখাতে ইমিউনিটি স্মুদির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন প্রকার বেরি, স্পিনাচ, হলুদ ইত্যাদি দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে ইমিউনিটি স্মুদি। এটি নিয়মিত খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    আরও পড়ুন : পেয়ারা পাতার চা কমাবে ওজন! এর গুণাগুণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও

    হেলদি ডেজার্ট হেলদি ডেজার্টও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীরে। ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত ডার্ক চকোলেট খাওয়াই যেতে পারে।

    হেলদি গার্নিস: ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকার বীজ দিয়ে বানিয়ে নিন হেলদি গার্নিস। বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হেলদি গার্নিস খেলে আদতে শরীর থাকবে সুস্থ।

    সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস: যাঁদের একটুতে ঠান্ডা লেগে যায় তাঁরা নিয়মিত সাইট্রাস ওয়েক-আপ জুস খেতে পারেন। সাইট্রাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যে কোনও লেবু জাতীয় ফলেই মেলে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই যে কোনও লেবুর রস নিয়মিত খেলে উপকার হবে।

    ইয়োগার্ট স্ন্যাক কাপ: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে ইয়োগার্ট। মধু এবং ফলের টুকরো দিয়ে ইয়োগার্ট খেলে শরীর হবে চাঙা। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • World Physiotherapy Day: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগছেন? ফিজিওথেরাপি নিন, সুস্থ থাকুন

    World Physiotherapy Day: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগছেন? ফিজিওথেরাপি নিন, সুস্থ থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ওয়ার্ল্ড ফিজিওথেরাপি ডে (World Physiotherapy Day) হিসেবে পালন করা হয়। আর এই দিনটির উদ্দেশ্য হল ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেও যে ফিট থাকা যায়, তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। গত কয়েক বছরে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে মানুষের মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে তরুণ-তরুণীদেরও নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। কোমর ও হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়েছে। এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ ও চিকিৎসা।

    কিন্তু আপনি কি জানেন যে ফিজিওথেরাপির সাহায্যেও প্রচণ্ড ব্যথার সমস্যা ওষুধ ছাড়াও সহজে সেরে যায়?  ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর এই বিশেষ দিনটি মানুষের মধ্যে এই চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালিত হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে আর্থ্রাইটিস, ফ্রোজেন শোল্ডার, পিঠের ব্যথা এমনকি প্যারালাইসিসের সমস্যাও সহজে নিরাময় করা যায় বলে দাবি করা হয়েছে।

    এখানে কিছু সাধারণ ফিজিওথেরাপির কথা উল্লেখ করা হল যা আপনাদের ফিট রাখতে সাহায্য করবে।

    মাসকিউলোস্কেলেটাল ফিজিওথেরাপি

    এটি অর্থোপেডিক ফিজিওথেরাপি নামেও পরিচিত।  শরীরের কোনও হাড়, জয়েন্ট, লিগামেন্ট এবং পেশীর কোনরকমের সমস্যায় এই ফিজিওথেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়। কোনো ধরনের ঘাড় বা পিঠে ব্যথা, ফ্র্যাকচার, আঘাত বা মচকে গেলে এই ধরনের ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

    আরও পড়ুন: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    সফট ট্যিসু মোবিলাইজেশন

    এটি থেরাপিউটিক ম্যাসেজ নামেও পরিচিত। এটি রোগীর পেশী শিথিল করতে এবং এমনকি নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। খেলার সময় কোনও আঘাত পেলে ব্যথা ঠিক করার জন্য এই চিকিৎসা কার্যকরী। এছাড়াও রক্ত ​​​​সঞ্চালন এবং লিম্ফ প্রবাহে সহায়তা করে।

    জেরিয়াট্রিক ফিজিওথেরাপি

    গতিশীলতা বজায় রাখতে,  দীর্ঘস্থায়ী জয়েন্টের ব্যথা কম করতে, সহনশীলতা এবং শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এই ফিজিওথেরাপি।

    ক্রায়োথেরাপি এবং হিট থেরাপি

    ডেস্ক জব (Desk Job) এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত আঘাতের ক্ষেত্রে এই ফিজিওথেরাপি কার্যকরী। খেলোয়াড়দের অনেক সময় পেশী শক্ত হয়ে যায়, তখন সেই জায়গায় তাপ বা ঠান্ডা লাগালে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। হিট থেরাপিতে গরম প্যাক ও ক্রায়োথেরাপিতে একটি আইস প্যাক লাগিয়ে এই সমস্যা দূর করা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিশিল্ড (Covishield) অথবা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকাপ্রাপকদের বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি কর্বেভ্যাক্সের (Corbevax) বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে বলে জানাল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)। কেন্দ্র নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি জানিয়েছে, যে সব ১৮ ঊর্ধ্ব ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের কর্বেভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।

    এ ব্যাপারে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল এনটিএজিআই। সেখানেই বুস্টার ডোজ হিসেবে অন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI) কর্বেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল গত ৪ জুন। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি ভারতের প্রথম আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন। বর্তমানে এই ভ্যাকসিন ১২-১৪ বছর বয়সিদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভিন্নধর্মী বুস্টার (Heterologous Booster) হিসেবে আগেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) এর অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের (Biological E Ltd) তৈরি কোভিড টিকা কর্বেভ্যাক্স (Corbevax)। কর্বেভ্যাক্সই ভারতের প্রথম কোভিড টিকা, যা ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদন পেল। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে কর্বেভ্যাক্স বুস্টার নেওয়া যেতে পারে। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন (Covaxin)-র সম্পূর্ণভাবে টিকা পাওয়া প্রাপ্তবয়স্করা তাদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারেন।

    এনটিএজিআইয়ের এক আধিকারিকের মতে, বিশেষজ্ঞরা ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন যদি কেন্দ্র কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্সকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে টিকাকরণ নয়া দিশা পাবে। উল্লেখ্য, ১৮-৫৯ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে সতর্কতামূলক কোভিড টিকার ডোজ (বুস্টার ডোজ) দেওয়া শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন কোভিডের বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজাদি কী অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭৫ দিন ধরে চলবে এই বিনামূল্যের বুস্টার ডোজ টিকাকরণ।

LinkedIn
Share